নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা-১৫

২৭ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

অনুচ্ছেদ ২
ধারা ২।
দফা ১। প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীর এবং বিভিন্ন রাজ্যের মিলিশিয়াদের, যখন তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান চাকরিতে ডাকা হয়, কমান্ডার ইন চীফ; তিনি প্রত্যেক নির্বাহী বিভাগের প্রধান কর্মকর্তাদের কাছে তাদের স্বস্ব কার্যালয়ের কর্তব্যের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লিখিত মতামত চাইতে পারবেন, এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে, অভিশংসনের ক্ষেত্র ছাড়া, দণ্ড স্থগিত রাখা এবং ক্ষমা করে দেয়ার ক্ষমতা তার থাকবে।
ভাষ্য
এই দফায় প্রেসিডেন্টের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে।
(১) প্রেসিডেন্ট সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ইন চীফ;
(২) তিনি নির্বাহীবিভাগের অধীন সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রধান;
(৩) নির্বাহীবিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মানে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী; সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে তিনি তাদের কাছে লিখিত মতামত চাইতে পারেন;
(৪) কোনো সাজা প্রাপ্ত আসামির সাজা স্থগিত রাখতে পারেন বা তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।

দফা ২। সিনেটের পরামর্শে এবং সম্মতিতে তিনি চুক্তিসমূহ সম্পাদন করতে পারবেন, এইক্ষেত্রে দুই তৃতীয়ংশ সিনেটরের সম্মতির প্রয়জন হবে; এবং সিনেটের পরামর্শে এবং সম্মতিতে তিনি রাষ্ট্রদূত, অন্যান্য সরকারি মন্ত্রী এবং কনসাল, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, এবং যুক্তরাষ্ট্রে অন্য সব কর্মকর্তা, যাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্য কোনো বিধান নাই, এবং যা আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, মনোনয়ন এবং নিয়োগ দিতে পারবেন; কিন্তু আদালতের নিম্নপদস্থ কিছু কর্মকর্তা বা বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে কংগ্রেস ইচ্ছা করলে আইনের দ্বারা প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা দিতে পারে।

ভাষ্য
এই দফায় প্রেসিডেন্টকে আরো কিছু ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
(১) প্রেসিডেন্ট বিদেশী রাষ্ট্রের সাথে চুক্তি সম্পাদন করতে পারবেন। তবে শর্ত হলো, এই চুক্তি কার্যকর করতে হলে সিনেটের দুই তৃতীয়ংশ ভোটের প্রয়োজন হবে;
(২) প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রী, কনসাল, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, এবং যুক্তরাষ্ট্রে অন্য সব কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে পারবেন। তবে এইক্ষেত্রে শর্ত হলো, এই নিয়োগগুলি সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অনুমোদিত হতে হবে;
(৩) কংগ্রেস আইনের দ্বারা কতগুলি পদে নিয়োগের ব্যাপারে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা দিতে পারে। এইসমস্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। যেমন, আদালতের নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা, বিভাগীয় প্রধান ইত্যাদি।

দফা ৩। সিনেট যখন অবকাশে থাকবে তখন সব শূন্য পদ পূরণ করার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের থাকবে, যার মেয়াদ পরবর্তী অধিবেশন শেষ হওয়ার সাথে সাথে শেষ হয়ে যাবে।
ভাষ্য
যেসমস্ত পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সিনেটের অনুমোদন লাগে, সেইসমস্ত পদ যদি এমন সময় শূন্য হয় যখন সিনেট অধিবেশন নাই, তখন প্রেসিডেন্ট ওই শূন্য পদে সাময়িক ভাবে নিয়োগ দিতে পারবেন। এই নিয়োগের মেয়াদ সিনেটের পরবর্তী অধিবেশন শেষ হওয়ার দিন পর্যন্ত থাকবে। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট কর্তৃক এই ধরণের সাময়িক নিয়োগ সিনেটের পরবর্তী অধিবেশনেই অনুমোদিত হতে হবে, অন্যথায় তা বাতিল হয়ে যাবে।

মন্তব্য -১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (-১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

মক্ষীরাজা বলেছেন: ভাইয়ুমণিতা!!!!!!!!!

বাহ!!!!!!!!

মুগ্ধ মুগ্ধ মুগ্ধ!!!!!!!!

ঠিক পরীর দেশের রাজণ্যদের লেখা !!!!!!!!

উলে জাদুরে। উম্মা :>

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.