নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
ভুটান, চীন এবং ইন্ডিয়া এই তিন দেশের সীমান্ত এলাকা ডোকলামে একটা নির্মাণ কাজকে কেন্দ্র করে চীন এবং ইন্ডিয়ার মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। হুমকি ধমকি। সৈন্য সমাবেশ।
প্রশ্ন হচ্ছে "ইন্ডিয়া কি চীনের সাথে যুদ্ধে যাবে?"
উত্তর হচ্ছে "ইন্ডিয়া চীনের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে না।"
চীনের সাথে ইন্ডিয়ার যুদ্ধে না যাওয়ার কারণ, সৈন্য সংখ্যা বা অস্ত্রশস্ত্র নয়। অর্থাৎ কৌশলগত কারণে নয়। আরো পরিষ্কার ভাবে বললে বলতে হয়, চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে না যাওয়ার পিছনের কারণ সামরিক শক্তি বা দুর্বলতা নয়। যুদ্ধে না যাওয়ার মূল কারণ, বর্তমান সরকারের কাঠামো বা ধরণ এবং অভ্যন্তরীণ নির্বাচনী রাজনীতি।
যুদ্ধ মূলত একটা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। সামরিক বাহিনী যুদ্ধের ময়দানে লড়াই করলেও, যুদ্ধের সিদ্ধান্তটা তাদের নয়। যুদ্ধের সিদ্ধান্তটা আসে রাজনৈতিক নেতৃত্বর কাছ থেকে। যুদ্ধের ফলাফলের দায়ভাগ রাজনৈতিক নেতাদেরকেই নিতে হয়। যুদ্ধে বিজয়ী হলে রাজনৈতিক নেতৃত্ব শক্তিশালী হয়, আর পরাজিত হলে কলঙ্কের বোঝা মাথায় নিয়ে চির বিদায় গ্রহণ করতে হয়। এছাড়াও যুদ্ধের প্রভাবে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলি প্রভাবিত হয়।
২০১৯ সালের মে মাসে ইন্ডিয়াতে নির্বাচন হবে। দরিদ্র ইন্ডিয়ার অর্থনীতি এমনিতেই ক্ষণভঙ্গুর, চীনের সাথে যুদ্ধ স্বল্প মেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি যাই হোক না কেন, ইন্ডিয়ানদের জীবনযাত্রার ব্যয়ে দর্বিসহ হয়ে উঠবে। তাই চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয়ী হলেও ইন্ডিয়ানদের কাছে এই যুদ্ধ অর্থহীন এবং নিষ্ফলা মনে হবে। ফলে বর্তমান সরকারের আগামী নির্বাচনে পুননির্বাচিত হওয়া সম্ভব হবে না। তাছাড়া ১৯৬২ সালে চীনের কাছে অপমানজনক পরাজয়ের গ্লানি অধিকাংশ ইন্ডিয়ানদের মনে গেঁথে আছে। যদি এইবার পরাজিত হয়, ইন্ডিয়ানরা রাজনৈতিক নেতাদেরকে কোন ভাবেই ক্ষমা করবে না। সুতরাং এই অবস্থায় ইন্ডিয়ার রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষে যুদ্ধে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া একেবারেই সম্ভব না।
ইন্ডিয়া যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে রাখবে কিন্তু যুদ্ধে যাবে না। যুদ্ধে যাওয়ার চাইতে যুদ্ধের প্রস্তুতি বর্তমান ইন্ডিয়ান সরকারের আগামী নির্বাচনে পুননির্বাচিত হওয়া জন্য সুবিধাজনক। যুদ্ধ প্রস্তুতির কারণে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে, যা আগামী নির্বাচনে বর্তমান শাসক দলের জন্য সুবিধা হবে।
২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: "ভারত আর চীন কখনোই যুদ্ধে যাবেনা।" -- এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে এখন যাচ্ছে না, এটা আমার মনে হয়েছে। ইন্ডিয়া কেন এখন চীনের সাথে যুদ্ধে যাবে না, তার কারণ নির্ণয়ের চেষ্টা করেছি।
কেন ভারত আর চীন কখনোই যুদ্ধে যাবেনা, এর একটা বিশ্লেষণ যদি দেন তাহলে আমরা কিছু জানতে পারতাম।
২| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: যুদ্ধ কোনো আন্দময় ব্যাপার না। ৭১ এর ইতিহাস কি জানেন না?
২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: এই লেখায় কখনও বলা হয় নাই যে যুদ্ধ একটা আনন্দময় ব্যাপার। সীমান্তে একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় দেশ সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে। উভয় দেশ সৈন্য সমাবেশ সহ সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। যদি দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হয়, প্রতিবেশী দেশ হিসাবে এর প্রভাব আমাদের দেশেও পরবে। আমরা শান্তিপ্রিয় দেশ হিসাবে আশা করব যুদ্ধ যাতে না হয়।
৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪৫
নাবিক সিনবাদ বলেছেন: চিন যদি ইন্ডিয়াকে আক্রমণ করে, তখন কি ইন্ডিয়া চুপ করে বসে থাকবে??
২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: না, ইন্ডিয়া চুপ করে বসে থাকবে না। চীনের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে। চীন আগে আক্রমণ করলে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক ঝুঁকি কম হবে।
৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫১
কানিজ রিনা বলেছেন: চীন ভারত সীমান্তে পাখির মত গুলি করে
মানুষ মারুক, ভারত যেমন বাংলাদেশের
সীমান্তে মানুষ মারে। চীন সবল ভারত দুর্বল।
ভারত আমাদের দুর্বল ভেবে যা করে চীন তাই
শুরু করলে ভারত বুঝবে।
২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আপনে যাই আশা করেন, চীন এটা কখনই করবে না। চীনের লক্ষ্য হল অর্থনৈতিক উন্নয়ন, তাই বেহুদা সীমান্তে মানুষ মারবে না।
অপরদিকে ইন্ডিয়ার লক্ষ্য হল সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় উন্নয়ন, তাই সীমান্তে মানুষ মারতে হবে।
যার যার লক্ষ্য।
৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চীন, ভারত, পাকিস্তান এরা কেউ কাউকে আক্রমন করবে না এটা নিশ্চিত। তবে বর্ডারে টুক টাক খোঁচা মারামারি চলবে।
২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৩
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: এইযে আপনি নিশ্চিত হলেন, "চীন, ভারত, পাকিস্তান এরা কেউ কাউকে আক্রমণ করবে না"। এটা কিসের ভিত্তিতে হলেন। কারণগুলি ব্যাখ্যা করলে আমরাও নিশ্চিত হতে পারতাম।
৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৯
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এটা মূলত সৈন্যদের চাঙ্গা রাখার কৌশল। আর কে কি ভাবছে তা’ জানার উপায়। নতুবা অলাভ জনক কাজে দুই বুদ্ধিমান রাষ্ট্র জড়াবে বলে মনে হয়না।
২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: "সৈন্যদের চাঙ্গা রাখার কৌশল" বলতে আসলে কি বুঝতে চাইছেন? সৈন্যদেরকে কেন চাঙ্গা রাখতে হবে?
আর আপনার দ্বিতীয় কারণটার পিছনে একটা যুক্তি আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নয়া প্রশাসন আসার পর, বিশ্ব ক্ষমতা কেন্দ্রের কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বৃহৎ দুইটি রাষ্ট্র বিশ্ব মেরুকরণ প্রক্রিয়াকে একটু পরীক্ষা করে দেখতে পারে -- কার অবস্থান কি ?
৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১০
প্রোলার্ড বলেছেন: বড় বড় দলের মধ্যে খেলা দেখতে ভাল লাগে । বছর খানেক আগে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে একটা ম্যাচ হবার তুমুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল , কিন্তু শালারা পিছলাইয়া গেছে।
ভারত বনাম চীন খেলা হলে বাংলাদেশ কার পক্ষে থাকবে ?
২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: যুদ্ধ একটা ভয়াবহ ব্যাপার। পৃথিবীর কোন দেশেই যুদ্ধ কাম্য নয়। আর এখন বিশ্বায়নের যুগে যেকোনো দেশে যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে ব্যাহত করবে। এর বিষময় ফল সবাইকে ভোগ করতে হবে। বাংলাদেশ নিস্তার পাবে না। আমরা আশা করবো যুদ্ধ হবে না।
৮| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১১
নতুন বলেছেন: কেন ভারত আর চীন কখনোই যুদ্ধে যাবেনা, এর একটা বিশ্লেষণ যদি দেন তাহলে আমরা কিছু জানতে পারতাম।
১) চাইনিজরা ব্যবসায়ী জাতি...তারা লস হবে এমন কিছুই করবেনা।
২) ভারত একবার খুবই খারাপ ভাবে হেরেছে চীনের সাথে... আর চীনের শক্তি অনেক বেশি ভারত থেকে...
২১ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার বিশ্লেষণের জন্য। আমি দুইটা পয়েন্টেই আপনার সাথে সম্পূর্ণভাবে একমত। কিন্তু আমার প্রশ্নটা ছিল মূলত একটা শব্দের ব্যাপারে, সেই শব্দটা হল "কখনোই" অর্থাৎ কখনোই যুদ্ধে যাবেনা এই কথাটার উপর। বর্তমান বাস্তবতার প্রেক্ষিতে যুদ্ধে না যাওয়ার জন্য কারণ গুলির সাথে দ্বিমত করছি না। কিন্তু কখনোই যাবেনা, এইটা কেন ?
চীনের যুদ্ধ ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় প্রাচীন কাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অনেকগুলি যুদ্ধেই তারা অংশ নিয়েছে। ১৯৪৯ সালে মাও জেদং কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠার পর তারা ১৯৫০ সালে কোরিয়ান যুদ্ধ, ১৯৬২ সালে চীন-ইন্ডিয়া যুদ্ধ, ১৯৭৯ সালে চীন-ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নেয়। তার আগে ১৮২৯ থেকে ১৮৪২ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম ওপিয়াম যুদ্ধ, ১৮৫৬ থেকে ১৮৬০ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ, ফ্রান্স এবং ইন্ডিয়ার যৌথ বাহিনীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওপিয়াম যুদ্ধ, ১৮৯৫ সালে প্রথম চীন-জাপান যুদ্ধ ছাড়াও আরো অনেক যুদ্ধে চীন অংশ নেয়। শুধুমাত্র ব্যবসার কারণে যুদ্ধে যাবে না, তা মনে হয় পুরাপুরি ঠিক না। অনেক সময় ব্যবসার স্বার্থেই যুদ্ধে যেতে হয়।
৯| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০
চেংকু প্যাঁক বলেছেন: চিনের বিরুদ্ধে ভারতের মূল দুর্বলতাগুলি হলঃ
১। চরমভাবে বিদেশি হার্ডওয়্যার নির্ভর হওয়া, যুদ্ধ কালীন পরিস্থিতিতে যখন ক্ষয়ক্ষতি হতে থাকবে, সেটা পূরণের জন্য ভারতকে অন্যদেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে (এই চান্সে সবাই ব্যবসা করবে)। অন্যদিকে চিনের সেই সমস্যা তো নাইই উপরুন্ত আছে পৃথিবীর সেরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রডাকশন লাইন। একটা বিমান হারালে চীন দুইটা বিমান বানাবে, কিন্তু ভারত সেটা পারবে না।
২। শিলিগুরি করিডোরে স্ট্র্যাটেজিক ডেপথ না থাকা এবং ভালনারেবল কানেকটিভিটি।
৩। ভারতের লং রেন্জ মিজাইল গুলির ভয়াবহ এ্যাকুইরেসি সমস্যা, টার্গেটে আঘাত করতে না পারলে মিজাইল দিয়ে কি হবে? কয়েকদিন আগে ভারত চতুর্থ বারের মত একটা সাব সনিক ক্রুজ মিজাইলের ব্যর্থ পরীক্ষা করেছে। সমমানের বাবুর ক্রুজ মিজাইল পাকিস্তান সেই প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার করে আসছে। যেই ব্রাহামোজ ক্রুজ মিজাইল নিয়ে ভারত তাংফাং করে, সেটা আসলে রাশিয়ান প্রোডাক্ট
৪। বিমান বাহিনীর অতি নিম্মমানের ব্যবস্থাপনা (ভারতীয় বিমান বাহিনীর অনেক জংগি বিমানকে উড়ন্ত কফিন বলে ভারতীয় পাইলটরাই ঠাট্টা করে)। অধিকাংশ বিমান সোভিয়েত আমলের, অনেক আগে রিটায়ারমেন্ট এজ পার হয়ে গেছে, কোন রকমে জোড়াতালি দিয়ে এইগুলি চালানো হচ্ছে। কয়েকদিন আগে শুনলাম ভারতীয়রা মালয়েশিয়ার কাছ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড মিগ-২৯ বিমান কিনতেছে - এতই খারাপ অবস্থা।
৫। এছাড়াও কমান্ড কোঅর্ডিনেশনের আধুনিক ব্যাবস্থায় এদের অনেক ঘাটতি আছে, যা যুদ্ধ কালীন অবস্থায় বিপদ হয়ে দেখা দিবে।
৬। শীলিগুরি করিডোরের আশে পাশে ভারতের প্রতিবেশিরা অযাচীত দাদাগিরির কারনে চরম ভাবে বিরক্ত, এইটা চীনের জন্য প্লাস পয়েন্ট এবং ভারতের জন্য মাইনাস পয়েন্ট।
৭। মাওবাদি, উলফা ইত্যাদি গোষ্ঠির উপস্থিতি।
৮। চিনের হাই গ্রাউন্ড, উঁচু যায়গায় দাড়িয়ে যুদ্ধ করার সুবিধা চিনের পক্ষে থাকবে ভারতের থাকবে নিচু যায়গার দাড়িয়ে যুদ্ধ করার অসুবিধা।
৯। সর্বপরি ভারতীয়রা হল লো-কোয়ালিটি একটা জাতি, ৩০ বছর চেষ্টা করে একটা জংগি বিমান বানানোর পরে খোদ ভারতের বিমান এবং নৌ বাহিনী সেই বিমান রিজেক্ট করে দিয়েছে।
২১ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।পয়েন্ট বাই পয়েন্ট চমৎকার বিশ্লেষণ। তবে অতি সরলীকৃত।
১০| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এইযে আপনি নিশ্চিত হলেন, "চীন, ভারত, পাকিস্তান এরা কেউ কাউকে আক্রমণ করবে না"। এটা কিসের ভিত্তিতে হলেন। কারণগুলি ব্যাখ্যা করলে আমরাও নিশ্চিত হতে পারতাম।
দেখুন, এই তিনটি দেশই পারমানবিক শক্তিধর। সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হলে এবং সেই যুদ্ধে হেরে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিলে অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হবে। আর সে ক্ষেত্রে যুদ্ধরত দুইটি দেশই পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, এটা এই তিন দেশই খুব ভালো করে জানে। একই কারণে আমেরিকা, রাশিয়া, ইসরাইল এমনকি আধা পাগল উত্তর কোরিয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েনি। যুদ্ধবাজ আমেরিকা শুধু সেইসব দেশেই তাদের সৈন্য পাঠায়, যাদের হাতে পরমানু অস্ত্র নেই।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি টেনেছিল পরমানু অস্ত্র, আর এই পরমানু অস্ত্রই ঠেকিয়ে রেখেছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
আশা করি, আমি কী বলতে চেয়েছি সেটা বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।
২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ, যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা জন্য।
১৯৭১ সালে ইন্ডিয়া বা পাকিস্তান কারও হাতেই পারমাণবিক বোমা ছিল না। থাকলে হয়তো যুদ্ধ হতো না। শুধুশুধু হুমকি-ধমকি হতো।
চীন ১৯৬৪ সালে, ইন্ডিয়া ১৯৭৪ সালে এবং পাকিস্তান ১৯৯৮ সালে পারমাণবিক বোমার অধিকারী হয়।
যেহেতু পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রগুলি বহিরাক্রমণ থেকে নিরাপদ, তাই বাংলাদেশের জন্যও একটা চাই।
১১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৮
আব্দুর রহমান ৭১ বলেছেন: যুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদি হয়েও যায় কারো লাভ না হলেও ক্ষতিটা ভারতেরই হবে।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৪৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আমারও ধারণা যুদ্ধ হবে না।
ভিন্ন ভিন্ন কারণে উভয় দেশই পারত পক্ষে যুদ্ধে জড়িত হবে না।
আর যুদ্ধের ক্ষতি উভয় দেশেরই হবে, তবে চীনের অর্থনীতি খুবই মজবুত বলে চীন ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।
কিন্তু ইন্ডিয়ার ক্ষণভঙ্গুর অর্থনীতি ও দুর্বল রাজনৈতিক কাঠামো আরো ভেঙে পরবে। তারা ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে না।
১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:০১
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: চীনের সাথে ভারতের দ্বন্দ হবে না বরং করানো হবে। সেটা চীনা জাত বা ভারতীয়রা ইচ্ছা করুক আর না করুক। কারণ ওয়াল্ড এলিটরা এটা করাবে । আর এসব এলিট ২ দেশের সরকারকেই নিয়ন্ত্রন করে। যুদ্ধ হবে দু দেশ ধংস হবে সেখান থেকে এলিটরা আরো লাভবান ও শক্তিশালী হবে।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: ওয়ার্ল্ড এলিটরা চীন নিয়ন্ত্রণ করে না।
ইন্ডিয়া প্রযুক্তি ও কৌশলগত কারণে ওয়ার্ল্ড এলিটদের সাথে যোগাযোগ রাখে।
আবার ওয়ার্ল্ড এলিটরা কৌশলগত কারণে চীনের সাথে যোগাযোগ রাখে।
যুদ্ধ হলে দুই দেশেরই ক্ষয়ক্ষতি হবে এতে কোন সন্দেহ নাই।
ওয়ার্ল্ড এলিটরা কিছুটা লাভবান হবে এতেও কোন সন্দেহ নাই।
কিন্তু এই যুদ্ধ থেকে ওয়ার্ল্ড এলিটরা শক্তিশালী হবে না।
১৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:১১
আবু তালেব শেখ বলেছেন: Click This Link
১৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:২৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আপডেট
শুভ সংবাদ!
যুদ্ধ হচ্ছে না।
আজ ২৮ আগস্ট ইন্ডিয়া বিনা শর্তে ডোকলাম থেকে সৈন্য ও সরঞ্জাম সরিয়ে নিচ্ছে।
চীনা সৈন্যরা ঐ এলাকায় টহল শুরু করেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৩
নতুন বলেছেন: ভারত আর চীন কখনোই যুদ্ধে যাবেনা। এটা নিয়ে সময় নস্ট করার মানে হয়না।