নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
১। বাংলা সিনেমার সৎ লোক।
(ক) সৎ লোকেরা গরিব হবে;
(খ) তারা ভাঙ্গা বাড়িতে বাস করবে;
(গ) তারা তিন বেলা পেট ভরে খেতে পারবে না;
(ঘ) তাদের ছেলেমেয়েদের ভাল চাকরি হবে না ইত্যাদি।
এই সমস্ত দৃশ্য দেখার পর মানুষের মনে বিশেষ করে তরুণদের মনে সততা সম্পর্কে ভয় ঢুকে যায়। তাদের মনে এটা দৃঢ়মূল হয়ে যায়, সৎ ভাবে জীবনযাপন করলে তাদেরকে গরিব থাকতে হবে। তাই তারা কর্ম ক্ষেত্রে অসৎ পথ বেছে নেয়। কিন্তু বাস্তবে গরিব বা ধনী হওয়ার সাথে সততা বা অসততার কোন সম্পর্ক নাই।
২। বাংলা সিনেমার প্রেম।
(ক) ছেলেটা মেয়েটাকে পছন্দ করে কিন্তু মেয়েটা পাত্তা দিচ্ছেনা। এই ক্ষেত্রে মেয়েটাকে উত্যক্ত করতে হবে। যা ইভ টিজিং এর পর্যায়ে পরে;
(খ) মেয়েটার কাপড় ধরে, বা হাত ধরে বা চুল ধরে টান দিতে হবে। এটাও ইভ টিজিং এর পর্যায়ে পরে;
(গ) মেয়েটা কখনো কখনো বিরক্ত হয়ে নায়কের গালে চর মারবে বা জুতাপেটা করবে, তাতেও নায়কে দমলে চলবে না;
(ঘ) শেষ পর্যন্ত মেয়েটা ছেলেটার প্রতি দুর্বল হয়ে পরবে, তাদের প্রেম সফল হবে।
অনেক ছেলে প্রেম নিবেদনের বাংলা সিনেমার এই প্রক্রিয়াকে অনুসরণ করতে, ইভ টিজিং, এসিড নিক্ষেপ ও ধর্ষণের মাত্রা বেড়েছে।
৩। বাংলা সিনেমার স্ত্রী।
(ক) স্বামী কাজে যাওয়ার সময় চশমাটা, ছাতাটা, ব্যাগটা এগিয়ে দিবে;
(খ) স্বামীর জন্য রান্না-বান্না করে অপেক্ষা করতে থাকবে;
(গ) স্বামী কাজ থেকে ঘরে ফিরলে, স্বামীর হাত থেকে ছাতাটা, ব্যাগটা নিয়ে যাবে;
(ঘ) স্বামী খেতে বসলে কাছে বসে বাতাস করবে বা মাছের মাথাটা প্লেটে তুলে দিবে, ইত্যাদি।
একটা ছেলে বিয়ে করার আগে থেকেই এই দৃশ্যগুলি কল্পনা করতে থাকে। অনেক স্ত্রীই বাস্তবে সবগুলি না হলেও কিছু কিছু করেন। যখনই এর ব্যতিক্রম হয়, তখন সে চিন্তা করে তার স্ত্রী তাকে ভালোবাসে না, বা যথাযথ সম্মান দিচ্ছে না, বা যথাযথ যত্ন নিচ্ছে না, যা তার প্রাপ্য। ভুল ধারণার কারণে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে।
২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আসলে আপনার কথার অর্থ আমি বুঝতে পারিনি। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে, আপনি হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন, কোন একটা সামাজিক কারণে এই কাহিনীগুলি সিনেমাতে বানান হয়।
আমার কথাটা হল যে কারণেই হউক, এই অবাস্তব, কাল্পনিক কাহিনীগুলি আমাদের মনোজগতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে বাস্তব জীবনে অহেতুক অনেক ঝামেলা সৃষ্টি হয়।
২| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:১৮
মুচি বলেছেন: দুনিয়া পাল্টাইছে। এখন আর এমন কিছু চলে না। না বাংলা সিনেমা চলে, না এমন শিক্ষা বাঙালি লাভ করে। এখন ছড়ি নারীদের হাতে চলে যাচ্ছে।
২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৭
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: দুনিয়া পাল্টেছে, এই কথার সাথে আমি একমত। দুনিয়া প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে পাল্টাচ্ছে। আগে হয়তো নায়িকা শাড়ি পড়তো, এখন হয়তো জিনস পরে। কিন্তু সিনেমাতে এখনো আগের মতোই অবাস্তব সামাজিক দৃশ্য দেখানো হয়। ফলে একজন মানুষ যখন বাস্তবের মুখোমুখি হয় তখন সে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এখন ছড়ি নারীদের হাতে চলে যাচ্ছে, না নারী অধিক হরে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতিত হচ্ছে এটা এখানকার আলোচ্য বিষয় নয়। আমি তিনটা দৃশ্যের উদাহরণ দিয়েছি মাত্র। এই দৃশ্যগুলির সাথে বাস্তবতার মিল নাই। ফলে বাস্তব জীবনে অহেতুক সংকট শুরু হয়।
৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:৪৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বদলে গেছে দিন!
২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৩
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত, বদলে গেছে দিন!
দিন সবসময় বদলাতেই থাকবে, এটাই প্রকৃতির নিয়ম। দিন বদল নিয়ে আমার কোন দ্বিমত নাই। আমার ছোট্ট একটু কথা এই যে, বাংলা সিনেমা আমাদের মনোজগতকে নষ্ট করে দিয়েছে এবং দিচ্ছে। আমি মাত্র তিনটা উদাহরণ দিয়েছি, কি ভাবে আমাদের মনোজগতে বাংলা সিনেমা অবাস্তব ধারণা ঠুকিয়ে দেয়।
৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: কথা গুলো তো সত্য বলেছেন।
২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার আশা করবো বাংলা সিনেমার নির্মাতারা এমন ছবি বানাবেন, যাতে বিনোদনের পাশাপাশি মানুষ বাস্তব ও পজিটিভ ধারণা নিয়ে সুষ্ঠু জীবন যাপন করতে পারে।
৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭
নাবিক সিনবাদ বলেছেন:
৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:১৩
শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: বাংলা সিনেমার অন্ধকারাছন্নতা ও চরম সর্বনাশা গোড়ামীগুলো- পিছিয়ে পড়া ও ভূতে ধরা দর্শকদের ও তাদের পরবর্তি কপিদেরকে কোলহাবলা হতে যথেষ্ট মনোবল যুগিয়েছে। এসব আবল তাবল দেখে তারা স্বপ্ন দেখে ও কারো স্বপ্নে বিশ্বাসী হয়ে উঠে। হাস্যকর ব্যাপার হলেও,এরা একজন স্বপ্ন দেখে কোন কথা,নাটক ও গল্প তৈরী করলে সেটা অন্যদের বিশ্বাস করতে মনে তৃপ্তি লাগে। আর সেই বিশ্বাসে এরা একজন জীবিত মানুষকেও কোরবানী করতে পিছপা হয়না। এখানে চিত্রে এমন কিছু দেখানোর প্রয়জন,যেন মানুষ অলৌকিকতা ত্যাগ করে যুক্তিতে আলোয় বেরিয়ে আসে। সেখানে যদি তার উল্টো কর্ম চলে! আমার মনে হয় এখানে কেউ যদি অভিনয় করে বলে যে,ঈশ্বর আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছে-আমি সর্গে যাব এবং যারা যারা আমার সাথে মেয়ে বিয়ে দেবে তাদের চোদ্দগুষ্টিও আমার সাথে সর্গে যেতে পারবে। তাহলে হয়ত সকলেই তার হাতে মেয়েকে তুলে দিতে প্রস্তুত হয়ে পড়বে।
প্রত্যেক চিত্রের কাজ হচ্ছে মানুষকে কল্পনার রাজ্য,অপরাধ ও অন্ধকার থেকে বের করে সত্য,ন্যায় ও বাস্তবে যেটা করা বা চলা উচিত সেই শিক্ষাই দেওয়া। অথচ বাংলা চিত্র যেমন আজবুঝ ও স্বপ্নে বিশ্বাসী তৈরী করছে,হিন্দি মাতালেরা কিভাবে মদ খেয়ে উল্টোপাল্টা করে চরম ইয়ারকি,ব্যায়াম ও নাচানাচি শেখাচ্ছে। তেমনি ইংরেজ চিত্র,গেমস,উদ্ভট ও ধংশ দেখিয়ে বদ্ধ পাগলে পরিনত করছে। আর এসব যারা ছোট্টবেলা থেকে দেখছে বা বড়মানুষ যারা এসব সাত সতের না বুঝে দেখছে। এভাবে দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে তাদের আত্নাও একরকম নেষার মত তৃপ্তি পাচ্ছে। অর্থাত চলচিত্র মানুষের আফিমের নেষার মত সব চ্যনেলেই বা চিত্রে বিষ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ফলে ব্যাবসাও চলছে,নীতি বাক্যও চলছে,প্রার্থনাও চলছে। অর্থাত জ্ঞান বেড়ে গিয়ে মল-সাত জায়গায় লাগানোর মত হচ্ছে বৈ কি।
২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: সিনেমাতে সামাজিক সম্পর্কগুলিকে অবাস্তবভাবে চিত্রায়িত করা হয়। মানুষের মনে এই দৃশ্যগুলি গেঁথে যায়।
৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪
প্রোলার্ড বলেছেন: ১. যেসব কৃষক শ্রমিক জনতা যুদ্ধের সময় অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধ করেছিল তাদের চেয়ে যারা সীমানা টপকে পার্কস্ট্রীটে গিয়েছিল তারা ভালই মৌজমাস্তিতে ছিল এবং আছে।
২. শাহরুখ যখন এসেছিল তখন স্টেজে তার কাছে চুমু খেয়ে বাংলাদেশী একজন মেয়ে ধন্য হয়েছিল । এটা পাড়ার কোন রোমিও যদি করতো ? নায়ক বলে কথা !
৩. স্বামী স্ত্রীর জন্য যে ব্যয় করে সেটার বিনিময়ে এরকম সেবা সে ডিজার্ব করে । যে যেরকম কামনা করবে তাকে সেরকম বা সেইটার সমতুল্য দেবার ক্ষমতা বা নিদেনপক্ষে মানসিকতা থাকা চাই।
২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩২
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আপনার ১ ও ২ নম্বর পয়েন্ট এখানে প্রাসঙ্গিক নয়, তাই পরে অন্য পোস্টে আলোচনা করা যাবে। ৩ নম্বর পয়েন্ট সম্পর্কে বলব, এই মানসিকতাই এসেছে বাংলা সিনেমা থেকে।
৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ
সিনেমাই সব কন্ট্রোল করে?
২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: উত্তর হচ্ছে, না সিনেমা সব কন্ট্রোল করে না। একটা সুনির্মিত সিনেমার শক্তি, ক্ষমতা, ও প্রভাব অনেক ব্যাপক। বিশেষ করে তরুণদের মনের উপর প্রচণ্ড প্রভাব বিস্তার করে। গল্প উপন্যাস পড়তে নূন্যতম লেখাপড়া জানতে হয়। আবার একটু ভালোভাবে বোঝার জন্য আরো উচ্চতর পড়াশোনার প্রয়োজন হয়। সিনেমার টেকনিক্যাল দিক না বুঝলেও, কাহিনী যেকোনো স্তরের মানুষেই বুঝতে পারে। মনের উপর প্রভাব বিস্তার করে বলেই মানুষ সিনেমা দেখে কাঁদে হাঁসে।
৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২০
চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: সিনেমার কাহিনী তো সমাজের চারপাশ থেকে সংগৃহীত হ্য়।
২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: সিনেমার কাহিনী সমাজের চারপাশ থেকে সংগৃহীত হওয়া উচিত, এবং হলে ভাল হতো।
১০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪৪
:) :) :) :) :) বলেছেন: ৩ নম্বরটা সিনেমা থেকে সমাজে নয়, সমাজ থেকে সিনেমায় গেছে। আপনার ৩ নম্বর পর্যবেক্ষণ সঠিক না।
২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪৩
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আমার পর্যবেক্ষণ হয়তোবা সঠিক নয়। কিন্তু আপনি কিসের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে বলছেন যে আমার পর্যবেক্ষণ সঠিক না।
১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:০২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সামাজিক অবস্থাভেদে ঐসব দৃশ্য তৈরী করা হয়।। আবার যখন সমাজটা প্রকটভাবে পাল্টে যাবে তখন আবার ইতিহাস নূতন করে লেখা হবে।।