নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
লেখকের মৃত্যু
গল্পের বই পড়তে পড়তে আবুল হোসেনের লেখতে ইচ্ছা করে।
অনেক আইডিয়া, গল্পের প্লট মাথায় ঘোরাফেরা করে।
অবশেষে মাঝারি আকারের একটা উপন্যাস সে লিখে ফেলে।
উপন্যাসটা ছাপানোর জন্য অনেক ঘোরাঘুরি করেও ছাপাতে না পেরে, দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর মত ইন্টারনেটে একটা বাংলা ব্লগে তার লেখাটা পোষ্ট করে দেয়।
আবুল হোসেন আশা করে ছিল, তার লেখা ব্লগে প্রকাশিত হওয়ার পর পাঠকদের ভাল লাগবে।
অনেকেই তার লেখা পড়বে, আবার অনেকেই অনুরোধ করবে আরো লেখার জন্য। আবার কেউ কেউ যে সমালোচনা করবে, এটাও স্বাভাবিক।
ব্লগে লেখাটা প্রকাশিত হওয়ার পর আবুল হোসেনের বেশ খুশি খুশি লাগছে।
কতজন তার লেখা পড়েছে? কি মন্তব্য করেছে? জানার জন্য বেশ অস্থির অস্থির লাগছিলো।
ঘণ্টাখানিক পরে আবুল হোসেন দেখে, তার লেখার নিচে লেখা '১ বার পঠিত', '০ টি মন্তব্য' ।
অস্থির অস্থির লাগছে, অনেকক্ষণ কেটে গেছে, এখন কি অবস্থা?
'২ বার পঠিত', '০ টি মন্তব্য' ।
পরের দিন আবুল হোসেন লগইন করে দেখে, '৪ বার পঠিত', '১ টি মন্তব্য' ।
মন্তব্যের ঘরে লেখা, "আবাল"।
লেখক হিসাবে বেঁচে থাকার আশায় আবুল হোসেন ব্লগের বারান্দায় আরো কিছুদিন ঘোরাফেরা করে।
কিন্তু '৪ বার পঠিত', '১ টি মন্তব্য' আর "আবাল" এই ক্ষত দূর না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত লেখকের মৃত্যু ঘটে।
২৭ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: বনফুলের (বলাই চাঁদ মুখোপাধ্যায়) একটা গল্প আছে, "পাঠকের মৃত্যু"।
পাঠকের যেমন মৃত্যু হয়, তেমনি লেখকেরও মৃত্যু হয়।
২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৭
আহা রুবন বলেছেন: চারপাশের অস্মঞ্জস্য দেখে লেখক যখন পিড়িত বোধ করেন মনের মধ্যে তার কিছু কথা এসে উঁকি-ঝুঁকি দে্য়। এটি তার ঘারে বোঝার মত চেপে বসে। ভার মুক্ত হতে সে তখন লেখার কলম হাতে তুলে নেয়। এবং লেখা শেষ করা মাত্রই সে তৃপ্ত বোধ করে। 'এটাই লেখেকের পা্ওয়া। যারা নিজের তৃপ্তি বাদ দিয়ে কেবল পাঠকের শংসার কাঙ্গাল হয় তারা আসলে লেখক নয়।
২৭ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: লেখা যদি শুধুমাত্র লেখকের তৃপ্তির জন্যই হতো, তা হলে লেখা প্রকাশ করার প্রয়োজন হতো না।
নিজের খাতায় লিখে বা কম্পিউটারে টাইপ করে রেখে দিলেই হতো।
যেকোনো লেখা, লেখাই হয় পাঠকের উদ্দেশ্য।
আবুল হোসেন কিন্তু শুধুমাত্র প্রশংসার কাঙ্গাল ছিলোনা।
সে আশা করে ছিল, "আবার কেউ কেউ যে সমালোচনা করবে, এটাও স্বাভাবিক।"
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৬
আহা রুবন বলেছেন: অবশ্যই লেখা প্রকাশের উদ্দেশ্য থাকে পাঠক। কিন্তু আমি বোঝাতে চেয়েছি যারা শুধুই পাঠকের কথা বিবেচনায় নেই তাদের। এজন্য নিজের তৃপ্তি বাদ দিয়ে কেবল পাঠকের শংসার কাঙ্গাল হয় তারা আসলে লেখক নয়। কেবল শব্দটি যোগ করেছি। কেবল না থাকলে আপনি যেমনটি বলেছেন, আমার বক্তব্যটি সেটাই প্রকাশ করত। ধন্যবাদ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ, সুচিন্তিত মতামতের জন্য।
আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রশংসা বা সমালোচনার দ্বারা প্রভাবিত হই না। আমার যা লেখার তা লিখছি।
তবে এটা ঠিক, প্রশংসা করলে ভাল লাগে, অযৌক্তিক সমালোচনা করলে খারাপ লাগে।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৪
সুমন কর বলেছেন: হাহাহা.....
২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: হাহাহা.....
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৬
সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই.... লেখকের মৃত্যু অনেকভাবেই হতে পারে তবে ব্লগিং জগতে সবচেয়ে বড় কারন পাঠক শূন্যতা বা বিরুপ মন্তব্য। এ ধরনের উপেক্ষা লেখকদের জন্য সত্যিই কঠিন.....
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৫২
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: লেখকদের হতে হবে তার লেখার প্রধান বিচারক। একজন লেখক তার জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেক দ্বারা বিচার করে যখন এই সিদ্ধান্তে আসবেন যে, তার লেখাটি পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা উচিত তখনই তা প্রকাশ করবেন। লেখাটি পড়ার পর প্রত্যেক পাঠক তার নিজস্ব জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেক দ্বারা বিচার করবে। লেখকের নিজের উপর বিশ্বাস থাকতে হবে। পাঠক যদি ভাল বলে তাহলে লেখকের ভাল লাগতে পারে, কিন্তু পাঠক যদি বিরূপ মন্তব্য করে তাতে লেখকের খারাপ লাগার কিছু নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৫
তপোবণ বলেছেন: মর্মাহত হলাম। সময়ের বাস্তব পোস্ট। কিছু লোক থাকেই অযাচিত ভাবে মানুষের মনোকষ্টের কারণ হয়ে থাকে। ক'দিন আগেও দেখলাম এক ভাই লিখছেন, কিন্তু মন্তব্য নিচ্ছেন না।