নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা-২১

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

১১শ সংশোধনী
কোন রাজ্যের নাগরিক বা বিদেশী কোন নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের কোন রাজ্যের বিরুদ্ধে আইন বা ইকুইটি অনুসারে কোন মামলা করলে যুক্তরাষ্ট্রে কোন বিচারবিভাগীয় ক্ষমতা থাকবে না সেই মামলার বিচার করার।

ভাষ্য
সংবিধানের ১১শ সংশোধনী ১৭৯৪ সালের ৪ মার্চ কংগ্রেসে পাস হয়, আর ১৭৯৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তা অনুমোদিত হয়।
এই সংশোধনী পাস হওয়ার আগে অনুচ্ছেদ ৩ এর ধারা ২ অনুসারে কোন এক রাজ্যের নাগরিক বা বিদেশী কোন নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারত। চিসহোল্ম বনাম জর্জিয়া মামলায় ১৭৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, যে কোন রাজ্যের নাগরিক বা বিদেশী কোন নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে। এই রায়ের ফলে ফেডারেল পন্থীরা মনে করে এতে ফেডারেল সরকারের ক্ষমতা রাজ্য সরকারগুলি উপর অনেক বেড়ে যাবে। আর এতে ফেডারেল পদ্ধতি সরকারের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর পরই সংবিধানের ১১শ সংশোধনী পাস করে এই ধরণের মামলার ক্ষমতা রোহিত করা হয়।

১২শ সংশোধনী
নির্বাচকমণ্ডলী তাদের স্বস্ব রাজ্যে মিলিত হবেন এবং প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্টের জন্য ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করবেন, তারা একই রাজ্যের বাসিন্দা হতে পারবেন না; তারা যাকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে ভোট দিচ্ছেন তার নাম ব্যালট পেপারে উল্লেখ করবেন, এবং স্বতন্ত্র একটা ব্যালট পেপারে ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে ভোট প্রদান করবেন; এবং তারা ভোটারদের স্বতন্ত্র তালিকা প্রস্তুত করবেন যারা প্রেসিডেন্ট পদে ভোট দিয়েছেন এবং যারা ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে ভোট দিয়েছেন, এবং প্রত্যেকের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা উল্লেখ করবেন, তারা ওই তালিকাসমূহে স্বাক্ষর করবেন ও প্রত্যায়ন করবেন, সিল করে সিনেটের প্রেসিডেন্ট বরাবরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে পাঠাবে; -- সিনেটের প্রেসিডেন্ট সিনেটর ও হাউস রিপ্রেসেন্টেটিভদের উপস্থিতিতে প্রত্যায়ন পত্রগুলি খুলবেন এবং ভোটগুলি গণনা করবেন; -- যিনি প্রেসিডেন্ট পদে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পাবেন তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন; এবং যদি কোন ব্যক্তিই সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট না পায় তা হলে হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভ তাৎক্ষণিক ভাবে প্রেসিডেন্ট পদে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া লোকদের মধ্যে যা তিন জনের বেশি হতে পারবে না, ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে। এই ভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজ্য অনুসারে ভোট গ্রহণ করা হবে, প্রতি রাজ্যের একটা করে ভোট; এই ক্ষেত্রে দুই তৃতীয়াংশ রাজ্যের উপস্থিতিতে কোরাম হবে, এবং এই ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যের ভোটের প্রয়োজন হবে। এবং হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভস যদি এই ক্ষেত্রে মার্চ মাসের চতুর্থ দিনের পূর্বে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে না পারে, তা হলে পরবর্তী দিন থেকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট, প্রেসিডেন্ট হিসাবে কাজ করবেন যেমন ভাবে প্রেসিডেন্টের মৃত্যু বা অন্যান্য সাংবিধানিক অযোগ্যতার কারণে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে যিনি সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনি ভাইস-প্রেসিডেন্ট হবেন, যদি এই সংখ্যা নিযুক্ত ভোটারদের মোট সংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়, এবং যদি কোন ব্যক্তিই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না পায়, তাহলে সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত দুই জনের মধ্যে সিনেট ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে, এই ক্ষেত্রে মোট সিনেটরদের দুই তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম হবে, এবং নির্বাচিত হতে হলে মোট সদস্য সংখ্যার সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রয়োজন হবে। কিন্তু কোন ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য অযোগ্য না হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে যোগ্য হবেন।

ভাষ্য
সংবিধানের ১২শ সংশোধনী ১৮০৩ সালের ৯ ডিসেম্বর কংগ্রেসে পাস হয়, আর ১৮০৪ সালের ১৫ জুন তা অনুমোদিত হয়।
সংবিধানের ১২ তম সংশোধনীর মাধ্যমে অনুচ্ছেদ ২ এর ধারা ১ এর ৩ নং দফাটি সম্পূর্ণভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ১৮০০ সালে থমাস জেফারসনের নির্বাচনের সময় উভয় প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পেলে সাংবিধানিক সংকট দেখা দেয়। এরপর সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অনেকগুলি বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.