নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
১৩শ সংশোধনী
ধারা ১। অপরাধের জন্য যথাযথ ভাবে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসাবে সাজা ব্যতীত যুক্তরাষ্ট্রে বা তাদের আওতাধীন কোন স্থানে দাসপ্রথা বা অনৈচ্ছিক চুক্তিভিত্তিক চাকরির প্রথা থাকতে পারবে না।
ধারা ২। এই সংশোধনীকে বলবত করার জন্য কংগ্রেসের আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা থাকবে।
ভাষ্য
সংবিধানের ১৩শ সংশোধনী ১৮৬৫ সালের ৩১ জানুয়ারি কংগ্রেসে পাস হয়, আর ১৮৬৫ সালের ৬ ডিসেম্বর তা অনুমোদিত হয়।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে এবং এর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাগুলিতে দাসপ্রথা বিলুপ্ত করা হয়।
১৪শ সংশোধনী
ধারা ১। যুক্তরাষ্ট্রে এবং এর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাতে যারা জন্মগ্রহণ করেছে বা ন্যাচারাইজড হয়েছে তারা যুক্তরাষ্ট্রের এবং যে রাজ্যে তারা বাস করে সেই রাজ্যের নাগরিক। কোন রাজ্য যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের অধিকার বা দায়মুক্তিকে রোহিত করে কোন আইন প্রণয়ন বা বলবত করতে পারবে না; অথবা আইনের যথাযথ প্রয়োগ ছাড়া কোন ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, বা সম্পত্তির অধিকার বঞ্চিত করতে পারবে না; অথবা কোন ব্যক্তির আইনের আশ্রয় লাভ করার সমান অধিকারকে অস্বীকার করতে পারবে না।
ভাষ্য
সংবিধানের ১৪শ সংশোধনী ১৮৬৬ সালের ১৩ জুন কংগ্রেসে পাস হয়, আর ১৮৬৮ সালের ৯ জুলাই তা অনুমোদিত হয়।
এই ধারায় চারটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বর্ণনা করা হয়েছে --
(১) যারা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করবে তারা নিশ্চিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। অর্থাৎ জন্মসূত্রে আমেরিকান নাগরিক।
(২) কোন রাজ্য তার এলাকায় বসবাসকারী কোন ব্যক্তির যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার অধিকারকে কেড়ে নিতে পারবে না। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত কোন রাজ্যের বসবাসরত নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে গণ্য হবে।
(৩) প্রতিটা নাগরিককে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।
(৪) প্রতিটা নাগরিককে একই ধরণের আইনের সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে।
ধারা ২। প্রতিনিধিগণ রাজ্যগুলির মধ্যে নিজ নিজ সংখ্যার হিসাবে বিভাজিত হবেন, যেসব ইন্ডিয়ান কর দেয় না, তাদের বাদ দিয়ে প্রত্যেক রাজ্যের মোট জনসংখ্যা গণতে হবে। কিন্তু যখন ওই রাজ্যের কোন পুরুষ অধিবাসীর যার বয়স একুশ বছর, এবং যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক বা কোন কারণে অধিকার খর্ব করা হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহে অংশ নেয়ার জন্য বা অন্য কোন অপরাধে অংশ নেয়ার কারণ ব্যতীত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ইলেক্টর্স, কংগ্রেসের প্রতিনিধি, রাজ্যের নির্বাহী এবং বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, বা তাদের বিধানসভার সদস্য নির্বচনের ভোট দেয়ার অধিকার অস্বীকার করা হবে, তখন আনুপাতিক হরে প্রতিনিধিত্বের ভিত্তি কমান হবে, সেই ক্ষেত্রে ওই রাজ্যের একুশ বছর বয়সের পুরুষ নাগরিকদের সংখ্যা মোট সংখ্যা হিসাবে গণ্য হবে।
ভাষ্য
এই ধারার দ্বারা মূল সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১ ধারা ২ দফা ৩ কে সম্পূর্ণভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। দাসপ্রথা বাতিলের পর ১৩শ এবং ১৪শ সংশোধনীর মাধ্যমে ২১ বছর বয়সী সকল পুরুষকে ভোটাধিকার প্রদান করা হয়। পরে আবারো সংবিধান সংশোধন করে মহিলাদের ভোটাধিকার প্রদান করা হয় এবং ভোটারের বয়স ১৮ বছরে কমানো হয়।
©somewhere in net ltd.