নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধান বিচারপতির সাথে আসলেই কি সরকারের দ্বন্দ্ব আছে? (প্রথম পর্ব)

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩২

প্রধান বিচারপতির সাথে সরকারের কোন দ্বন্দ্ব নাই।
১। যে রায় নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের খেলা চলছে সেই রায় সম্পর্কে কিছু তথ্য :
(ক) প্রধান বিচারপতি সহ সাতজন বিচারপতি সর্বসম্মত ভাবে এই রায় দিয়েছেন; প্রধান বিচারপতির রায়টি ৩৯৫ পৃষ্ঠা;
(খ) বিচারপতিরা হলেন, সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহ্হাব মিয়া, বিচারপতি নাজমুন আর সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মুহাম্মদ ইমমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দার;
(গ) বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহ্হাব মিয়া তার রায়ে লিখেছেন যে তিনি সর্বসম্মত রায়ের সাথে সম্পূর্ণ একমত; এরপর তিনি ১২৭ পৃষ্ঠা নিজের অভিমত দিয়েছেন;
(ঘ) বিচারপতি নাজমুন আর সুলতানা এক লাইন বলে দিয়েছেন তিনি প্রধান বিচারপতির রায়ের সাথে একমত;
(ঙ) বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সর্বসম্মত রায়ের সাথে একমত হওয়ার পর ৩৫ পৃষ্ঠা তার নিজের মত লিখেছেন;
(চ) বিচারপতি মুহাম্মদ ইমমান আলী সর্বসম্মত রায়ের সাথে একমত হওয়ার পর ৫৯ পৃষ্ঠা তার নিজের মত লিখেছেন;
(ছ) বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সর্বসম্মত রায়ের সাথে একমত হওয়ার পর ১৪২ পৃষ্ঠা তার নিজের মত লিখেছেন;
(জ) বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দার সর্বসম্মত রায়ের সাথে একমত হওয়ার পর ৪০ পৃষ্ঠা তার নিজের মত লিখেছেন।

২। সরকারের সাথে দ্বন্দ্ব-সংঘাত শুরু হলে তো গুটা আপিলেট ডিভিশনের সাথেই শুরু হওয়ার কথা। প্রধান বিচারপতির অভিমতের সাথে ভিন্নমত পোষণ করার অধিকার বাকী ছয় জন বিচারপতিরই আছে। কেউই তো প্রধান বিচারপতির সাথে ভিন্নমত পোষণ করলেন না। বরং আরো অনেক কথাই যোগ করে দিলেন।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০০

মানিজার বলেছেন: হেরা কি মত লিকছে কওয়া যায় না ?

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: এই রায়ে বাকী ছয় জন বিচারপতি প্রধান বিচারপতির সাথে সম্পূর্ণ একমতে হয়েছেন। রায় প্রদানের ক্ষেত্রে প্রত্যেক বিচারপতি স্বাধীন। একটা বেঞ্চে একাধিক বিচারপতি বসার অর্থই হল, তারা কোন বিষয়ে একমত হতে পারেন অথবা ভিন্ন ভিন্ন মত দিতে পারেন। আপীলেট ডিভিশনে সবসময় বেজোড় সংখ্যক বিচারপতি থাকেন। কারণ বিভক্ত রায় যাতে সমান সংখ্যক না হয়ে যায়। যদি রায় বিভক্ত হয় সে ক্ষেত্রে সংখ্যা গরিষ্ঠ মত রায় হিসাবে গণ্য হবে। এই রায়ের ক্ষেত্রে ৭জন বিচারপতি ছিলেন। প্রধান বিচারপতি সরকারের বিপক্ষে মত দিলেন, বাকী ছয়জন সরকারের পক্ষে মত দিলে ১-৬ মতে সরকারের পক্ষে রায় চলে যেত।

এখন দায়ী কি শুধু প্রধান বিচারপতি? তা হলে আপিলেট ডিভিশনের সব বিচারপতির বিরুদ্ধে আন্দোলন না করে শুধু প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে কেন?

চিন্তা করেন খেলাটা কোথায়?

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিচার বিভাগকে যেভাবে হেয় করার চেস্টা করছে সরকার তার ফল রাষ্ট্রকেই ভুগতে হবে।

আইন, বিচার, প্রশাসন তিনটাই গুরুত্বপূর্ন স্তম্ভ! তাদের অন্যতম টাকেই যদি দেশী ষ্টাইলে হুমকি ধমকি আর
যা খুশী তাই বলার চর্চা শেখানো হয়- বাকী রইল কি?
লাঠিয়ালদের মতো মাঠে নামাটাই!

কোন পথে দেশকে নিয়ে যাচ্ছে অনির্বচিত সরকার!!!!!

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আপনার প্রশ্নের জবাব --
১। বিচার বিভাগকে হেয় করার ফল যদি রাষ্ট্রকেই ভুগতে হয়, তা হলে প্রধানমন্ত্রী বা আওয়ামী লীগের কি অসুবিধা ?
২। লাঠিয়ালদের মতো মাঠে নামাটা কি বাকি আছে ?
৩। অনির্বাচিত সরকার দেশকে নির্ধারিত পথেই নিয়ে যাচ্ছে।
নির্ধারিত পথ কি ?
আমরা জানি না নির্ধারিত পথ কি।
অনির্বাচিত সরকার জানে নির্ধারিত পথ।
যেহেতু আমরা জানি না, কিন্তু তারা জানে, তাই আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে। তাদের মনে কোন প্রশ্ন নাই।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

মির্জা রাসেল বলেছেন: আমরাও একমত। তবে আনন্দের কি আছে। আজ পথম আলোর সম্পাদকিয় পাতায় আ মকসুদের কলামটা বেশ লেগেছে। যদিও পাকিদের কথা বলাটা ঠিক হয় নাই। ডন এর সম্পাদকিয়তে ঐ ঘটনাকে judicial coup হিসেবে উল্লেখ করেছে। আর অতীতে এত কথা কোন বিচারপতি মিডিয়াতে বলেছেন বলে তো মনে হয় না। যাক, উনার কিছু কিছু কথার সাথে একমত হওয়া যায় না। অতিরিক্ত অনেক কিছুই রায়ে আছে, এটাও কেমন যেন হয়ে গেল। মনে রাখতে হবে এটা পাকিস্তান না।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৪১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: ১। "আমরাও একমত" বলতে কাদের কে বোঝাচ্ছেন ?
২। আমার লেখার মধ্যে কোন আনন্দ প্রকাশ করেছি বলে আমার মনে হয় না। আমি ঘটনাটাকে বুঝার জন্য বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছি।
৩। আবুল মকসুদ বা ডন বা আমি, যার যার মতো করে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছি। এই বিশ্লেষণ গুলি কিছুটা তথ্য ভিত্তিক কিছুটা ধারণা বা অনুমান ভিত্তিক। রাজনীতিতে সবটুকু সত্য সবাই জানতে পারে না।
৪। বিচারপতি খায়রুল হক, বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক এর চাইতেও বেশি কথা বলেছেন। ওই গুলি ছিল আওয়ামীলীগে পক্ষে, অন্য দলের বিপক্ষে।
৫। "উনার কিছু কিছু কথার সাথে একমত হওয়া যায় না" এই ব্যাপারে আমি আপনার সাথে একমত।
৬। "মনে রাখতে হবে এটা পাকিস্তান না" এই কতগুলি আসলে অবান্তর। কেন না এটাই স্বাভাবিক, বাংলাদেশ যেমন পাকিস্তান না, তেমনি পাকিস্তান ইন্ডিয়া না; আবার ইন্ডিয়া চীন না, চীন জাপান না, ইত্যাদি। প্রতিটা দেশ আলাদা।

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:১২

মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: চিন্তা করেন খেলাটা কোথায়? একটু খোলসা করে দেন।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৪৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: খেলাটা সহজেই বোঝা যাবে না। আমি আরো কয়েকটা পর্ব লিখব। অপেক্ষা করেন। ইতিমধ্যে খেলার পক্ষগুলিও কিছুটা পরিষ্কার করবে।

৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:২৮

সোহানী বলেছেন: খেলাটা হিসেব খুব সহজ। প্রধান বিচারপতি থেকে সকলেই হবে আজ্ঞাবহ দাস, এর এক চুল এদিক সেদিক হলেই কাপড় ধরে টান...... সকল চামচারা কোমড়ে গামছা বেধেঁ মাঠে নামে।

হবু রাজার দেশে এর চেয়ে বেশী কিছু অাশা করা বোকামী........ হায়রে দেশ..............

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: খেলাটার হিসাব এত সহজ না। আমাদের সংবিধানই সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর আজ্ঞাবহ দাস বানিয়েছে।
সংবিধানের ৪৮। (১) অনুচ্ছেদে আছে
"বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতি থাকিবেন, যিনি আইন অনুযায়ী সংসদ-সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন।"
সংসদ নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী যা কে দাঁড় করবেন তার দলীয় সংসদ-সদস্যগণ তাকেই ভোট দিতে বাধ্য।
তিনি কাকে দাঁড় করাবেন ?
যিনি তার সবচাইতে অনুগত ও বাধ্য। এই ব্যক্তি কোন দিন তার সামনে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।

আরো তামাশা দেখেন --
সংবিধানের ৪৮। (১) অনুচ্ছেদে আছে (৩)
"এই সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুসারে কেবল প্রধানমন্ত্রী ও ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত রাষ্ট্রপতি তাঁহার অন্য সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করিবেন:"
তামাশা ১। প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিবেন না। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে তিনি বাধ্য [অনুচ্ছেদ ৫৬ (৩)]
তামাশা ২। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিবেন না। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ফাইল আসে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে। অনুচ্ছেদে ৫৫ অনুসারে মন্ত্রীসভা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন।

৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:১৫

কলাবাগান১ বলেছেন: "হবু রাজার দেশে এর চেয়ে বেশী কিছু অাশা করা বোকামী.."
হবু রাজার দেশে সরকারের মন্ত্রীর মেয়ের জামাই (সেনা বাহিনীর লোক) ফাসির রায় হাইকোর্টে বহাল থাকে
আর গবু রাজার দেশে গ্রেনেড মেরে ৩০ জনকে হত্যা করার পর ও জর্জ মিয়াকে হাজির করে।

আর এই সমস্ত গবু রাজার জন্য তালিয়া বাজানো ব্লগার রা জর্জ মিয়া কে দেখে ও কোন দিন বলে নাই
"হায়রে দেশ.........."

বলবে কেন তখন তো রাজাকার রা ক্ষমতায় ছিল যেটা এরা আবার চায়.....

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: এই মন্তব্যটা যেহেতু সোহানীর মন্তব্যের জবাব, তাই আমি বিরত থাকলাম। সোহানী আশা করি এর জবাব দিবেন।

৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: এগুলো সবই হল প্রধান বিচারপতিকে 'নিরপেক্ষ' বানানোর প্রচেষ্টা। এর ফলে একদিন তিনি বাংলাদেশের 'মহামান্য রাষ্ট্রপতি' পদে অধিষ্ঠিত হবার সুযোগ পাবেন। তাকে নিয়ে ভারতের খায়েশও এভাবে পূরণ হবে।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: রাজনৈতিক চাল সাধারণত বহুমাত্রিক হয়। এটা একটা কারণ হতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.