নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধান বিচারপতির সাথে আসলেই কি সরকারের দ্বন্দ্ব আছে? (দ্বিতীয় পর্ব)

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫

৩। একমাত্র বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ছাড়া বাকি পাঁচ জনই প্রধান বিচারপতির মতামতের সাথে একমত। এখানে আরো পরিষ্কার করে দেই, ১৬শ সংশোধনী বাতিলের ব্যাপারে ৭ জন বিচারপতিই সর্বসম্মত মত দিয়েছেন। শুধুমাত্র পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ভিন্ন মত দিয়েছেন।

৪। বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহ্হাব মিয়া তার রায়ে লিখেছেন, "I felt rather allured to give my own reasoning agreeing with the unanimous decision that the appeal be dismissed with observations and expunction." (পৃষ্ঠা ৩৯৬) [অনুবাদ:- পর্যবেক্ষণ সহ আপিলটি খারিজ হওয়ার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের সাথে একমত হয়ে আমি আমার যুক্তি প্রদর্শন প্রলুব্ধ হচ্ছি।]
অর্থাৎ বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহ্হাব মিয়া শুধুমাত্র প্রধান বিচারপতির মতের সাথে একমতই হননি, তিনি আরো নিজস্ব যুক্তি দিয়ে প্রধান বিচারপতির মতামতকে আরো জোরালো করেছেন।

৫। বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তার রায় কোথাও প্রধান বিচারপতি বা অন্যকোনো বিচারপতির সাথে দ্বিমত পোষণ করেন নি। (পৃষ্ঠা ৫২৩-৫৫৮) নতুন কোন মন্তব্য না করলেও, বিভিন্ন দেশের সংবিধান নিয়ে আলোচনা করে, উপসংহারে বলেছেন ১৬শ সংশোধনী সংবিধান সম্মত নয়। তিনি পরিষ্কার ভাবে বলেননি তিনি কি প্রধান বিচারপতির মতামতকে সমর্থন করেন, না কি ভিন্নমত পোষণ করেন। যেহেতু ভবিষ্যতে প্রধান বিচারপতি হওয়ার সম্ভবতা আছে তাই সড়কের মাঝখান দিয়ে হাঁটছেন।

৬। বিচারপতি মুহাম্মদ ইমমান আলীও তার রায় কোথাও প্রধান বিচারপতি বা অন্যকোনো বিচারপতির সাথে দ্বিমত পোষণ করেন নি। (পৃষ্ঠা ৫৫৮-৬১৭) তিনি তার স্বভাবসুলভ ভাবে নতুন কিছু দিকনির্দেশনা প্রদান করে ১৬শ সংশোধনী সংবিধান সম্মত নয় বলে বাতিল করে দিয়েছেন।

৭। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী প্রধান বিচারপতির সাথে সুস্পষ্ট ভিন্নমত পোষণ করেছেন, "Though this is not a judgment and order in the nature of dissent yet it needs to be written in the first person since I do not agree with some reasons and observations of the learned Chief Justice. I feel it necessary to express my own view. (পৃষ্ঠা ৬১৭)
[অনুবাদ:- যদিও এই রায় এবং আদেশ অসম্মতি সূচক রায় নয়, তবুও আমি আমার নিজের মত লিখছি, কারণ বিজ্ঞ প্রধান বিচারপতির কিছু যুক্তি এবং পর্যবেক্ষণের সাথে আমি একমত পোষণ করি না। ]

৮। বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দার আলাদা ভাবে রায় লিখলেও (পৃষ্ঠা ৭৫৯-৭৯৯), তিনি তার রায়ের শুরুতেই বলে দিয়েছেন যে, তিনি প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ সহ রায়ের সাথে একমত।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিছু আওয়ামী নেতা কি নিয়ে বকবক করছে?

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
প্রধান মন্ত্রীর বকবক
১। স্বাধীনতা ভালো, কিন্তু তা বালকের জন্য নয় বলে একটা কথা আছে। কাজেই ওই বালকসুলভ আচরণ আমরা আশা করি না। অনেক অবান্তর কথা এবং স্ববিরোধী বক্তব্য…।

২। পাকিস্তানের সাথে তুলনা করা… সব সহ্য করা যায়, কিন্তু পাকিস্তানের সাথে তুলনা করলে… এটা আমরা কিছুতেই সহ্য করব না। পাকিস্তান রায় দিলো দেখে কেউ ধমক দেবে… আমি জনগণের কাছে বিচার চাই। আমার বিচার আমি জনগণের কাছে চাই, আজকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে কেন তুলনা করবে? আর, ওই হুমকি আমাকে দিয়ে লাভ নাই।

৩। কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করলে তার বিচার হবে।

৪। ষোড়শ সংশোধনী… সেখানে আপিল বিভাগের প্রত্যেকটা জজ সাহেব… তারা কিন্তু স্বাধীন মতামত দেওয়ার কতটুকু সুযোগ পেয়েছেন- সেটা আমি জানি না। সে সুযোগটা মনে হয়, প্রধান বিচারপতি তাদের দেন নাই। রায় পড়লে সেটা কিছু বোঝা যায়।

৫। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হচ্ছে পার্লামেন্টের মেম্বার দ্বারা। সংসদ সদস্যরাই রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন করেন। আর সেই রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেন প্রধান বিচারপতিকে। ওই রাষ্ট্রপতি দ্বারা নির্বাচিত হয়ে, ওই চেয়ারে বসে নিজের নিয়োগের কথা ভুলে গেলেন?… এই কথাগুলো বলার আগে উনার ওই পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত ছিল।

৬। আমরা দেখতে পাচ্ছি, উচ্চ আদালত থেকে নানা ধরনের বক্তব্য… রাজনৈতিক কথাবার্তা এবং হুমকি ধামকি…। আমার মাঝেমধ্যে অবাক লাগে, যাদেরকে আমরাই নিয়োগ দিয়েছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়েছেন। এবং নিয়োগ পওয়ার পর হঠাৎ করে পার্লামেন্ট সম্পর্কে তাদের বক্তব্য শুনে… পার্লামেন্ট সদস্য যারা, তাদেরকে ক্রিমিনাল বলা হচ্ছে।

৭। আমাদের প্রধান বিচারপতির রায়ে পার্লামেন্ট সম্পর্কে বক্তব্য, সংসদ সদস্যদের সম্পর্কে বক্তব্য, এমনকি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাও নিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা- এটা কোন ধরনের কথা? আমাদের সংবিধান আছে। সংবিধানের কোনো কোনো অনুচ্ছেদ, যেটা মূল সংবিধানে ছিল; সেটাও উনার পছন্দ না। পছন্দ কোনটা? ওই জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে মার্শাল ল’অর্ডিনেন্সের মাধ্যমে যে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল করেছে; সেটা উনার পছন্দ। আমাদের গণপরিষদ যে ধারা করে দিয়েছে; সেটাও উনার পছন্দ না। পুরো আদালতের দায়িত্ব সব উনার হাতে দিতে হবে। তিনি কী করবেন?

৮। তার মানে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল হলে কোনো বিচার হবে না? কোর্টের যে স্যানিটি, সেই স্যানিটি যারা ধ্বংস করেছে, তাদের সবাইকে রক্ষা করার জন্যই কি তিনি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল চাচ্ছেন? রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাও হাতিয়ে নিয়ে যাওয়া… এটা কোন ধরনের দাবি। কারো জ্ঞানবুদ্ধি নাই, জ্ঞানবুদ্ধি ওই এক দু’জনের!

৯। রাষ্ট্রপতির সে ক্ষমতাও কেড়ে নিতে চাচ্ছেন? যে ক্ষমতা সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে, সে ক্ষমতা কেড়ে নেন কীভাবে ? সেটা দেওয়া হচ্ছে না বলেই যত রাগ, আর গোস্বা, আর অ্যাটর্নি জেনারেলকে যা তা মন্তব্য করা হচ্ছে। কেন? পার্লামেন্টের মেম্বারদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করা, এটা তো উচ্চ আদালতের দায়িত্ব না।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের বকবক

১। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে পর্যবেক্ষণের নামে যেসব কথা বলা হয়েছে তাতে জাতিকে ছোট করা হয়েছে।

২। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করেছেন। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এখনো ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

সোহানী বলেছেন: চলুক। জানতে চাই ফাঁকটা কোথায়। কোথায় আওয়ামী নেতাদের অস্বাস্তি.........

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আওয়ামী নেতাদের নিজস্ব কোন স্বস্তি বা অস্বস্তি প্রকাশ করার ক্ষমতা নাই।
নেত্রী স্বস্তি বোধ করলে নেতারা স্বস্তি মূলক বক্তব্য দেয়।
নেত্রী অস্বস্তি বোধ কোলে নেতারা অস্বস্তি মূলক বক্তব্য দেয়।

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আওয়ামীগুলো ঘেউ ঘেউ করছে...

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: "আওয়ামীগুলো ঘেউ ঘেউ করছে..." বললে গালিগালাজ করা হয়।
যুক্তি যেখানে শেষ, গালিগালাজ সেখানে শুরু।
দেশটা সবার।
গালিগালাজ করে সমাধান হবে না
ভাবুন।
কি হচ্ছে ?

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: এখানে ইন্ডিয়ার হাত আছে। অবশ্যই আছে।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: ইন্ডিয়ার হাত থাকতে পারে।
কিন্তু কি কি কারণে আপনার মনে হচ্ছে এখানে ইন্ডিয়ার হাত আছে?
দয়া করে, ব্যাখ্যা করুন।

৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


"পার্লামেন্ট বিচারপতিদের অপসারণ করার ক্ষমতা রাখে", এই আইন নিয়েই কি মুল সমস্যা?

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনলে তা মনে হয় না।
আমি আগের এক উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর কিছু কিছু বক্তব্য উদ্ধৃত করেছি।
আমি সুবিধার্তে আবার দিলাম।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু সারসংক্ষেপ --
১। স্বাধীনতা ভালো, কিন্তু তা বালকের জন্য নয় বলে একটা কথা আছে। কাজেই ওই বালকসুলভ আচরণ আমরা আশা করি না। অনেক অবান্তর কথা এবং স্ববিরোধী বক্তব্য…।

২। পাকিস্তানের সাথে তুলনা করা… সব সহ্য করা যায়, কিন্তু পাকিস্তানের সাথে তুলনা করলে… এটা আমরা কিছুতেই সহ্য করব না। পাকিস্তান রায় দিলো দেখে কেউ ধমক দেবে… আমি জনগণের কাছে বিচার চাই। আমার বিচার আমি জনগণের কাছে চাই, আজকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে কেন তুলনা করবে? আর, ওই হুমকি আমাকে দিয়ে লাভ নাই।

৩। কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করলে তার বিচার হবে।

৪। ষোড়শ সংশোধনী… সেখানে আপিল বিভাগের প্রত্যেকটা জজ সাহেব… তারা কিন্তু স্বাধীন মতামত দেওয়ার কতটুকু সুযোগ পেয়েছেন- সেটা আমি জানি না। সে সুযোগটা মনে হয়, প্রধান বিচারপতি তাদের দেন নাই। রায় পড়লে সেটা কিছু বোঝা যায়।

৫। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হচ্ছে পার্লামেন্টের মেম্বার দ্বারা। সংসদ সদস্যরাই রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন করেন। আর সেই রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেন প্রধান বিচারপতিকে। ওই রাষ্ট্রপতি দ্বারা নির্বাচিত হয়ে, ওই চেয়ারে বসে নিজের নিয়োগের কথা ভুলে গেলেন?… এই কথাগুলো বলার আগে উনার ওই পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত ছিল।

৬। আমরা দেখতে পাচ্ছি, উচ্চ আদালত থেকে নানা ধরনের বক্তব্য… রাজনৈতিক কথাবার্তা এবং হুমকি ধামকি…। আমার মাঝেমধ্যে অবাক লাগে, যাদেরকে আমরাই নিয়োগ দিয়েছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়েছেন। এবং নিয়োগ পওয়ার পর হঠাৎ করে পার্লামেন্ট সম্পর্কে তাদের বক্তব্য শুনে… পার্লামেন্ট সদস্য যারা, তাদেরকে ক্রিমিনাল বলা হচ্ছে।

৭। আমাদের প্রধান বিচারপতির রায়ে পার্লামেন্ট সম্পর্কে বক্তব্য, সংসদ সদস্যদের সম্পর্কে বক্তব্য, এমনকি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাও নিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা- এটা কোন ধরনের কথা? আমাদের সংবিধান আছে। সংবিধানের কোনো কোনো অনুচ্ছেদ, যেটা মূল সংবিধানে ছিল; সেটাও উনার পছন্দ না। পছন্দ কোনটা? ওই জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে মার্শাল ল’অর্ডিনেন্সের মাধ্যমে যে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল করেছে; সেটা উনার পছন্দ। আমাদের গণপরিষদ যে ধারা করে দিয়েছে; সেটাও উনার পছন্দ না। পুরো আদালতের দায়িত্ব সব উনার হাতে দিতে হবে। তিনি কী করবেন?

৮। তার মানে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল হলে কোনো বিচার হবে না? কোর্টের যে স্যানিটি, সেই স্যানিটি যারা ধ্বংস করেছে, তাদের সবাইকে রক্ষা করার জন্যই কি তিনি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল চাচ্ছেন? রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাও হাতিয়ে নিয়ে যাওয়া… এটা কোন ধরনের দাবি। কারো জ্ঞানবুদ্ধি নাই, জ্ঞানবুদ্ধি ওই এক দু’জনের!

৯। রাষ্ট্রপতির সে ক্ষমতাও কেড়ে নিতে চাচ্ছেন? যে ক্ষমতা সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে, সে ক্ষমতা কেড়ে নেন কীভাবে ? সেটা দেওয়া হচ্ছে না বলেই যত রাগ, আর গোস্বা, আর অ্যাটর্নি জেনারেলকে যা তা মন্তব্য করা হচ্ছে। কেন? পার্লামেন্টের মেম্বারদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করা, এটা তো উচ্চ আদালতের দায়িত্ব না।

৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৮

রুদ্র পাঠক বলেছেন: নিজেদের মোড়লগিরি থাকবেনা বলেই আওয়ামীলীগ এখন পাগল হয়ে যাচ্ছে। ইচ্ছামত বিচারপতি অপসারন করতে না পারার দুঃখ আর কি।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: এটা একটা খুবই সরলীকৃত বক্তব্য।
এটা একটা কারণ, অবশ্যই।
কিন্তু এটাই শেষ কারণ নয়।

৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১৪

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: সসংবিধান ফংবিধান বুঝি না। কিন্তু এইভাবে যে সরকারের মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে আদালত অবমাননা করছে তারপরও কিভাবে নিশ্চুপ থাকে মিডিয়া, বুদ্ধিজীবিগোষ্ঠী!!

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবীগোষ্ঠী সম্পর্কে আমাদের কিছু ভুল ধারণা আছে।
ভুল ধারণা ১। মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবীগোষ্ঠী নিরপেক্ষ।
ভুল ধারণা ২। মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবীগোষ্ঠী বিবেকবান। তারা বিবেকের তাড়নায় সারা দেন।
ভুল ধারণা ৩। মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবীগোষ্ঠী মৌলিক অধিকার ও মানবতার পক্ষে।
ভুল ধারণা ৪। মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবীগোষ্ঠী গণতন্ত্রের পক্ষে।
ভুল ধারণা ৫। মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবীগোষ্ঠী ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিপক্ষে।
ভুল ধারণা ৬। মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবীগোষ্ঠী আইনের শাসনের পক্ষে। সংবিধানের পক্ষে। ইত্যাদি।

আসলে সারা পৃথিবীতেই মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবীগোষ্ঠী কোন একটা মত বা মতবাদের পক্ষে। উপরে যতগুলি বৈশিষ্ট্যের কথা বললাম, তা তারা চর্চা করে যখন তা তাদের মত বা মতবাদের পক্ষে যায়।

৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ; আপিল বিভাগের বিভিন্ন বিচারপতির মন্তব্য সারাংশ আকারে দেবার জন্য।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, পড়ার জন্য।

৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:১৩

কূকরা বলেছেন: কেন সুরেন্দ্র কুমারের এত ধৈয্য এখন:

রায়ে সুরেন্দ্র কুমারের পর্যবেক্ষণ প্রকাশ হওয়ার পরপরই আওয়ামী লীগের চরিত্র অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। হুঙ্কার ছাড়ছে পাতি নেতা থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যন্ত। হুঙ্কারে ভয় পেয়ে হোক আর কর্তাদের ইশারায়ই হোক সুরেন্দ্র কুমার কাল বিলম্ব না করে ছুটির দিনেই নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানালেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে। অনেকেই বলার চেষ্টা করেন হুমকি দিতে ওবায়দুল কাদের গেছেন সুরেন্দ্র কুমারের বাসায়। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী নৈশভোজের আমন্ত্রনে সারা দিয়ে হাজির হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। আমন্ত্রণে সারা দিয়েই যাক আর নিজের থেকেই নৈশভোজের অনুরোধ জানিয়ে গিয়ে থাকুক ঘটনাটা কিন্তু নজিরবিহীন। দুনিয়ার ইতিহাসে রায় নিয়ে সমালোচনা উঠার পর সংক্ষুব্ধ রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদকের সাথে বৈঠকের ঘটনা অতীতে ঘটেনি। সুরেন্দ্র কুমার যদি এতটাই ধৈর্য্যশীল মানুষ হন ওবায়দুল কাদেরর সাথে নৈশভোজে বসলেন কেন! ওবায়দুল কাদেরই বা বলবেন কেন আলোচনা হয়েছে। আলোচনা আরো হবে। রায় নিয়ে দলের অবস্থান জানিয়ে এসেছি।

রায় নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান কি!

দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য অনুযায়ী দলের অবস্থান শুধু সুরেন্দ্র কুমারকে নয়, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকেও জানানো হয়েছে। এই অবস্থানের খোজ নিতে গিয়ে জানা গেছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওবায়দুল কাদের নৈশভোজে যাওয়ার সময় বগলে করে দু’টি ফাইল নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই ফাইল দুইটির একটিতে ছিল সুন্দ্রে কুমারের দুর্নীতির দলীল। আরেকটিতে ছিল সুরেন্দ্র কুমারের পরকীয়া বিষয়ক প্রমানপত্র। সুরেন্দ্র কুমারকে ফাইল দু’টির বিস্তারিত জানিয়ে বলা হয়েছে রায় নিজে থেকে সংশোধন করে নিতে। নতুবা তাঁকে পদত্যাগ করে চল যেতে। দুইটার কোনটাই না করলে ফাইল দু’টি যথারীতি প্রসিড হবে। এটাই হচ্ছে দলের সিদ্ধান্ত। একই বিষয়ে জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতিকেও।

সুরেন্দ্র কুমারের খুটির জোর কোথায়!

নৈশভোজের পরপরই ইন্ডিয়ার কলিকাতা থেকে প্রকাশিত একটি বাংলা খবরের কাগজে প্রকাশিত হয় সুরেন্দ্র কুমারকে পদত্যাগের জন্য চাপ দিচ্ছে সরকার। সুরেন্দ্র কুমার এই চাপের বিষয়টি বাংলাদেশের কোন গণমাধ্যমকে জানাননি। তাঁর খুটির জোর ইন্ডিয়াকে তিনি বিষয়টি অবহিত করেন। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবেই ইন্ডিয়ান বাংলা দৈনিকে খবরটি প্রকাশিত হয়। সুরেন্দ্র কুমারের খুটির জোর ইন্ডিয়া নতুন নয়। ২০০৭ সালের ঘটনা। মঈন উদ্দিন-ফখরউদ্দিন, মাসুদ উদ্দিন ও আমিন উদ্দিনদের জরুরী আইনের সরকার ক্ষমতায়। তখন একটি সিদ্ধান্ত হয়েছিল দুর্নীতির অভিযোগ যেসব বিচারপতির বিরুদ্ধে রয়েছে তাদের বিদায় করা। এই প্রক্রিয়াটি যাতে সহজে কার্যকর করা যায় তাই কৌশল নেয়া হয় বঙ্গভবনে চা-এর দাওয়াত। বঙ্গভবনে চা-এর আমন্ত্রণ জানিয়ে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে একটি পদত্যাগপত্র সামনে দেয়া হত। তাদের সমানে তখন দুর্নীতির কিছু প্রমান হাজির করেই সেটা বলা হত এটাতে সাক্ষর করেন। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে একজনকে পদত্যাগ করানো হয়। বিচারপতিদের মধ্যে দ্বিতীয় যিনি ছিলেন আমন্ত্রিত, তিনি হলেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। আরো অনেক বিচারপতিরই তখন ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিলেন। অনেকেই বাসায় রাত্রিযাপন না করে অন্য জায়গায় থাকতেন। যাতে জোর করে ধরে নিয়ে পদত্যাগ পত্রে সাক্ষর করা থেকে বিরত থাকা যায়।

দাওয়াতানামা পেয়ে সুরেন্দ্র কুমারেরও সেদিন ঘুম হারাম। নাওয়া খাওয়া ছাড়া তিনি। সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবীদেরও সহযোগিতা চাইলেন। জোর করে আবার বঙ্গভবনে নিয়ে যাওয়া হয়নি কিনা এজন্য বাসায় ফিরেননি। রাতে সুপ্রিমকোর্টের চেম্বারেই অবস্থান করলেন। সঙ্গ দিলেন কয়েকজন আইনজীবী। দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় সেদিন লিড নিউজ হয়েছিল সুরেন্দ্র কুমারকে বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ। শেষ পর্যন্ত ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের হস্থক্ষেপে আর বঙ্গভবনে যেতে হয়নি।
এখনো তাঁর খুটির জোর একমাত্র ইন্ডিয়া। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী শেখ হাসিনা প্রথমে তাঁকে প্রধান বিচারপতি বানাতে চাননি। প্রধান বিচারপতি হওয়ার দৌড়ে ও তদবীরে এগিয়েছিলেন বিতর্কিত ও টাকা পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তবে শেখ হাসিনার সফট্্ মনোভাব ছিল বিচারপতি নাজমুন আরা সুলাতানার প্রতি। শেষ পর্যন্ত ইন্ডিয়ান হস্থক্ষেপে প্রধান বিচারপতি হয়েছেন সুরেন্দ্র কুমার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে প্রধান বিচারপতি কে হবেন সেটাও ইন্ডিয়া চুড়ান্ত করে দেয়। চাকরিতে টিকে থাকতেও ইন্ডিয়ান হস্থক্ষেপ কামনা করা হয়।

সুরেন্দ্র কুমারের ইন্ডিয়ার প্রতি আনুগত্যের আরো প্রমান পাওয়া যায় গত ১১ জুন ২০১৭। সেদিন তাঁর এলাকায় একটি স্কুল উদ্ভোধন অনুষ্ঠান ছিল। সেই স্কুল উদ্ভোধনে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত হন ঢাকায় নিযুক্ত ইন্ডিয়ান হাইকমিশনার হর্শ বর্ধন শ্রিংলা। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। ইন্ডিয়ান হাইকমিশনারকে প্রটোকল দেওয়া হয় শিক্ষামন্ত্রীর উপরে। অথচ একজন হাইকমিশনারের পদমর্যাদা হচ্ছে সচিব অথবা যুগ্ম সচিবের পর্যায়ে। আর সুরেন্দ্র কুমারের স্কুল উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে যুগ্মসচিবের প্রটোকল মন্ত্রীর উপরে।

সরকার কি পারবে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে!

ওবায়দুল কাদেরের উক্তি অনুযায়ী সরকার ও দলের সিদ্ধান্ত প্রধান বিচারপতিকে নৈশভোজে এবং রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়েছে। সরকার ও আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত গুলো উপরে উল্লেখ করা আছে। তাই এখানে আর করার প্রয়োজনীতা নেই। এখন কথা হচ্ছে এই সিদ্ধান্ত কি বাস্তবায়ন করতে পারবে সরকার! নাকি ধৈয্যের অজোহাতে সুরেন্দ্র কুমার ও সরকারের মাঝে সমঝোতার কোন উদ্যোগ চলছে!

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:০৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: অনেকের কথা শুনলে মনে হয় সুরেন্দ্র কুমার গত কালকে আসমান থেকে নাজিল হয়ে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হয়ে গেছেন।
তিনি এই দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন।
তিনি এই দেশে লেখাপড়া করেছেন।
তিনি এই দেশে ওকালতি করেছেন।
তিনি এই দেশের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ছিলেন।
তিনি এই দেশের আপিলেট বিভাগের বিচারপতি ছিলেন।
তারপর এই দেশের প্রধান বিচারপতি হয়েছেন।

আওয়ামীলীগ কি জিনিস তা তিনি জানেন।

শত শত মামলার রায় দিয়েছেন।

কি করলে কে খুশি হবে, কে বেজার হবে তা জানেন।

ওবায়দুল কাদেরর কাছে দুইটা ফাইল থাকলে তাও তিনি জানেন।

এইগুলি সব ম্যানেজ করেই তিনি প্রধান বিচারপতি।

১০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: বিচারপতির সাথে আওয়ামী লীগের কোন দ্বন্দ্ব নেই। ভারতদেবের ইশারা পেলেই উনি আওয়ামীদের কাছে নতি স্বীকার করবেন এবং আওয়ামী লীগ তখন বাধ্য হবে তাকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য বিবেচনা করতে।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: দ্বন্দ্ব থাকার কথাও না।
আওয়ামীলীগ যখন প্রধান বিচারপতির মতো পদে কাউকে বাসায় (এমনকি তার চাইতেও অনেক অনেক নিচের পদে কাউকে বাসায়), তখন তার সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়েই তা করে।
মানুষ হয়তো তার সম্পর্কে জানেনা।
কিন্তু আওয়ামীলীগের নেতা খুব ভালো করে জানেন, তিনি কে, কি তার অতীত, কতটুকু বিশ্বস্ত, কি তার খুঁটির জোর ইত্যাদি।
সাধারণ মানুষ যেহেতু এত কিছু জানে না, তাই তারা খেলাটা বুঝতে পারবে না।
খেলার ফলটা শুধু দেখতে পারবে।

১১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫২

মানিজার বলেছেন: পয়েন্ট বাই পয়েন্ট একটা পোস্ট দিতে পারতেন ।স

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আমার দীর্ঘ ১০ বছরে অভিজ্ঞতায় বলে বড় লেখা অধিকাংশ পাঠক পড়ে না।
সিরিয়াস এবং বড় লেখা আরো কম সংখ্যক লোকেই পড়ে।
আর আমার ধারণা যে বিষয়টা নিয়ে লিখছি তা সবার ভাল লাগবে না।
যাদের ভাল লাগবে তারা একেকটা পয়েন্ট পড়বে আর চিন্তা করবে।
চিন্তা করার জন্যেও সময়ের প্রয়োজন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.