নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধান বিচারপতির সাথে আসলেই কি সরকারের দ্বন্দ্ব আছে? (শেষ পর্ব)

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬

১৯। এইবার আসেন উদ্দেশ্যে।
একটা রাজনৈতিক চালের এক বা একাধিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। আবার একটা চাল আরেকটা চালের পরিপূরক বা সম্পূরক বা বিকল্প চাল হতে পারে। এখানে সমস্যাটা হচ্ছে যে চাল চালে সেই শুধু জানতে পারে আসল উদ্দেশ্য। চালের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হওয়ার আগে অন্যরা শুধু বিশ্লেষণ ও অনুমান করতে পারে।

২০। উদ্দেশ্য ১। প্রধান বিচারপতিকে আওয়ামীলীগের প্রতিপক্ষ দলগুলির আছে গ্রহণযোগ্য করে তোলা। ইতোমধ্যে এই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। বি এন পি প্রধান বিচারপতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে কেন তাকে প্রতিপক্ষ দলগুলির আছে গ্রহণ যোগ্য করে তুলতে হবে?
উত্তর:- ভবিষ্যতে যদি তার উপর কোন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পিত হয়, তখন যেন আওয়ামীলীগের প্রতিপক্ষ দলগুলি তাকে সমর্থন দেয়, অথবা নিদেনপক্ষে নরম অবস্থান নেয়।

উদ্দেশ্য ২। বর্তমান সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা।
প্রশ্ন ১। কে চাপ সৃষ্টি করতে চায়? উত্তর:- ইন্ডিয়া এবং তার বর্তমান মিত্র বৃহৎ শক্তি।
প্রশ্ন ২। কেন চাপ সৃষ্টি করতে চায়?
উত্তর:- বিশ্বের বৃহৎ শক্তি এবার যুদ্ধ-রেখা টেনেছে দক্ষিণ এশিয়াতে।

একটা সম্ভাব্য যুদ্ধক্ষেত্র চীন-ইন্ডিয়া সীমান্ত। সম্ভাব্য এই যুদ্ধে একপক্ষে থাকবে ইন্ডিয়া ও বৃহৎ শক্তি, অন্য দিকে থাকবে চীন ও পাকিস্তান। ইতোমধ্যে ডোকলামে ইন্ডিয়া ও চীনের সামরিক বাহিনী মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। ইন্ডিয়া অবশ্য এখন এই যুদ্ধ করতে চাচ্ছে না। সামরিক বাহিনী শুধুমাত্র যুদ্ধ প্রস্তুতির জন্য সরকারের কাছে ২০ হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ চেয়েছে। এরপর সরকার একটা সর্বদলীয় সভা ডাকে। দিল্লীতে সর্বদলীয় বৈঠকে সম্মানজনক ভাবে সরে আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

দ্বিতীয় সম্ভাব্য যুদ্ধক্ষেত্র পাকিস্তান-আফগান সীমান্ত। এটা অনেকটা ইন্ডিয়া-পাকিস্তান-চীনের প্রক্সি যুদ্ধের মতো হবে। বৃহৎ শক্তি ইতোমধ্যে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আফগান তালেবানদের সাহায্য না করার জন্য। আর ইন্ডিয়াকে বলেছে আফগান তালেবানদের দমনের জন্য আফগান সরকারকে সামরিক সাহায্য দিতে। ইন্ডিয়া রাজি হয়েছে। অর্থ দাঁড়াচ্ছে, তালেবান দমনের নামে আফগান সরকার ইন্ডিয়ান সামরিক বাহিনীর সমর্থন নিয়ে পাকিস্তান আক্রমণ করবে। আর পাকিস্তান চীনের সমর্থন নিয়ে মোকাবেলা করবে।

সম্ভাব্য দুইটা যুদ্ধেই বাংলাদেশের অবস্থান হবে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের অবস্থান হতে পারে (১) ইন্ডিয়ার পক্ষে, (২) চীনের পক্ষে, (৩) নিরপেক্ষে। বর্তমান সরকার কখনই সরাসরি ইন্ডিয়ার বিপক্ষে আর চীনের পক্ষে যাবে না -- এটা চীন জানে। চীনের লক্ষ্য বাংলাদেশকে নিরপেক্ষ রাখা। বাংলাদেশ নিরপেক্ষ থাকলেও চীনের লাভ।

সবাই জানে বর্তমান সরকার ইন্ডিয়ার সমর্থন পুষ্ট। তা হলে ভয়টা কোথায়?
চীন বাংলাদেশকে সম্ভাব্য যুদ্ধে নিরপেক্ষ ভূমিকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য শাসকদেরকে অস্ত্র ও সাবমেরিন বিক্রির নামে বিপুল পরিমাণ কমিশন প্রদান করেছে বলে ইন্ডিয়া ও বৃহৎশক্তি মনে করে। বিষয়টা বুঝার জন্য একটা উদাহরণ দেয়া যায়। বাংলাদেশ চীন থেকে Ming-class Type 035B সাবমেরিন কিনেছে। যার দাম ধরা হয়েছে ২০ কোটি ৩০ লক্ষ ডলার, টাকার অংকে ১৬২৪ কোটি। ১৯৭০ সালে নির্মিত এত মূল্যবান এই জিনিসটা দিয়ে চীন ১৯৯০সাল থেকে ছাত্রদের ট্রেনিং দিতো। এটা কত উন্নত জিনিস বোঝতে পারছেন। এটাকে এখন লোহা-লক্কড় হিসাব বিক্রি করতে হতো। নুন খেলে গুণ গাইতে হয়। টাকা পকেটে গেলে বিপক্ষে যাওয়া যায় না।

এমন একটা পরিস্থিতিতে সরকারের উপর নানামুখী চাপ সৃষ্টি করে আসন্ন সম্ভাব্য সংঘাতে বাংলাদেশকে সরাসরি ভাবে ইন্ডিয়ার পক্ষে এবং চীনের বিপক্ষে অবস্থান নিতে বাধ্য করা।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০

সোহানী বলেছেন: আমরা চিরকালেই দাবার ঘুটি.... তবে এবার মনে হয় দাবার নতুন চরিত্র "দাস"। হিসেব খুব সোজা.... যেকোন মূল্যে ক্ষমতায় থাকবো আর ঝামেলা হলে সোজা হাওয়াই দ্বীপে..... বিলাশবহুল বাড়ি কেনা আছে, সেখানে চলে যাবো। আর মরুকগে চাষাভুষার দল।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: এখানে আমরা কারা ?
আমরা বলতে কাকে বোঝাচ্ছেন?
দাস মানে কি ? কে কার দাস ?
এখানে ক্ষমতায় থাকা না থাকার কোন প্রশ্ন না ?
আমি একটা ভূরাজনীতি বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি।
প্রতিটা মানুষকেই নিজ নিজ যোগ্যতা বলে চলতে হবে।
আমি চাষাভুষা বলে কারো দয়া বা করুন পেতে পারি, কিন্তু সম্মান বা মর্যাদা পাব না।
জ্ঞানই শক্তি। প্রতিটা মানুষের জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি হস্তরেখাবিদ?

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: না, কেন?

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভাবছিলাম, আপনি হস্তরেখাবিদ হলে, বাংলাদেশ ও বার্মার যুদ্ধ কোনদিন হবে, জেনে নিতে পারতাম।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: প্রথম পর্বে আমি ১৬শ সংশোধনী রায় সম্পর্কে পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ করে কিছু তথ্য দিয়েছি।
দ্বিতীয় পর্বে ঐ রায়ে কোন বিচারপতি কি মন্তব্য করেছেন পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ করে কিছু তথ্য দিয়েছি।
তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্বে ঐ রায়কে আমার জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেচনা মতে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি। যদি এই বিশ্লেষণের সাথে কারো ভিন্নমত থাকে, থাকতেই পারে, আলোচনা করা যেতে পারে।
শেষ পর্বে আলোচিত রায়, এবং আরো কিছু তথ্যের ভিত্তিতে পুরো ঘটনাটাকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বিশ্লেষণটা এই ভাবে শুরু করেছি --"এখানে সমস্যাটা হচ্ছে যে চাল চালে সেই শুধু জানতে পারে আসল উদ্দেশ্য। চালের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হওয়ার আগে অন্যরা শুধু বিশ্লেষণ ও অনুমান করতে পারে। "

এখানে আমি বলেই দিয়েছি চালের আসল উদ্দেশ্য আমি জানি না।

আমি আমার মত করে বিশ্লেষণ করলাম।

এখন আমি হস্তরেখাবিদ কিনা, এই প্রশ্ন ?

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: এতদিন আমারও মনে হয়েছে এইসব বুঝি নাটকের কোন এক অংক। কিন্তু এখন কিছুটা বিশ্বাস হতে শুরু করেছে যে আওয়ামী লীগের ভেতরে কিছুটা অন্তর্দ্বন্দ্ব চলছে। জনগনের ম্যান্ডেট নিয়ে যে দল ক্ষমতায় বসেনি, সে দল এতদিন বিস্ময়কর ভাবে সবদিক সামাল দিয়ে চলছিলো। বিরোধী দলকে দেয়ালে চেপে ধরে কোনঠাসা করে সব জায়গায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার - এসব কিছুই ছিল তাদের নিয়ন্ত্রনে। কিন্তু বিরোধী দল না থাকলে শূন্যস্থান তো আর অপূর্ন থাকতে পারে না। তাই আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেই হয়তবা দেখা যাচ্ছে ভাংগার আলামত। সিনহা একটু বেশীই বলে ফেলেছেন, যা আওয়ামী লীগ কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: শুধুমাত্র বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীই সরাসরি প্রধান বিচারপতির মতের বিরোধিতা করেছেন।
অন্য পাঁচ জন বিচারপতি হয় সরাসরি প্রধান বিচারপতিকে সমর্থন করেছেন অথবা নীরব সমর্থন করেছেন।
এখন শুধুমাত্র প্রধান বিচারপতিকেই সমালোচনা করা হচ্ছে।
অন্য পাঁচ জনের ব্যাপারে নীরব কেন ?

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "অন্য পাঁচ জন বিচারপতি হয় সরাসরি প্রধান বিচারপতিকে সমর্থন করেছেন অথবা নীরব সমর্থন করেছেন।
এখন শুধুমাত্র প্রধান বিচারপতিকেই সমালোচনা করা হচ্ছে।
অন্য পাঁচ জনের ব্যাপারে নীরব কেন ?"

আপনি এটা কি বললেন? সিনহা নেতা হয়ে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেছে, এজন্যই তার বিরুদ্ধে ক্ষেপেছে ।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আপনি আমার বক্তব্য উদ্ধৃত করার সময় "শুধুমাত্র বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীই সরাসরি প্রধান বিচারপতির মতের বিরোধিতা করেছেন। " এই লাইনটা বাদ দিয়েছেন।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী যদি লিখতে পারেন "I do not agree with some reasons and observations of the learned Chief Justice. I feel it necessary to express my own view. (পৃষ্ঠা ৬১৭)" তাহলে অন্যরাও তো লিখতে পারতেন।

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: বিচারপতি হাসান ফয়েজের প্রতি আওয়ামী লীগ নিশ্চয়ই কৃতজ্ঞ।

অন্য বিচারপতিরা লেখেন নি কারন অন্যরা প্রধান বিচারপতির সাথে থাকতে চেয়েছেন। আওয়ামী সরকারের দৃষ্টিতে প্রধান বিচারপতিই এদেরকে পথ দেখিয়েছেন। এই কারনেই সরকারের আসল ক্ষোভ সিনহার উপরে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৩৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: রায় পক্ষে গেলে খুশি, বিপক্ষে গেলে বেজার, তা আমরা দেখেছি। হাইকোর্টে বস্তি বানানো সহ অনেক কিছুই হয়েছে।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এর জন্য ভবিষ্যতে পুরস্কৃত হবেন।
অন্য বিচারপতিরা কেন প্রধান বিচারপতির সাথে থাকতে চেয়েছেন, সেটাই প্রশ্ন।
প্রধান বিচারপতি বেশি শক্তিশালী, না প্রধানমন্ত্রী?
প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীরা প্রধান বিচারপতির প্রতি যে ভাষা ব্যবহার করছেন, প্রধান বিচারপতি কিন্তু তা পারছেন না। সম্ভবও নয়।

৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: বাংলাদেশে সামনে অনেক কিছু ঘটবে। আপনার লেখার বিশ্লেষন অসাধারণ হয়েছে, এইভাবে চিন্তা করি নাই।

আফগান যুদ্ধে ইরানের একটা রোল থাকবে, ইরানের ভিতর দিয়ে ইন্ডিয়া আফগান বর্ডার পর্যন্ত পৌছানোর জন্য ইরানকে একটা সমুদ্র বন্দর নির্মান করে দিচ্ছে। উদ্দেশ্য সম্ভবত পাকিস্তান কে দুইদিক থেকে চেপে ধরা।

ফুল স্কেল যুদ্ধ লাগলে বাংলাদেশের ভুমিকা আসলেই অনেক ভাইটাল। বাংলাদেশ নিরপেক্ষ থাকলে নর্থ-ইষ্টে ইন্ডিয়াকে চীনের সাথে মোকাবেলায় অনেক বেশি ফোর্স ব্যবহার করতে হবে, ফলে পাকিস্তান বর্ডারে ফোর্সের ঘাটতি হবে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আফগান, ইন্ডিয়া, ও ইরান সম্পর্কে অনেক 'যদি' এবং 'কিন্তু' আছে। এত দূরবর্তী উপাদান বিশ্লেষণ করা সঠিক হবে না।
ইন্ডিয়া যে স্কেলই বা যে মাত্রায় চীনের সাথে সংঘর্ষ বা যুদ্ধে লিপ্ত হউক না কেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের ভূমিকা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ হবে।
এই ভূ-রাজনীতিটা বোঝার জন্য বড় বিশ্লেষক হওয়ার দরকার নাই, বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, চীন, ভুটান এবং নেপালের ম্যাপটা একটু মনোযোগ দিয়ে দেখলেই হবে।

৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: আমাদের দেশে অনেক ইন্ডিয়ার দালাল আছে, চান্দুগাজীর মত ব্লগাররা তার প্রমান। আবার সাধারণ বাংলাদেশিরা এইসব বুঝার মত বুদ্ধি রাখে না। যার কারণে এইরকম একটা গুরুত্বপূর্ন লেখা পড়েও এর মেরিট ধরতে পারছে না।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: এখানে সব ধরণের দালালই আছে।
এটা দালালদের উর্বর ভূমি।
"আবার সাধারণ বাংলাদেশিরা এইসব বুঝার মত বুদ্ধি রাখে না।" আমি এই কথার সাথে একমত না।
আমিও একজন সাধারণ মানুষ।
আর সব লেখা যে সবাই পড়বে তাও ঠিক না।
আবার সবাই যে আমার বিশ্লেষণের সাথে একমত হবে, তাও আমি আশা করি না।

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মনে হচ্ছে রাজনীতির ভেতর পলিটিক্স ঢুকে গেছে, আমার মাথায় শুধুই গোবর :(

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: সবার যে সব কিছু বোঝতে হবে, তার কোন দরকার নাই।
আপনি যে বিষয়টা ভাল বোঝেন তা নিয়ে লেখেন।
হয়তো আপনি যে বিষয় নিয়ে ভাবেন, আমার সে সম্পর্কে কোন জ্ঞান নাই।
আমি আপনার লেখা থেকে কিছু জানতে পারবো।

১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:১৩

মোজাহিদুর রহমান ব বলেছেন: কাল্পনিক চিন্তা ভাবনা

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আমি আমার লেখায় বলেছি, "চালের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হওয়ার আগে অন্যরা শুধু বিশ্লেষণ ও অনুমান করতে পারে।"
আমি বিশ্লেষণ শুরু করার আগে কতগুলি তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেছি।
তারপর ঐ সব তথ্য উপাত্তর ভিত্তিতে বিশ্লেষণ ও অনুমান করেছি।

এখন আপনি যদি দেখাতে পারেন আমার উত্থাপিত তথ্য উপাত্ত ভুল এবং এর বিপরীতে সঠিক তথ্য কোনটি, তা হলে আমার মানতে কোন দ্বিধা নেই।
আমি কোন প্রতিজ্ঞা করে বসি নাই যে, আমার কথাই চূড়ান্ত।

অথবা আমার তথ্য উপাত্তকে সঠিক ধরে অন্য কোন যুক্তিসঙ্গত বিশ্লেষণ, তাও মানতে আমার কোন সংকোচ নাই।

১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এইরকম হইলে কেমনে চলবো আমাগোর আম জনতার কি উপায়!

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: ঘাবড়ানোর কিছু নাই। সুবিধার পাল্লা আমাদের দিকে। কোন এক পোস্টে আমাদের ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছা আছে।
এখন শুধুমাত্র একটা প্রাচীন প্রবাদ মনে করিয়ে দেই --
বাংলাদেশে ঢুকার রাস্তা অনেক,
কিন্তু এখন থেকে বের হওয়ার কোন রাস্তা নেই।

১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আন্তর্জাতিক চিন্তাজগত আমার একেবারেই শূন্যের ঘরে। আপনার আলোচনা পড়ে গেলাম।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সবাইকে সব বিষয় জানতে হবে, এমন না।
আপনার চিন্তাজগতে হয়তো এমন বিষয় আছে, যা আমার শূন্য।
আপনার চিন্তাজগত নিয়ে লেখেন।
কেউ পড়বে, কেউ পড়বে না।
কাউর ভাল লাগবে, আবার কাউর ভালো লাগবে না।

১৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

মানিজার বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ অমূলক না । যথাসম্ভব যুক্তি তথ্য এখানে প্রয়োগ করেছেন ।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ, পড়ার জন্য এবং বিশ্লেষণের সাথে একমত হওয়ার জন্য।
তবে কেউ যদি যুক্তি দিয়ে আমার বিশ্লেষণের সাথে ভিন্নমত প্রদান করে, তাতেও আমি খুশি হই।
কারণ এতে আমি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে পারি, আমার বিশ্লেষণটা কতটুকু গ্রহণযোগ্য।

১৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬

চুলবুল পান্ডে বলেছেন: সাদা মনের মানুষ , চমতকার আত্মবিশ্লেষণ

১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: এই প্রসঙ্গে কিছু তথ্য আপডেট করা হল --
(১) ২৫ সেপ্টেম্বর দুইদিনের সফরে ইন্ডিয়া আসছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিস৷
(২) মূল আলোচ্য বিষয় আফগানিস্তান ইস্যু ও সন্ত্রাস দমন৷
(৩) প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিসের সফরের পরপরই ইন্ডিয়াতে আসবেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট রেক্স টিলারসন। দুই জনের একই সাথে আসার কথা ছিল কিন্তু টিলারসনের পূর্ব নির্ধারিত অন্য কর্মসূচি থাকায় পরে আসছেন। কিন্তু মূল আলোচ্য বিষয় একটাই।
(৪) মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত ২১ আগস্ট ভার্জিনিয়ার ফোর্ট মেয়র থেকে জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার সময় ইন্ডিয়ার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কথা জোর দিয়ে বলেছেন। এছাড়া নয়াদিল্লি যাতে কাবুলকে সাহায্য করে সেই অনুরোধও তিনি করেছেন।
(৫) এরপরেই ইন্ডিয়ার পরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে আফগানিস্তান ইস্যু ও সন্ত্রাস দমন নিয়ে ফোনে কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব৷
(৬) মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচআর ম্যাকমাস্টার ও ইন্ডিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল আফগান ইস্যুটি ফোনে আলোচনা করেছেন৷
(৭) মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিস ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং ইন্ডিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও বাণিজ্য উদ্যোগ (ডিটিটিআই) নিয়ে কথা বলবেন।
(৮) বর্তমানে, ডিটিটিআই-এর যৌথ কার্যকরী গ্রুপের কাজের মধ্যে আছে বিমানবাহী জাহাজ, হট-ইঞ্জিন বিমান প্রযুক্তি এবং আধুনিক ভারটিকাল লিফট হেলিকপ্টার, ছোট মানবশূন্য অ্যারিয়াল ভেহিকেল এবং রোল-অন-রোল-অফ সি -৩০ জে মডিউল।

১৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

বালু চর বলেছেন: চেংকু প্যাঁক বলেছেন: আমাদের দেশে অনেক ইন্ডিয়ার দালাল আছে, চান্দুগাজীর মত ব্লগাররা তার প্রমান। আবার সাধারণ বাংলাদেশিরা এইসব বুঝার মত বুদ্ধি রাখে না। যার কারণে এইরকম একটা গুরুত্বপূর্ন লেখা পড়েও এর মেরিট ধরতে পারছে না।

১৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার রায়ে বলেছেন, কোন একক ব্যক্তি বাংলাদেশ সৃষ্টি করে নাই। No nation - no country is made of or by one person. . . . That only one person or one man did all this and etc. (পৃষ্ঠা ৫৪) .
আবার কৌশলে জাতির পিতা না লেখে, লিখেছেন Founding Fathers (পৃষ্ঠা ৩, ৩২, ৫১, ৫২, ২৪৩, ৩৭৯) .
খেয়াল করুন দুইটা শব্দ, (১) Father না Fathers (বহুবচন); (২) Father of the Nation না Founding Fathers . (৩) Founding Fathers শব্দ দুইটা রায়ের ৬ জায়গায় ব্যবহৃত হয়েছে।

এখন তিনি মৌলভীবাজারে যেয়ে বলছেন, জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের একক নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে, তিনি প্রধান বিচারপতি হতে পারতেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.