নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মের কল বাতাসে নড়ে

২০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬


বাংলাদেশের কিছু বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার কর্মী এবং রাজনৈতিক নেতা দেশে এবং বিদেশী সবসময় প্রচার করে আসছে, বাংলাদেশের মুসলমান জন গুষ্ঠি উগ্র সাম্প্রদায়িক। তাদের অত্যাচারে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে এবং হিন্দু জন গুষ্ঠি বাংলাদেশ প্রান্তিক সীমায় পৌঁছে গেছে।

কথায় আছে, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। তাই আসল কথাটা বেড়িয়ে এসেছে ইন্ডিয়ার লোকসভা অধিবেশনে। গতকাল (বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই ২০১৮) ইন্ডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ লোকসভা অধিবেশনে বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দু জন গুষ্টি ক্রমাগত ভাবে বাড়ছে। তিনি একটা পরিসংখ্যান দিয়ে দেখান যে গত ছয় বছরে বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যায় বেড়েছে শতকরা ২.৩ ভাগ হারে। অর্থাৎ ২০১১ সালে যেখানে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ৮.৪ শতাংশ সেখানে ২০১৭ সালে হিন্দু জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৭ শতাংশ। সংখ্যার হিসাবে ২০১১ সালে বাংলাদেশ হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ১,৩৬,৮৭,৯৩১ জন বর্তমান এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৭৪,৩৫,৮১৬ জনে, অর্থাৎ মাত্র ছয় বছরে বেড়েছে ৩৭,৪৭,৮৮৫ জন

এটা বাংলাদেশের জন্য একটা ভাল এবং পজিটিভ খবর।
সব সম্প্রদায়ের মানুষ বাংলাদেশে নিরাপদে, সুখে শান্তিতে বসবাস করুক এটাই আমাদের সবার কাম্য।

সূত্র:
১. ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, শুক্রবার ২০ জুলাই ২০১৮
২. সাউথ এশিয়ান মনিটর, শুক্রবার ২০ জুলাই ২০১৮
৩. দি ইকোনোমিক টাইম, জুন ২৩, ২০১৬
৪. দি হিন্দু, জুন ২৩, ২০১৬

ছবি সূত্র: ইন্টারনেট

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:



ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।
এটাই চিরন্তন। তবে যারা বলে কমছে তারা যুদ্ধের পরে যে ২৫% ছিল সেটাই মানদন্ড ধরে হিসেব করেই বলে।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে কখনই হিন্দু জন সংখ্যায় ২৫% ছিল না। এটা একটা মনগড়া হিসাব। বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বের কাছে সাম্প্রদায়িক, উগ্র, অ-সহিষ্ণু এই ভাবে প্রচার করার জন্য এই অপ্রচার এতদিন চালানো হয়েছে।

আমাদের দেশের কোন বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার কর্মী বা রাজনৈতিক নেতা কিন্তু এখনো এই সুখবরটা আমাদেরকে দেয় নাই যে বাংলাদেশে হিন্দু জন সংখ্যা বাড়ছে। আমরা এই সুখবরটা জানতে পেরেছি ইন্ডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী কাছ থেকে তাদের পত্রিকার মাধ্যমে।

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ভাল খবর; পড়ে খুশি হলাম।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


এই ভাল খবর আমাদের দেশের কোন বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার কর্মী বা রাজনৈতিক নেতার মুখে শুনবেন না।
বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ অসাম্প্রদায়িক, তারা ভাল, -- এই কথা বিশ্ববাসী জেনে গেলে তাদের অনেক অসুবিধা।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

ইফতি সৌরভ বলেছেন: ভালো খবর! দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.১% সেখানে 'হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.৩%'!!

তবে ভালো লাগলো উপাত্তটিতে।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


পরিসংখ্যান তাই বলে।
তবে পরিসংখ্যানটা আমরা কাছে মুখ্য বিষয় না।
মুখ্য বিষয়টা হচ্ছে, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার করা হচ্ছিল তা যে কোন কারণেই হউক সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে।

আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার কর্মী এবং একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতা খুব সফলতার সাথে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে বিশ্বের কাছে, সাম্প্রদায়িক, উগ্র, ধর্মান্ধ, মৌলবাদী এবং বর্বর হিসাবে পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছে।

ইন্ডিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রীর লোকসভায় প্রদত্ত এই বিবৃতি পজিটিভ ভাবে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের পক্ষে যাবে।

এই বিবৃতির আরেকটা গুরুত্ব হল, বিবৃতিটি প্রদান করা হয়েছে ইন্ডিয়ান পার্লামেন্টে। সাধারণত পার্লামেন্টে তথ্য ভিত্তিক বক্তব্য প্রদান করা হয়।

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০১

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:



আমাদের দেশের কোন বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার কর্মী বা রাজনৈতিক নেতা কিন্তু এখনো এই সুখবরটা আমাদেরকে দেয় নাই যে বাংলাদেশে হিন্দু জন সংখ্যা বাড়ছে। আমরা এই সুখবরটা জানতে পেরেছি ইন্ডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী কাছ থেকে তাদের পত্রিকার মাধ্যমে।

এটাই ভাই আমার মনকষ্ট, এখন যদি বলা হত-হিন্দু জনসংখ্যা কমছে দেখতেন কত দরদ নিয়ে সুলতানা কামাল, জাফর ইকবাল, আনিসুল হক সাহেবরা এগিয়ে আসতেন আর বলতেন উগ্র মুসলিমরা হিন্দু ঠেংগিয়ে ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছে।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আপনি কিছু লোকের নাম উল্লেখ করেছেন, আমি কারো নাম উল্লেখ করি নাই করতেও চাই না।

আমাদের দেশের একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার কর্মী এবং রাজনৈতিক নেতার উদ্দেশ্য হলো, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে বিশ্বের কাছে, সাম্প্রদায়িক, উগ্র, ধর্মান্ধ, মৌলবাদী এবং বর্বর হিসাবে পরিচিত করানো।

হিন্দুদের প্রতি তারা সহানুভূতিশীল বলে তারা যে হিন্দুদের পক্ষে কথা বলে, আসলে তা না।

এটাকে উপলক্ষ করে মূলত তারা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিপক্ষে কথা বলে।

৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "এটাই চিরন্তন। তবে যারা বলে কমছে তারা যুদ্ধের পরে যে ২৫% ছিল সেটাই মানদন্ড ধরে হিসেব করেই বলে।"

দেশে হিন্দু দূরে থাক, সংখ্যালঘু সবমিলিয়ে কখনই ১৫% এর উপরে ছিল না। ২৫% থাকলে সেটা ৪৭ এর দেশ ভাগের আগে, যা সংগত কারনেই কমে যায়।

সামগ্রিক ভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর সংখ্যা স্বাভাবিক ভাবে বাড়ছে। আমার চেনা জানায় সেরকমটিই দেখছি। কিন্তু শতকরা হিসেবে তার সঠিক প্রতিফলন নাও হতে পারে। বিশেষত হিন্দুদের ক্ষেত্রে। তারা অধিকতর শিক্ষিত এবং অগ্রসর। অশিক্ষিতদের মত এরকম পালে পালে সন্তানের জন্ম দেয় না।

এও সত্য যে হিন্দুরা সমগ্রিকভাবে একটা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। এর মূল কারনটি মনস্ত্বাত্ত্বিক। পৃথিবীর সবদেশের মত বাংলাদেশেও আক্রান্ত হবার পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রোহিংগা আসার ঢলে অনেক বৌদ্ধ উপজাতি ভয়ে পালিয়ে চলে যায় বার্মায়। কারন তাদের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।

আশার কথা দুর্বৃত্তায়ন হলেও বাংলাদেশের মানুষ সামগ্রিক ভাবে বিবেকবান। এটিই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

শেষে সুষমা স্বরাজকে ধন্যবাদ এই তথ্যটি প্রচারের জন্য।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


১৯৪৭ সালের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ইন্ডিয়া বিভক্ত হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে। ফলে ইন্ডিয়া থেকে মুসলমানরা তৎকালীন পশ্চিম এবং পূর্ব পাকিস্তানে এবং পাকিস্তানের উভয় অংশ থেকে হিন্দুরা ইন্ডিয়াতে চলে যায়।

আমি ১ নং মন্তব্যের জবাবে বলেছি ২৫% এর হিসাব মনগড়া এবং কাল্পনিক। আলোচনাকে ভিন্ন দিকে নেয়ার জন্য স্পিন ডকট্রিন ব্যবহার করা হয়েছে।

আমি ৩ নং মন্তব্যের জবাবে বলেছি, পরিসংখ্যানটা এখানে মুখ্য না। আমি ইন্ডিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রী বিবৃতিটাকে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব হিসাবে দেখছি। আমরা হাজার বার, লক্ষ বার বললেও কথাটা গুরুত্ব পেতো না।

"তারা অধিকতর শিক্ষিত এবং অগ্রসর। অশিক্ষিতদের মত এরকম পালে পালে সন্তানের জন্ম দেয় না।" এই মন্তব্যের কোন জবাব আমি এই পোস্টে দিব না, এতে বর্তমান বিষয় ভিন্ন দিকে চলে যাবে। আসল কথা ঢেকে যাবে।

সারা পৃথিবীতেই সংখ্যালঘুরা মনস্তাত্ত্বিক ভাবে নিরাপত্তা-হীনতায় ভোগে। আমেরিকার মত উন্নত দেশে কোন আফ্রিকান-আমেরিকানকে পুলিশ গ্রেফতার করলে, তারা অনেক সময় মনে করে আমরা কালো বলে আমাদেরকে গ্রেফতার করছে।

সমস্ত তথ্য বলে বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক। এদেশে খ্রিষ্টান এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর সংখ্যায় ১% ও কম। কিন্তু তারা তাদের প্রধান ধর্মীয় দিনে সরকারি ছুটি ভোগ করে। বিশ্বের বহু দেশে মুসলমান জন সংখ্যা ১০-১৫% হওয়া সত্ত্বেও ঈদের দিনে কোন সরকারি ছুটি পায় না।

আপনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, এটিই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার কর্মী এবং রাজনৈতিক নেতা প্রাণপণে পিছন থেকে টেনে থামাতে চাইছে। আমি আশাবাদী ইন্ডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রীর এই বিবৃতি তাদের পিছন থেকে টানটাকে কিছুটা শিথিল করবে।

সত্য কথা বলার জন্য সুষমা স্বরাজকে আবারো ধন্যবাদ।

৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশ হচ্ছে জনসংখ্যা বিস্ফোরনের দেশ। সুতরাং সকল ধর্মের লোকই সেখানে বাড়ছে। তবে সুষমা স্বরাজের ইঙ্গিতটা অন্যখানে যেটা সরাসরি উনি বলতে পারেনি।

ভারত যেসব দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স (বিদেশে কর্মরতদের পাঠানো অর্থ) আয় করে সেই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। বাংলাদেশ থেকে ভারত বছরে চার বিলিয়ন ডলার বা ৩১ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স আয় করে। গার্মেন্ট, টেক্সটাইল ও অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কয়েক লাখ ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে কর্মরত রয়েছেন

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


মোট সংখ্যা বৃদ্ধি আর শতকরা হার বৃদ্ধি এক কথা না।
ইন্ডিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রী শতকরা হারটাও দেখিয়েছেন।
অর্থাৎ ৮.৪% থেকে ১০.৭%

তবে আপনারা রেমিট্যান্স সংক্রান্ত বক্তব্যের সাথে আমি একমত।

৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার শিরোনামের কথাটা আমার মা খুব বলেন।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


তিনি সত্য কথাই বলেন।

এই শিরোনামটা কেন দিলাম?

বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ভীষণ অসাম্প্রদায়িক। কিন্তু দিনের পর দিন এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার কর্মী এবং রাজনৈতিক নেতা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিরুদ্ধেই অপপ্রচার করে আসছে।

বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এদের চতুর্মুখি আক্রমণে অসহায় হয়ে পরে। অসাম্প্রদায়িক হওয়া সত্ত্বেও সাম্প্রদায়িকতার কলঙ্ক মাথায় নিতে হয়। ইন্ডিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রীর এই বিবৃতি বাতাস হয়ে ধর্মের কলকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা কলঙ্ক না করেও কলঙ্কের বোঝা মাথায় নিয়েছিলাম।

৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০৯

ইফতি সৌরভ বলেছেন: মন্তব্য নং: ০৪ এর শেষ অংশ এবং মন্তব্য নং: ০৬ এর সাথে একমত।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



৪ এর শেষ অংশ এবং মন্তব্য নং: ০৬ এর সাথে আমিও আপনার মতো একমত।

তবে আমি কারো না বলতে চাই না।

বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এদের নাম জানে, এবং এদেরকে চিনে।

এরা সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু কারো পক্ষে না। এরা নিজেদের পক্ষে।

৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এখন চেতনাজীবিদের মুখ টা একটু দেখা যেত!

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


মুখটা এখন দুই ভাবে দেখতে পাবেন ---
১. মুখ ঢাকা মুখ।
২. সুষমা স্বরাজ রাজনৈতিক কারণে এটা বলেছেন।
পরিসংখ্যান ঠিক নাই।
ভুল বলেছেন।
মিথ্যা বলেছেন। অথবা
সুষমা স্বরাজ কখনই এই কথা বলেন নাই ইত্যাদি।

১০| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সুষমা স্বরাজ যা বলেছেন, সেটা সত্যি হলেও হতে পারে। কিন্তু মনে রাখা দরকার, তিনি একজন রাজনীতিবিদ। আর রাজনীতিবিদরা তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে প্রায়শই মনগড়া তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে থাকেন। এই উপমহাদেশে এটা দীর্ঘদিনের প্রচলিত প্র্যাকটিস।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


কিন্তু এটাও মনে রাখা দরকার সুষমা স্বরাজ ইন্ডিয়ান পার্লামেন্টে ওর লোকসভায় এই বিবৃতি দিয়েছেন।
এই লোকসভায় ৫৪৫ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি আছেন, যাদের সামনে তিনি এই বিবৃতি দিয়েছেন।
তিনি কোন জনসভায় বা কর্মী সভায় বা দলীয় সভায় এই বক্তব্য দেন নাই।
এই লোকসভায় বিজেপি সহ ৩৭ টি রাজনৈতিক দলের নির্বাচিত জন প্রতিনিধি আছেন।

আমার জানা মতে এখন পর্যন্ত কেউ আপনারা মত সুষমা স্বরাজের তথ্য পরিসংখ্যানের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ নাই, অথবা এই কথা বলেছেন নাই যে, তিনি রাজনৈতিক স্বার্থে মনগড়া তথ্য পরিসংখ্যান দিয়েছেন।

১১| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৯

অক্পটে বলেছেন: বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বের কাছে সাম্প্রদায়িক, উগ্র, অ-সহিষ্ণু এই ভাবে প্রচার করার দল আছে তারাই এখন সিন্দাবাদের ভুত হয়ে বাংলার জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। ভারত তাদের উপর বেজায় খুশি। ভোটার বিহীন গণতন্ত্র! তার পরও আমাদের দেশ গণতন্ত্রের রোল মডেল।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


সব কথা বিস্তারিত বলার প্রয়োজন হয় না এই কারণে যে, বাংলাদেশের সব মানুষই জানে করা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকদেরকে বিশ্বের কাছে সাম্প্রদায়িক, উগ্র, অ-সহিষ্ণু এই ভাবে প্রচার করে।

বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এও জানে কেন তারা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকদেরকে বিশ্বের কাছে সাম্প্রদায়িক, উগ্র, অ-সহিষ্ণু এই ভাবে প্রচার করে।

কে খুশি কে খুশি না -- এটাও এই পোস্টার আলোচ্য বিষয় না।

বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বিনা অপরাধে, বিনা কারণে যে মিথ্যা অপবাদের বোঝা বয়ে চল ছিল, এই বিবৃতি এই গুরুভার বোঝা কিছুটা লাঘব করবে।

১২| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২১

অক্পটে বলেছেন: সুষমা সরাজ যা বলতে চেয়েছেন তা আসলে বলেছেন আ.লীগ হিন্দুদের জন্য পরিবেশ বান্ধব দল এটাই তার বক্তব্যের মূল থিম।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমাদের লাভ হল, মূল থিম বলতে যেয়ে সত্য কথাটা বেরিয়ে এসেছে।

মূল থিম মূল থিমের জায়গায় থাকুক।

আমাদের সত্যটা হলেই চলবে।

১৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪০

নতুন বলেছেন: বাংলাদেশে বেশির ভাগ স্হানেই হিন্দু/খৃস্টিয়ানরা ভালো আছে...

প্রতিটি শহরেরই পুরাতন ব ব্যবসায়ীরা হিন্দু...

কিছু মানুষের ভারতে আত্বীয় আছে তারা অনেকে ভারতে যায় ।

আর কিছু মানুষ আছে যারা এই বিষয়টাকে অতিরন্জিত করে প্রচার করে /রাজনিতি করে কেটে খায়...

২১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


যেমন ভাল আছে, আবার খারাপও আছে।
এটাই স্বাভাবিক।
যেমন সব মুসলমান ভাল আছে যেমন বলা যাবে না। আবার সবাই খারাপ আছে এও বলা যাবেনা।
ঠিক একই রকম অনেক হিন্দু ভাল আছে আবার অনেকেই খারাপ অবস্থায় আছে।
এটা সব দেশে, সব ধর্মে একই রকম।

আবার ইন্ডিয়া যাওয়াটাও হিন্দু মুসলমান সবার জন্য একই রকম।
যেসব মুসলমান ১৯৪৭ সালে ইন্ডিয়া থেকে চলে এসেছে কিন্তু কিছু আত্মীয়-স্বজন এখনো ইন্ডিয়াতে আছে তারা ইন্ডিয়াতে প্রায়ই যায়। নানান কারণে।
অনুরূপ ভাবে হিন্দুরাও যাওয়া আসা করে।

আমাদের শহরেও অনেক বড় বড় হিন্দু ব্যবসায়ী আছেন এবং বেশ দাপটের সাথেই চলেন।
এখানে হিন্দু মুসলমান কোন সমস্যা না।

১৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০২

এখওয়ানআখী বলেছেন: সত্য কথা শুনতে সবসময় ভাল লাগে। এরপরও বাংলাদেশের কিছু বুদ্ধিজীবির মেরুদন্ড কেন যে তেলাপোকার মত বুঝে আসেনা।

২১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৫২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


সব বুদ্ধিজীবীর মেরুদণ্ড তেলাপোকার মত না।
নানান স্বার্থ, নানা উদ্দেশ্য এর পিছনে কাজ করে।
উদ্দেশ্য এবং কারণগুলি:--
১. মুসলমান এবং ইসলাম বিদ্বেষ।
২. ধর্ম বিদ্বেষ, এরা সব ধর্মেরই বিরোধী। যেহেতু বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান তাই তাদের আক্রমণের বিষয় মুসলমান এবং ইসলাম।
৩. আয় রোজগার।
৪. বিদেশ ভ্রমণ।
৫. রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।
৬. কেউ কেউ শুধুমাত্র ইন্দ্রিয় ভোগ বিলাসের জন্য।
৭. বিবিধ

১৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেশে হিন্দু বাড়লো না কমলো এসব নিয়ে আপনাদের এত উতলা হওয়ার কি আছে?
হিন্দু বৌদ্ধ বুদ্ধিজীবি তেলাপোকা এসব নিয়ে নিয়ে মাথা নষ্ট না করে নিজেকে একজন 'মানুষ' ভাবুন। মানুষকেও মানুষ ভাবুন।

আর বেশী ধার্মিক হয়ে থাকলে ভিন্ন ধর্ম, বুদ্ধিজীবি, তেলাপোকা এসব সমালচনা না করে শুধু নিজের ধর্ম নিয়ে আলোচনা করুন।

২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আপনি ঠিকই বলেছেন দেশে হিন্দু বাড়ল না কমলো এসব নিয়ে আমাদের উতলা হওয়ার কিছু নাই এবং উতলা হওয়া উচিতও না।
হিন্দুর সংখ্যা বেড়েছে এই জন্য উতলা হয় কিন্তু আমি এই পোষ্টটা দেই নি।

আমার পোস্টার উদ্দেশ্য ছিল, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা অপবাদের তথ্য ভিত্তিক জবাব অথবা আরেক অর্থে সঠিক তথ্য পরিবেশন।

আমি আপনার এই কথার সাথেও একমত, নিজেকে একজন 'মানুষ' ভাবুন। মানুষকেও মানুষ ভাবুন।
আমি এই কথাই বলতে চেয়েছি, রামের উপর আক্রমণ হলে "হিন্দুর উপর আক্রমণ" আর আব্দুল করিমের উপর আক্রমণ হলে "মানুষের উপর আক্রমণ" এই ধরণের দ্বিমুখী কথা বলা বন্ধ হওয়া উচিত।

আপনার শেষ বাক্যের জবাবে বিনয়ের সাথে জানিয়ে রাখি, আমি ধার্মিক কিন্তু "বেশি ধার্মিক" না। আল্লাহর নির্দেশ মত, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা আমি পছন্দ করি না। অতীতে অনেক জাতি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে ধ্বংস হয়ে গেছে।

১৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

হাঙ্গামা বলেছেন: হে হে হে......
প্রজনন ক্ষমতা কি খালি হিন্দুদেরই বাড়ছে?
অন্য ধর্মাবলম্বীরা ও সেই তুলনাই সংখ্যায় বাড়ছে কি না সেই উপাত্ত কই?

২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


কি কারণে বাংলাদেশ হিন্দুর সংখ্যা বাড়ছে ইন্ডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সেই কারণটা লোকসভায় তার বিবৃতিতে বলেন নি।

মোট সংখ্যা বৃদ্ধি আর শতকরা হার বৃদ্ধি এক বিষয় না।

আপনার এই কোথাও ঠিক যে, তিনি অন্য ধর্মাবলম্বীদের ব্যাপারে কোনও উপাত্ত দেন নাই।
আমি সবগুলি রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখেছি, এই ব্যাপারে কিছু বলা নেই।

১৭| ২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: একাত্তরে কত ছিল হিন্দুর ভাগ?
উগ্র সাম্প্রদায়িকতা না দেখালে আজ এত কমে গেল কেন? নিজের চোখে জামাত শিবিরের মন্দির ভাঙা দেখেছি। এসব তাহলে ভুলে যাব৷ এসব সাম্প্রদায়িকতা হিন্দুদের দেশ থেকে তাড়ুয়ে দিতে বাধ্য করে

২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমি এই কথাটা বলার জন্যই এই পোষ্টা দিয়েছি যে, বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা বাড়ছে বলে আন্তর্জাতিক সূত্রগুলি বলছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা চলে যাচ্ছে না বরং হিন্দুর সংখ্যা বাড়ছে।

মন্দির ভাঙ্গা নিঃসন্দেহে ইসলাম ধর্মে এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আইনে অপরাধ। যারা মন্দির ভেঙ্গেছে, দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।

মন্দির ভাঙ্গার বিষয়টা ভুলে যাওয়ার মত কোন বিষয় না। মন্দির ভাঙ্গাতে আপনারা মনে যে আঘাত লেগেছে তা আমি উপলব্ধি করতে পারি এবং আমি আপনার সাথে সমব্যথী।

আপনার এই কোথাও ঠিক, কোন কোন সাম্প্রদায়িক ঘটনা কোন কোন হিন্দুকে বিচলিত করে তুলে। তারা ভাবে বাংলাদেশ ছেড়ে কি চলে যাব? কিন্তু তার যায় না এটাই পরিসংখ্যান বলছে। কারণ মোটের উপর বাংলাদেশ পৃথিবীর যে কোন দেশের তুলনায় অসাম্প্রদায়িক দেশ।

১৮| ২১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

ক্স বলেছেন: হিসাবে ভুল আছে। দেশে হিন্দুর সংখ্যা বেড়েছে কারণ গত ১০ বছরে দেশের ইন্ড্রাস্ট্রিগুলো চালানোর জন্য ১২ লক্ষাধিক ইন্ডিয়ান নাগরিককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যাদের ৯৯% হিন্দু। এদের অনেকেই পয়সাপাতি দিয়ে ন্যাশনাল আইডি যোগাড় করে বাংলাদেশি হয়ে গেছে। এছাড়া কিছু শিল্পী অভিনেত্রী এরা হিন্দু ধর্মে বাণিজ্যিক স্বার্থ দেখে হিন্দু হয়ে যাচ্ছে যেমন জয়া আহসান, তানিয়া হোসাইন, চাঁদনী, অপু বিশ্বাস ইত্যাদি। তবে এরা কোন পার্সেন্টেজে আসার মত না।

হিন্দুরা এদেশে ঢুকে যে কেবল চাকরির বাজারই দখল করছে তা না, তারা বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা জমি জমাও বেশ সাশ্রয়ী দামে কিনে নিচ্ছে। অর্থাৎ খুব শিঘ্রী তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি আমাদের নজরে আসতে শুরু করবে আশা করা যায়।

২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


হিসাবে ভুল থাকতেই পারে।
সঠিক হিসাবটা কি আমাদের জানালে ভাল হয়।

ইন্ডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী কিন্তু তার বিবৃতিতে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ার কারণটা বলেন নাই। তিনি শতকরা হিসাবে বৃদ্ধির হারটা শুধু দেখিয়েছেন।

এর বিপরীতে, বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা যে বাড়ে নাই, এই মর্মে কোন তথ্য নাই। তা হলে ইন্ডিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রীর তথ্য এখন পর্যন্ত সঠিক হিসাবে আমরা ধরতে পারি।

আপনি যে কারণ বলেছেন, সেটাও সঠিক হতে পারে। এই ব্যাপারে আমার কোন মন্তব্য এই পোস্টে নাই।

এই পোস্টে আমি শুধুমাত্র দেখতে চেয়েছি, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার করা হয় তা সঠিক না।


১৯| ২১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "দেশে হিন্দু বাড়লো না কমলো এসব নিয়ে আপনাদের এত উতলা হওয়ার কি আছে?"

এইটা নিয়ে বহু মানুষই ভাবে, তাই একে ইগনোর করা যায় না। ড: জাফর ইকবাল শাহরিয়ার কবীর থেকে শুরু করে অনেককেই এই কাতারে পাওয়া যাবে। এতে আমি নিজেও কোন অন্যায় কিছু দেখি না কারন বাংলাদেশ নিয়ে বাংলাদেশীরা সচেতন থাকবে এটাই স্বাভাবিক।


"উগ্র সাম্প্রদায়িকতা না দেখালে আজ এত কমে গেল কেন? নিজের চোখে জামাত শিবিরের মন্দির ভাঙা দেখেছি। এসব তাহলে ভুলে যাব৷ এসব সাম্প্রদায়িকতা হিন্দুদের দেশ থেকে তাড়ুয়ে দিতে বাধ্য করে"

বাংলাদেশ তো আর আদর্শ রাষ্ট্র নয়। এখানে বহু অপকর্ম ঘটে থাকে। মন্দির যেমন ভাংগে, তেমনি মসজিদেও জুতা নিয়ে মারামারি হয়ে থাকে। পার্থক্য হল, যখন এক ধর্মের লোকেরা অন্য ধর্মের উপাসনালয়ে হামলা করে তখনই তা হয়ে যায় বিশাল আশংকার বিষয়, বিশাল খবরের কারন। ক্ষমতাহীনেরা ক্ষমতাশালীদের দাপট দেখবেই। এত কিছুর পরেও হিন্দুদের পূজা অর্চনায় যে বিশাল সমাগম এবং উৎসব হয়ে থাকে তা মোটেও তুচ্ছজ্ঞান করার মত নয়। এর অংশীদার হিন্দু মুসলিম সহ পুরো বাংলাদেশ। কোন জাতির সভ্যতার পরিচয় তাদের সংখ্যালঘু লালনে।

দেশ ত্যাগে মানুষ তখনই উদ্বুদ্ধ হয় যখন সে জানে ভিনদেশে গিয়ে ভাল থাকবে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং আইন শৃংখলা ব্যবস্থা উন্নত হলে দেশ ত্যাগ কমে যাবে। ধর্মীয় স্বাধীনতা মানুষের কাছে কাংখিত তবে তার চেয়েও বেশী মানুষ চায় ভাত কাপড় এবং বেচে থাকার নিশ্চয়তা। সে কারনেই সৌদি আরবের মত দেশ যেখানে ভিন ধর্মীদের কোন ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই, সেখানেও মানুষ যায়।

"এছাড়া কিছু শিল্পী অভিনেত্রী এরা হিন্দু ধর্মে বাণিজ্যিক স্বার্থ দেখে হিন্দু হয়ে যাচ্ছে যেমন জয়া আহসান, তানিয়া হোসাইন, চাঁদনী, অপু বিশ্বাস ইত্যাদি। তবে এরা কোন পার্সেন্টেজে আসার মত না।"

বিয়ের কারনে ধর্মান্তর সব সময়ে ছিল। এরা কোন পার্সেন্টেজে আসার মত নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা ছেলেদের ধর্ম গ্রহন করে থাকে। আমার চারপাশে প্রাক্তন মুসলিম মেয়েদের দেখেছি যারা বিয়ের কারনে ক্রীশ্চান হয়েছে। অন্যদিকে জন্ম থেকে হিন্দু না হয়ে থাকলে কারো পক্ষে হিন্দু হওয়া কঠিন। যার ফলে ধর্মান্তরের পাল্লাটা মুসলিম আর ক্রীষ্টানদের দিকে বেশী। এছাড়া হিন্দু ধর্মে নারীদের কাছ থেকে বেশী দায়িত্ব বোধ আশা করা হয় বলে আমার ধারনা।

২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আপনি প্রথম অনুচ্ছেদে হাসান কালবৈশাখীর ১৫ নং মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন।

এর পর আরণ্যক রাখালের ১৭ নং মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন।

তারপর ক্স এর ১৮ নং মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন।

আপনার মন্তব্যের সাথে আমি একমত।

আমি অবশ্য আগেই এই মন্তব্যগুলি জবাব আমার মত করে দিয়েছি।

২০| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:১০

ক্স বলেছেন: @ উম্মু আব্দুল্লাহ, যে চারজন নারীর কথা বললাম, এদের মধ্যে তানিয়া ও চাঁদনী বৈবাহিক সূত্রে হিন্দু হয়েছে, অপু বিশ্বাস বিয়ে ভাঙার কারণে হিন্দু ধর্মে ব্যাক করেছে। আর জয়া আহসান হিন্দু হওয়াতে কোলকাতার সিনেমায় তার চাহিদা বেড়ে গেছে। এখন নুসরাত হিন্দু হবার চেষ্টা করছে, কিন্তু তার চাহিদা বুঝতে না পারার কারণে রিস্ক নিতে চাইছে না।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের ধর্ম গ্রহণ করে, কথাটা ঠিক না। প্রখ্যাত সুরকার এ আর রহমান সায়রা বানুকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করার পর স্ত্রীর ধর্মে কনভার্ট হয়েছে। গায়ক সুমন চ্যাটার্জী সাবিনা ইয়াসমিনকে বিয়ে করার পর কবীর সুমন হয়েছে। অর্ণব ব্যানার্জী শমী কায়সারকে বিয়ে করার পর রেজোয়ান রশীদ হয়েছে। আবার দেখা যাচ্ছে, সুজান খান, মান্যতা, জরিনা ওয়াহাব, কারিনা কাপুর, শর্মিলা ঠাকুর - এরা কেউই বিয়ের পর ধর্ম পরিবর্তন করেনি। তবে সঞ্জয় দত্ত ও মান্যতার ছেলে শাহরান ও মেয়ে ইকরা মুসলিম হিসেবেই বেড়ে উঠছে।

২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আপনার মন্তব্য মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ের সাথে সরাসরি প্রাসঙ্গিক না হওয়াতে এবং আলোচনা ভিন্ন দিকে চলে যাওয়ার কারণে আমি এই বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম

তবে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

২১| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের ধর্ম গ্রহণ করে, কথাটা ঠিক না। "

আমি আগেই বলেছি জন্ম সূত্রে হিন্দু না হলে পরবর্তীতে হিন্দু হওয়াটা একটু কঠিন। কিন্তু ইসলাম আর খ্রীষ্টান ধর্মের ক্ষেত্রে ঠিক তেমনটি নয়। মুসলিম কিংবা খ্রীষ্ঠান হওয়া বেশ সহজ। কনভার্টদের সাথে কোন বৈষম্য করা হয় না। এতকিছুর পরেও দেখি নারীরা বিয়ের পরে সাধারন ভাবে স্বামীর ধর্ম গ্রহন করে। যেমন ফেরদৌসী মজুমদার, সুলতানা কামাল চক্রবর্তী। আমার পরিচিত বলয়ে অন্তত পক্ষে তিনজন খ্রীষ্ঠান কনভার্ট মেয়ে দেখেছি যারা আগে মুসলিম বিয়ের পরে খ্রীষ্ঠান হয়েছে। অনেকে বিয়ে ভেংগে গেলেও আগের ধর্মে ফিরে যায় নি। মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর বৌরাও ফিরে যায় নি।

যাই হোক, এরকম কনভারশন সাধারনভাবে ডেমোগ্রাফিতে খুব একটা প্রভাব ফেলে না।

২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমি ২০ নং মন্তব্যের জবাবে বলেছে এই মন্তব্যগুলি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ের সাথে সরাসরি প্রাসঙ্গিক না হওয়াতে এবং আলোচনা ভিন্ন দিকে চলে যাওয়ার কারণে আমি এই বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম

তবে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.