নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটাকেই বলে \'অবিলম্ব\'

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭


পুলিশ প্রধান রিচার্ড লী

নিউ হ্যাম্পশায়ারের ছোট্ট এক শহর নাম ক্রয়ডন।
জন সংখ্যা ৭৬৫ জন। একজন পুলিশ নিয়ে ক্রয়ডন পুলিশ ডিপার্টমেন্ট।
একজন পুলিশ, তিনিই পুলিশ প্রধান, তার নাম রিচার্ড লী।
গতকাল (ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০) ক্রয়ডন টাউন বোর্ডের সভায় ক্রয়ডন পুলিশ ডিপার্টমেন্ট বিলুপ্তির আচমকা সিদ্ধান্ত হয় এবং পুলিশ প্রধান রিচার্ড লীকে বলা হয় তার পেট্রোল কারের চাবি, ইউনিফর্ম ইত্যাদি অবিলম্বে বুঝিয়ে দিতে।
মিটিং তখনো চলছিল কিন্তু এই সিদ্ধান্ত হওয়ার সাথে সাথে পুলিশ প্রধান রিচার্ড লী তার গাড়ির চাবি বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করে, এবং তার ইউনিফর্ম খুলে টেবিলের উপর রেখে শুধুমাত্র আন্ডারওয়্যার পরে তুষার ঢাকা শীতের রাতে পায়ে হেটে বাসার দিকে রওনা হয়।
বোর্ড মেম্বাররা অবাক হয়ে রিচার্ড লীকে জিজ্ঞাসা করে, "লী তুমি কি করছ?"
লী উত্তরে বলে, "তোমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছ পুলিশ ডিপার্টমেন্ট বিলুপ্তির এবং পেট্রোল কারের চাবি, ইউনিফর্ম ইত্যাদি অবিলম্বে বুঝিয়ে দিতে। একটাকেই বলে 'অবিলম্ব'
এই কথা বলে প্রাক্তন পুলিশ প্রধান রিচার্ড লী আন্ডারওয়্যার পরে কনকনে শীতের রাতে মিটিং থেকে বের হয়ে যায়।
এর মধ্যে কে যেন তার বউকে খবর দিয়েছে। বউ শুধুমাত্র আন্ডারওয়্যার পরা প্রাক্তন পুলিশ প্রধানকে রাস্তা থেকে তুলে বাসায় নিয়ে যায়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: লী তো ভালো মানুষ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


এই জন্যই তো তাকে আন্ডারওয়্যার পরে শীতের রাতে চলে যেতে হয়েছে।
সে ওই শহরের পুলিশ প্রধান।
পুলিশ ডিপার্টমেন্ট যে বিলুপ্ত করা হবে তা তাকে আগে থেকে জানানো উচিত ছিল।
এমন কি ওই মিটিংয়ের এজেন্ডাতেও এটা ছিল না।

সাহসী এবং ন্যায়বান লোক।
সে চিন্তা করেছে, তারা যখন তাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করে নাই, ঠিক আছে।
আবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে "অবিলম্বে", তাহলে আর দেরি কেন?

এই নেয়, তোর গাড়ী, তোর পোশাক।

আমি চললাম।

শীতের রাত। তাতে কি?

নীতির সাথে আপোষ নাই।

সাহস নাই বলেই অধিকাংশ মানুষ নানা যুক্তি খাড়া করে নীতির সাথে আপোষ করে।

এই ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যুক্তি হতে পারতো--
১. ঠিক আছে, বিলুপ্তি সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে সরকারি ভাবে চিঠি পাই।
২. অবিলম্বে মানে এই নয় যে এখনই দিয়ে দিতে হবে।
৩. গাড়ি ছাড়া শীতের রাতে বাসায় যাব কি ভাবে?
৪. এখন ড্রেসটা খুলে দিলে কি পরে বাসায় যাব?
৫. কম করে এক মাস সময় দিবে তো গুছানোর জন্য।
৬. আমি চলে গেলে শহরে কোনো পুলিশ থাকবে না, শহর পাহারা দিবে কে? (এটা জনসমর্থন নেয়ার কায়দা)
৭. মানুষকে অরক্ষিত রেখে আমি চলে যেতে পারি না। (আবেগ সঞ্চার করে টিকে থাকার কায়দা)
৮. আরো অনেক যুক্তি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.