নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিদিন সুখী থাকার জন্য ছোট ছোট কয়েকটি কাজ

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৩



১. ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে নরম আলোটা কিছুক্ষণ উপভোগ করুন। সূর্যের নরম আলো আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে, এবং আপনার মেজাজ ফুরফুরে করবে। সেরোটোনিন হরমোন নিঃসরণের ফলে কাজে মনোযোগ বেড়ে যাবে। মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণের ফলে আপনার দেহ ঘড়ি (circadian rhythm) ঠিকঠাক মত চলবে। সারাদিন মনের ফুর্তিতে কাজ করতে পারবেন এবং দিনের আলো নিভে গিয়ে রাতের আঁধার নেমে আসার সাথে সাথে ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসবে। আরো কিছু বাড়তি উপকার পাবেন যেমন, হতাশা এবং উদ্বেগ কমে যাবে এবং সেই সাথে ব্লাড প্রেশারও কমবে।



২. খুব ছোটো একটা ব্যায়াম করুন। মাত্র ৫ মিনিটের ব্যায়াম। মাত্র ৫ মিনিট হাঁটুন, সেই সাথে হাত দুটা কয়েকবার উপরে উঠান-নামান, তারপর কয়েকবার এক পায়ে দাঁড়ানোর ব্যাল্যান্স করুন, প্রথমে এক পা তারপর অপর পা। এই ছোট ছোট ব্যায়ামে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরণ হয়, ফলে মানসিক চাপ কমে যায়।



৩. আপনার ড্রয়ারটা একটু গুছান। খুব ছোট একটা কাজ কিন্তু মনে অনেক বড় প্রশান্তি নিয়ে আসে। বিশেষ করে যারা এক জায়গায় থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছেন, আর ভাল লাগছে না। খুব ছোট এই কাজটা করুন। দেখুন, আপনার ড্রয়ারটা ছোট ছোট কাগজ এবং নানা জিনিস দিয়ে ভরে আছে। বসে বসে এইগুলি গুছান। যা যা দরকার নেই ফেলে দিন। বাকিগুলি গুছিয়ে রাখুন। এইভাবে আপনার ক্লোজেট, আলমারি, বুকশেলফ ইত্যাদি গুছাতে পারেন। করে দেখুন খুব হালকা লাগবে। মনে হবে অনেক বড় বোঝা নেমে গেছে। মুক্ত বিহঙ্গের মত মনে হবে।



৪. অনেক দিন যোগাযোগ নাই এমন মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করুন। স্কুল, কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতে একসাথে পড়েছেন, বা একসময় একসাথে কাজ করেছেন, বা আত্মীয় বা একসময় প্রতিবেশী ছিলেন কিন্তু অনেক দিন কোন যোগাযোগ নাই। জাস্ট তার ফোন নাম্বার যোগাড় করে ফোন করে খুঁজে খবর নেন।

৫. দলবদ্ধ ভাবে কিছু কাজ করুন। একক ভাবে একজনের সাথে মিশার চাইতে একটা দলের সাথে মিশা সুবিধাজনক। যেমন ধরুন, আপনি প্রতিদিন একজনের সাথে পার্কে হাঁটেন। সে যদি অসুস্থতা বা অন্যকোন কারণে আসতে না পারে তা হলে আপনার হাঁটাটাও ব্যাহত হবে। কিন্তু যদি একটা দলের সাথে প্রতিদিন হাঁটেন তা হলে দলের একজন-দুইজন না আসলেও আপনার হাঁটা ব্যাহত হবে না। আপনি কখন একাকীত্ব বোধ করবেন না। একত্রে একটা গ্ৰুপের সাথে মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারেন।



৬. কম পক্ষে পাঁচ মিনিট মেডিটেশন করুন। উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, ভাবনা, আশঙ্কা, সন্দেহ বা ভয় অথবা কোন নেগেটিভ চিন্তা যখন মনকে আচ্ছন্ন করে ফেলে তখন মাত্র পাঁচ মিনিটের এই মেডিটেশন আপনারা মনকে আক্ষরিক অর্থেই পরিষ্কার করে দিবে। মেডিটেশন হচ্ছে মনের ব্যায়াম। মনের এই ব্যায়ামটি শারীরিক এবং মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: পকেটে ভরতি টাকা থাকলে এরকম করা যায়।
যার টাকা নেই সে এসব করতে পারে না। তার ভাতের চিন্তা করতে করতেই রাত হয় ভোর। এত ঢং করার সময় কই?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



লো ব্লাড প্রেশার আর হাই ব্লাড প্রেশারের রুগীর ওষুধ এক না।
এটা বুঝার জন্য বড় ডাক্তার হওয়ার দরকার নাই।
সাধারণ বুদ্ধি থাকলেই বুঝা যায়।

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৪

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: পড়লাম। চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
চেষ্টা করবেন শুনে বেশ ভাল লাগছে।

এইগুলি আসলে জীবনযাপনের বিজ্ঞান।

এগুলি স্কুলে কলেজে শেখানো উচিত।

যেকোনো জিনিস কষ্ট করে শিখতে হয়।
তারপর অনুশীলন করে করে আয়ত্তে আনতে হয়।

আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিভি দেখি। কিন্তু ৫ মিনিট ব্যায়াম করতে বিরক্ত হই।

আমি আমার জীবনে দেখেছি ভাল কাজ করতে অনেক বাঁধা আসে। জোর করে এবং কষ্ট করে এই বাধা অতিক্রম করতে হয়। একবার যদি এই বাঁধা অতিক্রম করতে পারেন, তারপর সোজা।

৪০ দিন শত বাধা সত্ত্বেও এই অভ্যাসগুলি চালিয়ে যান।
অনেক রকম বাধা আসবে।

প্রথম আসবে প্রাকৃতিক বাধা। যেমন-বৃষ্টি, ঝড়, অনেক গরম, অনেক ঠাণ্ডা ইত্যাদি। মন বলবে (আসলে শয়তান) একদিন ব্যায়াম না করলে কিছু হবে না। শুয়ে আরো একটু ঘুমাও। শয়তান যদি একদিন অনুশীলনী বাদ দেয়াতে পারে, তা হলেই সে সফল। আপনি এই অভ্যাস আর চালিয়ে যেতে পারবেন না।
এই ক্ষেত্রে কি করবেন, জোরে জোরে বলবেন, শয়তান তোকে আমি চিনি। তোর থেকে আমি শক্তিশালী। তোকে দিয়ে আমার পায়ে সেজদা করাবো । এই কথা বলতে বলতে এক লাফে বিছানা থেকে উঠে আপনার কাজে লেগে যাবেন।

দ্বিতীয় বাধা আসবে সমস্যার আকারে। নানান সমস্যা সামনে এসে দাঁড়াবে। মনে হবে (আসলে শয়তান) আজকে ব্যায়াম করার কোন দরকার নেই। ওই (সমস্যা) কাজটা আগে করি। ব্যায়াম কালকে করা যাবে। এই ক্ষেত্রে কি করবেন, জোরে জোরে বলবেন, শয়তান তোকে আমি চিনি। তোর থেকে আমি শক্তিশালী। তোকে দিয়ে আমার পায়ে সেজদা করাবো। এই কথা বলতে বলতে ব্যায়াম বা মেডিটেশন ইত্যাদি শুরু করে দিবেন।

তৃতীয় বাঁধ আসবে নিজের এবং অন্যদের কাছ থেকে নেগেটিভ মন্তব্য। দুই তিনদিন বা কিছু দিন অনুশীলন করার পর মনে হবে (আসলে শয়তান), ধুর! এইগুলি খামাখা। এইসব করে কিছু হয় না। এইরকম অনেক মন্তব্য অনেকের কাছেই শুনবেন। এই ক্ষেত্রে কি করবেন, মনে মনে বলবেন, শয়তান তোকে আমি চিনি। তোর থেকে আমি শক্তিশালী। তোকে দিয়ে আমার পায়ে সেজদা করাবো। খামাখা, না? এই খামাখা কাজ আমি বেশি করে করবো। তোর কি?

যত দিন যেতে থাকবে তত শয়তান পিছু হটতে থাকবে। বাধা ধীরে ধীরে কমে আসতে থাকবে। ৪০ দিন পর শয়তান সম্পূর্ণ ভাবে পরাজিত হবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে শয়তান পরাজিত হলেও সে হাল ছাড়ার পাত্র না। আপনার যে কোন দুর্বল মুহূর্তের অপেক্ষায় থাকবে। একদিন যদি অনুশীলন থেকে সরাতে পারে তারপর দ্বিতীয় দিনের অপেক্ষায় থাকবে। দ্বিতীয় দিন সফল হলে। তৃতীয় দিনের মাথায় আপনাকে সম্পূর্ণ পরাস্ত করবে।

আমি যে বিষয়গুলির কথা বলেছি তা অনেকেই জানে। কিন্তু পালন করতে পারে না কেন? ওই শয়তানের কারণে।

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: সাধারণ বুদ্ধি আর অসাধারন বুদ্ধি।
অসাধারন বুদ্ধিওয়ালারা ভালো থাকুক।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"সাধারণ বুদ্ধি আর অসাধারন (sic) বুদ্ধি।
অসাধারন (sic) বুদ্ধিওয়ালারা (sic) ভালো থাকুক।"

সাধারণ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষরা ভাল থাকলেই অসাধারণ বুদ্ধিমান মানুষরা ভাল থাকবে।
আসলে আমাদের অসাধারণ বুদ্ধিমান মানুষের দরকার খুব একটা নাই।
আমাদের দরকার অনেক সাধারণ বুদ্ধিমান মানুষ।
সাধারণ বুদ্ধিমান মানুষরাই সাধারণ বিষয়গুলি সাধারণ ভাবে বুঝতে পারে।
আর অসাধারণ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষরা একটা সাধারণ বিষয়কে অকারণে অসাধারণ বিষয় হিসাবে দেখে।

ভাল থাকেন, সুখে থাকেন এই কামনা।

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: কথা হলো এর একটাও আমি করিনা। হাহাহা।
তবে করা উচিত। আসলে সুখে থাকার জন্য ভাবনাটা গুরুত্বপূর্ণ। যে যেখানেই যে অবস্থায় থাকুক, নিজে সুখে আছে মনে করলেই সুখ। এছাড়া সুখ সম্ভব নয়। কারণ অনেক বড় বড় মানুষকে দেখেছি, তারা সুখে নেই। অথচ তাদের অবস্থানের এক বিন্দু পেলেও অগণিত মানুষ সুখী হতো।
ধন্যবাদ। পোস্টটি ভাবনার উদ্রেক করে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"কথা হলো এর একটাও আমি করিনা। হাহাহা।
তবে করা উচিত।"
সরল স্বীকারোক্তির জন্য ধন্যবাদ।

"আসলে সুখে থাকার জন্য ভাবনাটা গুরুত্বপূর্ণ।"
এই "ভাবনাটা" সহজে আসবে না এবং সবার মাঝে আসে না।
এই "ভাবনাটা" কতগুলি হরমোনের খেলা।
হরমোন আপনার মনের সাথে খেলে।
আপনাকেও হরমোনের সাথে খেলতে হবে।

"যে যেখানেই যে অবস্থায় থাকুক, নিজে সুখে আছে মনে করলেই সুখ। এছাড়া সুখ সম্ভব নয়।"
কিছু কিছু হরমোন আছে "সুখে আছি" এটা মনে করতে দিবে না।
আবার কিছু কিছু হরমোন আছে "সুখে আছি" মনে করিয়ে দিবে।
যে অনুশীলনীগুলির কথা বলা হয়েছে, এইগুলি করলে "সুখে আছি ভাবনার" হরমোনগুলি কার্যকর হবে।

"কারণ অনেক বড় বড় মানুষকে দেখেছি, তারা সুখে নেই।"
কারণ অনুশীলনীর অভাবে "সুখে আছি ভাবনার" হরমোনগুলি তাদের শরীরে সুপ্ত অবস্থায় আছে।

"অথচ তাদের অবস্থানের এক বিন্দু পেলেও অগণিত মানুষ সুখী হতো।"
আপনার সবগুলি কথার সাথে একমত হলেও এই কথার সাথে দ্বিমত করছি।
যদি "সুখে আছি ভাবনার" হরমোনগুলি সুপ্ত অবস্থায় থাকে তাহলে "এক বিন্দু" না, হাজার বিন্দু বা লক্ষ বিন্দু পেলেও সুখী হবে না।
ঐযে ঐ "বড় মানুষটা" সে তো অনেক কিছুর মালিক কিন্তু সে তো সুখে নাই।
কেন সুখে নাই?
সুখে নাই কারণ "সুখে আছি ভাবনার" হরমোনগুলি তার দেহে সুপ্ত অবস্থায় আছে।

"পোস্টটি ভাবনার উদ্রেক করে।"
পোস্টটি যে আপনার ভাবনার উদ্রেক করেছে, তাতেই আপনি একধাপ এগিয়ে গেছেন।

এই ভাবনাকে কাজে লাগান এবং সুখে থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.