নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিসংখ্যানে করোনাভাইরাস (2019-nCoV)

১০ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩



উহান নভেল করোনা ভাইরাস (2019-nCoV) নিয়ে আতংকিত হবেন না।
শুধু সতর্ক থাকুন, স্বাস্থ্যকর নিয়ম নীতি মনে চলুন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন।



কেন আতংকিত হবেন না?
নিচের পরিসংখ্যান গুলি দেখলেই বুঝতে পারবেন।



করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার ২%
সার্স (SARS সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ভাইরাসে মৃত্যুর হার ৯.৬%
মার্স (MERS-CoV মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ভাইরাসে মৃত্যুর হার ৩৪%
সুয়াইন ফ্লুতে মৃত্যুর হার ০.০২%

তবে সাউথ কোরিয়ায় হিসাবে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার ২% ও কম। কোরিয়াতে আক্রান্ত রুগীর সংখ্যা ৭,৩১৩ জন। তারমধ্যে মারা গেছে ৫০ জন। সেই হিসাবে মৃত্যুর হার ০.৬৮%.
মনে করা হচ্ছে কোরিয়ার পরিসংখ্যান সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। কারণ কোরিয়া শুরু থেকেই কঠোর ভাবে প্রতিটা রুগীকে মনিটর করেছে।



আরো কিছু পরিসংখ্যান:
মোট আক্রান্ত: ১,১৬,০৫৯ জন
মারা গেছে: ৪,০৮৯ জন
সুস্থ হয়ে গেছে: ৬৪,৬৩০ জন।



দেশ হিসাবে পরিসংখ্যান:
চীন: আক্রান্ত ৮০,৭৬১; সুস্থ হয়ে গেছে ৬০,১১৩; মারা গেছে ৩,১৩৬
ইতালি: আক্রান্ত ৯,১৭২; সুস্থ হয়ে গেছে ৭২৪; মারা গেছে ৪৬৩
ইরান: আক্রান্ত ৮,০৪২; সুস্থ হয়ে গেছে ২,৭৩১; মারা গেছে ২৯১
তারপর
চতুর্থ স্থানে দক্ষিণ কোরিয়া; পঞ্চম স্থানে স্পেন; ষষ্ঠ স্থানে ফ্রান্স; সপ্তম স্থানে জার্মানি; অষ্টম স্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইত্যাদি।

আক্রান্তের ধরণ:
৮০.৯% মৃদু আক্রমণ। সাধারণ ফ্লু এর মত। বাসায় বিশ্রাম নিলেই ভাল হয়ে যাবে।
১৩.৮% মারাত্মক আক্রমণ। নিউমোনিয়া এবং শ্বাস কষ্টে আক্রান্ত হতে পারে।
৪.৭% সংকট জনক। রেসপিরেটরি ফেইলিউর, সারা শরীরে ইনফেকশন (septic shock) এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ একই সাথে আক্রান্ত হবে।



বয়স হিসাবে মৃত্যুর হার:
৮০ + বয়স মৃত্যুর হার ১৪.৮%
৭০-৭৯ বয়স মৃত্যুর হার ৮.০%
৬০-৬৯ বয়স মৃত্যুর হার ৩.৬%
৫০-৫৯ বয়স মৃত্যুর হার ১.৩%
৪০-৪৯ বয়স মৃত্যুর হার ০.৪%
৩০-৩৯ বয়স মৃত্যুর হার ০.২%
২০-২৯ বয়স মৃত্যুর হার ০.২%
১০-১৯ বয়স মৃত্যুর হার ০.২%
০-৯ বয়স মৃত্যুর হার নাই।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভাইরাসের আক্রমণের ফলে মানুষ অসুস্হ হচ্ছে; আপনি বলছেন, সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতে!

যারা করোনায় মারা গেছেন, তারা কি সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ ছিলো না?
আমার মনে হয়, এগুলো ইডিওটিক ভাবনাচিন্তা যা করোনা নিয়ে পোষ্টে আসার কথা নয়।

১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"ভাইরাসের আক্রমণের ফলে মানুষ অসুস্হ হচ্ছে; আপনি বলছেন, সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতে!"

আমি ৩টা করণীয় কাজের কথা বলেছি।
প্রথমত: সতর্ক থাকুন;
দ্বিতীয়ত: স্বাস্থ্যকর নিয়ম নীতি মনে চলুন; এবং
তৃতীয়ত: সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন।

আপনি প্রথম দুইটি উপদেশের কথা একেবারেই উল্লেখ না করে তৃতীয়টায় চলে গেছেন।
প্রথম দুইটি উপদেশ নিয়ে আলোচনা করার পর তৃতীয়টা নিয়ে আলোচনা করলে বুদ্ধিবৃত্তিক সততার পরিচয় পাওয়া যেত।
তারপরেও আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

"যারা করোনায় মারা গেছেন, তারা কি সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ ছিলো না?"

যারা মারা গেছেন তারা হয়তো সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ ছিল অথবা ছিল না।
আমি জানি না।

আমি কিন্তু কোথাও এই কথা বলি নাই, "আমি যে ৩টা পরামর্শ দিয়েছি তা মানলে বা পালন করলে কেউ মারা যাবে না।"
সুতরাং যারা করোনায় মারা গেছেন, তারা সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ ছিলো কি ছিল না--এই প্রশ্ন অবান্তর।

"আমার মনে হয়, এগুলো ইডিওটিক ভাবনাচিন্তা যা করোনা নিয়ে পোষ্টে আসার কথা নয়।"

আপনার বিবেচনায় "এগুলো ইডিওটিক ভাবনাচিন্তা"
আপনার বিবেচনা বোধ নিয়ে আমি এখানে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করতে চাই না।
প্রতিটা মানুষের চিন্তা এবং বিবেকের স্বাধীনতায় আমি বিশ্বাস করি।

যেকোনো বিষয়ে আপনি মতামত দিতে পারেন। তবে অনুরোধ থাকবে ভাষা এবং শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে অন্যের অধিকারকে সম্মান করার জন্য।

মতামত প্রদানের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশের পরিসংখ্যান বহির্বিশ্ব কেউ বিশ্বাস করতে চাইছে না। এক বিদেশী কলিগ আজ জানতে চাইল যে, বাংলাদেশে সংখ্যাটা এত কম এবং তিনজনেই আটকে আছে কিভাবে? আমতা আমতা করে তাকে বললাম যে আসলে আমাদের দেশে এখন খুব গরম, তাই ছড়াতে পারেনি। এতে করে সে বলল যে মিডলইস্ট, মালয়েসিয়া, সিঙ্গাপুরওতো গরম দেশ। আর কিছু খুজে না পেয়ে বললাম যে , আমাদের দেশের মানুষ জ্বর টরকে এত পাত্তা দেয় না। অতি সচেতন সেই বিদেশি কিছুটা হতবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল!

১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



যারা সব সময় সব ইস্যুতে অসত্য কথা বলে তাদেরকে অন্যরা বিশ্বাস করবে না এটাই স্বাভাবিক।
তবে বিশ্ব সূত্রগুলি বাংলাদেশে ৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। তবে কেউ মারা যায় নাই।

আপনি যদি এশিয়ার অনন্যা দেশগুলি পরিসংখ্যান দেখেন তা হলে অবিশ্বাস করার কিছু নাই।
যেমন মালদ্বীপে ৩ জন, নেপাল, শ্রীলংকা এবং ভুটান ১ জন করে। বিপুল জনসংখ্যার দেশ ইন্ডিয়াতে মাত্র ৫৬ জন, পাকিস্তানে ১৮ জন।

আমি জানিনা, বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন। তবে আপনি যে কারণটা বলেছেন, সেটা হতে পারে। অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ার আবহাওয়ায় হয়তো করোনা ভাইরাস বেশি সক্রিয় হতে পারে না।

৩| ১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পীড়াদায়ক ।

১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"পীড়াদায়ক।"

কোন জিনিসটা পীড়াদায়ক বুঝিয়ে বলুন।

৪| ১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: পরিসংখ্যান দিয়ে লাভ নাই।
ভাইরাস পরিসংখ্যান দেখে না। বুঝে না।

১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"পরিসংখ্যান দিয়ে লাভ নাই।"

পরিসংখ্যাকে অনেক লাভ।
একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে গবেষণা করার জন্য এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পরিসংখ্যানের প্রয়োজন হয়।


"ভাইরাস পরিসংখ্যান দেখে না। বুঝে না।"

এই কথার সাথে আমি একমত।
তাই এই লেখাটা আমি ভাইরাসের উদ্দেশ্যে লিখি নাই।
শুধু মানুষের উদ্দেশ্যে লিখেছি।

৫| ১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৮

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: ভ্যাকসিন আবিস্কারের খবর টবর থাকলে সেটি ও জানান। এটির অগ্রগতি কি ?

১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়েছে।
মানব দেখে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে।

তবে ২০২১ সালের আগে বাণিজ্যিক ভাবে বাজারে আসবে না।
কারণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে সময় লাগবে।

৬| ১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ, অনেক ধন্যবাদ।

১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



আপনাকেও ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন:

আপনার পোস্টে দেওয়া তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১,১৬,২৪৪। মারা গেছেন ৪০৮৯ বা (৩.৫২%)। সুস্থ হয়েছেন ৬৪,৬৩৩ বা (৫৫.৬৩%)।
এবং আক্রান্ত আছেন প্রায় ৪১%।
সুতরাং মৃত্যুর হার ৩.৫২%। ২% বলাটা সঠিক নয়।

অবশ্য এখন পর্যন্ত অনেক দেশে আছে, যেগুলোতে সংক্রামিত মানুষের সংখ্যা ১০০০ অতিক্রম করলেও মৃত্যুর হার ১% এর নিচে। জার্মানিতে গতকাল পর্যন্ত মৃত্যুর হার ছিলো ০.০০%।


চীনে ৮০,০০০ মানুষ সংক্রামিত হলেও মৃত্যুর হার ৩.৯%; ৭৫% মানুষ সুস্থ হয়ে গেছে; ২১.১% মানুষ অসুস্থ আছে। এবং নতুন করে খুব কম সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।
কিন্তু ইতালির অবস্থা ভয়াবহ। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছে ৯,১৭২ জন। সুস্থ হয়েছে মাত্র ৭%। মারা গেছে ৫%। অসুস্থ আছে ৮৮%। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে।
ইরানের অবস্থাও প্রায় ইতালির মতো।

সুতরাং, বুঝা যাচ্ছে সতর্কতার সাথে সময় থাকতে ব্যবস্থা না নিলে আমাদের দেশের মতো দেশগুলোর অবস্থা ভয়াবহ খারাপ হতে পারে। আমাদের দেশে এখনই স্কুল, কলেজ, মিছিল, মিটিং জনসমাগম কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখার দরকার। এইদেশে পর্যাপ্ত সরকারি হাসপাতাল নেই, থাকলেও হাজার মানুষকে রাখবার ব্যবস্থা নেই। গ্রামগঞ্জের বাড়িতেও আক্রান্ত ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণে রাখবার ব্যবস্থা নেই।

১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"আপনার পোস্টে দেওয়া তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১,১৬,২৪৪। মারা গেছেন ৪০৮৯ বা (৩.৫২%)। সুস্থ হয়েছেন ৬৪,৬৩৩ বা (৫৫.৬৩%)। এবং আক্রান্ত আছেন প্রায় ৪১%। সুতরাং মৃত্যুর হার ৩.৫২%। ২% বলাটা সঠিক নয়।"

আসলে আপনার হিসাব ঠিক আছে। মৃত্যু হার ২% এটা ঠিক না। এটা ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) পূর্বাভাস। পরিসংখ্যানের জন্য দুইটা সূত্র ব্যবহার করাতে এই গড়মিল হয়েছে।
২% হিসাবটা একটু আগের অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের। আমি এই সূত্রটি ব্যবহার করেছিল অন্য ভাইরাসের সাথে মৃত্যু হার তুলনা করার জন্য। ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

"অবশ্য এখন পর্যন্ত অনেক দেশে আছে, যেগুলোতে সংক্রামিত মানুষের সংখ্যা ১০০০ অতিক্রম করলেও মৃত্যুর হার ১% এর নিচে। জার্মানিতে গতকাল পর্যন্ত মৃত্যুর হার ছিলো ০.০০%।"

জার্মানিতে আক্রান্ত ১,৩১৭ তার মধ্যে ২ জন মারা গেছে।
চীনে ৫ মার্চ ১৪৩ জন, ৬ মার্চ ৯৯ জন, ৭মার্চ ৪৪ জন এবং ৮ মার্চ ৪০ জন নতুন আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। আর মৃত্যু ৫ থেকে ৮ মার্চ যথাক্রমে ৩০, ২৮, ২২, ১৭ জনে নেমে এসেছে।

কিন্তু ইতালিতে ৫ থেকে ৯ মার্চ যথাক্রমে ৭৬৯, ৭৭৮, ১২৪৭, ১৪৯২, ১৭৯৭ জন নতুন আক্রান্তের হয়েছে। আর মৃত্যু ৫ থেকে ৯ মার্চ যথাক্রমে ৪১, ৪৯, ৩৬, ১৩৩, ৯৭ জন। তারমধ্যে ৮ মার্চ সর্বোচ্চ ১৩৩ জন মারা গেছে।

ইরানের অবস্থায় ইতালির মত। ৫ থেকে ৯ মার্চ যথাক্রমে ৫৯১, ১২৩৪, ১০৭৬, ৭৪৩, ৫৯৫ জন নতুন আক্রান্তের হয়েছে। তবে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা একটু একটু করে নিচের দিকে নামছে। আর মৃত্যু ৫ থেকে ৯ মার্চ যথাক্রমে ১৬, ১৬, ২১, ৪৯, ৪৩ জন। তারমধ্যে ৮ মার্চ সর্বোচ্চ ৪৯ জন মারা গেছে।

৮| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হুম। ইতালির অবস্থা ভয়াবহ।

বেশি জনসংখ্যার দেশে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। স্কুল-কলেজ বন্ধ করবে কি না এটা নিউএ আমাদের শিক্ষামন্ত্রণালয় আজ মিটিং করল। কিন্তু বন্ধ করলো না। মনে হচ্ছে তারা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অপেক্ষা করছে।
অবশ্য ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে এইদেশের ব্যবসায়ীগুষ্টি ব্যবসা করতে পারবে।

১১ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



ইতালির অবস্থা আসলেই ভয়াবহ।
গতকাল ১০ মার্চ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৯৭৭ জন এবং মারা গেছে ১৬৮ জন। এটা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু সংখ্যা।

যেহেতু স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ ভাবে সঠিক তথ্য জানার কোন ব্যবস্থা নাই সেহেতু কি ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে সেই ব্যাপারে কোন সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। সরকারি ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বলা হয়েছে ৩ জন, সেই ক্ষেত্রে যে স্থানে বা এলাকায় সনাক্ত হয়েছে শুধু সেই এলাকাকে লক আউট করে সংক্রমণ রোধ করা যাবে। আর ওই ৩ জনের গতিবিধির তালিকা নিতে হবে। গত ৪৫ দিনে তারা কোথায় কোথায় গিয়েছে এই তথ্য নিতে হবে।

আরেকটা করা যেতে পারে সিঙ্গাপুরের মত। সিঙ্গাপুরে ১৬৬ জন আক্রান্ত হয়ে ছিল। এখন নতুন করে আর কেউ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায় নাই। সিঙ্গাপুরে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, সব ধরণের জন সমাবেশ, মিটিং, কনফারেন্স, সেমিনার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সব জায়গায় পোস্ট বসিয়ে পথচারীদের পাইকারি হরে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সরকারি ভাবে হ্যান্ড সেনেটাইজার সরবরাহ করা হয়েছে। পাবলিক প্লেসে সবাইকে সেনেটাইজার ব্যবহার করতে হবে। ইত্যাদি। এতে সংক্রমণ কমে এসেছে।

আর কোথায় আছে না, কারো পউষ মাস, কারো সর্বনাশ।

৯| ১১ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৪৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার তথ্যে ভুল আছে | করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হার প্রায় ৪% এর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে | সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দ শুরু হয়েছে যার প্রভাব সবার জীবনেই পড়ছে | যে সকল বাংলাদেশী শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার পথে আটক পড়েছেন তাদের কথা ভাবুন, তারা তাদের সব কিছু খুয়ে এখন পথে বসার অবস্থা | করোনাকে হালকা ভাবে দেখা বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসন যন্ত্রের মোটেই উচিত হবে না | বরং সম্ভাব্য সকল রকমের দুর্বিপাকের কথা চিন্তা করে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে |

১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"আপনার তথ্যে ভুল আছে। করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হার প্রায় ৪% এর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।"

আমার তথ্যে ভুল আছে, এই কথা না বলে যদি বলতেন, আপনার তথ্য হাল নাগাদ না, তা হলে ঠিক ছিল।
আমি যে তথ্য দিয়ে ছিলাম তার কোন কোন তথ্য হাল নাগাদ ছিল না।
কারণ প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন তথ্য আসছে।
যেমন গত কালের তথ্যের সাথে আজকের তথ্য মিলবে না।
গত কাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,১৬,২৪৪ আর আজ এখন ১,২১,৩১২ জন।
মৃত্যু গতকাল পর্যন্ত ৪,০৮৯ এখন ৪,৩৭৯ জন।
এই মুহূর্তের হিসাবে মৃত্যুর হার ৩.৬%

অর্থনীতির মন্দার প্রভাব সবার উপরেই পরবে। শুধু শ্রমিক না অনেক মালিকও বিপর্যয়ের মধ্যে পরবে।
যার চোখ নাই সে কোন জিনিসকেই দেখতে পায় না, হালকা ভাবেও না গভীর ভাবেও না।

১০| ১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

নতুন বলেছেন: এই ভাইরাসের চেয়ে সাধারন ফ্লুতেই কিন্তু আরো বেশি মানুষ আক্রান্ত এবং মারা যাচ্ছে কিন্তু মানুষ করোনার দিকে তাকিয়ে আছে তাই এটাকেই বেশি ভয় পাচ্ছে।

গত বছর সাধারন ফ্লুতে কত মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলো? <<< প্রায় ১ বিলিওন মানুষ

মারা গেছে? কত? ২-৩ লক্ষ মানুষ সারা বিশ্বে মারা গেছে...

কিন্তু এখন সোসাল মিডিয়ার কারনে এই ভীতি বিশ্বে অথ`নৈতিক মন্দা শুরু করেছে।

কোটি মানুষ এই কারনে ভুগান্তির শিকার হবে। হাজারো মানুষের চাকুরী যাবে, ব্যবসায়ীরা পথে বসবে...

১ মাসের জন্য সকল রকমের সোসাল মিডিয়া বন্ধ করা দরকার। আজ থেকেই বন্ধ করা দরকার। নতুবা রিসেসনে বিশ্ব আক্রান্ত হবে সেটা ঠিক হতে কয়েক বছর লাগবে।

১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এক রিপোর্টে বলেছে, ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ মাত্র ৫ মাসে আমেরিকাতে ৪ কোটি ৯০ লক্ষ লোক ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে। এই আক্রান্তদের ২ কোটি ৩০ লক্ষ জন ডাক্তার দেখিয়েছেন, তারমধ্যে ৬ লক্ষ ২০ হাজার জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। তারমধ্যে ৫২ হাজার মারা গেছে।
এই পর্যন্ত পরিসংখ্যান ঠিক আছে

এখন প্রশ্ন হচ্ছে মৃত্যুর হার নিয়ে সংখ্যা নিয়ে নয়।
কোন কোন বিশেষজ্ঞ বলছেন করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার ফ্লু থেকে বেশি। এটা ভয়ের।
আবার কোন কোন বিশেষজ্ঞ বলছেন এই হার খুব বেশি হবে না। কারণ আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা পাওয়া যায় নাই কিন্তু মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা পাওয়া গেছে। এমন অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন যারা সাধারণ জ্বরের মত বাসায় বিশ্রাম নিয়েই ভাল হয়ে গেছেন। আক্রান্তের এই সংখ্যাটা আসে নাই।

বিশেষজ্ঞরাও সোশ্যাল মিডিয়ার কথা বলছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.