নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রীষ্মকালে কি কভিড -১৯ এর অবসান ঘটতে পারে?

২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১১

গ্রীষ্মকালে কি কভিড -১৯ এর অবসান ঘটতে পারে?



উষ্ণ তাপমাত্রা এবং উচ্চ আর্দ্রতা ভাইরাসের বিস্তার কমিয়ে দিতে সহায়তা করতে পারে।

ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা সৃষ্টি করে এমন ভাইরাসের মতো, তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কমে যাওয়ার কি কোনও সম্ভাবনা আছে?

একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে SARS-CoV-2 নামের নতুন করোনাভাইরাসটি শীত প্রধান অঞ্চলে যেভাবে ছড়িয়েছে গরম ও বেশি আর্দ্র অঞ্চলে তেমন কার্যকর ভাবে ছড়াতে পারে নি।

যদিও সোস্যাল সায়েন্স রিসার্চ নেটওয়ার্ক জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাটি এখনও পর্যলাচনাধীন এবং ফলাফলগুলি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। উষ্ণ তাপমাত্রা এবং উচ্চ আর্দ্রতার মাসগুলিতে এই ভাইরাস কি ধরণের আচরণ করে তার অপেক্ষায় থাকতে হবে।

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির কাশিম বুখারী এবং ইউসুফ জামিল COVID-19 ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত এই রোগের বিশ্বব্যাপী কেসগুলি বিশ্লেষণ করেছেন এবং দেখেছেন যে ৯০% সংক্রমণ এমন অঞ্চলে ঘটেছিল যেগুলি ৩৭.৪ থেকে ৬২.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং পরম আর্দ্রতা (Absolute humidity) প্রতি ঘনমিটারে ৪ থেকে ৯ গ্রামের মধ্যে। (তাপমাত্রা নির্বিশেষে বাতাসে কত আর্দ্রতা আছে তার দ্বারা পরম আর্দ্রতা সংজ্ঞায়িত করা হয়)

যে দেশগুলিতে গড় তাপমাত্রা ৬৪.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) এর চেয়ে বেশি এবং পরম আর্দ্রতা ৯ গ্রাম / ঘন মিটারের চেয়ে বেশি রয়েছে, সেই দেশগুলিতে COVID-19 ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ সংখ্যার চেয়ে শতকরা ৬ ভাগ কম।

কাশিম বুখারী এবং ইউসুফ জামিল তাদের গবেষণা পত্রে উল্লেখ করেছেন, এটা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে উষ্ণ আর্দ্র আবহাওয়ায় এই ভাইরাসটি কম সংক্রমিত হতে পেরেছে। তারা আরো লিখেছেন, তাপমাত্রার সাথে সাথে আর্দ্রতা বিশেষত একটি ভূমিকা পালন করতে পারে, যেহেতু বেশিরভাগ COVID-19 সংক্রমণ অপেক্ষাকৃত কম আর্দ্র অঞ্চলে ঘটেছে।

তবে গবেষক দ্বয় এই সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন যে, এর অর্থ এই নয় যে গ্রীষ্মকাল আসার সাথে সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে না এবং মানুষ জন বড় বড় জন সমাবেশ করতে পারবে।

গবেষক দ্বয় বলেছেন, উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার প্রভাব জুন পর্যন্ত কমবে না, যখন পরম আর্দ্রতা ৯ গ্রাম / ঘন মিটারে উঠবে তখন সংক্রমণ কমতে থাকবে। ৭৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট (২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) এর মতো উচ্চতর তাপমাত্রায় সংক্রমণ কিছুটা হ্রাস পায় বলে লক্ষ্য করা যায়।

টেনেসির ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ উইলিয়াম শ্যাফনার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির কাশিম বুখারী এবং ইউসুফ জামিলের সাথে দ্বিমত করে বলেছেন, "এটি অযৌক্তিক, এই মুহূর্তে আমি মনে করি না গ্রীষ্মের মাসগুলিতে ভাইরাসটি অদৃশ্য হয়ে যাবে। তবুও, আমি মনে করি এটি আমাদের কিছুটা আশা জাগাতে পারে।"

কিছু কিছু শ্বাস প্রশ্বাসের ভাইরাস যেমন ফ্লু ভাইরাসগুলির বিস্তার উচ্চ আর্দ্রতা এবং উচ্চ তাপমাত্রায় হ্রাস পায়। তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা ফ্লু ভাইরাস বা অন্যান্য মৌসুমি ভাইরাসগুলিকে কেন প্রভাবিত করে এটি এখনো ঠিক পরিষ্কার নয়। তবে একটি আংশিক কারণ হচ্ছে আপনি যখন শ্বাস ছাড়েন তখন আপনার গলার পিছনের অংশে কিছু ভাইরাস আটকে যায়, যা বাতাসে আসতে পারে না। ডাঃ উইলিয়াম শ্যাফনার বলেছেন, যদি আমরা মাইক্রোস্কোপ দিয়ে ভাইরাসটিকে দেখি তাহলে দেখা যায় সে একটা আর্দ্র বলয়ের মধ্যে আছে অর্থ একটা ক্ষুদ্র পানির কণার মধ্যে আছে যাকে droplet বলে।

শ্যাফনার বলেছেন, শীতের সময় যখন বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে, তখন করোনা ভাইরাস বাহি সেই পানির ক্ষুদ্ৰ ফুটাটি বাষ্পীভূত হয়ে যায়, যার অর্থ ভাইরাসটি দীর্ঘ সময়ের জন্য বাতাসে ঘুরে বেড়াতে পারে, কারণ মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এটাকে মাটিতে টেনে নামিয়ে আনতে পারে না। তবে গ্রীষ্মকালে, আপনি যখন কোনও ভাইরাল কণা ছাড়েন তখন ভাইরাস-বাহী পানির ফোঁটাটি বাষ্পীভবন হয় না, যার অর্থ এটি ভারী থাকে এবং মহাকর্ষণ শক্তি এটিকে আরও সহজেই বায়ু থেকে টেনে মাটিতে নামিয়ে আনে। গ্রীষ্মের সময় ফ্লু সংক্রমণ খুব কমে যায়, তাই গরমের মাসগুলিতে ফ্লু নিয়ে তেমন চিন্তা থাকে না। তবে অন্যান্য ভাইরাস যেমন করোনাভাইরাস যেগুলি ফ্লু ভাইরাসের মত অসুখের সৃষ্টি করে, সেগুলি ফ্লু ভাইরাসের মত নাটকীয় ভাবে গ্রীষ্মকালে কমে যায় না।

শ্যাফনারের মতে, উষ্ণ এবং আর্দ্র মাসগুলিতে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ কমে যাবে এই কথা এখনও আমরা বিশ্বাস করতে পারি না।

আমার শেষ কথা সাবধান, সতর্ক থাকুন এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন।

তথ্য সূত্র:
সোস্যাল সায়েন্স রিসার্চ নেটওয়ার্ক
https://papers.ssrn.com/sol3/papers.cfm?abstract_id=3556998

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪১

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশে তাপমাত্রা এই মাসে ৩০-৩৫ ডিগ্রির মতন থাকবে তাই ভাইরাসের বিস্তার এই আবহাওয়ায় কম হবে।

২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



গবেষকরা এই কথা নিশ্চিত ভাবে বলেন নাই যে তাপমাত্রা ৩০-৩৫ ডিগ্ৰী হলে এই ভাইরাস বিস্তার করবে না।
তারা দুইটা শর্তের উপর একটা সম্ভাবনা কথা বলেছেন।
প্রথম শর্ত--তাপমাত্রা
দ্বিতীয় শর্ত-- বাতাসের আদ্রতা।

আবার কোন কোন গবেষক ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন।
আমরা যেমন কোন তথ্য উপাত্ত ছাড়াই বিশ্বাস বা ধারণা থেকে বলে দেই, "এটা হবে" অথবা "এটা হবে না"।

গবেষক এবং চিন্তাশীল মানুষেরা এত সহজে কোন কথা বলতে পারে না।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: তাই যেন হয়।

২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"তাই যেন হয়।"

আমরা সবসময় ভালোটাই আশা করবো।
তবে আশার পাশাপাশি সচেতন থাকবো, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলবো এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫৬

জে.এস. সাব্বির বলেছেন: সতর্ক থাকুন এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন। সৃষ্টিরকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন।

এইটাই শেষ কথা।

২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"সতর্ক থাকুন এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন।
এইটাই শেষ কথা।"

আপনার সাথে একমত।
ভাল থাকুন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো তথ্য

২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"ভালো তথ্য"

আসলেই ভাল তথ্য।
আমি অনেক দিন ধরে একটা বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য খুঁজছিলাম।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেক চিকিৎসক সব অনেকের সাথেই এই বিষয়ে জানার জন্য কথা বলেছি।
আসলে কারো কাছে সঠিক তথ্য নাই।
পুরা জিনিসটাই এখনও গবেষণার স্তরে।
ভাইরাসটা সম্পর্কে এখনও পুরাপুরি সঠিক তথ্য জানা যায় নাই।
কারণ আমার এই লেখাতেই দেখবেন গবেষকরা ভিন্ন ভিন্ন মত দিচ্ছেন।
তার মানে গবেষণাগুলি এখনও থিউরি পর্যায়ে রয়ে গেছে।
এখনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর দাঁড়ায় নাই।
আরো কয়েক দিন সময় লাগবে এই ভাইরাস সম্পর্কে পুরাপুরি জানতে।

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কেউ কেউ সৃষ্টিকর্তার ভূমিকাই খুঁজে পান না!!
অকৃতজ্ঞ মানুষ আমরা!!
তাদের জন্য করুনা হয় !!

২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"কেউ কেউ সৃষ্টিকর্তার ভূমিকাই খুঁজে পান না!!
অকৃতজ্ঞ মানুষ আমরা!!
তাদের জন্য করুনা (sic) হয়!!"

সব ধর্মের মানুষ সৃষ্টিকর্তার ভূমিকা সম্পর্কে জানেন।
পৃথিবীর খুব কম মানুষ আছে যারা সৃষ্টিকর্তার ভূমিকাকে অস্বীকার করে।

আবার সব ধর্মের মধ্যে কিছু মানুষ আছে যারা ধর্মান্ধ। তারা সৃষ্টিকর্তার ভূমিকা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে।

আবার নাস্তিকদের মধ্যে কিছু মানুষ আছে যারা ধর্মান্ধের বিপরীত অর্থাৎ তারা অন্ধ ধর্ম বিরোধী।
তারা অন্ধ ভাবে সৃষ্টিকর্তার ভূমিকা নিয়ে বিরোধিতা করবে।

সব কিছুর মত ভাইরাসও সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি।
সৃষ্টিকর্তা মানুষকে বিবেক বুদ্ধি দিয়েছেন এবং তাঁর কিছু ক্ষমতা মানুষকে দিয়েছেন।
মানুষ তাঁর এই অর্পিত ক্ষমতা কি ভাবে ব্যবহার করে সেটা তিনি পরীক্ষা করে দেখেন।

এই পরীক্ষায় পাস করতে হলে বিবেক-বুদ্ধি এবং সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে পাওয়া ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে।

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর লেখা, শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:১৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য, ভাল লাগার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য।
আপনার জন্যেও আমার শুভ কামনা।
ভাল থাকেন, সুস্থ থাকেন এই প্রার্থনা।

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:০৫

গোধূলি বিকেল বলেছেন: আমি জানি, আমার এই কথার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্ত নেই। তারপরও কথায় আছে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর। আমি বিশ্বাস করি, আমরা এতটা ক্ষতিগ্রস্থ হবো না অন্য দেশের তোলনায়। দরিদ্র্র দেশ,মজলুমের সংখ্যা বেশি,সুতরাং আল্লাহ অবশ্যই দয়া করবেন।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:৫১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"আমি জানি, আমার এই কথার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্ত নেই।" এই সরল সাধারণ উক্তির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

"তারপরও কথায় আছে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর।" আমি আপনার এই কথার সাথেও একমত।

আপনার বিশ্বাসকে আমি সম্মান এবং শ্রদ্ধা করি। আপনার বিশ্বাস আপনার কাছে অনেক মূল্যবান।

"দরিদ্র্র দেশ,মজলুমের সংখ্যা বেশি,সুতরাং আল্লাহ অবশ্যই দয়া করবেন।"
কিন্তু এই কথার মধ্যে প্রচ্ছন্ন রয়ে গেছে কিছু কথা।
যে দেশে "মজলুমের সংখ্যা বেশি" সেই দেশে জালিমের সংখ্যাও বেশি।
জালিমরা জুলুম করে বলেই মানুষ মজলুম হয়।
এই জালেমদের কি হবে?

৮| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮

রাশিয়া বলেছেন: মানুষের শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা উহানে যেমন, ইতালিতে যেমন, বাংলাদেশেও তেমন। তাই বাতাসের তাপমাত্রা এই ভাইরাসের বিস্তারে তেমন কোন বাধা হবেনা। গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশ হওয়া সত্ত্বেও তাই ইরান, মেক্সিকো, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা ভালোমতোই আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্বে যেসকল দেশের যাতায়াত ব্যবস্থা খুব দুর্গম বা যেসব দেশের অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক - সেসব দেশে এই মাহামারীর বিস্তার কম।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



আমার লেখাটা অনেক বড় তাই পড়তে পারেন নাই, বুঝতে পেরেছি।
এখানে মানুষের শরীরের তাপমাত্রার কথা বলা হয় নাই।
এখানে বলা হয়েছে আবহাওয়ার তাপমাত্রার কথা।

প্রথমত: করোনার সংক্রমণে তাপমাত্রা প্রভাবের ব্যাপারে এখনো বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রতিষ্ঠিত হয় নি। গবেষণার পর্যায়ে আছে।
দ্বিতীয়ত: যে গবেষক দ্বয় তাপমাত্রার প্রভাব সম্পর্কে মতামত দিয়েছেন তারা তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
যেমন --ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির কাশিম বুখারী এবং ইউসুফ জামিল COVID-19 ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত এই রোগের বিশ্বব্যাপী কেসগুলি বিশ্লেষণ করেছেন এবং দেখেছেন যে ৯০% সংক্রমণ এমন অঞ্চলে ঘটেছিল যেগুলি ৩৭.৪ থেকে ৬২.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং পরম আর্দ্রতা (Absolute humidity) প্রতি ঘনমিটারে ৪ থেকে ৯ গ্রামের মধ্যে। (তাপমাত্রা নির্বিশেষে বাতাসে কত আর্দ্রতা আছে তার দ্বারা পরম আর্দ্রতা সংজ্ঞায়িত করা হয়)

যে দেশগুলিতে গড় তাপমাত্রা ৬৪.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) এর চেয়ে বেশি এবং পরম আর্দ্রতা ৯ গ্রাম / ঘন মিটারের চেয়ে বেশি রয়েছে, সেই দেশগুলিতে COVID-19 ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ সংখ্যার চেয়ে শতকরা ৬ ভাগ কম।

ইরানকে আপনি গ্রীষ্ম মণ্ডলীয় দেশ বলেন। ইরানের গড় তাপমাত্রা জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর যথাক্রমে -২.৪, -১.৪, ৩.২, ১০, ১৫.৭,১৯.৪, ২১.৮, ১৬.৫, ১০.৭, ৪.৬, এবং ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জানুয়ারি মাসে যখন ইরানে সংক্রমণ শুরু হয় তখন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস -২.৪।
মেক্সিকো মাত্র ৪০৫ আক্রান্ত, শ্রীলঙ্কা ১০২ তুলনা করেন ইতালি ৬৯,১৭৩, ২৭,০১৪ ইত্যাদি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.