নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
এটা করোনা ভাইরাস নিয়ে কোন পোস্ট না।
যারা ঘরে কুকুর বিড়াল পালন করেন তাদের উদ্দেশ্য:
পোষা প্রাণী অর্থাৎ কুকুর বেড়াল মানুষের দেহে বিশেষ করে বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই কীভাবে আপনার পরিবারকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে হবে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
পোষা প্রাণী অর্থাৎ কুকুর বেড়াল কীভাবে সংক্রমণ ছড়ায়?
মানুষের মতো, সমস্ত প্রাণীও জীবাণু বহন করে। কুকুর বেড়ালের সাধারণ অসুখগুলি হচ্ছে - ডিসটেম্পার, ক্যানাইন পারভোভাইরাস এবং হার্ট ওয়ার্মস। এই অসুখগুলি সাধারণত মানুষের মধ্যে ছড়ায় না।
কিন্তু কুকুর বেড়াল কিছু নির্দিষ্ট ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস, পরজীবী এবং ছত্রাক বহন করে যা মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হলে অসুস্থতার কারণ হতে পারে। কুকুর বেড়াল কামড়ালে বা আঁচরালে অথবা পশুর বর্জ্য, লালা বা খসে পড়া চামড়ার মাধ্যমে মানুষের শরীরে ঐ পশুর মধ্যে থাকা ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস, পরজীবী বা ছত্রাক মানুষের শরীরে চলে আসতে পারে।
কুকুর বেড়ালের এই রোগগুলি বিভিন্নভাবে মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। ছোট বাচ্চা, শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের জন্য এটা সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়। ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকে কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী নয়। আবার কিছু সংক্রমণ যা প্রাপ্ত বয়স্ককে কেবলমাত্র হালকা অসুস্থ করে তুলতে পারে কিন্তু বাচ্চাদের জন্য গুরুতর হতে পারে।
কুকুর এবং বেড়াল নিম্নলিখিত সংক্রমণ অসুখ বহন করে --
১. ক্যাম্পাইলব্যাক্টর (Campylobacter) ইনফেকশন: ক্যাম্পাইলব্যাক্টর জিজুনি ব্যাকটেরিয়া (jejuni bacteria) বহনকারী কুকুর এবং বেড়াল দ্বারা মানুষের শরীরে আসে। এই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা এবং মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ক্যাম্পিলোব্যাক্টর সংক্রমণের ২০ লক্ষের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়। জিজুনি ব্যাকটিরিয়া গ্যাস্ট্রোএন্টারটাইটিসের প্রধান কারণ এবং এর চিকিৎসার জন্য এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন হয়।
২. স্ক্র্যাচ ডিজিজ: বার্টোনেল্লা হেনসিলি ব্যাকটিরিয়ায় আক্রান্ত বিড়াল কোনও ব্যক্তিকে কামড় বা আঁচড় দিলে স্ক্র্যাচ ডিজিজ হয়। স্ক্র্যাচ ডিজিজের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বগলের নিচে এবং কুঁচকিতে লিম্ফ নোডগুলি ফুলে যাবে, জ্বর, মাথাব্যথা এবং ক্লান্তি বোধ হবে।
৩. জলাতঙ্ক: রেবিস ভাইরাস বহনকারী কোন কুকুর বা বেড়াল কামড় দিলে বা এদের লালা ক্ষত দিয়ে শরীরে প্রবেশ করলে এই রোগ হবে। কুকুর এবং বিড়ালদের ব্যাপকভাবে টিকাদানের ফলে প্রাণীদের এবং মানুষের মধ্যে রেবিসের সংক্রমণ হ্রাস পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানব রেবিজ বিরল। তবে সাবধান থাকতে হবে।
৪. রকি মাউন্টেন স্পট জ্বর (RMSF): রিকিটেসিয়া ব্যাকটিরিয়া কুকুর বেড়ালের শরীর থেকে এঁটেল পোকা দ্বারা মানুষের শরীরে আসে। কুকুরের শরীরে এই এঁটেল পোকাগুলি থাকে। এই অসুখের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, পেশী ব্যথা,মাথাব্যথা এবং ফুসকুড়ি যা কব্জি, গোড়ালি, হাতের তালু, ত্বক এবং দেহের বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-মধ্য এবং মধ্য-দক্ষিণ আটলান্টিক অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
৫. রিংওয়ার্ম: এটা একটা চর্ম রোগ। কুকুর এবং বেড়ালের শরীরে যে ছত্রাক বাসা বাধে তা থেকে হয়।
৬. টক্সোকেরিয়াসিস: কুকুর এবং বিড়ালদের অন্ত্রের মধ্যে বসবাসকারী পরজীবী গোলাকার কৃমি। সাধারণত বাচ্চারা যখন মাটিতে বা ফ্লোরে খেলা করে এই কৃমির ডিমগুলি বাচ্চাদের হাতে লেগে মুখের মাধ্যমে পেটে চলে যায়। অসুখের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাশি, শ্বাস নেয়ার সময় ঘড়ঘড় শব্দ হওয়া, লিভার বড় হয়ে যাওয়া, এবং লিম্ফ নোডগুলি ফুলে যাওয়া। ভয়ঙ্কর বিষয় হচ্ছে এই লার্ভাগুলি চোখের মধ্যে চলে আসতে পারে।এটাকে বলে অকুলার টক্সোকারিয়াসিস বা অকুলার লার্ভা মাইগ্রান্স, যা চিরস্থায়ী দৃষ্টিশক্তি হ্রাস করতে পারে।
৭. টক্সোপ্লাজমোসিস: এই অসুখ বেড়ালের শরীর থেকে আসে। লক্ষণগুলি হচ্ছে ফোলা গ্রন্থি, ক্লান্তি, পেশী ব্যথা, জ্বর, গলা ব্যথা এবং শরীরে ফুসকুড়ি উঠা। গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে, টক্সোপ্লাজমোসিস গর্ভপাত, অকাল জন্ম এবং গুরুতর অসুস্থতা এবং নবজাতকের অন্ধত্বের কারণ হতে পারে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের জন্য টক্সোপ্লাজমোসিস সংক্রমণ গুরুতর জটিলতার ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
যারা কুকুর বেড়াল পালন করেন তাদের সাবধান থাকতে হবে। বিশেষ করে যাদের বাসায় ছোট শিশু আছে।
২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:২৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
"আমেরিকায় প্রায় সব বাসায় কুকুর পালা হয়, বেড়ালও আছে।"
এই কথা ঠিক।
"কুকুর বেড়ালের মেইন রোগ হচ্ছে র্যাবিজ (জলাতংক)"
এই কথা ঠিক।
"অন্যান্ন (sic) রোগ মোটেই দেখা যায় না।"
এই কথা ঠিক না।
অন্যান্য রোগ দেখা না গেলে রোগের নামগুলি কি মনগড়া?
"প্রতিটি পোষা প্রাণী আগেই র্যাবিজ টিকা দিয়ে বাসায় আনা হয়।"
এই কথা ঠিক।
"টিকা দেয়া বাসায় পালিত কুকুর বেড়ালের মাধ্যমে রোগ হচ্ছে এমনটা কখনো শোনা যায় নি।"
এই কথা ঠিক না।
ঠিক কথা হচ্ছ, যারা সাবধান থাকেন তাদের রোগ হয় না।
আমি তাই আমার লেখা শেষ করেছিলাম এই কথা বলে, যারা বাসায় কুকুর বেড়াল পালন করেন তাদের সাবধান থাকতে হবে।
"রাস্তার কুত্তা হলে একটা কথা ছিল।"
এইটাও ঠিক না।
কারণ রাস্তার কুকুর ছাড়াও বাসায় পালিত কুকুর বেড়ালের ব্যাপারে উল্লেখিত রোগ গুলির কথা চিকিৎসা বিজ্ঞানের বইয়ে লেখা আছে।
আমেরিকা সম্পর্কে আমাদের অনেকের অনেক ভুল ধারণা আছে।
অনেকের ধারণা আমেরিকার অধিকাংশ বাসায় যেহেতু কুকুর বেড়াল পালা হয় তাই এটা পালা নিরাপদ।
আমেরিকানরা বাসায় কুকুর বেড়াল পালার জন্য অনেক টাকা খরচ করে। অর্থাৎ এগুলির নিয়মিত চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। বাসায় এবং দোকানে নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত লোকের মাধ্যমে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয়। নিয়মিত ভাবে এগুলির মুখ, দাঁত এবং নখ পরিষ্কার করা হয়।
এক কথায় বলতে গেলে, যাতে রোগ ছড়াতে না পারে তার জন্য সব ধরণের সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
এইগুলি যদি রোগ নাই ছড়াত তা হলে তো কিছুই করতে হতো না।
এই কারণেই আমি বলেছি, যারা বাসায় কুকুর বেড়াল পালন করেন তাদের সাবধান থাকতে হবে। অর্থাৎ নিয়মিত চিকিৎসা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদি করতে হবে।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমার বাসায় কুকুর বেড়াল নাই। তবে বেশ ছোট ছোট গাছ আছে।
২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:২৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
"আমার বাসায় কুকুর বেড়াল নাই। তবে বেশ ছোট ছোট গাছ আছে। "
আপনার ভাগ্য ভাল আমেরিকায় যান নাই।
আর ছোট ছোট গাছগুলিকে যত্ন নেন যাতে বড় হতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:০৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকায় প্রায় সব বাসায় কুকুর পালা হয়, বেড়ালও আছে।
কুকুর বেড়ালের মেইন রোগ হচ্ছে র্যাবিজ (জলাতংক) অন্যান্ন রোগ মোটেই দেখা যায় না।
প্রতিটি পোষা প্রানী আগেই র্যাবিজ টিকা দিয়ে বাসায় আনা হয়।
টিকা দেয়া বাসায় পালিত কুকুর বেড়ালের মাধ্যমে রোগ হচ্ছে এমনটা কখনো শোনা যায় নি।
রাস্তার কুত্তা হলে একটা কথা ছিল।