নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
SARS-CoV-2 ভাইরাসটি শ্বসনতন্ত্রে প্রবেশ করে। এটা ফুসফুসের ছোট বায়ু থলি আবিআলাস (Alveoli) কে আক্রমণ করতে ভালবাসে।
আবিআলা (Alveoli) মূলত তিন ধরণের কোষ দ্বারা ঘটিত -- (১) নিউমোসাইট টাইপ ১, (২) নিউমোসাইট টাইপ ২ এবং (৩) আবিআলা ম্যাক্রোফেজ।
ভাইরাসটি প্রথমেই নিউমোসাইট টাইপ ২ কোষটিকে আক্রমণ করে। নিউমোসাইট টাইপ ২ কোষটির কাজ হচ্ছে, সারফ্যাক্ট্যান্ট (surfactant) নামক একটা দ্রবণ তৈরি করে আবিআলাসের ভিতরটাকে আর্দ্র রাখা এবং এর দ্বারা আবিআলাসের পৃষ্ট চাপ কমিয়ে রাখা।
ভাইরাসটি নিউমোসাইট টাইপ ২ কোষটির মধ্যে থাকা এনজিওটেনাসিস কোনভার্টিং এনজাইম ২ (Angiotensin-converting enzyme 2 (ACE2) নামক একটা রিসেপ্টরের সাথে তার প্রোটিন কাটা দিয়ে নিজেকে আটকিয়ে ফেলে। আসলে সে এই কোষটিকে দখল করে তার রিবোনিউক্লিওয়া এসিড বা RNA ঢেলে দেয়। তারপর সে দখল করা কোষটির রাইবোসোম ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের পলি প্রোটিন উৎপন্ন করতে থাকে। এই সবগুলি প্রোটিন এবং আরএনএ দিয়ে নতুন আরো ভাইরাস জন্ম হয় কিন্তু একই সাথে নিউমোসাইট টাইপ ২ কোষটি ধ্বংস হয়ে যায়।
ফলে আবিআলাটি চুপসে যায়। আর আবিআলাটি যখন চুপসে যায় তখন বাতাস আর চলাচল করতে পারে না বা gas exchange করতে পারে না। এরফলে হাইপোক্সিমিয়া (hypoxemia) বা রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়।
এদিকে ভাইরাস আক্রমণের ফলে ইনফ্লামমেটরী মেডিয়েটর (inflammatory mediator) বা সংবাদ বাহকরা এই খবর দেয়ার জন্য রক্তে ছড়িয়ে পরে। এতে ভেসিডিলসন (vasodilation) হয় অর্থাৎ রক্তনালীগুলি শিথিল হওয়ার ফলে ব্লাডপ্রেসার কমে যায়। আরেক দিকে ফুসফুসে পানি আসে।
ভাইরাস আক্রমণ করেছে এই সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে রক্তের স্বেতকণিকাগুলি (neutrophils) প্রতিরোধ যুদ্ধ করার জন্য দলে দলে বেরিয়ে আসে।
রক্তের স্বেতকণিকাগুলি (neutrophils) ভাইরাসটির সাথে প্রতিরোধ যুদ্ধ করতে যেয়ে নিউমোসাইট টাইপ ১, টাইপ ২ কোষগুলিকেও ধ্বংস করে। এতে ফুসফুসের ছোট বায়ু থলি আবিআলাটিও ধ্বংস হয়। স্বেতকণিকাগুলি যুদ্ধ করার সময় ইন্টারলুকিং -১ এবং ইন্টারলুকিং -৬ (interleukin) নামের দুইটা প্রোটিন কণা তৈরি করে। এই ইন্টারলুকিং গুলি রক্তের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের নেকরোটিক ফ্যাক্টর আলফা (necrotic factor alpha) নামক একদল সংবাদদাতার কাছে আক্রমণের খবর পৌঁছে দেয়। এই সংবাদদাতারা মস্তিষ্কের হাইপোথেলামাস (hypothalamus) কে খবর দেয় এবং বলে প্রোস্টাগ্লান্ডিন (prostaglandins) নামক ক্যামিলিক ছড়াতে। হাইপোথেলামাস আক্রমণের খবর পাওয়ার সাথে সাথে যুদ্ধের কৌশল হিসাবে প্রোস্টাগ্লান্ডিন ছড়িয়ে শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যেটাকে আমরা জ্বর বলি।
আবিআলার ভিতরে কোষগুলির ধ্বংসাবশেষগুলি কফ আকারে জমা হয়। যা কাশলে বেরিয়ে আসে।
৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:০৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
"আল্লাহ সহায়ক হবে।"
নিজে চেষ্টা না করলে আল্লাহ সহায় হবে না।
আল্লাহ সূরা রাদ আয়াত ১১ তে বলেছেন, "আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে।"
আল্লাহর সহায়তা পাওয়ার জন্য কি কি আমরা করেছি?
২| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
লজিক্যাল
৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:০৭
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
এটা বিজ্ঞান।
বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে এই সত্যগুলি আবিষ্কার করেছেন।
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:১১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: শ্বেত রক্ত কণিকা গুলো মনে হয় ভাইরাসকে ফাইন্ড আউট করতে ব্যর্থ হয়! তারা কি ভুল করে নিউমোসাইট কোষ গুলো ধ্বংস করে দেয়?
৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৫৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
"শ্বেত রক্ত কণিকা গুলো মনে হয় ভাইরাসকে ফাইন্ড আউট করতে ব্যর্থ হয়! তারা কি ভুল করে নিউমোসাইট কোষ গুলো ধ্বংস করে দেয়?"
না, ব্যাপারটা সে রকম না।
SARS-CoV-2 ভাইরাসটা যখন নিউমোসাইট টাইপ ২ কোষের সাথে নিজেকে আটকে ফেলে তখন সে তার আরএনএ ঝিল্লি দিয়ে নিউমোসাইট টাইপ ২ এর ঝিল্লিকে ভেদ করে ঠুকে যায়। এক কথায় সে ওই কোষটিকে জোর করে দখল করে ফেলে। তারপর সে তার আরএনএ দিয়ে তার ইচ্ছা মত তার প্রয়োজন অনুসারে নানান ধরণের প্রোটিন বানাতে থাকে। অর্থাৎ ঐ আক্রান্ত নিউমোসাইট টাইপ ২ কোষটি স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে না। তাই স্বেতকণিকাগুলি ভাইরাসটি মারার সাথে সাথে রূপান্তরিত ওই কোষটিকেও মেরে ফেলে। কারণ ওই কোষটিও তখন শত্রু পক্ষে কাজ করছিল.
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:৪১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: কিছু কিছু হাসপাতাল বা ক্লিনিক চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছে। গত তিনদিনে বেশ কজন মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছে। মনে হচ্ছে, সামনে আমাদের জন্য বড় বিপদ। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:১৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
"কিছু কিছু হাসপাতাল বা ক্লিনিক চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছে।"
এটা খুব ভাল কাজ হয়েছে। এটা আরো আগেই করা দরকার ছিল।
এই যুদ্ধে ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা হচ্ছেন ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা।
কোন যুদ্ধই খালি হাতে করা যায় না।
ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা খালি হাতে, কোন প্রস্তুতি ছাড়াই কি ভাবে যুদ্ধ করবে?
যুদ্ধের আরেকটা জিনিস লাগে, সেটা হচ্ছে সঠিক তথ্য।
সঠিক তথ্য ছাড়া আপনি কোন কুল কিনারা পাবেন না।
কি ভাবে যুদ্ধ করবেন।
এখানে সঠিক কোন তথ্য নাই।
অথবা সঠিক কোন তথ্য দিলেও কেউ বিশ্বাস করে না।
মিথ্যা কথা বলতে বলতে এমন হয়েছে কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা কেউ জানে না।
"গত তিনদিনে বেশ কজন মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছে।"
এটা খুব দুঃখজনক।
এখানে মানুষের কোন সহমর্মিতা নাই।
নিজে বা নিজের পরিবারকে স্পর্শ না করা পর্যন্ত চেতনা আসে না।
"মনে হচ্ছে, সামনে আমাদের জন্য বড় বিপদ।"
জানি না, আল্লাহ পাক ভাল জানেন।
তবে যত বড় বিপদই হোকনা কেন, মানুষকে আল্লাহ অনেক শক্তি ও ক্ষমতা দিয়েছেন বিপদ উত্তরণের জন্য।
মানুষ আল্লাহর সহায়তায় আবার জেগে উঠবে, আবার কর্ম চঞ্চল হবে। আবার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।
"আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।"
নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের হিফাজত করবেন।
তিনি দয়ালু এবং ক্ষমাশীল।
তিনি তাঁর সৃষ্টিকে অনেক ভালবাসেন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আল্লাহ সহায়ক হবে।