নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
লিথিয়াম আমেরিকাস কর্পোরেশন ২০২৩ সালে একটি অসাধারণ আবিষ্কার করেছে। নেভাদা-ওরেগন সীমান্তে একটি আগ্নেয়গিরির গর্তে মজুদ ৪০ মিলিয়ন মেট্রিক টন লিথিয়ামের সন্ধান পেয়েছে। এটা লিথিয়াম সহ যেকোনো ধাতুর সর্ববৃহৎ মজুদ। এটা শুধু সর্ববৃহৎ মজুদেই না বরং এই খনি থেকে খুব সহজেই লিথিয়াম উত্তোলন করা যাবে।
নেভাদার আবিষ্কৃত লিথিয়াম আমেরিকার গ্রীন এনার্জিতে বিপ্লব ঘটাবে:
গ্রীন এনার্জিতে বৈশ্বিক রূপান্তর সফল হওয়ার জন্য প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের প্রয়োজন হবে। এই লিথিয়াম গ্রীন এনার্জির জন্য একটি প্রয়োজনীয় রাসায়নিক উপাদান।
লিথিয়াম আধুনিক যুগের তেল:
লিথিয়াম আধুনিক যুগের তেলের মতো। এটি ব্যাটারির মূল উপাদান যা বৈদ্যুতিক গাড়ি থেকে শুরু করে পকেটে থাকা স্মার্টফোন পর্যন্ত সবকিছুকে শক্তি দেবে এবং এই উপযোগিতাই লিথিয়ামকে এত গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।
লিথিয়াম জ্বালানির আধার:
ভবিষ্যতের পরিবেশ রক্ষার জন্য লিথিয়ামের কোন বিকল্প নাই। তাই লিথিয়ামকে বলা হচ্ছে 'সাদা সোনা'।
বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান নতুন পণ্য:
আগামী দিনের বিশ্বকে পরিবর্তন করার সম্ভাবনার কারণে লিথিয়াম এখন পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান পণ্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে পৃথিবীতে উত্তোলন যোগ্য লিথিয়ামের মজুদ সীমিত।
লিথিয়াম উত্তোলন সহজ নয়:
সৌভাগ্যবশত পৃথিবী জুড়ে প্রচুর পরিমাণে লিথিয়াম মজুদ আছে। তবে দুর্ভাগ্যবশত লিথিয়ামের প্রচুর মজুদ থাকা সত্ত্বেও খারাপ দিক হচ্ছে বিশ্বের বেশিরভাগ লিথিয়াম উত্তোলন সম্ভব নয়।
বিশ্বব্যাপী কয়েক মিলিয়ন টন লিথিয়াম মজুদ আছে:
বৈজ্ঞানিকরা অনুমান করেছেন যে পৃথিবীতে প্রায় ৮৮ মিলিয়ন টন লিথিয়াম রয়েছে। তবে এক-তৃতীয়াংশের কম উত্তোলন যোগ্য। এবং আরেকটা সমস্যা হচ্ছে লিথিয়াম খনি খনন করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়।
এই আবিষ্কারকে এত বড় করে দেখা হচ্ছে কেন?
নেভাদার এই লিথিয়াম আবিষ্কার সমসাময়িক ভূ-রাজনীতি পরিবর্তন করতে পারে এবং গ্রীন এনার্জির ধারণাকেই পাল্টে দিতে পারে। তেলের উপর নির্ভরতা কমার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতির পরিবর্তন হবে। একই সাথে লিথিয়ামের জন্য চীনের উপর নির্ভরতা কমার ফলে শিল্পোন্নত দেশগুলির চীনের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের পরিবর্তন আসবে।
আমেরিকার নীতিনির্ধারকরা নার্ভাস ছিলেন:
লিথিয়ামের বিশাল মজুদ আবিষ্কার হওয়ার আগে আমেরিকার নীতিনির্ধারকরা বেশ নার্ভাস ছিলেন। দুই কারণে তারা নার্ভাস ছিলেন।
প্রথম কারণ, তারা মনে করতেন যে আমেরিকাতে পর্যাপ্ত লিথিয়ামের মজুদ নেই। তাই অন্য রাষ্ট্রের উপর নির্ভর করে চলতে হবে, বিশেষ করে চীনের উপর নির্ভরশীলতা নিয়ে তারা বেশ নার্ভাস ছিলেন।
দ্বিতীয় কারণ, লিথিয়ামের যে সামান্য মজুদ আছে সেটা আমেরিকার প্ৰতিদ্বন্দী চীনের কাছে। চীন ইতোমধ্যে লিথিয়ামকে আমেরিকার বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করেছিল। কখনো লিথিয়াম রফতানি নিয়ন্ত্রণ করে, আবার কখনো মূল্য বৃদ্ধি করে, অথবা শুল্ক এবং অ-শুল্ক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চীন আমেরিকার উপর চাপ সৃষ্টি করছিল।
বর্তমানে কোথায় বেশি লিথিয়াম পাওয়া যায়?
বর্তমানে বেশিরভাগ উত্তোলন যোগ্য লিথিয়াম মজুদ আছে চিলি, বলিভিয়া, আর্জেন্টিনা, চীন এবং অস্ট্রেলিয়ায়। তবে নেভাদায় আবিষ্কৃত ৪০ মিলিয়ন টন সব মজুদকে ছাড়িয়ে যাবে।
তবে একটি বড় সমস্যা আছে:
দুর্ভাগ্যবশত নেভাদায় পাওয়া লিথিয়ামের সাথে একটি বড় সমস্যা রয়েছে। লিথিয়ামের মজুদটি খুব কম জনবহুল এলাকায় অবস্থিত। তাছাড়া এটা পাইউট এবং শোশোন উপজাতিদের স্বশাসিত এলাকায় অবস্থিত। তাদের অনুমতি ছাড়া এটা উত্তোলন করা যাবে না।
আমেরিকা এখনও চীন থেকে পিছিয়ে আছে:
লিথিয়াম খনি থেকে উত্তোলনের পরে এটাকে প্রক্রিয়াজাত করা বেশ জটিল কাজ। এই ক্ষেত্রে চীন আমেরিকা থেকে বেশ এগিয়ে আছে। যার মানে হচ্ছে আমেরিকাকে লিথিয়ামের সরবরাহের ব্যাপারে তার প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের উপর আরো বেশকিছু দিন নির্ভরশীল থাকতে হবে।
লিথিয়াম যুগ:
পৃথিবীতে মানুষ বিভিন্ন ধাতব যুগের মধ্য দিয়ে বসবাস করেছে। যেমন তামা, ব্রোঞ্জ এবং লোহা। এখন মানবজাতি লিথিয়াম যুগে বাস করছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, আমেরিকা কি তার নতুন লিথিয়াম আবিষ্কারের মাধ্যমে এই যুগে নেতৃত্ব করবে?
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৫১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
নেভাদার এই খনিটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখান থেকে সহজেই উত্তোলন করা সম্ভব। এই কারণে এই আবিষ্কারটি কে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৮
বিজন রয় বলেছেন: আমেরিকার সাথে কেউ পারবে না।
তার উপর ৮৮ মিলিয়ন লিথিয়ামের মধ্যে ৪০ মিলিয়ন এখন তাদের হাতে!
তারা কিছু একটা আবিস্কার করে ফেলবে।
ভালো পোস্ট।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আমেরিকাতে খনিজ সম্পদে ভরপুর।
তাদের সমস্যা শ্রমিক।
শ্রমিকের মজুরি অনেক বেশি।
তাছাড়া শ্রমিকের স্বাস্থ্য এবং জীবনের নিরাপত্তার জন্য খরচ করতে যেয়ে উত্তোলন খরচ অনেক বেড়ে যায়।
ফলে যেকোনো খনিজ পদার্থ উত্তোলনে আন্তর্জাতিক মূল্যের সাথে তাল মিলাতে পারে না।
পক্ষান্তরে চীনে শ্রমিকের মজুরি এবং নিরাপত্তা অনেক কম।
ফলে অনেক কম দামে চীন সরবরাহ করতে পারে।
গত চল্লিশ বছর ধরে আমেরিকা এই কারণে চীন থেকেই সব কিছু আমদানি করছিল।
এতে চীন অর্থনৈতিক ভাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছে, আমেরিকায় বেশ ভালই করছিল।
কবিড মহামারীর পর দুই পক্ষেরই চোখ খুলে গেছে।
চীন, আমেরিকা এবং সব শিল্পোন্নত দেশ বুঝতে পেরেছে তারা সবাই চীনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
যেটাকে সাপ্লাই চেইন বলছে।
চীন তার শক্তি টের পেয়ে শিল্পোন্নত দেশগুলির উপর চাপের হাতল হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করে।
আর পক্ষান্তরে আমেরিকা সহ শিল্পোন্নত দেশগুলি বিপদের আশঙ্কা করতে থাকে।
তাই তারা চীনের সাথে ডি-কাপলিং এবং ডি-রিসকিং করতে শুরু করে।
এরই ফলশ্রুতিতে এখন আমেরিকা নিজেদের খনিজ সম্পদ উত্তোলনে মনোযোগী হয়েছে।
ইতোমধ্যে বিশ্বের সর্বোচ্চ পরিমাণ তেল উত্তোলন করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিপুল পরিমাণ রফতানি করছে।
অন্যান্য খনিজ সম্পদের ক্ষেত্রেও তাই ঘটবে।
৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: শেখ মুজিব বলেছিলেন, আমাদের আছে চোরের খনি।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:০০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
বাংলাদেশে তেল, গ্যাস এবং কয়লার খনি আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:১৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শুধু নেভাদার এই খনিটি নয়।
সমগ্র নর্থ ও সাউথ আমেরিকা লিথিয়ামে ভরপুর। নিজেদের খনিতে এত বিপুল পরিমাণ লিথিয়াম থাকার পরও আমেরিকা লিথিয়াম উঠাতে পারে না। উচ্চ শ্রমিক মজুরির কারণে।
তাই দক্ষিণ আমেরিকার খনিগুলো থেকে আহরণ করায়, নতুবা চীন থেকে প্রসেস করানো অবস্থায় লিথিয়াম আমদানি করে।