নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকার নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞার অন্তহীন তরঙ্গ চীনের জন্য বিশাল উপহার না সমস্যা?

০২ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৪


কোন কোন বিশেষজ্ঞ মনে করেন আমেরিকার নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞার অন্তহীন তরঙ্গ চীনের জন্য বিশাল উপহার। আবার অনেকেই মনে করেন এটা ভবিষ্যতে চীনা অর্থনীতির জন্য অন্তহীন সমস্যার সৃষ্টি করবে।

যারা আমেরিকার নিষেধাজ্ঞাকে চীনের জন্য উপহার মনে করেন তাদের যুক্তি হচ্ছে:

১. চীনের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ:
আমেরিকা যখন কোন দেশের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে তখন নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হয়ে পরে। এই সুযোগে তখন সেই দেশটির প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে উঠে চীন। এই পরিস্থিতিতে চীন নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত দেশগুলির সাথে ব্যবসা বাণিজ্য বাড়িয়ে দেয়ার সুযোগ পায়। বাণিজ্যিক দিক ছাড়ো নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত দেশগুলির সাথে আমেরিকার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক দুর্বল হয়ে যায়। পরিস্থিতির এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে চীন নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত দেশগুলির সাথে শক্তিশালী কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

২. কৌশলগত জোট:
নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত দেশগুলিকে চীন সহজেই তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর দিকে আকৃষ্ট করতে পারে। এতে অর্থনৈতিক সহায়তা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য চীনের কৌশলগত অবস্থান আরো দৃঢ় হয় এবং বিশ্বব্যাপী চীনের অর্থনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি পায়। উপরন্তু এই দেশগুলিকে আর্থিক সহায়তা, ঋণ প্রদান এবং বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে চীন তার নরম শক্তি (সফট পাওয়ার) প্রয়োগ করতে পারে এবং নিজেকে ঐ দেশগুলির কাছে আমেরিকার চেয়ে আরও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসাবে উপস্থাপন করতে পারে।

৩. অর্থনৈতিক সুবিধা:
নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত দেশগুলি তাদের প্রাকৃতিক এবং খনিজ সম্পদ নিষেধাজ্ঞার কারণে অন্য দেশে রফতানি করতে না পারায়, চীন তা সহজ শর্তে ক্রয় করে। এতে চীন কম মূল্যে এবং সহজ শর্তে তেল-গ্যাস সহ অনেক ধরণের কাঁচামাল সংগ্রহ করতে পারে। এতে চীনের শিল্প এবং অর্থনীতি শক্তিশালী হয়ে উঠে।

আবার যারা আমেরিকার নিষেধাজ্ঞাকে চীনের জন্য সমস্যা মনে করেন তাদের যুক্তি হচ্ছে:

১. বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত:
বর্তমান বিশ্ব বাণিজ্য পরস্পরের সাথে সম্পর্ক যুক্ত। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞাগুলি বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলকে ব্যাহত করতে পারে। ফলে কাঁচামাল এবং উৎপাদিত পণ্যের খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার বা সরবরাহের ঘাটতি হওয়ার কারণে চীনা শিল্প এবং ব্যবসাগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে। উপরন্তু নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত দেশগুলিতে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা চীনা বিনিয়োগের জন্য আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

২. রাজনৈতিক ঝুঁকি:
নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত দেশগুলির সাথে চীনের ঘনিষ্ঠতা আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনা এবং রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে। এরফলে চীনা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আমেরিকা এবং তার মিত্রদের কাছ থেকে সম্ভাব্য দ্বিতীয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে। এতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে চীনের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

৩. অর্থনৈতিক নির্ভরতা:
নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত দেশগুলির সাথে বাণিজ্যের উপর খুব বেশি নির্ভর করলে চীনের ঐ দেশগুলির উপর এক ধরণের অর্থনৈতিক নির্ভরতা তৈরি করতে পারে যা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই নাও হতে পারে। এসব দেশে আর্থিক অস্থিতিশীলতা চীনা স্বার্থকে নেতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

সবদিক বিবেচনা করলে:
সবদিক বিবেচনা করলে খুব সহজ সরল ভাবে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা সম্ভব না। পরিস্থিতিটি ভূ-রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি জটিল সমীকরণ। একদিকে, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞাগুলি চীনের জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত দেশগুলিতে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি করার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। আরেক দিকে, চীনের জন্য উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনাও সূচনা করতে পারে। বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ আন্তঃসংযুক্ত। নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তঃ সংযোগে সৃষ্ট ব্যাঘাত চীনের উপর নেতিবাচক প্রভাব সহ সুদূরপ্রসারী পরিণতি বয়ে আনতে পারে।

সারসংক্ষেপ:
আমেরিকার নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞার অন্তহীন তরঙ্গ চীনের জন্য বিশাল উপহার না সমস্যা, তা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এবং বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করবে। যদিও আমেরিকার নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞার ফলে বর্তমানে চীনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে, কিন্তু একই সাথে ভবিষ্যতের জন্য যথেষ্ট ঝুঁকি এবং সম্ভাব্য প্রতিকূল ফলাফলও রয়েছে। অতএব নিষেধাজ্ঞা উপহার, না কি সমস্যা, সেটা নির্ভর করবে ভূ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপের গতিশীল কর্মকাণ্ডের উপর।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:০১

কামাল১৮ বলেছেন: আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কারণে চীন,রাশিয়া ও ইরানের নতুন দুয়ার খুলে গেছে।ব্রিকস আরো শক্তিশালী এবং নতুন গতি পাবে।

০২ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


১. ব্রিকস-এর সীমাবদ্ধতা:

অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ:
ব্রিকস দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত মতবিরোধ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, চীন এবং ভারতের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ এবং অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা রয়েছে।

ভিন্ন অর্থনৈতিক কাঠামো:
ব্রিকস দেশগুলোর অর্থনৈতিক কাঠামো ও প্রবৃদ্ধির গতিপ্রকৃতি ভিন্ন। উদাহরণস্বরূপ, চীনের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু রাশিয়া এবং ব্রাজিলের অর্থনীতি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

২. নিষেধাজ্ঞার প্রভাব:

অর্থনৈতিক চাপ:
আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা বিশেষ করে রাশিয়া ও ইরানের উপর কঠিন অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেছে, যা তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক:
নিষেধাজ্ঞার ফলে এই দেশগুলোর সাথে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্কের অবনতি হয়েছে, যা তাদের আন্তর্জাতিক কৌশলগত অবস্থানকে দুর্বল করেছে।

৩. বিকল্প বাজার ও অংশীদার:

বিকল্প বাজারের সীমাবদ্ধতা:
চীন, রাশিয়া এবং ইরান নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ালেও, এই বাজারগুলো পশ্চিমা দেশগুলোর বিকল্প হিসেবে যথেষ্ট না। পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে একই ধরণের প্রবৃদ্ধি অর্জন করা কঠিন।

অর্থনৈতিক নির্ভরতা:
চীন এখনও বড় মাপের রপ্তানি এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর উপর নির্ভরশীল।

৪. ব্রিকস-এর প্রভাব:

সীমিত প্রভাব:
ব্রিকস-এর দেশগুলো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হলেও, তাদের প্রভাব এখনও পশ্চিমা দেশগুলোর মতো প্রভাবশালী নয়।

অবকাঠামোগত সমস্যা:
অনেক ব্রিকস দেশের অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে, যা তাদের আর্থিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে।

এইসব যুক্তি বিবেচনায় নিয়ে বলা যায় যে, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কারণে চীন, রাশিয়া এবং ইরানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হলেও, ব্রিকস-এর শক্তিশালীকরণ এবং গতি প্রাপ্তির জন্য আরও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

২| ০২ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৩৫

কামাল১৮ বলেছেন: পশ্চিম বলতে এক আমেরিকা।বাকিগুলোর কোন প্রভাব নেই।তারা নিজেরাই আছে নানান সমস্যায়।তাদের প্রধান সমস্যা আমেরিকার চাপ।সেই চাপ থেকে তারা বের হয়ে আসতে পারছে না আবার সহ্য করতেও পারছেনা।
চীনের সাথে ভারতের যে সীমান্ত সমস্যা সেটা বড় কোন যুদ্ধে গড়াবে না।এই জ্ঞান চীনের এবং ভারতের আছে।তাদের বিরোধের থেকে ঐক্য আছে বেশি।বিকাশের জন্য তাদের ঐক্য অনেক বেশি জরুরি।আমেরিকা অনেক চেষ্টা করেছে যুদ্ধ বাঁধাতে কিন্তু পারে নাই।দুই দেশই নিজের সার্থ বুঝে।
এই সময়ে আমেরিকা আর পরাশক্তি নেই।ইউক্রেন যুদ্ধ তার প্রমান। নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা দেখবে দুনিয়া।সেটা হবে বহুকেন্দ্রীক বিশ্ব।

০৩ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ১:২৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


১. পশ্চিমা দেশগুলোর নিজস্ব শক্তি ও প্রভাব:

ইউরোপীয় ইউনিয়ন:
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক ব্লকগুলোর একটি, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, মানবাধিকার এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যুক্তরাজ্য:
যুক্তরাজ্য আন্তর্জাতিক কূটনীতি, বাণিজ্য এবং সামরিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। ব্রেক্সিটের পরও তাদের বৈশ্বিক প্রভাব কমেনি।

২. পশ্চিমা দেশগুলোর সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা:

আভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানে সক্ষমতা:
পশ্চিমা দেশগুলো তাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধানে সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় দেশগুলো কোভিড-১৯ মহামারির সময় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্যাকেজ চালু করেছে যা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে।

সহযোগিতা ও সমন্বয়:
পশ্চিমা দেশগুলো অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক সমস্যার সমাধানে একে অপরের সাথে সহযোগিতা ও সমন্বয় করে কাজ করে। ন্যাটো, G7, এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে তারা যৌথভাবে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করে।

৩. আমেরিকার চাপে থাকা সম্পর্কে বাস্তবতা:

স্বাধীন নীতি:
অনেক পশ্চিমা দেশ তাদের নিজস্ব স্বাধীন নীতি গ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ, জার্মানি এবং ফ্রান্স মাঝে মাঝে আমেরিকার সাথে ভিন্নমত পোষণ করে এবং তাদের নিজস্ব জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে।

বহুপাক্ষিক সম্পর্ক:
পশ্চিমা দেশগুলো আমেরিকার পাশাপাশি অন্যান্য বৈশ্বিক শক্তির সাথে সম্পর্ক বজায় রাখে এবং তাদের নিজস্ব পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করে।

৪. পশ্চিমা দেশগুলোর বৈশ্বিক ভূমিকা:

মানবাধিকার ও গণতন্ত্র:
পশ্চিমা দেশগুলো মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রচারে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করে।

বৈশ্বিক নিরাপত্তা:
পশ্চিমা দেশগুলো বৈশ্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ন্যাটো এবং অন্যান্য সামরিক জোটের মাধ্যমে তারা বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

এইসব যুক্তি বিবেচনায় নিয়ে বলা যায় যে, পশ্চিমা দেশগুলোর প্রভাব ও সক্ষমতা শুধু আমেরিকার উপর নির্ভরশীল নয়, বরং তাদের নিজস্ব শক্তি, নীতি এবং আন্তর্জাতিক ভূমিকার মাধ্যমে তারা বৈশ্বিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

০৩ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ১:৩৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


১. চীন-ইন্ডিয়া সীমান্ত সমস্যার প্রকৃতি:

বারবার সংঘর্ষ:
চীন এবং ভারতের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ একাধিকবার ঘটেছে, যেমন ১৯৬২ সালের যুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক সময়ে ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষ। এই সংঘর্ষগুলি দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা এবং অবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।

অবস্থানগত সমস্যা:
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) অস্পষ্টতা এবং ভিন্নমত দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে। উভয় পক্ষই নিজেদের সীমানা প্রসারিত করতে চায়।

২. আন্তর্জাতিক কৌশলগত প্রতিযোগিতা:

বৃহত্তর প্রতিযোগিতা:
চীন এবং ভারতের মধ্যে বৃহত্তর কৌশলগত প্রতিযোগিতা রয়েছে, যেমন দক্ষিণ এশিয়া এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার। এই প্রতিযোগিতা সংঘর্ষের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।

বৈশ্বিক ক্ষমতার খেলা:
যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলি চীন-ভারত সম্পর্ককে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে, যা দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে।

৩. অর্থনৈতিক এবং সামরিক প্রস্তুতি:

সামরিক প্রস্তু তি:
উভয় দেশই তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে এবং সীমান্তে সেনা মোতায়েন করছে, যা সংঘর্ষের সম্ভাবনা বাড়াচ্ছে।

অর্থনৈতিক চাপ:
অর্থনৈতিক উন্নয়ন উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা আপোষ করতে প্রস্তুত নয়।

৪. রাজনৈতিক অস্থিরতা:

অভ্যন্তরীণ চাপ:
উভয় দেশের রাজনৈতিক নেতারা অভ্যন্তরীণ চাপের সম্মুখীন, যা জাতীয়তাবাদী মনোভাব বৃদ্ধি করতে পারে এবং সীমান্তে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করতে বাধ্য করতে পারে।

সাময়িক উত্তেজনা:
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গণমাধ্যমের প্রচার সীমান্ত সংঘর্ষের পরিস্থিতিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

৫. ঐতিহাসিক বিরোধ:

ঐতিহাসিক মতবিরোধ:
দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ এবং আস্থা সংকট দুই দেশের মধ্যে একটি গভীর বিভেদ সৃষ্টি করেছে, যা সহজে নিরসনযোগ্য নয়।

সংলাপের অভাব:
উভয় দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ সংলাপের অভাব রয়েছে, যা স্থায়ী সমাধানে বাধা সৃষ্টি করছে।

এইসব যুক্তি বিবেচনায় নিয়ে বলা যায় যে, চীন ও ভারতের সীমান্ত সমস্যা সহজে সমাধানযোগ্য নয় এবং এই উত্তেজনা বড় যুদ্ধে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক প্রগতির গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় উভয় দেশই কঠোর অবস্থান নিতে পারে।

০৩ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ১:৪৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


১. যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি:

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী:
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি এবং তাদের সামরিক প্রযুক্তি অত্যন্ত উন্নত।

আন্তর্জাতিক সামরিক উপস্থিতি:
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি এবং উপস্থিতি বিভিন্ন দেশে রয়েছে, যা তাদের বৈশ্বিক প্রভাব বৃদ্ধি করে।

২. অর্থনৈতিক প্রভাব:

বৃহত্তম অর্থনীতি:
যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি, যা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবণতা এবং নীতিগুলিকে প্রভাবিত করে।

ডলার হেজিমনি:
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক লেনদেনে মার্কিন ডলারের আধিপত্য রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রভাব নিশ্চিত করে।

৩. রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক প্রভাব:

নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা:
যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং জোটের মধ্যে নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা পালন করে, যেমন ন্যাটো, জি৭, এবং জাতিসংঘ।

কূটনৈতিক শক্তি:
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রভাব এবং সমর্থন বিশ্বজুড়ে ব্যাপক। তারা বিভিন্ন দেশকে তাদের পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে প্রভাবিত করতে সক্ষম।

৪. ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব:

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা:
যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা ইউক্রেনকে উল্লেখযোগ্য সামরিক এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে, যা ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সহায়তা করেছে।

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা:
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলি রাশিয়ার অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব দেখিয়েছে।

৫. বহুকেন্দ্রীক বিশ্বের সীমাবদ্ধতা:

বিভিন্ন শক্তির দ্বন্দ্ব:
নতুন বহুকেন্দ্রীক বিশ্ব ব্যবস্থায় বিভিন্ন শক্তির মধ্যে প্রতিযোগিতা এবং দ্বন্দ্ব বেড়ে যাবে, যা স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কঠিন হতে পারে।

নেতৃত্বের অভাব:
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকে নেতৃত্ব না দিলে, বিশ্বে কোনও নির্দিষ্ট শক্তি বা দেশ স্থিতিশীল নেতৃত্ব প্রদান করতে সক্ষম নাও হতে পারে।

৬. যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি:

প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের নেতৃত্ব:
যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং গবেষণায় বিশ্বে নেতৃত্ব দেয়। শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।

শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান:
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে, যা বৈশ্বিক উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এইসব যুক্তি বিবেচনায় নিয়ে বলা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র এখনও একটি পরাশক্তি এবং তাদের বৈশ্বিক প্রভাব ব্যাপক। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বহুকেন্দ্রীক বিশ্ব ব্যবস্থা বিবেচনা সত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত প্রভাব এখনও গুরুত্বপূর্ণ।

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:২৭

কামাল১৮ বলেছেন: এসব পুরনো কিচ্ছা কাহিনী বর্তমানে অচল।বাংলাদেশের ব্যপারেই দেখুন না।আমেরিকা অনেক চেষ্টা করলো সরকার হটাতে কিন্তু ভারতকে রাজি করাতে পারলো না।অবশেষে রণে ভঙ্গ দিলো।আপনি আপনার সিধান্ত অনুযায়ী যুক্তি খুঁজছেন।যেটা বাসতবতা থেকে অনেক দুর।

০৩ রা জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:৪৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


১. যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব এবং ক্ষমতা:
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের একটি অন্যতম প্রভাবশালী দেশ, যার বৈশ্বিক রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব রয়েছে। এমনকি যদি কোন একটি নির্দিষ্ট ঘটনা বা ক্ষেত্রে তারা সফল না হয়, তা তাদের সামগ্রিক প্রভাবকে ক্ষুণ্ন করে না।

২. ভারতের ভূমিকাঃ
ভারতের নিজস্ব আঞ্চলিক স্বার্থ এবং নীতি রয়েছে, যা সব সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলবে না। এটি যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি বা ক্ষমতার অভাব বোঝায় না, বরং এটি ভারতের স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি নির্দেশ করে।

৩. রাজনৈতিক বাস্তবতা:
বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন ভিন্ন কারণ এবং প্রেক্ষাপট দ্বারা প্রভাবিত। এক দেশে যে কৌশল সফল, অন্য দেশে তা ব্যর্থ হতে পারে। এটি আন্তর্জাতিক রাজনীতির স্বাভাবিক একটি দিক।

৪. ঐতিহাসিক কাহিনী এবং শিক্ষা:
পুরনো কিচ্ছা কাহিনী বা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া যায় এবং ভবিষ্যতের জন্য কৌশল তৈরি করা যায়। ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে একই ভুল পুনরাবৃত্তি হতে পারে।

৫. বাস্তবতার সাথে যুক্তি খোঁজা:
বাস্তবতার সাথে যুক্তি খোঁজার অর্থ হচ্ছে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট এবং পরিস্থিতির মূল্যায়ন করা। একটি ঘটনা বা উদাহরণ দিয়ে সার্বিক সিদ্ধান্তে আসা সঠিক নয়।

শেষকথা:
আপনি আপনার বক্তব্যে বর্তমান বাস্তবতা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জটিলতাকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছেন। আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং কূটনীতিতে বিভিন্ন দেশের নিজস্ব স্বার্থ এবং কৌশল রয়েছে, যা সব সময় একরকম থাকবে না। এক বা দুটি ঘটনার উপর ভিত্তি করে সার্বিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যুক্তিযুক্ত নয়।

পুরনো কিচ্ছা কাহিনীগুলো এখনও শিক্ষণীয় এবং বর্তমান আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপট বুঝতে সহায়ক।

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:১৬

কামাল১৮ বলেছেন: যখন অন্য রকম থাকবে তখন অন্য রকম চিন্তা করবো।আগেই চিন্তা করে অন্য রকম ভাবতে শুরু করবো এটা ঠিক না।গাজী সাহেবের ভাষায় বলতে হয়,গরুর রচনা না লিখে মন্তব্য অল্প কথায় লিখুন।

০৩ রা জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:৪৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমিও এই কথাই বলছি যে যখন অন্য রকম থাকবে তখন অন্য রকম চিন্তা করবেন।আগেই চিন্তা করে অন্য রকম ভাবতে শুরু করা ঠিক না।

যেহেতু বিস্তারিত লেখা পড়ার ধৈর্যের অভাব আছে তাই ভাল করে লেখাটা পড়তে পারেন নাই।

আপনি বর্তমান নিয়ে না ভেবে ভবিষৎ নিয়ে ভাবছেন যে,
"ব্রিকস আরো শক্তিশালী এবং নতুন গতি পাবে।" আবার একই সাথে বলছেন "যখন অন্য রকম থাকবে তখন অন্য রকম চিন্তা করবো। আগেই চিন্তা করে অন্য রকম ভাবতে শুরু করবো এটা ঠিক না।"

যদিও সংক্ষিপ্ত মন্তব্যের মূল্য রয়েছে, তবে কখনও কখনও বিশদ বিশ্লেষণ প্রয়োজনীয় হয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশদ বিশ্লেষণ এবং পরিকল্পনা ভবিষ্যতের জন্য সুফল বয়ে আনে।

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:৩৯

কামাল১৮ বলেছেন: বিশ্বএখন দুই ভাগে বিভক্ত।একদিকে আছে ন্যাটো অন্য দিকে বাকি বিশ্ব।আপনি কোন পক্ষে তার উপর নির্ভর করবে আপনার চিন্তা চেতনা।আমি ন্যাটোর বিপক্ষে তাই আমার দৃষ্টিতে উদিয়মান শক্তির বিকাশ দেখতে পাই।আমি ব্রিক্সের বিকাশ দেখছি আপনি দেখছেন তার দুর্বল দিক সমুহ।আর কিছু না।
বাস্তবতা দেখার দৃষ্টি জনে জনে আলাদা।

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:৫৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


১. বিশ্ব শুধুমাত্র দুই ভাগে বিভক্ত নয়:

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক জটিল এবং বহুমুখী। বিশ্বকে শুধু ন্যাটো এবং বাকি বিশ্ব এই দুই ভাগে ভাগ করা সরলীকরণ হতে পারে।

বিশ্বের অন্যান্য জোট এবং জোটবিহীন রাষ্ট্রগুলোও রয়েছে, যেমন জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (Non-Aligned Movement), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU), এবং আসিয়ান (ASEAN)। এরা আলাদা ভাবে তাদের নিজস্ব ভূমিকা পালন করে।

২. ন্যাটোর বিপরীতে থাকা মানেই উদীয়মান শক্তির বিকাশ দেখা নয়:

ন্যাটোর সমালোচনা করা মানেই যে ব্রিক্সের বিকাশ দেখতে পাওয়া, এমনটা জরুরি নয়। উদীয়মান শক্তি বা জোটের বিকাশ দেখার জন্য নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।

ব্রিক্সের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিজস্ব চ্যালেঞ্জ ও দুর্বলতা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, অর্থনৈতিক বৈষম্য, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব।

৩. বাস্তবতা দেখার দৃষ্টিভঙ্গি:

বাস্তবতা দেখার দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্যই ভিন্ন হতে পারে, তবে তা হতে হবে তথ্যনির্ভর এবং যুক্তি-ভিত্তিক। শুধুমাত্র পক্ষপাতদুষ্ট মতামত না দিয়ে বরং তথ্য এবং পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করতে হবে।

উদীয়মান শক্তির দুর্বলতা দেখা মানে শুধু তার নেতিবাচক দিকগুলোই দেখা নয়, বরং তার চ্যালেঞ্জগুলো বোঝা এবং তাদের সমাধানের উপায় খোঁজা।

৪. ন্যাটোর ভূমিকা ও কার্যকারিতা:

ন্যাটো একটি প্রতিরক্ষা জোট, যার উদ্দেশ্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ন্যাটোকে শুধুমাত্র সামরিক দিক দিয়ে বিচার না করে তার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং মানবিক দিকগুলোকেও বিবেচনা করা উচিত।

ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রগুলো গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের প্রসারে কাজ করে থাকে।

৫. ব্রিক্সের ভূমিকা:

ব্রিক্স একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক জোট, তবে এটি এখনও ন্যাটোর মতো একটি সংগঠিত সামরিক জোট নয়। ব্রিক্সের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভিন্নতা রয়েছে, যা তাদের একত্রে কার্যকরভাবে কাজ করতে বাধা হতে পারে।

ব্রিক্সের সফলতা এবং সীমাবদ্ধতাগুলো বিবেচনা করতে হবে, যেমনঃ ভারত ও চীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব, রাশিয়ার ভূরাজনৈতিক অবস্থান, এবং ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ।

এইসব যুক্তির আলোকে বলা যায় যে, বিশ্বকে শুধুমাত্র ন্যাটো এবং বাকি বিশ্ব এই দুই ভাগে ভাগ করা বাস্তবতা সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরে না। বিষয়টি জটিল এবং বহুমাত্রিক, এবং বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.