নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
মে মাসের ২৯ তারিখে চীন-আরব রাষ্ট্র সহযোগিতা ফোরাম বেইজিংয়ে কৌশলগত রাজনৈতিক সংলাপে মিলিত হয়েছিল। চায়না-আরব স্টেটস কো-অপারেশন ফোরাম (CASCF) হল চীন এবং আরব লীগের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক সংলাপ উদ্যোগ যা ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি চীন এবং আরব রাষ্ট্রগুলির মধ্যে প্রাথমিক বহুপাক্ষিক সমন্বয় ব্যবস্থা।
চায়না-আরব স্টেটস কো-অপারেশন ফোরাম (CASCF) চীনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক কৌশলের একটি উল্লেখযোগ্য মাত্রা যোগ করেছে। এই ফোরাম যদি সঠিকভাবে অগ্রসর হতে পারে তাহলে আমেরিকা এবং তার পশ্চিমা মিত্রদের জন্য ইতিবাচক চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দিবে। এই চ্যালেঞ্জের পিছনের কারণগুলির বিশদ বিশ্লেষণ এখানে রয়েছে:
১. অর্থনৈতিক প্রভাব এবং বাণিজ্য:
(ক) চীনের অর্থনৈতিক প্রভাব।
চীন মূলত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এর অধীনে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অবকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে আরব রাষ্ট্রগুলির সাথে তার অর্থনৈতিক সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি করেছে। চীনা কোম্পানিগুলি বন্দর, রেলপথ এবং জ্বালানি খাত সহ মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে অসংখ্য অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
(খ) বাণিজ্যিক সম্পর্ক।
চীন ও আরব রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বাণিজ্য যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। চীন এখন এই অঞ্চলের অনেকগুলি দেশের উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য অংশীদার। চীন এই দেশগুলিতে ইলেকট্রনিক্স, যন্ত্রপাতি এবং ভোগ্যপণ্য রপ্তানি করার বিনিময়ে প্রচুর পরিমাণে তেল ও গ্যাস আমদানি করে। অর্থনৈতিক পারস্পরিক নির্ভরতা আরব দেশগুলির উপর চীনের প্রভাব বৃদ্ধি করেছে।
২. ভূ-রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহ:
(ক) কৌশলগত অংশীদারিত্ব
মধ্যপ্রাচ্যে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি শুধু অর্থনীতিক ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়। চীনের উপস্থিতি রাজনৈতিক এবং কৌশলগত মাত্রাও অন্তর্ভুক্ত করে। আরব রাষ্ট্রগুলির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে চীন ঐতিহ্যগতভাবে আমেরিকার প্রভাবাধীন আরব অঞ্চলে কিছু কৌশলগত সুবিধা লাভ করবে। এর ফলে আঞ্চলিক জোট এবং ক্ষমতার ভারসাম্যের পরিবর্তন হতে পারে।
(খ) কূটনৈতিক তৎপরতা
CASCF-এর মাধ্যমে চীন আরব অঞ্চলে কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। এই তৎপরতার মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান দ্বন্দ্ব সংঘাতের মধ্যস্থতা করা এবং স্থিতিশীলতার জন্য চেষ্টা করা। এই কূটনৈতিক তৎপরতা চীনের সফট পাওয়ার বৃদ্ধি করার এক ধরণের প্রচেষ্টা। চীনের এই প্রচেষ্টা পশ্চিমা কূটনৈতিক উদ্যোগের একটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে।
৩. সামরিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা:
নিরাপত্তা সহযোগিতা:
চীন কয়েকটি আরব রাষ্ট্রের সাথে সামরিক সহযোগিতা বাড়াচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে অস্ত্র বিক্রি, যৌথ সামরিক মহড়া এবং নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। এই ধরনের সহযোগিতা এই অঞ্চলে পশ্চিমা প্রতিরক্ষা ঠিকাদার এবং সামরিক জোটের একচেটিয়া আধিপত্য হ্রাস করতে পারে
৪. আমেরিকা এবং পশ্চিমা মিত্রদের জন্য চ্যালেঞ্জ সমূহ:
(ক) পশ্চিমা প্রভাব কমে যাওয়া।
ক্রমবর্ধমান চীন-আরব সহযোগিতা মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা ও পশ্চিমা প্রভাব কমে যেতে পারে। আরব রাষ্ট্রগুলো তাদের অংশীদারিত্বকে বহুমুখী করার ফলে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত ভাবে পশ্চিমের উপর তাদের নির্ভরশীলতা কমে যেতে পারে।
(খ) আকর্ষণীয় স্বার্থ।
অন্য দেশের ব্যাপারে চীনের অ-হস্তক্ষেপ নীতি এবং শুধুমাত্র অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের দিকে ফোকাস আরব বিশ্বের কর্তৃত্ববাদী শাসনের কাছে আকর্ষণীয় একটা বিষয়। কারণ এতে তারা জবাবদিহি হীন যেমন ইচ্ছা তেমনি তাদের কর্তৃত্ববাদী শাসন বহাল রাখতে পারবে। এটি পশ্চিমা পদ্ধতির সাথে সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মী। কারণ পশ্চিমারা যেকোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বা সাহায্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক সংস্কার সম্পর্কিত শর্ত অন্তর্ভুক্ত করে। পদ্ধতির এই ভিন্নতা পশ্চিমা কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলতে পারে।
(গ) জ্বালানি নিরাপত্তা।
মধ্যপ্রাচ্যে তেল ও গ্যাস রফতানিকারক দেশগুলির সাথে সরাসরি সম্পর্কের মাধ্যমে চীন তার জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করতে পারবে। এরফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি বাজার এবং কৌশলগত অবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে। পশ্চিমা দেশগুলি জ্বালানি নিরাপত্তার এই অবস্থাটাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখতে পারে। বিপুল জ্বালানি চাহিদার কারণে চীন তেলের বাজারের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখে।
৫. আমেরিকা এই চ্যালেঞ্জগুলি কি ভাবে প্রশমিত করবে?
(ক) জোট শক্তিশালী করণ।
আমেরিকা এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা মধ্যপ্রাচ্যে তাদের জোট এবং অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিতে হবে। এই লক্ষ্যে শুধু অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তাই যথেষ্ট নয় বরং এই অঞ্চলের সমস্যা সমাধানের জন্য জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
(খ) অর্থনৈতিক ব্যস্ততা।
পশ্চিমা দেশগুলির আরব রাষ্ট্রগুলির সাথে তাদের অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা উচিত। প্রতিযোগিতামূলক বাণিজ্য চুক্তি এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। আকর্ষণীয় পশ্চিমা বিনিয়োগ চীনের প্রস্তাবের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে। এই সব উদ্যোগের মধ্যে প্রযুক্তি স্থানান্তর, শিক্ষা বিনিময় এবং অবকাঠামো উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
(গ) কৌশলগত কূটনীতি।
মধ্যপ্রাচ্যের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি ব্যাপক এবং কৌশলগত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে সংঘাতের মধ্যস্থতা, রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য সমর্থন এবং মানবিক সহায়তা।
(ঘ) নতুন বাস্তবতার সাথে খাপ খাওয়ানো।
আমেরিকা এবং তার পশ্চিমা মিত্রদের চীনের নানামুখী কূটনৈতিক তৎপরতাগুলিকে আমলে নিয়ে বিভিন্ন দেশের সাথে সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলি খুঁজে বের করে বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। এতে সন্ত্রাস দমন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
সারসংক্ষেপ:
চীন-আরব রাষ্ট্র সহযোগিতা ফোরামকে আমেরিকা এবং তার পশ্চিমা মিত্রদের জন্য ইতিবাচক চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা উচিত। এই চ্যালেঞ্জগুলি ঐতিহ্যগত জোটগুলিকে শক্তিশালী করে, অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করে, কৌশলগত কূটনীতি অবলম্বন করে এবং বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মাধ্যমে মোকাবেলা করা যেতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রতিযোগিতার ভারসাম্য বজায় রাখাই মূল বিষয়।
০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:১৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আমেরিকার ভূমিকা:
১. কৌশলগত অংশীদারিত্ব
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মিত্রতা এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ। আমেরিকার মিত্র হওয়ার মানে এই নয় যে, সে বাকি বিশ্বের শত্রু হবে। বরং, এটি নির্দিষ্ট কিছু দেশ বা অঞ্চলের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং সামরিক সহায়তার মাধ্যমে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ওই অঞ্চলে নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে।
২. মানবিক সহায়তা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। বিভিন্ন দুর্যোগ পরিস্থিতিতে, যেমন প্রাকৃতিক বিপর্যয়, যুদ্ধকালীন শরণার্থী সহায়তা ইত্যাদির ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বড় ভূমিকা পালন করে।
৩. গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সহায়তা করে। যদিও এই প্রচেষ্টা সবসময় সফল হয় না, তবুও এর মাধ্যমে অনেক দেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশে মার্কিন সহায়তায় গণতান্ত্রিক রূপান্তর হয়েছে।
৪. আঞ্চলিক নিরাপত্তা
এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি থাকা মানে এশিয়ার দেশগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যেমন, উত্তর কোরিয়ার মতো হুমকির বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের নিরাপত্তা রক্ষায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, চীনের প্রভাব বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা প্রয়োজন।
৫. অর্থনৈতিক সহযোগিতা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা অনেক দেশের জন্য লাভজনক। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং অর্থনৈতিক বিনিয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, এবং ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে।
সবশেষ কথা:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হওয়া মানে বাকি বিশ্বের শত্রু হওয়া নয়। বরং, এটি নির্দিষ্ট কৌশলগত, মানবিক, এবং অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদান করতে পারে। যদিও মার্কিন পররাষ্ট্র নীতিতে ত্রুটি থাকতে পারে, তা সত্ত্বেও এর মাধ্যমে অনেক দেশে স্থিতিশীলতা, মানবাধিকার, এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৪০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আমেরিকা মুখে মানবতার কথা বলে আসলে তারা মানবতার চরম শত্রু। এই কথা ঠিক নয়:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবিক সহায়তা প্রদান করে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়, স্বাস্থ্য সংকট, এবং শরণার্থী সংকটের সময়ে আমেরিকা মানবিক সহায়তা প্রদান করে থাকে।
আমেরিকা প্রাকৃতিক বিপর্যয়, স্বাস্থ্য সংকট, এবং শরণার্থী সংকটের সময়ে বাংলাদেশকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে। নিচে এসব ক্ষেত্রে আমেরিকার ভূমিকা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
প্রাকৃতিক বিপর্যয়:
১. সাইক্লোন সিডর (২০০৭)
২০০৭ সালে সাইক্লোন সিডর বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়। প্রায় ৩,০০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রদান করে। USAID এবং অন্যান্য মার্কিন সংস্থা জরুরি ত্রাণ সামগ্রী, খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করে।
২. সাইক্লোন আম্পান (২০২০)
২০২০ সালে সাইক্লোন আম্পান বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত ত্রাণ তহবিল ঘোষণা করে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় জরুরি ত্রাণ সামগ্রী, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রেরণ করে।
স্বাস্থ্য সংকট:
১. কোভিড-১৯ মহামারি (২০২০-বর্তমান)
কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সহায়তা প্রদান করেছে। এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে:
টিকা প্রদান:
যুক্তরাষ্ট্র কোভ্যাক্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মিলিয়ন ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করেছে।
চিকিৎসা সামগ্রী:
ভেন্টিলেটর, পিপিই, এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রেরণ করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক সহায়তা:
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাত এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে।
২. অন্যান্য স্বাস্থ্য সংকট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করছে। বিশেষ করে মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, এবং সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে। ইউএসএআইডি (USAID) এর মাধ্যমে বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে।
শরণার্থী সংকট:
১. রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট
২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত সহিংসতার পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এই সংকট মোকাবিলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সহায়তা প্রদান করে:
মানবিক সহায়তা:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খাদ্য, পানি, আশ্রয়, এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ব্যাপক সহায়তা করেছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা:
UNHCR এবং IOM এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে মার্কিন তহবিল শরণার্থী সহায়তায় ব্যয়িত হয়েছে।
প্রকল্প এবং কর্মসূচি:
USAID এবং অন্যান্য সংস্থা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে, যা রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় কাজে লাগছে।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়, স্বাস্থ্য সংকট, এবং শরণার্থী সংকটের সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ব্যাপক মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে। এই সহায়তা বাংলাদেশের জনগণের দুর্দশা লাঘব এবং পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের মানবিক সহায়তা তাদের বৈশ্বিক মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতিফলন।
০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৫৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আমেরিকার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তা:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (USAID) এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সংস্থা উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, এবং অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা খাতে আমেরিকার সহায়তায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (USAID) দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করে আসছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, এবং অবকাঠামো উন্নয়নে USAID এর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
স্বাস্থ্য খাতে USAID এর ভূমিকা:
১. মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য
USAID মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে:
সেফ মাদারহুড (Safe Motherhood):
গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং নিরাপদ প্রসব নিশ্চিতকরণ।
নিউট্রিশন (Nutrition):
শিশুদের পুষ্টি উন্নয়নে পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম।
২. সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ
USAID বিভিন্ন সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
টিকাদান কর্মসূচি:
শিশুদের রোগ প্রতিরোধক টিকা প্রদান এবং সচেতনতা বৃদ্ধি।
এইচআইভি/এইডস:
এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ এবং আক্রান্তদের চিকিৎসা সহায়তা।
৩. স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো উন্নয়ন
USAID বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করে। এর মধ্যে রয়েছে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ, এবং স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন।
শিক্ষা খাতে USAID এর ভূমিকা:
১. প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা
USAID প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করে। এর মধ্যে রয়েছে:
শিক্ষা উপকরণ প্রদান:
স্কুলে পাঠ্যপুস্তক এবং অন্যান্য শিক্ষাসামগ্রী সরবরাহ।
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ:
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন।
ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি:
বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধি।
২. উচ্চশিক্ষা
উচ্চশিক্ষায় USAID এর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে রয়েছে:
স্কলারশিপ প্রোগ্রাম:
মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনে স্কলারশিপ প্রদান।
বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগিতা:
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করে গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নয়ন।
কৃষি খাতে USAID এর ভূমিকা:
১. কৃষি প্রযুক্তি
USAID বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি প্রচলন করে। এর মধ্যে রয়েছে:
উন্নত বীজ:
উচ্চ ফলনশীল বীজ সরবরাহ এবং চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ।
সেচ ব্যবস্থা:
আধুনিক সেচ ব্যবস্থা প্রচলন এবং কৃষকদের সেচ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ।
২. কৃষক সহায়তা
USAID সরাসরি কৃষকদের সহায়তায় বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে। এর মধ্যে রয়েছে:
কৃষি ঋণ:
কৃষকদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদান।
বাজার সংযোগ:
কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের বাজারে সহজ প্রবেশ এবং ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ।
অবকাঠামো উন্নয়ন:
১. রাস্তা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা
USAID বাংলাদেশের গ্রামীণ এবং শহুরে এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে রয়েছে:
গ্রামীণ রাস্তা:
গ্রামীণ রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং সংস্কার।
সেতু নির্মাণ:
সেতু নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ।
২. পানি ও স্যানিটেশন
USAID পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে:
নিরাপদ পানি:
গ্রামীণ এবং শহুরে এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ।
পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা:
আধুনিক পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রচলন এবং ব্যবস্থাপনা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (USAID) বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, এবং অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এসব খাতে USAID এর বিভিন্ন প্রকল্প এবং কার্যক্রম বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে, যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে।
০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় আমেরিকার ভূমিকা:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ, এইডস, ম্যালেরিয়া, এবং ইবোলা রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমেরিকা বড় ভূমিকা রেখেছে। পেপফার (PEPFAR) প্রোগ্রামের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এইডস রোগ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায় বিশাল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে। নিচে এই বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
এইডস (HIV/AIDS) এর বিরুদ্ধে লড়াই:
পেপফার (PEPFAR) প্রোগ্রাম:
পেপফার (The President's Emergency Plan for AIDS Relief) ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক এইডস মোকাবিলা প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে এইডস রোগ প্রতিরোধ, চিকিৎসা এবং সহায়তায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। কিছু উল্লেখযোগ্য দিক:
প্রতিরোধ ও সচেতনতা:
পেপফার প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
চিকিৎসা ও সহায়তা:
পেপফার এর আওতায় মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষকে অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল (ARV) চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে, যা এইডস রোগীদের জীবন রক্ষায় সহায়তা করেছে।
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ:
স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা প্রদান করে এইডস মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সাফল্য:
পেপফার এর মাধ্যমে গত প্রায় দুই দশকে লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এইডস রোগের প্রাদুর্ভাব কমিয়ে আনা এবং আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদান করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে বিশাল অবদান রেখেছে।
ম্যালেরিয়া মোকাবিলা:
প্রেসিডেন্টের ম্যালেরিয়া ইনিশিয়েটিভ (PMI)
২০০৫ সালে প্রেসিডেন্টের ম্যালেরিয়া ইনিশিয়েটিভ (PMI) প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ যা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায় লক্ষ্য করে। কিছু উল্লেখযোগ্য দিক:
মশারি বিতরণ:
PMI এর মাধ্যমে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে মশারি বিতরণ এবং মশার কামড় থেকে সুরক্ষা প্রদান করা হয়।
ওষুধ প্রদান:
ম্যালেরিয়ার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন দেশে ওষুধ সরবরাহ এবং চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
সচেতনতা বৃদ্ধি:
ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সাফল্য:
PMI এর মাধ্যমে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের হার কমিয়ে আনা এবং মৃত্যুহার হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোতে ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় এই উদ্যোগ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
ইবোলা মোকাবিলা:
ইবোলা মহামারি (২০১৪-২০১৬)
২০১৪-২০১৬ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা মহামারি ছড়িয়ে পড়লে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা প্রদান করে। কিছু উল্লেখযোগ্য দিক:
স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানো:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, এবং বিশেষজ্ঞদের একটি দল পাঠিয়ে ইবোলা রোগীদের চিকিৎসা প্রদান এবং প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
অর্থনৈতিক সহায়তা:
ইবোলা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, ওষুধ এবং চিকিৎসা সুবিধা প্রদানে বিশাল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা হয়।
প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা:
স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং ইবোলা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
সাফল্য:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইবোলা মহামারির প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আসা সম্ভব হয়েছে এবং আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদান করে মৃত্যুহার কমানো হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এইডস, ম্যালেরিয়া, এবং ইবোলা রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের অবদান বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। পেপফার (PEPFAR) প্রোগ্রামের মাধ্যমে এইডস প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে, যা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার এবং কার্যক্রমের প্রতিফলন।
২| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:১৪
শাহ আজিজ বলেছেন: মোহাম্মদ আলি আকন্দ , চমৎকার গুছিয়ে জবাব দিয়েছেন কামাল ১৮ কে ।
০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৩৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
ইন্ডিয়া, রাশিয়া এবং চীনের অপপ্রচার এবং প্রোপাগান্ডার কারণে বিশ্বব্যাপী আমেরিকার অবদানের কথা অনেকেই জানে না। এটা ব্যক্তি বিশেষের কোন দোষ না। অনেকেই গবেষণা করে তথ্য পেলেও সবার পক্ষে গবেষণা করা সম্ভব না। তাই ভুল ধারণা থাকবেই।
যেকোনো দেশের মিডিয়া আউটলেটগুলি জনমত গড়ে তুলে। বাংলাদেশের মিডিয়া আউটলেটগুলি ইন্ডিয়া, চীন এবং রাশিয়া দ্বারা প্রভাবিত। তাই আমেরিকার অবদান বাংলাদেশের অনেকেই জানে না। বরং আমেরিকার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের কারণে অধিকাংশ বাংলাদেশী এবং ইন্ডিয়ান নাগরিক আমেরিকা সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করে।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায় কোভিড মহামারীর সময় আমেরিকা বিনামূল্যে টিকা সহ ৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সহায়তা করেছে। বাংলাদেশের কোন পত্রিকায় ফলাও করে এই সংবাদ প্রচারিত হয় নাই। এমন কি অধিকাংশ মানুষই তা জানে না। আমি আমেরিকার দূতাবাস, স্টেট ডিপার্টমেন্ট, USAID সহ আরো অনেক তথ্য পর্যালোচনা করে এই তথ্যগুলি পেয়েছি।
৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৫০
কামাল১৮ বলেছেন: তাদের মানবতার ইৎকৃষ্ট উদাহরন গাজা।যে সব কথা বললেন সে সব মুদ্রার এক পিঠ,অন্য পিঠও আছে।আমাদের দেশেও ঘাটিকরে আমাদের সুরক্ষা দিতে বলেন।এই চৌকিদারির দায়িত্ব তাকে কে দিয়েছে।দালালিরও একটা সীমা থাকে।একটা দেশের সার্বভৌম রক্ষা করবে আরেকটা দেশ।
০৯ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:০৭
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
যে সব কথা বললেন সে সব মুদ্রার এক পিঠ, অন্য পিঠও আছে।
অবশ্যই অন্য পিঠও আছে।
আপনি হয়তো সময়ের অভাবে মনোযোগ দিয়ে সব লেখা পড়তে পারেন নাই।
আমি এক জায়গায় লিখেছি যে অনেক ক্ষেত্রেই আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতির ত্রুটি আছে।
ভুল ত্রুটি নিয়েই মানুষ।
আমাদের দেশেও ঘাটিকরে আমাদের সুরক্ষা দিতে বলেন। এই চৌকিদারির দায়িত্ব তাকে কে দিয়েছে। দালালিরও একটা সীমা থাকে। একটা দেশের সার্বভৌম রক্ষা করবে আরেকটা দেশ।
আমি বলি নাই আমাদের দেশেও ঘাটি করে আমেরিকা আমাদের সুরক্ষা দিক;
আমি বলি নাই আমেরিকাকে চৌকিদারির দায়িত্ব দেয়া হউক;
আমি বলি নাই আমেরিকার দালালি করেন;
আমি বলি নাই একটা দেশের সার্বভৌম রক্ষা করার দায়িত্ব আমেরিকাকে দেয়া হউক।
এই কতগুলি আপনার কল্পনাপ্রসূত।
আমি কোথাও এই ধরণের কথা লিখি নাই অথবা এই ধরণের কোন আকার ইঙ্গিতও করি নাই।
বাংলাদেশের মানুষ খুব সহজ সরল তাই সমীকরণও খুব সহজ সরল:
কোন কথা ইন্ডিয়ার পক্ষে গেলে -- ভারতীয় দালাল সংক্ষেপে ভাদা;
কোন কথা পাকিস্তানের পক্ষে গেলে -- পাকিস্তানের দালাল, রাজাকার, ইত্যাদি।
কোন কথা আমেরিকার পক্ষে গেলে -- আমেরিকার দালাল, সিআইএ এজেন্ট ইত্যাদি।
কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের পক্ষে কিছু লিখলে বাংলাদেশের দালাল বলা হয় না। তখন খোঁজা হয় এই কথাটা কার বিপক্ষে গেছে। যার বিপক্ষে গেছে তার বিপক্ষে যে সে তার দালাল।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:০৬
কামাল১৮ বলেছেন: আমেরিকার মিত্র হওয়া মানে বাকি বিশ্বের শত্রু হওয়া।তারা মুখে মানবতার কথা বলে আসলে তারা মানবতার চরম শত্রু।এশিয়ায় যতদিন তাদের ঘাঁটি থাকবে ততদিন তারা এশিয়ার বন্ধু না।বন্ধুর বাড়িতে কেউ অস্ত্র নিয়ে আসে না।আমেরিকা এটা ভালো করেই জানে যে কেউ তাকে বিশ্বাস করে না।