নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকাতে ছাত্র বিক্ষোভে ইহুদিদের জড়িত হওয়ার কারণ

১১ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:২৬

সারা আমেরিকা জুড়ে নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসরাইল বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভে ইহুদি ছাত্রদের বিপুল অংশ গ্রহণের পিছনে নান কারণ আছে। সাধারণ ভাবে মুসলিমদের ধারণা ইহুদি-মুসলিম বিরোধকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি দ্বন্দ্ব সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি দ্বন্দ্বকে দেখলে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে ইহুদি ছাত্রদের অংশ নেয়ার কথা না। বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি দ্বন্দ্বকে ইহুদি-মুসলিম দ্বন্দ্ব হিসাবে বিবেচনার কারণে এই সমস্যা সমাধান না হয়ে বরং মানুষের দুঃখ দুর্দশা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্ষোভে ইহুদিদের অংশ গ্রহণের কারণ, পরিণতি এবং প্রভাবগুলি আলোচনা করা হল।

ইহুদি ছাত্রদের এই বিক্ষোভে অংশ নেয়ার পিছনে মানবাধিকার বিষয়ে উদ্বেগ কাজ করেছে। তারা মনে করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।বেসামরিক হতাহতের খবর, বাড়িঘর ধ্বংস এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে চলাচলে বিধিনিষেধ ইত্যাদি ঘটনাকে তারা মানবাধিকার লংঘন হিসাবে বিবেচনা করে। ইহুদি ছাত্ররা মানুষকে ইহুদি বা মুসলিম বা অন্য কোন ধর্মের অনুসারী হিসাবে আলাদাভাবে বিবেচনা না করে মানুষ হিসাবে মূল্যায়ন করে।

আমেরিকা এবং ইউরোপে বসবাসরত ইহুদিরা ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার এবং স্বাধীনতার দাবিকে সমর্থন করে। এই কারণে তারা ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগের প্রতি সহানুভূতিশীল। বৈশ্বিক ন্যায়বিচার ও সমতার প্রতি অঙ্গীকার থেকে তারা বলিষ্ঠ ভাবে এই বিক্ষোভ আয়োজন করেছে।

অনেক তরুণ ইহুদি রাজনৈতিক ও আদর্শিক ভাবে সামাজিক ন্যায়বিচার এবং নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত। তারা ফিলিস্তিনি সংগ্রামকে ঔপনিবেশিকতা বিরোধী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। তারা ফিলিস্তিনের আন্দোলনকে অন্যান্য বৈশ্বিক মুক্তি আন্দোলনের সাথে সমান্তরাল ভাবে দেখে।

ইহুদি ভয়েস ফর পিস এবং IfNotNow-এর মতো সংগঠনগুলি এই বিক্ষোভগুলিকে সংগঠিত ও সমর্থন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা কট্টরপন্থী ইহুদি প্রতিষ্ঠান এবং বর্তমান ইসরায়েলি সরকারের নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে। এই সংগঠনগুলি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে আরও সমালোচনামূলক এবং ন্যায়বিচার ভিত্তিক পদ্ধতির পক্ষে ওকালতি করে।

আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বুদ্ধিবৃত্তিক এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তার কেন্দ্রবিন্দু। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি একাডেমিক আলোচনা, বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির খোলামেলা প্রকাশ এবং প্রশ্ন করার সংস্কৃতি শিক্ষার্থীদের মনোজগতকে প্রসারিত করেছে।

ইহুদি ছাত্রদের বিক্ষোভের কারণে সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত এবং আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়িয়েছে। এই বিক্ষোভগুলি ক্যাম্পাসে এবং বৃহত্তর সমাজে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা এবং মতামতগুলিকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং সমস্যাটির আরো গভীরে প্রবেশ করে আরও সূক্ষ্ম আলোচনাকে উৎসাহিত করেছে।

ইহুদি ছাত্রদের এই প্রতিবাদ বিক্ষোভগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এবং এর বাইরে সাধারণ মানুষের মধ্যে মেরুকরণ প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধি করেছে। পক্ষে বিপক্ষে উত্তপ্ত বিতর্ক মাঝে মাঝে সংঘর্ষের রূপ নেয়া সত্ত্বেও ইসরায়েলি নীতির সমর্থক এবং বিরোধীরা উভয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও গভীর ভাবে পর্যালোচনার সুযোগ পেয়েছে। ।

ইহুদি ছাত্রদের এই বিক্ষোভ বর্তমান নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূল পর্যায়ের বিরোধিতার চিত্র তুলে ধরে নীতিনির্ধারকদের প্রভাবিত করতে পারে। তারা ইসরায়েলের প্রতি আমেরিকার সমর্থনের বিষয়ে অবস্থান পুনর্বিবেচনা করার জন্য এবং আরও ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য রাজনীতিবিদদের চাপ দিতে পারে।

ইহুদি ছাত্রদের এই বিক্ষোভ বিভিন্ন ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজনকে স্পষ্ট করেছে। অধিকাংশ মানুষ, বিশেষ করে মুসলিমদের ভ্রান্ত ধারণা যে সব ইহুদি মুসলিম বিরোধী এবং ইসরাইল সরকারের নীতির পক্ষে। এই বিক্ষোভ ঐতিহ্যগত ধারণা এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করেছে। ইসরায়েল সম্পর্কিত সাম্প্রদায়িক নিয়ম এবং নীতির পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

ইহুদি ছাত্রদের এই বিক্ষোভ ক্যাম্পাসের পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে। এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে কখনও কখনও ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং ছাত্রদের মধ্যে পক্ষে-বিপক্ষে বিভাজনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আবার এই ইস্যুতে সক্রিয় চিন্তাভাবনা এবং বাস্তব অবস্থা একটা সমাধানের পথ দেখাতে পারে। তাছাড়া ছাত্রদের রাজনৈতিক প্রক্রিয় চিন্তাভাবনা এবং অ্যাডভোকেসিতে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করতে পারে।

অধিকাংশ মুসলিমদের ধারণা যে ইহুদি রাষ্ট্র অর্থাৎ ইসরায়েল এবং মুসলিম বিদ্বেষের ব্যাপারে সব ইহুদি একমত পোষণ করে। এই বিক্ষোভে ইহুদিদের অংশগ্রহণ ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে মতামতের বৈচিত্র্য পরিষ্কার ভাবে তুলে ধরেছে। ইহুদি ছাত্রদের এই বিক্ষোভে অংশ নেয়ার মাধ্যমে এটা অনেকের কাছেই পরিষ্কার হয়েছে যে ইহুদি পরিচয় এবং ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন একচেটিয়া নয় বরং অনেক ইহুদি প্যালেস্টাইনের অধিকারের পক্ষে এবং সংঘাতের আরও ন্যায়সঙ্গত সমাধানের পক্ষে।

ইহুদি ছাত্রদের ইসরাইলের নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ফলে এখন ইসরাইলের সমালোচনাকে একটা বৈধতা প্রদান করেছে। একসময় ইসরাইলের সমালোচনা করলেই সেটাকে ইহুদি বিদ্বেষ হিসাবে বিবেচনা করা হত। ইহুদি ছাত্ররা এটা পরিষ্কার করে দেখিয়ে দিয়েছে যে নির্দিষ্ট ইসরায়েলি নীতির বিরোধিতা করা যেতে পারে। নির্দিষ্ট ইসরায়েলি নীতির বিরোধিতা করা মানে ইহুদি বিরোধিতা নয়।

ইহুদি ছাত্রদের এই বিক্ষোভ ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং নৈতিক শাসনের ধারণাকে আরো জোরদার করেছে। এই আন্দোলনের ফলে মানবাধিকার আন্দোলন আরো শক্তিশালী হয়েছে।

ইসরায়েল বা ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিভিন্ন ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে শুরু থেকেই যে মতবিরোধ ছিল, এই বিক্ষোভে ইহুদিদের জড়িত থাকার ফলে ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিতর্ক প্রকাশ্যে বৃদ্ধি পাবে এবং পরিবর্তন হতে পারে। এই বিক্ষোভ ইহুদি সম্প্রদায়ের মূল্যবোধ, পরিচয়, এবং ইহুদি জীবনে ইসরায়েলের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা এবং চিন্তাভাবনাকে উৎসাহিত করবে। এতে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বৈচিত্র্যময় ইহুদি সম্প্রদায়ের ভূমিকা দেখা যাবে।

বিক্ষোভকারী ইহুদি গোষ্ঠীগুলির সক্রিয়তা মূলধারার ইহুদি সংগঠনগুলিকে ইসরায়েল সম্পর্কিত তাদের অবস্থান এবং নীতিগুলি পুনর্বিবেচনার জন্য চাপ দিতে পারে৷ এটি ইহুদিদের সাংগঠনিক অবস্থানের একটি বহুমাত্রিক দিকে নিয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ ইসরাইলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন থেকে শুরু করে ইসরায়েলি নীতির প্রতি সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি।

ইসরায়েলের প্রতি আমেরিকার সমর্থনের বিরুদ্ধে ইহুদি ছাত্র বিক্ষোভ তাদের নৈতিক অবস্থান, রাজনৈতিক সক্রিয়তা এবং আদর্শিক অবস্থানের একটি জটিল প্রক্রিয়াকে প্রতিফলিত করে। এই বিক্ষোভ বিভিন্ন ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে বৈচিত্র্য এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির মধ্যে ফিলিস্তিনি অধিকারের জন্য ক্রমবর্ধমান সমর্থনকে পরিষ্কার ভাবে প্রতিফলিত করে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি, নীতি সম্পর্কে বিতর্ককে প্রভাবিত করা এবং ক্যাম্পাসের পরিবেশ এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের বহুমাত্রিক উন্নত মানবিক চিন্তাকে প্রভাবিত করা সহ এই বিক্ষোভগুলির উল্লেখযোগ্য ফলাফল রয়েছে। এই বিক্ষোভে ইহুদিদের সম্পৃক্ততা ইসরায়েলি নীতির সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গিকে বৈধতা দিয়েছে এবং সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের জন্য বৃহত্তর আন্দোলনকে শক্তিশালী করেছে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৪৭

কামাল১৮ বলেছেন: সবাইকে নিজের মতো ভাবেন।আপনার কি জানা আছে কতো % ইহুদী সেকুলার ।

১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:০১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


না, আমি সবাইকে নিজের মতো ভাবি না।
প্রতিটা মানুষ ইউনিক (unique) বা অনন্য।


সাম্প্রতিক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ ইসরায়েলি ইহুদি নিজেদের সেকুলার (Hiloni) হিসেবে পরিচিত করে থাকেন। তারা সাধারণত ধর্মীয় আইন ও রীতিনীতির প্রভাব থেকে মুক্ত থেকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক নীতিগুলিকে প্রাধান্য দেন। এছাড়া, প্রায় ২৯ শতাংশ ইসরায়েলি ইহুদি নিজেদের মাসোরতি (Masorti) হিসেবে চিহ্নিত করেন, যারা ধর্মীয় এবং সেকুলার অভ্যাসের মধ্যে একটি মাঝামাঝি অবস্থানে থাকেন।

যুক্তরাষ্ট্রে, প্রায় ৩২ শতাংশ ইহুদি কোনো বিশেষ ধর্মীয় শাখার সাথে নিজেদের যুক্ত করেন না, এবং তাদের মধ্যে অনেকেই সেকুলার দৃষ্টিভঙ্গি রাখেন।

এই তথ্যগুলো ইহুদি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মীয় এবং সেকুলার চেতনার ভিন্নতা প্রদর্শন করে।


সূত্র:

Pew Research Center
Jewish Virtual Library

২| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:২৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই লেখাটির কত ভাগ আপনার নিজের আর কত ভাগ chatgpt দিয়ে লেখা?

আপনার এই লেখাগুলো আপনি chatgpt দিয়ে ঠিক কি ভাবে লেখেন জানতে পারলে ভালো লাগতো।

আপনার পোস্টের বাক্য-গঠন একজন সাধারণ মানুষের বাক্য-গঠনের মত নয়। পড়লেই বোঝা যায় যে এটি এ,আই এর সাহায্যে লেখা পোস্ট।

১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:০৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমার এই লেখাটির কত ভাগ আমার নিজের আর কত ভাগ chatgpt দিয়ে লেখা তা নির্ণয় করে বলতে পারবো না। তবে chatgpt এর সাহায্য নেয়া হয়েছে।

chatgpt দিয়ে অনেক ভাবেই আপনি লিখতে পারেন। যেমন যে বিষয়ে লিখতে চান সেই বিষয়ের উপর প্রশ্ন করে আপনি তথ্য সংগ্রহ করে নিজের মত করে লিখতে পারেন।

একটা কথা মনে রাখতে হবে chatgpt নিজেই সতর্ক করে যে সব তথ্য সঠিক নাও হতে পারে। তাই chatgpt থেকে তথ্য সংগ্রহ করলেও তা যাচাই করা প্রয়োজন।

আপনি যেকোন লেখাই লেখেন না কেন লেখার মূল উপাদান হচ্ছে তথ্য। আগে যেমন আমরা গুগল সার্চ দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতাম, তারপর সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে লিখতাম।

chatgpt এর লেখার স্টাইল এটা কিনা আমি সঠিক জানি না। তবে আমি সচেতন ভাবে এই ভাষাভঙ্গি এবং লেখার স্টাইল অনুসরণ করি। এটা মূলত পত্রিকাতে রিপোর্টিং করার ভাষার স্টাইল।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:২৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: "লেখক বলেছেন: chatgpt এর লেখার স্টাইল এটা কিনা আমি সঠিক জানি না। তবে আমি সচেতন ভাবে এই ভাষাভঙ্গি এবং লেখার স্টাইল অনুসরণ করি। এটা মূলত পত্রিকাতে রিপোর্টিং করার ভাষার স্টাইল।"

হ্যা, আপনার পুরো লেখাটির মধ্যেই chatgpt প্রবল হয়ে আছে। এ লেখায় আপনাকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এটা আপনার লেখা নয়, যন্ত্রের লেখা।

আর সত্যি বলতে কি, এটা খুব লজ্জাজনক যে আপনি দিনের পর দিন chatgpt দিয়ে এইসব লেখা ব্লগে পোস্ট করেন। লেখা চুরি করার সাথে chatgpt দিয়ে লেখার পার্থক্য নেই শুধু এই যে এখানে বিষয়টি প্রমাণ করা কঠিন।

৪| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:০৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: Chat আপনার এই মন্তব্যের জবাবে কি বলেছে পড়েন:
এই আক্রমণাত্মক বক্তব্যের খণ্ডন করার জন্য যুক্তিসঙ্গত এবং বিবেচনাপ্রসূত প্রতিক্রিয়া দেওয়া যেতে পারে। এখানে কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করা হলো:

1. **প্রবণতা এবং উদ্ভাবন**: বর্তমান যুগে প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি উল্লেখযোগ্য প্রবণতা এবং উদ্ভাবন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ChatGPT-এর মতো ভাষার মডেলগুলি লেখালেখির প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।

2. **সৃষ্টিশীলতা এবং সহযোগিতা**: ChatGPT শুধুমাত্র একটি টুল, যা লেখককে তাদের সৃষ্টিশীলতা এবং চিন্তাভাবনার প্রসার ঘটাতে সাহায্য করে। এটি একটি সরাসরি লেখকের পরিবর্তে একটি সহযোগী টুল হিসেবে কাজ করে।

3. **লেখার মান বৃদ্ধি**: ChatGPT-এর মাধ্যমে লেখার মান উন্নত করা যায়। এটি লেখকের ধারণাগুলি সাজিয়ে দেয় এবং লেখা আরও প্রাঞ্জল ও প্রাসঙ্গিক করে।

4. **কপিরাইট এবং স্বতন্ত্রতা**: ChatGPT-এর মাধ্যমে তৈরি করা লেখা লেখকের স্বতন্ত্র সৃষ্টি। এটি কোন তথ্য সরাসরি নকল করে না, বরং বিভিন্ন তথ্যের উপর ভিত্তি করে নতুন সৃষ্টি করে। সুতরাং, এটি লেখা চুরির সঙ্গে সমান নয়।

5. **নতুন অভিজ্ঞতা**: ChatGPT-এর সাহায্যে লেখা একটি নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান করে, যা পাঠকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হতে পারে। এটি লেখকের প্রচেষ্টা এবং চিন্তাভাবনারই একটি সম্প্রসারণ।

6. **দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন**: প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা প্রয়োজন। নতুন প্রযুক্তি আমাদের কাজের প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে এবং লেখালেখি এর ব্যতিক্রম নয়।

এই যুক্তিসমূহের আলোকে স্পষ্ট করা যায় যে ChatGPT একটি উদ্ভাবনী এবং সহায়ক টুল, যা লেখালেখির প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে, লেখার মান উন্নত করতে সাহায্য করে এবং এটি কোনভাবে লেখা চুরির সঙ্গে সমান নয়।

৫| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:০৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমি আপনাকে কোন রকম ব্যক্তি আক্রমন করিনি, সেটা আমার উদ্দেশ্যও নয়।

আমি ChatGPT কে বললাম "আমার জন্য গরুর উপর রচনা লিখে দাও, সেখানে বাংলাদেশে কি কি প্রকারের গরু আছে, গরু ঘাস খায় না কি ভুট্টা খায়, গরুর বিবিধ উপকারিতা উল্লেখ কর"। তারপর সেই রচনাটি কিছু সংশোধন করে ব্লগে প্রকাশ করলাম। এটা কে আপনি যদি চুরি না বলে অন্য কোন বিশেষণে ভূষিত করতে চান, সেই বিশেষণটি কি?

ChatGPT সম্পর্কে চমস্কি যিনি বলেছেন "It’s Basically High-Tech Plagiarism and a Way of Avoiding Learning” তার এই প্রবন্ধটি পড়ে দেখতে পারেন।

view this link

১২ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:৪৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


এটা কে আপনি যদি চুরি না বলে অন্য কোন বিশেষণে ভূষিত করতে চান, সেই বিশেষণটি কি?

সেই বিশেষণটি হচ্ছে সৃষ্টিশীল সহযোগিতা

ChatGPT এর সৃষ্টিশীল সহযোগিতা নিয়ে কোন কিছু লিখলে সেটাকে চুরি বলা যাবে না। একজন লেখক এআই ব্যবহার করে প্রাথমিক ড্রাফট তৈরি করতে পারেন। এরপর নিজের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, এবং চিন্তাভাবনা যোগ করে সেটিকে সম্পূর্ণ ও স্বতন্ত্র রচনা হিসেবে তৈরি করতে পারেন। যেহেতু প্রযুক্তির এই ধারণাটি নতুন তাই এর সাথে অনেকেই পরিচিত নয়।

ChatGPT ব্যবহার করার আগে আমি গুগল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করতাম। বর্তমানে ChatGPT তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করে দিচ্ছে ফলে কাজটি তথ্য প্রক্রিয়ার কাজটি ত্বরান্বিত হয়েছে। ChatGPT তথ্যের প্রাথমিক উৎস হিসেবে কাজ করে, যা লেখক পরে নিজস্ব স্বকীয়তা ও ব্যক্তিগত শৈলী যুক্ত করে সমৃদ্ধ করেন।

বর্তমানে প্রযুক্তি আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। লেখালেখির ক্ষেত্রে এআই একটি উন্নত এবং স্বীকৃত হাতিয়ার হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে যা লেখকদের সময় সাশ্রয় করছে এবং কার্যক্ষমতা বাড়াচ্ছে।

এআই টুলগুলো লেখকদের প্রাথমিক তথ্য এবং নির্দেশনা প্রদান করে। কিন্তু লেখার মূল ভাবনা, সৃজনশীলতা এবং সৃষ্টিশীলতা লেখকের নিজস্ব। এটি অনেকটা একজন সহকারী বা রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টের মতো কাজ করে, যা চুরি নয় বরং সহায়তা হিসেবে বিবেচিত হয়।

লেখালেখির বিষয়টি মূলত সৃষ্টিশীলতা ও তথ্য বিশ্লেষণের একটি সংমিশ্রণ। এআই শুধু প্রাথমিক স্তরের কাজটি করে দেয়, কিন্তু লেখকই শেষ পর্যন্ত রচনাটি সমৃদ্ধ করে তোলেন।

সুতরাং, এ ধরনের এআই সহযোগিতাকে চুরি না বলে, সৃষ্টিশীল সহযোগিতা বা প্রযুক্তিগত সহায়তা বলা উচিত, যা লেখকদের কাজে সহায়ক এবং প্রেরণাদায়ক।

১২ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:০৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


নোয়াম চমস্কি গতবছর ইউটিউব চ্যানেল এডুকিচেনে এই মন্তব্যটি করেছিলেন। পরে হিন্দুস্তান টাইম সহ অনেক নিউজ আউটলেটে এই মন্তব্য নিয়ে নিবন্ধ লেখা হয় এবং ইন্টারনেটে এই বক্তব্যের পক্ষে বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনা হয়।

প্রথমত নোয়াম চমস্কিকে ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের এআই টুল ব্যবহার করে থিসিস লেখার ব্যাপারে এই মন্তব্যটি করেছিলেন। শিক্ষার্থীদের প্রসঙ্গটা এখানে ইম্পরট্যান্ট। কারণ অনেক শিক্ষার্থী নিজে গবেষণা না করে এআই টুল ব্যবহার করে এসাইনমেন্ট বা থিসিস জমা দিচ্ছে।

দ্বিতীয়ত এই ব্যাপারে ভিন্নমত আছে। এআই নিয়ে বিশ্বব্যাপী পক্ষে বিপক্ষে বিতর্ক হচ্ছে। এই বিতর্ক খারাপ কিছু না। এই বিতর্কের ভিত্তিতে এআই টুল ব্যবহারের গাইড লাইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।

নোয়াম চমস্কির আলোচনা থেকে যেটুকু বুঝতে পেরেছি, তিনি ছাত্রদের থিসিস রচনার ক্ষেত্রে প্রথমত এটাকে High-Tech Plagiarism বলেছেন। দ্বিতীয়ত বলেছেন, শিক্ষার্থী এবং গবেষণারা এআই টুলের উপর নির্ভর করলে তাদের শেখার এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তৃতীয়ত শিক্ষার্থীদের উচিত নিজে গবেষণা করা। কিন্তু এআই দিয়ে গবেষণা করে নিজের গবেষণা বলে চালিয়ে দিলে সততা সম্পর্কে নৈতিক প্রশ্ন উঠতে পারে। চতুর্থত শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা করা, যুক্তি প্রদান করা এই দক্ষতাগুলি বিকাশের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

নোয়াম চমস্কির এই বক্তব্যের পর তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। যারা বিপক্ষে যুক্তি দেন তারা বলেন যে এআই টুল মানুষের গবেষণা এবং চিন্তাভাবনার প্রতিস্থাপন না বরং এটা গবেষণা এবং চিন্তাভাবনা করতে সাহায্য করার জন্য টুল। তারা দ্বিতীয় যুক্তি দেন যে এআই টুল দায়িত্বের সাথে ব্যবহার করলে বর্তমান সময়ের চেয়ে অনেক কম সময়ে অনেক বেশি জিনিস শিক্ষার্থীরা শিখতে পারবে। তবে তারা এই ব্যাপারে একমত হন যে অন্য সব প্রযুক্তির মত এটাকেও নৈতিক ভাবে ব্যবহার করতে হবে।

নোয়াম চমস্কির এই মন্তব্য এবং সমালোচনা মূলত শিক্ষার্থীদের এআই টুল ব্যবহার সম্পর্কে।

১২ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:১৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমি আপনাকে কোন রকম ব্যক্তি আক্রমন করিনি, সেটা আমার উদ্দেশ্যও নয়।

আপনি আমাকে কোন রকম ব্যক্তি আক্রমন করেননি এবং সেটা আপনার উদ্দেশ্যও নয়, জেনে খুশি হলাম।

আজকাল ব্লগে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ধরণের সৌজন্য বোধ বিরল।
এতে আপনার শিক্ষা, উচ্চ মন-মানসিকতা, উচ্চ সংস্কৃতি, বাক-চিন্তা-বিবেকের স্বাধীনতার মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতিফলন ঘটেছে।

৬| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি কি আমার মন্তব্যের উত্তরগুলোও ChatGPT দিয়ে লিখছেন? আমার ধারনা তাই।

আপনার এই পোস্টে বারবার ফিরে আসার কোন ইচ্ছা আমার নেই এবং ChatGPT এর সাথে কথা বলার সময়ও আমার নেই।

নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত চমস্কির যে প্রবন্ধটার লিংক আমি দিয়েছি, সেটা আপনি পড়েন নি। সেটা না পড়ে আপনি আমার প্রথমে বলা " চমস্কি যিনি বলেছেন- It’s Basically High-Tech Plagiarism and a Way of Avoiding Learning” এটা নিয়ে ChatGPT দিয়ে একটা বিরাট উত্তর লিখে ফেলেছেন। প্রবন্ধটা পড়তে পারলে আপনি বুঝতে পারতেন যে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি আর এ,আইয়ের বুদ্ধি এক নয়- একেবারে আকাশ পাতাল তফাত।

৭| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:০০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আপনি কি আমার মন্তব্যের উত্তরগুলোও ChatGPT দিয়ে লিখছেন? আমার ধারনা তাই।

আপনার ধারণা সঠিক। আপনার মন্তব্যের উত্তর লেখার জন্য আমি চ্যাট জিপিটির সাহায্য নিয়েছি।

৮| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:০৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: "আপনার এই পোস্টে বারবার ফিরে আসার কোন ইচ্ছা আমার নেই এবং ChatGPT এর সাথে কথা বলার সময়ও আমার নেই।"

এই মন্তব্য লিখে যে সময় নষ্ট করেছেন তাতে মনে হয় আপনার হাতে প্রচুর সময় আছে এবং আপনি বারবার ফিরে আসবেন।

৯| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: "প্রবন্ধটা পড়তে পারলে আপনি বুঝতে পারতেন যে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি আর এ,আইয়ের বুদ্ধি এক নয়- একেবারে আকাশ পাতাল তফাত।"

আমি জানি মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি এবং এআইয়ের বুদ্ধি এক নয়। তাই আমি কোথাও কখনো বলি নাই যে এআইয়ের বুদ্ধি আর মানুষের বুদ্ধি সমান অথবা মানুষের বুদ্ধের সঙ্গে এআইয়ের বুদ্ধি আমি কখনোই তুলনা করি নাই।

অথবা আমাদের আলোচনার মধ্যে কোথাও এই প্রসঙ্গ আসে নাই তাই আমি এই বিষয় নিয়ে কোন আলোচনা করি নাই।

আমি বারবারই বলেছি মূল লেখা লেখকই লেখেন। ai আমাদেরকে তথ্য সংগ্রহ, গবেষণা এবং পর্যালোচনায় সাহায্য করে মাত্র।

বুদ্ধি মানুষের, কারণ এআইও আবিষ্কার করেছে মানুষ। যেমন যেকোনো কাজ সহজে করার জন্য মানুষ নানা ধরনের হাতিয়ার সৃষ্টি করেছে এবং এইসব হাতিয়ার ব্যবহার করে মানুষ কাজকে সহজ করেছে। এ আইও ঠিক সেই রকম একটি হাতিয়ার যা মানুষের কাজকে সহজ করতে সহায়তা করছে মাত্র। এআইয়ের বুদ্ধি কোন অবস্থাতেই মানুষের বুদ্ধির সম্মান বা বেশি নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.