নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আকাশনীলের রাজ্য

https://www.facebook.com/hasibzaman

আকাশনীল

এই গল্প ভরা রাতে, কিছু স্বপ্ন মাখা নীল নীল হাতে বেপরোয়া কিছু উচ্ছাস নিয়ে, অপেক্ষায় ... hasibzaman.blogspot.com

আকাশনীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

=|| অণু ব্লগ #১ ||=

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

জ্বর বাড়লে একসময় একটা ঘোরের মধ্যে চলে যাই। উঁচুমানের অনেক চিন্তাভাবনা মাথায় আসে, সমস্যা একটাই - সব জট লেগে যায়। কয়েকটা চিন্তাভাবনা প্রকাশ করা যাক –



আস্তিক/নাস্তিক -



আস্তিকদের দারুন সব উৎসব আছে। ঈদের খাওয়া-দাওয়া, পূজার ঘোরাঘুরি, ক্রিসমাসের লম্বা ছুটি। নাস্তিকদের জীবনে সামাজিক উৎসব কি? মৌলবাদী নাস্তিক হলে তার এগুলোর সবকটা বর্জন করা উচিত। আর যদি সে ধর্ম নিরপেক্ষ হয়ে সবগুলোর খাওয়া খেতে যায় তাহলে সে নাস্তিক নামের কলংক।





হিন্দু/মুসলিম -



রহিমুদ্দিন একজন সাচ্চা মুসলিম। মূর্তি পূজারীদের হাজার দেব-দেবী আর কল্পকাহিনী নিয়ে সে হাসিঠাট্টা করে। দেশজুড়ে হিন্দুদের উপর অত্যাচারে তার কোন অনুভূতি হয় না। সৌমিত্র এই কলিযুগেও পূজা অর্চনা করা মানুষ। যখন সে জামাত শুয়োরদের পাপকর্ম দেখে মুসলিমদের উপর তার ঘৃনা হয়। রহিমুদ্দিন/সৌমিত্র কেউ নিজে থেকে ধর্ম গ্রহন করেনি, জন্মসূত্রে তারা মুসলিম/হিন্দু। এদের জন্মপরিচয় উল্টে একদিনের জন্য ছেড়ে দিলে তাদের অনুভূতি কেমন হবে? যে জিনিস নিজে অর্জন করা না তা নিয়ে এত গর্বের কি আছে?





আলীগ/বিএনপি -



রাজনীতি নিয়ে আমার কিছু লিখতেই মঞ্ছায় না। কোনকিছু নিয়ে যদি আমি সবথেকে হতাশ থাকি সেটা হল আমার বাংলাদেশের রাজনীতি। গনতন্ত্র বলে আসলে কিছু নাই, থাকতে পারে না। আমাদের মস্তিষ্কের শিরায় শিরায় রয়ে গেসে হাজার বছরের পুরনো গোলামী – রাজতন্ত্র। সেই সেন বংশ, পাল বংশ, যদু বংশ, মদু বংশ ইতিহাসের বইয়ে হারায়ে গেলেও রয়ে গেছে তার অপভ্রংশ – মুজিব বংশ, জিয়া বংশ – বাঙ্গালীর কোনদিন মুক্তি নাই।



----------------------- ২৫শে মার্চ, ২০১৩

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৩

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: যে জিনিস নিজে অর্জন করা না তা নিয়ে এত গর্বের কি আছে?

ধর্ম ,জাতীয়তাবাদ আর বর্ণ নিয়ে মানুষ গর্ব করে ।অথচ একটাও তার নিজের অর্জন না ।

+++++

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪০

আকাশনীল বলেছেন: :)

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ১/নাস্তিক হলে ধর্মীয় উৎসব বর্জন করতে হবে কেন? ধর্মীয় উৎসবগুলা তো এখন সামাজিক পর্যায়ে চলে গেসে। তোমার হিন্দু বন্ধু ঈদের দিনে তোমারে শুভেচ্ছা জানায় না? এই যেমন ধর আমরা একে অপরকে সালাম দেই, খোদা হাফেজ বলি এইগুলা আমার মতে আমাদের দেশের শুভেচ্ছা বিনিময়ের কালচার। এটা শুধুমাত্র মুসলমানরা বলবে তা না। হিন্দুদেরও বলতে দেখসি। নাস্তিকদেরও। যাবতীয় শুভকর্মে, আনন্দে সবাই একসাথে না থাকলে, বিভাজন তৈরি করতে চাইলে কেমনে হবে! তবে যারা নাস্তিকমোল্লা, মনে করে যে "ধর্মই সকল অধর্মের মূল",যাদের মূল লক্ষ্য পৃথিবীকে ধর্মহীন করা, তাদের ক্ষেত্রে তেমন আচরণ অবশ্যই ভন্ডামী বলব আমি।

২/খুবই বেসিক প্রশ্ন। আমি এটা নিয়া একসময় বহুত ভাবসি। ভাইবা যে সিদ্ধান্তে আসছি সেইটা এইখানে আর না বলি!

৩/ স্যাড বাট ট্রু! কতজনকে দেখি নেতানেত্রীর জন্যে জীবনরে নেতায় ত্যানা বানায় ফেলতেসে, সেই নেতানেত্রীরা তাদেরকে দুই পয়সা বেইল দেয়! না।

আছো কেমন?

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

আকাশনীল বলেছেন: ১। মৌলবাদী নাস্তিক তথা ধর্ম বিদ্বেষীদের কথাই বলছি। এরা চ্রম ভন্ড। ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবে সমাজে চলে নিজের ধর্ম/বিশ্বাসটা - হোক সেটা আস্তিক বা নাস্তিক - পালন করলে আর এত অনাচার হয় না।

২। এই প্রশ্নের উত্তর কঠিন। কেউ দিতে পারলে ভাল। প্যারাডক্স টাইপ।

৩। লজ্জাজনক।

দিনে কামলা দেই, রাতে ঝিমাই। আশা করি আপনে ভালই আছেন। :)

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

আমিনুর রহমান বলেছেন:
:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.