নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?
সে অনেক দিন আগের কথা। যখন ফখরদ্দিন নামের এক রাজা এক অজানা রাজ্যের অপরাজনীতির কুশীলবদের মুরগিদৌড়ের উপর রেখেছিলেন। সেসময় চট্টগ্রাম টু নওগাঁ যাত্রা।
বাসের টিকিটের মহা সংকট। অনেক কষ্টে শাইন মামার সহায়তায় তিনজনের আমি, শোভন ও শাইন মামার টিকেটের ব্যবস্থা হল। হানিফ, শ্যামলীর কোন টিকিট না পাওয়ায় শাইন মামার ভাষায় মধ্যম মানের কেয়া পরিবহন। কে জানত এই কেয়া পরিবহন নামটা চিরজীবনের জন্য মনে স্থায়ী আসন নেবে?
সন্ধ্যা ৭টায় বাস ছাড়বে। অলংকার মোড়ের কাউন্টারে বসে আছি। ৮টা। বাস আসার কোন লক্ষণ নেই। অবশেষে মহারানী কেয়া ঢিমেতালে রাত্রি ৯টায় উনার নুয়ে পড়া, ক্ষয়ে যাওয়া অস্তমান যৌবন নিয়ে আমাদেরকে উনার ভেতরে প্রবেশের ছলনাময়ী আহবান জানালেন। আমরা এই তরুন বয়সে প্রৌঢ়ার সাদর আহবানে সাড়া দিব-কি-দিব-না এই নিয়ে কিঞ্চিত দ্বিধান্বিত ছিলাম। তারপরে যখন বুঝলাম এটাই আমাদের নিয়তি। কি আর করা! নিদারুন অনিচ্ছা সত্ত্বেও উঠে পড়লাম।
বয়সের ভারে ন্যূজ মহারানী কেয়া ছুটে চলেছে সীতাকুন্ডের মহাসড়ক ধরে। তার চলন দেখে যে কারো মনে হতে পারে কোন কারণে উনি ত্যাক্ত-বিরক্ত। মহাকাল যেন উনাকে গ্রাস করেছে। এই ধরাধাম থেকে বিদায় নিতে পারলেই বুঝি উনার চিরশান্তি। আমরা যারা উনার ভিতরে নিজেদের সঁপে দিয়েছি তারা যারপর নাই বিরক্ত, উনার এই খামখেয়ালিতে। তাই ভিতর থেকে কেউ কেউ সহ্য করতে না পেরে ক্ষণে ক্ষণে খেঁকিয়ে উঠছে আচম্বিতে। এরপরে একটু উন্নতি হলেও কিছুক্ষণ পরে যে লাউ সেই কদু। তাই কোনপ্রকার হেঁসেলে না গিয়ে মচৎকার একটা ঘুম দেওয়ার পরিকল্পনা করে যেই না গা টা একটু এলিয়ে দিয়েছি, অমনি ফটাসসসসসসসসস, শশশশশশসশশ...কিড়িড়িড়িড়ততততত। ঠাস্ করে লাফিয়ে উঠলাম। মহারানীর কিছু হল নাকি!!
অবগত হলাম মহারানী একসাথে এতলোকের ভার সহ্য করতে না পেরে হাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। দিবেনই তো। বয়স হয়েছে। উনারও তো নেওয়ার একটা সীমা আছে নাকি। যৌবনে হয়তবা উনি এটা অনায়াসে পাড়ি দিতে পারতেন। আমাদের মনুষ্যকুলেরও একটু আক্কেল থাকা দরকার ছিল। সামান্য লাভের আশাই এই পড়ন্ত যৌবনেও উনাকে একটুও ছাড় দিতে নারাজ।
সীতাকুন্ডের পরে এক পেট্রল পাম্পে উনার সেবা শুশ্রুসার ব্যবস্থা করা হল। দুব্বল শরীল (গ্রামের ভাষায়)। ঘন্টা খানেক লাগল সেরে উঠতে। রাত প্রায় ১২টা। আবার আমাদের মহাকালের পথে যাত্রা শুরু হল। শীতের রাত। বাইরে কনকনে শীত। উনার ছিঁড়ে যাওয়া (পড়ুন জানালা) বস্ত্রের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে ঠান্ডা হিমেল হাওয়া ঘুম নামক মহা উপাদেয় বস্তুটাকে হীরের হরিণ বানিয়ে দিয়েছে। যা শুধু কল্পনায় পাওয়া যায়, বাস্তবে পাওয়ার আশা বৃথা। তাই বৃথা সে চেষ্টা করতে করতে মহারানীর সওয়ারি হয়ে ফেনী পার হয়ে কুমিল্লার দিকে ছুটে চলা কিংবা বিপরীত দিক থেকে আসা অল্পবয়সী রুপসীদের (পড়ুন নতুন বাস) চোখ-ধাঁধানো রুপ অবলোকন করতে লাগলাম।
আমি ও শোভন মাঝামাঝি বসা। শাইন মামা সামনের দিকে। শোভন জানালার পাশে মনে হচ্ছে কিছুটা তন্দ্রাচ্ছন্ন। বাইরে কুঁয়াশা খুব একটা নেই। রাত্রির শেষ প্রহর। হঠাৎ সামনের জানালাটা একটু ফাঁক হল এবং বাইরে আধা-তরল জাতীয় কিছু একটা ফেলে দেওয়া হল। ঠান্ডা হিম বাতাসে আমরাসহ পিছনের লোকজন হৈ হৈ করে উঠলাম। ঠিক সেই মাহেন্দ্রক্ষণে জানালার পাশে বসা শোভন আধো-ঘুমে থাকা অবস্থায় বলল,'উমমম...দোস্ত, দেখত মুখে নরম এগুলো কি পড়ল'। আমিও টের পেলাম আমার জ্যাকেটের কাঁধে, চোখমুখেও অতি অল্প পরিমাণে কিছুর আভাস। তাৎক্ষণিকভাবে টের পেলাম 'ইহা তাহাই (হলুদ জাতীয় পদার্থ তবে সোনা নয় !!!) যাহার উপস্থিতিতে মনুষ্যপ্রকৃতির নাকের অভিনয় প্রতিভা বিকশিত হয়'। আমাদের তখন অবস্থা 'ইহা কি হইল? এমনতো কথা ছিল না'।
বাংগালীরা অতি অল্প সময়েই ঠিকঠাক বুঝে নেয় চারপাশের বিপথ। এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটে নি। চারিদিকে (আমাদের সিট থেকে পিছন দিকে) হৈ হৈ রৈ রৈ পড়ে গেল। যেন হাওড়ে মাছ ধরা উৎসবে আধা মণের বোয়াল মাছ ধরা পড়েছে। এদিকে জানালা বন্ধ থাকায় পিছনের দিকের গুমোট পরিবেশটা শীতের ভারী বাতাসের সাথে কটূ গন্ধের মিশ্রণে এক অপার্থিব পরিবেশের সৃষ্টি। লোকজনের শ্বাস-প্রশ্বাসের চরম অবনমন। কেউ কেউ এই গন্ধের বাড়াবাড়ী রকম কারবারিতে টিকতে না পেরে পিছন থেকে উঠে গিয়ে সামনে ইঞ্জিন কাভারে গাদাগাদি করে বসে পড়েছে। কেউবা আবার সামনের আসনগুলোর পাশে দাড়িয়ে আছে। আমাদের অবস্থা তথৈচব। আমারাও টিকতে না পেরে শাইন মামার আসনের পাশে দাড়িয়ে গেলাম।
হৈ চৈ এর মাঝে দেখি বাসের সুপারভাইজার এয়ার ফ্রেশনার নিয়ে পেছনে যাচ্ছে আর বলছে 'এটা দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে'। আমি মামাকে বললাম 'দেখেন এই ফ্রেশনার পাঁচ মিনিটও টিকতে পারবে না'। শাইন মামাও বলল 'এবার ঠিক হয়ে যাবে'। আমি মামাকে বললাম 'পুকুরে বড় বোয়াল মাছ থাকলে যতই পোনা মাছ ছাড়ো না কেন নিমেষেই ঐ ব্যাটা তা সাবাড় করে দেবে। এখানে পিছনে বোয়াল মাছ অপেক্ষা করছে। ফ্রেশনার দিয়ে আসুক। কয়েক মিনিটও টিকবে না'। যা ভাবা তাই। যারা এয়ার ফ্রেশনারের পেছনে পেছনে নিজেদের সিটে বসতে গিয়েছিল। একটু পরেই বিড়বিড় করতে করতে উঠে আসছে। আমি মামার দিকে তাকিয়ে একটি মুচকি হাসি দিলাম।
এদিকে ঢাকার কাছাকাছি চলে এসেছে মহারানী। ভোরের সূর্যও আড়মোড়া ভেংগে কুয়াশার চাদর ভেদ করে উঠার পাঁয়তারা শুরু করেছে। আমরা হচ্ছি সবচেয়ে বড় ভুক্তভুগি। ঢাকা পৌঁছানোর অপেক্ষা করছি। ধোয়া-মোছা করে শরীরটাকে যদি একটু ঐ অবাস্তব পরিবেশ থেকে টেনে বের করা যায়। ও দিকে কিছু লোকজন বিশেষ করে মহিলারা বমি-টমি করে একাকার অবস্থা। এক মহিলাকে বলতে শুনলাম 'খোদার গজব নেমে এসেছে এ বাসে। এ আমাকে কি আজাবে ফেললে হে পরোয়ারদেগার'।
কিন্তু একটা কথা না বললেই নয়। কেউই এই পরিবেশের জন্য দায়ী মাঝবয়সী মহিলাকে গালাগালি করছে না। কারণ উনি সত্যিই খুবই অসুস্থ। অসহায় হয়েই এই বিভ্রান্তিকর অবস্থার সৃষ্টি করেছেন।
তবে অনেকে মহারানীর এই শম্ভুক গতি ও চালকের অবিমৃষ্যকারীতার জন্যই বেশি সোচ্চার। যার জন্য এত দেরী হচ্ছে। বাচ্চাসহ এক মহিলাকে দেখছি খুব বেদনাবিধুর কন্ঠে ফোনে কাকে যেন অভিযোগ দিচ্ছে 'দুনিয়াতে এই খাটাস বাসটি ছাড়া আর কোন বাস ছিল না'। ক্লান্ত-শ্রান্ত । মুখদিয়ে জোরছে কথাও আসছে না। আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না উনি কেন এই বাসটাকে ‘খাটাস’ বাস বললেন? অবস্থার প্যাঁচে পড়ে ভাষাও গিট্টু লেগে গেছে মনে হয়!!
অবশেষে বেলা দুইটাই ঢুলতে ঢুলতে মহারানী কেয়া নওগাঁ সদরে পৌঁছিলেন। আমরাও এই সতের ঘন্টার মহাযাত্রার পরিসমাপ্তিতে যারপরনাই আপ্লুত হলাম। আর শাইন মামাকে বললাম 'কেয়া রানীর এক চিমটি পায়ের (চাকার) ধুলা নেন। এই গর্বিত যাত্রার সহযাত্রী কিনা আমরা'। উনি স্বভাবসুলভ হাসিতে প্রতিউত্তরে বললেন 'জামাই (উনার মেয়ে...বুকিং !!!) কি যে বল?
#এবারে ঈদের যাত্রায় মনে হচ্ছে চম্পা-চামেলী-কেয়া রানীর সওয়ারিদের ফাটা বাঁশের চিপায় পড়ার সমূহ সম্ভাবনা। রাস্তার যে খবর পাচ্ছি তাতে গজবে হামেরিয়া না নামলেই হয়।
@শুভ হোক সকলের যাত্রা।
০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:০১
আখেনাটেন বলেছেন: এই রাণীদেরই তো দাপট ঢাকাসহ দেশের রাস্তাগুলোতে।
এদের কবরে পাঠানোর চিন্তা করে শেষে কাসিমপুর যাই দেশপ্রেমিকদের রোষানলে পড়ে।
জয় কেয়ারাণীর জয়।
২| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:০১
উদাস মাঝি বলেছেন: এটাকে ভ্রমণ ব্লগ সাথে হাল্কা রম্য বলেও চালিয়ে দেয়া যায় ।
ভালই লাগসে ।
নওগাঁ কোথায় বাড়ি ?
০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:০৯
আখেনাটেন বলেছেন: এটাকে ভ্রমণ ব্লগ সাথে হাল্কা রম্য বলেও চালিয়ে দেয়া যায় । -- রম্য বলেই যখন আপনার গম্য হয়েছে তখন তাই হোক। ।
এক্কেবারে দাদাদের বাড়ীর পাশে।
৩| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:০৭
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমি কিন্তু নওগাঁ গেছি।
চখাতিতা, সুতিরহাট সবই জানি আমি !
০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৩
আখেনাটেন বলেছেন: বাহ্, বাহ্ আপনি তো দেখছি আমাদের এলাকার হাওয়া বাতাস খেয়ে এসেছেন। খুশি হলুম জেনে। যদিও এখন আমারই যাওয়া হয় না খুব একটা সবুজ কিংবা সোনালী ধানের ক্ষেত ভেঙে দেশের বাড়িতে।
তা সোমপুর বিহারটা দেখা হয়েছে কি?
৪| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:০৮
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: হা হা হা হা হা হা
লেখাটা পড়ে না হেসে পারলাম না।
০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৪
আখেনাটেন বলেছেন: সেই ভ্রমণকারীদের সামনের সারিরগুলো হেসেছিল; আর পেছনের সারিরগুলো...
ধন্যবাদ ব্লগার ইবরাহীম আই কে।
৫| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: যা হউক কাদের সাহেব বলেছেন, এবারের ঈদ যাত্রা স্বস্তি দায়ক হবে।
০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:২০
আখেনাটেন বলেছেন: কাদের সাহেব তো আর বাড়ি যাবে কেয়া রাণীর সওয়ারী হয়ে। গেলে বুঝতেন কত ধানে কত চাল?
আজকে পেপারে দেখলাম ঢাকা-টাঙ্গাইল রাস্তার যানজটের অবস্থা ভয়াবহ।
৬| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৬
শায়মা বলেছেন: হয়েছে হয়েছে।
পুঠিয়ার রাজবাড়ি
পাতিসরের জমিদারবাড়ি
নাটোরের বনলতা সেন থেকে রাণী ভবানী কিছুই বাদ নেই ভাইয়া!!!
০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৫
আখেনাটেন বলেছেন: তাহলে তো অাপনাকে ভ্রমণ পিপাসু বলা যায়।
এদিকে যমুনার এপারের লোকেরাতো বাংলাদেশের পর্যটন বলতে চট্টগ্রাম আর সিলেট বোঝে। উত্তরবঙ্গের ঐতিহাসিক এই জায়গাগুলোতে যাওয়া অনেকেই অচ্ছুত মনে করে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। অথচ কত শত মনি মাণিক্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দেশের ওপাশটাই।
৭| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৩
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: আবার যখন কুমিল্লার উপর দিয়ে কোথাও যাওয়া আসা করবেন, আপনার দাওয়াত রইলো কুমিল্লায় (আমাদের বাড়ি) ঘুরে আসার জন্য। তবে শর্ত হলঃ কোন বয়স্ক, বৃদ্ধা, লক্করঝক্কর কেয়ারাণী দিয়ে আসা যাবেনা। ইয়ং যুবতী হানিফ, এনা দিয়ে আসতে হবে
আমরা রোজা রাখছি না উপোস থাকছি?! দাদা এই লেখাটা পড়ার দাওয়াত রইলো। সময় করে একটু পড়বেন।
০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৮
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা। নিমন্তন্ন গ্রহণ করিলুম।
৮| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩২
শায়মা বলেছেন: উত্তরবঙ্গ আমার অনেক প্রিয়.......
ছেলেবেলায় আমার সকল ফুল ফল গাছ চেনায় সেখানে.....
নাগলিঙ্গম, অপরাজিতা, বাবলা কিংবা টগর .......
ফুলবাগানের ফুলগুলি চেনাজানা শোনার অনেকটাই আমার উত্তরবঙ্গে.......
আসলে বাংলাদেশের তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ সবই আমার দেখা......
তারপর দেখেছিলাম ওপার বাংলা.....
সেও আমার বাংলারই আরেক রুপ.....
যাইহোক, কত স্মৃতি কত গান .........
০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৪
আখেনাটেন বলেছেন: তাহলে তো বলা যায় দেশি ইবনে বতুতা। আমি নিজেও ঘুরতে ভালোবাসি। সময় পেলেই ফুড়ুৎ। এভাবে ঘুরতে বের হয়ে কত অজানা মানুষের সাথে পরিচয় কত অভিজ্ঞতা।
একবার তো শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিনে বৃন্দাবন- মথুরাতে যাওয়ার খায়েস হল। কয়েকজন মিলে দিল্লী থেকে ছুটলাম। সেখানে রাতে জায়গা না পেয়ে মুসলিম হয়েও হিন্দুদের ধর্মশালাতে আধা খোলা জায়গায় রাত যাপন। পাশেই সারারাত কীর্তন। আরো নানা মজার ঘটনা।
৯| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভয়ংকর অবস্হা
০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৭
আখেনাটেন বলেছেন: হুম ভয়ঙ্করই বটে।
এখন ভাবুন, এভাবেই হাজার হাজার নয় লক্ষে লক্ষে মানুষ পরিবার পরিজনদের সাথে একটিবার দেখা ও মিলিত হওয়ার জন্য বছরে দুইবার যাতায়াত করছে দেশের অানাচে কানাচে।
১০| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বাহ!! চমৎকার লেখনি।
০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৯
আখেনাটেন বলেছেন: শুধু লেখাটাই দেখলেন। বেচারাদের মনের অবস্থাটা ভাবলেন না। অাপসোস।
ধন্যবাদ কাওসার চৌধুরী মন্তব্যের জন্য।
১১| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪৮
হবা পাগলা বলেছেন: বর্তমানে সড়কের অবস্থা আরও খারাপ। ঈদের সময় ভ্রমন না করে চুপচাপ বসে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। বর্তমানে সড়কের অবস্থা আরও খারাপ। ঈদের সময় ভ্রমন না করে চুপচাপ বসে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।
০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০০
আখেনাটেন বলেছেন: বর্তমানে সড়কের অবস্থা আরও খারাপ। ঈদের সময় ভ্রমন না করে চুপচাপ বসে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। -ঠিক তাই। তবে সরকারের একটু সদিচ্ছা থাকলে এই কষ্টটা কিছুটা হলেও লাঘব করা সম্ভব।
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন হবা পাগলা।
১২| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১:০৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হাসির চোটে মন্তব্য করতে পারছি না;
০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩
আখেনাটেন বলেছেন: আমরা তখন খুব একটা না হাসলেও এখন কিন্তু এ নিয়ে অালোচনা উঠলে হাসির রোল পড়ে যায়।
এগুলো কিন্তু এদেশের যাত্রীদের নিত্যদিনের ঘটনা।
আপনার ইস্তাম্বুল যাত্রীর পরের পর্ব দেখছি না।
১৩| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ২:২৬
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: মুরগি দৌড় প্রতিযোগিতা আইডিয়া মন্দ নয়।।
(খানিক চোখ বুলিয়ে গেলাম বিস্তারিত কাল)
০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪
আখেনাটেন বলেছেন: মুরগি দৌড় প্রতিযোগিতা আইডিয়া মন্দ নয়।। --হুম; কয়েক বছর পর পর এ ধরণের দৌড় দেশের সুস্থ পরিবেশের জন্য দরকার।
১৪| ০২ রা জুন, ২০১৮ ভোর ৪:০১
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহা................ একি অবস্থা
এবারের ও তেমন ভালো সংবাদ মনে হয় নেই, একই হবে। কারন মন্ত্রী মহোদয় কোন নতুন নিউজ এ পর্যন্ত দেয়নি।.... কিছু মৃত্যু, কিছু শোক তারপর আবার একইভাবে জীবন চলা। তার চেয়ে বরং ঈদের অনেক আগে যেতে না পারলে ঈদের পরদিন যান। জীবন আগে তারপর অন্য কিছু...............
০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭
আখেনাটেন বলেছেন: ঈদে বাড়ি যাওয়াটা মনে হয় বেশির ভাগ মানুষের জন্য একটি ভয়ঙ্কর বিড়ম্বনা। যদিও সবাই হাসিমুখেই এগুলো সহ্য করে। সব দেশের জনগণের সয়ে গেছে।
১৫| ০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ৭:৩২
নীলপরি বলেছেন: ভয়াভয় যাত্রা
০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮
আখেনাটেন বলেছেন: শুধু কী ভয়াবহ!!! এখনকার জন্য চরম বিনুদুনও বটে।
১৬| ০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো বিনোদন।
০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১০
আখেনাটেন বলেছেন: আপনি তো এইসব বিনোদনের মধ্য দিয়েই যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আপনার লেখা পড়ে তো তাই মনে হয়। ঠিক কিনা?
১৭| ০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪১
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: হাহা! মজা পেলাম আপনার কেয়া রানীর, মানে কেয়া মহারানীর গল্প পড়ে। বেশি ভালো লেগেছে কেয়া মহারানী কে নিয়ে আপনার চমৎকার বর্ণনা। মানুষের মত বাস ও বয়সের ভারে ন্যুব্জ, তার চাল চলন, সেবা শুশ্রূষার ব্যবস্থা, হাহা দারুন লেগেছে
পাঠকের কৌতুহলী মন জানতে চায়, কেয়া পরিবহন নামে কি আসলেই কোন বাস সার্ভিস আছে নাকি সেটা আপনার দেয়া
কেয়া, কেয়া রানী বিশেষ নামগুলো পাঠকের মনে ধরার বিশেষ একটি কারন আছে তাই
০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫
আখেনাটেন বলেছেন: কিছু মানুষ নরকে কিলবিলার মধ্য দিয়ে গেলেও বেশ বিনুদুন ছিল এ ঘটনা। তা ঠিক।
পাঠকের কৌতুহলী মন জানতে চায়, কেয়া পরিবহন নামে কি আসলেই কোন বাস সার্ভিস আছে -- হুম; এখনও মনে হয় চলে ঐ রুটে। গালভরা মিষ্টি নাম হলেও এ জিনিসের কামটা কিন্তু সুবিধার ছিল না।
অনেক ধন্যবাদ সামু ব্লগে ব্লগার কথার ফুলঝুরি! চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
১৮| ০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এরকম বাসে আমি অনেক জার্নি করেছি। ফলে আমার নিজের শরীরের কলকব্জাগুলো কেয়া পরিবহনের মতো হয়ে গেছে। হাঃ হাঃ হাঃ।
ভালো রম্য লিখেছেন। ধন্যবাদ ভাই আখেনাটেন।
০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮
আখেনাটেন বলেছেন: এরকম বাসে আমি অনেক জার্নি করেছি। ফলে আমার নিজের শরীরের কলকব্জাগুলো কেয়া পরিবহনের মতো হয়ে গেছে। --আপনি তো মশাই আমার রোজার শরীরের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন। আপনার মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে একশেষ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে হেনাভাই চমৎকার মন্তব্যটির জন্য। ইদানিং আপনাকে ব্লগে কম দেখি।
১৯| ০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৭
উম্মে সায়মা বলেছেন: হাহাহা। মাঝে মাঝে মানুষের কষ্ট দেখেও হাসি পায়
এবার দেখে শুনে যুবতী বাসে উঠবেন।
আর ১৭ ঘন্টার জার্নি! এসময়ে তো পৃথিবীর এ মাথা থেকে আরেক মাথায় চলে যাওয়া যাবে!
লেখা ভালো হয়েছে। শুভ কামনা।
০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯
আখেনাটেন বলেছেন: মাঝে মাঝে মানুষের কষ্ট দেখেও হাসি পায় -- অামরা তো এখন এ ঘটনার কথা মনে পড়লেই ভেটকি মাছের মতো হাসিতে ফেটে পড়ি।
এবার দেখে শুনে যুবতী বাসে উঠবেন। -- তা আর বলতে! তবে ন্যাড়া বেল তলা দিয়ে না যেতে চাইলেও ক্যামনে ক্যামনে যেন বেলই ন্যাড়ার মাথার উপর এসে ঠাঁই নেয়। বিরিশিরি-সোমেশ্বরী দেখতে যাব। ব্যক্তিগত গাড়ীর বদলে টিমের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত হল লোকাল বাসেই রওয়ানা হব। বিশেষ করে অাম্রিকা ফেরত এক আপার মহা উৎসাহেই এই পরিবর্তন। এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের পরের যাত্রা ও ঘটনাবলী আরো ভয়াবহ। ওদিকের রাস্তা তো নয় যেন রোলার কোস্টার রাইড।
লেখা পড়ায় খুশি হলুম।
২০| ০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১০
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আহারে কি দুর্ভোগ !
উম্মে সায়মা বলেছেন: হাহাহা। মাঝে মাঝে মানুষের কষ্ট দেখেও হাসি পায় ইহাই বলতে চেয়েছিলাম।
ভালো থাকুন
০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। বেশ ঝামেলায় পোহাতে হয়েছিল।
আপনিও সাবধানে থাকবেন। কবি মানুষ কেয়া-টয়া গালভরা নাম দেখে চট করে উঠে পড়বেন না। কপালে দুঃখ থাকলে আমারে দোষ দিতে পারবেনা না।
২১| ০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০২
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: যাত্রাবাড়ী থেকে মেঘনা ঘাট ২৫ কিঃমিঃ একবার পাঁচ ঘন্টা গিয়েছিলাম! যাকিনা ৩০মিনিটের পথ! । তাও ঈদ বাদে
আজও মনে আছে......সেদিন ছিল সবচেয়ে কষ্টের অভিজ্ঞতা।।
মজার ছলে ভালো একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন ভায়া।।
০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১০:২২
আখেনাটেন বলেছেন: যাত্রাকালে এ রকম বিপর্যয় যাত্রীদের জন্য ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। তবে দেশের মানুষ এখন এগুলো গা সওয়া করে নিয়েছে। যতদূর জানি এখন ঢাকা থেকে নওগাঁতে যেতে দশ ঘন্টারও বেশি লাগছে। ঈদে সেটা অারো দু-চার ঘন্টা বেশি হয়।
এগুলো এখন মানুষ নিয়তির মতো মনে করে। অদ্ভুত এক সময়ের ভিতর দিয়ে যাচ্ছি। এ দেশে উন্নয়ন হচ্ছে তবে তা সাসটেইনেবল বা টেকসই না হওয়ায় মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।
লেখাটি ভালো লাগায় কবিকে অশেষ ধন্যবাদ।
২২| ০২ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ওই কেয়া পরিবহনে না উঠলে তো আর এমন মধুর স্মৃতি হত না
০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৫
আখেনাটেন বলেছেন: ওই কেয়া পরিবহনে না উঠলে তো আর এমন মধুর স্মৃতি হত না -- মশকরা করেন মিঞা।
জীবন চলার পথে এই নানা কিসিমের অভিজ্ঞতাগুলো এক অর্থে মন্দ না ব্লগার মোস্তফা সোহেল। আপনাকে ইদানিং ব্লগে কম সময় দিতে দেখি।
২৩| ০২ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সুমন কর বলেছেন: হাহাহাহা...........বেশ মজা করে লিখেছেন। +।
কেয়া পরিবহনকে না বলুন.......
০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৯
আখেনাটেন বলেছেন: কেয়া পরিবহনকে না বলুন... -- তাহলে তো পরিবহন মালিকদের ব্যবসা লাটে উঠবে। লো বাজেটের এই ক্যারিয়ার
যদিও অনেকের কাছেই মনে হয় ভালো লাগে। তবে আমাদের কাছে ব্লাক লিস্টে আছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কবিকে।
২৪| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: বাস ভ্রমন আমার কখনোই আনন্দের হয়ে উঠেনি।
সবার যাত্রা শুভ হোক।
০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩২
আখেনাটেন বলেছেন: বাস ভ্রমন আমার কখনোই আনন্দের হয়ে উঠেনি। -- হা হা হা। তা আর বলতে। দেশের রাস্তার যে বেহাল অবস্থা তাতে অানন্দ পাওয়ার জন্য লাফিং গ্যাস নিয়ে বাসে উঠতে হবে।
শুভ হোক সবার যাত্রা।
২৫| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন ,
খাটাস বাসটিতে ভ্রমনাভিজ্ঞতা বেশ ফটাস ফটাস করে টায়ার (পেট) ফাঁটিয়ে বলে গেলেন । কাঁদবো নাকি হাসবো ?
সহ-ব্লগারদ্বয় আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম মন্তব্যে তাঁর জন্যে কাঁদলুম আর উম্মে সায়মার মন্তব্যে হাসলুম ........
আর আপনার লেখাতে আপনার মতোই কান্না ও হাসি ।
০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৪
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। এ এক অদ্ভুতুড়ে অবস্থা। না পারছেন হাসতে না পারছেন কাঁদতে।
শুভ হোক সকলের দীর্ঘ যাত্রা।
২৬| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৪
মিথী_মারজান বলেছেন: হা হা হা।
হাসি কান্নার জার্নিটা এখন মজার স্মৃতির হীরা পান্না হয়ে গেছে।
এত্ত চমৎকার বর্ণনা করেছেন একেবারে কেয়া মহারানীর ঝাঁকুনিসহ হলুদ তরল পদার্থের গন্ধ পর্যন্ত পাঠকেরা অনুভব করবে।
অনেক দিন এত মজার কোন লেখা পড়িনি।
অসাধারণ!
০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৯
আখেনাটেন বলেছেন: হাসি কান্নার জার্নিটা এখন মজার স্মৃতির হীরা পান্না হয়ে গেছে।-- বেশ বলেছেন। এইরকম পান্নাভরা থলে নিয়েই এখন ঘুরছি।
আপনি খুব ভালো পাঠক মনে হচ্ছে ব্লগার মিথী_মারজান।
লেখা ভালোলাগার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল। শুভ হোক আপনার সামনের যাত্রা।
২৭| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৫
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আহারে বাস ভ্রমণ! আমার চেয়ে বড় ভুক্তভোগী আর দুনিয়াতে দুটি আছে কিনা সন্দেহ। প্রতিদিন মিরপুর থেকে মতিঝিল অফিস করতে গিয়ে ট্রাফিকজ্যাম আর লোকাল বাসের ঝাকি খেতে খেতে পাজড়ের হাড় গোড় সব ভাঙার জোগাড়।
আর একবার গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সময় ১৩ ঘন্টা শুধু ফেরীঘাটেই বসে ছিলাম কুয়াশার কারণে ফেরি বন্দ ছিল।
চমৎকার, খুবই মজা করে লিখেছেন। পড়তে ভাল লাগলো।
০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪৪
আখেনাটেন বলেছেন: আহারে বাস ভ্রমণ! আমার চেয়ে বড় ভুক্তভোগী আর দুনিয়াতে দুটি আছে কিনা সন্দেহ। প্রতিদিন মিরপুর থেকে মতিঝিল অফিস করতে গিয়ে ট্রাফিকজ্যাম আর লোকাল বাসের ঝাকি খেতে খেতে পাজড়ের হাড় গোড় সব ভাঙার জোগাড়। -- আপনিও তো তাহলে মশাই বাসযাত্রাপালার প্রত্যেক্ষদর্শী। সেই অভিজ্ঞতার টুকরো টুকরো গল্প আমাদের শোনাতে থাকুন। ঢাকার বাস মানেই তো এক একটা গল্পের ডিব্বা।
আর একবার গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সময় ১৩ ঘন্টা শুধু ফেরীঘাটেই বসে ছিলাম কুয়াশার কারণে ফেরি বন্দ ছিল। --ভয়াবহ ব্যাপার। এগুলো নিয়েই আমাদের জীবন। পথচলা।
ভালোলাগায় খুশি হলুম। ভালো থাকুন ব্লগার তারেক_মাহমুদ।
২৮| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১১:০৪
পবন সরকার বলেছেন: এই দুখে ঈদের ছুটিই নেই নাই। ধন্যবাদ ভাই রসালো পোষ্টের জন্য।
০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৪
আখেনাটেন বলেছেন: এই দুখে ঈদের ছুটিই নেই নাই। --অনেকেই মনে হয় আপনার দেখানো পথে ঢাকাতেই থেকে যাবেন।
পোস্ট ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ভালো থাকুন।
২৯| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চট্টগ্রাম থেকে নওগাঁ বাস আছে জানতাম না আমার ধারণা ছিলো ঢাকা এসে বাস পরিবর্তন হয়, যাই হোক নিদারুন করুন যাত্রা যাকে বলে আর কি !!!
০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৭
আখেনাটেন বলেছেন: অনেক বাসই যাতায়াত করে এই রুটে।
হুম; করুণ যাত্রায় বলতে পারেন, বিশেষ করে আমাদের দুজনের জন্য।
ধন্যবাদ ব্লগার ঠাকুরমাহমুদ।
৩০| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭
শিখা রহমান বলেছেন: আখেনাটেন সাধারণ একটি ঘটনাকে বিদ্রুপ আর রম্যতার মোড়কে অনবদ্য করে উপস্থাপন করেছেন।
দারুণ লেখনী। ভালো লেগেছে। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৫
আখেনাটেন বলেছেন: অসংখ্য মোবারকবাদ আপনাকে শিখাপা। আপনি লেখাটি পড়েছেন জেনে ভালো লাগল।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
৩১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ৮:০৬
নীল মনি বলেছেন: আপনার ব্লগে আমার প্রথম উপস্থিতি। ঢুকতেই পোস্ট পড়ে ভিমড়ি খাওয়ার অবস্থ।কী চমৎকার বর্ণনা। বেশ হেসেছি। জানেন তো কাউকে হাসানো কিন্তু সহজ নয় শুভ কামনা রইল।
০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৩
আখেনাটেন বলেছেন: জানেন তো কাউকে হাসানো কিন্তু সহজ নয় -- চমৎকার একটি কথা বলেছেন। যান্ত্রিক এই বাস্তবতায় বিনোদিত হওয়া আসলেই কঠিন।
আপনার মুখে এক চিলতে হলেও হাসি ফোটাতে পেরেছি লেখার দ্বারা শুনে অাপ্লুত হলাম।
আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন নীলাম্বু নীল মনি।
৩২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৫
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভালো থাকবেন।
০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৭
আখেনাটেন বলেছেন: তুমি হ্যাকার না সেটা বুঝেছি।
হলেও কোনো আপত্তি থাকত না। কারণ হ্যাকিং একটি স্পেশাল গুণ, আমি তাই মনে করি। এরা অনেক প্রতিভাবান। শুধু তাদের চিন্তাগুলোকে সঠিক কাজে লাগাতে হবে। দুনিয়া তাদের হাতের মুঠোই।
সো চিল ম্যান। গো অ্যাহেড।
৩৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪
জুন বলেছেন: আপনার বাস ভ্রমনের অভিজ্ঞতা পড়ে আমার কক্সবাজার টু চিটাগাং এর কথা মনে পরলো । সৌদিয়া পরিবহন তখনো নতুন । বর্ষাকাল বৃষ্টি হচ্ছিল আর আমাদের মাথামোটা বাস কর্মচারীরা ভাবলো এসির কি দরকার এমনিতেই তো ঠান্ডা । কিন্ত এয়ার টাইট দরজা জানালায় যে সাফোকেশন হতে পারে এটা বুঝতে অক্ষম। যাত্রীরাও আছে এর মধ্যে , মাফলার টাফলার পরে বসা । আমাদের কথায় এসি একটু ছারতে না ছারতেই "ঐ মিয়া বন্ধ করেন, শরীল জৈমা যাইতেছে "। আমার অবস্থা তখন কাহিল। আমি বসেছি দুই মহিলার মাঝখানে । নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে মাথাটা ডান দিকে কাত করলাম পচা সুপারীর বোটকা গন্ধে তাড়াতাড়ি বা দিকে নিতেই সে পাশে বসা মহিলার সুগন্ধী তেলের তীব্র দুর্গন্ধে পেট উল্টে আসছে। তার মাঝে এয়ার ফ্রেশনারের বিছ্রী গন্ধ । মনে হলো দোজখে আছি। শেষ পর্যন্ত সুপার ভাইজারের হাতে পায়ে ধরে আমরা স্বামী স্ত্রী সাতকানিয়া নেমে বাচলাম সেই যাত্রা । এরপর একটা লোকাল বাসে চিটাগাং গেলাম আখেনাটেন
তা আপনি কেয়ারানী করে শেষতক নওগা পৌছে কি ব্যালুশ মাথায় দিয়ে শুয়ে পরেছিলেন নাকি তা তো বল্লেন না
মজার কাহীনিতে ভালোলাগা রইলো ।
০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১১:০৭
আখেনাটেন বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতাও তো দেখছি ভয়ঙ্কর। আসলে বেশিরভাগ বাস জার্নিই কারো জন্য খুব একটা সুখকর নয় এ দেশে।
তা আপনি কেয়ারানী করে শেষতক নওগা পৌছে কি ব্যালুশ মাথায় দিয়ে শুয়ে পরেছিলেন নাকি তা তো বল্লেন না -- হা হা হা। সাতদিনের হাড় মড়মড়ি রোগে বিছানায় একাত ওকাত।
চমৎকার মন্তব্যে জন্য অশেষ ধন্যবাদ জুনাপা। ভালো থাকুন।
৩৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রম্য গল্প পড়তে
মন্দ লাগেনি,
তবে আপনাদের
ভোগান্তির জন্য মায়া হচেছ!
০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৬
আখেনাটেন বলেছেন: আপনার মতো গুণীজনের ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ভালো থাকুন।
৩৫| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৮
নীল মনি বলেছেন: আপনার শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম।নীলাম্বু কিন্তু প্রিয় আমার। একটা সময় ফেবুতে নীলাম্বু নিয়ে কত কথায় না লিখতাম। ভালো থাকবেন।
১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২২
আখেনাটেন বলেছেন: নীলাম্বু শব্দটা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলুম।
ভালো থাকুন ব্লগার নীল মনি।
৩৬| ১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮
সিগন্যাস বলেছেন: ফারাও ভাইয়া আপনার বিশ্লেষণধর্মী লেখা কমে গেছে।নতুন কিছু লিখুন
১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২
আখেনাটেন বলেছেন: ফারাও ভাইয়া আপনার বিশ্লেষণধর্মী লেখা কমে গেছে।নতুন কিছু লিখুন -- হা হা হা। এক্কেরে মনের কথাটা পেড়েছেন। আমিও গত কিছুদিন থেকেই ভাবছি হঠাৎ কি সব লেখা শুরু করলাম। অল্প সংখ্যক লিখলেও প্রথম দিকের লেখা আর এখনকার লেখাগুলোর মাঝে আমি বিরাট একটা গ্যাপ দেখতে পাচ্ছি।
সত্যি বলতে কি গতকাল আমি নিজেও আপনার এই কথাটাই ভেবেছি। জানি না আপনি আমার অাগের লেখাগুলো পড়েছেন কি-না। যদিও আপনার মন্তব্য পড়ার কথায় ইঙ্গিত করছে।
মন্তব্যটা করে খুব ভালো করেছেন ব্লগার সিগন্যাস।
৩৭| ১০ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬
সিগন্যাস বলেছেন: জানি না আপনি আমার অাগের লেখাগুলো পড়েছেন কি-না। যদিও আপনার মন্তব্য পড়ার কথায় ইঙ্গিত করছে।
আপনার প্রতিটা পোষ্ট পড়েছি।আমি আপনার আদি পাঠকদের একজন।
১১ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬
আখেনাটেন বলেছেন: আপনার প্রতিটা পোষ্ট পড়েছি।আমি আপনার আদি পাঠকদের একজন। -- শুনে আপ্লুত হলুম।
আপনার কোনো পোস্ট নেই দেখছি। কিছু লিখুন। নিজের ভাবনাগুলো অন্যদের সাথেও শেয়ার করুন।
৩৮| ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২০
সাহসী সন্তান বলেছেন: রমজান মাসে এইধরনের পোস্ট দিয়ে রোজা হালকা করার কোন মানে হয় না। হাসতে হাসতে আমার অজু ভেঙে যাওয়ার দশা! তীব্র পরতিবাদ ঝানইলাম। তবে এটা সত্যি যে লেখা উপভোগ্য হইছে...
কথায় আছে ভ্রমনে ভাল সঙ্গী জুঠলে পথকে খুব ছোট বলে মনে হয়। আমারও মাঝে মাঝে আপনার মত দূর পাল্লার যাত্রায় অংশগ্রহণ করতে হয়। বিশেষ করে কর্মস্থল থেকে গ্রামের বাড়ির দূরত্ব প্রায় ১২০০ থেকে ১৩০০ কি. মি. বা তারও বেশি। সুতরাং বুঝতেই পারছেন মাঝে মাঝে কি পরিমাণ হ্যাপা সামলাইয়া এই লং জার্নি উপভোগ করতে হয়?
তবে এই ভ্রমণে কখনো যদি সৌভাগ্যক্রমে পাশে কোন বিপরিত লিঙ্গের কাউকে পাওয়া যায়, তখন মনেহয়- 'আহা পথটা যে কেন এত কম হইলো?' ইচ্ছা করে তখন মন ডুবাইয়া গাইয়া উঠি- 'এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো...'
পোস্টে ভাল লাগা! শুভ কামনা জানবেন!
১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩
আখেনাটেন বলেছেন: খুশি হলুম আপনার ভালো লেগেছে জেনে।
দূরপাল্লার জার্নিগুলো আসলেই বোরিং যদি না... । তবে বিড়ম্বনাও কম নয়।
এক ঘটনা শুনুন: তিন ইয়াং ছেলে ঢাকা থেকে কলকাতা যাচ্ছে গ্রিনলাইন বাসে। শীতের রাত। রাজারবাগ। বাসে উঠে দেখে তার বরাদ্দ সিটে এক যুবক ও জানালার পাশে এক রূপসী বসে গল্পে মশগুল। বেচারা গিয়ে উনাদের নিজের সিটের কথা জানায়। জানতে পারে গার্লফ্রেন্ডকে বিদায় জানাতে এসেছে ভাগ্যবান যুবকটি।
তো যুবকটি উঠে গেলে ছেলেটি তার সিটে বসে পড়ে। বাস ছাড়ার সময় হয়ে এসেছে। যুবকটি তখনও ছেলেটির পাশের সিটে দাঁড়িয়ে রূপসীর সাথে নানা কথা বলছে। ছেলেটি তাদের কথায় জানতে পারে মেয়েটি ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে পড়াশুনা করে। কলকাতা থেকে অন্য বান্ধবীর সাথে ট্রেনে ব্যাঙ্গালোর যাবে। যুবকটি হবু জামাই। কানাডা প্রবাসী।
এদিকে বাস ত্যাগ করার আগে যুবকটি তার কুট্টুসের পাশে বসা ছেলেটিকে রিকোয়েস্ট করে তিনি যেন রূপসীকে দেখে শুনে নিয়ে যান কলকাতা। রূপসীর পাশে বসা ছেলেটিও বুকের ছাতি ফুলিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করে যেভাবেই হোক এই ঈন্দ্রের দেবীকে সহি সালামতে কলকাতায় পৌঁছায়ে দিবে।
এদিকে বাস ছাড়ার আগ মুহুর্তে রূপসী মেয়েটি নিজের কম্বলটা শরীরের উপর টেনে নেওয়ায় পাশে বসা ছেলেটির কিছু অংশ ঢেকে যায়। মনে হতে পারে যে দুজনেই একই কম্বলের নিচে...। হবু জামাই যে কোনোভাবে হোক এই দৃশ্য দেখে ফেলে। ঝাপ দিয়ে কাছে এসে মেয়েটির কম্বল নিজে হাতে ঠিক করে দেয়...। আর.........বুঝে নিন।
পরবর্তী জার্নির কিছু সময় পর পর মোবাইলে ভাইব্রেশনের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল সাথে ফিসফাস...। সব দেখেশুনে রূপসীর পাশে বসা ছেলেটি ট্যাবে কোয়েলহোর 'দ্যা অালকেমিস্ট' চতুর্থবারের মতো পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। সান্তিয়াগোর পরশপাথর খোঁজার মিশনে ছেলেটিও সামিল হতে চায়। শুধু শুধু ভেড়া চরায়ে আর কতদিন?...........কি বুঝলেন?????
৩৯| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১১
সাহসী সন্তান বলেছেন: যা বুঝছি তা তর্জমা করতে গেলে ইফতারির পর থেকে সেহরীর আগমুহূর্ত পর্যন্ত সময়টার দরকার পড়বে। অথবা ঈদের পর... তবে এটা সত্যি যে পরশপাথর খোঁজার মিশনে একটু আধটু বাঁধা বিপত্তি আসবেই। তাই বলে পিছু হটলে কি চলে?
ভুলে যাবেন না, সান্তিয়াগোরও কিন্তু কম ঝঁক্কি পোহাইতে হয়নি! আসলে জীবনটাই তো ভাব-সম্প্রসারনে পড়া সেই লাইনটার মত! কাটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে, দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে! সুতরাং বুঝতেই পারছেন...
তবে আপনার কাছে আমার একটা সম্পূরক কইশ্চেন আছে জনাব! সান্তিয়াগোর লগে পরশপাথর খোঁজার মিশনে যোগ দিতে চাওয়া সেই ছেলেটি আসলে কে? তার সম্পর্কে জাতি বিস্তারিত তথ্য জানতে চায়!
২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭
আখেনাটেন বলেছেন: ভুলে যাবেন না, সান্তিয়াগোরও কিন্তু কম ঝঁক্কি পোহাইতে হয়নি! আসলে জীবনটাই তো ভাব-সম্প্রসারনে পড়া সেই লাইনটার মত! কাটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে, দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে! সুতরাং বুঝতেই পারছেন.. -- হুম; বুঝলুম। তয় সবাই সান্তিয়াগো হতে চাইলেই কি হওয়া যায়, নাকি চাওয়া উচিত? যেখানে আদৌ পরশপাথর আছে কিনা...? কিংবা খুঁজতে গিয়ে পাথরের উপরেই আছাড় খেয়ে জীবনটা...। ছেলেটিও হয়ত এ সবই ভাবছিল!!!!
তবে আপনার কাছে আমার একটা সম্পূরক কইশ্চেন আছে জনাব! সান্তিয়াগোর লগে পরশপাথর খোঁজার মিশনে যোগ দিতে চাওয়া সেই ছেলেটি আসলে কে? তার সম্পর্কে জাতি বিস্তারিত তথ্য জানতে চায়! -- জাতির এত কৌতূহল থাকা ভালো নয়। জানেন না রাজনৈতিক গোলযোগে মারা পড়ে রিক্সাচালকেরা। কারণ তারা অধিক কৌতূহলী হয়ে রিক্সার উপর দাঁড়িয়ে মারামারি দেখতে চেয়েছিল। তাই গুলিটাও...
আমি চাই না জাতির মেধাবী সন্তানেরা অতি কৌতূহলী হয়ে বেঘোরে পৈতৃক জানটা খোয়াক!!!!
৪০| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫২
কাইকর বলেছেন: কি সুন্দর করে না লিখেছেন। খুব মজা পেলাম পড়ে।
২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪
আখেনাটেন বলেছেন: কাইকর বলেছেন: কি সুন্দর করে না লিখেছেন। খুব মজা পেলাম পড়ে। -- খুশি হলুম।
শুভকামনা কাইকরের জন্য।
৪১| ২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩
সিগন্যাস বলেছেন: ভাই কি লিখতে ভুলে গেছেন?
২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৮
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। ভুলি নাই ভাইজান। নেক্সট উইকে একটি শিক্ষামূলক মেগাপোস্ট পোস্টানোর ইচ্ছা আছে, নিশ্চিত না যদিও। পাঠকের হজমে সহায়ক পোস্ট।
৪২| ২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২১
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: অতঃপর,
এবারের ঈদের যাত্রা কেমন হল সে অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু লিখুন।
২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪০
আখেনাটেন বলেছেন: এবারের ঈদের যাত্রা কেমন হল সে অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু লিখুন। -- সে খুব করুণ। এবার অাকাশেও জ্যামের গিট্টু লেগে গেছে। ভাবলাম শেষ ইফতারটা বাড়িতে গিয়েই সারব। ঢাকা টু রাজশাহী। ইউ-এস বাংলা। দু-ঘন্টা লেট। ফলাফল। ইফতার রাস্তায়।
এত সহজে বাঙালীর নিস্তার নেই ভায়া।
৪৩| ২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: পড়ছি তো ঘুঁটে কুড়ানি থুক্কু কেয়ারানীর সাথে আপনার সফর, কিন্তু আমার মন্তব্য নাই কেন
নেফারতিতি ছাড়া আর কোথাও ট্রাইদিলেই ধরা খাবেন।
২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৪
আখেনাটেন বলেছেন: নেফারতিতি ছাড়া আর কোথাও ট্রাইদিলেই ধরা খাবেন। -- হা হা হা। তা আর বলতে!!!!! কে হায় হৃদয় খুঁড়ে কুমীর ঘরে
ঢুকাইতে ভালোবাসে!!!!!
৪৪| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: রম্যটা দারুণ হয়েছে, যদিও ঐ জিনিসটার বর্ণনার সময় একটু কেমন যেন লাগছিল।
বাঙালীদের সহজাত প্রবৃত্তি হচ্ছে ঈদের আনন্দটুকু বাবা মা ভাই বোনের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য ঈদের ভিড় ভাট্টা ঠেলে বাড়ীমুখো হওয়া। তাদের এই প্রবৃত্তিকে পুঁজি করে পরিবহণ মালিকেরা ঈদের দু'মাসে যেন পুরো বছরের মুনাফা হাতিয়ে নেয় যাত্রীদের পকেট কেটে। এসব অর্থ ভাগাভাগি হয়ে যায়, দেখার কেউ নেই।
বিরিশিরি-সোমেশ্বরী ভ্রমণকাহিনীটাও (১৯ নং প্রতিমন্তব্য) চটজলদি লিখে ফেলুন!
জুন এর অভিজ্ঞতাটাও (৩৩ নং মন্তব্য) বেশ রোমাঞ্চকর ছিল বলে মনে হচ্ছে!
২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪১
আখেনাটেন বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলুম।
বাঙালীদের সহজাত প্রবৃত্তি হচ্ছে ঈদের আনন্দটুকু বাবা মা ভাই বোনের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য ঈদের ভিড় ভাট্টা ঠেলে বাড়ীমুখো হওয়া। --ঠিক বলেছেন। এই কারণেই এত এত বিড়ম্বনার পরেও মানুষের মুখে এক চিলতে হাসি লেগেই থাকে। ছোটখাট কষ্টকে এ দেশের মানুষ থোড়াই কেয়ার করে।
বিরিশিরি-সোমেশ্বরী কাহিনি লেখার ইচ্ছে আছে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। আপনাকে মন্তব্যের ঘরে দেখলেই ব্লগার ড: এম এ আলীর কথা মনে পড়ে। উনি ইদানিং অনিয়মিত। বেশ অসুস্থ জেনেছিলাম। জানি না এখন কেমন আছেন।
ভালো থাকুন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে আপনারা।
৪৫| ২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকে মন্তব্যের ঘরে দেখলেই ব্লগার ড: এম এ আলীর কথা মনে পড়ে - ড: এম এ আলীর কথা আমারও প্রায় প্রায়ই মনে পড়ে। মনে পড়লেই আমি তার জন্য দোয়া করি আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন যেন তাকে দ্রুত সম্পূর্ণ রোগ নিরাময় দান করেন, যেন উনি অচিরেই পুনরায় ব্লগিং এ ফিরে আসতে পারেন। ওনার মত একজন উৎসাহী ও নিষ্ঠাবান ব্লগার অন্যান্য সকলের জন্য একটা বিরাট প্রেরণা।
৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:০১
আখেনাটেন বলেছেন: ওনার মত একজন উৎসাহী ও নিষ্ঠাবান ব্লগার অন্যান্য সকলের জন্য একটা বিরাট প্রেরণা। -- সহমত।
সুস্থ হয়ে ফিরে অাসুন আমাদের প্রিয় ব্লগারটি।
পুনরায় মন্তব্যের জন্য আপনাকে অান্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল। ভালো থাকুন নিরন্তর।
৪৬| ২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭
সামিয়া বলেছেন: পড়লাম খুবই খারাপ অভিজ্ঞতা , অনেক কষ্টের জার্নি ছিল।।
৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৩
আখেনাটেন বলেছেন: অনেক কষ্টের জার্নি ছিল।। -- হুম; তবে এখন ভাবলে হাসি পায়। এরচেয়েও কষ্টের জার্নি আছে দেশে-বিদেশে। সেগুলোও শেয়ার করার ইচ্ছা রয়েছে।
ভালো থাকুন ব্লগার সামিয়া।
৪৭| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৪৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: খাইছে! ১৭ ঘন্টা!
৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৭
আখেনাটেন বলেছেন: ভ্রমরের ডানা বলেছেন: খাইছে! ১৭ ঘন্টা! -- হা হা হা। এটা নতুন কিছু নয় ভাইজান।
গতবছর খবরে দেখেছিলাম পঞ্চগড়-নীলফামারী থেকে ঈদের পর যাত্রা শুরু করে পাক্কা চব্বিশ ঘন্টা পর ঢাকায় এসেছিল শত শত মানুষ। কিছুদিন আগেও ঢাকা-নওগাঁর জার্নি দশ-বারোঘন্টার অাগে শেষ হত না রাস্তার কারণে। এখন কিছুটা সহনীয় হয়েছে।
ধন্যবাদ রইল মন্তব্যের জন্য ব্লগার ভ্রমরের ডানা।
৪৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: লেখাটা যতটা মজাদার যাত্রার অভিজ্ঞতা ততটাই তিক্ততার বৈকি। তবে পাঠক হিসেবে আমরা পড়ে মজা পেলাম।হাহাহা
০১ লা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৭
আখেনাটেন বলেছেন: পদাতিক দা এত আগের লেখা খুঁজে পড়েছেন। বেশ। এ অসাধারণ কাজটি তো প্রিয় ব্লগার খায়রুল আহসান এর প্যাটেন্ট করা। আপনিও কি শিষ্যত্ব গ্রহণ করলেন নাকি। বেশ হবে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ পদাতিক দা।
৪৯| ০৯ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১৩
মিরোরডডল বলেছেন:
সত্যিই ভয়াবহ অবস্থা! আমার পড়েই সাফোকেটেড লাগছে।
আনা আবার কবে নতুন কোন রম্য নিয়ে আসবে?
০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৪০
আখেনাটেন বলেছেন: দেরিতে প্রতিউত্তরে দুঃখিত।
ভালো আছেন নিশ্চয়।
আনা আবার কবে নতুন কোন রম্য নিয়ে আসবে? --- সময় হলেই আসবে, আসবে। চাপে আছে আইজুদ্দিন।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৬
শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা
ভাইয়া সত্যি হাসতে হাসতে মরলাম!!!
কেয়ারাণীকে স্বয়ং কবরে পাঠানো হোক!