নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?
সারারাত লণ্ডভণ্ড ঝড়ের পরে ভোর বেলা যেমন শান্ত অথচ বিপন্ন একটি পরিবেশ বিরাজ করে, রাহেলা বেগমের কাছে বছরের এই দিনটিও সেরকম।
তিনি ডুপ্লেক্স বাসাটির উপরতলার বেলকনিতে চেয়ারে বসা। নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে দেখতে থাকেন পনের বছরের প্রাণোচ্ছল হরিণীর মতো চঞ্চলা একমাত্র নাতনি নিতুকে। বাড়ির পেছন দিকের লনে হাস্নাহেনা গাছের গোড়ায় চেয়ার পেতে ওর বান্ধবিদের সাথে আড্ডারত নিতুও লক্ষ্য করে বারান্দার আরাম কেদারায় বসা বৃদ্ধা দিদাকে।
নিতু নিচ থেকে চিৎকার করে দিদাকে ডাকে, ‘ওল্ড লেডি, নিচে আসো। জমিয়ে আড্ডা দেই আজ’।
রাহেলা বেগম বেদনাক্লিষ্ট হাসি মুখে ধরে পাশের হাস্নাহেনা গাছটির দিকে তাকায়। গাছটিও নিতুর বয়সী। উচ্ছল ও অপরূপ। নিটোল ও তরতাজা। সুগন্ধি ছড়িয়ে চলেছে গোটা বাড়ি। বিষন্ন মনে বেলকনি থেকে নিজের বিছানায় গা এলিয়ে দেয় এসে। বিশাল বাড়িতে বড় একা লাগে আজকাল নিজেকে তার।
নিতু দিদার উঠে যাওয়া লক্ষ্য করে। কিছুক্ষণ পরে বন্ধুদের বিদায় দিয়ে সে দিদার রুমে আসে। এই সন্ধ্যা রাতেও দিদাকে কাত হয়ে শুয়ে থাকতে দেখে। নিতুর পায়ের আওয়াজ পেয়ে শুয়ে থেকেই নিতুকে কাছে ডাকে রাহেলা বেগম।
নিতুও দিদার পাশে আলতো করে শুয়ে ফিসফিস করে জানতে চায়, ‘ওল্ড ফুল, আজকে কি বেশিই মন খারাপ? আমি লক্ষ্য করেছি প্রতি বছর আমার জন্মদিনে তুমি মন খারাপ করে থাক’।
রাহেলা বেগম কাষ্ঠল হাসি হেসে টেনে টেনে বলে, ‘কে বলল, মন খারাপ করি। আসলে ভাবি, আর কয় জন্মদিন পরেই তো তুই আমাকে ছেড়ে আরেকজনের পাশে এভাবে শুয়ে থাকবি’।
‘দিদা, ভালো হবে না বলে দিচ্ছি। আবার শুরু করেছ’- নিতু রাহেলা বেগমের পিঠে মৃদু চপেটাঘাত করে রূম থেকে বের হয়ে আসে। রাহেলা বেগম হো হো হেসে ওর চলে যাওয়া দেখে। ভাবে কত দ্রুত সময় চলে যায়।
আজকে সারাদিন নিতু ফুরফুরে মেজাজে প্রজাপতির মতো উড়ে বেড়িয়েছে। বাবা-মার একমাত্র আদুরে সন্তান হওয়ায় গোটা বাড়িতে তার এই রাজত্ব সে নিজেও বেশ উপভোগ করে। সে শুনেছে সে সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম নেওয়া বেবি। দীর্ঘদিন তার বাবা-মার সন্তান না হওয়াতে সে এভাবেই পৃথিবীতে এসেছে। সে জন্য নিতু তার বাবা-মার কাছে আলাদা রকম আদর-ভালোবাসা পায়। সে সেটা উপভোগও করে।
২
কয়েক দিন পর ঘুরতে ফিরতে চিরাচরিতভাবে নিতু দিদার রুমে উঁকি দেয়। দেখে রাহেলা বেগম পত্রিকা খুলে রেখে কাঁদছে। নিতু দৌড়ে দিদার কাছে যায়। ভাবে আজকে মাসের তিন তারিখ। বিশেষ কোনো শোকের দিন নয়। তাহলে...।
উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘দিদা, কি হয়েছে তোমার। এভাবে কাঁদছ কেন?’
রাহেলা বেগম আঁচলে চোখ মুছে নিতুকে কাছে টেনে নেয়। নিতুর দিকে বাংলা খবরের কাগজটি এগিয়ে দেয়। নিতু দেখে বড় বড় করে হিডিং ‘ধর্ষিতা গৃহপরিচারিকার মৃত্যুরহস্য উৎঘাটন’। নিতু বাংলাতে কাঁচা হওয়ায় ‘উৎঘাটন’র মানে বুঝতে পারে না। দিদার দিকে তাকিয়ে উৎঘাটনের অর্থ জানতে চায়।
রাহেলা বেগম আস্তে করে বলে, ‘রিভিল করা, আনকভার, ডিভালজ’। নিতু আন্দাজ করতে পারে ঘটনার। এরকম ঘটনা এখন প্রায়শই ঘটে চলেছে। এর আগেও সে দিদাকে দেখেছে এসব নিউজ পড়ে মন খারাপ করে থাকতে। নিতু শুনেছে দিদার বাবার অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। ভীষণ সুন্দরীর জন্য দাদুভাই দিদাকে বিয়ে করে গ্রাম থেকে ঢাকা শহরে এনে এই আলিশান বাড়িতে তোলে। লেখাপড়া শিখিয়েছে। নিতু ভাবে দিদা হয়ত এজন্যই গরীব মানুষের প্লাইট দেখে বিহ্বল হয়ে পড়ে।
নিতু এবার রাহেলা বেগমের গলা জড়িয়ে ধরে বলে, ‘ভেতরে কি লিখেছে আমাকে খুলে বল। যার জন্য তুমি এভাবে কাঁদছ’।
রাহেলা বেগম নিতুর মুখের দিকে গভীরভাবে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলে উঠে, ‘অনেক করুণ কাহিনি। শুনে তুইও কেঁঁদে দিবি। এখন তুই যা’।
নিতু জেদ করে, ‘এখনই শুনব’। রাহেলা বেগম একটু অসহিষ্ণু হয়ে বলে,’তুই নিজেও তো পড়তে পারিস’।
নিতু গোঁ ধরে বলে উঠে, ‘আমার বাংলা পড়তে একদম ভালো লাগে না’।
রাহেলা বেগম বুঝে উঠে না আজকাল ছেলেমেয়েগুলো এমন হয়ে যাচ্ছে কেন? ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ছে তাই বলে নিজের ভাষা, সংস্কৃতি সবকিছুকে বিসর্জন দিতে হবে।
নিতুর চোখের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থেকে আস্তে করে বলে, ‘অনেক বড় কাহিনি লিখেছে। গোটাটায় শুনবি’। মাথা ঝাঁকায় নিতু। দিদার কন্ঠ স্বরের পরিবর্তন টের পায় ও।
রাহেলা বেগম বলে চলে, ‘এটি একটি দুঃখী মেয়ের গল্প। গ্রামের সুন্দরী মেয়েটি বখাটেদের…’
নিতু দিদাকে থামিয়ে দিয়ে জানতে চায়, ‘বখাটে মানে কি?’
‘বখাটে হচ্ছে খারাপ ছেলে যারা মেয়েদের স্টকিং করে বা খারাপ খারাপ কথা বলে, বাজে ব্যবহার করে’।- রাহেলা বেগম উত্তর দেয়।
‘বখাটেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ মানে ইম্প্যাশন্ট বা ডিসগাস্টেড ফিল করে মেয়েটির গরীব বাবা। মেয়েটির এক দূর সম্পর্কের মামা ঢাকাতে অনেক বিত্তশালী বা রিচ এক পরিবারে গাড়ির ড্রাইভার। মামা সবকিছু শুনে দুলাভাই মানে মেয়েটির বাবাকে প্রস্তাব দেয় মেয়েকে ঢাকা পাঠানোর’।
‘প্রস্তাব মানে কি?’-নিতু আবার জানতে চায়।
‘উফ, বড্ড জ্বালা হল। এত মানে মানে করলে ভালো লাগে। প্রস্তাব মানে তো আমিও জানি না। মানে মেয়েটির মামা মেয়েটির বাবার কাছে মেয়েকে ঢাকা পাঠানোর ব্যাপারে বলে’- রাহেলা বেগম অধৈর্য হয়ে বলে।
‘এরপর তার মামা সেই ধনী পরিবারকে বলে-কয়ে সেই বাসাতেই কাজে সহায়তাকারী হিসেবে থাকতে বলে। কথা হয়, দু-তিন বছরের মধ্যে মেয়েটিকে ঐ রিচ পরিবারটিই ভালো পাত্র দেখে বিয়ে পড়িয়ে দেবে’। এভাবে মেয়েটি সেই বাড়িতে ভালোই ছিল। পাশের একটি স্কুলে ভর্তিও হয়েছিল। পরিবারের দুই ছেলে। বড় ছেলে বউ সহ থাকে। তবে অনেক দিন বিয়ে হলেও বাচ্চা নেই। ছোট ছেলে ইংল্যান্ডে পড়াশুনা করে। বেশ কিছুদিন পর ছোটছেলে ইংল্যান্ড থেকে আসে। কয়দিন থেকে চলেও যায়। এর কিছুদিন পরেই বাড়ির লোকজন জানতে পারে মেয়েটি প্রেগনেন্ট।’
নিতু উৎকন্ঠায় জানতে চায়, ‘এর আগে বাসার কেউ জানত না। কীভাবে এটা হল?’
‘ছেলের মা নাকি জানতে পেরেছিল অনেক পরে। ইংল্যান্ডে পড়ুয়া ছেলেটি জোরপূর্বক এই কাজটি করেছে। তারপরেই ছেলের মা ছেলেকে শাসিয়ে মারধোর করে আবার ইংল্যান্ডে পাঠিয়ে দেয়। তবে ছেলেটির মা ভাবতে পারে নি মেয়েটি কনসিভ করবে’।-- রাহেলা বেগম বিষন্ন কন্ঠে বলে।
নিতু ঘৃণামিশ্রিত ঝাঁঝালো কন্ঠে বলে উঠে,‘ডিসগাস্টিং ফেমিলি’।
রাহেলা বেগম চমকে উঠে নিতুর দিকে তাকায়। নিতুকে সে কখনই এ রূপে দেখে নি।
নিতু বলে উঠে, ‘এরপর কি হল?’
‘এরপর পরিবারটির সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েটির গর্ভপাত বা অ্যাবরসন করানোর। কিন্তু যে দিন ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা তার আগেরদিন রাতে মেয়েটিকে নিয়ে তার ড্রাইভার মামা চলে যায় গোপনে…’
দিদাকে থামিয়ে দিয়ে নিতু বলে উঠে, ‘তারমানে আর অ্যাবরসন হয় নি’।
রাহেলা বেগম নিতুর দিকে তাকিয়ে বলে, ‘না, হয় নি। কারণ আপদ বিদায় হয়েছে ও নিজেদের মান-সন্মান রক্ষা পেয়েছে ভেবে তারা আর এ নিয়ে ভাবেও নি’।
নিতু বলে, ‘তাহলে মেয়েটি মারা গেল কীভাবে?’
রাহেলা বেগম দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে, ‘ঘটনা এখনও অনেক বাকী। বাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার ঠিক তিন মাস পরে তার মামা একদিন ঢাকাতে আসে। এবং জানায় পেটের বাচ্চা বড় হচ্ছে টাকা পয়সা দিতে হবে। না হলে সবাইকে জানিয়ে দিবে।’
‘কিন্তু মেয়েটির বাচ্চা গ্রামে কী পরিচয়ে বড় হচ্ছে তাহলে’--নিতু জানতে চায়।
‘মামা গ্রামের লোকজনকে জানিয়েছে ঢাকাতে একজন ড্রাইভারের সাথে বিয়ে হয়েছিল। সে প্রেগনেন্ট হওয়ার পর ড্রাইভার পালিয়ে গেছে’--রাহেলা বেগম জানায়।
-তারপর।
-এরপর নিয়মিত মোটা অংকের টাকা নিতে থাকে মামা। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে সে টাকা মেয়েটির কাছে পৌঁছাতো না। মামা সেটা আত্নসাৎ করত।
-আত্নসাৎ মানে।
-টাকা মেরে দেওয়া, ইমবেজল করা।
-তাহলে তো গরীব মেয়েটি ভীষণ কষ্ট করেছে পেটের বাচ্চার জন্য।
-হুম।
-এরপর কী হল?
’এরপরই সেই সর্বনাশা রাত’--বলে রাহেলা বেগম কুঁকড়িয়ে উঠে।
-মানে কি মেয়েটি মারা যায়?
-’হুম, মেয়েটি চলে যাওয়ার প্রায় আট মাস পরে এক বৃষ্টিমুখর রাতে একাকী হাজির হয় সেই বিত্তশালীর বাড়িতে স্ফীত আকারের পেট নিয়ে। এদিকে তখন কুকর্মকারী ছেলেটিও ইংল্যান্ড থেকে দেশে। বাড়ির সবাই অবাক ও বিব্রত এবং অবশ্যই রাগান্বিত। ছেলের মা মেয়েটিকে ঘরে ডেকে আনে। সেই কেবলমাত্র মেয়েটির কষ্ট কিছুটা অনুধাবন করে। হঠাৎ এই আপদে ছেলের বাবা শয়তান ছেলেকে প্রচন্ড বকাবকি ও মারধর করে। বকা ও মারখেয়ে ছেলে উন্মত্ত ষাঁড়ের মতো মায়ের ঘরে এসেই প্রচন্ড জোরে ধাক্কা দেয় কয়েকদিন পরেই সন্তানসম্ভবা দুঃখী মেয়েটিকে। আচমকা ধাক্কাতে মেয়েটি ছিটকে গিয়ে বাড়ি খায় খাটের এক কোণাতে। সাথে সাথে মাথা কেটে গিয়ে রক্তের ছড়াছড়ি। সাথে পেটে আঘাত পেয়ে প্রসব বেদনা, ব্লিডিং। গোঙানি। সে এক অবর্ণ্নীয় মানে ইনেক্সপ্লেইকেবল...’।
এই পর্যন্তু শোনার পর নিতু এই কষ্টের কাহিনি মেনে নিতে পারে না। এবং কখনই যা করে নি সেটি করে সে। কুৎসিত এক গালি দেয় ছেলেটির উদ্দেশ্যে।
নিতু কান্না জড়িত কন্ঠে জানতে চায়, ‘তারপর’।
-তারপর সেই বৃষ্টির রাতেই ঐ বাসাতেই একটি ফুটফুটে বাচ্চা প্রসব হয়। মেয়েটির আঘাতজনিত কারণে তাকে হাসপাতালে নেওয়ারও সুযোগ ছিল না। আঘাত, রক্তস্বল্পতা ও প্রচুর ব্লিডিং এর কারনে দ্রুত মারা যায় অভাগী। বৃষ্টির মাঝেই সেই বাড়ির পেছন দিকে গোপনে মাটিচাপা দিয়ে চারাগাছ লাগিয়ে দেয় তারা। সাথে সেদিন রাতে বাড়িতে থাকা দুজন কাজের লোককে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়।
-আর বাচ্চাটি।
-সেটা নিয়ে তো তেমন কিছু লিখে নি। হয়ত ফলো আপ নিউজে সে নিয়েও লিখবে। তখন জানা যাবে বাচ্চার কি হল? হয়ত দেখা যাবে সে পরিবারেই মানুষ হচ্ছে অন্য পরিচয়ে।
-আর শয়তান ছেলেটির সাজা হয় নি।
‘হয়েছে। তবে মানুষের দ্বারা না। সৃষ্টিকর্তার সাজা’-- বেদনাভরা কন্ঠে জানায় রাহেলা বেগম।
-সেটা কেমন?
-কিছুদিন পরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে সে। পত্রিকায় লিখেছে তখন নাকি সে ওই কবরের উপরের লাগানো গাছটির কাছে গিয়ে দিনরাত চুপচাপ বসে থাকত। এরপর একদিন মেইন রোডে তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এই পর্যন্ত বলে রাহেলা বেগম চোখের জল মুছেন শাড়ির আঁচলে। এতসব শুনে নিতুরও ভীষণ মন খারাপ হয়ে যায়।
৩
কয়েক দিন পরে নিতুর স্ট্যান্ডার্ড টেনের মিডটার্মের ফলাফল প্রকাশ পায়। বরাবরের মতো অন্য সব বিষয়ে ভালো করলেও বাংলাতে অবস্থা খুবই খারাপ। নিতুর আম্মা নিতুকে কাছে টেনে নিয়ে বলে, ‘নিতু তোমার টিচার আজকেও কমপ্লেন করেছে তুমি বাংলাতে পাশই করতে পার নি। আর কয় মাস পরে তোমার ‘ও’ লেভেল এক্সাম। এভাবে পড়াশুনা করলে তুমি বাংলায় কিন্তু খারাপ করবে মা মনি’।
‘দেখো, এরপর থেকে ভালো করব আম্মু’-- মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে বলে উঠে নিতু। বাবার দিকে ফিরে নিতু বলে উঠে, ‘আব্বু, তুমি আমাকে কিছু বাংলা ফিকশনের নাম বল তো। আমি কিন্তু কয়দিন থেকে বাংলা পড়ছি। বাংলা ভাষাটা আরো জানার চেষ্টা করছি’।
নিতুর বাবা হেসে মেয়েকে আদর করে কয়েকটি বইয়ের নাম জানায়। বিশেষভাবে একটি বইয়ের নাম উল্লেখ করে বলে, ‘আমাদের লাইব্রেরীতেই আছে। ওখান থেকে নিয়ে পড়’।
শীতের মিঠে রোদ খেয়ে ও চৈত্রের উদভ্রান্ত দিগবিদিক ছুটে চলা হাওয়ায় পত্রঝরা বৃক্ষের পাতা ঝরে যেমন কালান্তরে গাছে নতুন কুড়ির আবির্ভাব হয়, তেমনই নিতুর জীবনেও কিছু নয়া ভাবনার উদয় হয়েছে।
আসলে সেদিন দিদার কাছ থেকে পত্রিকার ঐ মন খারাপ করা খবরটি শুনার পর নিতুর মনোজগতে ব্যাপক পরিবর্তন। এতদিন যে নিতু নিজের পোশাক-আশাক, চাল-চলন নিয়ে তটস্থ থাকত সেই কিনা এখন প্রচন্ড অনীহা দেখাচ্ছে এসবে। বাসার অন্য লোকেরাও তা অনুধাবন করতে পারছে। ঐ নিউজটির ফলো আপ নাকি এখনও আসে নি দিদা জানিয়েছে। ইদানিং নিতু নিজেও বাংলা খবরের কাগজ পড়ার চেষ্টা করছে। বাংলা গান শুনছে। কেন এসব করছে সে নিজেও জানে না?
ওদের একটি পারিবারিক লাইব্রেরী রয়েছে। প্রচুর বইয়ের সমাহার। নিতু শুনেছে ছোট চাচা বিদেশ থেকে আসার সময় প্রচুর বই নিয়ে আসত। দেশে এসেও অনেক বই কিনত। সেই পড়ুয়া ছোট চাচা নাকি ডিপ্রেশনে সুইসাইড করেছে। নিতু ভেবে পায় না পড়ুয়া মানুষগুলো যে কেন এত বোকা হয়।
নিতু র্যাকে সাজানো বইগুলো থেকে আগেও বেশ কিছু বই পড়েছে। সেগুলো ছিল সবই ইংরেজি ভাষার। কিন্তু বাংলা বই কখনও পড়ে নি সে। বাংলা বইয়ের তাকে নিতু এগিয়ে গিয়ে একটি একটি করে বই টেনে বের করে দেখে আবার ভিতরে ঢুকে রাখে। এবার বাবার রেকামেন্ড করা বেশ মোটা একটি বই বের করে-- সুচিত্রা ভট্টাচার্যের ‘কাছের মানুষ’। পাতা উলটে ভূমিকা পড়ে।
হঠাৎ পাতার ফাঁক গলে টুপ করে কিছু একটা নিচে পড়ে। তাকিয়ে দেখে একটি সুশ্রী মেয়ের ছবি। কিছুটা জ্বলে যাওয়া হলেও ছবিটি হাতে নিয়েই ভূত দেখার মতো চমকে উঠে নিতু। মাথার দুই পাশে বেণী পেঁচানো প্রায় হুবুহু তার মতো দেখতে।
নিতুর হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে। কোনো মতে সেখান থেকে বের হয়ে সে গায়ের সমস্ত শক্তি সঞ্চয় করে মায়ের রুমের দিকে দৌড় দেয়। তারপর চিৎকার করে কান্নাজড়িত কন্ঠে জানতে চায়, ‘আম্মু, কার ছবি এটি?’
হঠাৎ কি মনে হয় যেন নিতুর। দৌড়ে চলে আসে স্টোর রূমে। এসেই বাসার জমানো পুরাতন পত্রিকাগুলো খুঁজতে থাকে। তারিখটি মনে আছে নিতুর তেসরা জুলাই। হাঁচড়ে-পাঁচড়ে খুঁজে ফিরে সেই দিনের পত্রিকা। এবং পেয়েও যায়। দ্রুত চোখ বুলিয়ে যায় একটি নিউজের উপর ‘ধর্ষিতা গৃহপরিচারিকার মৃত্যুরহস্য উৎঘাটন’। এবং যা ভেবেছিল তাই। এই নিউজের সাথে দিদার বলা গল্পের কোনোই মিল নেই।
পত্রিকা হাতে নিয়েই সে দৌড়ে চলে আসে দিদার রুমে। এসে দেখে বেলকনির সেই আরাম কেদারায় বসে দিদা এক দৃষ্টিতে হাস্নাহেনা গাছটির দিকে তাকিয়ে আছে। আর তার কপোল বেয়ে অবিরাম অশ্রু বয়ে চলেছে।
রাহেলা বেগম তার পাশে ধুপ করে একটি পতনের শব্দ পান। না তাকিয়েও তিনি শতভাগ নিশ্চিত সেটা কিসের পতন। বড় ছেলের উদ্বিগ্ন কন্ঠ শুনতে পান। নতুন করে বাঁচার যে বীজ তিনি বুনেছেন তা কিছুতেই বৃথা হতে দিতে পারেন না।
আজও ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাতে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে রাহেলা বেগম ঝাঁপসা চোখে মৃদু আলোয় দেখতে পান বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে একটি পনের বছরের কিশোরী মেয়ে একটি পনের বছরের হাস্নাহেনা গাছকে জড়িয়ে ধরে অঝোর ধারায় কেঁদে চলেছে। পনের বছর আগেও তিনি এভাবেই ঝাঁপসা চোখে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শুধু তার দুচোখ নয় তিনি না তাকিয়েও অনুধাবন করেন পাশের বেলকনিতেও দু জোড়া চোখে অশ্রুর বান ডাকবে আজ।
পনের বছর আগেও তারা কেঁদেছিল। পনের বছর আগেও একইরূপ বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে সেই বৃষ্টি আর এই বৃষ্টির পার্থক্য হচ্ছে ঐটার সাথে মিশে ছিল রক্তের রং লাল ,আর এই বৃষ্টির সাথে মিশে আছে নিটোল শুভ্রতা!!!
***********************************************************************************
©আখেনাটেন/মার্চ-২০২০
১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৯
আখেনাটেন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার নেওয়াজ আলি।
ভালো থাকুন।
২| ১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অনবদ্য লেখনী। ভালো লেগেছে। ++
"আজও ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাতে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে রাহেলা বেগম ঝাঁপসা চোখে মৃদু আলোয় দেখতে পান বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে একটি পনের বছরের কিশোরী মেয়ে একটি পনের বছরের হাস্নাহেনা গাছকে জড়িয়ে ধরে অঝোর ধারায় কেঁদে চলেছে। পনের বছর আগেও তিনি এভাবেই ঝাঁপসা চোখে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শুধু তার দুচোখ নয় তিনি না তাকিয়েও অনুধাবন করেন পাশের বেলকনিতেও দু জোড়া চোখে অশ্রুর বান ডাকবে আজ। "
এই লেখা গুলো আবেগ ছুঁয়ে দেয়।
১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২০
আখেনাটেন বলেছেন: খুশি হলুম ভালো লাগায়।
শুভেচ্ছা নিবেন ব্লগার স্বপ্নবাজ সৌরভ।
৩| ১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
নিতু বাংলা জানলেও প্লট এই রকমই থাকতো।
১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৫
আখেনাটেন বলেছেন: না, থাকতো না। কেঁচে গুন্ডুস বা ল্যাদাম্যাদা হয়ে যেত।
ভালো থাকুন হুজুরে আলা।
৪| ১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ব্লগের আজকের সেরা পোস্ট এটি।
মানবিক গল্পে++++++
১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৬
আখেনাটেন বলেছেন: খুশি হলুম।
শুভেচ্ছা নিরন্তর ব্লগার মোঃ মাইদুল সরকার।
৫| ১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
নিতু ষ্টোররুমে যেই পত্রিকাটি খুঁজে পেয়েছিলো, উহা বাংলায় ছিলো?
১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫
আখেনাটেন বলেছেন: নিতু বা দেশের ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলেমেয়েরা যে একেবারের বাংলা জানে না তা না। কারণ তাদের মোটামুটি স্ট্যান্ডার্ড এইট পর্যন্ত তা পড়তে হয়। কিন্তু বেশির ভাগই বাংলা বিষয়টাকে ভালোভাবে নেয় না বা পড়ে না। ফলে স্কুল থেকেই বাংলা পড়া বা লেখার প্রতি এক ধরনের অনীহা তাদের থাকে এটা এখানকার ঐ জেনারেশনের একটি চরম সমস্যা।
আর গল্পে শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে নিতু বাংলায় কাঁচা। একেবারেই বাংলা পড়তে পারে না এরকম বান্দা এ দেশে নাই, নিতুও এর বাইরে নয়। (আপনার সমস্যাসংকুল চোখ এড়িয়ে গেছে মনে হয় লাইনটা...)
তাই নিতু 'ও' লেভেলে বাংলায় খারাপ করলেও নিশ্চয় স্টোররুমের পত্রিকা না পড়তে পারার মতো খারাপ ছিল না। যদিও সে আগে পড়তে মোটেও ইচ্ছুক ছিল না।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
৬| ১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: নিতু এই দেশের মানুষের দুঃখকষ্ট জানে না।
তবে তার জানা উচিত। নিজ চোখে দেখা উচিত।
১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩
আখেনাটেন বলেছেন: নিতুর মতো এখনকার অনেকেই তা জানে না।
এরা বাবাকে জিজ্ঞেস করে, 'ড্যাড, ধানগাছ কি ওক/পাইন গাছের মতো দেখতে কিংবা মাম্মি, পহেলা বৈশাখে স্যামন মাছ দিয়ে পানতা খেলে ক্যামন হয়'।
৭| ১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: লেখা সুন্দর হয়েছে। ভাষাও সুন্দর।
১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩
আখেনাটেন বলেছেন:
ভালো থাকুন।
৮| ১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন টু্ইষ্টে একেবারে জমিয়ে দিলেন!
শেষটা খুবই টাচি হয়েছে।
শুরুতে বাংলা না পারার খটোমটো পুরাই খটোমটো
আসলেই - আমার ভাগ্নি গুলারে দেখি বকা্ও দেই - যদি বলি উনিশ হা করে থাকে ইংরেজীতে নাইনটিন বললে হাসি দেয়
কি অদ্ভুতরে বাবা!
গল্পে ++++
১২ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
আখেনাটেন বলেছেন: শুরুতে বাংলা না পারার খটোমটো পুরাই খটোমটো --
আসলে এখনকার ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়া বেশিরভাগ ছেলেমেয়েই বাংলা ভাষা, বাংলা সংস্কৃতি ইত্যাদির প্রতি তেমন আর আগ্রহ দেখাচ্ছে না বলেই বলে মনে হয়। ১৮ কোটির দেশে ভালো কোনো নাটক-সিনেমা হয় না, ভালো আইকন নেই। এগুলোও হয়ত পাশ্চাত্য ভাবনায় বেড়ে উঠা তাদের মনোজগতে প্রভাব ফেলছে। অথচ অবাক করা বিষয় হচ্ছে এদের অনেকেই কোরিয়ান-পপ বা কে-পপ, সিনেমা, ড্রামা ইত্যাদির চুড়ান্ত ভক্ত। আমার এক পরিচিত সেদিন দেখছি কোরিয়ান পপ সঙ্গিত দল বিটিএস'র একটি অ্যালবাম প্রায় ২৫০০ টাকাই কিনে এনেছে। ভাবা যায়। অথচ সে দেশের বাংলায় গান গায় এরকম শিল্পির নামও বলতে পারবে না মনে হয়। এটা শুধু ওর ক্ষেত্রে নয়, প্রায় সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। দেশের স্যোসাল সায়েন্টিস্টদের খুঁজে বের করা দরকার কেন তারা এভাবে বাংলা থেকে দূরে চলে যাচ্ছে এবং সরকারের এ বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার বলে মনে করি। না হলে একসময় এরা সকলেই আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগবে সাথে জাতিকেও ভোগাবে।
গল্প ভালো লাগায় খুশি হলুম ভৃগুদা। ভালো থাকুন।
৯| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৫
সোহানী বলেছেন: আহ্ বুকের মাঝের কষ্টের দলাটা নড়াচড়া দিয়ে উঠলো...
আপনি একেবারেই ঠিকভাবেই ইংলিশ পড়ুয়াদেরকে বাংলা গল্প শোনানোর বর্ননা দিয়েছেন। কারন আমার মেয়েকে প্রায়ই আমি বাংলা গল্প বলার চেস্টা করি এবং প্রতি লাইনে তিনবার করে বাংলা টু ইংলিশ ট্রান্সলেট করতে হয়। সে এক মহা বিরক্তিকর কাজ।
বরাবরের মতই সুপার ডুপার.........
১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫২
আখেনাটেন বলেছেন: আমার মেয়েকে প্রায়ই আমি বাংলা গল্প বলার চেস্টা করি এবং প্রতি লাইনে তিনবার করে বাংলা টু ইংলিশ ট্রান্সলেট করতে হয়। সে এক মহা বিরক্তিকর কাজ। -- এটা এখন মনে হয় কমন সমস্যা হয়ে যাচ্ছে এ দেশে। তবুও বাচ্চারা বাংলা শিখতে পারলেই হয়।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক শুভেচ্ছা সোহানী'পাকে। ভালো থাকুন।
১০| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৮
প্রেক্ষা বলেছেন: খুবই সুন্দর গল্প তবে আপনার সাথে একটা বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে। আপনি বললেন,ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলেমেয়েরা বাংলা ভালো জানে না। অপরাধ নিবেন না,আমিও ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ি;এই মে মাসেই আমারও ও লেভেল পরীক্ষা।আমি কিন্তু সাবজেক্ট চয়েসের টাইমে বাংলা সানন্দেই নিয়েছি।
১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৩
আখেনাটেন বলেছেন: গল্প ভালো লাগায় খুশি হলুম।
আপনি বললেন,ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলেমেয়েরা বাংলা ভালো জানে না। -- বেশির ভাগ ছেলেমেয়েই বাংলার ব্যাপারে অনীহা। তবে কিছু ব্যতিক্রমও আছে এটা মানতেই হবে। এই যেমন আপনি একটি বাংলা ব্লগে এসেছেন এবং বাংলা লিখছেন। নিজের ইচ্ছেই বাংলা বিষয় নিয়েছেন। খুবই ভালো কথা। এর আগে আপনার মতোই (ব্লগ নাম সম্ভবত, অচেনা রিতু এই জাতীয় কিছু একটা হবে) একজন লিখত। উনিও সবেমাত্র ও লেভেল সম্পন্ন করেছিল। এগুলো আশা জাগায়। আমরা একেবারে পচে যায় নি।
আপনার পরীক্ষা ভালো হোক। শুভকামনা রইল। ভালো থাকুন ব্লগার প্রেক্ষা। তবে পরীক্ষার আগে ব্লগিং এ ঢু না দেওয়ায় বেটার বলে মনে করি।
১১| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪১
করুণাধারা বলেছেন: কাহিনীর মধ্যে শেষ পর্যন্ত একটা সাসপেন্স রেখে এগিয়ে গেছেন, তাই পড়তে ভালো লাগলো। কিন্তু একটা জিনিস একেবারে ঠিক লাগলো না, বখা ছোট ছেলেকে তার অপকর্মের জন্য মা-বাবা শাসন করলেন!! বাস্তবে মা-বাবারা পুত্র স্নেহে এতটাই অন্ধ হন যে, কাজের মেয়েটিকে অভিযুক্ত করেন তার সরল সাদাসিধা ছেলেকে ফুসলানোর দায়ে।
রাহেলা বেগমের মত কয়েকজন নারী থাকলে সমাজ অনেকটাই বদলে যেত!!
১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৯
আখেনাটেন বলেছেন: কাহিনি ভালো লাগায় খুশি হলুম।
বাস্তবে মা-বাবারা পুত্র স্নেহে এতটাই অন্ধ হন যে, কাজের মেয়েটিকে অভিযুক্ত করেন তার সরল সাদাসিধা ছেলেকে ফুসলানোর দায়ে। -- হুম; এটাই দেশের এখনকার চালচিত্র। তথাপিও কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে। হয়ত রাহেলা বেগমও...।
আমাদের চারপাশে রাহেলা বেগমরা আছেন। কিন্তু পরিবেশ-পরিস্থিতি উনাদের কোনঠাসা করে রেখেছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে রাহেলাদের পথচলা মসৃন নয়। তবুও অনেক রাহেলায় মাঝে মাঝেই খবরের শিরোনাম হন নানারকম মহৎ কাজের দরুন।
মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা রইল করুণাধারা'পা। ভালো থাকুন।
*আপনার চলতি সিরিজটি কয়েক পর্ব পড়ে আর পড়া হয় নি। শীঘ্রই পড়ব। তিন বাচ্চার সমাপ্তিতা কীভাবে হয়?
১২| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,
পড়তে পড়তে বোঝা যাচ্ছিলো নিতু কে, নিতুর জন্মদিনটিতে রাহেলা বেগমের মন খারাপের আবহে।
আজকাল তো আর "রাহেলা" বেগমদের দেখা মেলেনা, মেলে " জাহেলা" বেগমদের!
ভালো গল্প হয়েছে।
১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১২
আখেনাটেন বলেছেন:
গল্পটা কিছুটা প্রেডিকটেবল। একটু গভীর মনোযোগ দিলেই পাঠকের টের পাওয়ার কথা।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রইল। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
১৩| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৩
শের শায়রী বলেছেন: অসাধারন লিখছেন। অসাধারন। কাছের মানুষ আমারো খুব প্রিয়। নিজের কালেকশানেও আছে। পোষ্টে ভালো লাগা।
১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৪
আখেনাটেন বলেছেন: গল্প ভালো লাগায় আপ্লুত হলুম।
'কাছের মানুষ' অনেকেরই প্রিয় বই। অনেকের পারিবারিক লাইব্রেরীতে সোভা পাচ্ছে এই চমৎকার উপন্যাসটি নিশ্চয়।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ব্লগার শের শায়রী'র জন্য। ভালো থাকুন।
১৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো লেখা দাদা !
১৩ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২
আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লাগায় খুশি হলুম দিদি।
অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৩:০৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দেশে ইংলিশ মিডিয়াম পড়ুয়ারা বাসায় কোন ভাষায় কথা বলে।। বাংলিশ
১৩ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭
আখেনাটেন বলেছেন: এটা মনে হয় নির্ভর করে ফেমিলি স্ট্রাকচারের উপর। যদি পড়ুয়া ফার্স্ট জেনারেশন ইংলিশ মিডিয়াম ছাত্র হয়, মানে বাবা-মা বাংলা মিডিয়ামে পড়ুয়া, তাহলে বাসায় বাংলাতেই কথা চলা স্বাভাবিক। যদি সেকেন্ড জেন হয়, তাহলে বাংলিশ; আর যদি থার্ড জেন বা ঊর্ধ্ব হয়, তাহলে বুঝতেই পারছেন তারা ইংরেজির সাথে উগান্ডান, জুলু-ভুলু ইত্যাদি ভাষায় ক্থা বললেও অবাক হবেন না জনগণ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার সচেতনহ্যাপী। ভালো থাকুন। করোনামুক্ত থাকুন।
১৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:২২
মলাসইলমুইনা বলেছেন: ফ্যারাও,
আমাদের দেশের কিছু মেয়ের সমাপ্তিহীন দুর্ভাগ্যের গল্প বললেন ! ভালো লাগা গল্প কথায়ও তাই ঝরে পরা অশ্রুজলের ছলছল শব্দ শোনা গেলো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত । এই গল্পের হাহাকারতো শেষ হবার না । আরো কতবার যে এই গল্প নানান আঙ্গিকে আপনাকে বলতে হবে কে জানে। এই গল্পগুলোর কাহিনী কবে যে শেষ হবে ! ভালো থাকুন ।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০০
আখেনাটেন বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন। চিরচেনা বেদনার গল্পগুলো বুঝি সবখানে এমনই। ঘটনার ঘনঘটায় বৈচিত্র থাকে বটে, তবে কষ্টটা সেই একই।
ভালো থাকুন ব্লগার মলাসইলমুইনা।
১৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:০০
নিভৃতা বলেছেন: সুন্দর একটা গল্প পড়ে শেষ করলাম। অশেষ ভালো লাগা।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০১
আখেনাটেন বলেছেন: ভালোলাগায় খুশি হলুম।
ভালো থাকুন। করোনামুক্ত থাকুন।
১৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: কে কি মন্তব্য করেছে তা দেখে গেলাম।
কে কি মন্তব্য করে তা জানার দরকার আছে কি না বলুন?
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৩
আখেনাটেন বলেছেন: আলবৎ ঠিক আছে। তবে সেটা গোপনে দেখে চুপচাপ কেটে পড়ায় বুদ্ধিমানের কাজ--বলেছেন কবি ম্যাকবেল পাটোয়ারী।
১৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০০
নীল আকাশ বলেছেন: গতকালকে অর্ধেক পড়া হয়েছিল। আজকে শেষ করলাম এই করুন উপাখ্যান।
বেশ কাছাকাছি বাস্তবতা নিয়েই লিখেছেন। এভাবেই অনেক অনেক মেয়ে ধর্ষিতা হবার পর বিনা বিচারে নিরবেই ঝরে যায়। বেশি টাকা পয়সা অনেক সময় মানুষ'কে অন্ধ বানিয়ে রাখে।
ইংলিশ মিডিয়ামের ব্যাপারে আপনার সাথে আমি একমত। এদের খুব কাছ দেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলা বলা বা লেখা এদের কাছে big discredit.
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৬
আখেনাটেন বলেছেন: চারিদিকে কত কি যে ঘটছে.......
অনেক অনেক মেয়ে ধর্ষিতা হবার পর বিনা বিচারে নিরবেই ঝরে যায়। বেশি টাকা পয়সা অনেক সময় মানুষ'কে অন্ধ বানিয়ে রাখে। --- হুম;
বাংলা বলা বা লেখা এদের কাছে big discredit. ---
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার নীল আকাশ।
২০| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার একটা গল্প পড়লাম। কি বলবো বুঝতে পারছি না......ভাষা হারিয়ে ফেলেছি!!!
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৫
আখেনাটেন বলেছেন: কি বলবো বুঝতে পারছি না......ভাষা হারিয়ে ফেলেছি!!---
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার ভুয়া মফিজ।
২১| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৩
মিরোরডডল বলেছেন: রাহেলা বেগম যখন গল্পটা বলতে শুরু করলেন, খুব অল্প সময়ের মাঝেই বোঝা গেছে নিতুর পরিচয় আর
কাহিনীটা কি হতে যাচ্ছে ।
তারপরও পড়তে ভালো লেগেছে ।
নাইসলি প্রেজেণ্টেড ।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৯
আখেনাটেন বলেছেন: মিরোরডডল বলেছেন: রাহেলা বেগম যখন গল্পটা বলতে শুরু করলেন, খুব অল্প সময়ের মাঝেই বোঝা গেছে নিতুর পরিচয় আর কাহিনীটা কি হতে যাচ্ছে । -- আপনি ভালো পাঠক মানতেই হয়।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ব্লগার মিরোরডডল। ভালো থাকুন। করোনামুক্ত থাকুন।
২২| ২০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১২
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: অসাধারন। ভেবেছিলাম টেনে কিছু বাদ দিয়ে দিয়ে পড়বো, কিছু পড়ে আর সেই উপায় রইলো না।
বেশ সুন্দর লেখনী।
০২ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৪
আখেনাটেন বলেছেন: সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: অসাধারন। ভেবেছিলাম টেনে কিছু বাদ দিয়ে দিয়ে পড়বো, কিছু পড়ে আর সেই উপায় রইলো না। ----- শুনে খুশি হলুম।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
২৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩০
শায়মা বলেছেন: নীতুর জন্য কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু নীতুর কষ্ট কে বুঝবে?
০২ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৮
আখেনাটেন বলেছেন: শায়মা বলেছেন: নীতুর জন্য কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু নীতুর কষ্ট কে বুঝবে? --- নিতুদের কষ্ট বুঝার লোক সমাজে খুবই কম। এভাবেই নিতুরা বেঁচে থাকে। যদিও এই নিতু সমাজের উপরের শ্রেণির। নিচের শ্রেণির নিতুদের হয়ত গার্মেন্টসের কর্মী হয়েই...।
*আপনাকে বহুদিন পর দেখলাম মনে হচ্ছে। পরীর দেশে ঘুরতে গিয়েছিলেন নাকি। পরীদের তো আবার নানামুখী বিচরণ.....
শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন।
২৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: রম্য লেখায় আপনার উচ্চমানের সাথে সুপরিচিত। কিন্তু ছোটগল্প লেখায়ও আজ আপনি যে সুনিপুণ দক্ষতা দেখালেন, তাতে আমি রীতিমত মুগ্ধ!
পোস্টে প্লাস+।
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৬
আখেনাটেন বলেছেন: খায়রুল আহসান বলেছেন: রম্য লেখায় আপনার উচ্চমানের সাথে সুপরিচিত। কিন্তু ছোটগল্প লেখায়ও আজ আপনি যে সুনিপুণ দক্ষতা দেখালেন, তাতে আমি রীতিমত মুগ্ধ! --- আপনি আমার প্রিয় ব্লগারদের মধ্যে অন্যতম। আপনার মতো অভিজ্ঞতালব্ধ ও জ্ঞানী মানুষের কাছ থেকে এই ধরনের বাক্য দেখে আমি অতিশয় অনুপ্রাণিত হলুম।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনাকে। ইদানিং ব্লগে খুবই কম আসা হচ্ছে বলে আপনারসহ অনেকের লেখাই মিস করছি।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন এই কঠিনতম সময়ে।
২৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ইদানিং ব্লগে খুবই কম আসা হচ্ছে বলে আপনারসহ অনেকের লেখাই মিস করছি - এটা কোন ব্যাপার না। যখন সময় হবে, এবং তখন যদি আমার কোন লেখা চোখে পড়ে, তবেই পড়বেন। কোন তাড়াহুড়ো নেই। আমি চাইনা কোন পাঠক তাড়াহুড়োর মধ্যে আমার লেখা পড়ুক। আর আমার লেখা তো হাল্কা ধনের হয়ে থাকে। জীবনে চলার পথে যা কিছু দেখে থাকি, তার মধ্যে যেগুলো মনে দাগ কাটে, সেগুলোই কথাচ্ছলে বলে থাকি গল্প আকারে, ভ্রমণ কাহিনী হিসেবে, দিনলিপি হিসেবে কিংবা কবিতার মত কোন একটা কিছুর আকার দিয়ে।
অধুনা যেমন লিখছি তিন মাস অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ যীল্যান্ড সফর করে সেখানকার কোন স্মৃতি নিয়ে নয়, শুধু মাত্র প্রতিকূল পরিস্থিতি আর অনিশ্চয়তাকে মাথায় নিয়ে আশায় বুক বেঁধে আর আল্লাহতা'লার উপর ভরসা করে রওনা হয়ে পথের প্রতিকূল পরিবেশকে কিভাবে অনুকূলে পরিণত করে উপভোগ করেছিলাম, সে কাহিনী পাঠকের সাথে শেয়ার করার জন্য। ফিরে আসার সময় টা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। একদিকে মেলবোর্নে লক ডাউন শুরু হয়ে যাচ্ছিল, যেদিন মেলবোর্ন ত্যাগ করেছিলাম, সেদিনই ত্যাগ না করলে হয়তো অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকা পড়ে থাকতে হতো। আবার ঠিক সেদিনই কাকতালীয়ভাবে চীনে নতুন করে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে, ফলে গুয়াংঝু বিমানবন্দরে হুলস্থুল কান্ড শুরু হয়ে যায়। ৪৮ ঘন্টা গুয়াংঝু বিমানবন্দরে আটকে থেকে যে রাতে ঢাকায় ফিরে আসি, ঠিক তার পরদিন থেকে ঢাকায়ও 'লকডাউন' শুরু হয়ে যায়। আমাদের সাথে করে নিয়ে যাওয়া ঔষধপত্রের স্টক শেষ হয়ে আসছিল। এই বয়সে একটা দিনও ঔষধ ছাড়া চলার উপায় নেই।
এমন উভয় সংকট মাথায় নিয়ে দুরূহ পরিস্থিতিতে রওনা দিয়ে পথে পেয়েছিলাম কিছু অজানা অচেনা ভালমানুষ এর সান্নিধ্য। তাদের মানবিকতার কথাই এ সিরিজের মূল উপজীব্য। কোথাও কোথাও হয়তো অতিকথন হয়ে গেছে, তবে আমি ইচ্ছে করেই, লেখার সময় মনে যেসব কথার উদ্ভব হয়েছিল, তার কিছুই বাদ দেইনি। কারণ আমি মনে করি, একটি বাক্যেও অনেক সময় একটি পুরো গল্প লুকিয়ে থাকতে পারে।
আমার লেখায় থট প্রভোক করার মত প্রায়শঃই কিছু থাকে না। এমনতর হাল্কা কাহিনীই লেখার উপজীব্য হয়ে থাকে।
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৪
আখেনাটেন বলেছেন: আমার লেখায় থট প্রভোক করার মত প্রায়শঃই কিছু থাকে না। --- এটা মানতে পারলুম না কোনমতেই। আপনার বেশির ভাগ কবিতাই যে কোনো বিচারেই অতি উৎকৃষ্ট। এরকম চমৎকার কবিতা যিনি লিখতে পারেন, তিনি অবশ্যই মানুষের চিন্তার জগৎকে দোলা দিতে সক্ষম বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
আর জীবনঘনিষ্ঠ চলতে-ফিরতে যে লেখাগুলো আপনি প্রকাশ করেন সেগুলোর মাঝেও এক ধরনের সহজিয়া ভাব রয়েছে যা অতিসহজেই পাঠককে কানেক্ট করে। এবং পাঠককেও নিজের দৈনন্দিন চলমান ঘটিত বিষয়গুলোকেও নতুন আঙ্গিকে ভাবতে বাধ্য করায়, এটা সহজ কাজ নয়।
*আমার আগের লেখা প্রিয়াদি ও সোনালী বালির প্রাচীর ছোটগল্প দুটি আপনার মতো বিদগ্ধজন পড়লে খুশি হব।
২৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: নুতন লেখা চাই। আপনার লেখা ভাল, লিখুন।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৩
আখেনাটেন বলেছেন: ভীষণ খুশি হলাম আপনার মন্তব্যে।
এখন ব্যস্ত সময় পার করছি। সময় পেলেই লেখা দিব।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ব্লগার সাহাদাত উদরাজী। ভালো থাকুন। করোনামুক্ত থাকুন।
২৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার লেখা "প্রিয়াদি" পড়ে আসলাম। অসাধারণ একটি ছোটগল্প! +
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৪
আখেনাটেন বলেছেন: শুনে আপ্লুত হলুম।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
২৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৩
জুন বলেছেন: অদ্ভুত মন কেমন করা এক ভালো লাগার গল্প আখেনাটেন। এমন নিতু হয়তো অনেক ঘরেই আছে। গল্পটি এতই বাস্তবতার সাথে লেখা যে গল্পের রাহেলা বেগম আর নিতুর জন্য ভীষণ কষ্ট হচ্ছে । অনেক ভালো লাগা রইলো।
+
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৭
আখেনাটেন বলেছেন: এমন নিতু হয়তো অনেক ঘরেই আছে। --- বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিলে এ অসম্ভব নয়। অনেক নিতুরই থাকার কথা। তবে এই নিতুর মতো এত ভাগ্যবতী সে নাও হতে পারে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে মন্তব্যের জন্য জুনাপা। করোনার বিশৃঙ্খল দিনগুলিতে ভালো থাকুন। করোনামুক্ত থাকুন।
২৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৩
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভালোলাগা ....
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৮
আখেনাটেন বলেছেন:
ধন্যবাদ মন্তব্যে জন্য প্রাচীন পক্ষী।
করোনার থাবা থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন চে।
৩০| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৮
রাকু হাসান বলেছেন:
ট্রাজিক কাহিনী । নিতুকে ট্রাজিক ক্যারেক্টার মনে হলো। প্রোটাগনিস্ট এবং এন্টাগোনিস্টদের উপর গল্পটি দাঁড়িয়ে । নিতুর মামা এমন কাজটি করতে পারলো ? তবে সাামাজিক অবক্ষয়ে সেটা অবাস্তব নয়।যখন হাসনাহেনা গাছ ,রাহেলা বেগমের পত্রিকা দেখে বর্ণনা, একই সময়ে মন খারাপের ঘটনা --- আমার মতে এটাই ছিল পাঠকদের মনোযোগ ধরে রাখার কৌশল আপনার । গাছ ,দিদার,মন খারাপ,এসব পড়ে মনে হচ্ছিলো শেষের মতই ঘটনার মোড় নিবে । কিন্তু মাঝখানে এসে খেই হারালাম । ধরেই নিলাম এমন কিছু হচ্ছে না । ভিন্ন কিছু হতে পারে । খেই হারানোর /অন্য কিছু নিয়ে চিন্তার করানোর ক্রেডিট আমি আপনাকেই দিব। ভেবেছিলাম নিতু তার সারোগেট মা নিয়ে কিছু জানতে চাইবে দিদার কাছে । চায় নি। ছোট গল্প যেহেতু এত বেশি কিছু আশাও করা যায় না । তার মানে রাহেলা বেগমের ছেলে নিঃসন্তান ছিলেন না ? ধরে নিতে পারি একমাত্র পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন । অন্যভাবেও ভাবা যায় ,অন্য কোন মাধ্যম হয়ে নিতুর রাহেলাদের বাড়িতে আগমন । আর যেহেতু রাহেলা বেগমের বাড়ির হাসনাহেনা লাগিয়েছিল ১৫ বছর আগে ,এই বাড়িতেই। গল্প অনুসারে রাহেলা বেগমের দুই ছেলে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। প্রকৃতির পরিশোধ । নিতুন সত্যের কাছে যাওয়াটা খুব সাবলীল ছিল। শেষ দুঃখজনক ,করুণ। সবমিলিয়ে আমি পাঠক হিসাবে উপভোগ করেছি। কয়েকটি দিক দিয়ে চিন্তা ভাবনা করলাম । বুঝা যাচ্ছে আটঘাট বেঁধেই নেমেছিলেন । ভালো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছেন । তাই ভালো খেলছেন । আমি বেশ কিছু কথা বলতে চেয়েছেন এই গল্পে । সেই বলাটা যেন কাজের হয় সেটাই হোক কামনা ।
বুঝলাম না ,আপনি যেটাই লিখেন সেটাই ভালো লাগে । কাহিনী কি বলুত তো
১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২২
আখেনাটেন বলেছেন: গল্পকে চমৎকারভাবে কাঁটাছেঁড়া করেছেন। মজা পেলাম।
আমার লেখা ভালো লাগায় আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ব্লগার রাকু হাসান। শখের লেখা কারো পড়তে ভালো লাগে শুনতে ভালো লাগে।
ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুনিপুণ ও বস্তুনিষ্ঠ লেখা।