ধর্মান্ধ,নাস্তিকান্ধ ও বর্তমান বাংলাদেশ

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

বিশ্বাসের ভিত্তিগুলা ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হতেই পারে। তাই বলে নিজের বিশ্বাস, মতামত অন্যের ওপরে চাপিয়ে দেয়া বড়ই বেমানান। জন্মের পর থেকে চিন্তার দাসত্ব অধিকাংশই করে।চিন্তার দাসত্ব থেকে মুক্তি নিয়ে আত্নচিন্তার মগ্ন হওয়ার হার অনেকাংশে কম।ধর্মান্ধের কাছেই ধর্ম বেশি বিপদজনক। ধর্মান্ধরাই দেখিয়েছে অমানবিকতা,হিংস্রতা,মৌলবাদ আর জঙ্গীবাদিতা।

- বিশ্বাস করলাম।
- কাজ কর্মে নিয়োজিত হলাম।
- কাজ কর্ম থেকে দুরে সরে এলাম।
- আবারো বিশ্বাস করলাম।
-আবারো কাজ কর্মে নিয়োজিত হল।
-আবারো কাজ কর্ম থেকে দুরে সরে এলাম।
এভাবে ঘুর্নিপাক খেতে খেতে পৃথিবী থেকে বিলীন। শুধুই কি ভন্ডামী।।

মানব ধর্মই যদি নাস্তিকের ধর্ম হয় তাহলে মানব ধর্ম থেকে বিচ্যুত নাস্তিকদের নাস্তিকান্ধই বলা যায়। প্রশ্ন ওঠে,তারা নির্দিষ্ট কোন ধর্মের সমালোচক নাকি নাস্তিক।অন্যের বিশ্বাস কিংবা মতামতে শ্রদ্ধা প্রদর্শন তো দুরের কথা বরং চরমভাবে আঘাত হানছে তারা।কাউকে মানসিকভাবে কষ্ট দেয়া মানব ধর্ম কিংবা মানবতার অংশ না।ধর্মান্ধ কিংবা নাস্তিকান্ধের মাঝে বিশেষ কোন ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে না।ভিন্নতা শুধু হত্যার প্রসঙ্গে,নাস্তিকান্ধরা সেটা করতে পারে না অপরদিকে ধর্মান্ধরা টিকে থাকতে সেটাই বেঁচে নেয়।

ইদানিং বেশ লক্ষ্যণীয়, দৃষ্টিতে আসার মতো একটি বিষয়। খ্যাতি কিংবা কুখ্যাতি, মোটের ওপরে অনলাইনে আলোচিত হয়ে ওঠার নেশায় নাস্তিকাদ্ধরা কোন নির্দিষ্ট ধর্মকে করছে উলঙ্গ। নিজেদের বিপ্লবী ভেবে ছড়িয়ে দিচ্ছে অন্যের বিশ্বাসের ওপর মানসিক কষ্ট।ধর্মান্ধ ও নাস্তিকান্ধ দুই দলেই এখন যেন উগ্রবাদী।নাস্তিকরা জ্ঞানী,মেধাবী,চিন্তাশীল দিনে দিনে তাদের কর্মকান্ডগুলা মূর্খতার পরিচয় ফুটে তুলতেছে।অপ্রকাশিত সত্য কিছু ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা থেকে রক্ষার উপায়। নিজেরা যুদ্ধ সৃষ্টি করে হতে চায় শহীদ কিংবা বিপ্লবী।চারদিক এতো সমস্যা থাকতে ধর্মের মতো প্রাচীন বিষয়টা এখন তাদের মুখ্য সমস্যা। তাদের তৈরি করে দেয়া ঘোলা জলে মাছ শিকারে ব্যস্ত ক্ষমতাশীনরা।বর্তমানে মৌলবাদ আর জঙ্গীবাদকে উস্কে দিতে সব থেকে বড় অবদান অনলাইন নাস্তিকতাই রাখছে। তবে কি তারা আমেরিকাকে সুযোগ করে দিচ্ছে বাংলাদেশকে ইরাক,আবগানিস্তান,পাকিস্তানের মতো রুপ দিতে।

৬ টি +২/-০