![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এ,কে,এম, আজহার আহমেদ শুভ আজন্ম একজন শিক্ষার্থী।
রাজা আসে যায়,আসে আর যায়
শুধু পোষাকের রং বদলায়
শুধু মুখোশের ঢং বদলায়"
—বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
এটা আমাদের চরম হতাশার চিত্র।কারন সব বদলায় আমাদের ভাগ্য বদলায় না।ওরা বদলাতে দেয় না।আজকাল অনেক কবি,সাহিত্যিক বা শিক্ষক তা আর করেন না।সবাই কেমন জানি নীল-সাদা নিয়েই ব্যস্ত অন্যরা মধ্যপন্থা।বাকী থাকে মিডিয়া, যারা শক্তি সামর্থ্য আর চিন্তায় সবার কাছে সন্মানিত ছিলেন।সেখানেও “সর্ষের মধ্যে ভূত”।তারাও দুই গোত্রভুক্ত।যে যার মতো তোষামোদ ও হলুদ সাংবাদিকতা (পক্ষপাতদুষ্ট অথবা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন ও অতিরঞ্জিত সংবাদ পরিবেশন/ উপস্থাপন) চর্চা করে যাচ্ছেন।আর এ বাজে চর্চাটা ১৮৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জোসেফ পুলিৎজার আর উইলিয়াম রুডলফ হার্স্টের মধ্যে পেশাগত প্রতিযোগিতার ফল হিসেবে শুরু হয়েছে যা এখন আমাদেরই বহন করতে হচ্ছে। আর কেউ ইনভেস্টিগ্যাটিভ জার্নালিজম এপ্লাই করতে গেলে হয়তো আইসিটি মামলা ফেইস করার হুমকি নয়তো অন্য উপায়ের হুমকি-ধামকি।তাছাড়া ওয়াচডগ বা অ্যাকাউন্টিবিলিটি রিপোর্টিং এর সময় নিজের নিরাপত্ত্বা হুমকি থাকে প্রচুর।সাংবাদিকতা তখন শাঁখের করাত হয়ে যায়।যাই হোক,এখন নিজের অধিকারগুলি তুলে ধরবে কে/কারা? পলিটিক্যাল পুঁটি অনেকেই সরকার গঠনের পর জনগনকে ভুলে নিজেরা রুই কাতলা হয়ে যায়।সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতের ঘুম পর্যন্ত এবং কি কখনো কখনো ঘুমের মধ্যেও অস্থিরতা,আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তার রেশ কাটেনা।পার্লামেন্টারিয়ানরা হাউজে গিয়ে গান গায় আর তোষামুদেরা পুঁথি পাঠ করে আর বেশিরভাগই অসত্যের প্রতিযোগীতা বা পাশের বাড়ীর বৌ-ঝি’রা কি করে তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় তোলে।ভুলে যায় তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতির কথা।তারা ভুলে গেলেও জনগন ভুলে না পলিটিক্স ইজ দ্যা পালস অব দ্যা পিপল।তাই তারা ও অপেক্ষায় থাকে মোক্ষম সময়ের যদিও আমাদের সময় গুলো অভিন্ন।একটা গল্প বলি, “গ্রামের চঞ্চল মেয়েটি বন্ধুর সাথে একরাত বাইরে ছিলো।তারপর সকালে ফিরে এলে গ্রামবাসী তার সতিত্বের প্রশ্ন তোলে যদিও সে সতীসাধ্বী ছিলো।বিচারের রায় ৩ টাঃ অগ্নি পরীক্ষা/যে বন্ধুর সাথে ছিলো তাকে বিয়ে করা/মেডিক্যাল চেক আপ।মেয়ে ৩য়টিতে রাজি হলো।মেয়েকে নিয়ে যাওয়া হলো ডাক্তারখানায়।ডাক্তার বাবু বললেন তিনি পবিত্রতার রিপোর্ট দিবেন যদি মেয়েটি তার কাছে অপবিত্র হয় তবেই।আর মেয়েটিকে এটাও বলে দিলেন, পবিত্রতার সার্টিফিকেট না দিলে তাদের একঘরে করে দিবে গ্রামবাসী।অসহায় মেয়েটি শেষ পর্যন্ত অপবিত্র হয়েই পবিত্রতার তিলক পেলো।“-এখানে মেয়েটি হচ্ছে আমরা প্রতিটি জনগন যারা নানা নামে/ উপায়ে/ বা নির্বাচনী ওয়াদায় ধর্ষিত হয়ে চলছি বারংবার।বাকী চরিত্রগুলি হচ্ছে রাষ্ট্রযন্ত্রের সেসব ইন্সটিটিউশন যাদের কারনে মানচিত্র খাওয়া শুরু হয়েছে। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.