নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ, মানুষের জন্যে।

[email protected],[email protected] স্কাইপঃAkramsBD

আকরাম

সাইকোথেরাপী অন লাইন *****www.psychobd.com

আকরাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্পর্কের বড় শত্রু ‘সন্দেহ’

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৫২

‘সন্দেহ যখন ঘরের দুয়ারে দাঁড়ায়, ভালবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়’- এটি শুধু কোনো কথার কথা নয়, শতভাগ সত্য। সবধরনের সম্পর্কের বড় শত্রু হলো সন্দেহ। একটি সুন্দর সম্পর্ককে নিমেষে টুকরো টুকরো করে দিতে পারে সন্দেহ নামের ঘুনপোকা।
সন্দেহ মানুষের একটি সহজাত বৈশিষ্ট্য। সন্দেহবিহীন মানুষ পাওয়া দায়। মনোচিকিৎসকদের মতে, নিরাপত্তাহীনতা থেকেই মানুষের মনে সন্দেহ পোকা আস্তানা গাড়ে। কারণ, জীবনে প্রতিটি মানুষ কোনো না কোনো ঘটনায় অজানা আশঙ্কা ভর করে। আর সেখান থেকেই মনের ঘরে সন্দেহের জন্ম। একে প্রশ্রয় দিলে মস্তিষ্কে শিকড় ছড়িয়ে ডালাপালা মেলে দেয়। একসময় সন্দেহ করাটা ম্যানিয়াতে রূপান্তরিত হয়। জীবনকে করে তোলে জটিল। এই জটিলতার মধ্যে থাকে ক্ষোভ, ঈর্ষা, হতাশা আর হীনমন্যতা। শুধুমাত্র সন্দেহের কারনে পৃথিবীতে লক্ষ-কোটি সম্পর্ক ভেঙে গেছে।
অবশ্য সন্দেহ এমন কোনো চিরজীবি দৈত্য নয়, যে একে ঘায়েল করা যাবে না। মানুষের মনেই আছে সন্দেহকে কুপোকাত করার শক্তি। সন্দেহ প্রবণতা দূর করার কিছু কৌশল আছে। এসব অনুসরণ করলে নিজের মনকে যেমন সন্দেহমুক্ত রাখা সম্ভব, তেমনি প্রিয়জনের মনের ভেতর সন্দেহের ভিটেমাটি উচ্ছেদ করা যাবে।
খোলামেলা ভাবে কথা বলুন
প্রিয়জনের কোনো কর্মকাণ্ডে যদি আপনার প্রশ্ন তৈরি হয়, কোনো দরকার নেই তা চেপে রাখার। সরাসরি কথা বলুন, জানতে চান তার কারণ। দেখবেন, আপনি যা ভাবছেন, তার সিংহভাগই ভুল। কথা বললেই পেয়ে যেতে পারেন সবকিছুর ব্যাখা। বন্ধ হবে মনের গহীনে সন্দেহের বংশবৃদ্ধি

একইভাবে আপনার সঙ্গী যেন কোনোভাবেই কোনোকারণে আপনাকে সন্দেহ করতে না পারে, এ বিষয়ে সতর্ক থাকুন সবসময়। সম্পর্কের শুরুতেই তাকে বলে রাখতে পারেন, কোনো বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হওয়ার আগেই যে আপনার সঙ্গে খোলামেলা কথা বলে। তারপরও যদি কোনো কারণে আপনাকে সে সন্দেহ করছে বলে টের পান, নিজেই এগিয়ে যান। প্রিয়জনের মনে বানোয়াট ধারণাগুলোর ব্যাখা দিয়ে সন্দেহকে সমূলে বিনাশ করে দিন।
প্রিয়জনকে সময় দিন
প্রিয়জনের সঙ্গে যতোবেশি সময় কাটাবেন, ততোই সন্দেহ দূরে পালাবে। তাই ভালবাসার মানুষটির সাথে বেশি বেশি সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। এতে দুজন দুজনকে বুঝতে পারবেন। পরস্পরের মধ্যে তৈরি হবে আস্থা আর বিশ্বাস। তখন আর কারো মনে সন্দেহের মেঘ জমার কোন অবকাশই থাকবে না।
ধরে রাখুন শ্রদ্ধা আর বিশ্বাস
যে কোনো সম্পর্কের ভিত্তিই হলো শ্রদ্ধা আর বিশ্বাস। আপনি যখনি আপনার সঙ্গী অথবা ভালোবাসার মানুষটিকে মন থেকে বিশ্বাস করবেন দেখবেন এসব সন্দেহের কালিমা আপনার ধারে কাছেও আসবে না। তাই একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস রাখুন।
ব্যস্ততা যখন সন্দেহ নির্মূলের অস্ত্র
কথায় আছে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। তাই নিজেকে যথাসম্ভব ব্যস্ত রাখুন।আপনি অলস আছেন বলে হয়তো ভালবাসার মানুষটিকে নিয়েই ভেবে যাচ্ছেন। কিন্তু যাকে নিয়ে ভাবছেন সে হয়তোবা আপনাকে সেভাবে সময় দিতে পারছে না। এমন অবস্থায় মনে সন্দেহের মেঘ জমতে পারে। তাই নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
আবার অতি ব্যস্ততাও অনেক সময় সন্দেহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রয়োজনে তৃতীয়পক্ষ থেকে দূরে থাকুন।
অনেক সময় তৃতীয় কোনো ব্যক্তির আবির্ভাব দুজনের সম্পর্কে সন্দেহের বিষ ছড়িয়ে দিতে পারে। যদি তৃতীয়পক্ষকে আপনার সঙ্গী সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না। অকারণে আপনাদের সন্দেহ করছে। প্রথমে চেষ্টা করুন তার ভুল ধারণা ভেঙে দিতে। তারপরও যদি দেখেন, সমস্যা থাকছেই। তাহলে সম্পর্কের স্বার্থেই আপনাকে তৃতীয়পক্ষ পরিত্যাগ করতে হবে।
শেষ কথা
সন্দেহ প্রবণতা একটি সুখী সম্পর্ক ভাঙন ধরিয়ে দিতে পারে খুব সহজে। তাই এই সন্দেহ নামক বিষ থেকে যতো দূরে থাকা যায় ততোই ভালো। যদি আপনার মনে নিজের সঙ্গীকে নিয়ে কোনো প্রকার অমূলক সন্দেহ থেকে থাকে তবে তা আজই দূর করে নিন। প্রয়োজনে দু`জনেই কাউন্সেলিং, থেরাপীর সাহায্য নিন।
www.psychobd.com
www.facebook.com/Psychobd

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: আকরাম,





নিঃসন্দেহে এটা সন্দেহবাতিকগ্রস্থদের পথ দেখাবে । একজনের সন্দেহ আর একজনের ভেতরেও এর বীজ বপন করে দেয় ।
তবে দুঃখের বিষয় হলো এটা সন্দেহবাতিকগ্রস্থরা বুঝবেন না কিছুতেই । কেউ কেউ আবার সন্দেহ সন্দেহ খেলায় মেতে উঠে মজা পান কিন্ত ভুলেও বুঝতে পারেন না কী বিষবৃক্ষের বীজ বুনে ফেলেছেন তিনি নিজের অজান্তেই ।

ভালো লাগলো লেখাটি ।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:২৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আজ বিয়ের ২৮তম বার্ষিকী পালিত হলো দেশে আর আমি এখানে করলাম।। এই সুদীর্ঘ জীবনে মনোমালিন্য হয়েছে অনেকবারই।। কিন্তু তাতে সন্দেহের বিন্দুমাত্র চিন্হও ছিলো না।। না আর্থিক না ভালবাসার।। যেমনটি আমার প্রেমিকা ছিলো তেমনটি ওরও আছে।। কিন্তু সবকিছুকেই বিয়ের পর ফেলে দিতে পেরেছি পারস্পরিক আলোচনার মাঝে।। স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছি।।
লেখাটির সাথে অনেক মিলই খুজে পেলাম।। ধন্যবাদ।।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:১৯

মহা সমন্বয় বলেছেন: দারুণ পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.