নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মানুষের জন্য , জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা...ও বন্ধু...
ঢাকায় আমি যে এলাকায় থাকি তার প্রায় প্রতিটি লেন/গলি/রাস্তায় একটা করে মসজিদ রয়েছে।প্রায় সবগুলা ২/৩/৪ তলা ভবন বিশিষ্ট। ফজরের নামাজের সময় কোন রকম দুই আড়াই কাতার লোক হয়। মাগরেবের নামাজে নিচ তলা পেরিয়ে কোন কোন সময় দোতালায় এক-দেড় কাতার হয়। কিন্তু শুক্র বার মাশাল্লাহ তিল ঠাই আর নাহিরে!। অজুখানা, সিড়ি, ছাদ, চিলেকোঠা সব কানায় কানায় পরিপূর্ন হয়ে যায়। এবং অনেক লোক যায়গাও পায়না তারা জামাতে নামায পড়তে পারে না অথবা খুব কষ্ট করে নামাজ আদায় করেন ছালা বিছিয়ে রাস্তায় উপর দাড়িয়ে।
আমার জানতে ইচ্ছে করে এক মসজিদে একাধিক জুমার নামাজের জামাত করলে কি অসুবিধা?।ইসলাম ধর্মে কি কোন নিষেধ আছে কিনা?
যদি এরকম ব্যবস্থা থাকতো তা হলে মানুষ ছোট মসজিদেও অনেক লোক আরামে জুমার নামাজ আদায় করতে পারতো । প্রায়ই মসজিদ উন্নয়নের নামে নির্দ্ধারিত সময়ে জুমার নামাজ না পড়িয়ে চাঁদা তোলা অব্যহত থাকে। মসজিদ কমিটির ইচ্ছা মতো সবার নামাজ আদায় করা লাগে।
এই বিষয়ে যদি কারো বিস্তারিত জানা থাকে তাহলে আওয়াজ দেন !!!
১৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪
মোগল সম্রাট বলেছেন: আমার মনে হয় সমস্যা অন্য যায়গায়
২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬
ক্স বলেছেন: সময় হচ্ছে ব্যাপার। জুম্মার ওয়াক্ত থাকে বাংলাদেশ সময় ২টা/আড়াইটা পর্যন্ত। ঐ সময়ের মধ্যে একটা জামাতই শেষ হয়না। আজান ও খুতবার পর ২য় আরেকটি জামাত পড়ানোর সময় কই পাবেন? তাহলে তো আগের জামাতের সব মুসুল্লিকে বের করে দিতে হবে।
১৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১১
মোগল সম্রাট বলেছেন: বাংলাদেশে তো ওয়াক্ত দুপুর ১২ টায় শুরু হয় ভাই। ১২টা থেকে ২টা এই দুই ঘন্টায় মিনিমাম ২টা জামাত তো করা যায়।
৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: এই ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯
মোগল সম্রাট বলেছেন: আমিও খুব ভালো জানিনা। জানতে চাই
৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০
ভুমন্ডল বলেছেন: ভাই, একটা জামাত পড়াতে প্রায় দের ঘন্টা সময় লাগে, এর মধ্যে কেউ কেউ আছেন শুধু দু রাকায়াত নামায পড়তে যান তেদের কথা আলাদা। কিন্তু সম্পূর্ণ নামায (ইমামের বয়ান অ খুৎবা সহ) পড়তে অনেক সময় লাগে, নিয়ম অনুযায়ী অনেকেই দেরটা থেকে দু'টার মধ্যে দুপুরের খাবার খেয়ে থাকেন সেখানে তো সমস্যা হয়। আর জুমারর নামাযের সময় আন্য দিনের চাইতে কম, তাই দ্বিতীয় জামাত সম্ভব নয়।
১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫০
মোগল সম্রাট বলেছেন: খুৎবার আগে যে ইমাম সাহেব যে বয়ান দেন সেখানে “জোরে বলেন সোবাহানাল্লাহ, আরো জোরে বলেন ঠিক না বেঠিক” এই সব আলোচনাই বোশি থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে ঐদিনের জুম্মার খুৎবা সংশ্লিষ্ট আলোচনা বা বয়ান কম হয়। সুতরাং সময় বের করা কোন ব্যাপার নয়
৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৯
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: মসজিদে দ্বিতীয় জামাত করার বিধান কী?
Hajrat,
Ak masjid a 2nd or 3rd jamat korar hokom ki? R arob dash a jamon oman a te dakha jay ak jamat shes hobar por arak jamat shuro kore, ai obosthay ki 2nd jamate shorik hobo, naki ak ak namaz pore . Janiye upokar koriben.
উত্তর
ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
মসজিদ সাধারণতঃ দুই ধরণের। যথা-
১
স্থানীয় মসজিদ।
২
চলাচলের রাস্তায়, যানবাহনের স্টপিজ ইত্যাদি স্থানের মসজিদ।
১ম প্রকার মসজিদের বিধান!
স্থানীয় মসজিদগুলোতে যদি তাতে নির্ধারিত ইমাম থাকে, তাহলে স্থানীয় লোকজনের জন্য নিয়মিত দ্বিতীয় তৃতীয় জামাত করে নামায পড়া মাকরূহ। এতে করে মসজিদে প্রথম জামাতের গুরুত্ব কমে যায়।
কিন্তু কখনো কোন দৈব কারণে স্থানীয় কতিপয় নিয়মিত মুসল্লিদের প্রথম জামাত ছুটে যায়, তাহলে তারা প্রথম জামাত যেখানে আদায় হয়েছে, তার চেয়ে একটু সরে এসে দ্বিতীয় জামাত পড়তে পারে। কিন্তু এটাকে কিছুতেই নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করা যাবে না।
কিন্তু উক্ত মসজিদে যদি কোন মুসাফির দল আসেন, কিংবা অন্য এলাকার বেশ কিছু লোকজন আসেন, এসে দেখেন মসজিদের নিয়মিত জামাত হয়ে গেছে, তাহলে তাদের জন্য দ্বিতীয় জামাত করার অনুমতি রয়েছে।
২য় প্রকার মসজিদের হুকুম
এসব মসজিদে দ্বিতীয় জামাত করাতে কোন সমস্যা নেই।যদিও তাতে নির্ধারিত ইমাম থাকে। যেহেতু এখানে মুসাফির, কিংবা দ্রুত স্থানান্তর হতে হবে এমন যাত্রীগণ থাকেন, তা’ই এসব স্থানে দ্বিতীয় জামাত হওয়াতে কোন সমস্যা নেই।
তবে যদি নির্ধারিত ইমাম না থাকে, তাহলে সর্ব সূরতে দ্বিতীয় জামাত পড়াতে কোন সমস্যা নেই।
উপরোক্ত বিস্তারিত বিবরণের আলোকে আপনার কী করা উচিত? তা আশা করি নিজেই বের করে নিতে পারবেন।
ﻭَﻳُﻜْﺮَﻩُ ﺗَﻜْﺮَﺍﺭُ ﺍﻟْﺠَﻤَﺎﻋَﺔِ ﺑِﺄَﺫَﺍﻥٍ ﻭَﺇِﻗَﺎﻣَﺔٍ ﻓِﻲ ﻣَﺴْﺠِﺪِ ﻣَﺤَﻠَّﺔٍ ﻟَﺎ ﻓِﻲ ﻣَﺴْﺠِﺪِ ﻃَﺮِﻳﻖٍ ﺃَﻭْ ﻣَﺴْﺠِﺪٍ ﻟَﺎ ﺇﻣَﺎﻡَ ﻟَﻪُ ﻭَﻟَﺎ ﻣُﺆَﺫِّﻥَ ( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﺍﻻﻣﺎﻣﺔ - 2/288
ﺃَﻧَّﻪُ – ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓُ ﻭَﺍﻟﺴَّﻠَﺎﻡُ – ﻛَﺎﻥَ ﺧَﺮَﺝَ ﻟِﻴُﺼْﻠِﺢَ ﺑَﻴْﻦَ ﻗَﻮْﻡٍ ﻓَﻌَﺎﺩَ ﺇﻟَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﻭَﻗَﺪْ ﺻَﻠَّﻰ ﺃَﻫْﻞُ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﻓَﺮَﺟَﻊَ ﺇﻟَﻰ ﻣَﻨْﺰِﻟِﻪِ ﻓَﺠَﻤَﻊَ ﺃَﻫْﻠَﻪُ ﻭَﺻَﻠَّﻰ » ﻭَﻟَﻮْ ﺟَﺎﺯَ ﺫَﻟِﻚَ ﻟَﻤَﺎ ﺍﺧْﺘَﺎﺭَ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻓِﻲ ﺑَﻴْﺘِﻪِ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺠَﻤَﺎﻋَﺔِ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﻭَﻟِﺄَﻥَّ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺈِﻃْﻠَﺎﻕِ ﻫَﻜَﺬَﺍ ﺗَﻘْﻠِﻴﻞُ ﺍﻟْﺠَﻤَﺎﻋَﺔِ ﻣَﻌْﻨًﻰ، ﻓَﺈِﻧَّﻬُﻢْ ﻟَﺎ ﻳَﺠْﺘَﻤِﻌُﻮﻥَ ﺇﺫَﺍ ﻋَﻠِﻤُﻮﺍ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﻟَﺎ ﺗَﻔُﻮﺗُﻬُﻢْ .
ﻭَﺃَﻣَّﺎ ﻣَﺴْﺠِﺪُ ﺍﻟﺸَّﺎﺭِﻉِ ﻓَﺎﻟﻨَّﺎﺱُ ﻓِﻴﻪِ ﺳَﻮَﺍﺀٌ ﻟَﺎ ﺍﺧْﺘِﺼَﺎﺹَ ﻟَﻪُ ﺑِﻔَﺮِﻳﻖٍ ﺩُﻭﻥَ ﻓَﺮِﻳﻖٍ ﺍﻫـ ( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﺍﻻﻣﺎﻣﺔ - 2/288
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
মুহাদ্দিস -জামিয়া উবাদা ইবনুল জাররাহ, ভাটারা ঢাকা।
ইমেইল – [email protected]
১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১২
মোগল সম্রাট বলেছেন: ১ম প্রকার এবং ২য় প্রকার মসজিদের এই বিধান কি কোরান সহী হাদিস দ্বারা প্রমানিত কিনা জানাবেন? আপনি মসজিদে ২য় জামাত করার বিধানের কথা বলেছেন কিন্তু শুধুমাত্র জুমার নামাজের ক্ষেত্রে কি হুকুম রয়েছে?
৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২১
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: জুমার নামাজ ছুটে গেলে কী করবেন?
সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হলো শুক্রবার। আর শুক্রবারের শ্রেষ্ঠ নামাজ হলো জুমা। জুমার নামাজের বিভিন্ন ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন, জুমা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ দিবস। তিনি আরও বলেছেন, যে ব্যক্তি সুন্দর রূপে ওজু করা করে জুমা নামাজ পড়তে আসবে তার পূর্ববর্তী জুমা থেকে বর্তমান জুমা পর্যন্ত সংগঠিত গুনাহসমূহ মাফ হয়ে যায়।
পবিত্র কুরআনে সূরা আল জুমায় ইরশাদ করা হয়েছে, যখন সালাতের জন্য জুমার দিবসের আহবান জানানো হয়, তখনই আল্লাহকে স্মরণের উদ্দেশে চলে এসো এবং ব্যবসায়িক লেনদেন বন্ধ করে দাও। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানতে।
জুমার দিনের বৈশিষ্ট্য
ইসলামি শরিয়তের বিধানে জুমার দিনের মাহাত্ম্য সীমাহীন। এই দিন মানব জাতির আদি পিতা হজরত আদম আ. এর দেহের বিভিন্ন অংশ সংযোজিত বা জমা করা হয়েছিল বলেই দিনটির নাম জুমা রাখা হয়েছে। জুমার দিনকে আল্লাহপাক সীমাহীন বরকত দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন। এটি সপ্তাহের সেরা দিন। হাদিস শরিফের বর্ণনা অনুযায়ী এই বরকতময় দিনটি আল্লাহপাক বিশেষভাবে উম্মতে মুহাম্মদিকে সা. দান করেছেন।
নবী করিম সা. ইরশাদ করেন, সর্বাপেক্ষা উত্তম ও বরকতময় দিন হচ্ছে জুমার দিন। এই পবিত্র দিনে হজরত আদম আ. কে সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং এই দিনে তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়। (মুসলিম শরিফ)
জুমার নামাজের ফজিলত
আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘জুমার দিনে মসজিদের দরজায় ফেরেশতারা দাঁড়িয়ে যান; পর্যায়ক্রমে লেখতে থাকেন প্রথমে আগমনকারীদের ফজিলত। সর্বপ্রথম আগমনকারী একটি উট কুরবানি করার সওয়াব লাভ করেন, পরের জন গরু, তারপরের জন দুম্বা, তারপরের জন মুরগি এবং তারপরের জন ডিম কুরবানি দেয়ার সওয়াব লাভ করেন। অতপর ইমাম যখন মিম্বারে আসেন, তখন তারা খাতা গুটিয়ে রেখে মনযোগ দিয়ে খুৎবা শুনেন। (বুখারি : ৮৭৬, মিশকাত : ১৩৮৪)
জুমার নামাজ না পড়লে
জুমার নামাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এ নামাজ ছেড়ে দিলে হাদিসে ভয়াবহ ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ জন্য প্রতিটি মুসলিমকে অবশ্যই জুমার নামাজ গুরুত্বসহ পড়া উচিত।
জুমার নামাজ প্রত্যেক বালেগ পুরুষের জন্যই ওয়াজিব। হাদিসে এসেছে, হযরত হাফসা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, প্রত্যেক (প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ) মুসলমানের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ওয়াজিব- অপরিহার্য কর্তব্য। (সুনানে নাসায়ী)
রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, যে ব্যক্তি অবহেলা অলসতা করে পর পর তিন জুমা নামাজ ছেড়ে দিল, আল্লাহ তার অন্তরে মোহর মেরে দিবেন। (আবু দাউদ)
আরেক হাদিসে রসূলুল্লাহ সা. বলেন, যে ব্যক্তি কোনো ওজর এবং অনিষ্টের ভয় ছাড়া জুমার নামাজে অংশ গ্রহণ করে না, মুনাফিকের এমন দফতরে তার নাম লিপিবদ্ধ করা হয়, যা কখনো মোছা বা রদবদল করা হয় না।
জুমার এক রাকাত ছুটে গেলে
কারো জুমআর এক রাকআত ছুটে গেলে বাকি আর এক রাকআত ইমামের সালাম ফেরানোর পর উঠে পড়ে নিলে তার জুমুআহ হয়ে যাবে। অনুরুপ কেউ দ্বিতীয় রাকআতের রুকূর আগে থেকে পেলেও ওই রাকআত এবং তার সাথে আর এক রাকআত পড়লে তারও জুমুআহ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি কেউ দ্বিতীয় রাকআতের রুকূ শেষ হওয়অর পর জামাআতে শামিল হয়, তাহলে সে জুমআর নামাজ পাবে না। এই অবস্থায় তাকে যোহরের ৪ রাকআত আদায়ের নিয়তে জামাআতে শামিল হয়ে ইমামের সালাম ফিরার পর ৪ রাকআত ফরজ পড়তে হবে। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ, সৌদি উলামা-কমিটি ১/৪১৮, ৪২১)
আর কেউ যদি জুমার নামাজ না পায় বা মসজিদে গিয়ে দেখে জুমা শেষ হয়ে গেছে তবে তাকে জোহর নামাজ পড়তে হবে। কারণ জামাআত ছাড়া জুমার নামাজ হয় না।
হাদিসে এসেছে, ইবনে মাসঊদ রা. বলেন, যে ব্যক্তি জুমার এক রাকআত পেয়ে যায়, সে ব্যক্তি যেন আর এক রাকআত পড়ে নেয়। কিন্তু যে (দ্বিতীয় রাকআতের) রুকূ না পায়, সে যেন জোহরের ৪ রাকআত পড়ে নেয়।’ (ইবনে আবী শাইবা, ত্বাবারানী, বায়হাকী, আলবানী : ৬২১)
কোন ইমাম সাহেব যদি বিনা ওজুতে জুমুার নামাজ পড়িয়ে নামাজের শেষে মনে হয়, তাহলে মুক্তাদির নামাজ সহিহ হয়ে যাবে। আর ইমাম ওই নামাজ কাজা করতে ৪ রাকআত জোহর পড়বেন। (আল-মুন্তাকা মিন ফাতাওয়াল ফাওয়া : ৩/৬৮)
খুতবা না শুনলে
জুমার খুতবা অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। জুমার খুতবা হলো ওয়াজিব। খুতবা চলাকালীন সময় কোন প্রকার কথা বলা যাবে না। এমনকি কাউকে কথা বলতে দেখে ‘চুপ কর’ এ কথাও বলা যাবে না। কারণ, হাদিসে এ ব্যাপারে নিষেধ এসেছে। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ইমামের খুতবা দেয়া অবস্থায় তুমি যদি তোমার সাথীকে বল, তুমি চুপ কর, তাহলে তুমি অনর্থক কথা বললে’।
ইমাম আহমদ তার বর্ণনায় হাদিসে আরও বর্ধিত করেন, অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কোন অনর্থক কর্ম করল, তার জন্য ওই জুমায় আর কিছু রইল না।
অনেকে খুতবার সময় নামাজ পড়েন। এটাও হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ যে নামাজ পড়া হচ্ছে সেটি সুন্নত। আর খুতবা শোনা হলো ওয়াজিব। সুতরাং খুতবা শুরু হয়ে গেলে সেটাই শুনতে হবে। সে ক্ষেত্রে সুন্নতগুলো পড়ে পড়তে হবে।
১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২৫
মোগল সম্রাট বলেছেন: জুম্মার দিন এবং জুম্মার নামাজের ফজিলত সম্পর্কে অনেক বয়ান অনেকেই শুনেছি। খুৎবা শোনার জন্য আমরা বেশির ভাগ মুসল্লিই শুধু চুপ করে বসে থাকি আরবীতে কি বলেন কিছু বুজি না। তাহলে এই খুৎবা শোনাই হয় বুজতে পারা যায়না। অধিকাংশ ইমাম সাহেব বলেনই না আজকে খুৎবায় আমি মিম্বারে দাড়িয়ে যে আরবী পড়বো তার অর্থ এই। এবিষয়ে কিছু জানা থাকলে জানাবেন।
৭| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মসজিদও যেহেতু অনেক আছে, আর উপর নীচে এডজাস্ট করে পড়াও যাচ্ছে তাহলে আর দ্বিতীয় জামাতের দরকার হবে না। তবে এক খুতবা দিয়ে এক জামাত শেষ করে আরেকটা জামাত করলে জুমার সওয়াব পাওয়া যাবে কিনা আমার জানা নেই। সে ক্ষেত্রে উপরের একটা তলা খালি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় মাগরিবের সময় স্থান সংকুলান না হওয়াতে সবাইকে বলা হয় নফল নামাজ না পড়ে মসজিদের বাইরে যেতে যাতে অন্যরা নামাজ পড়ার সুযোগ পায়। এখন আলেমরা ফতোয়া দিলে জুমার নামাজেও এমন টা করা যায়...
১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
মোগল সম্রাট বলেছেন: ইসলাম শান্তির ধর্ম ইসলাম ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে তার যুগোপযোগী সমাধানও আছে। এক সময় মানুষ হেটে গিয়ে হজ্ব করতো এখন প্লেন আবিস্কার হয়েছে তাই প্লেনে চড়ে হজ্বে যায়।সুতরাং এডজাস্ট করা নিয়া হলো আসল সমস্যা।
৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২০
হাঙ্গামা বলেছেন: পোষ্টদাতা আর আব্দুল্লাহ্ আল মামুন ভাইকে ধন্যবাদ।
১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫২
মোগল সম্রাট বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
জনাব ফরায়েজীর যে ফতোয়া আব্দুল্লাহ আল মামুন তুলে ধরেছেন (৫ নং মন্তব্য) সেটাই সঠিক। পোস্টদাতা এবং মন্তব্যদাতা উভয়ের জন্য শুভকামনা অশেষ।
১৬ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৬
মোগল সম্রাট বলেছেন: সঠিক কোন সিদ্ধান্ত পাইলামনা ভাই ! ধন্যবাদ আপনাকেও
১০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের জেলার এক মসজিদ দোকান বাবদ মাসে ৩ লাখ টাকা ঘর ভাড়া পায়। এর পরেও এরা শুক্রবারে টাকা উঠায়।
১৬ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৩
মোগল সম্রাট বলেছেন: কেয়ামতের আগের দিন পরযন্ত টাকা তোলা চালু থাকবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: কোন অসুবিধা নাই আপনার এলাকার হুজুরগো একটু বেতন/ভাতা বাড়বে এই আর কি!