নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মানুষের জন্য , জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা...ও বন্ধু...
এখনো আমাদের মৌলিক চাহিদাগুলোর মেটাতে প্রায় প্রতি মুহূর্তে পদে পদে যুদ্ধ করতে হয়। মারাত্মক হয়রানি হতে হয়। যেমনঃ
খাদ্যঃ না খেয়ে অভাবে কেউ এখন আর মরে না এটা সত্য, তবে যা খায় তা খেয়ে ধুকে ধুকে মরার দিকে এগোচ্ছি সবাই। ভেজালমুক্ত বা বিষমুক্ত খাবার এখন যেন দুঃস্বপ্ন। মাছে ক্ষতিকর ফরমালিন- বিষাক্ত কেমিক্যাল,শাক-সবজিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক, ফল-ফলাদিতে কার্বাইড। যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাছাড়া অতি মুনাফাখোর সিন্ডিকেট সারা বছরই দফায় দফায় নিত্যপ্রয়োজনীয় (চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, শিশুখাদ্য) সকল পণ্যের দাম বাড়িয়ে লুটেপুটে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা যাতাকলে সারাক্ষণ পিষ্ট হচ্ছি।
চিকিৎসাঃ চিকিৎসা ব্যবস্থার যে চরম বেহাল দশা তা করোনাকালীন সময়ে চূড়ান্তভাবে প্রকাশ পেয়েছে। দেশের চিকিৎসকরা মফস্বলে বা গ্রামে থাকতে চান না। সরকারি হাসপাতালে সিনিয়র ডাক্তার রোগী দেখেন না। তারা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে,১২/১৪ শত টাকা ফিস নিয়ে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখতে ভালোবাসেন। আগত রোগীকে রোগী মনে না করে খদ্দের মনে করে অপ্রয়োজনীয় অনেক টেস্ট করাবেন সেখান থেকে কমিশন খাবেন এবং পরেরদিন রোগী সেই রিপোর্ট দেখাতে গেলে আবার ৪০০/৫০০ টাকা ফিস নেবেন। পয়শা আর পয়শা। আর তাদের চেম্বারের সামনে ঔষধ কোম্পানির দালালদের উৎপাততো আছে। অসুস্থ কতো রোগী দরজার সামনে অপেক্ষায় কাতরায় সেদিকে খেয়াল নাই। সরকারি স্বাস্থ্য সেবা ধ্বংস করে দিয়ে বেসরকারি প্রাইভেট চিকিৎসা বাণিজ্য এখন রমরমা এবং তা চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আধুনিক পাঁচতারা হোটেল সমমানের যে দুই-চারটা হসপিটাল দেশে হয়েছে তা সাধারন মানুষের সাধ্যের অনেক বাহিরে।
শিক্ষাঃ শিক্ষা এখন পন্য এবং স্কুলগুলো দোকান হয়ে আছে থরে থরে সাজানো পন্যের পসরা নিয়ে। শিক্ষার বাণিজ্যিকিকরনে এখন
গুণগতমানহীন এবং বৈষম্যমূলক শিক্ষাব্যবস্থা মোটামুটি পাকাপোক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত। দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে কোয়ালিটি এডুকেশন নেই। মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে কোচিং বাণিজ্য, ভর্তি বানিজ্য নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়ে আছে। যুগোপযোগী কারিকুলাম এবং পদ্ধতি চালু করার জন্য কেউই আন্তরিক নয়। শহরের প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি স্কুলে পাঠদানের পরিবর্তে অর্থ কামানোকে ধ্যান-জ্ঞান হিসেবে বিবেচনা করছে। এদেশের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার বাচ্চারা শিক্ষাজীবন কালে দেখে তাদের শিক্ষকরা কিংবা তাদের স্কুল কতৃপক্ষ অভিভাবকদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করছে তারা বড় হয়ে অবচেতন মনেই অসৎ উপায়ে পয়শা কামাতে চাইতে পারে সেটাই অত্যন্ত স্বাভাবিক।
বাসস্থানঃ যারা জীবন জীবীকার তাগিদে শহরে নগরে থাকে তারা আছে মহা কষ্টে। বছর ঘুরতে না ঘুরতে বাসা বাড়া বাড়িয়ে দেয় সেচ্চাচারী বাড়িওয়ালারা। বাসা বাড়া দেবার সরকারি কোন নিয়ম কানুন দেশে আছে কিনা খোদায় মালুম। থাকলেও তা থোরাই কেয়ার। আর নদী সিকস্তি, ছিন্নমূল, নিরাশ্রয় অনেক মানুষ এখনো দেখি ফুটপাতে, ফুটওভার ব্রিজে, ঝুপড়িতে, বস্তিতে, পাইপের ভিতরে শোয় প্রতিরাতে প্রায় প্রতিটি ছোট-বড় শহরে নগরে বন্দরে।
আরো যেসব দৈনন্দিন কাজের জন্য বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আমাদের যেতে হয় সেখানেও পদে পদে মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়। বাস-ট্রেন-লঞ্চ বিমান মোদ্দাকথা পরিবহন খাতের দুবৃত্তরা সারাবছর নানান অযুহাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করবে। পাসপোর্ট অফিসে গেলে দালালদের দৌরাত্ম্য, আর পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় পুলিশকে উৎকোচ দেয়া ছাড়া নিতান্ত কয়জন পাসপোর্ট হাতে পেয়ছে তার দৃষ্টান্ত অতি নগন্য। ভূমি অফিস, সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ও সেবা পাবেন না এমন একটা অবস্থা। ইউপি, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন, রাজউক, বিদ্যুৎ অফিস, তিতাস গ্যাস কিংবা ওয়াসার মতো প্রতিষ্ঠানে সহনীয় বা অসহনীয় মাত্রায় অবশ্যই লাগবে। কাস্টমস, গনপুর্ত, রেলওয়ে, বন-বিভাগ, আয়কর কর্তৃপক্ষ, পোর্ট কতৃপক্ষের মতো প্রতিষ্ঠানে গেলে পিয়ন দারোয়ান থেকে ঊর্ধ্বতন সবাই হা করে বসে থাকে। আপনি ইনকাম ট্যাক্স দিলেন,তারপর বছর শেষে সঠিকভাবে রিটার্ন সাবমিট করে রিটার্ন সনদ নিতে চাইলে সেখানের কেরানিকে ১০০০/- টাকা থেকে ২০০০/- টাকা ঘুষ দেওয়া লাগে। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, বাড়ি ঘরের প্লান অনুমোদন ঘুষ ছাড়া কেউ করাতে পেরেছে কিনা কস্মিনকালেও তা খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা তাতে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
আমরা ফেসবুক-ইউটিউব-টিকটক আর ইন্টারনেট পেয়ে নিজেদের ডিজিটাল ভাবতে শুরু করেছি। অথচ এক দানবাকৃতির বিষবৃক্ষের তলে কেটে যাচ্ছে আমাদের প্রতিদিন প্রতিরাত, প্রতিমুহূর্ত।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
ঢাকা।
০৯ পৌষ,১৪২৮ বঙ্গাব্দ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৯
মোগল সম্রাট বলেছেন: শেখ সাহেবতো মাত্র ৪ বছর ছিলো। বাকী ৪৬ বচ্ছর যারা আছে তারা কি করছে?
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাকী ৪৬ বছর জাতি গর্দভদের হাতে। শেখ সাহেবের জন্য উহা ছিলো ৪ মিনিটের ব্যাপার।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নিরাপত্তার অভাব আছে অনেক মানুষের। বিচার বিভাগে দুর্নীতি এবং দীর্ঘসূত্রিতা আছে। সামাজিক বৈষম্য অনেক প্রকট।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০০
মোগল সম্রাট বলেছেন: নিরাপত্তার লাভের জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেমনঃ আদালত, কোর্ট-কাছারি, থানা-পুলিশ, জেল-জরিমানার প্রয়োগ এখন কাজির গরুর মতো কেতাবে আছে গোয়ালে নাই।
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: মানুষের মৌলিক অধিকার গুলো তুলে ধরেছেন যা এখন নির্বাসনে। দুঃখের বিষয় আমজনতার কাছে ওগুলো এখন শাখের করাতে পরিনত হয়েছে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২০
মোগল সম্রাট বলেছেন: ৫০ বছর পরেও মৌলিক অধিকারের সঠিক সমীকরণ পাওয়া যায়না। বিষয়টি পরিতাপের।
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১০
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: জন্মনিবন্ধন আনতে গিয়ে ৫০০ টাকা দেয়ার পর মনে হইলো এরচে জন্ম-নিমন্ত্রণ ভালো ছিলো । ৫০০ টাকায় দামী কনডম পাওয়া যেতো ।
নিবন্ধনের ওয়েব সাইটে প্রবলেম আবার নেট ও স্লো ।
মিনিস্টার, সে বা তিনি যে লেভেলেরই হোক ,দেশকে যদি ডিজিটাল বলেন তাহলে তিনি বা তারা বলদ,উজবুক ,গাধা ,পাগল ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৬
মোগল সম্রাট বলেছেন: জন্ম/মৃত্য নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, থানায় জিডি করার মতো সরকারি সেবাগুলো পেতে এখনো অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়।
৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:০২
রাজীব নুর বলেছেন: শুধু চুপ করে দেখি। আর দীর্ঘশ্বাস বের করি।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৭
মোগল সম্রাট বলেছেন: ৭১ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।
৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমাদের দেশে চিকিৎসা কোনোভাবেই সেবা খাত নয়। এটি অবশ্যই অবশ্যই উচ্চতর বানিজ্যিক খাত। একই সাথে শিক্ষা হচ্ছে অশিক্ষার মূলমন্ত্র। একটি দেশ দিনকে দিন পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে অথচ কেউ দেখার নেই বোঝারও নেই।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৩
মোগল সম্রাট বলেছেন: পয়শা দিয়াও সঠিক চিকিৎসা পাওয়া যায়না । এই অসহায়ত্ব কার কাছে জানাবো?
৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বিষাদময় দিন-রাত্রি।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১০
মোগল সম্রাট বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ সাহবে শুরুতে যদি শিক্ষাকে ফ্রি করে দিতেন, জাতি আজকে কমপক্ষে দ: কোরিয়ার কাছাকাছি যেতে পারতো।