| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোগল সম্রাট
মানুষ মানুষের জন্য , জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা...ও বন্ধু...
বাংলাদেশ। একটা সময় যার নাম উচ্চারণ মানেই ছিল উন্নয়নের বিস্ময়, দক্ষিণ এশিয়ার রোল মডেল,নারীর ক্ষমতায়নের উদাহরণ। শহর থেকে গ্রাম রাস্তা, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি সবখানেই একটানা এগিয়ে চলার গল্প। এক সময় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যখন অর্থনীতি হোঁচট খাচ্ছিল, তখন বাংলাদেশ যেন বলছিল, “আমরাও পারি”এমন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিল জাতি।
এই উন্নয়নের পেছনে ছিল নেতৃত্বের স্থিতিশীলতা, পরিকল্পনা, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি। সমাজে ধর্ম থাকবে, কিন্তু রাজনীতিতে নয় এই ছিল মূল দর্শন। সেই দর্শনেই জন্ম নিয়েছিল নারী কর্মসংস্থানের ঢেউ, গ্রামীণ অর্থনীতির উত্থান, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন, এবং মানবিক মূল্যবোধের পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
প্রায় দেড় দশক ধরে দেশটি ছিল অর্থনৈতিক সূচকের ধারাবাহিক উত্থানে। মাথাপিছু আয় তিন গুণ বেড়েছে, দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে, গড় আয়ু বেড়েছে, মেয়েদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থান বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
গ্রামে-গঞ্জে আলোর ছোঁয়া পৌঁছেছে, নদীর ওপর একের পর এক সেতু, আর শহরে উড়ালসড়ক সবকিছু মিলিয়ে এক নতুন আত্মবিশ্বাসের প্রতীক ছিল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে (The Economist, 2022) দেশের প্রবৃদ্ধিকে “miracle of South Asia” বলা হয়েছিল।
সময়ের স্রোত বদলাতে বেশি সময় লাগে না। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে দৃশ্যপট বদলে গেল। বাজারে আগুন, বৈদেশিক রিজার্ভে ধস, শিল্পে স্থবিরতা, কর্মসংস্থানে ভাটা। যেখানে আগে মানুষ উন্নয়ন নিয়ে বিতর্ক করত, এখন করে চাল-ডাল-তেলের দাম নিয়ে। যেখানে তরুণরা স্টার্টআপ খুলে স্বপ্ন দেখত, এখন তারা বিদেশ যাওয়ার উপায় খোজে।
এই এক বছরে সংবাদপত্রের শিরোনামগুলো যেন একটাই বার্তা দেয়—আশা হারানোর গল্প। (প্রথম আলো, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫: “বেকারত্ব বেড়েছে, বিনিয়োগ হ্রাস”) (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৪ জুলাই ২০২৫: “গ্রামীণ অর্থনীতি থমকে গেছে”)
যেখানে শূন্যতা, সেখানেই অন্ধকার জায়গা নেয়। সমাজবিজ্ঞান বলে যখন মানুষ হতাশ হয়, অনিশ্চয়তায় পড়ে, তখন ধর্মীয় চেতনা সহজেই রাজনৈতিক রূপ নেয়। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। যখন কর্মসংস্থান নেই, যখন রাষ্ট্রীয় দিকনির্দেশনা দুর্বল, তখন মানুষ নতুন রক্ষাকারী খোঁজে। এই সুযোগেই উত্থান ঘটে মৌলবাদি রাজনীতির যা ধর্মের আবেগকে ব্যবহার করে রাজনীতির মাঠ দখল করতে চায়। তাদের বক্তব্য: “সব খারাপ হয়েছে কারণ সমাজ ধর্ম থেকে দূরে গেছে।”এই এক বাক্যেই হতাশ মানুষদের বিশ্বাস জয় করা সহজ।
আর সেই বিশ্বাসই এখন ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে সংগঠিত শক্তিতে। (দৈনিক যুগান্তর, ১১ আগস্ট ২০২৫: “ধর্মভিত্তিক সংগঠনের কার্যক্রম বেড়েছে গ্রামীণ এলাকায়”)
বাংলাদেশের সামাজিক চরিত্র সবসময়ই উদার ও সহিষ্ণু ছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক চাপ, কর্মসংস্থানের সংকট, ও রাজনীতির অনিশ্চয়তা সমাজের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করছে। ধর্মীয় প্রতীকগুলো এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি রাজনৈতিক অর্থ বহন করছে। বিপজ্জনক বিষয় হলো এই মানসিক পরিবর্তন ধীরে ধীরে তরুণ সমাজকে বিভাজিত করছে। একদল স্বপ্ন খুঁজে ফেরে উন্নয়নে, আরেক দল মুক্তির খোঁজে অতীতে ফিরে যেতে চায়।
দেশে এখন সবচেয়ে বড় অভাব দিকনির্দেশনার। যে আত্মবিশ্বাসে মানুষ এক সময় বলতঃ ‘বাংলাদেশ পারবে‘ সেই আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যেতে বসেছে। নেতৃত্ব এখন খণ্ডিত, প্রশাসন অনিশ্চিত, আর রাজনৈতিক মাঠ চরম উৎকন্ঠায় ভরা। এই শূন্যতাই মৌলবাদি রাজনীতির সবচেয়ে বড় সুযোগ।
যে দেশে একসময় ডিজিটাল বাংলাদেশ ছিল গর্বের প্রতীক, যে জাতি মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছিল, যে দেশে তরুণরা কোডিং শেখে ভবিষ্যৎ গড়তে ব্যাস্ত যে দেশে লোডশেডিং কি তা ভুলে গেছিলো মানুষ সেই দেশে এখন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে হাসপাতালের অপারেশন বন্ধ” (কালের কণ্ঠ, ২২ জুন ২০২৫)। সেই দেশে উন্নয়নের সোনালি রথটা হঠাৎ করেই বালুচরে আটকে গেছে।
বাংলাদেশ কি আবার প্রগতিশীল রাজনীতির ধারায় ফিরবে? নাকি মৌলবাদি আবেগের ঢেউ সমাজকে আরও বিভক্ত করবে? এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করছে নাগরিক সচেতনতার ওপর। তবে যতদিন মানুষ বিশ্বাস করবে যে উন্নয়নই মুক্তির পথ, ততদিন প্রগতিশীলতার বাতি নিভবে না।
বাংলাদেশ অনেক কিছু হারাতে পারে অর্থনীতি, বিদেশি বিনিয়োগ, রাজনৈতিক স্থিতি কিন্তু সবচেয়ে ভয়ংকর হবে বিশ্বাস হারানো। কারণ বিশ্বাসই ছিল এই জাতির সবচেয়ে বড় শক্তি। আজ যদি সেই বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা যায়, তবে মৌলবাদি রাজনীতি টিকবে না। কারণ বাংলাদেশ নামের দেশটা গড়ে উঠেছিল এক মুক্তির আদর্শে যেখানে ধর্মের স্বাধীনতা থাকবে, কিন্তু ধর্ম রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবে না।
এখন সময় আছে সেই বিশ্বাসে ফেরার তা না হলে হয়তো একদিন ইতিহাস বইয়ে লেখা থাকবে, “এক দেশে উন্নয়নের আলো ছিল, কিন্তু তারা তা সংরক্ষণ করতে পারেনি।”
ঢাকাঃ
২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ছবিঃ অন্তর্জাল
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭
মোগল সম্রাট বলেছেন:
যদি আমরা উন্নয়ন ফিরিয়ে আনতে চাই, তা হলে নীতিনির্ধারণ, স্বচ্ছতা ও সামাজিক সংহতিতে মনযোগ দিতে হবে । একজন নেতা গুরুত্বপূর্ণ তবে দেশের অগ্রগতিতো শুধু একজন ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে না।
২|
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৪
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: বাংলাদেশের ভাগ্যে সামনে গুম , বিচারবহির্ভুত হত্যাকান্ড থাকবে না, মিডনাইট/ ডামি ইলেকশন থাকবে না, বিদেশে হাজার কোটি টাকা পাচার থাকবে না, সিন্ডিকেট ব্যবসা থাকবে না --------
এই এত এতকিছু না থাকাটা কোনভাবেই মাইনা নেয়া যায় না। সবাই মিলে আন্দোলনে নামা দরকার এই সব কিছু আবারো ফিরে আনার দাবিতে!!
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪০
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ঠিক বলেছেন। বাংলাদেশের ভাগ্যের ফল গত ১ বছরে যা দেখছি তাতে সামনে জান্নাতুল ফেরদৌসের ডামি ভার্ষন হয়ে যাবে দেশ ইনশাল্লাহ। দিনে দুপুরে পাথর দিয়ে সবার চোখের সামনে মানুষ মার্ডার করা হবে। আধ পাগল কাউকে খাওয়া দিয়ে বলা হবে দিস ইজ লাষ্ট সাফার, কেউ কিছু বলবে না। গত এক বছর কোন টাকা পাচার হয়নাই। শুধু উপদেষ্টাদের পিএসরা কতো কোটি টাকার জানি মালিক হইছে মাত্র কয়মাসে। এসলামিক নতুন নাপিত নাজেল আরো হবে। রাস্তা দিয়া ধরে নিয়ে বলা হবে -কাপড়া উতার, তেরা বাল সফেদ হো গ্যায়া আবি সাফ কার দেগা।
৩|
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এখন কি করা লাগবে ? শেখ হাসিনাকে আনতে বিমান পাঠামু ? কয়ে ফেলেন ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:২৪
মোগল সম্রাট বলেছেন:
পিটার হাসরে পাঠায়া দেখতারেন
৪|
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:২৬
কামাল১৮ বলেছেন: শেখ হাসিনার শাসন আমলে শিক্ষার মান কমেছে,মসজিদ মাদ্রাসা বেড়েছে মৌলবাদের বিকাশ হয়েছে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:১৭
মোগল সম্রাট বলেছেন:
শিক্ষার মান কমেছে এটা ঠিকই বলেছেন। কিন্তু যে আমলে শিক্ষার মান অনেক উচুতে ছিলো সেই আমলের কয়জন মেধাবী দেশে ছিলো? সবইতো বিদেশে গিয়ে শ্রমিক মৌমাছির জীবন বেছে নিয়েছে। দেশে সেই ব্যাক বেঞ্চারেরাই রয়ে গেছে তারাই দেশের অগ্রগতিতে ভুমিকা রাখছে।
৫|
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৪০
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: সামনে যারাই পাওয়ারে আসবে তাদের একটা রাস্তাই খোলা- সুশাষন প্রতিষ্ঠা করা। জনগনের চোখ খুলে গেছে। দুঃশাষনের পথে হাটলে হেলিকপ্টারে চড়ে পালাবার পথও দেবে না জনগন।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:১৮
মোগল সম্রাট বলেছেন:
সহমত। তবে এখন যারা পাওয়ারে আছে তাদের সামনে কোন রাস্তা খেলা
৬|
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:১৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
লেখক বলেছেন -দেশে সেই ব্যাক বেঞ্চারেরাই রয়ে গেছে তারাই দেশের অগ্রগতিতে ভুমিকা রাখছে।
=======================
ঠিক বলেছেন?
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:২২
মোগল সম্রাট বলেছেন:
আমার ঠিক মনে হয়। ইদানীং বুয়েট থেকে পাশ করে একদল আম্রীকা ভাগতেছে স্কলারশিপ নিয়া। আরেক দল বিসিএস দিয়া উদর প্রলম্বিত এসপি আর আমলা হওয়ার ছবক নিতে বেশি উৎসাহী দেখতেছি। এই বিষয় একটু বয়ান করেন ভাইজান।
৭|
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৩:৩১
শ্রাবণধারা বলেছেন: আওয়ামী অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছিল এক ধরনের দস্যুতন্ত্র, যেখানে কতগুলো ডাকাত কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছিল, আর তাদের কর্মচারী ও চাকর-বাকররা স্বল্প মেয়াদে কিছু টাকার ভাগ পেয়েছিল। এই উন্নয়ন কোনোভাবেই টেকসই ছিল না, এবং এটা ভেঙে পড়ার অবস্থায় পৌঁছেছিল। ব্যাংকগুলো ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। বিপিসি তেল কেনার টাকা পরিশোধ করতে পারছিল না। অর্থমন্ত্রী ডাকাত-সর্দার লোট্যা কামাল অনেক দিন ধরেই পলাতক ছিলেন।
হাসিনা গণতন্ত্রের সব কাঠামো ধ্বংস করেছিল। নির্বাচন থেকে বিচারব্যবস্থা, গণমাধ্যম থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান - সবখানেই হাচিনা, কাদের ও হাচন মাহমুদের নিত্যকার বুলিং, স্বেচ্ছাচার ও দুঃশাসন দেশটাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছিল।
মৌলবাদের উত্থানের সব আয়োজন হাচিনার আমলেই হয়েছে। ভিমরুলের চাক ভাঙতে হলে নিচে আগুন দিয়ে ধোঁয়া তৈরি করে সেটি ভাঙতে হয়। একটা, দুটো বা দশটা ভিমরুল খাঁচায় পুরে নয়। হাচিনা ভিমরুলের চাক ভাঙার কোনো উদ্যোগই নেয়নি। বরং দুঃশাসন, অপশাসন, খুন, ডাকাতি, পুকুর-চুরি কে উৎসাহিত করে মৌলবাদের চাকগুলোকে কয়েক হাজার গুণ শক্তিশালী করেছে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৩
মোগল সম্রাট বলেছেন: বিতর্ক ও মতভেদ রাজনীতির অংশ, কিন্তু তাতে তথ্য ও প্রমাণ জরুরি। ইনটেরিম সরকার এখন পর্যন্ত কোনো স্বাধীন তদন্ত বা শ্বেতপত্রে ‘লুটপাট’ বা ‘দস্যুতন্ত্র’-এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ কেউ উপস্থাপন করতে পারেনি। পুরাটাই সোস্যাল মিডিয়া আর ভাষন নির্ভর বক্তব্য। যারা অতীতের সব নীতির সমালোচনা করেছিল, তারাও এখন একই চুক্তি, একই নীতি ও একই প্রশাসনিক কাঠামো ব্যবহার করছে। বাস্তবতা হচ্ছে শুধু ভাষণ নয়, প্রমাণই শেষ কথা।
রাজনীতি যদি সত্যি জনগণের জন্য হয়, তাহলে সব পক্ষেরই উচিত অভিযোগ নয়, অর্জন ও সীমাবদ্ধতা দুটোই তথ্য দিয়ে তুলে ধরা।
আপনার কমেন্টের শেষ প্যারার এই অংশের সাথে সহমতঃ মৌলবাদের উত্থানের সব আয়োজন হাচিনার আমলেই হয়েছে। ভিমরুলের চাক ভাঙতে হলে নিচে আগুন দিয়ে ধোঁয়া তৈরি করে সেটি ভাঙতে হয়। একটা, দুটো বা দশটা ভিমরুল খাঁচায় পুরে নয়। হাচিনা ভিমরুলের চাক ভাঙার কোনো উদ্যোগই নেয়নি।
শুভকামনা জানবেন।
৮|
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ ভোর ৬:১৭
ক্লোন রাফা বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ আদম্য , প্রচন্ড রকমের সাহসী! শুণ্য থেকে নয় আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিলো মাইনাস থেকে। নেতৃত্ব অবশ্যই প্রধান ভুমিকা রাখে এগিয়ে যাওয়ার জন্য । চতুর্দিকে দৃষ্টি ফেরালে দেখবেন নেতৃত্ব কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে দিচ্ছে খুব সাধারণ কোনো দেশ’কে।
আমরা প্রথম থেকেই জাতিকে নেতৃত্ব শুণ্য করার প্রতিযোগিতায় নেমেছি। সেই শূণ্যতা পূরণ করতে কি করছি আমরা! আমরা যেমন নিশ্বর্ত ভালোবাসি আবার বিপরীতে হিংস্র ভাবে ঘৃণা করি। আর সর্বোপরি দেশ কিংবা মানুষ সবাইকে যতটুকু সম্ভব টেনে হিচরে নিচে নামিয়ে আনি।
উপরের কমেন্ট হলো তার উৎকৃষ্ট প্রমান। আমি না পেলে বা না করতে পারলে অন্য কাউকে পেতে দিবো না এবং করতেও দিবো না।
তবে আমরা ঘুরে দাঁড়াবো ইংশাআল্লাহ্ । সংশোধিত করে এগিয়ে যাবো আবারও।
ভালো লিখেছেন , সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে। ধন্যবাদ॥
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:২৮
মোগল সম্রাট বলেছেন:
আপনার কথাগুলো নিখুঁতভাবে বাস্তবতা তুলে ধরেছে। আমরা সত্যিই একদিকে সাহসী জাতি, অন্যদিকে আত্মবিনাশী প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে যাই। শুধু নেতৃত্বের উপরেই নয় প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ববোধেও তৈরি হয় জাতির দিকনির্দেশনা। যতদিন আমরা অন্যকে নিচে নামিয়ে নয়, একে অপরকে এগিয়ে নিতে শিখব, ততদিন বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি হারাবে না।
ধন্যবাদ পোস্টে মন্তব্যের জন্য
৯|
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:০০
নতুন বলেছেন: ভারতীয় দালাল দিয়ে দেশের উন্নয়ন হবেনা।
আগামীর বাংলাদেশে মানুষ ভালো থাকবে। গুম , বিচারবহির্ভুত হত্যাকান্ড থাকবে না, মিডনাইট/ ডামি ইলেকশন থাকবে না, বিদেশে হাজার কোটি টাকা পাচার থাকবে না, সিন্ডিকেট ব্যবসা থাকবে না --------
ভারতের সার্থে ব্যাবসায়ী সুবিধা দিতে সরকার নতজানু থাকবেনা।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫
মোগল সম্রাট বলেছেন:
গত ১৩ মাস তাহলে সেই একই কারনে কোন উন্নয়ন হয়নি ? দালালদের যায়গায় দালাল রযেই গেছে শুধু প্রভু বদল হয়েছে ।
১০|
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:১৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: লেখক বলেছেন:''ইনটেরিম সরকার এখন পর্যন্ত কোনো স্বাধীন তদন্ত বা শ্বেতপত্রে ‘লুটপাট’ বা ‘দস্যুতন্ত্র’-এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ কেউ উপস্থাপন করতে পারেনি। পুরাটাই সোস্যাল মিডিয়া আর ভাষন নির্ভর বক্তব্য।''
ভাইরে, আপনি এটা কী বললেন? আপনার পোস্টটা আমি বেশ গুরুত্বসহকারে নিয়েছিলাম বলেই উপরের মন্তব্যটা করেছিলাম। বিশেষত আপনার নারীর ক্ষমতায়ন এবং মৌলবাদের উত্থান নিয়ে আলোচনা আমার ভালো লেগেছিল।
এখন মনে হচ্ছে, আমাদের ইউনূস স্যারের মতোই আমি আপনাকে ওভার-এস্টিমেট করে ফেলেছিলাম।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:০১
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ভাই আামরে ওভার এস্টিমেট বা আন্ডার স্টিমেট যাই করেন আমার কোন দুঃখ নাই। তাই বলে নোবেল বিজয়ী মহান নেতাকে ওভারেএস্টিমেট করেছেন বলে মনে হচ্ছে। এইখানেই গভীর উদ্বেগ জাতীর জন্য
১১|
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৬
কলাবাগান১ বলেছেন: বাংলাদেশে এখন এআই এর ব্যবহার: সুরার ফজিলত বর্ননা কর যাতে ব্লগে পোস্ট করতে পারি আর বিদেশে এআই দিয়ে কি হচ্ছে সেটা যে সুরার ফজিলত নিয়ে পড়ে আছে সে কল্পনাও করতে পারবে না
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ভবিষ্যতে আমরা ভোটকেন্দ্র পোলিং এজেন্টের পরিবর্তে এআই ব্যবহার করবো ইনশাল্লাহ তবে ভোটার হিসাবে আমার ভোটটা এআই ইউজ কইরা দেওন য়ায় কিনা ভাবতেসি
![]()
১২|
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:১১
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
গত ১৩ মাস তাহলে সেই একই কারনে কোন উন্নয়ন হয়নি ? দালালদের যায়গায় দালাল রযেই গেছে শুধু প্রভু বদল হয়েছে ।
আয়ামীচশমা পড়া থাকলে কোন কিছুই আপনার চোখে পড়বেনা।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪
মোগল সম্রাট বলেছেন:
নুরানী চশমায়ওতো কিছু দেহা যাইতেছে না।
১৩|
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনার আমলে সব শুধু ভালো হয়নি।
অনেক খারাপও হয়েছে। এর মধ্যে দূর্নীতি। প্রশ্নফাস। ছাত্রলীগের বাড়াবাড়ি।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:০২
মোগল সম্রাট বলেছেন:
আমরা খারাপের মধ্যেই বেচে আছি। দুর্ণীতি নির্মূল কেউ করেনি এখনো কেউ করছে ন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলে আপা দিল্লী চলে যাওয়ার পর থেকে সবকিছু থমকে গিয়েছে। চলেন, আমরা সবাই আপাকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে একদফা আন্দোলন শুরু করি। আপা ছাড়া এই দেশ ও জাতি একেবারেই অচল!!!
জয় বাংলা!!!