![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রিদ্র বাবা-মার সন্তান তেরো বছরের কিশোর সামিউল আলম রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার অন্যতম হোতা কামরুল ইসলামকে সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার পরদিনই সে পালিয়ে যায়। কিন্ত সোমবার সেখানে প্রবাসীরা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। এর আগে একটি বাংলাদেশি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে কথা বলে সে।
তাকে প্রথমে জিজ্ঞেস করা হয়, কীভাবে রাজন ধরা হলো এবং পিটিয়ে হত্যা করা হলো। জবাবে কামরুল সিলেটি ভাষায় বলে, ‘ভাই আমি তো ধরছি না, ধরছে তো চৌকিদারে। আমরার বাড়িতে ফোন দিছে, আমরা ভাইয়াইতে কইছন ছাড়িয়ে দিলা এরে, হ্যা (সে) ছাড়িয়া দেয় নাই। বাদে আমি আইছি, আইয়া বন্দা পাইছি। আমিও মারছি, হ্যাও মারছে। তার বাদে আমার ভাইয়ানতারা আবার ফোন দিছইন, তারে ছাড়িয়া দেওয়ার লাগি, বার বার ফোন দেরা এরে ছাড়িয়া দে, এরে ছাড়িয়া দে, ছাড়িয়া দিছে না। আর বাদে আমি কয়েকটা মারিয়া উরিয়া আমি আমার বাসাত আইছি।’
এ ঘটনায় আর কে কে জড়িত ছিল এ প্রশ্নে কামরুল বলে, ‘বহুত মানুষ আছিল, ছকিদার (চৌকিদার) আছিল, আরো মানুষ আছিল। ছকিদারের নাম ময়না। হ্যা আমরার সব দোকান দেখে।’
নির্যাতনের এক পর্যায়ে রাজন অস্থির হয়ে পানি চেয়েছিল। কিন্তু তাকে পানি কেন দেয়া হয়নি জানতে চাইলে কামরুল বলে, ‘ছকিদারে না করছে পানি দিতাম না।’
রাজনকে কী দিয়ে পেটানো হয়েছে এমন প্রশ্নে বলে, ‘রড দি নায়, ইটা গল্লাহ আছিল।’
পাশ থেকে একজন বলে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রড। তখন কামরুল বলে, ‘না, না রড নায় আপনে দেখুককা ভালা উলায় প্লাস্টিক লাগাইল আছিল। এটা রড নায় রে ভাই। এটা রড নায়। আর বাদবাকি কিতা হয়ছে তা জানিনারে ভাই। আমি তইয়া আইছি তারে জিন্দা অবস্থায়।’
এখন তো আপনার ফাঁসি হবে- এমন কথা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে কামরুল। সে হাউমাউ করে কেঁদে বলে, ‘ভাই আমার যে বাটে ফাঁসি হয় না, সে বাটে আপনারা সব কিছু করুউকা। আমারে মাফ করুউকা বা, আমারে মাফ কর। আমি তো মারছি না রে ভাই…।’
©somewhere in net ltd.