নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত পথিক

প্রগতি বিশ্বাস

মুক্ত পথিক

প্রগতি বিশ্বাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের ঋণের অবস্থা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় কতটা খারাপ?

২০ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:১৬

নীচে ভারতের, বাংলাদেশের, পাকিস্তানের, আফগানিস্তানের, নেপালের এবং ভুটানের ঋণ-টু-জিডিপি অনুপাত এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে একটি র‌্যাংকি প্রদান করা হয়েছে:

১. সর্বোত্তম অবস্থান: ভারত
• ঋণ-টু-জিডিপি অনুপাত: ১৭.৮% (বহিঃঋণ)【21†source】【22†source】।
• বিশ্লেষণ: ভারতের অর্থনীতি বৃহৎ এবং বৈচিত্র্যময়, যার ফলে এর বহিঃঋণ মোটামুটি নি (World Bank Data) (The New Indian Express) শক্তিশালী, যা আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি শক্ত ভিত্তি প্রদান করে।



২. বাংলাদেশ
• ঋণ-টু-জিডিপি অনুপাত: ২১.৯% (বহিঃঋণ)【6†source】【13†source】।
• বিশ্লেষণ: বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ঋণের বোঝা নিয়ন্ত্রণযোগ্য বলে AI Modle মনে করছে। দেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঋণ ব্যবস্থাপনার জন্য সহায়ক।

৩. আফগানিস্তান
• ঋণ-টু-জিডিপি অনুপাত: ২৩.৪% (UNB) (The Daily Star)source】।
• বিশ্লেষণ: আফগানিস্তানের ঋণ-টু-জিডিপি অনুপাত মোটামুটি হলেও, দেশের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে চ্যালেঞ্জ করে।

৪. নেপাল
• ঋণ-টু-জিডিপি অনুপাত: ২৪.৩% (বহিঃঋণ)【41†source】【42†source】।

• বিশ্লেষণ: নেপালের ঋণ-টু-জিডিপি অনুপাত কিছুটা বেশি হলেও, দেশের স্থিতিশীল রা (Focus Economics) (Take Profit) একে একটি স্থিতিশীল অবস্থানে রাখে।

৫. পাকিস্তান
• ঋণ-টু-জিডিপি অনুপাত: ৩৮.২% (বহিঃঋণ)【33†source】【34†source】।
• বিশ্লেষণ: পাকিস্তানের ঋণ-টু-জিডিপি অনুপাত বেশি, যা দেশটির অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে এবং এটি পরিচালনার জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

৬. সবচেয়ে খারাপ অব (Global Economic Insights) (World Bank Data)জিডিপি অনুপাত: ৯৮.৮% (বহিঃঋণ)【48†source】।
• বিশ্লেষণ: ভুটানের ঋণ-টু-জিডিপি অনুপাত খুবই উচ্চ, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করে। হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পগুলির জন্য বড় পরিমাণে ঋণ নেওয়া ভুটানের জন্য আরও ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে।

সারসংক্ষেপ:
• সর্বোত্তম অবস্থানে: ভারত, এবং কাছাকাছি অবস্থানে বাংলাদেশ। (Global Economic Insights) (ProPakistani) এবং নেপাল, যাদের ঋণ স্তর নিয়ন্ত্রণযোগ্য কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ।

• চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন: পাকিস্তান, যেখানে ঋণের বোঝা বেশ ভারী।
• সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ: ভুটান, যার ঋণ-টু-জিডিপি অনুপাত খুবই উচ্চ এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। (Bhutan Times)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: বাংলাদেশের ঋণ জিডিপি দিয়ে হিসাব আপনি দিয়েছেন এটি শুদ্ধ না। ডলার যখন ৮৫ টাকা ছিল তখন এই হিসাব ঠিক ছিল। এখন ডলারের দাম প্রায় ১২০ টাকা। এখন ডলারে জিডিপি ক্যালকুলেট করলে আগের তুলনায় প্রায় ৩০% কমে আসবে। বাংলাদেশের ঋন জিডিপির অনুপাত এখন কমপক্ষে ৩০% সম্ভবত ৪২% (সরকারের নতুন ঋণ গুলো এড করলে)।
ঋনের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঋণ কিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি যদি ঋণ করে বাসার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য একটা বড় একুরিয়াম কিনে এটা ঋণের খারাপ প্রয়োগ হবে। পক্ষান্তরে আমি যদি ঋণ নিয়ে একটা মোটরসাইকেল কিনি এবং রাইড শেয়ারিং ব্যবসায় ঢুকে প্রতিদিন কিছু কামাতে পারি তাহলে সম্ভবত এটা ঋণের ভালো ব্যবহার হবে। বাংলাদেশ সরকার থানায় জেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ মূর্তি নির্মাণ ইত্যাদি কাজে শত শত কোটি টাকা অপচয় করেছে, বড় বড় প্রজেক্টে চুরিচামারির কথা বাদ দিলাম। খুব আশংকার বিষয় হল
বাংলাদেশ সরকার আভ্যন্তরীণ উৎস থেকে প্রচুর ঋণ নিয়েছে। অর্থনীতি খুব চাপের মধ্যে আছে। সামনের কয়েক বছর ভয়াবহ অর্থনৈতিক চাপ মোকাবেলা করতে হবে।

২০ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:২৫

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: আমার দেওয়া তথ্যগুলো আমি আবার যাচাই করে দেখবো। গঠনমুলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.