নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত পথিক

প্রগতি বিশ্বাস

প্রগতি বিশ্বাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার কি মনে হয় না আরব বসন্ত যেমন সংশ্লিষ্টদেশগুলোতে পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়েছে তেমনি ভাবে বাংলাদেশেও ইউনুস সরকার পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হবে?

২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:০১

(বরং ক্ষেত্রবিশেষ আরব বসন্তের পরবর্তী সময়ের চেয়েও ড. ইউনুসকে আরও বেশি জটিল সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। কারণ হিসেবে বলা যায় দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক ইস্যুগুলো মুল প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়াও ইউনূস সরকারের সমস্যাগুলো অধিকাংশ ছদ্মবেশ ধারন করে আছে।)

আরব বসন্ত মূলত মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা একটি আন্দোলন ছিল, যা বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল এনেছে। কিছু দেশে সরকার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পরিবর্তনের লক্ষ্যে সফলতা আসেনি, এবং অনেক দেশেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।



বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, ড. ইউনুসের সমর্থকগোষ্ঠী একটি পরিবর্তনের আহ্বান জানাচ্ছে। তবে বাংলাদেশে এই পরিবর্তন আনার প্রক্রিয়া এবং আরব বসন্তের আন্দোলনের প্রক্রিয়া এক নাও হতে পারে বরং ক্ষেত্রবিশেষ আরব বসন্তের পরবর্তী সময়ের চেয়েও ড. ইউনুসকে আরও বেশি জটিল সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। কারণ হিসেবে বলা যায় দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক ইস্যুগুলো মুল প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়াও ইউনূস সরকারের সমস্যাগুলো অধিকাংশ ছদ্মবেশ ধারন করে আছে।


সুতরাং, আরব বসন্ত যেমন বহু দেশে প্রত্যাশিত ফলাফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে, তেমনি ইউনুসের প্রচেষ্টাও যে একই ফলাফলের সম্মুখীন হবে, এমনটি পূর্বনির্ধারিত নয়। রাজনৈতিক পরিবর্তন কতটা কার্যকর হবে তা নির্ভর করে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিষয়ের ওপর, যা প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রে আলাদা।

যে সকল কারণে আরব বসন্ত হয়েছিলো বর্তমানে সেই সকল সমস্যা কি উক্ত দেশগুলো থেকে দূর হয়েছে?

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা: কিছু দেশে, যেমন মিশর এবং বাহরাইন, সরকার পরিবর্তিত হলেও প্রায় একই ধরনের শাসন ব্যবস্থা টিকে আছে। অন্যদিকে, লিবিয়া, সিরিয়া, এবং ইয়েমেনের মতো দেশগুলোতে এখনও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং গৃহযুদ্ধ চলছে।

দীর্ঘদিনের একনায়কতন্ত্র:অনেক দেশে পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু সামরিক বা ধর্মীয় গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। গণতন্ত্রের পূর্ণ প্রতিষ্ঠা এখনো অনেক দেশে একটি চ্যালেঞ্জ।

দুর্নীতি: দুর্নীতি এখনো অনেক দেশে ব্যাপক সমস্যা। নতুন সরকারগুলোও দুর্নীতি মুক্ত হতে পারেনি।

বেকারত্ব: যুবকদের মধ্যে বেকারত্বের হার এখনো উচ্চ। অর্থনৈতিক মন্দা এবং অস্থিরতা বেকারত্বের পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে।

মূল্যবৃদ্ধি: মূল্যবৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এখনো অনেকের জন্য একটি চিন্তার বিষয়।

সামাজিক অসাম্য: ধনী-গরীবের মধ্যে অসাম্য এখনো বিদ্যমান।

মুক্ত বাক্যের অভাব: অনেক দেশে মুক্ত বাক্যের পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা ভাল হলেও, এখনো অনেক বাধা বিদ্যমান।

মানবাধিকার এবং স্বাধীনতা: বেশ কিছু দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। কিছু দেশে কিছুটা পরিবর্তন হলেও অনেক ক্ষেত্রেই নির্যাতন, দমনমূলক নীতি, এবং বাকস্বাধীনতা সীমিত রয়ে গেছে।


আরব বসন্ত বলতে কি?

আরব বসন্ত: কি?
আরব বসন্ত হল ২০১০ সালের শুরু থেকে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বয়ে যাওয়া গণবিক্ষোভের ঝড়কে পশ্চিমা সাংবাদিকরা দেওয়া একটি নাম। এই বিক্ষোভগুলো মূলত দীর্ঘদিনের শাসনতন্ত্রের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র ও সামাজিক পরিবর্তনের দাবিতে হয়েছিল।

কেন এই নাম?
• বসন্ত: নতুন শুরুর, পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে বসন্তকে ব্যবহার করা হয়েছে।

• আরব: আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একই সময়ে এই বিক্ষোভগুলো হওয়ায় এই নাম দেওয়া হয়েছে।

কী কারণে এই বিক্ষোভগুলো হয়েছিল?
• দীর্ঘদিনের একনায়কতন্ত্র: অনেক আরব দেশে দীর্ঘদিন একই পরিবারের শাসন চলছিল।

• দুর্নীতি: শাসকগোষ্ঠীর দুর্নীতি জনগণের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলেছিল।

• বেকারত্ব: তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার খুব বেশি ছিল।

• মূল্যবৃদ্ধি: দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি জনগণকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল।

• সামাজিক অসাম্য: সমাজে ধনী-গরীবের মধ্যে অসাম্য বেড়ে চলেছিল।

• মুক্ত বাক্যের অভাব: জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না।


কোন কোন দেশে এই বিক্ষোভ হয়েছিল?
• তিউনিসিয়া: এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় তিউনিসিয়ায়।
• মিশর: মিশরে হোসনি মুবারকের শাসন উৎখাত হয় এই বিক্ষোভের ফলে।
• লিবিয়া: লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল।
• সিরিয়া: সিরিয়ায় এই বিক্ষোভ গৃহযুদ্ধে পরিণত হয়।
• ইয়েমেন: ইয়েমেনেও ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল।

আরব বসন্তের প্রভাব
আরব বসন্তের ফলে আরব বিশ্বে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছিল। অনেক দেশে নতুন সরকার গঠিত হয়েছিল। তবে এই পরিবর্তন সবসময়ই শান্তিপূর্ণ হয়নি। অনেক দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল এবং অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:০৯

অস্বাধীন মানুষ বলেছেন: দেখা যাক কি হয়। এত দ্রুত ভালো কিছু আশা করা যেমন যাবে না তেমন নির আশাও হয়া যাবেনা।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২৬

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: আশা করার ছাড়া উপায় হয়তো নেই

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৪৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: অনেকে আশা করে আবার অনেকে পরিকল্পনা করে। এর যাতাকলে পিষ্ট সোনার বাংলাদেশ। যেখানে ইতিবাচক ও নেতিবাচক এর দাঁড়িপাল্লা রয়েছে।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০৬

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: আমিও শুধু পরিকল্পনা করি আর আশা করি

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৫২

ঊণকৌটী বলেছেন: যে যেমন, তেমন থাকলেই ভালো ছিলো, মাঝখানে ফুটবল হয়ে গেলো, ইন্ডিয়া আমেরিকান partnership successful হয়ে গেলো

৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



দুই এক মাস যেতে দিন ।
দেখবেন সাফল্য কাকে বলে ।
আফসোস করা ছাড়া আর উপায় থাকবেনা।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: সেটা অবশ্যই দেওয়া উচিৎ!

৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৪:৩৮

আলচুদুরওয়ালবুদুর বলেছেন: আরব বসন্ত ব্যর্থ হওয়ার মূল কারণ বিভিন্ন সালাফীবাদি খেলাফতপন্থী এবং জিহাদীগোষ্ঠিদের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ। বিশেষ করে সিরিয়া এবং লিবিয়া পুরা ধ্বংস হয়ে মাটিতে মিশিয়ে গেছে তাদেরই কারণে। খালি মরক্কো, কুয়েত আর বাহরাইনের পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা ভাল হয়েছে। মিশরের অবস্থাও সিরিয়া বা লিবিয়ার মত হতো, কিন্তু সেনাশাসন আসার কারণে হয়নি।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: চমৎকার সংযোজনের জন্য ধন্যবাদ

৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:২৩

কামাল১৮ বলেছেন: ছাত্ররা ইউনুসকে ডেকে এনেছে তাদের পিঠ বাচাতে।কিন্তু ইউনুসের পিঠ বাচাবে কে?ছাত্রদের উচিত ছিলো আর্মি বা জাতিসংঘকে ডেকে আনা।তবেই তারা সেফ এক্সিট পেয়ে যেতো।তারা যতই চেষ্টা করুক টিকে থাকতে কিন্তু তারা পারবেনা।না পারার অনেক কারণ আছে।আস্তে আস্তে তাদের কন্ঠ ক্ষিন্য হচ্ছে।ঐক্যে ধরছে ফাটল।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৫৬

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়

৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:২২

নতুন বলেছেন: যারা আয়ামীলীগের আমলের সুবিধা ভোগ করেছে তারা অবশ্যই বর্তমানের সরকারকে ভালো চোখে দেখতে পারবেনা।

পেটে লাথি পড়লে অবশ্যই কারুরই ভালো লাগেনা।

কিন্তু সাধারন জনগন হিসেবে একটা আয়ামীলীগের মতন দানবকে সমর্থন করা যায় না।

সবাই চাচ্ছিলো আয়ামীলীগ সরে যাক এবং নতুন কেউ আশুক। তবে এই ভাবে সেটা কেউই ভাবতে পারেনাই।

পরিবর্তন দুনিয়ার নিয়ম, এখন সবাই মিলে ভালো কিছু করতে চেস্টা করলে অবর্শই ভালো কিছু হবে।

এই যে বন্যায় মানুষ সাহাজ্য ঝাপিয়ে পড়েছে, এটা একটা চয়েস, তারা না গেলেও পারতো, সরকার করবে বলে ফেসবুকে ছবি সেয়ার করতো।

দেশ ভালো হবে কি মন্দ হবে সেটা জনগনের হাতে।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৩৯

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: আমিও আওয়ামীলীগের সরে যাওয়া এবং ইউনূস স্যারের দায়িত্ব নেওয়াটা ইতিবাচক ভাবে দেখি কিন্তু আশা দেখিনা।

৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:১৯

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: আমিও আওয়ামীলীগের সরে যাওয়া এবং ইউনূস স্যারের দায়িত্ব নেওয়াটা ইতিবাচক ভাবে দেখি কিন্তু আশা দেখিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.