নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন ও সমাজ নিয়ে আমার ভাবনার ভিত্তি মূলত দর্শনশাস্ত্র, বিশেষত স্টোয়িক দর্শনের ওপর গঠিত। আমি বিশ্বাস করি আত্মনিয়ন্ত্রণ, প্রজ্ঞা, এবং চারিত্রিক দৃঢ়তা একজন মানুষের প্রকৃত শক্তির উৎস। আমি একজন সেকুলার মানুষ—যে যুক্তি, মানবিকতা ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিকে

প্রগতি বিশ্বাস

মুক্ত পথিক

প্রগতি বিশ্বাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা ’৭১, ২৪ ও ধর্মীয় চিন্তায় বিশ্বাসী — কোন ভাবেই এই লেখাটি তাদের জন্য নয়

০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:১৮


শহীদ বিষয়ক এই লেখাটি আমার একান্ত ব্যক্তিগত উপলব্ধির প্রকাশ। এই লেখাটি কোনোভাবেই আমার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক অবস্থান বা ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতিফলন নয়। বরং এটি আমার দার্শনিক উপলব্ধি এবং অবস্থান থেকে উপস্থাপিত।


পৃথিবীতে কিছু শব্দ রয়েছে, যেগুলো ভীষণভাবে দ্ব্যর্থবোধক ও বিভ্রান্তিকর — “শহীদ” শব্দটি তার মধ্যে অন্যতম। এই শব্দটি মূলত আত্মত্যাগের ধারণার সাথে সম্পর্কযুক্ত। এই আত্মত্যাগ সাধারণত কোনো দেশ, মতবাদ বা বিশ্বাস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছায় করা হয়। শব্দটি শুধুমাত্র বিজয়ীদের জন্য পরাজয়ীদের জন্য নয় সুতরাং এ থেকেও বোঝা যাচ্ছে “শহীদ” শব্দটি বস্তুনিষ্ট নয়।


“শহীদ” শব্দটি সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন তোলে “মতবাদ” শব্দটির উপর। মতবাদ বলতে বোঝানো হয় কোনো নির্দিষ্ট বিশ্বাস বা শিক্ষার পদ্ধতিকে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এখানে “নির্দিষ্ট বিশ্বাস বা শিক্ষা”-র কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ, এই আত্মত্যাগ কোনোভাবেই বস্তুনিষ্ঠ (objective) নয়। এটি পুরোপুরি ব্যক্তিকেন্দ্রিক (subjective) — যার ভিত্তি হলো ব্যক্তিগত বিশ্বাস, আবেগ, উপলব্ধি, মতামত ও কল্পনা। ফলে, এই আত্মত্যাগ মানবিক বা সার্বজনীন কোনো আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে না।


“শহীদ” হওয়ার ধারণাটিকে কায়েমি স্বার্থে ব্যবহৃত এক শ্রেণির মানুষ মিথ্যা গৌরব দিয়ে মহিমান্বিত করেছে, এবং একে এক প্রকার পুণ্যের কাহিনিতে পরিণত করেছে।

এই মিথ পৃথিবীর সুখ-শান্তি কেড়ে নিয়েছে।
যতদিন না এই মিথ এবং “শহীদ” শব্দটির ভুল ব্যাখ্যা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হবে, ততদিন বিশ্ব সমাজে সত্যিকারের “শান্তি” দেখা যাবে না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:৩০

কিরকুট বলেছেন: বুঝি নাই কিছুই , অস্পষ্ট লেখা ।

০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:১৬

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: লেখা কিন্তু স্পষ্ট আছে, মনযোগ বাড়ালেই স্পষ্ট মনে হবে।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আরো সহজ করে লিখলে ভালো হতো ।

০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:১৭

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: ভবিষ্যতে আরও সোজা-সাপ্টা হবো।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৪

লোকমানুষ বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়তে পড়তে কেবল নচিকেতার 'It's A Game' গানটির চারটি লাইন মনে পড়লো-

বিজয়ীরা বরাবর ভগবান এখানেতে,
পরাজিতরাই পাপী এখানে
রাম যদি হেরে যেত, রামায়ন লেখা হত
রাবন দেবতা হত সেখানে

কালের বহমান ধারায় এমন অনেক ব্যাপারকেই মানুষ নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করে মহান করবে, আর সেই দৃষ্টিভঙ্গির মহান অংশকেই প্রতিষ্ঠা করতে জখম করবে মানবতা।

০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:১৮

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: উপরের দু’টো মন্তব্য পড়ে একটু হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। আপনার মন্তব্য পড়ে বুঝলাম বিষয়টি আপনি খুবই স্পষ্ট ভাবে ধরতে পেরেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.