![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নিজেকে একজন কবি দাবী করি । কারন কবিতা আমার প্রাণের স্পন্দন , তবে গল্প আমার মনের খোরাক ।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইহুদী সন্ত্রাসী, "টমাস নিয়াও"। এক লক্ষ মুসলিম হত্যার দায়ে অভিযুক্ত। তিনি পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক,সিরিয়া, লিবিয়া , মিসরের প্রায় এক লক্ষ মানুষকে নিজের পরিকল্পনায় হত্যা করেছে। তাঁকে পৃথিবীর আধুনিক সন্ত্রাসীদের জনক বলা হয়। মুসলমান হত্যা তার নেশা ছিল। তাঁকে সৌদি আরবের এক আদালত এক লক্ষ মুসলমান হত্যার দায়ে যাবৎ জীবনের জন্য একটি অন্ধকার কক্ষে রেখে দেওয়ার রায় দিয়েছে।যেখানে দিনে একবার খাবার দেওয়া হবে।
তাঁর জন্য কারাগার হিসাবে নির্ধারন করা হয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে আধুনিক এবং ভয়ংকর কারাগার, "নাহাসি" কে। "নাহাসি" কারাগারে "টমাস নিয়াও" কে চোখ বেধে নিয়ে আসা হয়। "নাহাসি" কারাগারের ভিতরে সবসময় ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা, অপর্যাপ্ত অক্সিজেন, পৃথিবীর আলো বাতাস থেকে সম্পুর্ন মুক্ত। তিন স্তরের লোহার বেষ্টনী। খাবার ভিতরে পাঠানো হয় বিশেষ এক ধরনের কচু পাতার মত সেন্সরের মাধ্যমে। যারা কারারক্ষী হিসাবে নিয়োজিত তারা সিগন্যালের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করে। এবং কয়েদীদের শরীরের ভিতরে একধরনের সিগন্যাল পুশ করে দেওয়া হয়। মানসিক যন্ত্রনা দেওয়ার জন্য এক ধরনের সাউন্ড ইফেক্ট কন্টিনিও থাকে। এই কারাগারে শুধু বিশ্বের প্রথম সারির ইসলাম বিদ্বেষী সন্ত্রাসীদের রাখা হয়।
"টমাস নিয়াও" ১০ বছর যাবৎ "নাহাসি" কারাগারে বন্ধী ।
অস্বাভাবিক যন্ত্রনায় আর সয়ে উঠতে পারছেনা। সে এখন পালানোর পরিকল্পনা করছে। কিন্তু এমন কোন উপায় খুজে পাচ্ছে না ,কিভাবে সে লোহার রড গুলোকে কেটে বের হয়ে যাবে। হাতের কাছে কিছু থাকলেও সম্ভব হতো না, কারন রড গুলো কোন বস্তুর সংস্পর্শে এলেই আগুন ধরে যায় শুধু মানুষের সংস্পর্শ ছাড়া। বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী অবশেষে আবিষ্কার করলো নিজের হাতের নখ দিয়ে রড কেটে বের হয়ে যাবে , কারন মানুষ চেষ্টা করলে সব পারে। ষোল বছর ধরে চেষ্টা করে "টমাস নিয়াও" নখ দিয়ে তিন স্তরের লোহার রড কেটে বের হল। তারপর শুরু হল কারারক্ষীদের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ। নিজের শরীর ক্ষতবিক্ষত প্রায়। শরীরে শেষ শক্তিটুকুও প্রায় শেষ তবুও কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা। অবশেষে সব কারারক্ষীদের হত্যা করে শেষ দরজা খোলার আগে গডের কাছে কৃতজ্ঞতা জানালো, হে গড তোমাকে ধন্যবাদ মুসলমানদের কারাগার থেকে আমাকে মুক্ত করার জন্য। টমাস নিয়াও দরজা খুলে বের হয়ে দেখলো সে একটি জাহাজের ভিতরে এতদিন বন্ধী ছিল। এবং জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের মাঝে স্থির করে রেখে দেওয়া হয়েছে। সে দৌড়ে ভিতরে গিয়ে ইঞ্জিন স্টার্ট দেওয়ার চেষ্টা করলো। কিন্তু ইঞ্জিন বিকল করে রাখা হয়েছে।
টমাস নিয়াও এই অবস্থা দেখে, চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো, আর বলতে লাগলো "হে ইহুদী ও খ্রীষ্টান সম্প্রদায় ,তোমরা এতদিন মুসলমানদের সরলতাই দেখেছ, দেখে যাও ওদের শাস্তি কত কঠিন। শরীর আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে আসছে, জাহাজের কিনারায় বসে ছিল , শরীর নিস্তেজ হয়ে সাগরে পতিত হয়ে তলিয়ে গেল, তারপর হাঙ্গরের পেটে বিনাশ হলো তার সমস্ত অস্তিত্ব। একজন মুসলিম হত্যাকারীর সমাধি হল সাগরে মাছের পেটে।
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯
আবু শাকিল বলেছেন: ভাল লিখেছেন
৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩
নিলু বলেছেন: এদেশে কি এই শাসন কামনা করেন কি ?
৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
কবি আলমগীর গৌরিপুরী বলেছেন: আমি চাই কি না সেটা আমি প্রকাশ নাই করলাম, তবে আমি একজন মুসলমান সাহিত্যিক বা কবি হিসাবে নিজের সত্ত্বাটাকেই উপস্থাপন করা শ্রেয় মনে করলাম, তাই করেছি। কারন আমি মুক্তমনা।
৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮
বাতাস০০০১ বলেছেন: আরো চাই এমন লিখা।।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯
নীল আতঙ্ক বলেছেন: লেখা টার জন্য প্রথম ভালো লাগা রেখে গেলাম।