![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবিঃ ডেইলি স্টার
"মাইনে ডয়েচ ইশট নিশ গুট। স্প্রেশেন জি ইংলিশ?"
এখানে কারো সাথে কথা বলা শুরু করার জন্য আমার মুখস্থ করা দুইটা বাক্য। এর বাংলা অর্থ দাঁড়ায়- আমার জার্মান ভালো না। তুমি ইংরেজি জানো? ইদানীং টুকটাক শব্দ মাথায় ঢুকলেও সময়মত বের করে আনাটা আমার জন্য বেশ কঠিন।
নিজের ভাষায় কথা বলতে পারাটা গর্বের। এই ব্যাপারটা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারলাম এখানে এসে।জার্মানরা অতি প্রয়োজন ছাড়া অন্য ভাষায় কোন কথা বলেন না। এই যেমন একটা চাকুরীর শুরুর দিন এক জার্মান ভদ্রমহিলা সব কিছু জার্মান ভাষায় বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। আমার মাথায় কিছুই ঢুকে নি । এরপর আরেক ভদ্রলোক ইংরেজিতে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন সব কিছু। এক সময় ভদ্রলোক বিদেয় হন। তখন ঐ ভদ্রমহিলার ইংরেজি আমরা কেউই বুঝতে পারছিলাম না। এক পর্যায়ে উনি খুব সুন্দর ইংরেজিতে আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। আসলে তখন আর কোন উপায় ছিল না উনার। দেখা গেছে উনি ইংরেজি জেনেও খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া সেটা বলছেন না।
এটা আমাদের জন্য খুব বিরক্তিকর হলেও আমার খুব ভালো লাগে। ভিনদেশে বসবাস করতে হলে সেখানকার ভাষা জানা জরুরি। আশেপাশের সবাই তাদের নিজেদের ভাষায়ই কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক। আমি এখানে বাহিরের লোক। সুতরাং এটা আমার জন্য জরুরি যে এদের ভাষাটা জানা। না হলে অনেক কিছুই বাদ পড়ে যাবে।
জার্মানরা আপনাকে অনেক কিছু শেখাবে। আর এই শেখানোটা শুরু হয় তাঁদের ভাষা দিয়ে। আমি যেদিন ভিসা অফিসে যাই এক জার্মান ভদ্রমহিলা আমাকে বলছেন, জার্মান জানো?
আমার উত্তর, না।
এরপর সেই মুখস্থ করা বাক্য যুগল ব্যাবহার করে ফেললাম। যাক উনি ইংরেজিতেই কথা বলছিলেন। আমাকে বলে দিলেন, পরেরবার আসলে কিন্তু জার্মানে বলতে হবে। আমি বলে এসেছি আমি পরেরবার জার্মানেই কথা বলব ওর সাথে।পরেরবার যত এগিয়ে আসছে আমার ভয়ও বাড়ছে।পারব তো?
ভাষা বিভ্রাটের সবচেয়ে বড় বিপদে পড়ি একদিন এখানকার এক সুপারমার্কেটে বাজার করতে গিয়ে। রাত ৮ টায় বন্ধ করার সময়ে আমি সেখানের ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে বিল দিতে যাই। আমার আগের এক ভদ্রমহিলার কিছু জিনিসপত্রও আমার বিলের সাথে দিয়ে দেন কাউন্টারের মেয়েটি। আমি তাকে ইংরেজিতে বুঝালাম, ভাই, এগুলা আমার না। না সে কোনভাবেই বুঝবে না। সুন্দর করে আমাকে কি জানি বলে দিয়ে দেন। আমিও বিল দিয়ে হাসিমুখে বাসায় ফিরলাম।
আমি টুকটাক জার্মান শব্দ জানলেও জার্মান ভাষায় কথা বলাটা এখনো শুরু করা হয় নি। কোন একদিন হয়তো শুরু করে দিব। সেদিনকার ব্যাপারটা চিন্তা করেই বেশ ভালো লাগছে।
মাতৃভাষায় কথা বলতে পারাটা গর্বের, আনন্দের। এই আনন্দ অন্য কোন ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।প্রতুল মুখোপাধ্যায় এর বিখ্যাত "আমি বাংলায় গান গাই" গানের কিছু কথা দিয়ে শেষ করব।
"আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে
করি বাংলায় হাহাকার,
আমি সব দেখে শুনে খেপে গিয়ে
করি বাংলায় চিৎকার।"
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫০
আলমগীর জনি বলেছেন: এই ব্যস্পারটা তরূণ সমাজ বুঝতে পারছে এটা ভালো দিক ।
২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কোন বিষয়ে পড়তে গেছেন, কোন শহরে?
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৮
আলমগীর জনি বলেছেন: আমি কম্পিউটার সায়েন্স এর ছাত্র। এখানে আমি নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া স্টেটে আছি।
৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভিনদেশে গিয়ে নিজের ভাষায় কথা বলে প্রচুর আনন্দ পাওয়া যায়।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:১৭
আলমগীর জনি বলেছেন: এখানে অনেক বাংগালী আছেন। এই দিক দিয়ে এটা ভালো সুবিধা ।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৮
অজ্ঞ বালক বলেছেন: ক্যাশ কাউন্টারে পোলা থাকলে কইলাম বাংলায় গালি-গুলি দিয়া আইতেন, জিনিসপাতি নিয়া আইতেন না। যাই হোক, আবারও পিলাচ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:১৮
আলমগীর জনি বলেছেন: অবস্থা এমন ছিল পোলা-মাইয়া যাই হোক জিনিস নিয়া আসা লাগতো। যদিও এটা প্রথমদিকের ঘটনা।
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৩
অনল চৌধুরী বলেছেন: এই ব্যস্পারটা তরূণ সমাজ বুঝতে পারছে এটা ভালো দিক- আমি তো বেশীরভাগকেই বুঝতে দেখিনা।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:২০
আলমগীর জনি বলেছেন: কিছুদিন আগেও প্রায় কেউই বুঝতে চাইতো না। এখন সেই তুলনায় অনেকে বুঝতে পারছে।আমি এটা বুঝাতে চেয়েছিলাম।
৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:০০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: জ্বি সত্যিই নিজের ভাষায় কথা বলাটা গর্বের
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:২০
আলমগীর জনি বলেছেন: যখন বলতে পারি না তখন টের পাওয়া যায়।
৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: জার্মানদের জাত্যাভিমানের কথা আগেও পড়েছি। অনেকেই নাকি এমন যে তাদেরকে ইংরেজিতে প্রশ্ন করলে না শোনার ভান করে থাকে। বাঙালির চেয়ে জার্মানদের সংখ্যা পৃথিবীতে অনেক কম। কিন্তু বাংলা ভাষা সেই প্রভাব আর প্রতিপত্তি পেলো না। আফসোস!
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:২২
আলমগীর জনি বলেছেন: সংখ্যা বড় কিছু না। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস ৫০ বছরের আর জার্মানদের ইতিহাস অনেকদিনের। ততদিনে হয়তো আমরাও আরো ভালো দিকে যাব। আশা রাখি।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩১
অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশে ভালো বাংলা জানা না জানলে লজ্জা নাই কিন্ত ইংরেজী না জানলে লজ্জার শেষ নাই!!!!
হাজার বছরের গোলাম জাতির উৎকৃষ্ট গোলামির মানসিকতা।