নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখি একদিন মানুষেরা সকল বিভেদ ভুলে গিয়ে ভালোবাসার চাষ করবে, সেদিন ভালোবাসায় পৃথিবী সয়লাব হয়ে যাবে ।

আলমগীর কাইজার

যুক্ত করো হে সবার সঙ্গে

আলমগীর কাইজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

অরিত্রীর আত্মহত্যা ও কিছু কথা

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪


স্কুলে নকলের অভিযোগে অপমানের কারণে আত্মহত্যা করেছে অরিত্রী। যদিও নকলের বিষয়টি সন্দেহ ছিলো মাত্র, নকলের বিষয় প্রমাণিত হয়নি।

শিক্ষকদের কাজ শিক্ষার্থীদের ভুলগুলো শুধরে দেওয়া, সুন্দরের শিক্ষা দেওয়া। কিন্তু তা না করে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীকে শাস্তি দিয়ে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। স্কুল কি জেলখানা? আর শিক্ষকেরা কি শৃঙ্খলা বাহিনী?
আমরা কি নিজেরা শিক্ষক দ্বারা প্রতিনিয়ত অপমানিত হচ্ছি না? নির্যাতিত হচ্ছি না? শিক্ষকদের কাছ থেকে আমরা তাহলে কিভাবে মানবিকতা বোধের শিক্ষা নেবো?

একজন শিক্ষার্থী ভুল করবে, শিক্ষকের সহযোগীতায় ভুল শুধরে নেবে এটাই তো স্বাভাবিক ব্যাপার। স্কুল কী ব্যবসাকেন্দ্র যে কেউ ভুল করলে তার সাথে আর ব্যবসা করবে না? নাকি নিজেদের চাকুরী টিকিয়ে রাখাটায় শিক্ষকদের একমাত্র মূলমন্ত্র।

মানবিকতার কথা ভেবে স্কুলে শারীরিক আঘাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদেরই যদি মানবিকতাবোধ না থাকে তবে আমরা তো ভালো ফল পাবো না। যে শিক্ষক মারমুখী সে তো মারবেই, হাতে না মারতে পারলে কথায় মারবে, কথায় মারতে না পারলে অন্য উপায় বের করবে।

আমরা কি এমন শিক্ষক কখনো চাই যারা প্রতিনিয়ত মানসিক অত্যাচার করবে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপমান বাবা-মায়ের সামনে অপমানিত হওয়া। একজন শিক্ষকের কাছে নিশ্চয় এধরনের নিম্ন মানসিকতার শাস্তি কাম্য নয়।

এধরনের ঘটনা আমরা আর দেখতে চাই না। শুভবুদ্ধির উদয় হোক সকলের মনে। বাবা-মা, শিক্ষকসহ সমাজের প্রতিটি মানুষই মানবিক গুণাবলী সমৃদ্ধ হোক সেটাই আমাদের কাম্য।
(ব্লগের কয়েকটি লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি এই লেখাটি লিখলাম।)

© আলমগীর কাইজার
০৫.১২.২০১৮
ছবিঃ গুগল

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ভালো লিখেছেন। ওপারে ভালো থাকুক অরিত্রীরা...

শিক্ষকদের সর্ব প্রথমে সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত হতে হবে তারপর শিক্ষা দিতে আসবেন...

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

আলমগীর কাইজার বলেছেন: বলেছেন: ঠিক বলেছেন হোসাইন ভাই, শিক্ষকদের সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত হওয়া খুবই জরুরি।
মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইলো।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন:
প্রথমে শিক্ষকদেরকে মানুষ হতে হবে।
তারপর ক্লাসে যেতে হবে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আলমগীর কাইজার বলেছেন: ভালো বলেছেন স্বপ্নীল ফিরোজ। ভালো থাকবেন, আপনার প্রোফাইলের গোলাপ ফুলটা বেশ সুন্দর।

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: প্রত্যেক স্কুলে একজন সাইলোলজিস্টের বড্ড প্রয়োজন, যার কাছে ছাত্র ছাত্রীরা তাদের সমস্যার কথাগুলো বলতে পারবে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

আলমগীর কাইজার বলেছেন: খুব ভালো আইডিয়া কিন্তু আমরা তো বড় ধরনের মানসিক সমস্যা হলেও সাইকোলজিস্টের কাছে যাই না। আমাদের যেন মানসিক সমস্যা কোনো সমস্যাই নয়।

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

হাবিব বলেছেন: সমস্যা হলো অনেক শিক্ষক এখনো শিক্ষিত হতে পারে নাই..........

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আলমগীর কাইজার বলেছেন: যে দেশে শিক্ষকদেরকে প্রশ্ন করা নিষেধ সেই দেশের শিক্ষকেরা শিক্ষিত হবে কিভাবে? তবে কিছু শিক্ষক আছেন যাঁরা সুশিক্ষিত, তবে তাঁদের দেখা পাওয়ার সৌভাগ্য সবার হয় না।

৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আর যেন এরকম না ঘটে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

আলমগীর কাইজার বলেছেন: রাজীব ভাই আমারা তো সেটাই চাই কিন্তু যারা এই সমস্যাকে সমস্যা মনে করে না, ছাত্রদের উপর দোষ চাপিয়ে বাঁচতে চাই তাদের কারণেই তো এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।

৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

সবুজের ইবনে বতুতা বলেছেন: মানবিকতা ও মনুষ্যত্ববোধ কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে আজ আমার বিবেক দৃঢ়ভাবে বারবার দংশন করছে, একথা ভেবে! মানুষ আজ আর মানুষ নয়। মানুষ পশুত্ববরণ করেছে সেই অনেক আগে। এখন মানুষ পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট হয়েছে।

বাংলামোটরে এক ছেলে কে তার বাবা মেরে ফেললো। কি আপরাধ ছিল তার? বাবা মাদকাসক্ত! আমার প্রশ্ন অরিত্রিকে যে শিক্ষক আত্নহত্যার প্ররোচনা করলো সেই শিক্ষকও কি কোন নেশায় আসক্ত ছিল?

হায় মানবিকতা আজ কোথায়? হায় হায়...

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আলমগীর কাইজার বলেছেন: বেশ সুন্দর মতামত দিয়েছন, ভালো লাগলো।
ঐ শিক্ষক মাদকাসক্ত ছিলনা তবে তার চেয়েও বড় কোনো নেশায় আসক্ত, যেমন ধরুন অনেক দামি পজিশনের মানুষ, অবস্থান টিকিয়ে রাখা প্রভৃতি কারণ।
আর ভাই হতাশ হওয়ার কিছু নেই, আমরা আশাবাদী জীবন সুন্দর হবে, পৃথিবী ভালো মানুষে ভরে যাবে।

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



আমি ঢালাও ভাবে স্কুলকে দোষ দিতে পারি না । কারন পরীক্ষা হলে মোবাইল নেয়াটা অবশ্যই গুরুতর অপরাধ । এটার জন্য শাস্তি হওয়া উচিত ।

তবে সেটা শুধু মাত্র শিক্ষার্থীর । বাবা মাকে জানানো যেতো যে সে এই অপরাধ করেছে ।

তবে বাকি যা হয়েছে সেটা বাড়াবাড়ি ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪০

আলমগীর কাইজার বলেছেন: ঠিক বলেছেন, তবে যেহেতু ঘটনা স্কুলে ঘটেছে তাই স্কুলই প্রাসঙ্গিক। আর এখন স্কুলে শিক্ষার চেয়ে ভালো রেজাল্টের প্রতিযোগিতা বেশি হয় যেটা কাম্য নয়।
অপরাধ করলে শাস্তি হওয়া উচিত কিন্তু স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া (TC) উচিত নয়।
আর হ্যাঁ, বাকি যা ঘটেছে তা বাড়াবাড়ি।

৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৮

ডিগবাজি বিশারদ বলেছেন: আপনার মতের সাথে আমি যেতে পারছি না। একে তো নকল আবার স্মার্ট ফোন দিয়ে। একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কি ছেলে খেলা? সেখানে কোন নিয়ম কানূন নেই? যা ইচ্ছা তাই করলাম আর মাফ চাইলাম ব্যাস সব দায় সাড়া? শিক্ষকরা আত্মহত্যা করিয়েছে? তার আত্মহত্যার বিষয় শিক্ষকদের সাথে জুড়েন কেন?
হুজুগে বাঙালি তো আমরা এটাই আমাদের সমস্যা। বেহুদা জায়গাতে মাতি।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

আলমগীর কাইজার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। একটা বিষয়ে যে সবাই একমত হবে তা তো নয়, ভিন্নমত থাকাটায় স্বাভাবিক।
আপনার প্রশ্নগুলো প্রাসঙ্গিক তবে,
স্কুলগুলো শিক্ষা আর আনন্দ দান না করে ব্যবসা কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এটাও কিন্তু মানতেই হবে।
ভাই, মিছেমিছি বাঙালিকে দোষ দিয়ে কী লাভ, আমরা নিজেরা তো বাঙালি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.