![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এতটা বিশেষ হওয়ার পরিনামে আমার মনস্তাতিক ভুবনে আমি একা হতে শুরু করেছি সতের বছর আগে থেকেই। ফলে আজকের আমি মাত্রাহীন অসম্ভব জটিল। দীর্ঘ সময় ধরে ক্রমাগত সাধারনের অতৃপ্তির অবদমনের ল্যবস্তু হতে হতে এই সাধারনদের আমি গিনিপিগ বানিয়ে ফেলেছি। আপাতত সমস্যাটা আমার এখানে। চারপাশের মানুষগুলোকে আমার এখন অদ্ভুত রকমের বোকা মনে হয়। এদের নিয়ে এদের সামনেই আমার মনের ভেতর এমন হাসি পায় যে মাঝে মাঝে আমি কষ্ট পাই। কারন আমি এ মানুষগুলোকে এতটা ছোট করতে চাই না। কিন্তু যখন এদের খুব সুক্ষ স্বার্থের অভিপ্রায়গুলোও আমার মনস্তত্ত্ব সহজ প্রতিলিপি তৈরি করে ফেলে আমি ‘মানুষ’ আদর্শে এদের মূল্যায়নে বাধ্য হই।
কারো মাড়িয়ে যাওয়ার মতা না থাকলে সে আপনাকে ধাক্কা দেবে। আর ধাক্কা দেয়ার মতা না থাকলে ছুড়ে দেবে নিজের কাজে না লাগা কোন কিছু অথবা দুরত্ব যদি এতই বাড়ে যে আপনি তার ধরাছোঁয়ার বাইরে যখন আপনাকে দেখতে ঘাড় বাঁকা করে উপরে তাকাতে হয় আপনি ভাববেন না আপনি মুক্ত কারন তার মুখ আপনার চরিত্র আর যোগ্যতার প্রশ্ন তুলবে অবিরত। মন আর যোগ্যতায় নিজের ছোট অবস্থানে তার মুখ আপনাকে নামিয়ে আনবে বারবার। আপনি বিব্রত হবেন অসম্ভব কিন্তু কিছূই করতে পারবেন না। নিশ্চয়ই আপনার দাঁতে বিষ নেই আর তাদের আছে বিষাক্ত দাঁত, বেড়ে যায় ইঁদুরের দাঁতের মত,যেখানে সেখানে কাটার অভ্যাসটা তাদের জন্মগত।
খুব সহজ মনস্তত্ত্ব,আপনার সমপর্যায় ও একই প্লাটফর্মের অধিকাংশই আপনার অসাধারনত্ব আর সফলতাকে সাধুবাদ জানাবে না। আমরা পাল্টে যাচ্ছি। খারাপ ও ধান্দাবাজ মানুষদের সংখ্যা বাড়ছে ফলে তাদের সাধুবাদের স্তুতিও বেশি। খারাপ ও ধান্দাবাজরা আপনার সাধুতাকে ভয় পায় না। তারা তাদের শ্রেণীর মানুষদেরই ভয় পায় কারণ সেখানে পাটকেল খেতে হতে পারে। আর আপনি সেরকম নোংরামি চিন্তাই করতে পারেন না।
আমার শৈশব। বাবা বলতেন আমি অসম্ভব শিশু। তিনি গোঁয়াড়ের মত বিশ্বাস করেন কোন একদিন পৃথিবীসুদ্ধু অস্থির করে তুলব আমি। আমার মা শুনে হাসতেন । বলতেন হ্যাÑ তার নমুনা তো দেখতেই পাচ্ছি,এখনও দাঁত গজাঁয়নি স্তনের বোটা কামড়ে ফুলিয়ে রাখছে দিনের পর দিন। চুলায় রান্না শেষ হয়ে আসা তরকারীতে মুঠভর্তি বালু না দিলে তিনি হাসবেন না। পাশের বাড়ির সালমার চুমুর আদর না হলে মুখে খাবার তুলবেন না। এরপর মা হয়ত আরও কিছু বলতে যেতেন কিন্তু বাবা থামিয়ে দিয়ে বলতেন এখনই অস্থির হয়ে উঠলে,ওকে ঠিকমত হাঁটতে শিখতে দাও। দেখব কেমন মা হয়েছো তুমি। এরপর বাবাও হাসতেন।
আমার নানু বাড়িতে ছিল হরেক রকম ফলের বাগান। ফল পাকার মৌসুমে বাবা ছুটি নিতেন। আমরা বছরের এই সময়টাতে বেড়াতে যেতাম নানু বাড়িতে। আমি তখন হাপুর দেয়া শিখেছি,বেশ ভালভাবেই। নানু বাড়িতে এসে প্রথমেই আমার চোখ পড়ল নানুর পোষা কয়েকটি ছাগলের উপর। প্রায়ই দুপুর বেলা দেখতাম দুটি ছাগলছানা মা ছাগলটির দুধের বান চুষছে অদ্ভুত ছন্দে। এরপর আমিও একদিন হাপুর দিয়ে এগিয়ে গেলাম মা ছাগলটির কাছে। ছাগলছানাদের সাথে দুধের বান চুষে দুধ পান করছিলাম। ছোটখালা সেদিন এই দৃশ্য দেখে বাড়ির সবাইকে ডেকে আমার এই কান্ড দেখান। পরে আমার মা এসে আমাকে তুলে নিয়ে যান এবং সবাইকে খুব বকাবকি করেন এই আশংকার কথা ভেবে যে ছাগলটি আমাকে লাথি মারতে পারত।
ভোরবেলা খালারা আম কুড়াতে বের হতেন। রাত না ফুরাতে প্রতিদিন আমি ঘুম থেকে উঠে বসে থাকতাম এবং বের হওয়ার জন্য চিল্লাপালা করতাম বলে খালারা আমাকেও সঙ্গে নিয়ে যেতেন। আমাকে এক জায়গায় বসিয়ে রেখে খালারা হাঁটতেন এবং আম কুড়াতেন। পরে সবার কুড়ানো আম একসাথে করে আমাকে আমের স্তুপের দিকে এগিয়ে দিতেন আমার পছন্দমত একটি আম নেয়ার জন্য। কিন্তু আমি তখন উল্টো দিকে ছুটতাম। হাপুর দিয়ে কিছুদুর এগিয়ে পাতা দিয়ে লুকানো একটি আম হাতে নিয়ে খালাদের দেখাতাম। এ কাজটি আমি প্রায়ই করতাম। আর আমার এই কান্ড দেখার জন্য খালারা মাঝে মধ্যে আমার মাকেও ডেকে নিতেন। আমার মা হাসতে হাসতে লুটোপুটি যেতেন। খালাদের বলতেন, তোমরা ওকে অবহেলা করে বসিয়ে রেখে ভাল কর না। জবাবটি খারাপ দেয়না আমার ছেলে।
বৃষ্টি হলে আমাকে সামলানো মুশকিল ছিল। আমার জন্য মাকেও প্রায়ই বৃষ্টিতে ভিজতে হত। এরমধ্যেও মায়ের চোখ এড়িয়ে আমি কাদা মাটির কেঁচো খেয়ে ফেলতাম। এ নিয়ে অনেক হৈ চৈ ও হয়েছে। কিন্তু যা খেয়ে ফেলতাম তা কখনও আমি উগড়ে দিতাম না।
আমি জন্মেছিলাম পৃথিবীর উৎসবের দিন। বাইরে তখন নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার উৎসব। কিন্তু বাবা মায়ের মুখে হাসি ছিল না কারণ আমি পৃথিবীর দরজায় কড়া নেড়ে আসিনি। অন্য শিশুদের মত ভুমিষ্ট হওয়ার পর চিৎকার করে কেঁদে উঠিনি। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভুমিষ্ট হওয়ার চারদিন পর আমি কেঁদে উঠার পরিবর্ততে হেসে ফেলেছিলাম।মা বলেছিলেন আমি জন্মের পর স্বাভাবিকভাবেই চোখ মেলে তাকিয়েছিলাম, হাত পা ও নাড়াচড়া করছি। কিন্তু কোন শব্দ করিনি। সবাই ভেবেছিল আমি বাকশক্তিহীন হয়ে জন্মেছি। কিন্তু চারদিন পর পৃথিবীকে আমি আমার উপস্থিতির জানান দিয়েছি এমন অদ্ভুত হাসি দিয়ে যে আমার মা বলে উঠেছিলেন- হে আল্লাহ আমার সন্তানকে অপবিত্র নারী থেকে রা করো।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার প্রথম বর্ষের প্রেম মারিয়াও বলত,হে ইশ্বর কোন দুষ্ট নারী দৃষ্টির উত্তাপ থেকে ওকে রা করো।মারিয়া আর আমি ছিলাম অঘটন প্রেমিক। মারিয়ার সাথে আমার ডেটিং সময়ে শনি গ্রহের প্রভাব সবসময়ের জন্য ছিল অবধারিত।ও আমার সাবেক প্রেমিকা হওয়ার পূর্বের সর্বশেষ প্রেম আড্ডার দৃশ্য ছিল এরকম । চার ইঞ্চি উচ্চতার স্ট্রিপ হাইহিল।কোন ভাবনার অবকাশ ছাড়াই আমার স্থির চোখ নুডুলসের মতো বেয়ে উঠছিল মারিয়ার মিনিস্কাটের শেষ সীমান্ত পর্যন্ত।ও অদ্ভুত এক ছন্দময় চলনে এগিয়ে আসছিল।আমিই এই চলনের শেষ গন্তব্য।ও আমার সামনেই বসবে,মুখোমুখি। মারিয়া এগিয়ে এসে টেবিলে আমার মুখোমুখি বসবে এমন সময় আমার কনুই লেগে কফি কাপটি উল্টে যায়। তটস্থ হয়ে নিজের কোল থেকে গরম কফি সরাতে যেই দাড়ালাম অমনি চেয়ারটাও। এগিয়ে আসলো রেস্টুরেন্টের সার্ভিস বয়রা, তার আগে মারিয়া। পাশ দিয়েই যাচ্ছিল অন্য টেবিলে অর্ডার দিতে আসা আরেক সার্ভিস বয়। মারিয়া আমাকে ধরতেই ওর ভ্যানিটি ব্যাগের হুকের সাথে এই সার্ভিস বয়ের ট্রের হ্যাঙ্গারের সংযোগ,ব্যাস-ট্রেসমেত এক বালতি মুরগি ভাজা,ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও ড্রিংকসের মেঝেতে লুটোপুটি। এই একই রেস্টুরেন্টে সাতটি প্রেম আড্ডার প্রতিটিতেই এরকম কোন না কোন দৃশ্য আমরা উপস্থিত সুধীদের উপহার দেয়েছি।
মারিয়া আজও আমাকে ভালবাসে। কিন্তু আমি ওকে বলি তুমি আমাকে ভুলে যেতে বাধ্য। প্রচলিত সামাজিক কাঠামোর একটি বন্ধনের অংশ এখন তুমি। দুরে থাকা দুরত্বই তৈরি করে। ফাঁকাস্থান কখনও অপূর্ণ থাকে না। এখন হয়ত তুমি তোমার বরকে সহ্য কর না। ভালবাস না। কিন্তু মারিয়া, আমি বলছি এই ব্যক্তিকেই তুমি ভালবাসবে। তোমাদের বন্ধনের স্বপ্নীল রাতে তোমার অনিচ্ছায় বিসর্জিত শরীর একসময় অর্ঘ্যে রূপান্তরিত হবে। আর এর দেবতা হবে তোমার বর। মারিয়া- তুমি কেন বোঝ না, দৈনন্দিন জীবনের ছোটখাট প্রয়োজন,মান অভিমান, একটু একটু খুনসুটি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরতা আনবে। যে শরীর অস্থিত্বে থাকা প্রিয়তমের জন্য তোমার একমাত্র উপহার তার গ্রহণকারীকে এড়িয়ে যাওয়ার মতা তোমার নেই। এতটা বিশেষ তুমি নও।ভালবাসার জন্য তোমার মন কখনও দৈত্য হয়ে ওঠেনি। কারণ তুমি প্রচলিত আর আমি সমাজ ও নিয়মভাঙ্গার অধিনায়ককেও ভাঙ্গি।
আমি অস্থিত্ব তৈরি করি প্রতি মূহুর্তে। সেখানে আমি যে জীবন দান করি তা বহুমাত্রিক। নিজে মিশে যাই কিন্তু বিলীন হই না কখনও। জীবন দিয়েছিলাম ললিতার, কোন এক রাতের দ্বিতীয় প্রহরে ।সঙ্গে সঙ্গেই ললিতার দৃঢ় উচ্চারণ,গলছ কেন তুমি? আমিতো তোমাতেই বেড়ে উঠেছি। দাগগুলো কি তোমার পরিচিত নয়।পোট্রেট থেকে চোখ ফিরে আসে আমার। অনিয়ন্ত্রিত আমি, বলে ফেলি- আমার মায়ের স্তন কামড়ে দেয়ার দাগ। সঙ্গে সঙ্গেই ব্যঙ্গাত্বক হাসির শব্দ প্রতিধ্বনিত হতে থাকে চারদেয়ালে, তুমিইতো তার উত্তরাধিকারী ? আমি বিহবল,যোগসূত্রহীন কোন সম্পর্ক খুঁজতে থাকি। তত্বীয়কাঠামোয় আদম-হাওয়ার সঙ্গম পর্যন্ত। ঘোর লাগা সময়ে প্রতিধ্বনি থেমে যায়। আর আমিই যেন বলতে থাকি- এখন তুমি স্পষ্ট। আমার দ্বিতীয় অস্থিত্বে তোমার কাঠামো হয়ত মাত্রা পেয়ে যায়। সেখানেও তুমি সবজান্তা নও। শোন শোন ললিতা, ইশ্বরের অধিকারে ভাগ বসাইনি আমি। তুমি ইশ্বরকে যেমন দেখোনি,দেখোনি আমাকেও।
বেসিনের পাইপ বন্ধ হয়ে ট্যাপের পানি উপচে পড়ছে মেঝেতে। কই ? আমিতো এতোটা মাতাল হইনি। তবে এসব কি ? গলাতে আঙ্গুল দিয়ে কয়েকবার বমি করতে চাই। কিছুতেই বমি হয়না। আয়নায় নিজেকে ঝাপসা দেখি। ঘনঘন। ক্রমশ রাত শেষ হয়ে আসে।
নিজের মোহ-মায়ামৃত্যুর অবদমনে এভাবেই রাত গুলো কেটে যায়। কোথা থেকে এসব মায়ামৃত্যুরা এসে জোটে তা মনস্তত্বে ঠিক ধরা পড়ে না। কোন এক রবিবারের রাতে ললিতার হঠাৎ উপস্থিতি। মাত্রাহীন। পশ্চিমের দেয়ালে টাঙ্গানো ললিতার ন্যুড পোট্রেটটির অদ্ভুদ মায়ায় দ্বিখন্ডিত হতে শুরু করি আমি। অজানা কোন কিশোরীর এই ন্যূড পোট্রেটটির চরিত্রে ললিতা নামটি আমারই দেয়া। আর সেখানেই ললিতা কখনও জীবন্ত হয়ে ওঠে, অস্ফুট উচু হয়ে ওঠা ললিতার স্তনে স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে অস্পষ্ট কিছু কামড়ের দাগ যেখানে আমি নিজের আরেকটি অস্থিত্বের হিংস্রতা দেখতে পাই।
মৃত্যু- ঘুম-জীবন ও তন্দ্রাচ্ছন্নতার বাইরেও এ যেন কেমন এক অনুভুতি। যা আমি ঠিক সঙ্গায়িত করতে পারি না। স্বপ্ন ও ত্বত্তীয় বাস্তবতার পার্থক্য বুঝে ওঠা আমার জন্য তখন কঠিন হয়ে পড়ে। ঠিক একই রকম অনুভুতি- এমনই কোন এক রাতে আমি বোধহীন নই। আমি নিশ্চিত, বোতল থেকে গ্লাসে জল ঢালার পর তা উপচে পড়ছে না । অথচ আমার স্নায়ু নিয়ে কে যেন খেলা করছে। যেন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ফেনিয়ে উঠা সাগরের মহাপ্রলয়ে হারিয়ে যাচ্ছে সব। পিছু নেয়া মহাপ্রলয়ে উর্ধশ্বাসে ছুটছি আমি। আর সেই প্রলয়ের চোখ থেকে পিছু ডাকে আমায় দু হাতে বাড়িয়ে ডাকছে বিবস্ত্র মধ্য বয়সী এক নারী। তার ভারী বুকের ভরা স্তন দুটি থেকে সাদা তরল ফোটায় ফোটায় মিশে যাচ্ছে সেই মহাস্রোতে।
হয়ত এসবের কোন ব্যাখ্যা নেই । অথবা মানসিক ভারসাম্যে স্থানচ্যুত অবদমিত ভাবনার কোন কাঠামোগত বহি:প্রকাশ। অথচ প্রতিনিয়ত অজস্র এমন অদ্ভুত গল্পের চলচ্চিত্রায়নে আমি বিপর্যস্ত নই। মাঝে মাঝ আৎকে উঠি- যৌনতার দুই পাড়েই অর্থপূর্ন বা অর্থহীন এমন বিকৃত উপস্থাপনের ধারাবাহিকতায়। যে বোধে আমি উপস্থিত থেকেই উপস্থিত নই সেখানে শুধুমাত্র এই বিষয়বস্তুই বা কেন ? আমি কি বিকারগ্রস্থ ! পরনেই মনে হয় তা কি করে সম্ভব ! এসবের কোনটিরই তো ব্যবহারিক বাস্তবতা নেই।
মা,এ জীবন আমার প্রশ্নাতীতভাবে তাঁর জন্য আজীবন উৎসর্গিত, শ্রদ্ধায় এ মাথা যার পায়ের কাছে অনন্তকাল সিজদাবনত। অথচ এই অসঙ্গায়িত বোধে আমার মায়ের বিবস্ত্র শরীর আমার সামনে এসে দাড়ায়, প্রায়ই। কিন্তু আমি নিশ্চিত আমার স্নায়ু সৃত্মি ধারন করার মতা অর্জনের পর আমি কখনই মায়েই বিবস্ত্র শরীর দেখিনি।
সাবালক হওয়ার প্রথম পাঠ থেকে শুধুমাত্র যৌনতার উপস্থিত আছে এমনসব কিছু সৃত্মি আমি এখনও ভুলিনি। বাহ্যিক আচরণে তখন অন্য সব সহপাঠীরা প্রেম পত্র লেখার পাঠ শুরু করে আর আমি সে সময় লজ্জায় মেয়েদের পথে চলতাম না। এক বর্ষায় মামা বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দু বছরের বড় মামাতো বোন জোর করে আমার ঠোটে চুমু খেলে লজ্জায় দুদিন সেই মামাতো বোনের সামনে পড়িনি। অথচ অদ্ভুত শিহরন জাগানো এক আবেশে আমার দুচোখ বুঁজে আসছিল। তার তুলায়িত নরম স্তনের অনাকাঙ্খিত স্পর্শে আমার শিশ্নদ্বার পিচ্ছিল হয়ে এসেছিল। সম্ভবত সেটাই আমার প্রথম সজাগ যৌনসুখানুভুতি। কলার অনভিজ্ঞতা আর অসময়ের শরীরে তৃপ্ততার নিজশাসিত বোধ তখনও জাগেনি। তাই হয়ত দুদিন পরে মামাতো বোন হাতে আমের মোরব্বা ধরিয়ে দিয়ে বলেছিল, এটা চুষতে থাক। নোনতা স্বাদ নেয়ার বয়স তোর এখনও হয়নি। আমি লজ্জা পাই। পুরুষায়িত লজ্জার দ্বিমাত্রিক ধরণ। আমি তখনও চুমু দিতে শেখেনি। বুঝিনি কোন অভিপ্রায়ে মামাতো বোনটি আমাকে দিয়ে নরডেট-২৮ আনিয়ে নিয়েছিল।
এস এস সি পরীক্ষার পর তাবলীগ জামায়াতের চিল্লায় পানছড়ির গহীন অরণ্যের কোন সেটেলার গ্রামের মসজিদে গভীর রাতে সহপাঠী কবির আর মিজানের পারস্পরিক মৈথুন পাশে শুয়ে থাকা আমার জীবনে ছিল নতুন মাত্রার যৌনতার পাঠ। তারপর কয়েক রাতেই কল্পনা আর এ শরীর তো আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। অথবা তারও কিছু আগে মারবেল খেলার আড্ডায় সহপাঠী মাজহারুল যখন তার বাবা-মার যৌনতার গল্প করত আমার শিশ্ন তখন কঠিন হতে চাইত।
পর্দার নীল ছবির প্রতি আমি আকৃষ্ট ছিলাম না কখনই। তবে বাঁসর দেখেছি অসংখ্য। বিক্রমপুরের রামপালে এক জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ওসমান আলীর বাঁসর সৃত্মি আমার এখনও মনে আছে। আধাপাকা ঘরের উপরের অংশে বাশের বেড়া ফুটো করে আমি আমার এক খালাতো ভাই ছিলাম সেবার। মাঝরাতে ওসমান আলী নববধূর ঘরে ঢুকে বলেছিল, ‘ও মোহনা- প্রেম করেছি তিন বছর-অনেক করেছিস রং ঢং-এবার দেখা, কি আছে তোর গুপ্তধন’। এরপর এক হেঁচকা টানে নববধূ বিবস্ত্র আর ওসমান আলীর কামহিংস্রতা। তারপর থেকে ওসমান আলীকে দেখলেই আমরা কয়েক দুষ্ট ছেলে এই কবিতা আওড়াতাম। অবশ্য এই কর্মে আমরা ওসমান আলীর কাছ থেকে শয়তানের চেলা উপাধি পেয়েছিলাম।
অথচ এসবের সমান্তরালে আমি অসম্ভব মাত্রায় ধার্মিক ছিলাম। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজতো বটেই তাহাজ্জুদ ও সালাতুস তাসবীহর মত নফল ইবাদতেও আমি নিয়মিত করতাম। ধর্মীয় রীতিনীতি আর অনুশাসনে প্রচলিত সামাজিক বক্তব্যে শতভাগ পবিত্র এই আমি। কোরআন,হাদীস আর ইসলামিক রীতিনীতিকে জাবর কেটেছি দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময়। সৃত্মি আর বোধে এসবেই অনুলিপি তৈরি করেছি বারবার। তবে এসবের কোন উপস্থিতি নেই কেন আমার এই অসঙ্গায়িত বোধে। আমিতে চলতে গিয়ে পিছলে পড়ে যাওয়ার মত ঐসব যৌনাভুতিপ্রবণ কোন সৃত্মির অনুলিপি তৈরি করিনি কখনো।
সময়ের বৈপরীত্যে নিজের চরিত্রের অবস্থান ভাবতে গিয়ে হাসি পায় আমার। এখন আমি ইশ্বরকে বিশ্বাস করি না। আমি কট্টরভাবেই নাস্তিক। এই অসঙ্গায়িত বোধের বাইরে আমি আমার মনকে অনুভব করি। মনের গায়ে হাত, পা বা মাথা বসিয়ে দিলে হয়ত তার একটা কাঠামোও দাড়িয়ে যায়। যেমনটা ইশ্বররের সাথেও করতে পারি। মন শান্তি পেলে আমিও প্রশান্তি পাই। কিন্তু ইশ্বরের সন্তুষ্টিতে তিনি হয়ত প্রশান্তি পান, আমি পাই না। আর ইশ্বরের অনুভবে আমার মনকেই মাধ্যম বানাতে হয়। তাই নিজের মনকে দ্বিখন্ডিত করে তার ভাগ ইশ্বরকে দেয়ার পপাতী আমি নই। আমার মন আমার ইশ্বর, আল্লাহ, ভগবান বা অতিইন্দ্রিয় অন্যকিছু। তাকে আমি ভোগ করি এবং আমাকে সে ভোগ করে।
বোধ বৈচিত্রে এই ভোগও বহুমাত্রায় পরাশ্রয়ী। অনেক পরে সজাগ বোধে সেই মামাতো বোনের মুখাবয়ব আর শরীর আমার ভেতর বারবার অনুপ্রবেশ করছে। আমার কামতীব্রতা তখনও এই মুখাবয়ব আর শরীরের চেয়ে গতিময় ছিলনা। কাল্পনিক সহবাসে কখনও কখনও নিজেকে ধর্ষকের ভুমিকায় নামাতেও কোন বোধ বাধা দেয়নি। সুমাইয়া, সুমি, চৈতি,স্বপ্না,ইলা, আশা ,রুমা আরও কার কার শরীরেরও যেন সেই মামাতো বোনের মুখাবয়ব আর স্পর্শকে খুঁজে বেড়িয়েছি অনেকটা সময় ধরেই। কান্ত আর ঘমার্ত শরীরে নিজ উপলব্ধিগত তৃপ্ততায় আমি অতৃপ্ত,অথচ সবখানেইতো তৃপ্ততার ভান করেছি । আমার এই অতৃপ্তের অবদমন নিয়ে আমি প্রশ্নবিদ্ধ । যার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল কৈশোরে তা হয়ত অসঙ্গায়িত বোধে কোন চরিত্র খুঁজে নিয়েছে।
বোধ বিশ্লেষনে নিজের অসংখ্য অস্থিত্বের উপস্থিতিতে আমি কখনো কখনো মৌলিকত্বই হারাতে বসি। তবুও কিভাবে যেন টিকে থাকি। নাগরিক পাপমন্দিরের দেবীত্বে দেবশিশু হয়ে অর্ঘ্য নিতে শিখে গেছি আমি। গতিময় য়িষ্ণু বোধে কিছু উত্তেজিত সময়ে বিপরীত বা সমলিঙ্গের কচ্যুত ছোটাছুটির স্ফুলিঙ্গআলোয় নিজেকে দেখে নেয়া এখন আমার কাছে আপেকি সত্য । চরম অস্থির স্নায়ুর এসব বিচ্ছিন্ন ভাবনা বাস্তবতার কাঠামোয় নিজের জীবন-অস্তিত্ব ক্রমশ ধীম হয়ে আসে- অমি মুক্তি চাই, আমি সাধারণ হতে চাই।
আমার সপ্তম প্রেমিকা সালমার গায়ে হলুদে সারারাত কথা বলেছিলাম। তাকে বলেছি এটাই আমার তার সাথে শেষ কথা। আমি ব্যর্থ প্রেমিক নই সালমা। আমার অসংখ্যাংশের স্বাতন্ত্রতা তুমি চিন্তাও করতে পারবে না। আমার প্রেম,বন্ধুত্ব,আবেগ,পেশাদারিত্ব,প্রতিযোগিতা,শিক্ষা আরও বহু শিরোনামের জীবনকাঠামের অনুভূতিতে পারস্পরিক কোন সম্পর্ক নেই। আমি ভেঙ্গে পড়ব না, থেমে থাকবে না আমার গতিময়তা। আমার প্রেমাংশে আমি-তুমির এই বিছিন্নতা একটি সাধারণ ঘটনা মাত্র। আমার এই অসংখ্যাংশের পারস্পরিক সম্পর্ক অনেকটা পাশের বাড়ির প্রতিবেশীর মত। প্রতিবেশীর বাড়িতে উপাদেয় বিশেষ কোন রান্নার যেমন আন্তরিক বিনিয়ময় হয় তেমন। সামাজিক কাঠামোয় যোগসূত্র আছে,সহানুভুতি আছে কিন্তু তা সম্পর্কহীন।
তুমি আমার কাছে মা চেয়েছিলে। শেষদিকে এরজন্য তোমার প্রবল আঁকুতি ছিল। কিন্তু কেন ? আমিতো তোমায় ভালবাসিনি। যদিও সম্পর্কের দেয়া নেয়ায় আমি প্রতিশ্রুতি ভাঙ্গিনি কখনও। অথচ জান, আজ আমার খারাপ লাগছে। এই লেখা যখন আমি লিখছি তখন তোমার বর তোমার বুকে মুখ লুকিয়ে ঘুমুচ্ছে। তুমি আমার আশ্রয় চেয়েছিল,গতকালও। আমি পারিনি। কিভাবে পারব বল? তোমার জন্য আমার আজকের অনুভুতির বিন্দুমাত্রও যদি কাল আমি অনুভব করতাম তোমাকে ওই গায়ে হলুদের বেশেই বেরিয়ে আসতে বলতাম। এটাই আমার নিয়ম। আজকেই আমার এই অদ্ভুত খারাপ লাগা। তাই কাউকেই আমি বাড়ি থেকে বের করে আনিনি,এটা বহুমাত্রিক জীবন জুয়া। তোমার জন্য আজকে আমার এই খারাপ লাগার বাস্তবতা কি জান ? অধিকার,অংশিদারিত্ব। দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের শারিরিক সম্পর্কসহ তোমার অনেক আবেগ আমার অনুভুতিতে প্রচ্ছন্ন অবস্থান তৈরি করেছে। আজ আমি আমার অধিকার হারাচ্ছি। আমার মনে হচ্ছে,আমার কোন স্থাবর সম্পত্তি হারিয়ে যাচ্ছে। অদ্ভুত আমার মনস্তত্ত্ব, তুমি আমায় মা কর। আমি তোমাকে হারানোর এই খারাপ লাগার অনুভুতি উপভোগ করছি,নেশার মত। অনুভূতিকে আমি মদ বানিয়ে ফেলেছি। এর স্রষ্টা আমি। পৃথিবী এখনও এর স্বাদ পায়নি। সালমা, আমার এই নেশাই তোমার মত বহু নারীকে বিসর্জন দিতে বাধ্য করে।
চলবে,(আল আমীন দেওয়ান, এ ট্রু লাইফ স্টোরি)
২| ০৬ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১১
রহমান জর্জ বলেছেন: ১০. সম্ভবত আপনি ড্রাগস নেন এবং এ্যালকোহলিকতো বটেই।
৩| ০৬ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১২
রহমান জর্জ বলেছেন: মাইন্ড কইরেন্না। জাস্ট কনট্রোল। সব ঠিক হো জায়েগা। তবে তার জন্য আপনার অনেকগুলা জিনিস জলান্জ্ঞলি দিতে হইবে।
০৬ ই জুন, ২০১০ রাত ১১:১২
আল আমীন দেওয়ান বলেছেন: ভাল বিশ্লেষণ।আমি অস্থির তবে নিয়ন্ত্রিত।আমি কোন ড্রাগ নেইনি কখণই।আমি বিকৃত নই। আমার ঘৃণাবোধ আছে। আমি ড্রাগ কে ঘৃণা করি।তবে আমি মদ পান করি। মদকে আমি ড্রাগ বলি না। ঘৃণা করি অসততাকে। আমি কখনও মিথ্যা বলি না। আমি অবদমন তাড়িত হলে এতগুলো নারীর সঙ্গে আমার যৌণ সর্ম্পক প্রশ্নবিদ্ধ হয় ।আমার চলমান সংস্কৃতির(কাঠামোগত ও আচারগত) প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই।আমি কামুক,এটা ঠিক বলেছেন।আমি কামুকতাকে বিশেষণ মনে করি।পূর্বেই বলেছি আমি আমি উত্তর আধুনিকতার কাঠামোরও অনেকটা বাইরে।আমি ভালবাসতে জানি।কিন্তু আমি ভালবাসিনা।এটাও ঠিক বলেছেন যে,আমি প্রকৃত প্রেমিক নই। আমি প্রেমিক হতে চাই না।বিশ্বাসের কোন মতবাদেই আমি বিশ্বাসী নই।আচরনে আমি খুব কম কথা বলি।শুধু এই একটা কারণেই বলতে পারি পাগল ধরণের তাত্ত্বিক নই।তবে কয়েকটি সেমিনারে বাধ্য হয়েছি ,মনস্তত্ত্বের ত্বত্ত্বীয় বিশ্লেষণ করতে। সেটারও আর সম্ভাবনা নেই ।ভাইরে আমি জীবনে কখনও দোটানায় ভুগিনি।আমি স্টুডেন্ট জীবনে ৫ টি গনমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেছি। প্রতিটিতেই ভাইভা দিয়ে আমি আগের চাকরী ছেড়ে দিয়েছি। আমি অনেক আত্ত্ববিশ্বাসী।তাই দোটানায় ভোগার প্রশ্নই আসে না।আমি এই লাইফ স্টোরির আপাত ব্যাখ্যা আমি করতে পারব না।আমার জীবনে যা ঘটেছে আমি তার উপস্থাপন করেছি মাত্র।বিচার,নৈতিকতা,সাধুতা,যুক্তি অথবা আদর্শে তা যেকোন দিকে যেতে পারে।ধন্যবাদ ,লেখাটি পড়ার জন্য।পরামর্শের জন্য।ভাল থাকুন।
০৬ ই জুন, ২০১০ রাত ১১:২৫
আল আমীন দেওয়ান বলেছেন: দু:খিত বস,,আমি এখনও স্টুডেন্ট। তবে বাংলাদেশের ১ নম্বর একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। আমার চাকরীগুলোর ক্ষেত্রে আমি একটি চুড়ান্ত না হওয়ার আগেই আগেরটি ছেড়ে দিতাম। এটা আমার আত্মবিশ্বাসের একটা উদাহরণ হতে পারে। আমার মতে, অসম্ভব আত্মবিশ্বাসীরা কথনই দোটানায় ভোগে না বা সংশয়বাদী হয় না।আমার তাত্ত্বিক অবস্থানের আমার দেয়া একটি আইডেন্টি আছে, --মৃত্যু- ঘুম-জীবন ও তন্দ্রাচ্ছন্নতার বাইরেও এ যেন কেমন এক অনুভুতি,একে যে নিয়ন্ত্রন করে বা করতে চায় ঐরকম কোন সত্ত্বার যুক্তিযুক্ত অথবা যুক্তিহীন অবস্থান হতে পারে।.......ভাই বোঝাতে না পারলে সরি। অনেক বেশি বলেছি।
৪| ০৭ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:০৭
রহমান জর্জ বলেছেন: দেখেন ভাই, ভালো লাগল আপনার আত্মবিশ্বাস কঠিন বলে ভাবতে পারছেন বলে। তবে আপনি চাকুরীতে ঢোকার আগেই চাকুরী ছেড়ে দেয়ার যে কথাটা বলছেন ওইটা কে আমি কনফিডেন্স বলতে নারাজ। মনের মত চাকুরী ম্যানেজ করা এবং কন্টিনিউ করা দুটাই কঠিন কাম। সত্যি বলতে কি দ্ধিতীয়তাই বেশি কঠিন। কারণ, কারোরই নিয়মিত রুটিনে কাম করতে ভাল্লাগার কথা না। মানুষ কাম করার লাইগ্যা জন্মাইচে না কি ইবাদাত কিংবা প্রকৃতির গুঢ়ার্থ উদ্ধারের লাইগা জন্মাইছে তা ভাবনার বিষয় কিংবা না ভাবনার বিষয়। বাট, আপনি যে ইনচেস্ট বা অগম্যাগমন প্রবণ তা আপনি নিজেই বলেছেন। আর এই জিনিসটা + প্রেমহীন কামুকতা- ই প্রচলিত যে সমাজ ব্যবস্থা সেখানে আপনার ভেতরে অসংখ্য খন্ডিত আপনাকে তৈরি করছে। যেহেতু আপনি এখনও স্টুডেন্ট আমি বলব যে, আপনার এখনও বহুত জিনিস অনুধাবন ও বাস্তবায়ন করার বাকি আছে। আপনি সংশয়বাদী উত্তরাধুনিকতার কথা বলছেন। ভালো কথা। আমি উদারপন্থী উত্তরাধুনিকতার কথা বলি যেখানে শুধু হাওয়ায় ভেসে বেড়ালেই চলবেনা, সকল কাঠামোকে নচ্ছার ভাবা চলবেনা, এবং জীবনকে এত্ত জটিলভাবে নেয়া চলবেনা। আমি জটিল নই বরং আমার যে নানা রকমের সত্তা প্রতিনিয়ত প্রস্তুত হয় সেগুলো কিভাবে মূর্ত হয়ে উঠছে এবং আমার অস্তিত্তে দ্ধৈততা আনয়ন করছে তাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি একাই একলা না বরং সব্বাই একলা। তাই, আমি আমার কষ্টগুলোকে সবার মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে এক ধরণের প্লাস্টিক অনুভূতি হাজির করি এবং ভালো থাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাই এই প্রবোদ দিয়ে যে, আমি অর্থ, বিত্ত, মান, প্রতিপত্তি, কিংবা ভালোবাসার জন্য বেঁচে থাকি না কিংবা কর্ম করি না। আমি বেঁচে থাকি এমন মহতী কিছু করার জন্য যা পুরো পৃথিবী তথা মহাবিশ্বের জন্য কল্যাণকর কিছু একটা উপহার দিবে এবং যার ফল ক্রমান্বয়িকভাবে এনজয় করা যাবে। ধন্যবাদ।
৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৫
প্রিয়অপ্রিয় বলেছেন: !!!!!!!!???????!!!!!!!!
রহমান জর্জ আর তোমার কথপোকথন ভাল হয়েছে।
রহমান জর্জ কে+++
আর তুমি যেমন তা অকপটে বলার জন্য -/+
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৯
রহমান জর্জ বলেছেন: ভাইসাব, আপনে এত্ত কথা কইয়া জাস্ট কয়েকটা কথা কইলেন--
১. আপনি ঘোরতর সংশয়বাদী
২. আপনার তাত্বিক অবস্থানটা শিওর করেন নাই বাট আপনি হিপ্পি/ বিট লক্ষণাক্রান্ত
৩. আপনি অবদমিত যৌনতা তাড়িত এবং আপনার ইনচেস্ট বাতিক আছে
৪. আপনি মনস্তাত্তিকভাবে মনোবিশ্লেষণী পদ্ধতি ব্যবহারের কথা না বললেও আপনার ভাষায় এ ধরণের বিচারমূলক অনুসন্ধানের লক্ষণ আছে
৫. আপনি কখনোই নিজেকে প্রকৃত প্রেমিক অবস্থানে এনে দাঁড়া করাতে পারছেন না; আপনি যতটা না প্রেমিক তার চেয়ে অনেক বেশি কামুক
৬. পলিগামীতার (বিশেষ করে যৌনতা এবং তাত্তিক) অভিশাপ বড় ভয়ংকর।
৭. আপনি অস্থির প্রকৃতির লোক এবং দোটানায় ভূগছেন মানসিক ভারসাম্যতা নিয়ে
৮. আপনি যতটা নিয়ন্ত্রিত ভাবছেন নিজের নিয়ন্ত্রন নিয়ে ততটা নন
৯. আপনি সংশঢবাদী অস্তিত্তবাদী হলেও অস্তিত্তবাদের পজিটিভ দিকগুলো এখনো রপ্ত করতে পারেন নি