![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৮ সালের বন্যার কথা বলছি। নভেম্বর মাস কিন্তু এখনো বন্যার পানি পুরোপুরি সরে যায়নি। বন্যায় রাস্তা ঘাট ভেঙ্গে গেছে। সেই সময় টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর গ্রামের চান মিয়া খুবই চিন্তিত হয়ে আছেন। বাড়িতে পুরুষ ব্যক্তি বলতে একমাত্র সে। তার অনেক দায়িত্ব কারণ তার ভাগনির সন্তান হবে যেকোন মুহুর্তে ব্যথা উঠে যেতে পারে। আশেপাশে কোথাও ডাক্তার নেই, দাই একমাত্র ভরসা। দাইকে খবর দিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি একবার আকাশের দিকে তাকাচ্ছেন আরেকবার রাস্তার দিকে তাকাচ্ছেন যদি হাসপাতালে নিতে হয় তাহলে তো মহা বিপদ। ভাগনির স্বামীও সাথে নাই। ঢাকায় কাজে গেছে। দুপুর গড়িয়ে সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ছে। এমন সময় রসুই ঘর থেকে একটি বাচ্চার কান্নার আওয়াজ আসলো। পুত্র সন্তান হয়েছে আজান দেয়া লাগবে। কিন্তু আলাদা করে আজান দেয়া লাগে নাই। আসরে নামাজের জন্য আহবান করা চারদিকের সকল মসজিদের আজান যেন নতুন ভুমিষ্ট শিশুকে বরণ করে নিল। চান মিয়া আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানালেন। সন্তানের পিতাকে খবর জানানো দরকার। ঢাকায় গিয়ে চান মিয়া সন্তানের বাবাকে খুঁজে পেলেন না। তিনি চিন্তিত হয়ে পড়লেন। বাড়ির প্রতিবেশীকে খবর দিয়ে রাখলেন যাতে বাড়িতে আসা মাত্র টাঙ্গাইলে চলে যায়। পুত্র সন্তান হয়েছে আর পিতা কিনা দূরে তা কি করে হয়? এক সপ্তাহ পর শিশুর পিতা বাড়িতে আসলো এবং পুত্র সন্তানের খবর শুনেই টাঙ্গাইলের পানে ছুটলেন। শিশু পুত্রকে দেখতে চাইলেন কিন্তু গ্রাম্য রেওয়াজ বাধা হয়ে দাঁড়ালো।স্বর্ণ দিয়ে শিশু পুত্রের মুখ দেখতে হবে। শিশুর পিতার তখন এত সামর্থ্য ছিল না স্বর্ণ কেনার। তাহলে কি উপায়? স্বর্ণ ও হলুদ একই ধরনের ধরা হয়। তখন একটি হলুদের টুকরো হাতে নিয়ে শিশুর হাতে দিলেন। সেটি ছিল শিশুর প্রথম উপহার। সেই উপহারটিকে যত্ন সহকারে তার নানী সিকায় তুলে রাখলেন। এভাবে চলে যেতে থাকলো দিন মাস বছর। এভাবে যখন শিশুর আঠারো বছর পূর্ণ হল তখন শিশুর নানী তার হাতে একটি শীর্ণ ও শুকিয়ে যাওয়া একটি হলুদ তুলে দিলেন এবং সেদিনের কথাগুলো পুনব্যক্ত করলেন। ১৮ বছর আগের প্রথম উপহার পাওয়া সেই হলুদ এখন সযত্নে আছে দেখে সেই কিশোরবালক অনেক পুলকিত হল। এরপর লজ্জা পেল যখন সে নানীর বাসনার কথা জানতে পারলো। বাসনা অনুযায়ী এই হলুদ দিয়েই নাতির গায়ে হলুদ দিতে চান। গত ১০ নভেম্বর ২০১২ সেই কিশোরবালক ২৪ বছর অতিক্রম করে ২৫ এ পা দেয়। আজো সেই কিশোরবালক তার নানীর ইচ্ছা পুরণ করতে পারে নাই। আর সেই কিশোরবালক হচ্ছে এই আলামিন মোহাম্মদ
- দোস্ত মোস্তাকিম, আব্বা আম্মা গ্রামের বাড়িতে গেছে। বাসায় একা।
- সৈকত, তোর বাসা খালি?
- হুম, কেন?
- না, তোর বাসা তো কখনো খালি পাওয়া যায় না। এই প্রথম শুনলাম তোর বাসা খালি
- গ্রামের জায়গা জমি নিয়ে একটু সমস্যা। তাই আব্বা-আম্মা গেল।
- কয়দিন খালি থাকবে?
- এক সপ্তাহ পর আসবে
- এক সপ্তাহ?
- হুম
- দোস্ত, চল পার্টি দেই
- কিসের পার্টি?
- শুকনার পার্টি
- :O মাথা খারাপ তোর? বাসায় টের পেলে আমাকে ঘর ছাড়া করবে।
- এত ভয় পাস কেন? আর টেরই বা পাবে কেন? দরজা জানালা খুলে ফ্যান ছেড়ে দিলেই সব গন্ধ চলে যাবে এরপর একটা এয়ার ফ্রেশনার মেরে দিলেই চারদিকে শুধু সুবাস ছড়াতে থাকবে। সিঞ্জনের বাসায় আমরা তো এভাবেই খাই। তার তো এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি।
- শুকনা খেলে হাই উঠে যাবে। এরপর হাই হয়ে কি না কি করে বসি। সোহরাব এর ঘটনা মনে আছে?
- না, সোহরাব কি করেছিল?
- সোহরাব ওদের বাসার ছাদে পারভেজের সাথে শুকনা টেনেছিল। সোহরাব মনে হয় একটু বেশি হাই হয়েছিল। সেতো পারভেজকে জড়িয়ে ধরে বলছে- আমার একটু পুটু মেরে দে। পারভেজ অবাক হয়ে বলেছিল-শালা এগুলা কি বলিস। এরপর সোহরাব যা বলেছিল তা শুনলেও তুই বিশ্বাস করবি না।
- সোহরাব কি বলেছিলো রে? তাড়াতাড়ি বল।
- সোহরাব হাই হয়ে বলেছিল- আমার কালা পটু দেখে তুই পুটু মারবি না?
- দোস্ত, থাম থাম। আগে হাইসা লই।
- এবার তুই বল, আমরা এগুলা খেয়ে সোহরাবের মত ঐ ধরনের পাগলামী করি?
- মামা, হাই হয়ে লাগাতে যা মজা। আলাদা শক্তি পাবা তখন। মামা গণিকালয় থেকে একজন গণিকা নিয়ে আসি। শুকনার সাথে গণিকা। জমবে বেশ।
- গণিকা কি?
- গণিকা বুঝো না? তুমি এগুলা বুঝবা না মামা। জীবনের স্বাদ এখনো তুমি পাও নাই মামা।
- দোস্ত খুলে বল। গণিকা কি?
- তার আগে বলো মামা শুকনার পার্টি করতে দিবা তোমার বাসায়?
- সেটা পরে দেখা যাবে। তুই আগে গণিকার অর্থ বল। তুই জানিস, আমার জ্ঞানের প্রতি অনেক আগ্রহ।
- ওহে জ্ঞান তাপস, আগে কথা দাও আপনি শুকনার পার্টি করতে আপনার বাড়িখানা ব্যবহার করতে দিবেন। আমিও কথা দিচ্ছি এই বিষয়ে আপনাকে জ্ঞান তপস্যা করতে সহায়তা করবো।
- মোস্তাকিম তুই জানিস, আমি জ্ঞান তপস্যা করতে যে কোন কিছুই করতে পারি। যেহেতু গণিকা বিষয়ে আমার কোন জ্ঞান নেই তাই এই বিষয়ে জ্ঞান লাভের জন্য আমি রাজি হচ্ছি। তুই আমাকে গণিকা বিষয়ে জ্ঞান দে।
- যথা আজ্ঞা জ্ঞান তাপস, জ্ঞানের জন্য আপনার এই তপস্যা ইতিহাস হয়ে থাকবে।
- ভণিতা রেখে খুলে বল
- গণিকা মানে বেশ্যা নারী যারা বিভিন্ন পুরুষের সাথে রাত কাটায়
- শালার মোস্তাকিম! আমাকে তোর এতই খারাপ মনে হয়? তোদের সাথে মাঝে মাঝে শুকনা খাই তাই বলে বেশ্যা নারীদের লাগাতে যাব। ছি!
- আগেই ছি! ছি! কইরো না সৈকত ভাইয়া, আগে জ্ঞানের কথা শুনো।
- এর মধ্যে আবার জ্ঞানের কি?
- আছে, আগে শুনো। বাবর পুত্র সম্রাট হুমায়ূন এর নাম শুনেছো?
- হুম
- এই বাবর হিজড়াদের সাথে রাত কাটাতো। আর আগে এক রাজা অন্য রাজাকে উপঢৌকন হিসেবে সুন্দরী হিজড়াদের পাঠাতো। তারা সম্রাট হয়ে হিজড়া লাগালে দোষ হয় না আর আমি তুমি লাগালে দোষ।
- তুই এটা জানলি কি করে?
- হুমায়ূন আহমেদ এর ‘বাদশা নামদার’ বইটা পড়ো সবই জানতে পারবা। নবীন কুমার এর নাম শুনেছো?
- কে সে?
- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর ‘সেই সময়’ বই এর নায়ক। সেও বেশ্যালয়ে যেত ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে।
- হুম, খুবই চিন্তার বিষয়
- আর মামা, বিয়ের পর ফাইনাল ম্যাচ যখন খেলবা এর আগে তো প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলা উচিত। না হলে খেলায় তো হেরে যাবা।
- কিন্তু মামা, আমিতো গণিকার সাথে রাত্রিযাপন এর আগে কখনো করিনি। ভয় লাগেতো।
- এই ভয় দূর করার জন্যই তো করবা। আর শুকনা খেয়ে যখন করবা তখন ভয় ডর কিছুই থাকবো না। এর মধ্যে জ্ঞানের অনেক উপাদান পাবা।
- সত্যি বলছিস?
- সত্যি মানে, এই লাগানোর মধ্যেই সকল জ্ঞান লুকিয়ে আছে।
- মানে?
- সেটা যেতে যেতে বলি। রাত হয়ে গেছে। আগে শুকনা কিনতে হবে এরপর গণিকালয় থেকে সুন্দর চেয়ে গণিকা আনতে হবে। আজকে মামা তুমি পছন্দ করবা। দেখবো তোমার পছন্দ কেমন?
- আমি? আর দোস্ত, ভয় লাগছে। বাসায় যদি টের পায়।
- আরে এত ভয়ের কি? আর তুমি না বলছো জ্ঞান তপস্যা করার জন্য সবকিছু করতে পারবা।
- হুম, আচ্ছা চল। আজকে জ্ঞান তপস্যা করে আসি।
ইমরান আহমেদ দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। একটি তেল কোম্পানির ভালো পদে থাকার ফলে বেশ ভালোই কাঁচা পয়সা কামিয়েছেন। সেই কাঁচা পয়সা দিয়ে পাকা দালান গড়েছেন। ঢাকার কাছেই টঙ্গীতে বাংলোর মত করে বিশাল বাড়ি বানিয়েছেন। তার এই বিশাল সম্পত্তির ভবিষৎ অধিকারী হচ্ছে তার একমাত্র পুত্র সৈকত আহমেদ। নিজে ধর্মীয় অনুশাসনে চলেছেন এবং ছেলেকেও বাধ্য করেছেন। সব সময় কড়া শাসনে রাখেন। আজেবাজে বন্ধু বান্ধবের সাথে চলাফেরা নিষেধ, রাত করে আড্ডা দেয়া নিষেধ, বন্ধুদের বাড়িতে আনা নিষেধ, মোবাইলে বেশিক্ষণ কথা বলা নিষেধ, মেয়েদের সাথে কথা বলা নিষেধ। এত নিষেধের মধ্যে থেকে থেকে সৈকতের জীবন ছিল ওষ্ঠাগত।
যেখানে বেশি কড়া নিয়ম সেখানেই বেশি নিয়ম ভাঙ্গা হয়। যেমন আমার বেশির ভাগ ক্যাডেট বন্ধুরা সিগারেট ফুঁকে। তাদের যখন জিজ্ঞেস করি এই তোরা সিগারেট কেন ফুঁকিস তখন তাদের উত্তর থাকে- ক্যাডেট কলেজের ধূমপান নিষেধ এই ধরনের কড়া নিয়মের ভেতর সিগারেট ফুঁকে তারা এডভেঞ্চার এর অনুভূতি পায়। যখন সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে সিগারেট ফুঁকতে পারে তখন নিজের ভেতর বিজয়ের অনুভূতি খেলা করে। সৈকতের বেলাও একই কথা প্রযোজ্য। তার পিতার কড়া শাসন আর কঠিন নিয়মের ভেতর থেকে থেকে সেও এর ভেতর এডভেঞ্চার খুঁজে ফিরে।
এর আগে বন্ধুদের চাপে শুকনার অভিজ্ঞতা নেয়া হলেও আজ সৈকতের প্রথম একজন গণিকার সাথে সহবাস ঘটতে যাচ্ছে। তাও আবার তার বাংলোতে! তার পিতার কঠিন নিয়মের সেই বাংলোতে আজ গণিকা প্রবেশ করবে, শুকনার ধোঁয়ায় সেই কঠিন নিয়ম ধূলিসাৎ হবে এর জন্য সৈকত নিজের ভেতর আলাদা আনন্দ পাচ্ছে।
ছোটবেলা থেকেই জ্ঞানের প্রতি অনেক আগ্রহ আর ঝোঁক সৈকতের। অজানাকে জানা, অচেনাকে চেনা, অদেখাকে দেখা এইগুলোর জন্য সৈকতের আগ্রহ কোন অংশে কম নয়। আর সৈকত একটি জিনিস বিশ্বাস করে জ্ঞানের কোন পর্দা রাখা উচিত না। জ্ঞান হবে নগ্ন। এটাকে সবাই দেখতে পারবে। জ্ঞান হবে বহতা নদীর মত এটাকে বাঁধ দিয়ে আটকানো উচিত না। এই নগ্ন জ্ঞানের সৌন্দর্য আর বহতা জ্ঞান নদীর পানি পান করার জন্য এর কাছে যেতে হবে। কিন্তু তার পিতার কঠিন শাসনের বেড়াজালে তার এই জ্ঞান তপস্যা বারবার বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছিল।
সৈকতের বন্ধুদের মধ্যে মোস্তাকিমকে সৈকতের অনেক পছন্দের। কিভাবে যেন মোস্তাকিম অনেক বিষয়ে জ্ঞান রাখে। পিতার কঠিন শাসনে নারী সঙ্গ বেশি পায়নি সে। তাই নারী দেহের যে রহস্য আছে তা মোস্তাকিমের মাধ্যমেই সে জানত। মোস্তাকিম যখন একজন নারীর সাথে রাত কাটানোর প্রস্তাব দিলো তখন তার অনেক মেজাজ খারাপ হয়েছিল। সে একটি মেয়েকে ধর্ষণ করবে? তার পর্দা দিয়ে ঢাকা গোপন সৌন্দর্য উন্মুক্ত করে তা মারিয়ে আসবে। কিন্তু সৈকত যখন বললো- জ্ঞানলোভে যখন পর্দা ঢাকা সৌন্দর্য অবলোকন করা হয় তখন ঐটাকে ধর্ষণ বলে না ঐটাকে বলে অভিসার। অভিসারের মিলনে ভালোবাসা থাকে, এঁকে অপরকে জানার আগ্রহ থাকে কোন কামুকতা থাকে না। মোস্তাকিমের যুক্তি মনঃপুত না হলে সে যখন ইতস্তত করছিল তখন মোস্তাকিম শেষ যে যুক্তি দিল তাতেই সৈকত তার প্রথম অভিসারের জন্য সম্মতি দিল। চিত্রশিল্পী অনেক সময় চিত্র আঁকতে নগ্ন মেয়েদের মডেল হিসেবে ব্যবহার করেন। চিত্রশিল্পী সেই নগ্ন দেহ থেকে সৌন্দর্য খুঁজে বের করে নিয়ে আসেন। সেই নগ্ন মডেলের সাথে মিলনে লিপ্ত হন, এই মিলনে কামুকতা থাকে না থাকে সৌন্দর্য খোঁজার বাসনা। তুই গণিকার সাথে রাত কাটাবি জ্ঞান খোঁজার নিমিত্তে এতে কামুকতা থাকবে না থাকবে ভালোবাসা। তাই তোর এই মিলনকে অভিসার নাম দেয়াই যুক্তিযুক্ত। মোস্তাকিমের এই যুক্তি জ্ঞান তপস্যাকারী সৈকতের মনে ধরে গেল। সে নিজের মনে বলে গেল আজ রাত হবে সৈকতের অভিসার।
ঢাকা শহরে গণিকা পাওয়ার চেয়ে শুকনা কেনা অনেক কষ্টের। শুকনা কিনলে পুলিশের ভয় আছে। কিনতে হয় লুকিয়ে। শুকনা সাধারণত বিক্রি হয় ছোট কাগজের পুটলিতে করে। প্রতিটি পুটলির দাম ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ২০০ টাকা এভাবে। ৫০ টাকার একটি পুটলি দিয়ে ৪ টি স্টিক বানানো যায়। সারা রাত ধরে শুকনার ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস নেয়া হবে দেখে ২০০ টাকার পুটলি কেনা হল। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে শুকনা কিনতে পারলেও গনিকা পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া যাচ্ছে না বলাটা ভুল পছন্দ হচ্ছে না। সৈকত তার অভিসার করতে চায় শিক্ষিতা আর সুন্দরী গণিকার সাথে। মোস্তাকিম টিপ্পনী কেটে বলেছিল
- তুই কি গণিকাকে প্রেয়সী বানিয়ে ফেলবি নাকি?
- যা শালা, প্রথম অভিসার। শিক্ষিতা মেয়ে চাই কারণ তাদের ব্যবহার ভালো আর আমার উদ্দেশ্য বুঝবে আর সুন্দরী না হলে আমার আবার ঐটা দাঁড়ায় না।
সৈকতের এই কথায় মোস্তাকিম হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেয়ে বলল- মামা, বাতি বন্ধ করলে ঐশ্বরিয়া রায় আর আফ্রিকার নিগ্রো সবই এক। ঠিক জায়গায় স্পর্শ করলে ঠিকই দাঁড়িয়ে যাবে।
এই কথায় সৈকত একটি লজ্জাময় হাসি দিল। এরপর সে কৌতুহলের সাথে প্রশ্ন করলো- রাস্তায় এত মেয়ে মানুষের মধ্যে কোনজন গণিকা তা চিনবো কি করে?
মোস্তাকিম যখন গণিকা চেনার উপায় বলে দিলো তখন সৈকত এত অবাক হল তা বলার মত নয়। সে বিস্ময়ে বলে দিল-দোস্ত তুই এত জ্ঞান কিভাবে রাখিস?
মোস্তাকিম সলজ্জ একটি হাসি দিল।
মোস্তাকিমের কথামত সে কাঁধে ভ্যানিটি ব্যাগ ঝুলানো, ঠোঁটে গাঢ় লিপিস্টিক লাগানো এবং ছেলেদের দিকে তাকিয়ে থাকা মেয়ে খুঁজতে লাগলো। এই ধরনের কোন মেয়ে দেখলেই সে কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করছে
- আপনি ফ্রি আছেন আজ রাতে?
এই প্রশ্নশুনে অনেক মেয়েই রাগতস্বরে বলে - ফ্রি না থাকলে রাস্তায় এভাবে দাঁড়িয়ে থাকি।
সৈকত এতে একটু ইতস্তত হয়ে বলে- আপনি কি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।
এতে মেয়েটি রেগে বলে- রাখেন আপনার পড়াশোনা, আগে বলেন টিপবেন না লাগাবেন। দুইটার দুই রেট।
এমন ব্যবহারে সৈকত আশাহত হয়ে ফিরে আসে। তার মেজাজ বিগড়ে যায়। মোস্তাকিম যতই বলে একটা হলেই হয়েছে কিন্তু সৈকত মানতে চায় না। সে বলে অসুন্দরী মেয়েদের সাথে সহবাস তার রুচিতে আসবে না। ঢাকা শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট তন্ন তন্ন করে খুঁজেও যখন পছন্দের গণিকা পাচ্ছিলো না তখন সৈকত আফসোস এর সুরে বলেছিলো- আজ আমার অভিসার হবে না। আমার জ্ঞান সাধনা হবে না। চল আজ শুধু শুকনার পার্টি করি।
বন্ধুর জোড়াজুড়িতে তারা যখন টঙ্গীর বাংলোতে ফিরে যাচ্ছিলো তখনই তখনই বিমানবন্দরের সামনে মোস্তাকিমের বৈশিষ্ট্যমত একটি মেয়ের দেখা মিলে। সেই মেয়ের দিকে তাকিয়ে সে বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। এত সুন্দরী একজন মেয়ে গণিকা তা অবিশ্বাস্য! আমি ওর কাহিনী জানতে চাই। কেন সে এই পথে? সৈকত আর মোস্তাকিম ঐ সুন্দরী মেয়েটির নিকট চলে গেল তাকে আজ রাতের জন্য দরকষাকষি করতে। আর তখনই শুরু হল সৈকতের অভিসারের সূচনা।
নিয়ন আলোতে মানুষের চেহারায় একটি মায়াবি আভা সৃষ্টি হয়। এই আভা ভালোবাসার চাহিদাকে প্রভাবিত করে। তাই অনেকেই তাদের শয়ন কক্ষে নিয়ন আলোর মৃদু বাতি লাগায়। ঘুমানোর সময় এই বাতি জ্বালিয়ে তারা জৈবিক চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত হয় আর এই জৈবিক চাহিদা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এই নিয়ন আলো। সৈকত বুঝে পায় না সরকার রাস্তায় রাস্তায় নিয়ন বাতি কেন লাগিয়েছে? মোস্তাকিম সৈকতের এই ভাবনায় টিপ্পনী কেটে বলে –সরকারও বুঝে গণিকাদের দুঃখ। তারা যাতে সহজেই ক্রেতা পায় এরজন্যই সরকার নিয়ন বাতি লাগিয়েছে।
মোস্তাকিমের এই উক্তিতে সৈকত হাসে। তাদের একটু সামনেই একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে মেয়ে বলা ভুল সে এখন গণিকা। কেউ পুলিশে চাকরি করলে সে মানুষ থেকে পুলিশ হয়ে যায় কারণ কোন দুর্ঘটনায় দুজন মানুষ নিহত হলে এবং এর মধ্যে একজন পুলিশ থাকলে এই দুর্ঘটনার শিরোনাম হবে- দুর্ঘটনায় একজন পুলিশসহ দুজন নিহত। ঠিক তেমনি মেয়েরা গণিকা হলে সে আর মেয়ে থাকে না গণিকা হয়ে যায়।
নিয়ন বাতির নিচে আকাশী রঙের শাড়ি পড়া যে মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে তাকে প্রথম দেখায় যে কেউ ধাক্কা খাবে। পুরুষ্ঠ বুক, কাজল টানা চোখ, নাভির উপর ঢেউ খেলানো ঝিকিমিক। সেই ঝিকিমিকির দিকে একবার চোখ পড়লেই সেই চোখ ফিরিয়ে নেয়া অসম্ভব। আর সেই ঢেউ খেলানো ঝিকিমিক নাভির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেই নিজের কাম জেগে উঠবে। তাকে শান্ত করা কঠিন হয়ে পড়বে। স্বীকার করতেই হবে মেয়েটির ব্যবসায়িক জ্ঞান ভালো। সে জানে তার ক্রেতাকে কিভাবে আকৃষ্ট করতে হবে। দুঃখের বিষয় এই ব্যবসায়িক জ্ঞান অন্য কোন ব্যবসায় কাজে লাগালে সবার বাহবা পেত মেয়েটি কিন্তু এই ব্যবসায়ে কেউ বাহবা দিবে না। সবাই নটি বলে নাক উচু করে চলে আসবে। এটাও একটা পেশা, এখানেও বিবিএ এর পড়াশোনার বিষয় প্রয়োগ করা যায় এটা কেউ বুঝে না।
সৈকত আর মোস্তাকিম যতই মেয়েটির কাছে যাচ্ছে ততই মেয়েটির সৌন্দর্য নতুন রূপে ধরা দিচ্ছে। কাজল টানা সেই চোখ দিয়ে মেয়েটি যখন একটি হাসি দিল সাথে সাথেই সৈকত অস্ফুষ্ট স্বরে আহ বলে উঠলো। এই মেয়েটিকেই তো চাই আজ রাতে। আমার জ্ঞান তপস্যা হবে আজ এই নাম জানা মেয়েটিকে দিয়েই। যতই টাকা সে দাবী করুক তাকে সে আজ বাসায় নিয়ে যাবেই। চোখ দিয়েও যে সুন্দর করে হাসা যায় তা আজ সৈকত প্রথম জানলো। চোখ দিয়ে হাসির এই জ্ঞান সে পেত না যদি না সে এখানে আসত। সে মনে মনে মোস্তাকিমকে ধন্যবাদ দিল। ধন্যবাদ দোস্ত, তোর কারণে আজ নতুন নতুন জ্ঞান লাভ করতে পারছি। জ্ঞানই হচ্ছে শক্তি। সৈকত আর মোস্তাকিম কিছু বলার আগেই মেয়েটি একটি হাসি দিয়ে বলে উঠলো
- আমি শিউলী, বলুন আজকের রাতটিকে কিভাবে আপনাদের জন্য আনন্দময় করতে পারি।
মেয়েটির এই কথায় চারদিকে শিউলীর সুবাস ছড়িয়ে পড়লো। আ মাইরি বলছি, মেয়েটি অছাম। এত সুন্দর করে কোন গণিকাকে কথা বলতে দেখিনি। সৈকত উত্তেজিত হয়ে বলল- আজ রাতে শিউলীর সুবাস নিতে চাই। তুমি কি সেই সুযোগ দিবে?
মেয়েটি আবারও তার চোখ দিয়ে হেসে বলল- দেখুন আমি সুযোগ একজনকে দিতে পারবো দুইজনকে নয়। আমি পরিপূর্ণ ক্রেতা সন্তুষ্টিতে বিশ্বাসী। অল্প বিক্রি কিন্তু পরিপূর্ণ তুষ্টি।
আহা মরি মরি, মেয়েটি কত সুন্দর করে কথা বলেরে! আর বলো না, নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না নিজেকে। দোস্ত মোস্তাকিম তুই আজকে অফ যা, আজ আমি শিউলীর সুবাস নেই তুই শুকনার সুবাস নিস। মোস্তাকিম তার বন্ধুর উত্তেজনা দেখে বেশ অবাক হল। সে বন্ধুকে বলল
-দোস্ত শান্ত হ, এত উত্তেজিত কেন?
- কি বলিস? আজ আমার শিরায় শিরায় উত্তেজনা। তুই ২০০ টাকার শুকনা একাই টানিস আর আমি তোকে দেখিয়ে দেখিয়ে শিউলীর সুবাস নিব হা হা
সৈকতের এই কথায় মেয়েটি চোখ দিয়ে হেসে বলল- আপনাদের কথায় আবারও একটু হস্তক্ষেপ করি। আমার কিছু গোপন কৌশল আছে যা শুধু ক্রেতাকে দেখাই কোন দর্শককে দেখাই না। আমার সুবাস বিতরণের সময় কোন দর্শক রাখতে পারবো না দেখে দুঃখ প্রকাশ করছি।
তীর বুকে এসে বিধঁলো গো। আর বলো না এত সুন্দর করে কথা। নিজেকে পারছি না আর আটকাতে। তোমার কথাই সই। মোস্তাকিম তুই ছাদে বসে আকাশের চাঁদকে সঙ্গী করে শুকনার ধোঁয়া নিও।
এত সুন্দর প্রফেশনাল গণিকা সৈকত এর আগে কখনো দেখিনি। সে তার বিবিএ এর মার্কেটিং কোর্সে ক্রেতা সন্তুষ্টি সম্পর্কে অনেক তাত্ত্বিক পড়াশোনা করেছে আজ এই মেয়েটির কাছে থেকে ব্যবহারিক জ্ঞান পেল। কোন জ্ঞানই তুচ্ছ নয়। নিজেকে আজ অনেক বিজয়ী মনে হচ্ছে। অনেক স্বাধীন মনে হচ্ছে। আজ পিতার কড়া নিয়ম নেই। তাকে বাঁধা দেয়ার কেউ নেই। আজ শিউলীর সুবাসে সে সুবাসিত হবে। জীবনের প্রথম গণিকার সাথে বসবাস তার পরম স্মৃতি হয়ে থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু কয়েক ঘন্টার পর সৈকতের জীবনে কি চরম সত্য অপেক্ষা করছে তা যদি সৈকত জানত তা হলে শিউলীকে সেখানেই রেখে আসত তার বাংলোতে প্রবেশ করতে দিত না। সৈকতের অভিসার এর সংকটময় মুহুর্ত শুরু হল শিউলীকে পছন্দ করার মাধ্যমে। সেই ঘটনায় ধীরে ধীরে আসছি।
আকাশে পূর্ন শশী মেঘের আড়াল থেকে একটু পর উঁকি দিচ্ছে। শিউলীকে তার বাংলোয় আনার পর সেও একটু পর উঁকি দিচ্ছে। তাকে যখন ধরতে যাবে তখনই সে একটি মুচকি হাসি দিয়ে আড়াল হয়ে যাচ্ছে। এরপর একটু অভিমান করে মুখ গোমরা করলে সাথে সাথে মেঘের আড়াল থেকে চাঁদের উকির মত সেও তাকে খোঁচা দিয়ে কাছে আসছে। এরপর ধরে একটু আদর করতে গেলেই আবার সে আড়াল হয়ে যাচ্ছে। সৈকতের প্রথম অভিসার কি এভাবেই লুকোচুরি খেলেই পাড় হবে? ঐদিকে মোস্তাকিম ছাদে বসে একের পর এক শুকনার ধোঁয়া ছড়িয়ে যাচ্ছে। সেই ধোঁয়ায় তার নিজের ভেতরই কেমন যেন নেশা নেশা ধরে গেছে। সৈকত বেশ অভিমান করেই বলে ফেললো-এভাবে খেলবো না। আমি তোমাকে কষ্ট দিবো না। আমি তোমার কাছ থেকে শুধু জ্ঞানের রস নিতে চাই।
জ্ঞানের রস শুনে শিউলী খিল খিল করে হেসে উঠলো। জ্ঞানের রস নিতে চাও! কিন্তু সেটাতো পাওয়া এত সহজ নয়।
মোস্তাকিম বলল- আমাকে সহজ করে শিখাও তাহলে
- তুমি কি আমার ছাত্র?
- তোমার মত সুন্দরী শিক্ষিকা পেলে আমি ছাত্র হতে রাজি
- হা হা, তা বলো তুমি কোন ধরনের জ্ঞান রস নিতে চাও?
- তোমার কাছে যে যে রস আছে, তার সবই চাই
- এত রস নিতে পারবে?
- আজ আমি জগতের সকল জ্ঞান রস নিতে প্রস্তুত।
- ঠিক আছে বৎস, তুমি কোন কথা না বলে মনোযোগী ছাত্র হও, আমি আমার ক্লাস শুরু করি
সৈকতের ঘরে মৃদু নিয়নবাতি জ্বলছে। সেই মৃদু নিয়ন আলোতে একটি ময়ুর নৃত্য করে চলছে। সৈকত ধীরে ধীরে তার বস্ত্র একটি একটি করে খুলে ময়ূরের দিকে ছুড়ে মারছে। এভাবে সে যখন একদম দিগম্বর হয়ে গেল তখন ময়ুরটি নিয়ন বাতি বন্ধ করে সৈকতকে জাপটে ধরলো।
সকাল দশটা বাজে। ঘরময় কাপড় ছড়ানো। সৈকত দিগম্বর হয়ে শুয়ে আছে। সৈকতের ঘুম ভাঙ্গলো মোস্তাকিমের পানির ছিটায়। সে ঘুম ভেঙ্গেই নিজের এমন দিগম্বর অবস্থা দেখে লজ্জা পেয়ে যখন তার শিশ্নের দিকে তাকালো তখনই সেখানে একটি কাগজ সুতা দিয়ে বাঁধা দেখতে পেল। বন্ধুর সামনে তার শিশ্ন থেকে কাগজটি খুলতে লজ্জা পেলে মোস্তাকিম বলে উঠলো- কি হয়েছেরে রাতে? ছাদের গেইট কে লাগিয়েছে? আমি সকালে উঠে অনেক আওয়াজ করলাম কেউ খুললো না। এরপর বাড়ির পিছনের পাইপ বেয়ে নিচে নেমে আসলাম।
মোস্তাকিমের মুখে এমন বর্ণনা শুনে সৈকত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। রাতের ঘটনা তার কিছুই মনে নেই। তার শুধু মনে আছে শিউলী তাকে ময়ুর নৃত্য করে দেখাচ্ছিল এরপরেই হঠাৎ করে কেমন যেন অন্ধকার হয়ে গেল তার কিছুই মনে নেই।
মোস্তাকিম বলে উঠলো- এই কাগজ কোন চিঠি হতে পারে
- যে গিট্টু দিয়েছে, খুলছে নাতো?
- দাঁড়া, আমি সাহায্য করছি
- তুই আমার ইসে হাত দিবি, আমিই খুলছি
- সামান্য শিউলির সুবাসই নিতে পারলা না আর তুমি গিট্টু খুলতে আইছো
বন্ধুর ভৎসর্নায় সৈকত একটা হ্যাচকা টানে গিট্টু খুলতে পারলো। এরপর ভাঁজ করা কাগজটি খুলে দেখে সেখানে কিছু লেখা। সেই লেখা পড়ে সৈকতের চোখে টল টল পানি পড়তে লাগলো। সে বলে উঠলো- সকল জ্ঞান সবার জন্য না। এরপর মোস্তাকিম সৈকতের হাত থেকে চিঠিটা নিয়ে পড়তে আরম্ভ করলো
প্রিয় জ্ঞান তাপস,
আজকের ঘটনাই আপনার জীবনে সবচেয়ে বড় জ্ঞান হয়ে থাকবে বলে আশা করি। আপনার বাসা থেকে বেশি কিছু না- এই পাঁচ লক্ষ টাকা, পাঁচ ভরি স্বর্ণ আর ফ্রিজ থেকে তিনটি মিষ্টি (বিশেষ পছন্দ) জ্ঞানের সম্মানী হিসেবে নিয়ে গেলাম।
ইতি
আপনার সুন্দরী শিক্ষিকা
শিউলী
মোস্তাকিম যখন চিঠিটি পড়ে সৈকতের দিকে নিঃশব্দে ভ্যাবলার মত তাকিয়ে ছিল তখনই নিঃশব্দ ভেঙ্গে সৈকতের মোবাইল বেজে উঠলো। সৈকত তার মোবাইল হাতে নিয়েই পিলে চমকে উঠার মত দেখলো তার বাবা ফোন দিয়েছে। এই মুহুর্তে ফোন রিসিভ না করলে তাকে বারো টা বাজিয়ে ছাড়বে। তার পিতার কঠিন আদেশ ছিল ২ ঘন্টা পর পর তাকে ফোন দিয়ে সব খবর জানানো। কিন্তু গতকাল থেকে এই কাজ সে একবারও করেনি। সৈকত দিগম্বর অবস্থায় ফোনটি রিসিভ করলো,
- হ্যালো আব্বু!
- গতকাল রাত থেকে গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না আর এদিকে আমার মোবাইলে চার্জও ছিলো না, তুমি এখন কোথায়?
- আব্বু বাসায়
- তোমার কন্ঠ এমন শোনাচ্ছে কেন ?
- কেমন আব্বু?
- কি হয়েছে ঠিক করে বলো।
- আব্বু, তোমার পাঁচ লাখ কাঁচা পয়সা গায়েব হয়ে গেছে
- মানে? কিভাবে হল? তুমি বাসায় ছিলে না?
- আব্বু, মোস্তাকিম বাসায় এসেছিল। সে আমাকে কি খাইয়ে অজ্ঞান করে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে গায়েব হয়ে গেছে
- তোমাকে বার বার বলেছি কোন বন্ধু বান্ধব বাসায় নিয়ে আসতে না। ঠিক আছে, আমি আজকেই ঢাকায় আসতেছি। তোমার ঐ বন্ধুকে চৌদ্দ শিকের ভাত খাওয়াবো
সৈকতের এই কথায় মোস্তাকিমের ভেতর একটা শীতল বাতাস প্রবাহিত হয়ে গেল। কি বলছে এইসব সৈকত? সৈকত তার মোবাইল রেখে মোস্তাকিমের দিকে তাকিয়ে বললো- এতদিন তোর জ্ঞান বুদ্ধি নিয়ে চলেছি, আজ নিজের জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে এই কাজটি করলাম। আর গতকালের ঘটনার পর আমি বুঝে গেছি- দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ। তোর মত বন্ধু আমার দরকার নেই।
মোস্তাকিম বন্ধুর শিশ্নে একটা লাথি মেরে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে গেল। কিন্তু দৌড়ে আর কোথায় পালাবে? শিউলী যে তারই প্রেমিকা।
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:২৮
ডার্ক ম্যান বলেছেন: দারুন।মানুষের জীবনে সবচেয়ে ক্ষতিকারক প্রাণী হচ্ছে তার বন্ধু।
৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪৭
আজীব ০০৭ বলেছেন: কিন্তু দৌড়ে আর কোথায় পালাবে? শিউলী যে তারই প্রেমিকা।
খুবই চমৎকার.....মজা পেলাম
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:১২
হেডস্যার বলেছেন:
দারুন হইছে মাইরি.....খুবই চমৎকার.....মজা পেলাম