![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনই হচ্ছে এ কঠিন পরীক্ষাক্ষেত্রে আমাদের প্রথম ও প্রধান প্রয়োজন। এ সম্পর্ক তার প্রত্যাশিত সর্বনিম্নমানের নীচে নেমে আসলে আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টা ও তৎপরতা দুনিয়াদারীর রঙে রঙিন হয়ে উঠবে এবং শয়তানের জন্য আমাদের হৃদয়-মনের সমস্ত দুয়ার খুলে যেতে পারে। অতঃপর গোনাহের সৈন্যদের বিবেকের দুর্গাভ্যন্তরে প্রবেশের পথে আর কোন বাঁধা থাকে না। আল্লাহর সাথে সম্পর্ককে প্রতিষ্ঠিত রাখার এবং তাকে ভবিষ্যত বিভিন্ন পর্যায়ের প্রয়োজন অনুযায়ী তরক্কী দেবার জন্য কমপক্ষে নিম্নলিখিত বিষয় সমূহের প্রতি অধিক দৃষ্টিদান অপরিহার্যঃ
আল্লাহ তায়ালা নামাজ, রোজা, হজ্ব ও যাকাত অনুষ্ঠানের জন্য যে সকল বিধি-বিধান দান করেছেন এবং এগুলোর মাধ্যমে যে সকল অবস্থা সৃষ্টির প্রত্যাশা করেন; কুরআন ও হাদীসের সাহায্যে আমাদের সহযোগীদের সেগুলো অবগত হওয়া, অতঃপর সে সব যথাযথ ভাবে সম্পাদনের ব্যবস্থা করা উচিত। বিশেষ করে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে সময়ের প্রতি কঠোর দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। জামায়াতের সাথে নামাজ আদায়ের লোভ যদি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি না হয় তাহলে নামাজে আল্লাহভীতি, নতি ও বিনম্র ভাব সৃষ্টি হওয়া কঠিন। এ কথাও মনে রাখা দরকার যে, ইবাদতের সাথে সাথে আত্মবিচারে অভ্যস্ত না হলে ইবাদতের মধ্যে প্রাণ সঞ্চার সম্ভব নয়। আত্মবিচারের অনুপস্থিতিতে ইবাদতের বাইরের কাঠামো যতই পূর্ণাঙ্গ হোক না কেন তা অন্তঃসারশুণ্যই থেকে যায়।
যে আদর্শ ও মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা প্রচেষ্টারত তার তাৎপর্য ও দাবীসমূহ সরাসরি তার আসল উৎস থেকে জানবার জন্য আমাদেরকে কিছু সময় অন্তত এক-আধ ঘন্টা বা পনের-বিশ মিনিট ব্যয় করা উচিত। খুব বেশী সম্ভব না হলেও প্রত্যহ মাত্র একটি আয়াত ও একটি হাদীস পাঠ করি, তার অর্থ পুরোপুরি অনুধাবন করে বাস্তব জীবনে তাকে কার্যকরী করতে প্রয়াস পাই; তাহলে ইনশাআল্লাহ হকের এ ঔষধগুলো পরিমানের স্বল্পতা সত্ত্বেও তাদের ধারাবাহিকতার কারণে আমাদেরকে আদর্শবিরোধী পরিবেশের বিষবাষ্প থেকে রক্ষা করবে।
আল্লাহর সাথে সম্পর্ককে সুদৃঢ় করার উদ্দেশ্যে নফল ইবাদতের উপর যথাসম্ভব গুরুত্বারোপ করা প্রতি যুগের খাটি মুসলামানের জন্য অপরিহার্য বিবেচিত হয়ে এসেছে। নফল ইবাদত নিয়মিতভাবে করা এবং এ ব্যাপারে বিশেষ করে গোপনীয়তা রক্ষা করা প্রয়োজন। নফল ইবাদতের মধ্যে নফল নামাজ, বিশেষ করে তাহাজ্জুদ নামাজের স্থান অতি উচ্চে। তাহাজ্জুদ নামাজ ইসলামী মুসলমান সৈনিকদের জন্য কঠিন পর্যায় অতিক্রমে সর্বোত্তম সহায়কে পরিণত হয়।
নফল ইবাদতের মধ্যে দ্বিতীয় হচ্ছে নফল রোজার। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করার জন্য এটি উত্তম উপায়। মাসে তিনদিন রোজা রাখা সুন্নত, বরং এক যুগ রোজা রাখার সমান। এছাড়াও হাদীসে বিশেষ বিশেষ দিবসে রোজা রাখাকে পছন্দনীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মোটামুটিভাবে এ ব্যাপারে নরম নীতি অবলম্বিত হয়েছে। প্রতি দশ দিনে বা প্রতিমাসে একদিন নফল রোজা রাখা যেতে পারে।
নফল ইবাদতের মধ্যে আল্লাহর পথে ব্যয় করার প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজের উপার্জন তথা অর্থের একটি অংশ দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োগ করার জন্য পৃথক করে রাখতে অভ্যস্ত হতে হবে। এছাড়া আমাদের দায়িত্বের মূল পানি সিঞ্চন করার দ্বিতীয় কোন পথ নেই। বরং এ কথা বলা অত্যুক্তি হবে না যে, বর্তমান কাজের এমন সব পর্যায় দেখা দিচ্ছে যেখানে হয়ত নিজের সৌন্দর্যোপকরণসমূহ বিক্রি করে আল্লাহর দ্বীনের জন্য রসদ যোগাতে হবে। আমরা জানি আমাদের বন্ধুদের অধিকাংশই গরীব, মুষ্টিমেয় কয়েকজন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর এবং পার্থিব স্বার্থ থেকে দূরে অবস্থানকারী। এ কাজের পিছনে ধণি শ্রেনীর কোন সমর্থন নেই। এ অবস্থায় আমাদের সমর্থকগণ যে পর্যায়ের আর্থিক কুরবানী করে বায়তুলমালকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, কোন পার্থিব স্বার্থভোগী দল তার নজির পেশ করতে পারবে না। কিন্তু আল্লাহ জানেন, নবীর (স) সাহাবাগণ আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় করার যে নজির উপস্থাপন করেছেন আমাদের এ আর্থিক কুরবানী তার তুলনায় এখনও অনেক নিম্নমানের। চিন্তা করুন! বর্তমানে আমরা যে নাজুক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছি, সেখানে যদি বায়তুলমালে প্রয়োজনীয় পরিমান খাদ্য সরবরাহ না হওয়ার কারণে কাজের গতি শিরা-উপশিরায় রক্ত সঞ্চালিত হতে না পারে এবং নিছক এতটুকুন কারণে আমাদের আসল উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়ে যায়, তাহলে আল্লাহর নিকট আমরা কি জবাব দেব ? তাই আমাদের আল্লাহর পথে অর্থব্যয় করার প্রেরণাকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
আসুন আমরা মুসলমান হিসাবে চিন্তা করি আমাদের প্রকৃত দায়িত্ব কি?কি দায়িত্ব নিয়া আমরা দুনিয়াতে এসেছি?এতার সঠিক উত্তর যদি আমরা নিজেকে নিজে দিতে পারি তাহলে আসুন আজকে থেকেই আমার আমাদের দায়িত্বের ব্যাপারে সজাগ হই এবং আল্লাহ সাথে সম্পর্ক বাড়ানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় আত্মনিয়োগ করি।আল্লাহ আমাদের কে চুরান্ত সফলতা অর্জন করার তৌফিক দান করুন-আমীন।
তথ্যসুত্রঃ-ইসলাম ডট নেট ডট বিডি
২৭ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:২৫
আল-আমিন বলেছেন: চেষ্টা করবো
দোয়া করবেন
ধন্যবাদ আপনাকে
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৩৬
গফরগাঁওফোরাম বলেছেন: পোস্টের মন্তব্য মডারেটেড থাকার জন্যে ধন্যবাদ
কারন মন্তব্যের মাধ্যমে কুরআন ও হাদিসের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে বিভিন্ন ব্লকাররা । এটা বড় ধংসাক্তক ও দু:খজনক ।
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৫৭
মুর্তজা হাসান খালিদ বলেছেন: বিশ্বে যা শুরু হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে আমার আদর্শ বা ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকাটা দু:সাধ্য
মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে পারবো কি ? আল্লাহ্ ক্ষমা করো আমাদের, ক্ষমা করো প্রভু, শান্তি দাও বিশ্বে, অমোঘ শান্তি !!!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:১৭
গফরগাঁওফোরাম বলেছেন: আল-আমিন ভাই চালিয়ে যান