নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলামিনস্টাইন

সুস্থবিজ্ঞানের চর্চা করতে চাই

আলামিনস্টাইন

অন্তর দিয়ে প্রকৃতিকে দেখো, তুমি সবই দ্রুত বুঝতে পারবে।

আলামিনস্টাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাচা ভাতিজার কিচ্ছা-কাহিনী

০৯ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১২:২২





দুইটা কানের লতির মইধ্যে ধইরা রাখছে আমার ছোট ভাতিজাটা। তার শর্ত পূরন না করা পর্যন্তই হের আন্দোলন চলবই।







এহন কি করি?

“বাবারে ঘুম থেকইকা উইঠা তোরে লাখ লাখ কিচ্ছা শুনাইয়াম, এহন তুই আমারে ছাইরা দে।” ভাতিজাতা ঠিক আমাগো নেএীর মত কইল “না আমরা রাজপথ ছাড়ি নাই আর ছাড় বো না”। হেরে কই তুই রাজপথ কইপাইলি এইটা তো বিছানা। জবাবে হে কইল “নেতারারে তো দেহি মন্চে চিল্লায়, তয় রাজপথ কয় কেন।”



বুঝলাম আজইকা কপালে শনি আছে। কাচা আর মিষ্টি কথার বুলিতে হে আজ ভুলবো না। কথা আর না বাড়াইয়া বললাম “ক দেহি কার কিচ্ছা হুনবি- রাজা-রানী, ভুতের, জ্বীন-পরী, নাকি হাসির কোন কিচ্ছা। কোনডা শুনবি?“

লাজুক একটা হাসি দিয়া হে কইল “ভুতের কিচ্ছা কও।”

শুর করলাম ভুতে কিচ্ছা “এককককক.... দেশে আছিল একটা ভুত। ভুততা থাকতো একটা জঙ্গলে। ভুতের নামডা আছিল ত্রাহী ................

---ওই যে একটা দেশ

আমার কিচ্ছা শেষ।” :D



সাথে সাথে ভাতিজার খুশি খুশি মুখটা গম্ভির আকৃতি ধারন করল:|। আমার উপর রাইগ্যা গিয়া কইল “এত ছোড কিচ্ছা!!”। আমি বিরক্তির সুরে কইলাম “তুই ভুতে কিচ্ছা শুনতে চাইসোস তোরে শুনাইয়া দিলাম। যা এহন ভাগ” তহনি তার মেজাজ গেল গরম হইয়া আমার কানের লতিতে মোচড় মারতে মারতে কইল “না যামু না । এহন জ্বীনের এখানা কিচ্ছা সোনাও নাইলে কানের লতি ছিড়া ফালাইমো কইলাম।”X( আহ্ রে চাইছিলাম ছোড মোড কিচ্ছা কইয়া তার হাত থেইকা রেহাই পামু হেইডা মনে হয় হইবনা, যাক আমিও একই বংশের পোলা দেখি কই যাইতে পারি।X((



“আইচ্ছা ঠিক আছে ভাতিজা। এইবার তোরে জ্বীনের কিচ্ছা শুনাইয়াম।“ মুখে খুশির ঝিলিক দিতে দিতে সে আমার কান থেইকা হাত তা সরাই নিল।

“এক দেশে ছিল এক জ্বজ্বজ্বজ্বজ্বীন। তার মাথা ছিল দুইডা।হে থাকত জঙ্গলে।



ওইযে একটা দেশ

আমার কিচ্ছা শেষ।”



ভাতিজার মেজাজডা আরও গরম হইয়া গেলX((। হে কিছু কওয়ার আগেই কইলাম “আরেকটা লম্বা সাইজের গল্প কইমো দেইখাইতো এই কিচ্ছা ডা একটু তাড়া তাড়ি শেষ করলাম।” সে তার হাতের সাহায্যে দেখাইতে দেখাইতে বলল “এত বড় গল্প কইতে হইব কিন্তু”। আমি কইলাম “আরে চিন্তা করিস না এই গল্পডা সারাজীবন শুনলেও শেষ হইবনা।“ খুশি লাফইয়া হে কই ল “কও কও তাড়াতাড়ী কও” আমি কইলাম “এক শর্তে তোরে এইডা কইমো শর্ত ডা হইল গল্পডা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তুই আমার কান আর আমার সামনে চিল্লা চিল্লি করতে ফারবি না। রাজি আসস নাকি।“ খুশিতে :)আত্নহারা হইয়া কইল “হ আমি রাজী।“

আমি কিচ্ছা শুরু করলাম:



“একদেশে আছিল এক রাজা আর তার ছিল একটা রানী। হেই রানীর আবার দেশ চালানির বড়ই আঙ্কাখা ছিল তো রাজ থাকলে তো রানী রাজ্য চালাইতে পারবোনা।

এখন রানী কি আর করে?



অনেক চিন্তা কারে রানী বের করল যে রাজ্যের বদখত একটা ভুত থাকে জঙ্গলে, হের সাথে আলোচনা করা যায়। ভুতের নামডা আছিল ত্রাহী।

রানী একদিন চুপি চুপি কাউরে না জানাইয়া ওই ভুতের সাথে দেখা করল। ভুত তারে বুদ্ধি দিল যে "তুমি রাজারে গিয়া কও যে জঙ্গলে একটা ভাল জ্বীন আছে যার কাছে গেলে ও তার সেবা করলে জ্বীনের দোয়ায় আল্লা এই রাজ্যের ধন সম্পদ অনেক বাড়াইয়া দিব।



রাজারে বলবা যে এই জ্বীনকে যদি কম কইরা দুই বৎসর সেবাও করা যায় তবে রাজ্যের ভাগ্যই ফিরা যাইবো।"



রানীতো খুশিতে ডগমগ হইয়া কইল বেশ ভালা বুদ্ধি।

রাজার কাছে গিয়া রানী কইল ওগো শুনছো এই রাজ্যের দু:খ দূদর্শা আর থাকবো না।

রাজা অবাক হইয়া কইল এই রাজ্যের এহন কোন দু:খ দুদর্শা আছে নাকি?

রানী কইল আছে আছেগো তুমি রাজ প্রাসাদে থাকতো তাই দেহোনা কিন্তু আমি দেহি। আজ আমারে এক দরবেশ বাবা কইসে যে তুমি ওই উত্তরের জঙ্গলে থাকা এক ভাল দরবেশের কাছে গেলে হেই তোমারে সব কইয়া দিবো কি করতে হইবো।

রাজ কইল তাই নাকি। ঠিক আছে কালকে সকালেই যামু। বলেই রাজা ঘুমাইয়া গেল। সকালে উইঠা রাজা তার ঘোড়ারে ডাক নিয়া একাই ওই জঙ্গলের পথে রওয়ানা দিল। ঘোড়া যাইতাসে আর যাইতাসেই............. ”



গল্প থামাই দিসি দেইখা ভাতিজা কইল তার পর কি হইসে। আমি তারে কইলাম দেহস না ঘোড়া তা যাইতাছে আর যাইতাছে যাইয়া শেষ করলে তার পর কমু এই ফাকে আমি একটু ঘুমাইয়া নেই। বলেই দিলাম ঘুম। দেওয়া আগে দেখলাম আশাহত/:)/:)/:) পাখির মত সে বিছানা থেইকা চইলা যাইতাসে। তার আর আন্দোলন করার ইচ্ছা নাই।:-*



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৪৫

বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: :P এখন পরের গল্প টুকু তৈরি করে রাখেন নাহলে আপনার কান আর কানের জাগায় থাকবে না :P

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:১৭

আলামিনস্টাইন বলেছেন: না না তারে অন্য ভাবে বুঝানো হয়েছে। কান মলা আশা করি আর খেতে হবে না।

২| ০৯ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:১০

বিবর্ন বেদনা বলেছেন: আগে নানা আমাকে এভেবে গল্প শনাত।


ঘোড়া যাচ্ছে।তগবগ টগবগ টগবগ

দুই দিন লাগবে যেতে।দুই দিন পর বাকিতুকু বলতে চাইত।হাহাহাহাহা


মনে করিয়ে দিলেন

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১:২৬

আলামিনস্টাইন বলেছেন: টেকনিকটা পুরাতন কিন্তু এপ্লাই করা হয় নতুনদের উপর।

৩| ০৯ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৫৯

এ হেলাল খান বলেছেন: আমার ভাতিজার কথা মনে পড়ে গেল।

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১:২৮

আলামিনস্টাইন বলেছেন: হুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.