কুকুরের চামড়া দিয়ে জুতা বানালে টিকবে কিনা জানি না

২৬ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:০১

ঈদ উপলক্ষে এক জোড়া নতুন জুতা কিনেছি। জুতার বয়স ৭ দিন । কি দিন কি রাত । বেশীরভাগ সময়ই বসে থাকি মনিটরের সামনে সামু নিয়ে । সেই হিসাবে বড়জোড় ২০ ঘন্টা জুতাজোড়া পাড়ানো হয়েছে।আজ দেখি ডান পায়েরটা ছিড়ে গেছে। হয়তো ফোমের তৈরি। কিন্তু দোকানদার বলেছিলো নিশ্চিন্তে পাড়ানগা। ১ বছরেও কিছু হবে না। দাম অবশ্য কমই রেখেছিলো ২শ' ৮০ টাকা। আমি বলেছিলাম ২শ'৮০ টাকায় কিভাবে চামড়ার জুতা বিক্রি করেন। লাভ হয় তো। দোকানদার বলেছিলো লাভ না হলে ১০ হাজার টাকা দোকান ভাড়া, ১২ হাজার টাকা কর্মচারী বেতন , বিদ্যুৎ বিল ছাড়াও দোকানের নানান খরচ উঠাই কিভাবে।এখন বুঝতে পারছি এটা নিতান্তই ফোমের জুতা । চামড়ার হলে দোকান খরচ উঠানো তো দূরের কথা নিজ খরচের টাকাও রোজগার করা সম্ভব নয়। যাই হোক এরকম চামড়ার কথা বলে দোকানীরা ফোমের জুতা বিক্রি শুধু আমার কাছেই করেছেন তা না । সারাদেশে আমার মত এরকম কোটি কোটি ক্রেতা খুজে পাওয়া অসম্ভব নয়। আজ বিকাল বেলা ঐ দোকানীর কাছে গিয়ে জুতা দেখিয়ে বললাম ভাই এই অবস্থা । বললেন চামড়া এখন দেখি .....। উুম কয়েক টাকার জুতা কিননা এখন দেখাতে নিয়ে এসেছেন। ফেলে দেন। ভাই বললেন চামড়ার তাই নিয়ে এসেছি। দোকানী বললেন, ৩ শ" না ৩ হাজার টাকা দামের জুতা কেবল চামড়া দিয়ে তৈরি হয়। আমি বললাম কিসের চামড়া । জানি না। বলে অন্য কাস্টমারের দিকে মনোযোগ দিলেন। কাস্টমার বিদায় হওয়ার পর বললাম , ভাই কুকুরের চামড়া দিয়ে জুতা বানালে কেমন হয়। বুঝলাম না। বলছিলাম - সারাদেশে তো বেওয়ারিশ কুকুরের অভাব নেই। তাছাড়া প্রতি বছরই তো সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এদেরকে( বেওয়ারিশ কুকুর) চিমটা লাগিয়ে , অথবা বিষ খাইয়ে হত্যা করে । হত্যার পর এদের চামড়া সংগ্রহ করে জুতা বানানো যায় না ? হুম , আচ্ছা দেখি জুতার মহাজনরা আসুক কথা বলে জেনে নেই। তারপর আপনাকে জানাবো।

১২ টি +১/-০