নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অাল- হেলাল ৭৩

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান

মোহাম্মদ আতীকুর রহমান

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাসজিদে নারীদের সালাত আদায় করা বৈধ না অবৈধ?

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬



হাদীস-১; হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা আল্লাহর বান্দীদেরকে (নারীদের) মাসজিদে যেতে নিষেধ করো না। আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) অন্য সনদে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা আল্লাহর বান্দীদেরকে মাসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করতে নিষেধ করো না। [সহীহ মুসলিম, মুয়াত্তা ইমাম মালিক,আবু দাউদ, মুসনাদ ইমাম আহমাদ;হাদীস-১৩২৭,খণ্ড-২]



হাদীস-২; হযরত আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা আল্লাহর বান্দীদেরকে মাসজিদে যাওয়া থেকে বাধা দিও না, তারা যেন সুগন্ধীবিহীন বের হয়। [আবু দাউদ, দারেমী, বাইহাকী, ইবন খুযাইমা, মুসনাদ ইমাম আহমাদ;হাদীস-১৩২৮,খণ্ড-২]



হাদীস-৩; আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা তোমাদের নারীদেরকে রাত্রিবেলা মাসজিদে যাওয়া থেকে বাধা প্রদান করবে না। [মুসনাদ ইমাম আহমাদ;হাদীস-১৩৩২,খণ্ড-২]



হাদীস-৪; হযরত আয়িশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নারীরা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ফজরের সালাত আদায় করতো, অতঃপর তাদের চাদর মুড়ি দিয়ে বের হয়ে যেত (তখন) তাদেরকে চেনা যেত না। [সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ, মুসনাদ ইমাম আহমাদ;হাদীস-১৩৪৪,খণ্ড-২]



হাদীস-৫; হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা তোমাদের নারীদেরকে তাদের মাসজিদে যাওয়ার অধিকার থেকে বাঁধা দিও না। যখন তারা তোমাদের কাছে অনুমতি চাইবে। [সহীহ মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, তাবারানী, মুসনাদ ইমাম আহমাদ;হাদীস-১৩৩৪,খণ্ড-২]



হাদীস-৬; হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন তোমাদের কারো স্ত্রী তার নিকট থেকে মাসজিদে যাওয়ার অনুমতি চায় তখন সে তাকে বাধা দিবে না। রাবী বলেন, হযরত উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর স্ত্রী মাসজিদে সালাত আদায় করতেন। উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) তাকে বললেন, তুমি তো জান আমি কি পছন্দ করি? তখন তিনি (স্ত্রী) জবাবে বললেন, আল্লাহর কসম! আমাকে তুমি নিষেধ না করা পর্যন্ত আমি এ কাজ(মাসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করা) থেকে বিরত হব না। রাবী বলেন- উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) কে যখন আঘাত(শহীদ) করা হয় তখনও তিনি (তার স্ত্রী) মাসজিদে। [সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, মুসনাদ ইমাম আহমাদ;হাদীস-১৩৩৬,খণ্ড-২]



হাদীস-৭; হযরত আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে মহিলা সুগন্ধ জাতীয় দ্রব্য (শরীরে) লাগিয়েছে সে যেন ইশার সালাতে হাযির না হয়। [সহীহ মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাই, ইবন মাজাহ, মুসনাদ ইমাম আহমাদ;হাদীস-১৩৪০,খণ্ড-২]



হাদীস-৮; হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ এর স্ত্রী জয়নব আছ ছাকাফিয়া থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ ইশার জামা’আতে আসবে তখন যেন সে সুগন্ধি স্পর্শ না করে। [সহীহ মুসলিম, মুসনাদ ইমাম আহমাদ;হাদীস- ১৩৪৩,খণ্ড-২]



হাদীস-৯; হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা তোমাদের নারীদেরকে মাসজিদে যাওয়াকে বাধা দিও না। অবশ্য (সালাতের জন্য) তাদের গৃহই তাদের জন্য উত্তম। [আবু দাউদ, বায়হাকী, তাবারানী, মুসনাদ ইমাম আহমাদ;হাদীস-১৩৩৩,খণ্ড-২]



এই মর্মে আরো হাদীস রয়েছে যে নারীরা মাসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করতে পারবে। ইমাম মালিক, ইমাম শাফেঈ, ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল এরও এই অভিমত পাওয়া যায়।



ইমাম আবু হানিফা এর অনুসারীরা এই বিষয়ে দু’ভাগে বিভক্ত। তাদের একদল বলে যে নারীরা মাসজিদে সালাত আদায় করতে পারবে আরেকদল বলে যে নারীরা মাসজিদে সালাত আদায় করতে পারবে না।



উপরক্ত ৯টি হাদীস থেকে এটি প্রমানিত যে নারীরা মাসজিদে সালাত আদায় করতে পারবে, আর কেউ যদি নারীদের মাসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করতে বাধা দেয় তাহলে সে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বিরুদ্ধাচারন করলো, কেননা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তোমরা আল্লাহর বান্দীদেরকে (নারীদের) মাসজিদে যেতে নিষেধ করো না”।



নারীরা মাসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করতে পারবে কিন্তু একটি নিয়ম তাদের মেনে চলতে হবে, তা হল তারা সুগন্ধি লাগিয়ে মাসজিদে যেতে পারবে না, কেননা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তোমরা আল্লাহর বান্দীদেরকে মাসজিদে যাওয়া থেকে বাধা দিও না, তারা যেন সুগন্ধীবিহীন বের হয়”



উক্ত হাদীস দ্বারা প্রমানিত হয় যে সুগন্ধীবিহীন অবস্থায় মাসজিদে যাওয়া একটি সর্ত। অর্থাৎ নারীদের সুগন্ধীবিহীন অবস্থায় মাসজিদে যেতে হবে।



নারীদের জন্য কোথায় সালাত আদায় করা উত্তম?



নারীদের জন্য তাদের নিজেদের গৃহে সালাত আদায় করা উত্তম। কেননা,



উম্মু সালামা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, নারীদের সর্বোত্তম মাসজিদ হচ্ছে, তাদের গৃহের কুঠরি। [তাবারানী, ইবন খুজাইমা, মুসনাদ ইমাম আহমাদ;হাদীস-১৩৩৮,খণ্ড-২]



অর্থাৎ, নারীদের জন্য মাসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করা বৈধ কিন্তু তাদের জন্য উত্তম হল তাদের গৃহে সালাত আদায় করা।



যারা বলে নারীদের মাসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করা বৈধ নয়, তাদের জবাবঃ



যারা বলে নারীদের মাসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করা বৈধ নয় তারা দলীল হিসাবে পেশ করে যে,



মা আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, যদি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আজকের দিনের নারীদেরকে দেখতেন তাহলে তাদের মাসজিদে যেতে বারন করতেন। [মুসনাদ ইমাম আহমাদ;হাদীস-১৩৪১,১৩৪২,খণ্ড-২]



উক্ত হাদীর ব্যাখ্যায় প্রখ্যাত হানাফী ফাকিহ আবুল হাই লাখনোভী(রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ “উক্ত হাদীস দ্বারা নারীদের মাসজিদে যাওয়ার বৈধতা প্রমানিত হয়, কেননা উক্ত হাদিসে আয়েশা(রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলেছেন যদি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আজকের দিনের নারীদেরকে দেখতেন তাহলে তাদের মাসজিদে যেতে বারন করতেন, কিন্তু যেহেতু নিষেধ করেননি সেহেতু একে নিষেধ করার মত কেউ নেই”



প্রকৃত পক্ষেই উক্ত হাদীস নারীদের মাসজিদে যাওয়ার বৈধতা প্রমান করে, কেননা আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলেছেন যদি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আজকের দিনের নারীদেরকে দেখতেন তাহলে তাদের মাসজিদে যেতে বারন করতেন, কিন্তু যেহেতু রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই নারীদেরকে দেখেননি এবং নিষেধও করেননি সেহেতু নারীদের মাসজিদে যাওয়া এখনও বৈধ।



যারা বলে নারীদের মাসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করা বৈধ নয় তারা একটি মিথ্যা দলীল পেশ করে, তারা বলে যে, উমার(রাদিয়াল্লাহু আনহু) নারীদের মাসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করাকে হারাম করেছেন।(নাউযুবিল্লাহ) এত বড় অপবাদ একজন সাহাবীর নামে দিতে তাদের কি বুক কাঁপে না???



কোন হাদীসে এই কথা নেই যে উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) নারীদের মাসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করাকে হারাম করেছেন। বরং সহীহ হাদীসে আমরা তার উল্টোটা পাই, তা হল-



উমার(রাদিয়াল্লাহু আনহু) কে যখন আঘাত(শহীদ) করা হয় তখনও তিনি (তার স্ত্রী) মাসজিদে। [সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, মুসনাদ ইমাম আহমাদ;হাদীস-১৩৩৬,খণ্ড-২]



যদি উমার(রাদিয়াল্লাহু আনহু) নারীদের মাসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করাকে হারাম করে থাকেন তাহলে যখন উমার(রাদিয়াল্লাহু আনহু) কে যখন আঘাত(শহীদ) করা হয় তখন তার স্ত্রী মাসজিদে কাভাবে থাকে? তার মানে কি উমার(রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর স্ত্রী হারাম [যদি উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) নারীদের মাসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করাকে হারাম করে থাকেন] কাজ করেছেন? না, কখনই না, উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) কখনই নারীদের মাসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করাকে হারাম করেন নি।



এছাড়াও আমরা জানি যে, মা আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) সারা জীবন মাসজিদে সালাত আদায় করতেন।



অর্থাৎ, যারা বলে নারীদের মাসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করা বৈধ নয়, তারা মূলত ভুল কথা বলছেন।



আর মা আয়েশা(রাদিয়াল্লাহু আনহা) কেন বললেন যে, যদি রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আজকের দিনের নারীদেরকে দেখতেন তাহলে তাদের মাসজিদে যেতে বারন করতেন?



মা আয়েশা(রাদিয়াল্লাহু আনহা) এই কথা বলেছেন তার কারন হল, নারীরা সুগন্ধী লাগিয়ে মাসজিদে যাওয়া শুরু করেছিল। তার প্রমানঃ



আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা আল্লাহর বান্দীদেরকে আল্লাহর মাসজিদে যেতে বাধা দিও না। আর তারা মাসজিদে যাবে সুগন্ধীমুক্ত(সুগন্ধী বিহীন) অবস্থায়। আয়েশা(রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলেন- যদি রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আজকের দিনের নারীদেরকে দেখতেন তাহলে তাদের মাসজিদে যেতে বারন করতেন। [মুসনাদ ইমাম আহমাদ;হাদীস-১৩৪১,খণ্ড-২]



উক্ত হাদীসে সুগন্ধী লাগানোর বিষয়টি এবং রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বারন করার বিষয়টি একই সাথে আসায় এটিই প্রমান হয় যে নারীদের সুগন্ধী লাগিয়ে মাসজিদে আসার অবস্থা দেখে মা আয়েশা এই কথা বলেছেন। এই কথার প্রমান বহন করে নীচের হাদিসটি,



আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আজকে আমরা নারী সমাজের যে অবস্থা দেখছি, তা যদি রাসুলুল্লাহ

(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেখতেন তাহলে অবশ্যই তাদের মাসজিদে যেতে বারন করে দিতেন। [মুসনাদ ইমাম আহমাদ;হাদীস-১৩৪২,খণ্ড-২]



সুতরাং, নারীদের জন্য নিজ গৃহে সালাত আদায় করা উত্তম, মাসজিদে সালাত আদায় করা বৈধ তবে শর্ত হল যে সুগন্ধী ছাড়া মাসজিদে যেতে হব। এ ছাড়াও খেয়াল রাখকত হবে, কোনো নারী যেন উগ্র পোশাক নিয়ে মসজিদে প্রবেশ না করে।

নারীদেরকে মসজিদে যেয়েই নামায পড়তে হবে এমনটি ভাবা ঠিক নয়। তবে পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে মসজিদে যেয়ে নামায পড়া যেতে পারে।

সংগৃহিত

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

নূর আদনান বলেছেন: সন্দেহ দূর হল। ধন্যবাদ

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫২

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.