নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রজাপতি প্রজাপতি কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গিন পাখা ( প্রজাপতি জীবন কাহিনী )

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১০


দেশ জুরে শারদিয় উৎসবের আমেজে প্রজাপতিরা রঙ্গীন পাখনা মেলে উড়ছে ফুলে ফুলে ও আরাধনা মন্ডপে মন্ডপে ।প্রজাপতি প্রজাপতি কোথায় পেলে এত রঙ্গিন পাখা
লিংকটাতে ক্লিক করে এদের নাচগান উপভোগ করতে করতে চলুন এগিয়ে চলি প্রজাপতি কাহনে।

প্রজাপতি লেপিডুপেটরা বর্গের আকর্ষণীয় রঙের এক পতঙ্গ বিশেষ । উল্লেখ্য মথ ও প্রজাপতি উভয়ই এই লেপিডুপেটরা গুত্র ভুক্ত। লেপিডুপেটরা একটি গ্রীক শব্দ যা দিয়ে ‘’মাপযুক্ত পাখনা’’ বুঝায়। প্রজাপতি ও মথ একই গুত্রভুক্ত হলেও নিম্মলিখিত ভাবে এরা পার্থক্য মন্ডিত ।

সাধারণভাবে , প্রজাপতি নিম্নলিখিত উপায়ে মথ থেকে পার্থক্য মন্ডিত ১) প্রজাপতির পরিস্কার দুটি এন্টিনা বা পাখনা আছে কিন্তু মথের ঝাপসা বা পালকবৎ এন্টেনা আছে ২) প্রজাপতি সাধারণত দিনমান সময় সক্রিয় কিন্তু মথেরা রাতে সক্রিয় থাকর ৩) প্রজাপতি বিশ্রামে থাকার সময় তার পাখনা উলম্ব থাকে কিন্তু মথ যখন বিশ্রামে থাকে তখন তার পাখনা উইংস সঙ্গে আউট ফ্ল্যাট ছড়িয়ে রাখে ৪) প্রজাপতি সাধারণত মথের থেকে অনেক বেশী উজ্জ্বলভাবে রঙ্গিন দেখা যায় ।
এদের জীবনচক্রের দৈর্ঘ্য প্রজাতিভেদে ভিন্ন ভিন্ন। প্রজাপতি জন্ম থেকেই স্বাধীন। অথচ খুব বেশি দিন বাঁচে না প্রজাপতি। জাতভেদে আয়ু তাদের ৫ দিন থেকে ১০ মাস পর্যন্ত । দুটু পা দুটি জটিল চোখ আর একটি সুরযুক্ত মুখ নিয়েই এদের অনিশ্চিত পথচলা।
এরা ঘণ্টায় ১২ মাইল থেকে ২৫ মাইল বেগে উড়তে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, এরা ঘুমায় না। বিশ্রাম নেয় মাত্র। এ পতঙ্গটি সাধারণত ফুলের মধু খেয়ে বাঁচে। তবে এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে ফুলের রেণু,গাছের রস, পচা ফল, গোবর, পচনশীল মাংস অথবা ময়লায় দ্রবীভূত অবস্থায় থাকা খনিজ পদার্থ।
প্রজাপতিরা সাধারণত ১২টি গোত্রে বিভক্ত। সারা পৃথিবীতে প্রায় ২৫০০০ বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে বলে জানা যায় । বাংলাদেশে প্রায় ৪০০টি বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে বলে জানা যায়। বাড়ীর বাগান থেকে শুরু করে ঝোপঝাড় ও বনভূমির সর্বত্র বিভিন্ন পরিবেশে প্রজাপতিরা বিচরণ করে । এদের জীবন ব্যবস্থা যেহেতু উদ্ভিদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত তাই পরিবেশের যেকোন প্রতিকূল পরিবর্তনে এরা বিশেষভাবে প্রভাবিত । ঝোপ, ঝাড়, বনে , ফুলে ফুলে কবিতায় গানে, গুগল মামার ইমেজের বাগানে দেখা যায় নাম না জানা প্রজাপতিদের কতনা বিচরণ। তাই এ ব্লগে ছবির সাথে কিছু সেরা মথ , প্রজাপতি ও ফড়িংএর ছবি করা হলো উপস্থাপন ।
ছবি-১/ : এডনিস ব্লো ( Adnis Blue)

ছবি-২/ ব্রাউন আরগুস ( Brown Argus)

ছবি-৩/ চেক হিল ব্লো Check hill blue ( Female)

ছবি-৪/ ডার্ক গ্রীণ ফ্রটিলারী ( Dark Green Fritillary)

ছবি -৫/ এসেস্ক স্কীপার (Essex skipper)

ছবি -৬/ গেইট কিপাড় (Gate keeper)

ছবি -৭/ হলি ব্লো ( Holy blue )

ছবি-৮/ লার্জ ব্লো ( Large blue)

ছবি- ৯/ উড হোয়াইট (Wood whilte ( Male/female)

ছবি-১০/ মিডো ব্রাউন ( Meadow Brown)

ছবি -১১/ নর্দান ব্রাউন আরগুস (Northern Brown Argus)

ছবি -১২/ অরেঞ্জ টিপ (16.Orange tip ( male)

ছবি -১৩/ পেইনটেড লেডি ( Painted Lady)

ছবি -১৪/ পার্পল এমপেরর (Purple emperor ( Male)

ছবি -১৫/ রেড এডমিরাল (Red Admiral )

ছবি-১৬/ স্মল স্কিপাড় ( small skipper)

ছবি-১৭/ হামিংবার্ড বাটার ফ্লাই


কেন প্রজাপতিরা গুরুত্বপূর্ণ
অনেক কারণে প্রজাপতিরা গুরুত্বপুর্ণ, নীচে তার কিছু বিবরণ দেয়া হল ।
অন্তর্নিহিত মূল্য
• প্রজাপতির রয়েছে অনেক অন্তর্নিহিত মূল্য ফলে নিজস্বগুনেই এরা হয় সংরক্ষণ যোগ্য।
• এরা অন্তত ৫০ মিলিয়ন বছর ধরে বিচরণ করছে এ ধরায় এবং সম্ভবত ১৫০ মিলিয়ন বছর আগে হয়েছে বিবর্তিত ।

নান্দনিক জগতে অবদান

• প্রজাপতিরা দেখতে সুন্দর এবং জনপ্রিয়
• কবিতায় ও গানে, সৌন্দর্য ও ব্যাসায়িক বিজ্ঞাপনে প্রজাপতি হচ্ছে ব্যবহার বিভিন্ন বিশেষনে ।

শিক্ষাখাতে অবদান

প্রজাপতিদের চটুল জীবন-চক্র অনেক দেশে প্রাকৃতিক বিশ্ব সম্পর্কে শিশুদেরকে শিক্ষা দিতে হয় ব্যবহৃত। প্রাপ্ত বয়স্ক প্রজাপতির ডিম তা হতে শুঁয়াপোকায় রূপান্তর হয়ে পরে ডানাওয়ালা প্রজাপতিতে পরিনত হওয়া প্রকৃতির সে এক বিস্ময়কর সৃস্টিধারা। একটি মনার্ক প্রজাপতির জীবন চক্র অবলোকনের জন্য Butterfly - My animal friends - Animals Documentary এই লিংকটি ভিজিট করতে ভুলবেন না যেন , তাহলে প্রজাপতির নীজ মুখে তার জীবন কাহিনী সাথে সুন্দর সুন্দর মনোমুগ্ধকর ছবি মিস করবেন। দেখতে পাবেন মনার্ক জাতীয় প্রজাপতি দল বেধে কিভাবে কানাডা হতে মেক্সিকো পর্যন্ত উড়ে যায় । এটা শুধু মনার্ক জাতীয় প্রজাপতির বেলাতেই সম্ভব । এরা শুধু দিনের বেলাতেই উড়ে ।
ছবি-১৮/ মনার্ক বাটারফ্লাই ( Monark Butter fly )

ছবি-১৯/ : প্রজাপতির জীবনচক্র


বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে অবদান
• বৈজ্ঞানিক গবেষনায় প্রজাপতিকুল ব্যবহৃত হয়ে আসছে শত শত বছর ধরে, এটি একটি গুরুত্বপুর্ণ বৈচিত্র্যময় গবেষণা ক্ষেত্র, কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ, ভ্রূণতত্ত্ব, বিবর্তন, জেনেটিক্স সহ জৈব গবেষণার জন্য সমাদরে আদৃত । অনেক এলাকায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এরা পেয়েছে স্থান সকল গুরুত্বপুর্ণ জাতীয় উদ্যানে । ইদানিংকালে জলবায়ু পরিবর্তনের উপর বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য এরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও প্রমাণিত ।
চীনা বিজ্ঞানীদের কাছে প্রজাপতি এখন একটি গুরুত্বপুর্ণ গবেষণার বিষয় কারণ, পতঙ্গটির ডানার নিচে সোলার কালেক্টরের অস্তিত্ব বিজ্ঞানীরা টের পেয়ে গেছেন বহুদিন আগেই । আর সম্প্রতি চীনা বিজ্ঞানীরা প্রজাপতির পাখার বর্ণিল আলোকচ্ছটা আর ফিনফিনে ডানার গাঠনিক কাঠামো গবেষণার পর বলছেন, আগামী দিনগুলোতে প্রজাপতির ডানার এ অনন্য যান্ত্রিক কৌশল সস্তা ও অধিক কার্যকর সোলার সেল উদ্ভাবনকে করবে প্রভাবান্বিত ।

ইকোসিস্টেমে অবদান

• প্রজাপতিরা একটি সুস্থ পাকৃতিক পরিবেশ এবং সুস্থ বাস্তুতন্ত্র (Ecosystem) সূচক।
• তারা অন্যান্য অমেরুদণ্ডী প্রজাতির গঠন বিস্তার এর ইঙ্গিত বাহক।
• প্রজাপতিরা সম্মিলিতভাবে পুষ্পের পরাগায়ন এবং প্রাকৃতিকভাবে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ সহ বিভিন্ন ধরনের পরিবেশগত সুবিধাপ্রদানে সহায়ক ।
• প্রজাপতিরা পাখি, বাদুড় এবং অন্যান্য কীটাশী পশুদের জন্য পাকৃতিক খাদ্য শৃঙ্খলের ( Natural food chain) একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, শুধু তাই নয় এরা ফসলের জন্য ক্ষতিকর অনেক শোয়োপোকা খেয়ে দরকারী ফসলকে অনিস্ট হতে করে রক্ষা (উদাহরণস্বরূপ, ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডের, ব্লু স্টার জাতীয় প্রজাপতি প্রতিবছর আনুমানিক ৫০ বিলিয়ন শুঁয়োপোকা খেয়ে বিভিন্ন ধরনের ফসলকে ক্ষতির হাত হতে রক্ষা করে ।

স্বাস্থ্য খাতে প্রজাপতির অবদান

• জনগণ তাদের বাড়ির চারিদিকে ও দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠে প্রজাপতির সৌন্দর্য উপভোগে লাভ করেন মানসিক প্রশান্তি ।
• হাজার হাজার মানুষ দেশের বিভিন্ন জাতীয় উদ্যানে গিয়ে প্রজাপতি পর্যবেক্ষনও করেন, এটা পর্যটন শিল্পে বয়ে আনে বাড়তি আকর্ষন ।

অর্থনৈতিক অবদান

হাজার হাজার মানুষ প্রতি বছর দেশে বিদেশে প্রজাপতি ও মথের সন্ধানে ইকো-ট্যুরে যায় । ইকো টুরের কারণে বিশ্বজুড়ে অনেক উন্তত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পর্যটন শিল্পখাত হতে প্রভুত আয় হয় (উদাহরনস্বরূপ বলা যায় রোডস দ্বিপের প্রজাপতি উপত্যকায় এবং মেক্সিকোতে রাজকীয় বিশ্রাম উপত্যকায় বিচিত্র প্রজাপতি দেখার জন্য হাজার হাজার পর্যটকের ঘটে সমাগম )।
ছবি -২০ / বাটারফ্লাই পার্ক ইন মেক্মিকো ( Butterfly park in Mexico)

• আশ্রয়দাতা উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর প্যরাসাইটকে পরাস্ত করার জন্য প্রজাপতিরা নীজেদের মধ্যে একটি নিজস্ব রাসায়নিক স্যুট বিকশিত করে । উদাহরণস্বরূপ বলা যায় মনার্ক জাতীয় প্রজাপতিদের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক তৈরীর উপাদান(যা প্রজাপতিকুলের একটি বৃহৎ অংশ)। এসব রাসায়নিক উপাদানের রয়েছে বিশাল অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ।
ছবি-২১/ : প্রজাপতি তার নিজস্ব রাসায়নিক স্যুট বিকশিত করছে


বাংলাদেশের প্রজাপতি ও ফড়িং সমাচার

বাংলাদেশে যে সমস্ত প্রজাপতি আছে তার মধ্যে হিসপিরিডাই, পেলিপনডাই, পেরিডাই, নীমফেলিডাই, ঢানিডা , সেটিরাইড, লিসানিডাই, এমাথুসাইডি, এক্রিডাই এবং রিউডিনাই উল্লেখযোগ্য । একমাত্র হামিংবার্ড প্রচাপতি ছাড়া পুর্বে দেয়া প্রজাপতি গুলির ছবির সাথে বাংলাদেশের প্রজাপতিদের রয়েছে ব্যপক সাদৃশ্য । একটি বিষয় এখানে জোড় দিয়ে বলা যায় তা হল বাংলাদেশের ফড়িংগুলি অতি বৈচিত্রময় ও সৌন্দর্যে অতুলনীয় ।
‘যে জীবন ফড়িংয়ের দোয়েলের, মানুষের সাথে দেখা হয় নাকো তার...’ কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার সাথে পরিচয় আছে অনেকের, আমাদের চারপাশে ফড়িং নামের আশ্চর্য সুন্দর সৃষ্টিটি উড়ে বেড়ায়, ঘুরে বেড়ায়। ওদেরকে আমাদের প্রায়শই চোখে পড়ে, দেখা হয়। কিন্তু আসলে কি আমরা ওদের চিনি? আমরা কি জানি, বাংলাদেশে কত প্রজাতির ফড়িং আছে? কোন ফড়িং কোথায় থাকে, কেমন তাদের স্বভাব—এসবও আমরা জানি না। দেশের একজন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী কবীর শাহরীয়ার বছর চারেক ধরে ফড়িংয়ের পেছনে দেশের নানা জায়গা ঘুরে ক্যামেরাবন্দী করেছেন প্রায় ৫৬ প্রজাতি। তার মধ্য হতে গুটি কতক দেখানো হল নীচে ।
ছবি - ২২/ : এসোসিমা পেনরপয়ডিছ

ছবি-২৩/ : অরথেট্রকম পুরুইনেসাম

ছবি-২৪ / : নিউরোথেমিছ ফালভিয়া

ছবি-২৫/ : রায়োথেমিছ ভেরাগুটা ভেরাগুটা

ছবি-২৬/ : যিক্মোমা পেটিউলেটাম

ছবি-২৭/ : ব্রাকিথেমাস কনটামিনেটা

ছবি-২৮/ : গাইনাকানথা কাসিয়াকা


বাংলাদেশের জাতীয় উদ্যানে প্রজাপতি পার্ক সমাচার

বাংলাদেশের জাতীয় উদ্যানগুলিতে প্রজাপতি পার্কের লক্ষই হলো উদ্ভিদ জগতের ভিতরে বৈচিত্র্যময় প্রজাপতি বিচরণ ও নতুন প্রজাপতি প্রজাতি সৃষ্টি জন্য একটি সাইট তৈরি করা । নিম্মে বাংলাদেশের জাতীয় উদ্যানগুলিতে বিদ্যমান কয়েকটি প্রজাপতি পার্কের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হল
ক) ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্ক : ঢাকার অদুরে গাজীপুরে ১৯৭৪ সনে প্রতিষ্ঠিত হয় । সাম্প্রতিক সময়ে, EBBL ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কে একটি "ওপেন প্রজাপতি পার্ক ও প্রজাপতি উপনিবেশকরণের সেন্টার 'প্রতিষ্ঠার জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেছে । অনুমান করা হয় ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় প্রায় ৩০০ প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে (বাশার ২০১৩)।
ছবি-২৯/ : ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান

ছবি-৩০/ : ভাউয়াল জাতীয় উদ্যানে প্রজাপতি

খ) মধুপুর জাতীয় উদ্যান : বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় অংশে ( টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার অংশ বিশেষ ) একটি বড় উচ্চভূমি এলাকা। এই বন এখন অবশ্য অনেক ছোট হয়ে গেছে । এখানেও রয়েছে বৈচিত্র্যময় পরিবারের প্রজাপতি জনসংখ্যা । ১৯৯ সনে EBBL কতৃক পরিচালিত গবেষনায় দেখা যায় যে এ বনেও প্রায় ৩০০ প্রজাতীর প্রজাপতি রয়েছে ।
ছবি-৩১/ : মধুপুর জাতীয় উদ্যানে প্রজাপতি

গ) লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক : মৌলভিবাজার জেলাধীন শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত । এটা বাংলাদেশের একটি অন্যতম বৃহত জাতীয় উদ্যান ও প্রকৃতি রিজার্ভ । এটা মনে রাখতে হবে যে অসাধারণ, Birdwings নামক বাংলাদেশর বৃহত্তম প্রজাপতি এই বনেই পাওয়া যায়।
ছবি- ৩২/ লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কে সাউদার্ন বার্ডউইং প্রজাপতি

২০০১ সনের EBBL রেকর্ড অনুযায়ী প্রায় ২৫০ প্রজাতির সাক্ষাত পাওয়া যায় এ বনে ।

ঘ) সাতছড়ী ন্যাশনাল পার্ক : সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার রঘুনন্দন পাহাড়ে অবস্থিত। আক্ষরিক অর্থ "সাত প্রবাহের" স্রোত এই জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়, এই বনেও প্রায় ২০০ এর অধিক প্রজাতীর প্রজাপতির আবাস । এই বনের ঝোপ জঙ্গলে পাওয়া যায় বৃহত্তম প্রজাতীর বার্ডউইঙ্ জাতীয় প্রজাপতি ।বার্ডউইঙ্ প্রজাপতিগুলি উদ্যানের ভিতর কমলালেবু বাগানে ফুটে থাকা ফুলে ফুলে বিচরণ করে । সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের এই ভিডিউডি ক্লিক করুন এটা না দেখলে বুঝাই যাবেনা যে কত রকমের জীব বৈচিত্র রয়েছে এই ছোট্ট বনে ।
ছবি- ৩৩/ : সাতছড়ী ন্যাশনাল পার্ক ও প্রজাপতি

ক) প্রজাপতি সংরক্ষণ ও রিসার্চ সেন্টার : এটা চট্টগ্রামের পতোঙ্গাতে ২.৫ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত এটা একটি প্রজাপতি খামার ,জাদুঘর ও গবেষণা কেন্দ্র (মণ্ডল, ২০১৩) এখনো এর প্রাথমিক কাজ চলছে (মণ্ডল, ২০১৩)।
ছবি- ৩৪/ : বাটারফ্লাই কনজারভেশন ও রিসার্চ সেন্টার , চট্টগ্রাম

খ) প্রজাপতি গবেষণা পার্ক: এটা ভাওয়াল গাজীপুর এ অবস্থিত, গাজীপুর ।মোট আয়তন ১০ একর, এটা একটি প্রাকৃতিক পার্ক যেখানে শুধুমাত্র প্রজাপতিই নয় অধিকন্ত আরো অনেক প্রাকৃতিক প্রাণীর আবাসের সেটিং আছে সেখানে। এ পার্কে প্রায় ২২০ ধরনের উদ্ভিদ রয়েছে যা প্রজাপতি উদ্দীপনার সাথে সম্পর্কিত ।
ছবি- ৩৫/ : বাটারফ্লাই রিসার্চ পার্ক , গাজীপুর

গ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক : এটা ঢাকার অদুরে গাজীপুরের অবস্থিত । এই সাফারী পার্কে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২০০০ প্রজাতির পশু পাখী, পাখ পাখালী ও প্রজাপতি ও ফড়িং দিয়ে ঠাসাঠাসি করে রাখা হয়েছে । কর্তৃপক্ষ এখানে প্রায় ৩০০ ধরনের গাছের একটি হার্বেরিয়াম গড়ে তুলেছে।
ছবি-৩৬/ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের প্রদর্শনী ম্যাপ

পর্যটক, ছাত্র, এবং গবেষক এই সাফারী পার্ক থেকে বিশাল জ্ঞান লাভ রকরতে পারবেন. যদিউ প্রধানত পার্কের বন্যপ্রাণীর জন্য এই পার্ক তৈরি করা হয়েছে তথাপি প্রজাপতি পার্ক এই পার্কের একটি আকর্ষণীয় অংশ । তবে এই প্রজাপতি পার্কে প্রজাপতিদের উড়ার জন্য গ্রেভিটেশনাল ধারণক্ষমতা খু্বই নীচু মাত্রার, তাছাড়া প্রজাপতিদের বেঁচে থাকার জন্য আর্দ্রতার মাত্রাও যথেষ্ট নয় , এটা পরিবেশ বান্ধব নয়, প্রজাপতি বেড়ে উঠার জন্য মৌলিক উদ্ভিদও এখানে যথেষ্ট নেই, তাই প্রজাপতির বিকাশ , প্রজনন ও বেড়ে উঠার জন্য এখানে প্রজাপতি সহায়ক উদ্ভিদের আরো বেশী সমাহার প্রয়োজন (মণ্ডল, 2013) ।
ছবি-৩৭/ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে প্রজাপতি পল্লী

ঘ) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজাপতি সেন্টার অ্যান্ড এক্সিবিশন : এখানে প্রতি বছর একটি প্রজাপতি মেলা এবং পাখি মেলা অনুষ্ঠিত হয় . প্রজাপতি প্রদর্শনের জন্য এখানে একটি অস্থায়ী প্রজাপতি শেল তৈরি করা হয়। প্রধানত caterpillars শেল এ রাখা হয় এবং তাদের বেড়ে ওঠা দেখা হয়, কিন্তু প্রজাপতিতের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার কারণে অধিকাংশ প্রজাপতিই প্রদর্শণী চলাকালীন সময়েই ইন্তেকাল করে । তবে এটা মুলত করা হয় জনগনের সচেতনতার জন্য ।
ছবি-৩৮/ : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজাপতি সেন্টার অ্যান্ড এক্সিবিশন

ছোট্ট এ জীবনে প্রজাপতিগনে মানবের জন্যে দিয়ে যাচ্ছে শুধু অবদান । উল্লেখ্য যে রেশম মথেরা মরে গিয়েও নীজ জীবনের বিনিময়ে দিয়ে যাচ্ছে বাহারী শিল্ক বস্ত্রের জন্য মুল্যবান উপাদান ।
হাজার প্রাণের বিনিময়ে সুন্দরী ললনাদের জন্য একটি রেশমী শাড়ী এখানে ক্লিক করে দেখতে পারেন কেমন করে রেশম মথেরা রেশম শিল্পের জন্য অকাতরে বিলিয়ে দিচ্ছে তাদের প্রাণ ।

ধন্যবাদ এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ।

তথ্য ও ছবি সুত্র :
Bashar M. A., (2013.a), “Forests of Bangladesh and butterfly biodiversity”, Environmental Biology and Biodiversity Laboratory (EBBL), Dhaka University.
Bashar M. A., (2013.b), Dictionary of Biodiversity, Mohammad Publications, Dhaka, Bangladesh. pp. 57.
Butterfly Conservation Europe (BEC), (2008), “Why butterflies matter”.
Chowdhury, S. H. and Hossain M., (2013), Butterflies of Bangladesh: A Pictorial Handbook, pp. 1,9, Revised and Enlarged Version 1. Dhaka, Bangladesh.
Mondal, S. C. (2013), “Butterfly Conservation and Research Centre, Srimongol, Sylhet”,
Images : From Google net

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পরিশ্রমী পোষ্ট, প্রজাপতি ও ফড়িং নিয়া পোষ্টে যতগুলো ছবি দিয়াছেন বাস্তবে এতোগুলো এখনো চোখে দেখি নাই। অনেক অনেক ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম+++++

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এসে দেখার জন্য । আপনি যে ভাবে বনে বাদারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাতে করে অনেক প্রজাপতি দেখা হয়ে যাবে বলে আশা করি । অনেক অনেক ভাল লাগার অনুভুতি প্রকাশের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ , বেশ সুপাধেয় ও তৃপ্তিদায়ক ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার জন্যও রইল
cup of espresso cappuccino

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: প্রজাপতির ডানা নিয়ে অনেক কাব্য হয়েছে, আপনার পোস্টে আরো অনেক কিছু জানলাম।

পোস্টে +++ ।

ভাল থাকুন। সবসময় ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । প্রজাপতি নিয়ে কবিতা গানের নেই কোন সীমা পরিসীমা । কিন্ত এটা যে কত শিক্ষামুলক বিশেষ করে আমাদের শিশু কিশুরদের জন্য তা ভাবতে গেলে অবাক হতে হয় ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

পথহারা মানব বলেছেন: ভাই আপনি সত্যি জিনিয়াস!!!!!!!!!!!!!!!!!!
পোষ্টে++++++++++++++
প্রজাপতির এত রুপ, এত গুন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
মহান সৃষ্টিকর্তার সকল সৃষ্টিই মানবকল্যানের জন্য!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার এত এত প্রসংসায় আমি মুগ্ধ ও বিমোহিত । অতি মুল্যবান কথা বলেছেন মহান সৃষ্টিকর্তার সকল সৃষ্টিই মানবকল্যানের জন্য । সৃস্টি কর্তার প্রতি জানাই কৃতজ্ঞতা ।
ধন্যবাদ সাথে রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




আপনার সাথে দৌঁড়িয়ে পারা যাচ্ছেনা । এতো এতো সমৃদ্ধ পোস্ট আর এতো অল্প সময়ের ভেতরে চলে আসে যে, সময় বের করে তার সাথে তাল মেলাতে হিমশিম খেতে হয় ।
্এখন শুধু প্রজাপতির ছবির টানে এসে পোস্টের বর্ণাঢ্য রঙের খেলায় বসে যেতে হলো ।

ঝোপ, ঝাড়, বনে , ফুলে ফুলে কবিতায় গানে, গুগল মামার ইমেজের বাগানে দেখা যায় নাম না জানা প্রজাপতিদের কতনা বিচরণ। হা...........হা............হা............ একটা জায়গার কথা বাদ দিয়েছেন! :( মন:P
প্রজাপতি প্রজাপতি পাখনা মেলো
আমার ঐ মনের গহীন কোনে কোনে
রঙে রঙে রঙ মশাল জ্বালো ..............।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দৌড় আর দিতে পারলাম কোথায় । সামু বড় স্লো চলছে । মাথায় লিখার পোকা এটা ডুকলে সেটাকে তারানোর জন্য একটা কিছু লিখতে হয় না হলে কেমন কেমন যেন লাগে । নীজের জন্যই লিখে যাওয়া , আপনাদের কাছে ভাল লাগে জেনে খুশী হলাম ।
প্রজাপতির যে কত কাজ তার নেই কোন শেষ , কি ভুলা মন আমার, এদের আসল কাজটাই আমার বলা হলনা, মনে হল আপনার লিখায় এর জন্য রইল বিশেষ ধন্যবাদ । প্রজাপতি কিস্তু উত্তম সংবাদ বাহকও বটে , সেই যে সাবিনা ইয়াসমিন গেয়েছিলেন
"প্রজাপতি উড়ে গিয়ে বলনা , আমি যে নই তার হাতের খেলনা" গানটি দীর্ঘদিন ঘুরে ছিল অগনিত মানুষের মুখে মুখে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বনে বাদাড়ে ঘুরে অনেক প্রজাপতির ছবি আমার তোলা আছে, তবে এতো বৈচিত্র এখনো আমার ভান্ডারে জমা হয়নি, ধন্যবাদ

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আবার আসার জন্য । আশির দশকে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বরেন্য আলোক চিত্র শিল্পী নওয়াজেস আলী খানের ক্যমেরায় তুলা অর্ধশতেরও বেশী প্রজাপতির ছবি তাঁর ব্যক্তিগত এলবামে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল । তিনি তাঁর কাজের জন্য সে সময় উচ্চকিত প্রসংসাও পেয়েছিলেন । আপনিও বনে বাদারে ঘুরে ঘুরে এ সমন্ত জীব বৈচিত্রের জিবন্ত ছবি তুলছেন শুনে খুব ভাল লাগল । আশা করি দুর্লভ অনেক প্রজাপতির ছবি দেখতে পাব আপনার কল্যানে ।
ভাল থাকার শুভেচ্ছা রইল ।

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: যতটুকু পড়লাম। মুগ্ধ হচ্ছিলাম বারবার। পোস্ট প্রিয়তে। কত কম জানি আমরা। অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মুগ্ধতায় আমি বিমোহিত । প্রিয়তে নেয়ার ইচ্ছের কথা শূনে খুশী হলাম । হিরক রাজার দেশের রচনার একটি ডায়লগে শুনেছিলাম বলা হচ্ছে জানার কোন শেষ নাই জানার চেষ্টা বৃথা তাই :) যারা বলেন জানি কম তারাই নাকি জানেন বেশী , এই আপ্ত বাক্যটি রাজপুত্রদের বেলাতেই খাটে বেশী :)
শুভেচ্ছা রইল ।

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭

সুমন কর বলেছেন: দারুণ পোস্ট। পরে আসবো....

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা , আচ্ছা দেখা হবে আবার ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অকল্পনীয় একটি লেখা, বিস্ময়কর!!!! বিষয় অবশ্যই ভাললাগার।
জীবনে এত্ত প্রজাপতি না দেখতে পারলেও, আপনার কল্যাণে ছবি দেখলাম, অনেক জানলাম।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই!!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এসে প্রজাপতি দেখার জন্য খুব খুশী হলাম । প্রজাপতিদের প্রজাপতি ভাল না লেগে যেতেই পারেনা । লোকজন প্রজাপতি দেখার জন্য গ্রীসের রোডস আইল্যান্ডের বাটারফাই ভেলী কিংবা মেক্সিকোর রাজকীয় বিশ্রাম উপত্যকায় যায় । আচ্ছা গাছ পালা , ফুল লতা পাতা পাখীর সুন্দর সুন্দর বাংলা নাম আছে কিন্তু আমরা প্রজাপতিদেরকে শুধু প্রজাপতি বা ফড়িং নামেই ডাকি । এদের ইংরেজী নাম গুলু বেশ বিদঘুটে । এদেরকে কি সুন্দর সুন্দর বাংলা নাম দেয়া যায়না । কবিতা ও গল্পে এদেরকে তাদের ছবি দিয়ে পাশে একটা সুন্দর বাংলা নাম দিয়ে শুরু করলে মনে হয় ভাল হয় । একবার শুরু হলেও তা ব্যপক প্রচার পেলে প্রজাপতিদের বাংলা নাম অনেকের কাছে পরিচিতি পেত । যাহোক এটা একটা প্রস্তাবনা ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
বাহ!! প্রজাপতি আর প্রজাপতিই শুধু।
প্রচুর ঘেটেছেন পোস্ট পড়েই বুঝা যায়।

সাদা ভাইয়ের কথা সত্য, পোস্টে যত প্রজাপতির ছবি আছে - জীবনে আসলেই এত প্রজাপতি দেখছি কিনা সন্দেহ।

+

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, এখানে আপনার আসাটা ছিল দীর্ঘ প্রত্যাশিত । মনের কোনে একটু সংসয় ছিল । হ্যা একটু ঘাটাঘাটি করতে হয়েছিল , প্রজাপতিতের ব্যবহার নিয়ে পড়াশুনা করতে গিয়ে মনে হল কিছু কিছু বিষয় সামুর ভাই বোনদের সাথে একটু শেয়ার করতে পারি । প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রজাপতি দেখা হচ্ছে , অাশা করি তাই দিনে দিনে দেখতে পাবেন অনেক নতুন প্রজাপতি আর তার প্রতিফলন ঘটবে আপনার অপরূপ সাহিত্য কর্মে , আমরা মুগ্ধ হয়ে পড়ব সে গুলি ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

মেহেদী রবিন বলেছেন: এত এত প্রজাপতি, এত এত তথ্য, , দেখি কোনদিন কোন একটা কবিতায় অন্ততঃ কাজে লাগিয়ে ফেলবো। ধন্যবাদ আপনাকে

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: চারিদিকে শুধু প্রজাপতি আর প্রজাপতি । ছোট ছোট শিশুরা প্রজাগতির মতই অনেক অনেক সুন্দর। খুশী হলাম প্রজাপতিকে কবিতায় ব্যবহার করার ইচ্ছের কথা শুনে , অনুরোধ থাকল কবিতায় ব্যবহারের সময় এদের একটা সুন্দর বাংলা নাম দিবেন ।গাছ পালা , ফুল লতা পাতা পাখীর সুন্দর সুন্দর বাংলা নাম আছে কিন্তু আমরা প্রজাপতিদেরকে শুধু প্রজাপতি বা ফড়িং নামেই ডাকি । কবিতা ও গল্পে এদেরকে একটা সুন্দর বাংলা নাম দিয়ে শুরু করলে মনে হয় ভাল হয় । এমনি ভাবে এদের নামের একটি পরিচিতি ছড়িয়ে পড়তে পারে পাঠকের কাছে যা ক্রমান্বয়ে পেতে পারে ব্যপক পরিচিতি ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

নেক্সাস বলেছেন: দারূন পোষ্ট।দারুন ফিচার। প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্ট দারুন অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ, প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।

১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


রায়োথেমিছ ভেরাগুটা ভেরাগুটা,পার্পল এমপেরর, রেড এমপিরাল,নর্দান ব্রাউন আরগুস, মিডো ব্রাউন, গেইট কিপারকে খুবই সুন্দর লাগছে। ইন্সেক্টা পর্বের এই প্রাণী গুলো দেখে হিংসে হয়। কত সুন্দর ডানা ওদের। বিচিত্রতায় মুগ্ধ হয়ে যাই।


লেখায় এই পতঙ্গদের বিজ্ঞানে, অর্থনীতিতে, পরিবেশের অবদান যোগ করে তাদের অবদান সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জানা হল। সোলার সিস্টেমে পতঙ্গ ডানার গবেষণাদি সাফল্য পেলে খুব শীঘ্রই জ্বালানী খাতে বড়সড় পরিবর্তন আসবে। আর সেটা হলে তেল ও গ্যাসভিত্তিক জ্বালানি নির্ভরতা কমে যাবে। বিশ্ব বাজারের প্রচলিত ধারার ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এমনটাই যেন হয়। তেল গ্যাস কয়লা ভিত্তিক জ্বালানি মানেই পরিবেশের ক্ষতি, অর্থনৈতিক ঝুঁকি, মন্দার অশনি সংকেত, পুজিবাদের গরম হাওয়া। সোলার সহজলভ্য করতে এই প্রজেক্টের সফলতা চাই। এই প্রজাপতি আর ঘাসফড়িং গুলো মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে।


খুব পরিশ্রমী পোষ্টে অনেক ভাল লাগা।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার এত সুন্দর কথামালায় রয়েছে একরাশ মুগ্ধতা । প্রজাপতির নাম সব বিদঘুটে ইংরেজীতে । গাছ পালা , ফুল লতা পাতা পাখীর সুন্দর সুন্দর বাংলা নাম আছে কিন্তু আমরা প্রজাপতিদেরকে শুধু প্রজাপতি বা ফড়িং নামেই ডাকি । কবিতা ও গল্পে এদেরকে একটা সুন্দর বাংলা নাম দিয়ে শুরু করলে মনে হয় ভাল হয় । এমনি ভাবে এদের নামের একটি পরিচিতি ছড়িয়ে পড়তে পারে পাঠকের কাছে যা ক্রমান্বয়ে পেতে পারে ব্যপক পরিচিতি । আসুন না সকলে মিলে এদের জন্য সুন্দর সুন্দর বাংলা নাম প্রচলন করি । ভ্রমর দিয়েই হোক না শুরু । অাপনার কামনা পুর্ণ হোক , প্রজাপতি হোক সোলার পওয়ার আহরণের প্রেরণাদায়ী উপাদান ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


রায়োথেমিছ ভেরাগুটা ভেরাগুটা,পার্পল এমপেরর, রেড এমপিরাল,নর্দান ব্রাউন আরগুস, মিডো ব্রাউন, গেইট কিপারকে খুবই সুন্দর লাগছে। ইন্সেক্টা পর্বের এই প্রাণী গুলো দেখে হিংসে হয়। কত সুন্দর ডানা ওদের। বিচিত্রতায় মুগ্ধ হয়ে যাই।


লেখায় এই পতঙ্গদের বিজ্ঞানে, অর্থনীতিতে, পরিবেশের অবদান যোগ করে তাদের অবদান সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জানা হল। সোলার সিস্টেমে পতঙ্গ ডানার গবেষণাদি সাফল্য পেলে খুব শীঘ্রই জ্বালানী খাতে বড়সড় পরিবর্তন আসবে। আর সেটা হলে তেল ও গ্যাসভিত্তিক জ্বালানি নির্ভরতা কমে যাবে। বিশ্ব বাজারের প্রচলিত ধারার ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এমনটাই যেন হয়। তেল গ্যাস কয়লা ভিত্তিক জ্বালানি মানেই পরিবেশের ক্ষতি, অর্থনৈতিক ঝুঁকি, মন্দার অশনি সংকেত, পুজিবাদের গরম হাওয়া। সোলার সহজলভ্য করতে এই প্রজেক্টের সফলতা চাই। এই প্রজাপতি আর ঘাসফড়িং গুলো মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে।


খুব পরিশ্রমী পোষ্টে অনেক ভাল লাগা।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এসে দেখায় পরিশ্রম সার্থক হয়েছে । কিছু কথা উপরে বলা হয়েছে । কাজল ভ্রমরকে নিয়ে এ ব্লগে আমার একটি পোস্ট আছে। লিংকটি দিতে চেয়েছিলাম , সামু খুবই স্লো যাচ্ছে । তিনবার চেষ্টা করেও সেখানে যেতে পারলাম না , অস্বাভাবিক বিলম্ব হচ্ছিল তাই এই মহুর্তে দিতে পারলাম না । পরে কোন এক সময় দেয়ার আশা রাখি । একটি প্রজাপতি ফোরাম গঠনের আশা মনে মনে পোষন করি । তাই সমমনাদের সাথে দেখা হতে পারে বারে বারে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

বিজন রয় বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,

আপনার সাথে দৌঁড়িয়ে পারা যাচ্ছেনা । এতো এতো সমৃদ্ধ পোস্ট আর এতো অল্প সময়ের ভেতরে চলে আসে যে, সময় বের করে তার সাথে তাল মেলাতে হিমশিম খেতে হয় ।


এই কথাটি আমি অনেক আগেই আপনাকে বলেছিলাম।
প্রতিদিন পোস্ট না দিয়ে সপ্তাহে একটি বা দুটি পোস্ট দিতে। কিন্ত আমার কথা রাখেননি।

আশাকরি এবার রাখবেন।
এত এত ভাল পোস্ট প্রতিদিন না দেওয়াই ভাল। তাতে অনেকের ইন্টারএ্যাকশান বেশী হয়।

আমরাও তো পারি প্রতিদিন পোস্ট দিতে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কি যে বলেন দাদার সুপার স্পীডের কাছে আমার স্পীড তো কিছুই না । আপনার প্রোফাইলে মন্তব্যদানের যে পাহাড় তার ধারে কাছে যাওয়ার সাধ্য আছে কার । আমার দৃঢ় বিশ্বাস দাদা ইচ্ছা করলে টি -২০ এর মত চার ছক্কার পোস্ট দিনে দিতে পারে হালি হালি , এটা তার কাছে কোন বিষয়ই না । দাদার কথা তো শীরোধার্য হয়েই আছে । আমার গত তিন মাসের পোস্ট এর পরিসংখ্যানটি একটু নীচে দেখুন বুঝতে পারবেন বেতমিজি করেছি কিনা । গত তিন মাস ধরে সপ্তাহে গড়ে ১-২ টি পোস্ট । এ মাসে সামুর স্পীড টেস্টের জন্য প্রথম পোস্টটি দেয়া । এবার হবে দীর্ঘ বিরতী শুধু চেয়ে চেয়ে চেয়ে সকলের সুন্দর সুন্দর মনমাতানো লিখা দেখা আর ইন্টারএ্যাকশান এর জন্য প্রয়াস নেয়া ।
আমার গত তিন মাসের পোস্ট পরিসংখ্যান:
• অক্টোবর, ২০১৬ (২)
• সেপ্টেম্বর, ২০১৬ (৪)
• আগস্ট, ২০১৬ (৫)
• জুলাই, ২০১৬ (৮)
নিরন্তর ভাল থাকুন শুভ কামনা রইল ।

১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া

মুগ্ধ মুগ্ধ এবং মুগ্ধতা!!!!

প্রিয় প্রজাপতিদের নিয়ে লেখায় অনেক অনেক ভালোবাসা!!!!!!!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রজাপতিসম ভালবানায় সিক্ত :) মুগ্ধতায় বিমুগ্ধ :)
আপুমনির কাছে অমর দাবী রইল প্রিয় প্রজাপতিদেরকে
নিয়ে বাংলায় নামকরণ কর । বিদেশের মত
তারাও স্বদেশে পরিচিত হোক নীজের জন্য
সুন্দর সুন্দর মনমাতানো বাংলা নামে ।

প্রজাপতি ফোরাম গঠন করে নামকরণ প্রকল্প
এখনই চালো কর, তোমার অসাধারন সৃজনী শক্তি
দিয়ে । কবিতায় গল্পে বহুল ব্যবহারে হবে তা
ব্যপকভাবে প্রচার । এ লক্ষে্‌ নিরন্তর শুভেচ্ছা
থাকল ।

১৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মন আমার প্রজাপতি হয়ে গেলো রে । সুন্দর পোস্ট পড়ছি কম দেখছি বেশী কিন্তু হাহাহা

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তাইতো হওয়ার কথা । পোস্টে ছবিইতো ৭৫% । মনে কি পরে আপনার কোন এক কবিতায় মন্তব্যের ঘরে বলেছিলাম প্রজাপতি পল্লী একটি গড়ব এ ব্লগে , এটা তারই শুরু । প্রজাপতিদের জন্য সুন্দর সুন্দর বাংলা নাম দেয়া কর্মটা ছেড়ে দেয়া হল স্বনামধন্য কবিদের প্রতি । আর হ্যা নীচের লিংকটি ফলো করে দেখাবেন আপনার ঘরে থাকা দুটু প্রজাপতিকে । ২০১২ তে প্রজাপতিদের উপর দেয়া আপনার পোস্ট এর কথাটি নিশ্চই যাননি ভুলে , সেখানে নামহীন প্রজাপতিদের সাথে সর্ব নীচে আপনার একটি সুন্দর প্রজাপতির ছবি দেখলাম রয়েছে ঝুলে । এখন পর্যন্ত প্রজাপতির উপর এ ব্লগে যত ছবি আছে তার কাছে আপনার প্রজাপতির ছবিটিই সেরা হয়ে আছে ।
Butterfly - My animal friends - Animals Documentary - Kids educational Videos
এই লিংকটি
https://www.youtube.com/watch?v=xT6UsQwZyy0

শুভেচ্ছা রইল ।

১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রজাপতি রুপকথার কোন উপকরণ মনে হতো একদম ছোটবেলায়! এদের ধরলে হাতে গুঁড়ো পড়ে যেতো এটটুকু মনে আছে। আপনার পোস্ট পড়ে মনে হলো ছোটবেলার সময়টা!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এ পোস্টে এসে আপনার মুল্যবান সময় দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ । প্রজাপতির গুঁড়ো সেটা তার সেল্‌ফ প্রটেকশন । প্রজাপতি যদি নীজের থেকে উড়ে এসে হাতে বসে তাহলে আপনি খুবই ভাগ্যবানদের মধ্যে একজন । প্রজাপতি উড়ে এসে হাতে বসলে কি পাওয়া যায় তা দেখুন :)


শুভেচ্ছা রইল

১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩৭

হাসান তায়েফ বলেছেন: Kick scooter has become an alternative mode of transport around the city, not only for children and teenagers but also for adults.Commute to work from home, use public transportation, shopping, enjoy a meal at your favorite restaurant, and take your scooter with you almost anywhere. If you want to find out more advantages about adult kick scooting, start with the visit Our ‘www.mykickscooter.com ‘.view this link

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:০৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রজাপতির শুভেচ্ছা রইল । mykickscooter এটা ঢাকার রাজপথে চালালে বিপদ জনক হতে পারে , এর জন্য রাস্তার যে কোয়ালিটি দরকার তা ঢাকার রাজপথের নেই । এটা বিদেশে উঠতি বয়সের শিশু কিশুররা সখ করে মাঝে মাঝে রাস্তায় নিয়ে বেড় হলেও এর ব্যবহারকে প্রকারান্তরে নিরোতসাহিতই করা হয় । যাহোক, আমাজন ডট কমের বিজ্ঞাপনে দেয়া বিষয়টি নিয়ে পৃথক একটি পোস্ট দিয়ে বিকল্প পরিবহন হিসাবে এর ভাল মন্দ দিক তুলে ধরলে মনে হয় ভাল হত । তবে এটা ঠীক যে প্রজাপতির মত এটায় চড়ে রাস্তায় ঘুরাঘুড়ি করা যাবে :)

২০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:৫০

এম কে ইসলাম বলেছেন: প্রজাপতি নিয়ে অসাধারণ লেখেছেন, অনেক কিছু শিখা হল।
প্রজাপতির তত্ত্বে বিমোহিত হলাম। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লিখাটি অসাধারণ অনুভুত হওয়ায় অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা গ্রহণ করা হল ।
নিরন্তর ভাল থাকুন এ শুভ কামনা রইল ।

২১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

জুন বলেছেন: প্রজাপতির মহাভারতে চোখ বুলিয়ে গেলাম। সময় করে এসে পড়ে মন্তব্য করবো।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক খুশী হলাম চোখ বুলিয়ে যাওয়ার জন্য । সময় করে আবার আসলে অনেক ভাল লাগবে । আবার যদি আসেন তবে প্রজাপতিদের বাংলা নামকরনের বিষয়ে আপনার চিন্তাধারাটি জানালে খুশী হব ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: প্রজাপতি ও ফড়িং এর ভার্চুয়াল রাজ্যে ভ্রমণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যেদিকে তাকাবেন সেদিকে্‌ই হাজার হাজার প্রজাপতি, কবি জীবনানন্দ দাস তার কবিতায় লিখেছেন তাদেরকে আমরা দেখি উড়ে বেড়ায় চোখের সামনে কিস্তু তাদের কি আমরা চিনি, না নামে তাদেরকে চিনিনা , একনামে সকলকে প্রজাপতি নমে জানি । অাসুন না সকলে মিলে একে যার যার প্রজাতি ভেদে একটি করে বাংলা নাম দিয়ে কবিতা , গানে , গল্পে সাহিত্যে শিশুতোষ পাঠ্য বইয়ের মাধ্যমে সে নাম গুলি পরিচিত করি সকলের মাঝে ।
অনেক খুশী হলাম এসে দেখার জন্য । শুভেচ্ছা জানবেন ।

২৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: বাস্তবে এত প্রজাপতি দেখছি বলে মনে হয় না। তবে আপনার কল্যানে ছবি দেখা হলো। চমৎকার পোষ্ট।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্ট চমৎকার অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
অাশা করি দিনে দিনে আরো অনেক অনেক প্রজাপতি দেখা হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১২

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

অনেক অনেক ভালোলাগা।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্ট সুন্দর অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
নিরন্তর ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

২৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রজাপতি প্রাণীটাই এমন, এর আলতো ছোঁয়া লাগতেই যে কোন মানুষের মন ভাল হয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। পোস্টটা গত কালকে পড়েছিলাম। ভাবছিলাম এত চমৎকার একটা পোস্ট করার জন্য আপনাকে খুব বড়সড় রকমের একটা ধন্যবাদ জানিয়ে যাবো!

কিন্তু সত্যি কথা বলতে এখন আর সেই ফিলিংসটা খুঁজে পাইতেছি না। আসলে দুপুরের দিকে কলেজ ছাত্রী খাদিজাকে কোপানোর সেই ভিডিওটা দেখার পর থেকে মন মানসিকতাটা একদম ভিন্ন হয়ে গেছে। যাহোক, অফটপিকে কথা বলাটা ঠিক না!

তবে আপনার পোস্টটা আসলেই খুব চমৎকার হয়েছে। সাধারনত এধরনের পোস্টকে সামুর সম্পদ হিসাবে পরিগণিত করা হয়। আর সেটা যে আপনি খুবই দক্ষতার সাথে একের পর এক প্রদর্শন করে চলেছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না!

শুভ কামনা ডঃ আলী! ভাল থাকবেন!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্টটা ভাল লাগা ও সুন্দর অনুভুত হওয়ার জন্য অনেক খুশী হয়েছি । আপনার প্রসংসামুলক কথাগুলি আমাকে অনুপ্রাণীত করছে । ভাল লাগার পাশাপাশি খাদিজার উপরে কোপাকুপির মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা সকলেই শোকাহত । এটা কি ভাবে ঘটতে পারে তা ভেবে অবাক হই । এ ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক বিচার হোক এটা চাই ।

আমরা সকলেই সমবেত ভাবে সামুর পাতায় লিখা লিখে একে বৈচিত্রময় করে তুলছি , আপনার সুন্দর লিখাগুলিও এর মধ্যে অন্যতম ।

নিরন্তর ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।
আপনার মন্তব্য লিখুন

২৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রজাপতির উপস্হিতি বাচ্ছাদের আনন্দিত করে বিশালভাবে

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ বাচ্চারা তো অবশ্যই আনন্দিত হয় বিশালভাবে প্রজাপতি দেখে । তবে নীচের লিংকে ক্লিক করে দেখুন
বুড়া বুড়ি কেমন করে মেতে আছে প্রজাপতি নিয়ে

২৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: @চাঁদগাজী
ধন্যবাদ বাচ্চারা তো অবশ্যই আনন্দিত হয় বিশালভাবে প্রজাপতি দেখে । নীচের লিংকে ক্লিক করে দেখুন
বুড়া বুড়ি কেমন করে মেতে আছে প্রজাপতি নিয়ে

২৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭

ক্লে ডল বলেছেন: এত অল্প সময়ে এমন তথ্য সমৃদ্ধ এক একটা পোষ্ট হাজির করেন কিভাবে তাই ভাবি!!
প্রজাপতির সাতকাহন এবং আপনার পরিশ্রমে প্লাস।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য । আমার পোস্টে তথ্য যৎকিঞ্চিত থাকলেও আপনার পোস্টের সৃজনশীলতার ধারে কাছেও নয়, মাটির পুতুলের পোস্টে এত সৃজনশীতা আসে কিভাবে আমিও ভাবি সেটা !!!
শুভেচ্ছা রইল ।

২৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৪

নীলপরি বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট । খুব ভালো লাগলো । ++

আপনার পূজোর দিন গুলো খুব ভালো কাটুক । অনেক শুভেচ্ছা রইলো ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এই পুজোর ব্যস্ততার মাঝেও একবার এসে দেখে যাওয়ার জন্য । পোস্ট অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।


আপনার মন্তব্য লিখুন

৩০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্রজাপতি আর ফড়িং পতঙ্গ রাজ্যের সবচেয়ে সুন্দরতম পোকা

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনি এসে প্রজাপতি দেখায় খুব খুশী হলাম । হ্যাঁ সত্যিই প্রজাপতি আর ফড়িং পতঙ্গ রাজ্যের সবচেয়ে সুন্দরতম প্রাণী । এই মহুর্তে বাংলাদেশ ইংল্যান্ড দ্বিতীয় এক দিনের ক্রিকেট খেলা দেখছি । মনে হল প্রজাপতির মত ডানা থাকলে এক্ষুনি মাঠে উড়ে যেতাম , ইল্যন্ড এখন ১৩২/৮ , বাংলাদেশ এভাবে খেলতে পারলে জয় আমাদের হবেই ইনশাল্লাহ । জানি আপনিও খেলা দেখছেন , উপভোগ করতে থাকুন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার এই পোস্ট। তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট, ছবিগুলো চোখ জুড়ায় আর লিঙ্কগুলো নিয়ে যায় অচেনা জগতে যেখানে সবকিছুই প্রজাপতি ময়!
প্রজাপতি দেখলেই আমার চোখে নারী ও শিশু ভেসে ওঠে। আমি জীবনে কখনো কোন অসুন্দর প্রজাপতি দেখিনি। ছোটবেলায় ফড়িং এর পেছনেও অনেক দৌড়েছি। ফড়িং নিয়ে আমার একটা ইংরেজী কবিতাও আছে, আগ্রহী হলে এখানে পড়ে দেখতে পারেনঃ
Dragonfly
ভালো লাগা মন্তব্যঃ ৫, ১৩, ২৫
ভালো লাগা প্রতিমন্তব্যঃ ৪, ৫, ৯, ১৫, ২৫


১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাল লাগল প্রসংসা বাণীতে । প্রজাপতি সকল কবিদের কাছে বরাবরেই সুন্দর । ছোট সময় প্রজাপতির পিছনে ছুটতেন শুনে ভাল লাগল । আমিও ছোটকালে প্রজাপতির পিছনে ছুটতাম । গাছ থেকে ভ্রমর কে ধরে এনে তার পায়ে নিলাজী গাছের ( লেংরা ফুল গাছের ) চিকন লম্বা বোটা ডুকিয়ে দিয়ে ভন ভন করে ঘুরাতাম, সুন্দর একটা আওয়াজ আসত । ভ্রমরাটি নিশ্চয় একটু ব্যথা পেতো কিন্ত তখন সেটা বুঝতামনা শুধু মঝা করতাম , তবে ছেড়ে দিলে উড়ে গাছে চলে যেত , এখন সে কথা মনে করলে আনন্দ লাগে আবার মনে কস্টও লাগে ভ্রমরকে না বুঝে ব্যাথা দিতাম বলে ।

যাহোক, আপনার Dragonfly কবিতাটি দেখে এসেছি । একটা ছোট কমেন্ট সেখানে করেছি , যথানিয়মে সাবমিট করার পরেও জানিনা কেন সেটা কমেন্টের ঘরে দেখাচ্ছেনা তা বুঝতে পারছিনা । যাহোক সেই কমেন্টটা এখানে তুলে দিলাম
Dragonfly by Khairul Ahsan is a pleasant and nice poem on my most favorite creature . I think you know dragonfly sometimes wants to be Spider man. I wish you could see this . It suit stretched very far and then add a tail and wings to the spree. It can also put the local spiders busy, spinning a great web in a very big tree. Unfortunately when it sit on it, it weighed a tad too much! Golly Ge!!!

সেখানে আপনার আরো অনেক কবিতাও দেখে এসেছি এই ফাকে যার মধ্যে আছে Pristine Love
And Softly Silence Speaks..... , A Gentle Touch , A Poet's Heart, French Kiss

সুপ্রিয় কবির প্রতি রইল উঞ্চ অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা ।

ভাল থাকার শুভ কামনাও রইল এ সাথে ।

৩২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:০২

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: প্রজাপতির রঙে রঙে রঙীন একটি পোস্ট। পৃথিবীর সব রঙ যেন এখানে এসে ভিড় করেছে। অনেক অজানা তথ্য জানা হল। প্রজাপতি হতে শুঁয়াপোকা হয় জানি, কিন্তু প্রজাপতি শুঁয়াপোকা খায় এটা এবার জানলাম।
ভাল লাগল বরাবরের মতই। অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন একটি তথ্যবহুল পোস্টের জন্য।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এসে দেখার জন্য । প্রসংসা শুনে ভাল লাগল । প্রজাপতি সব শুঁয়াপোকা খায়না । শুঁয়াপোকারো আবার অনেক জাত আছে । কিছু কিছু শুঁয়কপোকা খুবাই ছোট ছোট ও ফসলের জন্য ক্ষতিকারক । সে রকম কিছু খেয়েই প্রজাপতি করে আমাদের একটি উপকার ।
মনে হয় বেশ কিছুদিন ছিলেন ব্যস্ত , গিয়াছিলাম আপনার ব্লগে নতুন কোন লিখা আছে কিনা দেখিবার তরে পাইনি নতুন কিছু বুঝিলাম আছেন অন্য কোথাও । যাহোক, ভাল লাগল আবার সরব হয়েছেন বলে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০৮

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: না না অন্য কোথাও ছিলাম না | আসলে বেশ কিছুদিন প্রচণ্ড মাথা ব্যথায় অসুস্থ ছিলাম | ডা: এর পরামর্শে মোবাইল থেকে দূরে ছিলাম | এখন একটু ভাল বোধ করছি তাই আবার চলে এলাম আপনাদের মাঝে | ধন্যবাদ :)

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ কুশল জানানোর জন্য । প্রচন্ড মাথাব্যাথার কথা শুনে খারাপ লাগল ।
ডা: এর পরামর্শ মেনে উত্তম কাজ করেছেন । দোয়া করি সম্পুর্ণ ভাবে ব্যাথা সেরে যাক ।
ভাল থাকুন এ কামনা রইল ।

৩৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ কুশল জানানোর জন্য । প্রচন্ড মাথাব্যাথার কথা শুনে খারাপ লাগল ।
ডা: এর পরামর্শ মেনে উত্তম কাজ করেছেন । দোয়া করি সম্পুর্ণ ভাবে ব্যাথা সেরে যাক ।
ভাল থাকুন এ কামনা রইল ।

৩৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




জম্পেশ একটি প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আবার আসার জন্য
আপনার প্রতিও রইল অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

৩৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আবার আসার জন্য
আপনার প্রতিও রইল অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

৩৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

জুন বলেছেন: • প্রজাপতিরা একটি সুস্থ পাকৃতিক পরিবেশ এবং সুস্থ বাস্তুতন্ত্র (Ecosystem) সূচক।
এ বাক্যটির প্রতিফলন আমরা বর্তমানে আমাদের নগরগুলোতে ভালোভাবেই উপলব্ধি করছি। এদের সম্পুর্ন অনুপস্থিতি এখন বিশেষ করে ঢাকায়। আমার কাছে অবিশ্বাস্য লাগে যে এক সময় আমার ঢাকাতে কত রং বেরং এর প্রজাপতি আর ফড়িং দেখেছি বিশেষ করে ড্রাগন ফ্লাই ।
এখানে মাঝে মাঝে আমার অস্থায়ী নিবাসের বারান্দার গাছগুলোতে ওরা এসে ঘুর ঘুর করে । আর আমি অদ্ভুত এক ভালোলাগা নিয়ে তাকিয়ে থাকি ডাঃ এম আলী । আপনার পোষ্ট যেন রংগীন প্রজাপতিদের এক ডিকশেনারী । সত্যি আপনি শুধু একজন গবেষকই নন , অসাধারণ লেখনীর সাথে রয়েছে অসম্ভব সুন্দর একটি বিশ্লেষক মন ।
+

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার প্রসংসাবানীতে আমি বাকরুদ্ধ , বিমুগ্ধ । আমার জানার ও তা প্রকাশের ক্ষমতা খুবই সীমিত । নতুন কিছু চিন্তায় এলে সকলের সাথে শেয়ার করে উপভোগ করার মানষেই তা সামুতে তুলে ধরতে হই প্রবৃত্ত । লিখা ভাল হয় কিনা জানিনা , তবে পাঠকের ভাল লাগার কথা শুনে হই আনন্দিত । আপনি যতার্থই উপলব্দি করেছেন প্রজাপতিরা একটি সুস্থ পাকৃতিক পরিবেশ এবং সুস্থ বাস্তুতন্ত্র সূচক যার অভাবের কথাটি বিশেষ করে জনবহুল শহড় ঢাকায় উঠে এসেছে আপনার উপলব্দিতে ।

এদের সংখ্যা কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ও এদের অবদানের কথা চিন্তা করে পৃথিবীর অনেক দেশই প্রজাপতিদের সংরক্ষনের জন্য তাদের দেশে গড়ে তুলেছেন প্রজাপতি পল্লী বা খামার । এরকম একটি উপলব্দি থেকে প্রজাপতি সংরক্ষনবাদী কমিউনিটির উদ্যোগে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় প্রজাপতি পল্লী Stratford-Upon-Avon Butterfly Farm গড়ে উঠেছে গ্রেট ব্রিটেনের হার্টফুট শায়ারে। প্রায় ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশী টাকায় যা প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ) ব্যয়ে নির্মিত এ প্রজাপতি পল্লীতে ১০০০০ বাটারফ্লাই বসবাস করতে পারে একসাথে । এর মধ্যে ২৫০ প্রজাতীই ট্রপিকেল বাটারফ্লাই । একসাথে এত বৈচিত্রময় প্রজাপতি দেখা যাবেনা কোথাও । নীচে ঐ প্রজাপতি পল্লীটির ছবি দেয়া হল । আপনি দেশ বিদেশ ঘোরাফেরা লোক সময় সুযোগ পেলে দেখে যাবেন এ সুন্দর ও বৈচিত্রময় প্রজাপতি পল্লীটি । এটা দেখলে বুঝা যাবে এ ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি কতটা । আপনাদের মত জনপ্রিয় লিখকদের কথায় ও সাহিত্য রচনায় উঠে আসুক ঢাকার কেন্দ্রস্থলে সোহড়াওয়্র্দি উদ্যান , রমনা পার্ক বা অন্য কোন সুবিধাজনক স্থানে একটি প্রজাপতি পল্লী স্থাপনের কথা , যেখানে এরা নিষ্চিন্তে বিচরণ ও বংশ বৃদ্ধি করতে পারবে ।

ভাল থাকুন এ শুভ কামনা রইল ।

Stratford-Upon-Avon Butterfly Farm


Stratford-Upon-Avon Butterfly Farm এর প্রবেশ দ্বার ।

৩৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

আঃ রাজ্জাক হাং বলেছেন: পড়ে খুব ভালো লেগেছে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আবারো শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আবার এসে দেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ

৪০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

পুলহ বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে রেখেছিলাম, কারণ এ পোস্ট- সময় নিয়ে পড়ার পোস্ট।
এ ধরণের তথ্যবহুল লেখা ভালো লাগে, আপনারটাও লাগলো।
শুভকামনা জানবেন!

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয়তে নেয়ার জন্য ।
শুভ কামনা রইল ।

৪১| ১১ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:

পোস্টটি প্রিয় তালিকায় তুলে রাখলাম।

১১ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল

৪২| ১১ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩

শাওন আহমাদ বলেছেন: বাহ! এ যেনো রঙের ছড়াছড়ি, চোখ জুড়ানো ছবি!

১১ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


ছবি চোখ জুড়ানো অনুভুত হওয়ায় ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.