নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
জলবায়ু ভয়ঙ্করভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে । আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ সমুদ্রতল ৯ থেকে ৪৮ সেন্টিমিটার এবং কার্বন নির্গমনের উচ্চহারে যে বৈশ্বিক উষ্ণতা পাচ্ছে তার ফলে সমুদ্রতল ১৬ থেকে ৬৯ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়বে। ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ভূমির এক-তৃতীয়াংশ পানিতে নিমজ্জিত হবে। এর ফলে সমুদ্রের কাছাকাছি অঞ্চলগুলোর দুই কোটি মানুষ বাস্তুভিটা হারাবে, বাড়বে জলবায়ু উদা্বাস্তু শরণার্থীর সংখ্যা। নদ-নদীতে লোনা পানির পরিমাণ বারবে। জীব বৈচিত্র হবে ধংস, বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার সহ ২০ থেকে ৩০ শতাংশ প্রজাতি হবে বিলুপ্ত (ছবি-১ )
ছবি-১/৩৫ : বিলুপ্তির মুখে রয়েল বেঙ্গল টাইগার
বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের উপকূলের বড় অংশ ডুবে যাওয়ার বিপরীতে সম্পূর্ণ নতুন তথ্যও করেছেন প্রকাশ ।বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, আগামী ১০০ বছরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে পলির পরিমাণ বাড়বে। এর ফলে দেশের বেশির ভাগ উপকূল ও নদী-তীরবর্তী এলাকা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। বাংলাদেশ সরকারের প্রাকৃতিক সম্পদবিষয়ক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) বলেছে, হিমালয় পর্বতমালা থেকে প্রতিবছর ১০০ কোটি টন পলি বঙ্গোপসাগরে এসে পড়ে। সমুদ্রের জোয়ার-ভাটার টানে তা বাংলাদেশের উপকূলে এসে জড়ো হয়ে নতুন ভূমি গঠন করে। এভাবে গত ৬৫ বছরে বাংলাদেশের উপকূলে এক হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার ভূমি জেগে উঠেছে (ছবি-২)।
http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2010-04-23/news/58304
ছবি-২/৩৫ : বাংলাদেশের উপকূলে ভেসে উঠা জমি
তারা বলেছেন আগামী ১০০ বছরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে গিয়ে দেশের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলোতে পানির পরিমাণ বাড়লেও একই সঙ্গে পলির পরিমাণও বাড়বে। ফলে দেশের বেশির ভাগ উপকূল ও নদী-তীরবর্তী এলাকা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে দেশটি ডুবে না গেলেও জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যান্য সকল কুফলই বাংলাদেশকে ভোগ করতে হবে ।
ধারে ভারে পোক্তা আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থাগুলির প্রতিবেদনে ভেসে আসা তথ্যগুলিকেই আমলে নেয়া আমাদের জন্য শ্রেয় হবে। তাছাড়া ১০০ বছর অপেক্ষা করার মত সময় আমাদের হাতে নাই । যা করার এখনই করতে হবে ।
প্রায় সকল পরিবেশ বিজ্ঞানীরাই আশঙ্কা করেছেন আগামীতে বাংলাদেশের প্রায় ২ কোটি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হবে বাধ্য । ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য ২০২০-২০৩০ সালের মধ্যে একটি মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে । যুক্তরাষ্ট্রসহ মোট ১৯টি দেশ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ ব্যয়ে হয়েছে প্রতিশ্রতিবদ্ধ । এই ফান্ড হতে কিছু অর্থ প্রাপ্তির লক্ষে বছর কয়েক যাবত বাংলাদেশ সরকার প্রধানের নেতৃত্বে দৌঁড় ঝাপ হয়েছিল শুরু । সাম্প্রতিক সফরে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় আগামী তিন বছরে বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম ( ছবি -৩ )। সন্দেহ নাই প্রকল্প প্রনেতারা দেশে বিদেশে তাদের তৎপরতা করবেন শুরু এখন জোরে সোরেই ।
ছবি-৩/৩৫ : বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম কতৃক ২ বিলিয়ন দেয়ার প্রতিশ্রুতি
বৈদেশিক সাহায্য পুস্ট প্রকল্প প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন সে এক এলাহী কান্ড । প্রকল্প চিহ্নিত করণ , তাদের প্রাক বিনিয়োগ আর্থ-কারিগরী সম্ভাব্যতা জরীপ , প্রকল্প দলীল প্রনয়ন , পকল্প বাস্তবায়নে দেশী বিদেশী পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগ এক জটিল ও মজাদার ব্যপার , পদ্মা সেতুর কথাটাই মনে বাজে বার বার । তার পরেও রয়েছে বৈদেশিক সহায়তা প্রকল্পের আওতায় প্রাপ্ত অর্থের ব্যবহার ও পরিশোধ পদ্ধতি সম্পর্কে টার্মস এন্ড কন্ডিশন । দাতাদের অর্থ বিনিয়োগ প্রসঙ্গে বলা যায়, বিনা লাভে কিছুই নয় । সুদ সমেত আসলটা ফিরততো দিতেই হবে সাথে খাত বহি:র্ভুত অন্যসব অপ্রাসঙ্গীক অদ্ভুত কিছু কন্ডিশনালিটিজ তো পালন করতেই হবে । দাতা আরোপিত বিবিধ প্রকার আনাকাংখিত স্ট্রাকচারাল এডজাস্টমেন্ট মেনে নিতেই হবে । তাছাড়া বাতাশে ভেসে বেড়ানো আমলাতান্ত্রিক কিছু কর্মকান্ডের কথাও যায়নাতো দেয়া উড়িয়ে । দাতাদের সহায়তায় এখানে আমরা যা কিছুই করিনা কেন তা দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন যাবে কি কিছু রোধ করা ? , এটা একটা বিরাট প্রশ্ন বোধক হয়েই রবে ।
২০১৪ সনে ইউএসএ এনার্জি ইনফরমেশন এডমিনিসট্রেশন (EIA) পরিচালিত এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা যায় বাংলাদেশ বছরে ৪৩.৬২ মিলিয়ন টন সমপরিমান গ্রীন হাউজ গ্যস CO2 নির্গমন করে । এর বিপরিতে রাশিয়া করে ১৭৮৮.৮৪ মিলিয়ন টন , চীন করে ৮৭৫৭.৩১ মিলিয়ন টন , জার্মানী করে ৭৪৮.৪৯ মিলিয়ন টন, কানাডা করে ৫৫২.৫৬ মিলিয়ন টন , গ্রেট বৃটেন করে ৪৯৬.৮০ মিলিয়ন টন আর মার্কিন যুক্তরাস্ট করে ৫৪৯০.৬৩ মিলিয়ন টন । বিশ্ব কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনে বাংলাদেশের অংশ মাত্র ০.১৪ ভাগ। গ্রীন হাউস ইফেক্ট এর জন্য দায়ী গ্যাস নির্গমনে শতকরা একভাগের উপরে অবদানকারী দেশের অবস্থান নিন্মের চিত্র -৪ এ দেখা যেতে পারে ।
ছবি-৪/৩৫ : গ্রীন গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনে বিভিন্ন দেশের অবস্থান
অবস্থা দৃস্টে এটা পরিস্কার, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, এর মিটিগেশন এবং এডাপটেশনে বাংলাদেশ যত কিছুই করুক না কেন, তা বিশ্বের উন্নত দেশগুলির মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নির্গমনের প্রেক্ষাপটে অতি নগন্য পরিমানে দায়ী হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের চড়া মাসুল গুনতে হবে বাংলাদেশকেই শুধুমাত্র উপকুলীয় নিন্মভুমি হওয়ার কারণে ।
এ অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে সর্বাত্বক সমন্বিত প্রচেষ্টাতো গ্রহণ করতেই হবে । এখনো বিস্তারিত কোন রূপরেখা পাওয়া যায়নাই বৈদেশিক সহায়তা নিয়ে সরকার কি করবে । নিশ্চয়ই বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে এ নিয়ে কার্যক্রম হয়ে গেছে শুরু , কিন্তু আমরা আম জনতা যখন জানতে পারব তখন তা হয়ত রামপালের মত বিতর্কিত হতে হতে, কোন পর্যায়ে যে যাবে, তা কেবল বিধাতাই জানেন, ইউনেস্কোর দরবাবরে গিয়া হয়তবা আমাদের আমলাদের অতি দক্ষতার কারণে ঘোরাফেরা করতে হতে পারে বছরের পর বছর ধরে !!! তাই বিষয়টির উপরে সকলেরই সুচিন্তিত মতামত ও প্রকল্প রূপরেখা তুলে ধরা একান্ত প্রয়োজন । সরকারেরই উচিত ছিল জলবায়ুর পরিবর্তন জনিত সমস্যা মোকাবেলায় করনীয় বিষয়ে রূপকল্প সম্বলিত একটি কনসেপ্ট পেপার তৈরী করে সরকারী ওয়েব সাইটে দিয়ে তার উপর সকলের মতামত আহ্নবান করা ।
যাহোক, প্রলয় অপ্রতিরোদ্ধ গতিতে আসতেছে ধেয়ে , সন্দেহ নেই কোন তাতে । আমরাও প্রস্তুত, বাঙ্গালী বীরের জাতি , যুদ্ধ সংগ্রাম করে স্বাধিনতা এনেছি , এগিয়ে যাচ্ছি সমৃদ্ধির পথে দৃপ্ত পদক্ষেপে, ভয় পাইনা কোন কিছুতে । অনেকেই আসঙ্কা করছেন দেশের উপকুলীয় অংশ তলিয়ে গেলে ২ কোটি লোককে দেশ ছেড়ে যেতে হবে চলে । শিক্ষায় ও কারিগরী জ্ঞানে পিছিয়ে থাকা জলবায়ু উদ্ধাস্তুগনে নিবেনা কেও কোলে তুলে । আমাদেরও সাফ কথা, যাব কেন দেশ ছেড়ে , দেখিনা একটু হাত পা নেড়ে , টিকতে পারব কিনা বাপ দাদার ঠিকানা ধরে ।
নিতে পারি আমরা স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা । স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মিটগেশন ও এডাপটেশন এর জন্য যা প্রয়োজন, ভেবে ভেবে করব তা সকলে । জনগনের মাঝে সচেতনতা দিব ছড়িয়ে । জল বায়ু পরিবর্তনের শিকার জনগনের জন্য কৃষি , শিক্ষা , স্থাস্থ্য ও যোগাযোগ খাতে সরকারকে বলব নিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা । সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচ্ছাস রোধে উপকূলীয় এলাকায় বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে সবুজের বেস্টনি গড়ে তোলার প্রয়াস নিব সকলে মিলে, যেন সেখানে বিলুপ্ত প্রায় জীব বৈচিত্র থাকতে পারে পরম নিশ্চিন্ত মনে ( ছবি-৫) । প্রয়োজনে লাগাতার মানব বন্দন কর্মসুচী দেয়া হবে উপকূল জোড়ে । যেমন করেই হোক সচেতন সকল পরিবেশবাদীদেরকে নিয়ে উপকূলীয় জীব বৈচিত্র রক্ষায় মেনগ্রোভ ফরেস্টের প্রসার ঘটানোর জন্য কর্মসুচী নেয়া হবে দ্রুতলয়ে ।
ছবি ৫/৩৫ : জীব বৈচিত্রের জন্য সবুজের নিরাপত্তা বেস্টনিতে নিশ্চিন্ত মনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার
শুনা যায় সুন্দরবনের দক্ষিনের বিশাল একটি অংশ ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে সমুদ্রে বিলীন , এ অবস্থা রোধে রামপাল হতে বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের ব্যবস্থাটিকে সুন্দরবন থেকে নিরাপদ দুরত্বে সরানোর ব্যবস্থাটি করতে হবে স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনার আওতাধীনে ।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ কয়েক'শ বছর ধরে পানির উপর সবজি চাষ করে আসছেন ( ছবি-৬) ৷ অভিনব এই উপায়টিই এখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় তাদের সাহায্য করছে ভীষনভাবে ৷ স্বল্পমেয়াদেই এই চাষাবাদ পদ্ধতিটার করতে হবে ব্যপক প্রসার । জলবায়ু তহবিলের কিছু অর্থ একাজে ব্যবহার হয় কিনা তা থাকবে গভীর পর্যবেক্ষনে, জানিনা এ কাজে অর্থ ব্যয় হবে কিনা, কেননা এ কাজে বিদেশী বিশেষজ্ঞতো আর লাগবেনা, তাই এটা গুরুত্ব নাও পেতে পারে বিবিধ কারণে ।
ছবি-৬/৩৫ : ভাসমান সবজি চাষাবাদ
জলবায়ুর প্রভা্বে যে হারে ডুববে উপকূলীয় অঞ্চল, তার থেকে অধিক হারে করতে হবে এই চাষাবাদের প্রচলন, নারী পুরুষ সকলকে সম্পৃক্ত করে দিতে হবে ভাসমান কৃষির উপরে প্রশিক্ষন (ছবি-৭) । লবনাক্ততায় টিকে থাকতে পারে এ ধরনের কৃষি উদ্ভিদের জাত বেশি করে করতে হবে উদ্ভাবন, দেশের কৃষিবিদদেরকে এ কাজে সম্পৃক্ত করার জন্য জলবায়ু তহবিল থেকে করতে হবে অর্থায়ন, দেখা যাক সরকারী পরিকল্পনা রূপকে এ বিষয়ে কি রূপ ধরে , যদি হয় ভাল , না হলে পরে, সকলেই মিলে এ জন্য কলম ধরতে হবে ।
ছবি-৭/৩৫ : নারী পুরুষ কিশুর মিলে ভাসমান জমিতে ফসলের আবাদ কার্যক্রম
শত শত বছর ধরে পানির উপরে ভেসে থেকে বসবাস করার অভিজ্ঞতা রয়েছে দেশের বিশাল এক জনগুষ্ঠির , বেদে হিসাবেই এক নামে তাদেরকে সকলে চিনে ( ছবি-৮)। পানির উপরে নৌকায় থেকে বসবাস করেও বেচে থাকার কথাটি যুগ যুগ ধরে করেছেন তারা প্রমান ।
ছবি-৮/৩৫ : পানির উপরে নৌকায় বসবাসকারী বেদে বহর
নদীর কলতানে যাদের ঘুম ভাঙ্গা আর ঘুমোতে যাওয়া তেমনি আর একটি হল মানতারা জেলে সম্প্রদায় । তেঁতুলিয়া-বুড়াগেীরাঙ্গ নদীর বাঁকে খালে ওদের দেখা মেলে ( ছবি -৯ : সুত্র আবির রঙ, সামু ২০১১) । জন্ম থেকে নদীর জলে খেলা করতে করতে ওরা বড় হয়। এদের মত আরো হাজারো জেলে সম্প্রদায় দেশের উপকূল এলাকায় যুগ যুগ ধরে পানির উপরে নৌকায় বসত করে কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের অনেকটা বেলা। সমাজ জীবনের সুবিধা বঞ্চিত এদেরকে তাদের পুর্ব পুরুষের পেশায় রেখে পানির উপরে ভেসে ভেসে জীবন কাটানোর দক্ষতাটাকে করতে হবে নিরাপদ ও সুবিধা মন্ডিত। তাদের জন্য ভাসমান তরীতে করতে হবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ জলবায়ু পরিবর্তনের অর্থায়ন হতেই । আমাদের উপকূল ডুবে গেলে সেখানকার জনগুষ্ঠিকে বিশাল জলরাশি থেকে মৎস আহরণ কর্মকান্ডে নিয়োজিত করার জন্য এরাই হতে পারেন এক বিরাট সহায়ক শক্তি , বিষয়টি সরকারের পরিকল্প রূপক প্রনেতাদের বিবেচনায় রাখা উচিত বলেই মনে করি ।
ছবি-৯/৩৫ : নৌকায় বসবাসকারী মানতারা জেলে সম্প্রদায়
নৌকায় ভেসে বসবাসকারী জনগুষ্ঠিকে নৌকায় রেখেই যদি দেয়া যায় শিক্ষা (ছবি ১০) স্বাস্থ্য , চিকিৎসা , সামাজিক যোগাযোগ ও হাটবাজারের সুাবিধা এবং তা সম্প্রসারণ করা যায় অধিক হারে, তাহলে পানির নীচে ডুবে যাওয়া উপকূল ভাগের বিশাল জনগুষ্ঠিকে পানির উপরে ভাসমান বসতের সুবিধা দিয়েই স্বল্প মেয়াদেই করা যাবে পুর্নবাসন উপযুক্তভাবে ।
ছবি-১০/৩৫ : নৌকায় স্কুলে শিশু কিশুর দেরকে শিক্ষাদান কার্যক্রম
পানির উপরে ভাসমান নৌকায় শিক্ষাদান কার্যক্রম কোন নতুন বিষয় নয় সিলেট ও কিশুরগঞ্জের বিস্তির্ন হাউর অঞ্চলের বানে ভাসা শিশু কিশুরের জন্য ব্র্যাক পরিচালিত নৌকার উপর স্কুল কার্যক্রম জ্বালিয়েছে আশার আলো (ছবি-১১) । জলাবায়ু তহবিলের অর্থায়নে এ ব্যবস্থাটাকেও করা যাবে আরো ফলপ্রসু ।
ছবি-১১/৩৫ : হাউর অঞ্চলের শিশু কিশুরের জন্য ব্র্যাক পরিচালিত নৌকার উপর স্কুল
দেশের হাউর ও প্লাবন এলাকায় নৌকায় হাট বাজার নতুন কিছু নয় ( ছবি-১২) । তাই ডুবে যাওয়ার ভয়ে হতাশ হয়ে দেশ ছাড়ার চিন্তা বাদ দিয়ে পরিবেশের সাথে খাপ খেয়ে চলার তালিমটা নিতে হবে স্বল্প মেয়াদেই, এর আরো সহজ নিরাপদ কৌশল বের করতে হবে অচিরেই । উপকূলের ডুবে যাওয়া এলাকার মানুষকে সামাজিক ব্যাবসার মডেলে (Community Business model) করতে হবে সম্পৃক্ত । ভবিষ্যত প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে জলবায়ু তহবিল সামাজিক ব্যবসা ও ভাসমান হাটবাজার উন্নয়নে রাখতে পারে অবদান গুরুত্বপুর্ণভাবে ।
ছবি-১২/৩৫ : ভাসমান বাজার
নৌকায় ভাসমান হাট বাজারে যুক্ত করা যেতে পারে ফলমুল ও মনোহারী দোকান (ছবি-১৩)।
ছবি-১৩/৩৫ : জলের উপর ভাসমান তরীতে ফল ও মনোহারী দোকান
শুধু কি তাই, ভাসমান নৌকা ছাড়াও পানির উপরে ডাঙ্গারমত দ্বীপ তৈরী করে সেখানে ঘর তুলে করা যায় বসবাস ( ছবি-১৪ ও ১৫) । এটা নতুন কিছু নয় ল্যটিন আমেরিকার পেরু দেশটির উরু জনগুষ্ঠির কিছু জনতা জলের উপরে খরকোটা , কাদামাটির লেয়ার দিয়ে দিয়ে জীবন্ত গাছগাছালী লাগিয়ে ছোট ছোট দ্বীপ করে তার উপর খর কোটা দিয়েই ঘর বানিয়ে শত শত বছর ধরে বাস করে আসছে , আমরাও এটা করতে পারি অনুকরণ যদি প্রয়োজন পরে । পানির উপরে নতুন করে চড়ে জন্মায় প্রচুর পরিমান নল খাগড়া , সেগুলিকেই বৈজ্ঞানিক উপায়ে গৃহ নির্মান সরঞ্জামাদির কাজে লাগানো যেতে পারে । কিছু কিছু এলাকায় পরিক্ষামুলক ভাবে তালিমটা শুরু হয়ে যেতে পারে এ বেলায় ।
ছবি-১৪/৩৫ : পানির উপর তৈরী ডাঙ্গায় বসতঘর (১)
ছবি-১৫/৩৫ : পানির উপর তৈরী ডাঙ্গায় বসতঘর (২)
শুধু বিচ্ছিন্ন ঘর বাড়ী নয় পেরুর উরুরাগন এরকম ভাবে খড়কোটা দিয়ে বড় সর আকারের প্রায় ১০ একর পরিমানের জায়গা জুরে গড়ে তুলছে ভাসমান গ্রাম (ছবি -১৬) । দেশীয় সহজ এ প্রযুক্তি অনুসরন করে আমরাও গড়তে পারি ভাসমান গ্রাম , খুটি গেড়ে ধরে রাখতে পারি বাপ দাদার ভিটামাটির ঠিকানাখান ।
ছবি-১৬/৩৫ : পানির উপরে তৈরী ভাসমান ডাঙ্গায় গ্রাম
বর্ষাকালে ও শরতের নীল আকাশে সাদা মেঘের তলে পুরা গ্রাম টিকে নিয়ে ভেলার মতন করে প্রমোদ ভ্রমনে ঘুরে আসতে পারি সকলে মিলে ( ছবি-১৭) ।
ছবি-১৭/৩৫ : পানির উপরে তৈরী ভাসমান গ্রামটিকে ভেলার মতন করে প্রমোদ ভ্রমন
ভাসমান গ্রামের জনগনের জন্য শিক্ষা কার্যক্রমের মত নৌকায় করা যেতে পারে চিকিৎসা কার্যক্রমের আয়োজন ( ছবি-১৮) ।
ছবি-১৮/৩৫ : ভাসমান তরীতে চিকিৎসা কার্যক্রম
প্রয়োজনে ভাসমান গ্রামে জন্মানো খরকোটা দিয়েই নৌকা বানিয়ে করা যাবে তৈরী চলাচল মাধ্যম (ছবি-১৯) । এছাড়া কাঠের নৌকা তো থাকছেই ।
ছবি-১৯/৩৫: খরকোটা দিয়ে তৈরী নৌকা
বিবিধ উপায়ে পানিতে ভাসমান থেকে প্রতিকুল পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে গড়ে তুলতে পারি আমাদের বিপন্ন জনগুষ্টীর জন্য বাপ দাদার ঠিকানাতেই এক সুন্দর আবাসন, হবোনা কোন মতেই দেশ ছেড়ে নির্বাসন। এটা সকলেরই জানা মাইগ্রেটেড সিটিজেন দুনিয়ার সর্বত্রই পালন করে এক দুর্বিসহ জীবন, কথায় কথায় সারা জীবন ধরে ট্রাম্পের মত কারো না কারো কাছ হতে শুনতে হয় তাদের দেশে বসকারী সকল বিদেশীকে দেশ থেকে করবে অপসারণ, কথাটায় সকল সময় মিশে থাকে এক বিশালতর অপমান । জীবন ও সন্মানের তাগিদে নীজ ভুমেই যে কোন ত্যাগের বিনিময়ে বসবাসটাই মানব জীবনের তরে সকল সময়েই মুল্যবান ।
দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা
২০৫০ সালে দেশের উপকূল ভাগের বিস্তির্ণ এলাকা পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ার আগেই সরকারী ঘোষনা অনুযায়ী তাদের ভিশন অনুসারে ২০৪১ সালেই পৌছে যাব উন্নত বিশ্বের কাতারে । বর্তমান হারে প্রবৃদ্ধির গতিতে ( বার্ষিক ৬ পারসেন্টের উপরে ) চলতে থাকলে ২০৫০ সালে ভিতরে আমাদের মাথাপিছু আয় চলে যাবে ২০ হাজার ডলারের উপরে । সে বিষয়টা মাথায় রেখে আমরাতো উচ্চবিলাসি পরিকল্পনা নিতেই পারি, জলউদ্বাস্তু হয়ে কেন চলে যাব বিদেশে রিফুজী হয়ে? উন্নত বিশ্বের প্রায় সকল দেশেরই উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির হার নিন্মের দিকেই ধাবমান , এটা তাদের কমতে কমতে ২০৫০ এ এসে এমন পর্যায়ে চলে যেতে পারে যে অনেকেরই তখন হয়তবা আসতে হতে পারে আমাদেরই ঘরে ।
যাহোক, কামনা করি তারা যেন থাকতে পারে তাদেরই ঘরে । আমরা এখন দেখি আল্লা না করুন জলে ডুবে গেলে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে কেমন করে বিলাসী জীবন যাপন করতে পারি পানির উপরে ।
অগভীর জলে খুটি গেড়ে নৌকার মত বসত তৈরী করে বসবাস করতে পারি আয়েশ করে ( ছবি-২০) । টিভি ফ্রিজ থেকে শুরু করে আধুনিক গৃহ সজ্জার সকল উপকরনই রাখতে পারি তাতে ধরে ।
ছবি-২০/৩৪: নৌকার আকৃতিতে তৈরী বিলাসি আবাসন
সব জায়গাই যে পানির নীচে ডুবে যাবে তাতো নয় । প্রাকৃতিক নিয়মেই কিছু কিছু ভুমি রয়ে যাবে পানির উপরে, ভেসে থাকবে ঠিকই উচা নীচ হওয়ার কারণে। আগে ভাগেই সঠিক জরীপ চালিয়ে সে রকম ভুমি সংলগ্ন স্থানে ভাসামান গুচ্ছ গ্রাম সৃজনের পরিকল্পনা করা যেতে পারে যেন তা ঝড় প্লাবনের সময়ে ভেসে থাকতে পারে পানির উপররে (ছবি-২১) । উচ্চ ভুমিতে লোনাজলাসয়ী জলজ উদ্ভিদ ও চাষাবাদ করা যেতে পারে ।
ছবি-২১/৩৫ : ভাসমান গুচ্ছ গ্রাম
জলে ডুবা উপকুলে ঘরবাড়ীর দৃশ্যগুলি এরকমটিই হতে পারে । প্রতিটি গৃহ নির্মিত হবে স্থানীয় উপকরনে এমন কি গৃহের চালে থাকবে সোলার প্যনেল শক্তি যোগানোর তরে ( ছবি-২২ ) ।
ছবি-২২/৩৫ : জলের উপরে নির্মিত সোলার প্যনেল যুক্ত বসত বাড়ী
প্রতিটি বাড়ীর আঙ্গীনাতে বৃস্টির পানিকে ধরে রাখা হবে সুপেয় পানির চাহিদা মিটাতে ( ছবি-২৩) ।
ছবি-২৩/৩৫ : বাড়ীর আঙ্গীনায় বৃস্টির পানি ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন বাড়ী
২০৫০ এ উচ্চ আয়ের স্তরে পৌঁছে গেলে দেশের উল্লেখ যোগ্য লোক হয়ে যাবেন বিত্তশালী , তাদের জন্য পানির উপরে করতে হবে বিলাসী ভবন , তা না হলে বিদেশে দিবেন পারি পানির উপরে তৈরী ভিলায় করতে জীবন যাপন । তাই তাদের কথাটাও রাখতে হবে প্রকল্প প্রনাতের মনের ভিতর তা না হলে আখেরে পস্তাতে হবে !!! তাদের জন্য গৃহে যাতায়াতের সুবিধাসহ পানির উপরে নিন্মের মত ( ছবি ২৪ ও ২৫ ) হতে পারে বসতি ঘর নির্মান ।
ছবি-২৪/৩৫ : পানির উপর বিলাস বহূল কটেজ (১)
ছবি-২৫/৩৫ : পানির উপর বিলাস বহূল কটেজ (২)
রাজধানী হতে দেশের উপকূল এলাকায় যোগাযোগের জন্য রাখা হবে অত্যাধনিক জলযান ( ছবি -২৬)
ছবি -২৬/৩৫ : রাজধানী হতে উপকূল এলাকায় যাতায়াতের জন্য জলযান
সল্প সময়ে অতি দ্রুত যোগাযোগ ও চলাচলের জন্য গড়ে তোলা হবে সি প্লেইন সার্ভিস ( ছবি-২৭)
ছবি -২৭/৩৫ : দ্রুত চলাচলের জন্য সি প্লেইন
ডুবে যাওয়া উপকূল ভাগের বিশাল জনগুষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবার জন্য মার্কিন মুল্লুকের AH-13 Benevolence, 800-bed floating হসপিটালের মত বিশাল জল তরীতে গড়ে তোলা তোলা হবে ভাসমান হসপিটাল কমপ্লেক্স ( ছবি-২৮)
ছবি-২৮/৩৫ : ভাসমান হসপিটাল
২০৫০ এ দেশে অর্থের প্রাচুর্থ থাকায় ভাসমান তরীতেই গড়ে তোলা হবে পানি শোধন সহ বিবিধ প্রকার শিল্প কারখানা ( ছবি -২৯ )
ছবি- ২৯/৩৫ : ভাসমান শিল্প কারখানা
ডুবে থাকা পানির নীচে থাকা তেল গ্যাস ক্ষেত্রগুলি হতে তা উত্তোলন পুর্বক ভাসমান প্লান্টেই সেগুলিকে সিএনজিতে ভরে সকল জায়গায় সরবরাহ সহ করা হবে ( ছবি -৩০ ) । উদ্বৃত্ত অংশ রপ্তানী করেও পাওয়া যাবে বিপুল পরিমান বৈদেশিক অর্থ ।
ছবি-৩০/৩৫ : ভাসমান সিএন জী প্লান্ট
উপকূল ভাগের বিশাল অংশ পানির নীচে ডুবে গেলে হবে তা সম্ভাবনাময় মৎস আহরণ ক্ষেত্র । উপকুলের উৎসাহী লোকদেরকে অত্যাধুনিক মৎস আহরণ ট্রলার দিয়ে করা যাবে সজ্জিত । কর্ম সংস্থানের সাথে সাথে এলাকার মানুষের পুষ্টি চাহিদা করবেন তারা নিশ্চিত ( ছবি - ৩০ )
ছবি-৩১/৩৫ : আধুনিক জলযানে মৎস আহরণ
২০৫০ এর দোরগোড়ায় এসে ভাসমান নগড়ী তৈরীর পরিকল্পনা আমরা করতে পারি জোরো সোরে । এ সমস্ত ভাসমান নগড়ীর প্রত্যেকটিতে উপরে একটি করে এয়ারপোর্ট ও নীচে থাকবে সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা যথা , শিক্ষা স্বাস্থ, ও বিনোদন ব্যবস্থাদি ( ছবি-৩১ )
ছবি-৩২/৩৫ : ভাসমান নগড়ী
জলে ভাসা উপকূলবাসির উচ্চ শিক্ষার দাবী মিটাতে ফ্রিডমের মত বিশাল আকৃতির ভাসমান তরীতেই করা যাবে কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্টা ( ছবি – ৩৩) ।
ছবি-৩৩/৩৫ : ভাসমান কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয়
সময়ের সাথে সাথে বিখ্যাত ফরাসী স্থাপত্য শিল্পী ভিনসেন্টের মত আরো চমকপ্রদ বিজ্ঞান সন্মত উপায়ে ভাসমান তরীতে গড়তে পারব মোরা এমন আবাসন যেখানে পানিতে থাকা প্লানটন ব্যাবহারের মাধ্যমে চাষাবাদ করে জৈবিক পুষ্টি চাহিদা পুরণ সহ সকল নাগরিক সুবিধার উপাদান সমাহার করা সম্ভাব হবে ( ছবি-৩৪ ) ।
ছবি-৩৪/৩৫ : ভাসমান স্বয়ংসম্পুর্ণ গ্রামে কৃষি চাষাবাদ
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ছোট্ট দ্বীপদেশ কিরিবাতি প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট এনোট টং তার দেশে বসবাসকারী মোট ১০০০০০ অধিবাসীকে এ ধরণের ভাসমান তরীতে স্থানান্তরের জন্য রেডিকেল একশন নেয়ার কথা গুরুত্বের সাথে ভাবছেন । উল্লেখ্য প্রশান্ত মহাসাগরে ৩৫ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জুরে বিস্তৃত সাগরের বুকে ভাসমান কিরিবাতি দ্বীপমালার ভুমির পরিমান মাত্র ৮০০ বর্গ কিলোমিটার । ১৯৭৯ সনে বৃটেনের কাছ হতে স্বাধিনতা প্রাপ্ত দেশটি জাতি সংঘের পুর্ণ সদস্য। মোট জনসংখ্যা ১ লক্ষ , এই দ্বীপমালা দেশটি সাগরের বুকে বিলীন হওয়ার জন্য এক নম্বর বলে চিহ্নিত । দেশের প্রেসিডেন্টের সরকারী বাড়ীটাও সাগরের মাঝে বিলীন হয়ে যায় যায় করছে ( ছবি-৩৫) । তার পরেও তারা মাথা তুলে টিকে থাকার আপ্রান চেস্টা করছে । তারা যদি করতে পারে চেষ্টা আমরা কেন থাকব পিছিয়ে ।
ছবি-৩৫/৩৫ : সাগরে বিলীন হওয়ার মূখে কিরিবাতি’র প্রেসিডেন্টের সরকারী বাড়ী
দেশের উচ্চভুমিতে কিছু মানুষকে পুর্ণবাসনের সুযোগতো হাতে থাকছেই, সে কথাটিও ভুলে গেলে চলবেনা , এ জন্যও প্রয়োজন হবে যথোপযুক্ত প্রকল্প ও কর্মসুচী প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন । পরিশেষে বলতে চাই ২০৫০ এ এসে কোন রকম বৈদেশিক সহায়তা ছাড়াই টিকে থাকার লড়ায়ে বিধাতার আশির্বাদে জয়ী আমরা হবোই । জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘোরতে হবেনা কারো । বাঙ্গালী বীরের জাতি, চিরদিন উন্নত রবে তার শির জগতের বুকে ।
ধন্যবাদ এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ।
ছবি সুত্র : গুগল অন্তরজাল ।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রথম মন্তব্য দেয়ায় অশেষ ধন্যবাদ । বিশাল কর্মযজ্ঞ আর কোথায় ভয়ঙ্কর এক আসঙ্কার হাত হতে মুক্তির লক্ষে একটা কনসেপ্ট এখানে ছাড়া হয়েছে । সকলের সন্মিলিত ধ্যান ধারনা ও প্রচেস্টায় আমরা টিকে থাকতে পারব এই ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
অতিপ্রয়োজনীয় লেখায় প্লাস++++
প্রিয়তে নিলুম।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ , প্রিয়তে নেয়ার জন্য রইল কৃতজ্ঞতা ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।
৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
খুব কাজের একটি পোস্ট ।
তবে -
বাংলাদেশ যত কিছুই করুক না কেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলির মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নির্গমনের প্রেক্ষাপটে অতি নগন্য পরিমানে দায়ী হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের চড়া মাসুল গুনতে হবে বাংলাদেশকেই শুধুমাত্র উপকুলীয় নিন্মভুমি হওয়ার কারণে ।
এটাই চরম সত্য ।
ভালো লাগলো আশা জাগানিয়া এটুকুও - আমাদেরও সাফ কথা, যাব কেন দেশ ছেড়ে , দেখিনা একটু হাত পা নেড়ে , টিকতে পারব কিনা বাপ দাদার ঠিকানা ধরে ।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এ মরাত্বক ভয়ঙ্কর অশুভ প্রলয় মোকাবেলায় আমাদের ১৬ কোটি মানুষকে কাধে কাধ মিলিয়ে চিন্তা চেতনায় কাজ করে যেতে হবে সকল বিভেদ ভুলে । এই একটি ক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্য একান্ত কাম্য । দলমত সকলে মিলে এগিয়ে আসা উচিত নতুন নতুন উদ্ভাবনীমুলক প্রকল্প প্রস্তাবনা ও কর্মসুচী নিয়ে । ভাল যুত সই একটি পন্থা এনে দিতে পারে অনেক সম্ভাবনার নয়া দিগন্ত ।
ভাল থাকার শুভকামনা রইল ।
৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি অনেক শ্রম ও ভাবনা দিয়ে বিরাট এনালাইসিস ও সমাধানের কথা বলেছেন; আজ হোক, কাল হোক, বাংলাদেশকে এর মাঝ দিয়ে যেতে হবে।
আমরা যদি প্রতি বছরই কিছু পদক্ষেপ নিই, মানুষকে এ ব্যাপারে জানাই, মানুষ সমস্যার সমাধান বের করবে। সরকার ১৬ বছর অলস বসেছিল, বিশ্ব ব্যাংক 'সিড মানি' দিয়েছে; দেখা যাক, কি হয়।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:২০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এসে দেখার জন্য । বিশেষ ধন্যবাদ আপনার লিখা থেকে বেশ কিছু দিক নির্দেশনা পাওয়ার জন্য । বলা হয়েছিল কথাটা তথায়, এ বিষয়ে পৃথকভাবে লিখা হবে দু এক কথা । সকলের অংশীদারীত্বে সরকার যদি এগিয়ে চলে তাহলে ফলবে কাংখীত সুফল । একশ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিলের মধ্যে বাংলাদেশ বড় দাবীদার । এর জন্য প্রয়োজন সকলের মতামত ভ ও ঐক্যের ভিত্তিতে দেশী বিদেশী বুদ্ধিজীবীদের ব্যপক মাত্রার অংশ গ্রহনের মাধ্যমে প্রকল্প প্রনয়ন । বাংলাদেশের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় প্রকল্প প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন যেন না হয় বিঘ্নিত তা করতে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে পর্যবেক্ষন । প্রকল্প বাস্তবায়নে দ্ক্ষতা অতি প্রয়োজন । পরামর্শদাতা ও ঠিকাদার নিয়োগে স্বচ্ছতা প্রয়োজন, তানা হলে পদ্মা সেতুর মত শুরুতেই হতে পারে বন্ধ অর্থায়ন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:২৮
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: আমি ইদানিং শায়েখ সিরাজের হৃদয়ে মাটি ও মানুষের ছাদ কৃষির পর্বগুলো মনযোগ দিয়ে দেখি। বৃক্ষ নিধন জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম একটি কারণ। অনুষ্ঠান টিতে বাড়ির ছাদে বাগান করার জন্য সকল ভবন মালিককে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এইযে আবাদি জমি খালি করে সেখানে বহুতল ভবন তৈরি হচ্ছে এতে প্রচুর গাছ কাটা পড়ছে। ছাদে বাগান করলে কিছুটা অভাব পূরণ করা অন্তত সম্ভব হবে।
পানির উপর বসবাস অর্থাৎ ভাসমান আবাস করে থাকাও কিন্তু সহজ নয়। ছোট শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তবুও নিরুপায় হলে কিছুতো একটা করতে হবে। জানিনা সামনে কি দিন অপেক্ষা করছে। আমাদের দূর্ভোগের জন্য আমরাই দায়ী। ধন্যবাদ ভাইয়া বরাবরের মত চমৎকার পোস্ট।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:১৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের ভয়ানক বিপদ ঘনিয়ে আসতেছে । ঠিকই বলেছেন বৃক্ষ নিধন না করে বৃক্ষ রোপন করা হলে জলবায়ু পরিবর্তন মিটিগেসনে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখবে ।
পানির উপরে বিপদের ঝুকি নিয়ে কে বাঁচতে চায় বলুন । নিতান্তত নিরোপায় হয়েই থাকতে হয় সেথায় , দেশ যদি পানিতে ডুবেই যায় , তাহলে পানির উপরে থাকা ছাদা নেই কোন সহজ উপায় ।
তবে একটি কথা আপনাকে জানাই , ছোট এক নদীর পারে আমার দেশের বাড়ী । সেই নদীতে বাড়ীর পাশে বেদে নৌকা বহর প্রায় লেগেই থাকে বছরের অনেকটা সময় জুরে । সেই ছোটকালে তাদের সাথে অন্তরঙ্গভাবে মিশে জেনে নিতাম তাদের অনেক জীবন ইতিহাস । পানির উপরে নৌকায় করে তারা বসবাস । ছোট ছেলে মেয়েদেরকে রেখে যায় নৌকায়, মায়েরা চলে যায় গ্রাম হতে গ্রামান্তরে সাপের খেলা দেখাতে ও চুরী বেচতে । তাদের কারো কাছে শুনিনি পানিতে পরে তাদের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা পানিতে পরে বিপদে পরেছে কেও । পানিতে যারা করে বসবাস, পানিতে নেই তাদের তেমন কোন ভয় , বরং পানি থেকে দুরে যারা রয়, পানিতে তাদেরই বিপদ হয় , কিছুদিন পরে পরেইতো খবরের কাগজে দেখা যায়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কিংবা নৌকাভ্রনে গিয়ে হাবডুবু খেয়ে বিপদে পড়ছে গুলশান বনানীর নিরাপদ ভবনে বসবাসকারী অনেক ধনীর দুলাল !!! । তাই কপালে দু:খ থাকলে খন্ডাবে কে তার ।
যাহোক, সামনে আমাদের ভয়ানক বিপদের সম্ভাবনা । অাসুন সকলে মিলে একে মোকাবেলা করি , ছাদে বৃক্ষরাজির চাষ সেটাও একটা উপায়ের অংশীদার , সবাই যদি একটি গাছ লাগায় তাতেও বছরে ১৬ কোটি হয়ে যাবে ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।
৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৪৬
সোহানী বলেছেন: ওরে ভাই সব বাদ.. একটা নৈাকা ঘর কোথায় পামু... থাকুম সেখানে। তাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের কিছু উপকারীতা ও আছে... কি বলেন!!!
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । জলাবায়ু পরিবর্তনের উপকারীতা অবশ্যই আছে তবে তা হতে হবে উন্নতির দিকে অবনতির দিকে নয় । নৌকা ঘরে বসত অনেকসময় বেশ আরাম দায়ক হয় । কবি গুরু দির্ঘদিন কাটিয়ে দিতেন তার বজরা তরীতে নদীতে ভেসে ভেসে । বজরায় বসে বসেই লিখতেন তিনি কবিতা । সেই নুহ (আ) নবির আমলে মহা প্লাবনের সময় নৌকায় ছিল বড় সম্বল ।
কানাডার টরেন্টো সিটিতে অতি বৃষ্টির কারণে রাস্তায় পানি জমার যে অবস্থা দেখলাম ডেইলী টেলিগ্রাফে তাতে মনে হল এরকম অবস্থা চলতে থাকলে নৌকা তো লাগতেই পারে, এমনকি কানাডার অন্য কোথাও থাকলেও !!!!!
যাহোক, শখ যখন করেছেন বড়সর নৌকা একটা দিলাম পাঠিয়ে এসাথে , ভাল লাগলে সেটায় থাকতে পারবেন সকলে মিলে একসাথে !!!!!
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল
৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
পোস্টে প্লাস এবং প্রিয়তে।
ঠান্ডা মাথায় পোস্টটি পড়া লাগবে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্লাস দেয়ার জন্য আর পোস্টকে প্রিয়তে নেয়ার জন্য । আপনার পান্ডিন্তের প্রতি প্রভার ভক্তি ও শ্রদ্ধা আছে । পোস্ট টিকে ঠান্ঠা মাথায় পড়লে তেমন কিছু না পাওয়া যাওয়ারই সম্ভাবনা কারণ আমার জানা ও জ্ঞান অতি সিমীত , তাই ভাবনাগুলিও অলীক মনে হতে পারে । এ জন্যই এ বিষয়ে সকলের একটিভ অংশ গ্রহণ পুর্বক জাতীয় এক্যমতের ভিত্তিতে দেশের সকল বিজ্ঞগনের মতামতের উপর ভিত্তি করে একটি সুসমন্বিত স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহনের নিমিত্ত এ লিখাটির অবতারনা । উৎসাহী সকলেই যদি তাঁদের বিজ্ঞজনচিত উদ্ভাবনীমুলক প্রকল্প ও কর্মসূচী প্রস্তাবনা নিয়ে এই বহুল পরিচিত ব্লগে লিখেন তাহলে তা সরকারের পরিকল্প প্রনেতাদের নজরে আসবে বলে বিশ্বাস ।
দেশের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন বিষয়ে কিছুদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে পরিকলল্পনা কমিশনের কোন কর্মকর্তাই প্রাথমিক কোন উন্নয়ন প্রকল্প প্রনয়ন করেন না , তাঁরা মুলত প্রকল্পটিকে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসুচীতে আন্তভুক্ত করেন , অর্থ বরাদ্ধ করেন ও অনুমোদন দেন । মন্ত্রনালয়গুলিতেও রয়েছে একটি পরিকল্পনা কোষ , তারাও শুধু প্রকল্পটির অনুমোদন প্রক্রিয়া ও অর্থ অবমুক্তির প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার সাথেই যুক্ত থাকেন , আর দু একটা প্রাসঙ্গীক অপ্রাসঙ্গীক টুকটাক মন্তব্য দিয়ে প্রকল্পের অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করেন যা আখেরে প্রকল্পের বিনিয়োগ ব্যয়কে বৃদ্ধি করে , লাভবান হন ঠিকাদাররা ও বিল পরিশোধের সাথে যুক্তরা বিবিধ প্রকারে । তাছড়া বিসিএস ইকোনমিক ক্যডারের এ সমস্ত কর্মকর্তাদের বেশীর ভাগই বিষয় ভিত্তিক বিষেযজ্ঞ নন , দেখা যায় মৎস ও পশুসম্পদ মন্ত্রনালয়ের পরিকল্পনা কোষে অন্য কোন বিষয় যথা অর্থনীতি বা ইতিহাস নিয়ে পড়াশুনা কারী একজনকে পদায়ন করা হয়েছে , অবশ্য এ দায় তাঁর নয় , দায়টা যারা পদায়ন করেন তাদের ।
আসলে ,মুল উন্নয়ন প্রকল্পটা প্রনয়ন করা হয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বিভিন্ন সরকারী , আধাসরকারী ও স্বশাসিত সংস্থা হতে । সেখানকার পরিকল্পনা সেলের নীচের লেভেলের প্রায় বলতে গেলে শিক্ষানবিশ গবেশনা কর্মকর্তাগনই মুলত উপর থেকে নির্দেশিত কিছু প্রকল্পের নামের উপরে ভিত্তি করে মুল প্রকল্প প্রস্তাবনাটি প্রণয়ন করেন । এর পরে বাকি সকল পর্যায়ে তার উপরে শুধু ইয়েস নো , ভেরী গুড, প্লিজ ডিসকাস জাতীয় কাজই করা হয় , বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই শধু নীচ থেকে প্রনীত প্রকল্প প্রস্তাবনাটির বানান দেখার মধ্যেই উপরের স্তরের কর্মকর্তাদেরকে মনযোগী হতে দেখা যায় । ফলে ভাল গুনগতমানের ও যুতসই প্রকল্প প্রস্তাবনার একটি ঘাটতি থেকেই যায় ।
ফলে ভাল ও যথাযথ প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রনয়নের জন্য দেশের সকল বিজ্ঞ লোকদের অংশ গ্রহনের সুযোগ থাকা বাঞ্চনীয় । দেশের জলবায়ুর দুর্যোগ মোকাবেলার লক্ষ্যে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে করনীয় প্রকল্প রূপরেখার উপরে একটি কনসেপ্ট পেপার প্রনয়ন করে তাদের সরকারী ওয়েব সা্ইটে দিয়ে তাতে সকলের মতামত বা প্রস্তাবনা আহ্নবান করলে মনে হয় ভাল হত । ভবিষ্যতে জলবায়ু তহবিল হতে আরো বেশী করে অর্থ সহায়তা পাওয়া যেতো ।
ভাল থাকার শুভেচ্ছা রইল ।
৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১২
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: তা অবশ্য ঠিক বলেছেন নদীমাতৃক বাংলাদেশের মানুষ আমরা। সব পরিস্থিতিতেই মানিয়ে নিতে শিখেছি। শিশুরাও শিখে যাবে। ঝুঁকিমুক্ত জীবন হবে।
আমি ভেবে ভেবে অবাক হই এত ধৈর্য্য কোথায় পান আপনি। কত বড় পোস্ট, কত তথ্য,কত ছবি। সত্যি অসাধারণ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আবার অাসার জন্য ধন্যবাদ ।
প্রসংসাবানীতে অনুপ্রানীত হলাম ।
ভাল থাকুন এ কামনা রইল ।
৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩
রানার ব্লগ বলেছেন: ভাসমান বাড়ি পছন্দ হইছে, ধন্যবাদ আশ্বস্ত করার জন্য, অন্তত ডুবে মরবে বা বাংলাদেশের দক্ষিন অঞ্চলের মানুষ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার আশারবাণী সকলকে
অনুপ্রনীত করুক টিকে থাকার লড়া্ইয়ে এ কামনা করি ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: কি যে হবে ভাই? ওরা কি পারবে আমাদের একটা নৌকা দিতে। তা দিয়ে ভেসে ভেসে বেড়াতাম ..............
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভয় পেয়ে নিরাশ হওয়ার বিশেষ কারণ নাই । কোন নৌকাটা বেশী পছন্দ হয়েছে , কাঠের না খরকোটার দিয়ে তরী নৌকা জানালে খুশী হতাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন:
দারুন পোষ্ট, এক কথায় সময় উপযেগী
সরকার জানে তার কি করা উচিৎ কিন্তু.... আপনার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা খুব কঠিন কিছুই না বরং ভবিষ্যত পরিকল্পনা এখনই শুরু করা উচিৎ কারন ভুমিতে জনগনের চাপ একটু হলেও কমবে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার বিজ্ঞজনচিত কথা শুণে খুব খুশী হলাম । আপনি যতার্থ বলেছেন সরকার জানে তার কি করা উচিৎ কিন্তু....
তাই এই কিন্তুর কারণেই সকলের অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে সময়মত উপযুক্ত প্রকল্প প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন করা হলে তা অধিক মাত্রায় ফলপ্রসু হবে বলে মনে করি ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সমায়োপযোগি পোস্ট!
সময় থাকতেই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান অনুভুতি প্রকাশের জন্য । আপনার কামনাটুকু টুকু বাস্তবায়ীত হোক সকলেই সময়মত অবলম্বন করুক ।
শূভেচ্ছা জানবেন ।
১৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০
কল্পদ্রুম বলেছেন: দীর্ঘ লেখা পড়লাম।বিশাল কর্মযজ্ঞের কথা বললেন।আশা,দুরাশা,সমস্যা উত্তরণের উপায় সবই দেখালেন।আমি সবসময়ই আশাবাদীদের দলে।
ধন্যবাদ স্যার।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কস্ট করে সময় নিয়ে এই দীর্ঘ লিখাটি পাঠের জন্য । বিষয়টি তো বিশাল তাই কর্মযজ্ঞওতো বিশালই হবে । জলবায়ু তহবিলের অর্থটাও কম নয় বিশাল কর্মযজ্ঞ করা যেতেই পারে । বিশাল সম্ভাব্য সমস্যার প্রেক্ষিতে দুরাশা থাকলে চলবেনা আশাবাদী হতে হবেই , আশাই মানূষকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে যায় । আপনি আশাবাদী শুনে খুশী হলাম । ।এ বিষয়ে আমাদেরকে চমকপ্রদ আশারবাণী শুনাবেন এ আশায় রইলাম ।
১৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:২৬
কালীদাস বলেছেন: আমাদের সবচেয়ে বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে/দাঁড়াবে অপরিকল্পত ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন এবং ম্যাসিভ আনপ্ল্যানড আরবানাইজেশন। এই দুইটা জিনিষ নদীমাতৃক বাংলাদেশকে ডোবামাতৃক বাংলাদেশ বানিয়ে ফেলছে ধীরে ধীরে। হ্যাঁ, অনেক বছর ধরেই ন্যাচারাল ক্যালামিটির সাথে যু্দ্ধ করে আমরা টিকে আছি। কিন্তু এরকম অবিরত নিজের পায়ে কুড়াল মারতে থাকলে, প্রাকৃতিক বিপর্যয় এড়ানো যাবেনা কোনভাবেই।
বাইদ্যাওয়ে, দক্ষিণাঞ্চলের ভাসমান চাষাবাদ আগে কোনদিন দেখিনি, জানতামও না। থ্যাংকস।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:১৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মূলত: কার্বন নির্গমনের উচ্চহারের কারণে যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে তার ফলে সমুদ্রতল ১৬ থেকে ৬৯ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়বে। বৈশ্বিক উঞ্চতা বৃদ্ধির ফলে এন্টারটিকার বিশাল বরফরাশী গলে আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ সমুদ্রতল ১৬ থেকে ৫৯ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়বে, এর ফলে পৃথিবীর উপকূল ভাগের যে কয়টি দেশ ২০৫০ সালের দিকে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা তার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলভাগ একটি ।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলিই বেশী মাত্রায় কার্বন নির্গমন করে , মার্কিন যুক্তরাস্ট একাই করে প্রায় ১৭ পারসেন্ট । পৃথিবীতে যত পরিমান কার্বন নির্গমন হয় তার মধ্যে বাংলাদেশের অবদান মাত্র ০.১৪ ভাগ, অর্থাৎ মোট কার্বন নির্গমনের মধ্যে সাতশত ভাগের এক ভাগ কার্বন নির্গমন করেও আমাদেরকেই দিতে হবে এর চড়া মাসুল । আপনি ঠিকই বলেছেন, উন্নত দেশ তাদের দেশে অধিকহারে অপরিকল্পিত ভাবে শিল্পায়ন করে গেলে তা শুধু আমাদের জন্যই নয় তাদের নীজেদের পায়েও কুড়াল মারার সামিল হবে ।এন্টারটিকার বরফ গলে গেলে তাদের অনেক এলাকাও যাবে পানির নীচে চলে ।
১৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গ্লোবাল জলবায়ু পরিবর্তিত হওয়ার কারনে ২০৫০ সাল নাগাদ সি লেভেল অনেকটা বেড়ে যাবে, বাংলাদেশের ভূমির এক-তৃতীয়াংশ পানিতে নিমজ্জিত হবে।
এই কথাটা আমি ৩ বছর আগেই উল্লেখ করেছিলাম এই সামুতেই -
বাংলাদেশ একটি কাটাতারেঘেরা জলবায়ু বিপর্যস্ত অপর্যাপ্ত অবকাঠমো নিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ।
এই দেশটিকে বাচাতে হলে আগামি দশ বছরের ভেতর বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ গুন বাড়িয়ে ৪০ হাজার মেগাওয়াটে আনতে হবে, শিল্পউৎপাদন বাড়িয়ে দারিদ্র দুরকরে শক্তহয়ে নিজের পায়ে দাড়াতে হবে, এতে কোথাও বা কোথাও 'কিছু ক্ষতি' মেনে নিতে হবেই। ৫০ বছর পর সমদ্রউচ্চতা বেড়ে সুন্দরবন এমনিতেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে, আয়তন কমে ঘণবসতি প্রকট হবে, তার আগেই দেশটিকে মাথা তুলে দাড়াতে হবে।
রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের জমি দরকার ছিল ২০০০ একর। বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচাইতে ঘণবসতির দেশ
বাংলাদেশের ৯০% খালি জমিই তিন ফসলি জমি। সমতল ভূমি এবং উর্বরতা বিবেচনায় ২০০০ একর জমি দেশের অন্য কোথাও একযোগে অধিগ্রহন করার তেমন সুযোগ ছিল না। ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় ভুমি থেকে উচ্ছেদ সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল, এর উদাহরন আড়িয়াল বিল। আমাদের বাস্তবতা বোঝা উচিত, ঘনবসতিপূর্ণ দেশের ৩ ফসলি আবাদি ভুমি অধিগ্রহন করা আত্মঘাতী । দিনে ১২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পরিবহন করার ব্যায়, যোগাযোগ , পরিবেশ দুষণ, এসব বিষয় মাথায় রেখেই তখনই খাসজমিবহুল রামপালকে সঠিক জায়গা বলে মতামত দেওয়া হয়েছিল।
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে পৃথিবীর অনেক নীচু অঞ্চলের মত বাংলাদেশের প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ এলাকা সমুদ্র তলে ডুবে যাবে। রামপাল না হলেও ডুবে যাবে। সুন্দরবনও বিলুপ্ত হবে। বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণার ফলাফল হতে এই লক্ষণ এখনই দেখতে পাচ্ছেন । তাই আমাদেরকে আরও উদ্যোগ নিতে হবে এই ভয়াবহ দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য । দুই ভাবে তা করা যায়, ১) পৃথিবীরসব দেশ মিলে এক সাথে গ্রিন হউস গ্যাস কমানর মাধ্যমে, বা ২) বাংলাদেশ দ্রুত উন্নত হওয়ার মাধ্য দিয়ে অর্থনীতিক সামর্থ্য দিয়ে ।
প্রথম উপায়ে (কার্বন এমিশন কমানো) উদ্যোগ, যা ১৯৯০ সনে নেওয়া হয়েছিল, তা ইতিমধ্যে ব্যর্থ হয়েছে । ১৯৯০ সালের উদ্যোগের মত ২০১৫ সালে প্যারিস সম্মেলনের মাধ্যমে নেওয়া উদ্যোগ আংসিক সফল। ২০১৬ তে কিগালি সম্মেলনে SFC এমিশন কমাতে সম্মত, তবে কিভাবে কেউ জানে না CFC, SFC বিকল্প এখনো আবিষ্কৃতই হয় নি এখনো। তাহলে?
তাহলে আমাদের কাছে একটিই পথই খোলা আছে অর্থাৎ দ্রুত উন্নত হওয়া যাতে আমাদের হাতে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ ও সম্পদ থাকে । এই ক্ষেত্রে আমাদের উন্নত বিশ্বের উন্নয়নের ইতিহাস অর্থাৎ শুধুমাত্র অর্থনীতিক লাভকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে ।
আমাদের দেশের বিপুল জনসংখ্যা ও দক্ষীনাঞ্চল ডুবেযাওয়া বিবেচনায় রাখলে এ যুক্তি আরও দৃঢ় হয় যে, শুধুমাত্র উন্নয়ন ও অর্থনীতিক সামর্থ্য অর্জন আমাদের একমাত্র প্রধান লক্ষ হওয়া উচিত।
অর্থনৈতিক ভাবেও এই 'রামপাল' ও আরো নির্মানাধিন বড় কয়লা বিদ্যুতকেন্দ্র বাংলাদেশের পক্ষে লাভজনক।
এই প্রকল্প থেকে ২৭০০ মেগাওয়াট ও এ জাতীয় আরো কয়েকটি বড় বিদ্যুতকেন্দ্রের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যোগ হলে এর ইমপ্যাক্ট হবে হিউজ। অনেক অর্থনীতিবিদ বলছেন - মাথাপিছু আয় আরো ৫০০ ডলার বেড়ে যাবে। পদ্মা সেতুর মতই এসবের ফলে ১-২% বাড়তি জিডিপি যোগ হবে।
আমার সেই পোষ্ট, পড়ুন - view this link
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন । আপনার লিংক ধরে দেখে এসেছি সে লিখাটা । অনেক যুক্তিগ্রাহ্য তথ্য লিখাটিতে আছে । তবে এধরনের একটি বড় প্রকল্প বিতর্কিত হতে পারে তা সরকারের সংস্লিষ্ট মহলের চিন্তায় আসা উচিত ছিল বলে মনে হয়েছে । অনেকদিন আগের কথা , একটি অান্তর্জাতিক গবেষনা টিমের সদস্য হিসাবে বাংলাদেশের পাবলিক সেকটরের প্রডাকটিভিটির উপরে কাজ করতে গিয়ে দেশের সরকারী পরিকল্পনা প্রনেতাদের সীমাবদ্ধতার বিষয়টি উঠে আসে ভীষনভাবে । এ জায়গাটিতে দেখা যায় যে পরিকলল্পনা কমিশনের কোন কর্মকর্তাই প্রাথমিক কোন উন্নয়ন প্রকল্প প্রনয়ন করেন না , তাঁরা মুলত প্রকল্পটিকে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসুচীতে অন্তর্ভুক্ত করেন , অর্থ বরাদ্ধ করেন ও অনুমোদন দেন । মন্ত্রনালয়গুলিতেও রয়েছে একটি পরিকল্পনা কোষ , তারাও শুধু প্রকল্পটির অনুমোদন প্রক্রিয়া ও অর্থ অবমুক্তির প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার সাথেই যুক্ত থাকেন , আর দু একটা প্রাসঙ্গীক অপ্রাসঙ্গীক টুকটাক মন্তব্য দিয়ে প্রকল্পের অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করেন যা আখেরে প্রকল্পের বিনিয়োগ ব্যয়কে বৃদ্ধি করে , লাভবান হন ঠিকাদাররা ও বিল পরিশোধের সাথে যুক্তরা বিবিধ প্রকারে । তাছাড়া বিসিএস ইকোনমিক ক্যডারের এ সমস্ত কর্মকর্তাদের বেশীর ভাগই বিষয় ভিত্তিক বিষেযজ্ঞ নন , দেখা যায় মৎস ও পশুসম্পদ মন্ত্রনালয়ের পরিকল্পনা কোষে অন্য কোন বিষয় যথা অর্থনীতি বা ইতিহাস নিয়ে পড়াশুনা কারী একজনকে পদায়ন করা হয়েছে , অবশ্য এ দায় তাঁর নয় , দায়টা যারা পদায়ন করেন তাদের ।
আসলে ,মুল উন্নয়ন প্রকল্পটা প্রনয়ন করা হয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বিভিন্ন সরকারী , আধাসরকারী ও স্বশাসিত সংস্থা হতে । সেখানকার পরিকল্পনা সেলের নীচের লেভেলের প্রায় বলতে গেলে শিক্ষানবিশ গবেশনা কর্মকর্তাগনই মুলত উপর থেকে নির্দেশিত একটি প্রকল্পের নামের উপরে ভিত্তি করে মুল প্রকল্প দলিলটির প্রণয়ন করেন । এর পরে বাকি সকল পর্যায়ে তার উপরে শুধু ইয়েস, নো , ভেরী গুড, প্লিজ ডিসকাস জাতীয় কাজই করা হয় , বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই শধু নীচ থেকে প্রনীত প্রকল্প প্রস্তাবনাটির বানান দেখার মধ্যেই উপরের স্তরের কর্মকর্তাদেরকে মনযোগী হতে দেখা যায় । ফলে ভাল গুনগতমানের ও যুতসই প্রকল্প দলিল প্রনয়নের একটি ঘাটতি থেকেই যায়, প্রকল্পগুলি অনেকাংশেই হয়ে যায় ইল কনসিভ্ড ।
তাছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয় দেখা যায়, প্রশাসন বিশেষ করে প্রকল্প প্রনয়ন ও বাস্তবায়নের মত গুরুত্বপুর্ণ কিছু পদে এমনসব বুজুর্গ বসে আছেন যে তাদের দক্ষতার বিষয়টি প্রশ্ন হয়ে গেছে অনেক ক্ষেত্রেই। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, নতুন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর স্থাপনের জন্য প্রথমে স্থান নির্বাচন করা হয় ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল ও ভালুকার মাঝামাঝি স্থানে । স্থানটি তেমন জনবহুল নয় , ছিল বন্যামুক্ত এলাকা উচু নীচু টেক টিলা ও ছোট ছোট অগভীর জলাভুমি ( যা গ্রীস্মকালে শুকিয়ে যায় ) । ওখানে স্থান নির্বাচন করায় এলাকার লোকজনও উৎফুল্য হয়ে আনন্দ মিছিল করে স্বাগত জানায় । এলাকাবাসী আনন্দ মিছিল করে বেশ কয়েকদিন ধরে । এলাকাবাসী এ কারণে নীজেদেরকে গর্বিতও মনে করতে ছিল । হঠাৎ কি কারণে কাদের প্ররোচনায় এটাকে আরিয়াল বিলে সরিয়ে নেয়া হল যার পুরাটাই থাকে পানির নীচে এবং এলাকার জনগন এর বিরোধিতা করে ।
ঠিক অনুরূপভাবেই সরকারের উচ্চপর্যায়কে ভুলভাল বুঝিয়ে রামপালে বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনাটি যে ধরিয়ে দেয়া হয়নি হাতে তাকি সরকারী লোকজনের কাছে এখনো আসেনি অনুভবে!!!
মাথায় আসেনা একটা কথা সুন্দরবন থেকে এটা আরো ৫০ /৬০ কিলোমিটার দুরে সরালে কি এমন ক্ষতি হতো < হাজার হাজার মাইল পারি দিয়ে বিদেশ হতে কয়লা যদি আসতে পারে মংলায় তাহলে সেখান হতে আরো কিছু দুরে নিরাপদ পথ ধরে সুন্দরবনকে এড়িয়ে অন্যকোথাও সে কয়লা কেন পারবেনা নিতে । দেশটিতো খুবই ছোট প্রয়োজনে হাইওয়ে নির্মান কিংবা নদী ড্রেজিং করা যেতো একইসাথে , কোন অর্থের অভাব হতোনা এ খাতে , অলস টাকাতো বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে পরেই আছে , দেশও লাভবান হতো অনেক দিক থেকে । এড়ানো যেতো দেশের পরিবেশবাদীসহ ইউনেসকোর বিরোধিতা । এখন প্রকল্পটিকে অনাবশ্যকভাবে বিতর্কিত করে এর বাস্তবায়ন বিলম্বিত , প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ করে দেয়া ও দেশে দুইটি ধারার প্রবল জনমত সৃস্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার দায়টা কে নিবে । সরকার একবার প্রকল্প অনুমোদন দিলে সেখান হতে রাজনৈতিক টেকনিক্যাল কারণে পিছিয়ে আসা দুরুহ হয়ে পড়ে , অকারণে কক্তপাত ঝড়ে । তাই এরকম ভাবে প্রকল্প স্থান নির্ধারন করে কেন তাকে বিতর্কিত করা হল তা নিরপন করা হোক একই সাথে ।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মাথায় সুন্দরবন বিলুপ্ত হওয়ার মুখে , এর আশে পাশের এলাকাও পানির নীচে ডুবে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে রামপাল বিদ্যুত কেন্ত্রও যাবে । তাই এটাই ভাল হয়, আগে ভাগেই এটাকে নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলে , কারণ বিদ্যুত আমাদের প্রয়োজন এখন এবং ভবিষ্যতেও । কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ হোক এটা আমি চাইনা , শুধু চাই এটাকে যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে সবদিক বিবেচনায় সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য একটু নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হোক । প্রকল্পটির জন্য আগত দিনে সকলেই দায়মুক্ত হোক , তা না হলে দায় যে চল্লিশ বছর পরেও নিরোপন হতে পারে তার তো রয়েছেই উদাহরণ ।
প্রস্তাবিত বিদ্যুতকেন্ত্র স্থাপনের জন্য যে জায়গা হয়েছে অধিগ্রহন সেখানে জলবায়ু তহবিল হতে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে গড়ে তোলা হোক পানিতে ডুবে গেলে উপকুল বাসীদেরকে পুর্ণবাসনের জন্য করনীয় বিষয় সৃজন , এ বিষয়ে দেশের সকল আগ্রহী বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে আগেভাগেই করা হোক আলাপন ,পেপারে মিডিয়াতে আসুক, আমরাও জানতে পারব কি হওয়া প্রয়োজন । সম্ভব হলে এ বিষয়ে জানাশুনা লোকজন দিতে পারবেন মুল্যবান মতামত ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:১৩
প্রামানিক বলেছেন: জলবায়ু নিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞের জন্য অভিনন্দন।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ।
সামুর এ ধীর গতির তরী বেয়ে
কি করে যে আসলেন এমন ঘরে
ভেবে অবাক হয়ে কেও কি না পারে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৪৮
সোহানী বলেছেন: কানাডার প্রত্রিকার আবার বিশাল স্বাধীনতা তাই এরা কোন খবর না পেয়ে তিলকে তাল বানায় এটাতো আর বাংলাদেশে না যে এতো বেশী খবর যে ১০ মিনিটস্ খবর আপডেট দিতে হয় !!!!!!!!!! যাহোক কানাডার রাস্তায় পানি জমলে খারাপ হবে না তবে তার সম্ভাবনা নেই.. বড় জোড় বরফ জমে স্কি করা যাবে নৈাকা না অসুবিধা নাই দেশেই তো ফিরবো কিছুদিন পর আর যেভাবে ডেভোলাপাররা খাল-বিল বিক্রি করছে তাই আপনার এ নৈাকাই কাজে লাগবে.... ধন্যবাদ ফুল ফ্যামিলি সাইজ নৈাকা পাঠানোর জন্য ...............
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক উঞ্চতা যে হারে বাড়ছে তাতে করে কানাডার রাস্তার বরফ জমার পরিমান কমেই যেতে পারে কিছু দিনের মধ্যে , স্কী করার সুয়োগ কমে আসবে , উত্তর মেরুতে তো ররফ গলা শুরুই হয়ে গেছে ইতিমধ্যে!!!
নৌকা পছন্দ হয়েছে শুনে খুশী হলাম । দেশে যাওয়ার কথা শুনে ভাল লাগল । স্যুদি হয়ত পাবেন না তবে গরমকালে আসলে ভাল লাচ্ছি তুলা রইল ( ।
১৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫২
সুমন কর বলেছেন: আলী ভাই, সময় এবং সুযোগ মতো এ পোস্টে পরে আসার ইচ্ছে থাকলো।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:২৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা। আবার দেখা হওয়ার কথা শুনে ভাল লাগল ।
১৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা। আবার দেখা হওয়ার কথা শুনে ভাল লাগল ।
২০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৫১
মানবী বলেছেন: চমৎকার, শ্রমসাধ্য বিশ্লেষনধর্মী পোস্ট!!! অনেক কষ্ট করে শুধু সমস্যা আর আশংকা নয় বরং মোকাবেলা করার এক ইতিবাচক চিত্র এঁকেছেন যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
"বর্তমান হারে প্রবৃদ্ধির গতিতে ( বার্ষিক ৬ পারসেন্টের উপরে ) চলতে থাকলে ২০৫০ সালে ভিতরে আমাদের মাথাপিছু আয় চলে যাবে ২০ হাজার ডলারের উপরে"
- ভাবছি মাথা পিছু আয়ের এই সংখ্যাটি সত্য হলে বিশেষ একটি মহলের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ না বরং হিমালয় হয়ে যেতে হবে কারন দেশের মাথা পিছু আয় যাই হোক আগামী ৩৩ বছর পরও যে পথের পাশে পরে থাকা গৃহহীন আর গ্রামগন্জের সহায় সম্বলহীনদের অবস্থার ইতিবাচক কোন পরিবর্তন হবেনা তা নিশ্চিত! তাই না?
৫ নং ছবিটা সবচেয়ে সুন্দর। আমাদের গর্ব অদ্ভুত সুন্দর এই প্রাণীর যথাযথ রক্ষায় আমরা ব্যর্থ হয়েছি।
৮ ও ৯ নং ছবি দেখে মনে হয় অন্তঃত এক দিনের জন্য হলেও এই জীবনের অভিজ্ঞতাটা এক্সপেরিয়েন্স করা জরুরী।
২৪, ২৫ নং ছবির মতোই ২১,২২,২৩ হলিডে রিসোর্ট মনে হয়। ২১ নং ছবিটা খুব সম্ভবত মালদ্বীপের রিসোর্টের ছবি। এমন গুচ্ছগ্রাম যদি সত্যিই থেকে থাকে তা কোথায় জানার আগ্রহ রইলো।
পরবর্তী ছবিগুলো সব প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে টিকে থাকার সুন্দর এক সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখায়। আশা করি বিশ্ব ব্যাংকের দেয়া ঋন উপরের মহলে পকেটে শুধু প্রবেশ না করে এই স্বপ্নগুলো বাস্তবায়িত করবে।
চমৎকার একটি পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ডাঃ এম আলী।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার মুল্যবান বিশ্লেষণী মন্তব্যে আমি অভিভুত । যতার্থ মুল্যায়ন করেছেন ।
বাংলাদেশ বুরো অফ স্টাটিসটিক্স এর হিসাবে দেখা যায় যে ২০১৬ সনে দেশের মাথা পিছু আয় ১৪৬৫ ডলার , এর পুর্বের বছর ২০১৫ সনে ছিল ১৩১৪ ডলার , ২০১৩ সনে ছিল ১১৮৪ ডলার এবং ২১০২ সনে ছিল ১০৫৪ ডলার । এই তথ্যগুলি গত ২৫ /১০/২০১৬ তারিখে দৈনিক জনকন্ঠে প্রকাশিত সংবাদ ভাষ্যেও দেখা যায় । তাই দেখা যায় এই কয় বছরে মাথাপিছু আয় গড়ে শতকরা ১১.৬০ ভাগ হারে বেড়েছে । এই হারে বাড়তে থাকলে ২০৫০ সনে বাংলাদেশর মাথাপিছু আয় প্রায় ৪০হাজার ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে বলে অংক কষে দেখা গেছে , এই এক্সারসাইজটা করা হয়েছে নেহায়েতই একটু পরীক্ষা করে দেখার জন্য । তবে আমি বাংলাদেশ ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটক্স এর তথ্যের উপর ভিত্তি না করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ( আই এম এফ ) প্রনীত মাথাপিছু জিডিপির বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধির জন্য ২০১৯ পর্যন্ত প্রণীত প্রজেকশন এর তথ্যের ভিত্তিতে একটি হিসাব করে দেখলাম যে তাদের হিসাবে ২০১০ থেকে ২০১৯ সন পর্যন্ত মাথাপিছু জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড় হার দাঁড়ায় শতকরা ৮.৫৫ভাগ ।নিন্মের লিংকে আই এম এফ প্রণীত প্রজেকশনটি দেখা যেতে পারে ।
https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_countries_by_past_and_projected_GDP_(nominal)_per_capita
আমি অবশ্য এর মধ্যেও যাই নাই, সর্বনিন্ম প্রবৃদ্ধির হার শতকরা ৬ ভাগকে হিসাবে ধরে একটি প্রজেকশন হিসাব করে দেখা যায় যে ২০৫০ সনে মাথাপিছু আয়ের পরিমান দাঁড়াতে পারে ২০হাজার ডলারের উপরে, এর কমবেশীও হতে পারে কারণ ফ্লাকচুয়েশনতো হতেই পারে বিবিধ কারণে । এটা তো একটা ধারনাপত্রের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র , যতার্থতা বিশেষজ্ঞরা অবশ্যই নিবেন যাচাই করে যখন প্রয়োজন পড়ে ।
যাহোক, আপনার কথাটির আসল অর্থটি আমি বুঝেছি । যেভাবে এবং যে পরিমানেই হোক, মাথাপিছু আয় বাড়লে অনেক লোক কলাগাছ নয় অঙ্গুল ফুলে হিমালয় হবে , আর কিছু লোক দরিদ্র থাকবে , এটা একেবারে সত্য কথা বলেছেন , এখনই তো অনেকে এদেশে বিলিয়নিয়র হয়ে গেছেন অপরদিকে শতকরা ১৫ ভাগ লোক বাস করছেন চরম দারিদ্রতার মধ্যে । ইনকাম ডিসট্রিবিউশনের 'গিনি কোইফিশিয়েন্ট সুচকে' আয় বন্টনের এই হার যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তখন, তার গ্রহনযোগ্য কোন চিত্রই এখন পর্যন্ত দেখতে পাইনি কোথাও । তবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয়ের দেশেও তো দেখা যায় আনেক মানুষ রাস্তায় দাড়িয়ে ভিক্ষা করে !!! তাই আমাদের দেশের দরিদ্র মানুষদের অবস্থা যে কি হবে তা সহজেই অনুমেয়, ধন্যবাদ এ গুরুত্বপুর্ণ দিকটি মন্তব্যে তুলে ধরার জন্য । দেশের আয় বন্টনের যে চিত্র তাতে গ্রাম গন্জের সহায় সম্বলহীনদের অবস্থার ইতিবাচক কোন পরিবর্তন হবেনা তা বলতে গেলে একেবারে নিশ্চিত!!! তখন ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিতরণ কর্মসুচী তো থাকছেই !!! তাইনা ?
আমার ধারণার সাথে আপনার চয়েস একেবারে মিলে গেছে , আমার ধারনা ছিল অনেকের কাছেই ৫ , ৮ ও ৯ নং ছবি বেশী পছন্দ হবে । ভাল লাগল শুনে । তাদের সাথে কিছু সময় বাস করতে পারলে তাদের জীবনের অনেক সুখ দু:খ্যর সাথে পরিচিত হওয়া যেতো , এ রকম পার্টিসিপেটরী গবেষনা কার্যক্রম অনেকেই বিশেষ করে সামাজিক বিজ্ঞনী ও পরিকল্পনা বিদেদের জন্য হতে পারে বিবেচনীয় , ধন্যবাদ এ রকম একটি উপলব্দি প্রকাশের জন্য । এ কারণেই পাঠকের প্রতিটি মন্তব্যই মুল্যবান ভবিষ্যত গবেষনার প্রয়োজনে ।
হ্যা ঠিকই ধরেছেন, ২১ থেকে ২৫ পর্যন্ত ছবি গুলি মালদ্বীপসহ বিভিন্ন জায়গায় পানির উপরে ভাসমান বিলাসী রিসোর্টের ছবি , বলে দেয়া হয়েছে ছবিগুলি গুগল থেকে নেয়া । এগুলি দেখানো হয়েছে রূপক অর্থে , দেশের বিত্তবানদের আয় বাড়ার সাথে সাথে তাদের জন্য গড়ে দেয়া যাবে এমন বিলাসী গৃহ পানির উপরেই , তাদের হতাস হওযার কিছু নেই এটুকুও শুধু । ছবিতে দেখানো ভাসমান গ্রামটি কোকম এর দেয়া রিসোর্টের সাথে প্রদর্শিত মালদ্বীপের কোকোয়া আইল্যান্ডের একটি দৃশ্য । প্রয়োজনে পরিকল্পনা বিদরা যাচাই করে দেখতে পারেন এরকমটা করা যায় কিনা , এটা শুধু একটি ধারণা দেয়া । তবে কম্বোডিয়ার গ্রেট লেকে কমপং ক্লীন নামে এমন গ্রাম আছে যেখানে প্রতিটি বাড়ীর পিছনেই রয়েছে ভাসমান পদ্ধতিতে কৃষিকাজের ব্যাবস্থা । নীচের ছবিতে দেখা যায় ।
বিশ্ব ব্যাংকের দেয়া ঋন সহায়তা উপরের মহলের পকেটে শুধু প্রবেশ না করে এই স্বপ্নগুলো বাস্তবায়িত করার জন্য অপনার মুল্যবান মন্তব্যটির প্রতিফলন ঘটুক এ কামনাই করছি ।
চমৎকার বিশ্লেষণীমুলক মন্তব্য দানের জন্য অভিনন্দন রইল ।
২১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
৪০-৫০ বছর পর সুন্দর বন ও রামপাল ডুবে যাবে সত্য।
তবে তার আগেই পরিত্যাক্ত হবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কারন ফসিল ফুয়েলের ব্যাবহার বন্ধ হয়ে যাবে, নতুন প্রযুক্তির বিদ্যুত সাশ্রয়ী মটর আবিষ্কৃত হয়ে যাবে। তখন এত বিপুল বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা লাগবেনা, অল্প দামে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারি আসবে। গাড়ী চলবে ব্যাটারিতেই। একমাত্র প্রধান ইন্ডাষ্ট্রিয়াল জালানি হবে পরিবেশ সহনীয় হাইড্রজেন। পানি থেকে তৈরি হবে এই হাইড্রজেন। এসব অলরেডি বেশিরভাগ আবিষ্কৃত হয়ে গেছিল, তেলের দাম ১/৪ কমে যাওয়াতে থেমে আছে
এসবের নাগাল পেতে হলে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দ্রুত উন্নত হতে হবে, যাতে আমাদের হাতে দুর্যোগ মোকাবেলা ও সেই টেকনোলজি সক্ষমতার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ ও সম্পদ থাকে।
রামপাল নিয়ে অকারন বিরোধিতার কোন মানে হয় না।
ভারত একটি বৃহৎ দেশ হিসেবে বনভুমির নিরাপদ দুরত্ত্ব ২৫ কিলোমিটার। তাইওয়ান হংকং মত ছোট দেশে কোন বার নেই, শহরের মাঝেই কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র। বাংলাদেশের মত ছোট দেশের নিরাপদ দুরত্ত্ব ১৪ কিলোমিটার ঠিক আছে। যদি গোঁ ধরেন "না। ভারতের স্ট্যান্ডার্ডই মানতে হবে" তাহলে আপনাদের দাবি মত মাত্র ১১ কিলোমিটার বনভুমি্র ঘাস পর্যন্ত মরে যাবে। বাকি সুন্দরবন থাকবে।
পৃথিবী শতশত বড় বিদ্যুতকেন্দ্র চলছে, একটা ঘাস বা গাছও মরে নাই। অতচ সবাই দাবি করছে রামপালের কারনে ১০০ কিলো দুরের কোষ্টাল ম্যানগ্রোভ পর্যন্ত বিলুপ্ত হবে।
তাহলেতো এটা তেতুলিয়া সিমান্তে সরিয়ে নিলেও সুন্দরবনের রেহাই নাই!
কয়লা পোড়া গ্যাসে গাছ মরে যায় এসব ফালতু কথা। আপনিও জানেন। তবে ক্ষতি হবে অবস্যই , সেটা রিজিয়নাল না গ্লোবালি হবে। বিশ্ব কার্বন ডাই অক্সাইড ইমিশন বাংলাদেশের অংশ মাত্র ০.১৪ ভাগ। রামপাল সহ ৬-৭টা বড় বিদ্যুতকেন্দ্র হলে ভা্রি শিল্প বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের অংশ ১% উন্নিত হতে পারে। এই ১% বন্ধ করে লাভ আছে? বাকি বিশ্ব কি ৯৯% কার্বন ইমিশান বন্ধ করেছে? করবে? তাহলে আমরা কোন যুক্তিতে বন্ধ করব। কেন পিছিয়ে থাকবো।
২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ৯ বছরে কোন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়নি, সাইফুররহমানের বাজেট বক্তৃতাগুলো দেখুন কোন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিকল্পনা বা বরাদ্দ নেই, ২০০৭-৮ এ তত্তাবধায়করাও করে নি।
কেন দেশটিকে বিদ্যুতে ১০ বছর পিছিয়ে দেয়া হল? জবাব আছে?
এরা ইন্টারনেটেও দেশটিকে ১৫ বছর পিছিয়ে দিয়েছিল।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৪৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ বিশ্লেষণমুলক মুল্যবান মন্তব্যের জন্য । আমাদের প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা অনস্বিকার্য । সর্বোচ্চ ত্যাগের মিনিময়ে আমরা বিদ্যুত চাই । তবে এ বিষয়ে দেশের ক্রস সেকশন অফ পিপলের কথাগুলিকেও তো উড়িয়ে দিতে পারিনা । সকলেই বলছেন সুন্দরবনের সহজ কোন বিকল্প নাই । দেশ যে সাগরের তলে ডুবে যাবে তার তো নিশচয়তা নাই প্রবল কোন ভুমিকম্পের কারণে সেটা অন্য কোন রকমওতো হতে পারে , আর ভুমি কম্পের আগাম সংবাদ দেয়ার তেমন অত্যাধুনিক প্রযুক্তিও এখনো হয়নি উদ্ভাবন ।
যাহোক , বিদ্যুতের জন্য অনেক বিকল্পই আছে , ঠিক আছে, কয়লা দিয়েই হোক , তবে সুন্দরবন হতে সেটা আরো একটু দুরে করতে বিশেষ অসুবিধাটা কোথায় । দেশে আরো তো কিছু কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র হবে , সবগুলিই তাহলে রামপালের মত সুবিধা জনক স্থান বিবেচনায় সেখানে্ই কি হবে? কিন্তু তাত নয় , সেগুলি হবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সুবিধাজনক স্থানে । তাই প্রশ্নটা আমার শুধু একটি জায়গায় বিজ্ঞ পরিকল্পনা বিদদের নিকট, অন্য একটি বিকল্প স্থান যা সহজে হতোনা বিতর্কিত, বিশেষ করে সুন্দরবনের মত আন্তর্জাতিক ভাবে স্বিকৃত প্রাকৃতিক হেরিটেজ কে বিঘ্নিত না করে কেন্দ্রটি স্থাপনের জন্য স্থান নির্বচনের উদ্যোগ যদি নেয়া হত । আপনি অবশ্য একটি সত্য কথা বলেছেন, ছলের কলের অভাব হয়না , তাই এটা রামপাল না হয়ে তেতুলিয়া হলেও কোন না কোনভাবে করা হতো বিতর্কিত ।
তারপরেও বলা চলে, সুন্দরবন হতে অরো কিছু কিলোমিটার দুরে হলে দেশের কিছু লোকে যাই বলুক ইউনেস্কোকেতে ভাল করে বুঝানো যেত । প্রকল্পটিও এতদিনে অনেকখানি মাথা তুলে দাঁড়াত । এ বিলম্বের জন্য তথা টাইম অভার রানের কারণে প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধির দায়টা কার সেটা কে করবে নিরোপন ? ভুক্তভোগীতো হবে দেশের জনগন প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধির কারণে । তাই আমাদের সকল মেগা প্রকল্পের ক্ষেত্রেই প্রকল্প প্রনেতাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে অনতিবিলম্বে যাতে করে আমরা দ্রুততার সাথে পৌঁছতে পারি কাঙখীত লক্ষ্যে ।
এটাও আপনি বলেছেন বলেছেন সত্য, বিগতদিনে বিদ্যুত বাড়ানোর জন্য নেয়া হয়নি কোন রেডিকেল উদ্যোগ, নীতি নির্রধাণী পর্যায়ে মন্ত্রীসহ পরিকল্পনাবিদেরা ফাইবার অপটিকে যেতে না চাওয়ায় ইন্টারনেটেও পড়ে যাই অনেকটা পিছনে ।
একথাও সত্য কথা যে ১৭৭৬ সনে বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবনের আয়তন ছিল ১১ হাজার ২৫৬ বর্গকিলোমিটার। যা ২০১৫ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৬৭ বর্গ কি:মি:। রামপালে বিদ্যুতকেন্দ্র তো এখনও নির্মাণই হয়নি, তারপরও সুন্দরবনের আয়তন কমে গেল কেন? বাঘ ও সুন্দরী গাছের সংখ্যাইবা আশঙ্কাজনকহারে হ্রাস পাচ্ছে কেন? এর জন্য স্থানীয় মনুষ্যসৃস্ট ও বৈশ্বিক উহ্মতাই মুলত দায়ি । তাই আমরা চাই উপযুক্ত ব্যবস্থাধীনে সুন্দরবন বেঁচে থাক তার জীববৈচিত্র্য নিয়ে আর বাংলাদেশ এগিয়ে যাক সকল সীমাবদ্ধতা ও বাধাবিঘ্নতা অতিক্রম করে নিরাপদ প্রযুক্তি ব্যাবহারের মাধ্যমে বিদ্যুত উৎপাদনের মধ্য দিয়ে ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।
২২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:২০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: সময় নিয়ে এই পোস্ট ধরতে হবে। দারুণ একটি সুখবর এটা!
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অতি ব্যস্ততার মাঝেও সময় নিয়ে দেখার কথা শুনে খুব খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।
২৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:১১
নীলপরি বলেছেন: আপনার পরিশ্রমী আর তথ্যপূর্ণ পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ । ++
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি ভাল লাগার জন্য । হ্যা ঠিকই বলেছেন, সামু খুবই স্লো থাকার কারণে পোস্টটি পোস্ট করতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে । অনেক বার ৫০২ বেড গেইট ওয়ের স্বিকার হতে হয়েছে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৫
মেহেদী রবিন বলেছেন: তথ্য পরিবেশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া গুলোর বর্ণনা চমৎকার। খুবই সময়োপযোগি পোস্ট।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । আপনার বিজ্ঞ মুল্যায়নে আমি বিমোহিত । জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের সকলের যুতসই উদ্ভাবনীমুল্প
পরিকল্প ও কর্মসুচী নিয়ে এগিয়ে আসা একান্ত প্রয়োজন । এটা একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ । সমাজের প্রতিটি মানুয়ের এ লক্ষে সচেতন হলে এবং যার যার সাধ্য অনুযায়ী যদি বৃক্ষ নিধন রোধ করেন ও বৃক্ষ রোপন করেন তাহলেও অনেক উপকার হবে ।
শুভেচ্ছা নিবেন ।
২৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬
জুন বলেছেন: ব্লগার মানবীর মত আমিও বলি শুধু সমস্যা আশংকা আর ভীতি নয় , আশার বানীও শুনিয়েছেন আপনার লেখায় ডাঃ এম আলী । সারা বিশ্বব্যাপী মানুষ ক্লাইমেট চেন্জের ব্যাপারে চিন্তিত আতংকিত । আমরা নাহয় বাচলাম কিন্ত কত মানুষ কত প্রানী তাদের আবাস হারাবে ভেবে কষ্ট হয়। বিশেষ করে জলজ প্রানী আর দুটি মেরুর সেই শ্বেত ভালুক , পেন্গুইন আর সিল মাছ ।
অত্যন্ত যুগোপযোগী লেখায় অনেক ভালোলাগা ।
প্রসংগত ব্রাকের শিক্ষা তরী সিলেটের তাহিরপুরে আর ভাসমান সবজী বাগান মিয়ানমারের লেক ইনলেতে দেখে এসে এই ব্লগে পোষ্ট দিয়েছিলাম।
আপনার লেখায় প্লাস ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেকের অাশংকা আর ভীতির ক্ষেত্রিতে্ এ পোস্টের অবতারনা । স্কুল জীবনে আমাদের বাংলা পাঠ্য বইয়ে প্রখ্যাত সাহিত্যিক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর একটি প্রবন্ধ ছিল " অাত্মবিশ্বাস ও জাতীয় প্রতিষ্ঠা " । শ্রদ্ধেয় হেডমাস্টার স্যার বলতেন এটা সারা জীবন মনে রাখতে ও সুযোগ পেলে অন্যদেরকে শুনাতে । তাই ভাবলাম জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অাগত বিপদের দিনে আমাদের সকলের মধ্যে আত্মবিশ্বাসটা জেগে উঠুক যে , আমরাই পাড়ব টিকে থাকতে নীজেদের প্রচেষ্টায় সময়ের প্রয়োজনে।
একটি বিষয় জলবায়ু পরিবর্তনে উপকুলভাগের সকল অংশই একেবারে পানির নীচে ডুবে যাবেনা । সেখানেও উচু নীচু অংশ আছে এবং উচু অংশগুলি পানির উপরে ভেসে থাকবে বলে আশা করা যায় । নীচে বাংলাদেশের রিলিফ ম্যাপে দেখতে পাওয়া যাবে যে দেশের দক্ষিনাঞ্চলে সুন্দরবন এলাকায় ৮-১২মি: উ্চচতার ভুমি আছে, সেগুলি সমুদ্রের পানি বর্তমানের তুলনায় আরো ৬০-৭০ সে: মি: ( পরিবেশবাদীদের প্রজেকশন অনুযায়ী) উপরে উঠে গেলেও ভেসে থাকতে পারবে ।
রিলিফ ম্যাপ দেখে সেই সমস্ত উচু এলাকাগুলি সঠিকভাবে ভুত্বক জরীপ করে চিহ্নিত করা পুর্বক নিবীর বনায়ন কার্যক্রম এখনই জোড়দার করা যেতে পারে যেন সে সমস্ত বনে বিলুপ্তির সন্মুখীন বন্য প্রাণীদের জন্য অভয়ারন্য সৃজন করতে পারি । মনুষ্যের জন্য তখন সে জায়গাগুলি একটু দুর্গম হওয়ায় বরং বন্যপ্রাণীরা সেখানে নিরাপদই বোধ করবে , বন্যপ্রাণীদের জন্যতো আর হাট বাজার ,স্কুল কলেজ, হাসপাতালের দরকার পড়বেনা তাই তারা সে সমস্ত বনে বরং নিরাপদে ভালই থাকবে । তাই তাদের জন্য চিন্তা থাকলেও অন্তত একটা ব্যবস্থা করা যাবে বলে আশা করা যায় । তবে মেরু অঞ্চলের শ্বেত ভাল্লুক , পেঙ্গুইন আর সিল নিয়া সত্যিই চিন্তার বিষয় আছে ।
সিলেটের তাহিরপুরে ব্রাকের শিক্ষা তরী আর মিয়ানমারের লেক ইনলেতে ভাসমান সবজী বাগান এর বিষয়ে এই ব্লগের পোস্ট দিয়েছেন শুনে ভাল লাগল , আমি সেগুলি দেখব । আপনাদের মত টেলেন্ট জেনারেশনের কাছে আমরা অনেক উদ্ভাবণী মুলক প্রকল্প প্রস্তাবনা ও কর্মসূচীর আইডিয়া পাব বলে আশা করি । আসন্ন জলবায়ু বিপর্যয় রোধে সকলের আইডিয়া ও দিক নির্দেশনা হতে উপযুক্ত প্রকল্প ও কর্মসুচী বেরিয়ে আসবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।
২৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: সমস্যা যেমন আছে তার সমাধানও আছে । জলবায়ুর পরিবর্তের ফলে সবচেয়ে বেশির সমস্যায় পরব আমরা তা অস্বীকার করার উপায় নেই! ১৮০ মিলিয়নে (!!)মানুষের দেশ । আপনার দিকনির্দেশনা শ্রমসাধ্য কাজ এবং অবশ্যই প্রশংসা যোগ্য । আশার আলোর মত।
মানুষ পতিকুল পরিবেশেই বেশী উন্নয়ন করে !উদাহারন হিসেবে বলা যায় যেমন ইউরোপ আমেরিকার বেশীর ভাগ দেশেই তুষার পরে , এখন হয়ত ধনী বলে এই তুষার সরানোর জন্য তাদের গাড়ি আছে , ঘর গরমের জন্য গ্যাস আছে । আগে তারা সকালে ঘুম থেকে উঠেই ঘরের এবং রাস্তা ঘাটের তুষার পরিস্কার করত , রাত হলে শীত থেকে বাচার জন্য কাঠ কেটে আগুন ঝালিয়ে ঘর গরম রাখত , এভাবে প্ররিশ্রমের অভ্যাস গরে উঠত তাদের, এই প্ররিশ্রমই তাদের ধনী করেছে।
জলবায়ুর পরিবর্তের ফলে কোন দুর্ভোগে পরলে আমাদেরও এর বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকতে হবে এবং খুব ভালভাবেই । এখন থেকে এর উপর গবেষণা এবং উন্নত প্রযুক্তির উপর নজর দেয়া আবশ্যক ।
চমৎকার পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৩৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
যতার্থ বলেছেন সমস্যা যেমন আছে তার সমাধানও আছে ।
আপনার সুললিত প্রসংসাবাণী শুনে অনুপ্রাণিত হলাম ।
প্রতিকুল পরিবেশে টিকে থাকার জন্য আপনার
গঠনমুলক কথামালা দেখে খুব খুশী হলাম।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।
২৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০
জিসান অাহমেদ বলেছেন: দারুণ বলেছেন।
+++++++++++
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি দারুন অনুভুত হওয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৫
আমি সাজিদ বলেছেন: অনেক যদি কিন্তু। একমত হতে পারলাম না কিছু জায়গায়। কনসেপ্টটি চমৎকার। কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তন জনিত বাংলাদেশের পরিবর্তনের টেকনিক্যাল দিকগুলো আরেকটু বেশী থাকলে ভালো হতো মনে হচ্ছে। স্যার আপনার মতে উন্নত দেশগুলো ২০৫০ এ ভিক্ষা করবে আর আমরা ২০৫০ এ উন্নত হবো? আমরা উন্নত হতে পারে, উন্নত দেশগুলো ভিক্ষা করবে কেন? যুক্তি পাই নি।
ছবি চমৎকার। ভালো লেখা ও প্রচেষ্টা স্যার। শুভ সকাল।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ।
পোষ্টের সকল বিষয়েই যে সহমত হতে এমন নয় । ভিন্ন কিছু মত বা ধারনা থাকতেই পারে । এটাই স্বাভাবিক ।
খুব সাহস করে আশাবাদী হয়ে পোষ্টের শিরোনামে বলেছি-
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০৫০ সালে উদ্বাস্তু হয়ে আমাদের ঘোরতে হবেনা কারো দ্বারে দ্বারে ।
এই পোষ্টটি যখন লেখা হয়েছিল সে সময় দেশে বিদেশে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হচ্ছিল -
২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ভূমির এক-তৃতীয়াংশ পানিতে নিমজ্জিত হবে। এর ফলে সমুদ্রের কাছাকাছি অঞ্চলগুলোর দুই কোটি মানুষ বাস্তুভিটা হারাবে, বাড়বে জলবায়ু উদা্বাস্তু শরণার্থীর সংখ্যা।
প্রায় সকল পরিবেশ বিজ্ঞানীরাই আশঙ্কা করেছেন আগামীতে বাংলাদেশের প্রায় ২ কোটি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হবে বাধ্য
এ পোষ্টেও আশংকা প্রকাশ করে একথাও বলা হয়েছে যে -
যাহোক, প্রলয় অপ্রতিরোদ্ধ গতিতে আসতেছে ধেয়ে , সন্দেহ নেই কোন তাতে । আমরাও প্রস্তুত, বাঙ্গালী বীরের জাতি , যুদ্ধ সংগ্রাম করে স্বাধিনতা এনেছি , এগিয়ে যাচ্ছি সমৃদ্ধির পথে দৃপ্ত পদক্ষেপে, ভয় পাইনা কোন কিছুতে । অনেকেই আশঙ্কা করছেন দেশের উপকুলীয় অংশ তলিয়ে গেলে ২ কোটি লোককে দেশ ছেড়ে যেতে হবে চলে । শিক্ষায় ও কারিগরী জ্ঞানে পিছিয়ে থাকা জলবায়ু উদ্ধাস্তুগনে নিবেনা কেও কোলে তুলে । আমাদেরও সাফ কথা, যাব কেন দেশ ছেড়ে , দেখিনা একটু হাত পা নেড়ে , টিকতে পারব কিনা বাপ দাদার ঠিকানা ধরে । এটা আশার কথা, নীজেদের ,মনোবল ও প্রচেষ্টা বাড়ানোর কথা,
নীজেদের আত্ম বিশ্বাস বাড়ানোর কথা ।
এটা আমার অক্ষমতা , নীজের জ্ঞানের ও জানার সীমাবদ্ধতার কারণে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সকল টেকনিক্যাল বিষয়গুলি তুলে ধরতে পারিনি ভাল করে । তবে কামনা করি ব্লগের গুনী ব্লগারগন বিষয়টি নিয়ে সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও ঐক্যমত হতে পারে এমন লেখা উপস্থাপন করবেন বিস্তারিতভাবে । সে আশাতেই দিন গুনছি ।
তবে সংক্ষেপে কিছু বলা হয়েছে যথা-
আমরা নিতে পারি স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা । স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মিটগেশন ও এডাপটেশন এর জন্য যা প্রয়োজন, ভেবে ভেবে করব তা সকলে । জনগনের মাঝে সচেতনতা দিব ছড়িয়ে । জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার জনগনের জন্য কৃষি , শিক্ষা , স্থাস্থ্য ও যোগাযোগ খাতে সরকারকে বলব নিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা । সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচ্ছাস রোধে উপকূলীয় এলাকায় বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে সবুজের বেস্টনি গড়ে তোলার প্রয়াস নিব সকলে মিলে, যেন সেখানে বিলুপ্ত প্রায় জীব বৈচিত্র থাকতে পারে পরম নিশ্চিন্ত মনে ।।প্রয়োজনে লাগাতার মানব বন্দন কর্মসুচী দেয়া হবে উপকূল জোড়ে । যেমন করেই হোক সচেতন সকল পরিবেশবাদীদেরকে নিয়ে উপকূলীয় জীব বৈচিত্র রক্ষায় মেনগ্রোভ ফরেস্টের প্রসার ঘটানোর জন্য কর্মসুচী নেয়া হবে দ্রুতলয়ে ।
বিবিধ উপায়ে পানিতে ভাসমান থেকে প্রতিকুল পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে গড়ে তুলতে পারি আমাদের বিপন্ন জনগুষ্টীর জন্য বাপ দাদার ঠিকানাতেই এক সুন্দর আবাসন, হবোনা কোন মতেই দেশ ছেড়ে নির্বাসন। এটা সকলেরই জানা মাইগ্রেটেড সিটিজেন দুনিয়ার সর্বত্রই পালন করে এক দুর্বিসহ জীবন, কথায় কথায় সারা জীবন ধরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মত কারো না কারো কাছ হতে শুনতে হয় তাদের দেশে বসবাসকারী সকল বিদেশীকে দেশ থেকে করবে অপসারণ, কথাটায় সকল সময় মিশে থাকে এক বিশালতর অপমান । জীবন ও সন্মানের তাগিদে নীজ ভুমেই যে কোন ত্যাগের বিনিময়ে বসবাসটাই মানব জীবনের তরে সকল সময়েই মুল্যবান ।
তাই নিতে পারি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরোপ প্রভাব মোকােলায় স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী অনেক পরিকল্পনা ও কর্মসুচী ।
পোষ্টে সচিত্র কিছু ধারনাপত্র সচিত্রভাবে তুলে ধরে তার উপরে সকলের বিজ্ঞ মতামতামতের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে ।
ধারনা করি আপনি সে সকল দেখেছেন ।
দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে বলা হয়েছে -
২০৫০ সালে দেশের উপকূল ভাগের বিস্তির্ণ এলাকা পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ার আগেই সরকারী ঘোষনা অনুযায়ী তাদের ভিশন অনুসারে ২০৪১ সালেই পৌছে যাব উন্নত বিশ্বের কাতারে । বর্তমান হারে প্রবৃদ্ধির গতিতে ( বার্ষিক ৬ পারসেন্টের উপরে ) চলতে থাকলে ২০৫০ সালে ভিতরে আমাদের মাথাপিছু আয় চলে যাবে ২০ হাজার ডলারের উপরে । সে বিষয়টা মাথায় রেখে আমরাতো উচ্চবিলাসি পরিকল্পনা নিতেই পারি, জলউদ্বাস্তু হয়ে কেন চলে যাব বিদেশে রিফুজী হয়ে? উন্নত বিশ্বের প্রায় সকল দেশেরই উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির হার নিন্মের দিকেই ধাবমান , এটা তাদের কমতে কমতে ২০৫০ এ এসে এমন পর্যায়ে চলে যেতে পারে যে অনেকেরই তখন হয়তবা আসতে হতে পারে আমাদেরই ঘরে । এখানে বলা হয়নি আসতে হবে ভিক্ষার তরে আরো উন্নততর ও উচ্চারের মজুরীর জন্য তারা আসতে পারে আমাদের ঘরে । এখনওতো অনেক উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশের লোকজন এদেশে এসে অনেক উচ্চ বেতনে কাজ করছেন , এ দেশ হতে তারা বেতন ভাতাদি খাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছেন তাদের দেশে । আল্লাহ করুন ২০৫০ এ যদি আমরা উন্নত দেশের কাতারে চলে যাই তাহলে আশা করা যায় আরো অনেক বিদেশী আসবেন আমাদের ঘরে । বালাই ষাট, তারা ভিক্ষা করতে আসবেন কেন? হয়তবা আসবেন উন্নত জীবন যাপন ও উচ্চ্ বেতনের কারণে । মানুষ আশাবাদী, আমরাতো আশা করতেই পারি । দেশের নীতি নির্ধারকগনতো বলছেনই ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে চলে যাবে । এখন যদি তা না হয় তার দায় ভাগ নিতে হবে তাদেরকেই ।
পোষ্টের শেষের দিকে বলেছি যাহোক , কামনা করি তারা যেন থাকতে পারেন তাদেরই ঘরে । আমরা এখন দেখি আল্লা না করুন জলে ডুবে গেলে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে কেমন করে বিলাসী জীবন যাপন করতে পারি পানির উপরে ।
পোষ্টের শেষে বলা হয়েছে -
পরিশেষে বলতে চাই ২০৫০ এ এসে কোন রকম বৈদেশিক সহায়তা ছাড়াই টিকে থাকার লড়ায়ে বিধাতার আশির্বাদে জয়ী আমরা হবোই । জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘোরতে হবেনা কারো । বাঙ্গালী বীরের জাতি, চিরদিন উন্নত রবে তার শির জগতের বুকে ।
এখানে উল্লেখ্য যে পোষ্টটি দেয়াই হয়েছিল অনেকের অনেক ধরনের নিরাশামুলক কথার পরিপ্রেক্ষিতে ।
আমি আশাবাদী মানুষ, শত প্রতিকুলতার মাঝেও ভাল আশা নিয়েই বাচতে চাই যতদিন আছি জগতের বুকে ।
কামনা করি উন্নত , উন্নয়নশীল ও অনুন্নত বিশ্বের সকলেই ভাল থাকুন ।
শুভেচ্ছা রইল
২৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাংলাদেশের জন্য বাঁচা মরার একটি প্রশ্নে অত্যন্ত পরিশ্রমসাধ্য এমন একটি পোস্ট লিখে ব্লগকে সমৃদ্ধ করে গেছেন! সাথে সাথে নানা রকমের প্রাসঙ্গিক তথ্য উপাত্ত সংযোজন করে ভবিষ্যত গবেষক এবং পরিকল্পনাবিদদের জন্য একটি অমূল্য রেকর্ড রেখে গেলেন। এজন্য কোন সাধুবাদ কিংবা প্রশংসাই আপনার জন্য যথেষ্ট নয়।
প্রথম মন্তব্যেই গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কি বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করেছেন। তিনি আমার কথাটিই বলে গেছেন। চতুর্থ মন্তব্যটাও চমৎকার, তাই উদ্ধৃত করার লোভ সংবরণ করতে পারলাম নাঃ
চাঁদগাজী বলেছেন: আপনি অনেক শ্রম ও ভাবনা দিয়ে বিরাট এনালাইসিস ও সমাধানের কথা বলেছেন; আজ হোক, কাল হোক, বাংলাদেশকে এর মাঝ দিয়ে যেতে হবে। আমরা যদি প্রতি বছরই কিছু পদক্ষেপ নিই, মানুষকে এ ব্যাপারে জানাই, মানুষ সমস্যার সমাধান বের করবে। সরকার ১৬ বছর অলস বসেছিল, বিশ্ব ব্যাংক 'সিড মানি' দিয়েছে; দেখা যাক, কি হয়।
কালীদাস বলেছেন: আমাদের সবচেয়ে বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে/দাঁড়াবে অপরিকল্পত ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন এবং ম্যাসিভ আনপ্ল্যানড আরবানাইজেশন। এই দুইটা জিনিষ নদীমাতৃক বাংলাদেশকে ডোবামাতৃক বাংলাদেশ বানিয়ে ফেলছে ধীরে ধীরে। - অস্বীকার করার উপায় নেই, তিনি সঠিক কথাটিই বলেছেন।
পোস্টে প্লাস। + +
২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার প্রসংসা বাণীতে আপ্লূত্ ।
মনে কষ্ট নিয়ে আছি, অসুস্থতাহেতু
বেশী কথা লিখতে পারছিনা ।
আমার পোস্টগুলি এসে পাঠ করে
মুল্যবান মন্তব্য দানের জন্য
কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কি বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করেছেন ডাক্তার ভাই , আপনাকে অভিনন্দন !!!!