নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাকবি কালিদাসের মেঘদুত (মেঘের চলার পথের কিছু চিত্রসহ ) – ২য় পর্ব ।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০


মহাকবি কালিদাসের মেঘদূত -১ম পর্ব

মেঘদূত – ২য় পর্ব ( ৩১ তম স্তবক থেকে শুরু)

স্তবক - ৩১)
ওগো সুন্দর ! তোমার বিরহে সিন্ধু নদী শুকিয়ে হয়েছে একগাছি বেণীর মতোন
দুই তীরের তরু থেকে জীর্ণ পাতা খসে পরেছে বলেই তার জলের ধারা পান্ডূবর্ণ
নদীটি যেন তার কৃশতা ত্যাগ করতে পারে তার ব্যবস্থাটা তুমিই করো
তুমি বর্ষণ করলেই সে কুলপ্লাবী হয়ে উঠতে পারে ।
ছবি-১/৩২ : সিন্ধু নদী শুকিয়ে হয়েছে একগাছি বেণীর মতোন

৩২)
এরপর তুমি যাবে অবন্তি দেশে ; সেখানকার গ্রাম বৃন্ধেরা উদয়ন কাহিনীতে সুদক্ষ
সেখান থেকে যাবে সম্পদে ও সৌন্দর্যে ‘বিশালা’ ( উজ্জয়িনী, অবন্তীর রাজধানী ) নগরীতে
তোমার মনে হবে বহু পুণ্যফলে যারা স্বর্গে গিয়েছিলেন তারা সবটুকু পুণ্য ক্ষয় হওয়ার আগেই
এসেছেন ফিরে পৃথিবীতে এবং আসার সময় স্বর্গের সৌন্দর্যের এক অংশ এনেছেন সাথে করে ।
ছবি- ২/৩২ : উজ্জয়িনীতে সৌন্দর্যমন্ডিত বিশালা ভবন

৩৩)
এই বিশালায় প্রভাতে শিপ্রার তরঙ্গবাহী শীতল বায়ু বিকশিত পদ্মের গন্ধে মিশে সৌরভময় হয়ে উঠে, সেই বায়ুতে ভেসে আসে সারস দলের মদকল মধুর ধ্বনি । রমণিদের স্তুতিনিপুন প্রিয়তমের মত সেই শিপ্রা বায়ু রাত্রির রতি শ্রমে ক্লান্ত প্রিয়ার গ্লানি করে দেয় দুর ।
ছবি -৩/ ৩২ : বিশালার প্রান্তদেশে তরঙ্গবাহী শিপ্রা

৩৪)
এই উজ্জয়িনীর রমণীরা ধুপ জ্বেলে কেশ করে সংস্কার, সে সুগন্ধী ধুপের ধোঁয়া জানালার পথে বাইরে এসে তোমার দেহের করবে পুষ্টি সাধন সেখানে গৃহে গৃহে পালিত ময়ুরগুলি বন্ধুপ্রীতিবসত তোমাকে দেখে আনন্দ নৃত্যে করবে । প্রাসাদ গুলিতে তুমি দেখবে সুন্দরী রমনীদের পায়ের আলতার চিহ্ন , এই উজ্জয়িনীর প্রাসাদে প্রাসাদে তুমি পথের ক্লান্তি দুর করতে পারবে ।
ছবি - ৪/৩২: সুন্দরী রমনীদের পায়ে আলতার চিহ্ন

৩৫)
উজ্জয়িনীর গন্ধবতী নদীর তীরে চন্ডিকাপাতি মহেশ্বরের মন্দির- সেই পবিত্র মন্দিরে তুমি যেয়ো । মহেশ্বরের কান্তি নীল –তুমিও নীল , তাই তার অনুচর প্রমথগণ তোমার দিকে সাগ্রহে দৃষ্টিপাত করবে । মন্দিরের পাশে এক উদ্যান কম্পিত করে সেই বায়ু গন্ধবতীর পদ্ম গন্ধে আর জলকেলিরত তরুণীদের দেহগন্ধে সুবাসিত ।
৩৬)
ওগো মেঘ , যদি অন্য কোনো সময়ে মহাকালের মন্দিরে উপস্থিত হও , তবে যতক্ষন সুর্য দৃস্টিপথ অতিক্রম করে ততক্ষন অপেক্ষা কোরো । সন্ধায় যখন আরতি হবে তখন তুমি একটু গম্ভীর ধ্বনি কোরো , তোমার সে গর্জনেই ঢাকের প্রয়োজন সিদ্ধ হবে , আর তুমি লাভ করবে দেব সেবার ফল ।
ছবি- ৫/ ৩২ : উজ্জয়িনীর গন্ধবতী নদীর তীরে মহাকালের মন্দির

৩৭)
সেই মন্দিরে দেবদাসীরা নৃত্য করে , মহাকালকে চামর ব্যজন করে. তালে-তালে পাদক্ষপের সঙ্গে সঙ্গে মেখলার ঝঙ্কার উঠে ; তারা ধীরে ধীরে চামর ব্যজন করে , সেই চামর বিচিত্র রত্নখচিত , ক্রমে তাদের হস্ত ক্লান্ত হয়ে আসে ।
ছবি- ৬/ ৩২ : মহাকাল মন্দিরের পাদমুলে ভারত নাট্যম নৃত্য

প্রিয়তমের নখ-খতযুক্ত অঙ্গবিশেষ তোমার বিন্দু বিন্দু বর্ষণ পেলে তারা দৃপ্ত হয়ে তোমার দিকে কটাক্ষ নিক্ষেপ করবে , মনে হবে অসংখ্য ভ্রমর তোমার দিকে ছুটে আসছে ।
ছবি- ৭/৩২ : মেঘদুতের প্রতি দেবদাসীদের কটাক্ষ নিক্ষেপ

৩৮)
এরপর ত্রিলোচনের দীর্ঘবাহুতুল্য বনরাজি সমন্বিত বনে তুমি ব্যাপ্ত হয়ো, নববিকসিত জবার মতো তুমি সন্ধাকালীন রক্তিমবর্ণ ধারণ কোরো , এইভাবে ত্রিলোচনের নৃত্যারম্ভে তাঁর সিক্ত নাগ চর্মের জন্য আগ্রহ নিবারণ কোরো, গিরিনন্দিনীর হৃদয় শান্ত হবে , তিনি শান্ত দৃষ্টিতে তোমার শিবভক্তি দেখে হবেন তুষ্ট ।
ছবি-৮/৩২ : মেঘের প্রতি শিবের তুস্টি প্রদর্শন

৩৯)
উজ্জয়িনির রাজপথে সুচিভেদ্য অন্ধকারে অভিসারিকার দল চলেছে দয়িতের কাছে , সে সময়ে তোমার বিদ্যুৎ যেন একটু ঝলসে ওঠে- সেই বিদ্যুৎকে মনে হবে কষ্ঠিপাথরে স্বর্ণরেখার মতো স্নিগ্ধ, সেই আলোকেই ওদের পথ দেখিয়ে দিয়ো , কিন্তু বর্ষণ করোনা , ওরা যে ভীষণ ভীরু ।
ছবি- ৯/৩২ : দয়িতের কাছে অভিসারিকার দল

৪০)
বার বার ঝলসিত হতে-হতে তোমার বিদ্যুতপ্রিয়া ক্লান্ত হয়ে পড়বেন , তাই সেই রাত্রি কোন প্রাসাদের উপরে চিলেঘরে কাটিয়ে দিও যেখানে পারাবতের দল ঘুমিয়ে আছে । সর্যোদয় হলেই আবার তুমি চলতে শুরু করো – জানো তো, বন্ধুর প্রয়োজন সাধনের ভার নিয়ে পথে কেও করেনা বিলম্ব।
ছবি- ১০/৩২ : মেঘদুতের প্রিয়তম বিদ্যুতপ্রিয়া

৪১)
সে সময়ে কত প্রণয়ী আসবেন , খন্ডিতা নায়িকাদের কাছে এসে তাদের চোখের জল মুছিয়ে দিবেন , তাই তুমি আবার সুর্যের পথ করো না রোদ্ধ । তিনিও তো নলিনীর অশ্রু মুছিয়ে দিতে ফিরে আসছেন , তুমি পথ রোধ করলে তিনি অত্যন্ত কুপিত হবেন ।
ছবি-১১/ ৩২ : সুর্য চলছেন নলিনীর অশ্রু দিতে মুছিয়ে

৪২)
পথে পড়বে গম্ভীরা নদী, তার স্বচ্ছ হৃদয়ের মতো জলে তুমি ছায়াময় দেহে প্রবেশ করতে পারবে । তোমার সেই ছায়ায় পুটিমাছগুলি লাফাতে থাকবে , মনে হবে তোমার গম্ভীরা যেন শ্বেতকটাক্ষবান নিক্ষেপ করছে, জানি তুমি ধৈর্যসাগর , তবু তার ঐ কটাক্ষ ব্যর্থ করে দিওনা , একটু জল বর্ষণ করে যেয়ো ।
ছবি- ১২/৩২ : গম্ভীরা নদীর উপরে মেঘের অবস্থান

৪৩)
গম্ভীরার স্রোতের উপর হেলে পরেছে নীল বর্ণের বেতস লতাগুলি । জলের টানে ওরা নরছে । দুই তীর উম্মোক্ত, তোমার মনে হবে গম্ভীরা যেন তার নিতম্ব থেকে স্থলীত বসন কোনো রকমে দুই হাতে টেনে রাখছে । তুমি যখন তার উপরে লম্বমান হয়ে থাকবে, তখন ওখান থেকে চলে আসা সম্ভব হবেনা । পুর্বে যিনি আস্বাদ পেয়েছেন তেমন ব্যক্তি কি করে এমন অনাবৃত জগনা নারীকে উপেক্ষা করে যাবেন ।
ছবি- ১৩/৩২ : মেঘ ও নারীর রূপক ছবি

৪৪)
তোমার বর্ষণে উচ্ছসিত ধরণীর বুক থেকে এক মধুর সুগন্ধ চারদিক পুর্ণ করবে । জলধারার ধ্বনিতে বায়ু রমণীয় , বড় বড় হাতি সুরের সাহায্যে সেই বায়ু গ্রহণ করবে , ডুমুরের বন সেই বায়ুর স্পর্শে ধীরে-ধীরে পেকে উঠবে, গম্ভীরাকে ছেড়ে যখন তুমি দেবগিরির দিকে যেতে উদ্যত হবে তখন সেই শিতল বায়ু তোমার সেবা করবে ।
৪৫)
সেই দেবগিরিতে কার্তিকেরা নিয়ত অধিষ্ঠিত আছেন। তুমি পুষ্পমেঘের রূপ গ্রহণ করে অজস্র পুষ্পের বর্ষণে তাকে স্নান করিয়ো-আকাশ গঙ্গার জলে সেই পুষ্প সিক্ত করে নিয়ো , দেবরাজ ইন্দ্রের সেনানী রক্ষার জন্যে বালেন্দুশেখর মহেশ্বর যে তেজ অগ্নিতে নিক্ষেপ করেছিলেন তাই কার্তিকের রূপে আবির্ভুত।
ছবি- ১৪/৩২ : দেবগিরিতে কার্তিকেরা নিয়ত অধিষ্ঠিত আছেন

৪৬)
কার্তিকের সেবার পর তার ময়ুরটিকেও একটু নাচিয়ে যেতে হবে , উমা এই ময়ুরকে পুত্রবৎ স্নেহ করেন – চন্দ্রক আঁকা তার পালক আপনিই খসে পড়লে পদ্মফুলের অলঙ্কার ফেলে দিয়ে তিনি কর্ণে পরিধান করেন –মহেশ্বরও তার দিকে স্নেহের দৃষ্টিতে তাকান , তার ললাট চন্দ্রের দিপ্তিতে ময়ুরের চোখ দুটিও উজ্জল হয়ে উঠে, তুমি তোমার গম্ভীর গর্জন করো , পর্বতের গুহায় প্রতিধ্বনিত হয়ে তা দ্বিগুনিত হবে –তাতেই ময়ুর নৃত্য শুরু করবে ।
ছবি-১৫ /৩৩ : মেঘের গম্ভীর গর্জন এর প্রতিধ্বনি শুনে ময়ুরের নাচ

৪৭)
স্বর্গজাত এই কার্তিকের আরাধনা করে আবার তুমি যাত্রা শুরু করবে, আকাশ পথে সিন্ধমিথুন বীণা হাতে আসবেন , তারা তোমার জলকণার ভয়ে পথ ছেড়ে দাঁড়াবেন , একটু অগ্রসর হলে নীচে চর্মস্বতী নদী, যেন রাজা রতিদেবের কির্তীই পৃথিবীতে স্রোতের মুর্তীতে পরিনত হয়েছে ,তুমি তাকে সামান্য দেখতে গিয়ে একটু বিলম্ব করো ।
৪৮)
তুমিও শ্যামবর্ণ যেন কৃষ্ণের বর্ণ তুমি অপহরণ করেছ, তুমি যখন জল সংগ্রহ করতে এই নদীর উপরে ঝুঁকে পড়বে –উপর থেকে সিদ্ধগন তাদের আকাশবিহারী দৃষ্টি নত করে দেখবেন , যেন এক ছড়া মুক্তার মালা , মধ্যে একটি ইন্দ্রনীল মণি! চর্মস্বতী নদী প্রসারিত হলেও দুর হতে দেখাবে একগাছি সুক্ষ সুতার মতো !
ছবি- ১৬/৩২ : ইন্দ্রনীল মণি! চর্মস্বতী নদী

৪৯)
সেই চর্মস্বতী নদী পার হয়ে যাও , পথে পড়বে দশপুর নগর ! সেই নগরের বধুগণ কৌতুহলবশে তোমার দিকে চেয়ে থাকবে । তাদের সুন্দর চোখের ভ্রূলতা বিন্যাস সবারই পরিচিত । তাদের চোখের দিপ্তিতে কৃষ্ণসার মৃগের শোভা ! সেই চোখ তুলে তারা যখন চেয়ে থাকবে তখন মনে হবে শ্বেত বর্ণের কুন্দ-কুসুম উর্ধে নিক্ষিপ্ত হয়েছে আর অনুগামী হয়েছে কৃষ্ণবর্ণ ভ্রমরের পঙক্তি।
ছবি- ১৭/৩২ : দশপুর নগরীর সুন্দর চোখের ভ্রূলতা বিন্যাসীরা তাকিয়ে মেঘের পানে

৫০)
এরপর ‘ব্রহ্মবর্ত’ দেশ , এই দেশ অতিক্রম করে যখন যাবে তখন তার উপর পড়বে তোমার স্নিগ্ধ ছায়া ! ব্রহ্মবর্তের পর ক্ষত্রিয়যুদ্ধের স্বরণসুচক কুরুক্ষেত্র! তুমি যেমন অজস্র বর্ষণে পদ্মমুল ছিন্ন করে দাও , তেমনি গান্ডিবধারী অর্জুন এই কুরুক্ষেত্রে ক্ষত্রিয় রাজাদের মুখের উপর শত শত তিন্ক্ষ শর নিক্ষেপ করেছিলেন ।
ছবি- ১৮/৩২ : কুরুক্ষেত্রে গান্ডিবধারী অর্জুন

৫১)
বন্ধু প্রিতিবশে যুদ্ধবিমুখ হলধারী বলরাম রেবতীনয়ন ,প্রতিবিম্বিত সুরাপাত্র তুচ্ছ করে নদীতীরে করছিলেন অবস্থান –সেই সরু নদী তোমার পথে পড়বে, সেই স্বরস্বতীর পবিত্র জল যদি তুমি পান কর তবে তুমি অন্তরে বিশুদ্ধ হয়ে যাবে, শুধু বর্ণেই থাকবে কালো ।
ছবি- ১৯/৩২ : স্বরস্বতীর মত পবিত্র রেবতীর জল

৫২)
স্বরস্বতি পার হয়ে কনখলের পথে ! কনখলের পাশেই হরিদ্বারে গঙ্গা হিমালয়ের দেহে ধাপে ধাপে নেমে এসেছেন , তোমার মনে হবে সাগর রাজার পুত্রগন যেন এই সিরি বেয়েই স্বর্গে উঠেছিলেন ! খাদে-খাদে জমানো ফেনা গঙ্গার হাসি , তরঙ্গরূপ বাহু দিয়ে তিনি যেন শিবের জটা আকর্ষণ করেছেন! সতীন গৌরীর ভ্রকুটিকে তুচ্ছ করেই যেন গঙ্গা কলধ্বনিতে হেসে উঠেছেন ।
ছবি- ২০/৩২ : গঙ্গার কলধ্বনি

৫৩)
তুমি যদি দিগগজের মতো দেহের পশ্চাদভাগ আকাশে ছড়িয়ে দিয়ে একটু বাঁকা হয়ে গঙ্গার নির্মল স্ফটিকের মতো শুভ্র জল পান করতে চেষ্টা কর তাহলে তোমার কালো ছায়া গঙ্গার সাদা জলে পড়বে ।

৫৪)
এরপর গঙ্গার উৎপত্তিস্থল হিমালয় শিখর ! সেই শিখর তুষারে আচ্ছন্ন বলেই শ্বেতবর্ণ, সেখানে কস্তুরী মৃগের দল এসে বসে, তাদের নাভির কস্তুরী গন্ধে পর্বতের শিখা সুরভিত হয়ে উঠে । পথের ক্লান্তি দুর করার জন্য তুমি যখন সেখানে গিয়ে বসবে তখন মনে হবে ত্রিলোচনের শ্বেত বৃষ কোথাও নরম মাটিতে উৎখাত কেলি করে এসেছে । কিছু পঙ্ক তার শৃঙ্গে লেগে আছে।
ছবি- ২১/৩২ : গঙ্গার উৎপত্তিস্থল হিমালয় শিখর

৫৫)
প্রবল বেগে বায়ু প্রবাহিত হতে থাকলে দেবদারুর শাখায় –শাখায় সংঘর্ষ বাধবে, তাতে জ্বলে উঠবে দাবানল ,পুচ্ছ পুড়তে থাকবে । তখন তুমি সহস্র ধারায় বারিবর্ষণ করে হিমালয়ের পৃষ্ঠ শান্ত করো , যারা মহৎ তাদের সম্পদ তো বিপন্নকে রক্ষা করার জন্যই থাকে সঞ্চিত !
ছবি- ২২/ ৩২ : হিমালয়ের পৃষ্ঠে মেঘের সহস্রধারায় বারিবর্ষণ

৫৬)
হিমালয়ের শরভ মৃগকুল বিচরণ করে , ওদের পথ তুমি ছেড়ে দিয়ো, তবু যদি তারা ক্রোধে লাফিয়ে তোমাকে দ্রুত লঙ্গন করতে চেষ্টা করে তাদেরই হাত-পা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে , তুমি তখন শিলা বৃষ্টি বর্ষণ করে তাদের আচ্ছন্ন করে দিয়ো , ব্যর্থ কাজে মত্ত হলে কে হয় না লাঞ্ছিত !
ছবি- ২৩/৩২ : ব্যর্থ কাজে মত্ত হয়ে মৃগকুল হতে চলেছে লাঞ্ছিত

৫৭)
হিমালয়ের প্রস্তরে চন্দ্রশেখরের পদচিহ্ন স্পষ্ট অঙ্কিত , সিদ্ধগণ সকল সময়ে নানা উপাচারে সেই পদচিহ্নের পূজা করে থাকেন । তুমি ভক্তি নম্রচিত্তে সেই চিহ্ন প্রদক্ষিন করে যেয়ো । যাঁরা শ্রদ্ধার সঙ্গে ঐ চিহ্ন দর্শণ করেন তাদের সমস্ত পাপ হয় ক্ষয় , মৃত্যুর পরে তারা চিরকালের জন্য প্রথম গনের পদলাভের অধিকারী হয়ে থাকেন ।
ছবি- ২৪/৩২ : প্রস্তরে চন্দ্রশেখরের পদচিহ্ন ও ভক্তকুলের তা দর্শন

৫৮)
হিমালয়ের বাঁশের ছিদ্র বাতাশে পুর্ণ ,তাই তাতে মধুর শব্দ নির্গত হতেই থাকে , কিন্নরিদল মিলিত হয়ে শিবের ত্রিপুর বিজয় কাহিণী ঘোষনা করে, সেখানে যদি তুমি তোমার মন্ত্রধ্বনি কর আর যদি সেই ধ্বনি গুহায়-গুহায় ধ্বনিত হয়ে মৃদঙ্গ ধ্বনির মতো শুনায় তবে ওদের শিবসঙ্গীত সার্থক ও সম্পুর্ণ হবে ।
৫৯)
হিমালয়ের পাদদেশে সেই সব বিশেষ বিশেষ স্থান পার হয়ে তোমাকে যেতে হবে এগিয়ে , পথে পাশে পড়বে আর একটা পর্বত, নাম তার হংসদ্বার বা ক্রৌঞ্চরন্ধ্র ।
ছবি- ২৫/৩২ : হংসদ্বার বা ক্রৌঞ্চরন্ধ্র পর্বত

৬০)
পরশুরাম বাণের আঘাতে ঐ রন্ধ্রপথ করেছিলেন নির্মাণ তাই ওটি যেন তার ‘যশোবর্ত্ম’! ঐ পথে পারবেনা তুমি সোজা চলতে, একটু বাঁকা হয়ে দেহ বিস্তার করে তোমাকে উত্তরদিকে হতে হবে অগ্রসর , তখন তোমার শোভা হবে বামনরূপে বলিকে ছলনা করতে উদ্যত বিঞ্চুর শ্যামবর্ণ চরণের মতো ।
ছবি- ২৬/৩২ : বামনরূপে বিঞ্চুর শ্যামবর্ণ চরণ

৬১)
এভাবে উপরের দিকে যেতে যেতে তুমি হবে কৈলাশ পর্বতের অতিথি ! ঐ পর্বতের তুষারে ঢাকা শৃঙ্গগুলি এত স্বচ্ছ যেন মনে হয় দর্পণ, সুরসুন্দরীরা ঐ দর্পণেই করেন প্রসাধন, ঐ পর্বতের সানুদেশ শিথিল হয়ে গেছে রাবনের বাহুর আলোরণে, আকাশ জুরে রয়েছে পর্বতের অজস্র শৃঙ্গ- তুষারে আচ্ছন্ন, তাই কুমদের মত শ্বেতবর্ণ ! দেখলে মনে হবে কৈলাসনাথ শিবের অট্টহাসিই যেন পুঞ্জিভুত শৃঙ্গের আকারে বর্তমান ।
ছবি- ২৭/৩২ : কৈলাশ পর্বতের ( ২১৭৮৮ ফুট ) দৃশ্য

৬২)
কঞ্জল ফুলের গুটির চারদিকে পাপরী মেলা যে স্নিগ্ধ শ্বেতবর্ণ, সেই বর্ণের আভা তোমার; হস্তির দন্ত সদ্য খন্ডিত করলে যে শ্বেতবর্ণ সেই বর্ণের আভা কৈলাসের, সানুদেশে যখন তুমি লগ্ন হবে তখন মনে হবে বলরামের স্কন্ধে যেন একটি শ্যমল উত্তরীয় হল স্থাপিত, সে সকল সৌন্দর্য স্তিমিত নয়নে দর্শণ করতে করতে তুমি পথ চলবে ।
ছবি- ২৮/ ৩২ : কঞ্জল ফুলের চারদিকে পাপরী মেলা স্নিগ্ধ শ্বেতবর্ণ

৬৩)
হর পার্বতির ক্রীড়াশৈল কৈলাশ, এখানে যদি শম্ভূ তার বাহনে চড়ে গৌরীর সঙ্গে করতে চান বিচরণ
তবে তুমি সেখানে গিয়ে ভক্তির ভঙ্গিতে মনিময় মঞ্চের তটদেশে সিড়ির মত নিজেকে স্থাপন করে গৌরিকে উপরে উঠতে সাহায্য করো । তবে সে সময়ে তোমার জলরাশি নিজের মধ্যে রুদ্ধ করে রাখতে হবে ।
ছবি-২৯/ ৩২ : ক্রীড়াশৈল কৈলাশে গৌরীকে পাহাড়ে উঠতে সিরি হয়ে মেঘের সাহায্য করা

৬৪)
সখে, সেখানে অবশ্য সুর সুন্দরীদের হাতের বলয়ের কঠিন আঘাতে তোমার দেহ থেকে জলের ধারা নামবে –মনে হবে যেন ধারা যন্ত্রময় গৃহ থেকে অবিরল ধারায় বর্ষণ হচ্ছে ! যদি তাদের হাত থেকে মুক্তি না চাও তবে শ্রুতি কঠোর গর্জন করো –তারা ক্রিড়ায় মত্ত , ঐ গর্জনেই তাদের মনে ভয়ের সঞ্চার হবে।
৬৫)
ঐ মানস সরোবর ,স্বর্ণকমলে ভরা! এর জল তুমি পান করো ;
ছবি- ৩০/৩২ : কৈলাসের পাদমুলে মানস সরোবর

ক্ষনকাল তোমার জলভরা দেহের কোমল অংশ ঐরাবতের মুখে বিছিয়ে দিয়ো , তাতে ওর প্রীতি জম্মাবে । তারপর কল্পতরু কাঁচ পল্লব ক্ষৌম বস্ত্রের মতো বাতাসে কম্পিত করো । এ ভাবে বিচিত্র ললিত ক্রীড়ায় তুমি কৈলাশকে উপভোগ করো ।
৬৬)
এই কৈলাসের কোলেই অলকা! তুমি কামচারী, ইচ্ছেমত যেখানে খুশি যেতে পারো- অলকা দেখে চিনতে পারবেনা এমনতো নয় । অলকার পাশ দিয়ে গঙ্গা বয়ে চলেছে ;
ছবি-৩১/৩২ : অলকার পাশ দিয়ে গঙ্গা

তোমার মনে হবে , কোন নায়িকা তার প্রনয়ীর কোলে শুয়ে আছে, তবে সুক্ষ বস্ত্র বিস্রস্ত হয়ে পড়েছে । বর্ষাকালে কৈলাসের প্রাসাদ গুলিতে মেঘ জমে, সেই মেঘ থেকে বদ্বুদসহ বারিধারা ঝরে পড়ে । তোমার মনে হবে যেন কোনো নায়িকার মুক্তজাল খচিত অলকদাম ।
ছবি-৩২/৩২ : কৈলাশ পর্বতে অলকাপুরী যেখানে অাছে যক্ষ প্রিয়া


ধন্যবাদ এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ।

পরবর্তী পর্ব দেখার আমন্ত্রণ রইল ।

ছবিসুত্র : গুগল নেট
কাব্য অনুলিপি সুত্র : ১ম পর্বে বিস্তারিতভাবে উল্লেখিত ।

মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগল।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অনেক কস্টকরে এটা দেখার জন্য ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,



ছবি সহ এক আলাদা উপস্থাপনা ।
ওগো মেঘ , যদি অন্য কোনো সময়ে মহাকালের মন্দিরে উপস্থিত হও , তবে যতক্ষন সুর্য দৃস্টিপথ অতিক্রম করে ততক্ষন অপেক্ষা কোরো । আমরাও অপেক্ষা করে থাকবো মেঘের পরবর্তী চলার পথটির দিকে । ততোক্ষন মেঘমল্লার জলরাশি নিজের মধ্যে রুদ্ধ করে রাখবো না হয় !
সুন্দর এবং সুন্দর ....

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মেঘদুত কাব্যের প্রতি ছত্রে ছত্রে রয়েছে পাকৃতিক নৈসর্গৈক বিবরণ ও বর্ননা । এর প্রতি স্কতকে রয়েছে এক একটি উপাখ্যান , যা প্রকৃতি মানূষ ও দেবদেবীর ঐতিহাসিক কথামালার অবতারনা । বুদ্ধদেব অনুদিত মেঘদুতে প্রথম সংস্করণে সন্নিবেশ করা হয়েছিল ১৮ টি বিভিন্ন ভঙ্গীমার নারীচিত্র । সে সংস্করণটি এখন দুর্লভ ।
বেশীসময় অপেক্ষা করতে হবেনা , পরের পর্ব অাসবে অচিরেই ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৮

কালীদাস বলেছেন: ++

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্টটিতে ++ লাগানোর জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মেঘদুত কাব্যের প্রতি ছত্রে ছত্রে রয়েছে পাকৃতিক নৈসর্গৈক বিবরণ ও বর্ননা । এর প্রতি স্কতকে রয়েছে এক একটি উপাখ্যান , যা প্রকৃতি মানূষ ও দেবদেবীর ঐতিহাসিক কথামালার অবতারনা । বুদ্ধদেব অনুদিত মেঘদুতে প্রথম সংস্করণে সন্নিবেশ করা হয়েছিল ১৮ টি বিভিন্ন ভঙ্গীমার নারীচিত্র । সে সংস্করণটি এখন দুর্লভ ।
বেশীসময় অপেক্ষা করতে হবেনা , পরের পর্ব অাসবে অচিরেই ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



মেঘদুত'এর ব্লগীয় সংস্করণ সবাইকে আনন্দ দেবে, মনে হচ্ছে; ভালো ও সংক্ষিপ্ত অনুবাদ

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগল গুণীজনের প্রসংসাবানী শুনে ।
উৎসাহিত হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩১

বিলুনী বলেছেন: কালীদাস পন্ডিতের কথা একটি তেতুল গাছে কয়শত পাতা । তাঁর কথা আর কবিতাতেই ফলল তা দেখা যায়, তাঁর কাব্যের হরেক রকম বিস্তার । এর ডালে ডালে কবিতা আর ছবিতা !!!

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , যতার্থ বলেছেন ।

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৬

ক্লে ডল বলেছেন: আপনার এই ছবিবহুল পোষ্টটি লোড করতে বেশ বেগ পেতে হল।

এরকম স্তবকের সাথে ছবি মিলানো বেশ কষ্টসাধ্য!

মহাকবি কালিদাসের এ অনন্য সৃষ্টি ছবির সাথে আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ!! :)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কস্টকরে আবার আসার জন্য । লাইকের ঘরে আপনার সর্বপ্রথম উপস্থিতি দেখে বুঝতে পেরেছিলাম আপনি আর এগুতে পারছেন না । অনেক পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে সেটা হারে হারে টের পাচ্ছি । মন্তব্য লিখে পোস্ট করতে গিয়ে বেড ওয়ের কারণে ফিরে আসতে হয় অনেকবার । জানিনা কোন দিন এই অবস্থার উন্নতি হবে । কালিদাসের কবিতার প্রতিটি ছত্রে এতসব প্রকৃতিক দৃশ্য , মানব, মানবী ও দেব দেবীর অবতারনা করা হয়েছে যে তা গভীরভাবে পাঠ না করলে বুঝাই যায়নাযে তিনি কতবড় পন্ডিত ছিলেন । কবিতার প্রতিটি ছত্রে এদের এমন উপমা ও ,মনোমুগ্ধকর কথামালার সংযোজন আমাদের চিন্তারও বাইরে । তাই দেশ বিদেশে তাঁর কাব্যসম্ভার নিয়ে গবেষনা চলছে নিরন্তর ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: দারুণ। অবাক হয়ে পড়ে গেলাম। আর আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ব্লগে তুলে ধরার জন্য। প্রকৃতি ভালোলাগে তবে মেঘদূতে প্রকৃতির যে দ্যোতনা তাতে ভালোবেসে মরে যেতে লোভ হয়।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কত সুন্দর করে কালিদাসের মেঘদুতের প্রকৃতির কথা করেছেন প্রকাশ মাত্র গুটি কয়েক শব্দের ভিতরে , ভেবে অবাক হই । কালিদাস বলেছিলেন একটি তেতুলগাছে কয় শত পাতা , উত্তরটি ছিল সহজ, চারাগাছে মাত্র ২ টি পাতা কিন্তু অনেকের মাথায় ধরে নাই তা । সত্যিই দুটি পাতা থেকে বেড়ে হয়েছে শত শত পাতা আমাদের কবিবৃন্ধ হয়ে উঠেছেন দিশেহরা রাজপুত্রদের মত ক্ষমতাধর কবিতার রচয়িতা । কবিতা লিখে মরে গেলেও ক্ষতি নাই তারা বেচে থাকেন তাদের কবিতায় ।
নিরন্তর ভাল থাকুন এ শুভ কামনা রইল ।

৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

অসম্ভব পরিশ্রমী পোষ্ট! মহাকবি কালিদাসের মেঘদূত আপনার অক্লান্ত পরিশ্রমে ব্লগে এক মোহনীয় আমেজ নিয়ে এসেছে!


ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার!

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রসংসাবাণীতে আমি অনুপ্রানীত।
শুভ কামনা জানবেন ।

১০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৫

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: এক মেঘের সাথেই কতকিছু জড়িত। বৃষ্টি, নদীর ধারা,ক্ষেতের ফসল, ঢাকের বাদ্য,ময়ূরের নাচ আরও আরও কত কি। খুব সুন্দর উপস্থাপন। সেই সাথে চমৎকার ছবি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্টের জন্য।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগল আপনার সুন্দর মুল্যায়ন । দু এক কথায় কি সুন্দরভাবে দিলেন মেঘের সাথে আরো কত সংস্লেশন , উপস্থাপন ও পোস্ট সুন্দর হয়েছে জেনে খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪৫

ভাবনা ২ বলেছেন: ভাল লাগল কবিতা, ছবিম বিবরন ও উপস্থাপন ।
পরের পর্ব দেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।

১২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল লাগার জন্য ।

১৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: মেঘদূত পড়া হয় নাই! তবে আপনার লেখাটা ভাল লাগলো! সুন্দর ঝকঝকে একটা পোস্ট! :)

এনি ওয়ে ৪/৩২ নাম্বার ছবিটা জানি কেমন কেমন? দেখার সাথে সাথে হঠাৎ শরীরটা শিরশির করে উঠলো! ;)

শুভ কামনা জানবেন!

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য । ৪ নম্বরের জন্য অন্য একটা ছবি দেখা যায় সর্বত্র যা দেখলে শিরশিরানী যে যাবে কোন পর্যায়ে তা কে জানে । যোগ বিয়োগে মিলে ভাল লাগল ,মন্তব্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য । ৪ নম্বরের জন্য অন্য একটা ছবি দেখা যায় সর্বত্র যা দেখলে শিরশিরানী যে যাবে কোন পর্যায়ে তা কে জানে । যোগ বিয়োগে মিলে ভাল লাগল ,মন্তব্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আগের পবেও ভালো লেগেছিল।
অনেক কষ্ট করে লেখার জন্য
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগল শুনে ।
এটা পাঠ ও দেখতেও অনেক কস্ট হয়েছে নিশ্চয়ই ।
এ কস্টটুকু বহনের জন্য রইল
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

১৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৪০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: কষ্ট একটু আছে তবে পাঠে ও মন্তব্যতে না,
সামুর মামুদের প্রতি,,,,,,

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য , সেটা বুঝতে পেরেছি । যাদের বরে যাদের ঘরে আছি , কি করে তাদের নামটি যে বলি,
একটি মন্তব্য লিখে পোস্ট করতেও অস্বাভাবিক বিলম্ব লেগে যাচ্ছে । জানিনা এই কস্টের
হাত থেকে কখন মুক্তি আসবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৮

মেহেদী রবিন বলেছেন: চন্দ্রশেখরের কাহিনীটা কি! ওই পদচিহ্ন হল কীভাবে !

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: চন্দ্রশেখর এক বিরাট পৌরানিক কাহিনী । চন্দ্র শেখর শিবেরই আর এক রূপ । শিবের শিরপাশে চাদ শোভিত থাকত আর শিব যখন মানবরূপে অাভির্ভুত হন তখন তার শীরোপাশে চাদ শোভিত হতে থাকে তাই তাকে চন্দ্রশেখর হিসাবে অভিহিত করা হয়ে থাকে । নীচে শিবের ছন্দ্রশেখর রূপে আভির্ভাবের কাহনীটা দেয়া হল ।
Shiva is one of the three chief gods, the Trimurti—Brahma, Vishnu and Shiva—in Indian Mythology. Hardly any Indian myth could be conceived without a role of Shiva in it. Shiva, along with Brahma, derives his creative attributes from the Vedic figure of Prajapati or the creator.
Shiva is considered as both the originator and the demolisher।
The Shiva of Brahmin philosophy is mainly austere; his charm is best characterized in a patent myth about Shiva in which he is born as a man named Chandrashekhara.
Shiva once played the game of dice with his spouse Parvati and was acutely packed down by her at the game. Shiva then departed unclothed and alone into the forests. When he was gone, Parvati was tortured by desire and remembered only of Shiva. She was anguished by the thought that she had won Shiva through excessive tapas but had cheated him at dice. She then took the shape of a voluptuously attractive woman. When Shiva saw her, he tried to clutch her by hand, for he was provoked from his meditation and was full of craving, but Parvati disappeared. Then Shiva meandered about in aberration, with his mind full of desire and craving. He met the mountain woman again asked her who she was. She said, “I seek a husband who knows everything, is independent, and is free from emotions.” Shiva said,” I am the husband you seek.” But she smiled and said, “You are quite different from the man I seek, you have abandoned in the forest the woman who had won you with her tapas.”

Shiva desired her to be his wife but she teased at him telling him that he was rich in tapas, a yogi and one who was without desire and had even burnt down the God of lust—Kama Deva. Shiva once again tried to grab her by power, but she again absconded
Parvati left Siva to execute tapas in order to attain a golden skin for her body, and Shiv was anguished by lust for her and wanted her in vain. One day, deceived by Kama, Shiva saw the good-looking Savitri who look liked Parvati and misidentifying her for Parvati, he requested her to make love with him. He stressed to make her by force, but Savtri was a pure goddess. She reprimanded him saying, “You should apologize to your wife instead of trying to make another man’s wife, since you have tried to seduce me, behaving like a human being, you will have to make love to a mortal woman.”
Savtri’s curse unwrapped Shiva’s eyes. He felt humiliated and returned to his dwelling on the Meru Mountain. It was because of Savatri’s curse that he had to take birth as Chandrashekhara, a human being, and he had to make love with a mortal woman Tarawati.
Shiva as Trayambaka or Chandrashekhara
Once upon a time a king, who had no son, worshipped and propitiated Shiva who gave him a fruit which was to be divided between into three equal parts, one to be given to each of the king’s three queens. The king did likewise and his queens consumed the fruit. The king then made love to each one of them at the appropriate season of the year, and all of them became pregnant. Each one of them delivered, after nine months, a third of a child and miraculously all the parts united at their own and became one child. The king and the queens were highly delighted to see the child who was named Trayambaka because he was born of three mothers. He was also named as Chandrashekhara because he had moon as his diadem just as the Lord Shiva had.

In due course of time, Chandrashekhara attained manhood. His parents retired to forest to do tapas. And the Chandrashekhara was given charge of the kingdom as the new King. He married Trawati, in incarnation of Parvati.

কথিত আছে যে হিমালয় পর্বতে প্রস্তরের উপরে চন্দ্রমেখররূপী শিবের পাদচিহ্ন আছে ,সেই পদহিহ্নকে সিদ্ধগন ভক্তি করেন । মহাকবি কালীদাস তাই মেঘকে বলেছেন যে তুমি সেখানে চন্দ্রশেখরের পদচিহ্ন দেখতে পাবে এবং সেটার প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করবে । মেঘদুত কবিতাটিই একটি কল্পকাহিণী, তাই ছবিতে দেখানো চিত্রটাও একটি রূপক । আশা করি বুঝে নিবেন । কবিতার সাথে ছবির একটি মিল দেয়া হয়েছে নিছক বিনোদনের জন্য ।
ধন্যবাদ সামুর এই ধীরগতির মাঝেও কস্ট করে এই পোস্টটি দেখার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৬

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ছবি সহ মেঘদূত এর উপস্থাপনাটা অভিনব। ভাল লাগল।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রসংসা মাখা কথামালার জন্য , আমি অভিভুত ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

নীলপরি বলেছেন: অপূর্ব মনোমুগ্ধকর পোষ্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ । বোঝাই এটা আপনার অনেক পরিশ্রমের পোষ্ট ।

অনেক শুভেচ্ছা রইলো ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক খুশী হয়েছি এসে দেখার জন্য । কালিদাস মহাপন্ডিতের লিখা কবিতা নিয়া নারাচারা করা সত্যিই খুব কস্টকর । স্কুলে নবম শ্রেণিতে পাঠের সময় পন্ডিত স্যারের সংস্কৃত ক্লাশে বসে অনেক মঝার কাহিণী শুনতাম । সে সময় তার ক্লাশে প্রথম মেঘদুতের কথা শুনি । অভিভুত হয়ে যাই তাঁর মুখে মেঘদুতের সংস্কৃত কাব্য শুনে । মনের মাঝে গ্রতিথ হয়ে থাকে এটা । বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক আংকেলের ব্যক্তিগত লাইব্রেরীতে পেয়ে যাই কালিদাসের মেঘদুত ।বাইটির মধ্যে ছিল বিভিন্ন দেবদেবীকে নিয়ে ভাস্কর্যের ১৮ টি ছবি । একদমে পড়ে ফেলি । অপনার কোন এক কবিতায় মন্তব্যের ঘরে আপনার প্রতিউত্তর ও মনিরাপুর মন্তব্যে আমাকে মেঘদুতকে একটু সহজ করে সামুতে উপস্থাপনের জন্য হয়েছিল বলা । যদিও কঠীন কাজ কিস্তু মনের মধ্যে রয়ে যায় তা । মনে ইচ্ছে ছিল এটা সকলের সাথে শেয়ার করব , সকলের সাথে শেয়ার করা হল তা । ,মনে হল কবিতার সাথে ছবি দেয়া হলে তা বুঝতে সহজ হবে নব প্রজন্মের কাছে । কবিতা ও প্রকৃতির সাথে মানব মনের কি অপুর্ব মিল তা বুঝা যাবে ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

২০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৯

মেহেদী রবিন বলেছেন: চন্দ্রশেখরের পরিচিয়টা দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ। বেশ লাগলো পড়তে

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার এসে দেখার জন্য ।

২১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কঠিন বিষয়, শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম বড় ভাই।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঠিকই বলেছেন ভাই কঠিন বিষয় , তার এই কাব্যের প্রতিটি শব্দ নিয়ে বিভিন্ন ভাষায় এত বেশী ব্যখ্যা বিবরন ও বিষ্লেষন করা হয়েছে যে ভাবতেও অবাক লাগে । এতদিন আগের লিখা তাঁর কবিতার আবেদন এখনো সমানভাবে টানে বিরহী হৃদয়কে , প্রকৃতি প্রেমী কবি সাহিত্যিক ও লিখকদেরকে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি তো বাংলার ছোটখাট কালিদাস হয়ে গেলেন

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মহাকবি কালিদাস পন্ডিতে প্রশ্ন রেখেছিলেন একটি তেতুলগাছে কয়শত পাতা । উত্তরটা সহজ মাত্র দুটি পাতা, এ দিয়েই তেতুলগাছের শুরু । তাই যদি হতে পারতাম দুটো পাতা, নীজকে ধন্যমনে করতাম , কিন্তু অনুভবে আসে এখনো দুটো পাতা পর্যন্ত হতে পারিনি , কোন কালে পারব বলেও মনে হয়না , তাকে নিয়ে যত পড়ি ততই অবাক হই তার বিশাল পান্ডিত্য দেখে, সেই প্রায় ১৬ শত বছর পুর্বে ভারতের দেবগীরি হতে হিমালয় পার হয়ে কৈলাশ পর্বত পর্যন্ত পথের পরে নির্ভুল পাকৃতিক অবস্থা , নদনদীর বিবরণ , মানব মানবীর মানসিক অবস্থার যথাযথ উলব্দি , সেসময়কার তেত্রিস কোটি হিন্দু পৌরানিক দেবদেবীদের মধ্য থেকে প্রভাবশালীদেরকে কবিতা ও সাহিত্যে তুলে এনে মানবের মাঝে দিয়েছেন ঠাই । কালিদাসের সাহিত্য কর্ম নিয়ে , এর অনুবাদ নিয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যা সাগরের মত অন্য কেও এত সুন্দরভাবে করতে পারেন নি কোন রচনা । কালীদাসের আরো একটি অমর সাহিত্য কর্ম যথা শকুন্তলা । এই শকুন্তলা নিয়ে সাবলীল অনুবাদ করেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর । পাশ্চাত্যের কাছেও শকুন্তলাকে করেছেন পরিচিত ।
শেক্‌সপীয়রের টেম্পেস্ট্‌ নাটকের সহিত কালিদাসের শকুন্তলার তুলনা মনে সহজেই উদয় হতে পারে। এদের বাহ্য সাদৃশ্য এবং আন্তরিক অনৈক্য আলোচনা করে দেখার বিষয় । নির্জনলালিতা মিরান্দার সহিত রাজকুমার ফার্দিনান্দের প্রণয় তাপসকুমারী শকুন্তলার সহিত দুষ্মন্তের প্রণয়ের অনুরূপ। ঘটনাস্থলটিরও সাদৃশ্য আছে; এক পক্ষে সমুদ্রবেষ্টিত দ্বীপ, অপর পক্ষে তপোবন।এইরূপে উভয়ের আখ্যানমূলে ঐক্য দেখতে পাওয়া যায় , কিন্তু কাব্যরসের স্বাদ সম্পূর্ণ বিভিন্ন তা পড়লেই অনুভব করা যায় ।

ইউরোপের কবিকুলগুরু গেটে একটি মাত্র শ্লোকে শকুন্তলার সমালোচনা লিখিয়াছেন, তিনি কাব্যকে খণ্ডখণ্ড বিচ্ছিন্ন করেন নাই। তাঁর শ্লোকটি একটি দীপবর্তিকার শিখার ন্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু তা দীপশিখার মতোই সমগ্র শকুন্তলাকে এক মুহূর্তে উদ্‌ভাসিত করে দেখার উপায়। তিনি এক কথায় বলেছেন , কেহ যদি তরুণ বৎসরের ফুল ও পরিণত বৎসরের ফল, কেহ যদি মর্ত ও স্বর্গ একত্র দেখতে চায়, তবে শকুন্তলায় তা পাবে।

মুল কথা হল, এরূপ মহাপন্ডিত কালিদাসের নখাগ্র হওয়াও চিন্তার বাইরে । তাঁকে শুধু করা যায় আম্বাদন । তবে ধন্যবাদ আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক , তাঁর নখাগ্রসম হতে পারি কিংবা না পারি অনুপ্রেরণাতো পেলাম ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৪

নীলপরি বলেছেন: সেদিন লাইক দিতে পারিনি ! তাই আজ দিয়ে গেলাম । সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




অনেক ধন্যবাদ নীল পরি । সেটা আমি বুঝতে পেরেছি ,
সামু যে ধীরগতি ছিল তাতে ব্লগে প্রবেশ করাই ছিল দুরুহ ।
আপনার ধন্যবাদ সাদরে গৃহীত ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৪

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: বহু পরিশ্রমের লেখা

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এসে কস্ট করে দেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এসে কস্ট করে দেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৯

জুন বলেছেন: এতো কালীদাসের মেঘদূত নয় , এ হলো আমাদের একজন খুবই পছন্দের সাথে জ্ঞান গরিমায় শ্রেষ্ঠ ব্লগার ডাঃ এম আলীর এক অভূতপূর্ব রচনা । বর্ননার সাথে সাথে ছবিগুলোর অপূর্ব মেলবন্ধন লেখায় অন্য মাত্রা দিয়েছে । গম্ভীরা নদী মানস সরোবর দেখার খুব ইচ্ছে রইলো । অবশ্য মানস সরোবর দেখার ইচ্ছে আমার অনেক পুরনো
শেষ ছবিটি অলকানন্দা বলেছেন তাকে আমার ইওরোপের মধ্যযুগের কোন দূর্গ মনে হলো । অনেক ভালোলাগা রইলো ।
+

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক খুশী হয়েছি এসে দেখার জন্য ।আমি শ্রেস্ট হলে আপুমনি শ্রেষ্টতম আর আনেকেই পড়েন সর্বশ্রেন্টের কাতারে । মহাকাব্যটিই কাল্পনিক মেঘের সহিত যক্ষের আলাপন । অনেক ছবিই রূপক , গুগল ইমেজ থেকে নেয়া । পাহাড়ের উপরে ছবিটি সেখান হতেই নেয়া শুধু পাহাড়ের উপরে অলকাপুরীর একটি চিত্র পাঠকের মানসপটে তুলে ধরার জন্য ।
ধন্যবাদ আপনার বিজ্ঞ মতামতের জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:২২

জুন বলেছেন: স্যরি কৈলাশ শিখরের অলকাপুরী হবে । অলকানন্দা নয়।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: জি বুঝাই যাচ্ছিল ওটা টাইপিং এরর ছিল । সামু সিসটেমটাই এমন করে রেখেছে যে একবার একটু বেখেয়ালী ভুল হলে তা আর এডিট করার উপায়নাই মন্তব্যের ঘরে ।

২৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা সহ অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার!
অনুরোধে অসাধ্য সাধন করেছেন।

শুভ কামনা :)

২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অনেক খুশী হলাম আপুমনির মনে আছে দেখে ।
জানিনা সে রকম পেরেছি কিনা তবে নব প্রজন্মের কাছে
কিছুটা হলেও হয়তবা পেরেছি কালিদাসের কাব্য সম্ভারকে করতে পরিচিত ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অনেক খুশী হলাম আপুমনির মনে আছে দেখে ।
জানিনা সে রকম পেরেছি কিনা তবে নব প্রজন্মের কাছে
কিছুটা হলেও হয়তবা পেরেছি কালিদাসের কাব্য সম্ভারকে করতে পরিচিত ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৩০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: ১ম পর্বটা প্রিয়তে রেখেছিলাম।সময় নিয়ে ধীরে ধীরে পড়বো বলে।ওটা শেষ।এবার এ পর্বটাও প্রিয়তে নিলাম।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছান রইল ।

৩১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভাল লাগলো পড়তে। প্রাকৃতিক রূপ আর রূপবতীদের বর্ণনা মনোমুগ্ধকর। ছবিগুলো সুন্দর।
সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি পোষ্ট। প্রিয়তে রাখবো।

৩২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: নোটিশ পাইনি বলে দেখতে দেরী হল
পোস্টটি ভাল লাগায় আনেক ধন্যবাদ ।
প্রিয়তে নেয়ার জন্য রইল কৃতজ্ঞতা ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৩৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি কী করে যে পারেন এমন অসাধ্য সাধন করতে! এসব পোস্ট ব্লগের সম্পদ হয়ে থাকবে যতদিন ব্লগ বাঁচে।
২২ নং প্রতিমন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। সেখান থেকেও অনেক কিছু জানতে পারলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.