নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তপোবনবাসিনী নিয়মচারিণী শকুন্তলা প্রণয় কাহিনী

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৩


একটুখানি ভুমিকা
শকুন্তলা ছিলেন হিন্দু পুরাণে বর্ণিত রাজা দুষ্মন্তের স্ত্রী ও সম্রাট ভরতের মা। তাঁর উপাখ্যান বর্ণিত হয়েছে মহাভারতে। মহাকবি কালিদাস তাঁর অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকে এই কাহিনীটি নাট্যায়িত করেন মনোমুগ্ধকরভাবে । প্রায় ষোলশত বছর আগে সংস্কৃতে লিখা এ কাহিনীটিকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৫৫ সালে প্রথম বাংলায় অনুবাদ করেন ।কালীদাসের শকুন্তলার উপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে উপন্যাস , গীতি নাট্য , নৃত্যনাট্য , ও বিভিন্ন ভাষায় সিনেমা । একে ভারতীয় উপমহাদেশের সাহিত্য ও সিনেমার মাস্টার পিছ হিসাবে গন্য করা হয় । বিভিন্ন ভাষাতেও এর রয়েছে অনুবাদ । এদেশে এর বাংলা নাট্যরূপও হয়েছে । কাহিনীর সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিন্মরূপ :
ঋষি বিশ্বামিত্রের ঔরসে অপ্সরা মেনকার গর্ভে শকুন্তলার জন্ম । দেবরাজ ইন্দ্র বিশ্বামিত্রের তপস্যা ভঙ্গ করতে মেনকাকে তাঁর নিকট প্রেরণ করেন। মেনকা তাঁর কাজে সফল হন। তাঁর রূপ ও লাবণ্যের মোহে বিশ্বামিত্র বিচলিত হন। সংযম হারিয়ে তিনি মেনকার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। দীর্ঘকাল এভাবে যৌনসংগম করার ফলে বিশ্বামিত্রের ঔরসে মেনকা গর্ভবতী হন। উভয়ের মিলনে একটি শিশুকন্যার জন্ম হয়। তপস্যার্জিত পুণ্যফল ক্ষয়ের জন্য ক্রদ্ধ হয়ে বিশ্বামিত্র মেনকা ও তাঁর কন্যাকে পরিত্যাগ করে চলে যান। এরপর মেনকাও তাঁর শিশুকন্যাকে একটি বনে পরিত্যাগ করে যান চলে । ঋষি কন্ব সেই কন্যাটিকে পক্ষীপরিবৃত অবস্থায় করেন উদ্ধার। তিনি মেয়েটির নামকরণ করেন শকুন্তলা। এরপর শকুন্তলাকে নিজ আশ্রমে এনে লালন পালন করতে থাকেন।

ছবি -১/১৫ :শকুন্তলার জন্ম - বিশ্বামিত্র কর্তৃক শিশুকন্যাকে প্রত্যাখ্যান, রাজা রবি বর্মা অঙ্কিত।

এর মধ্যে রাজা দুষ্মন্ত মৃগয়ায় এসে একটি হরিণকে তাড়া করতে করতে কন্বের তপোবনে হন উপস্থিত, এখানেই শকুন্তলার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ । তাঁরা পরস্পরের প্রেমে পড়েন ও আশ্রমেই তাঁদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।বিবাহের পরে তারা কিছুদিন একত্রে সহবাস করেন । এরপর জরুরি কাজে দুষ্মন্তকে রাজধানীতে যেতে হয় ফিরে। যাওয়ার কালে দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে একটি রাজকীয় অঙ্গুরীয় দিয়ে কথা দেন আবার আসবেন ফিরে।

এরপর শকুন্তলা অহর্নিশি দুষ্মন্তের কথা ভাবতে থাকেন। একদিন কোপনস্বভাব ঋষি দুর্বাসা কন্বের আশ্রমে এলে শকুন্তলা পতিচিন্তায় মগ্ন হয়ে ঋষিসেবায় করেন অবহেলা । এতে দুর্বাসা ক্রদ্ধ হয়ে তাঁকে দেন শাপ , বলেন যাঁর কথা চিন্তা করতে করতে শকুন্তলা ঋষি সেবায় করেছে অবহেলা , সে শকুন্তলাকে হবে বিস্মৃত । শকুন্তলার সখীরা তাঁর হয়ে ক্ষমা চাইলে দুর্বাসা শান্ত হয়ে তাঁকে ক্ষমা করেন এবং বলেন যদি সেই ব্যক্তির দেয়া কোনো স্মৃতিচিহ্ন শকুন্তলা তাঁকে দেখায়, তবে আবার তিনি শকুন্তলাকে চিনতে পারবেন।

এদিকে দুষ্মন্ত ফিরে আসছেন না দেখে শকুন্তলা নিজেই দুষ্মন্তের রাজধানীর উদ্দেশ্যে করেন যাত্রা। পথে নদীতে স্নান করার কালে দুষ্মন্তের দেওয়া অঙ্গুরীয়টি তিনি হারিয়ে ফেলেন। এরপর অঙ্গুরীয় ছাড়াই দুষ্মন্তের রাজসভায় উপনীত হলে, দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে চিনতে পারেন না। অপমানিতা শকুন্তলা নিভৃত বনে চলে যান । সেখানে জন্ম দেন এক পুত্রসন্তানের। তাঁর নাম হয় ভরত। শৈশবেই ভরত হয়ে ওঠেন অকুতোভয় ও প্রবল পরাক্রমী। ছেলেবেলায় তাঁর খেলা ছিল সিংহকে হাঁ করিয়ে তার দাঁত কপাটি গোনা।

ছবি-২/১৫ : ভরত (সর্বদমন), শকুন্তলা ও দুষ্মন্তের পুত্র. রবি বর্মা অঙ্কিত

ইতিমধ্যে এক জেলে মাছ ধরতে গিয়ে একটি মাছের পেট থেকে রাজার অঙ্গুরীয়টি উদ্ধার করে। সেটি দেখে দুষ্মন্তের শকুন্তলার কথা মনে পড়ে যায়। তিনি তাঁকে খুঁজতে বের হন। অনেক খুঁজে তিনি শেষে সিংহের সঙ্গে ক্রীড়ারত এক বালকের সন্ধান পান। নাম জিজ্ঞেস করতে ছেলেটি বলে সে দুষ্মন্তের পুত্র ভরত। এরপর ভরত দুষ্মন্তকে শকুন্তলার কাছে নিয়ে যায়। আবার সকলের মিলন ঘটে।
এবার শকুন্তলার নাটকীয় প্রনয়কাহিনীর উল্লেখযোগ্য কিছু অংশের কাব্যিক বিবরণ হলো শুরু ।

শকুন্তলা প্রণয় কাহিণী

পিতা যার ঋষি মাতা যার অপ্সরা
ব্রতভঙ্গে জন্ম আর তপোবনে পালন
সরলতা গভীরতর আর পবিত্রতায় বসবাস
বনের তরুলতা –পশুপাখী সনে তার বিকাশ ।

ছবি-৩/১৫:বনের টিয়াপাখী
চঞ্চল সৌন্দর্যময় তপোবনের পূর্বমিলন হতে
স্বর্গীয় প্রণয়ের আনন্দময় উত্তরমিলনে
এক লোক হতে অন্য লোকে
মঙ্গল সৌন্দর্যের অক্ষয় স্বর্গধামে ।

ফুলকে ফলে ফলায়ন
মর্তের সীমাকে করে লঙ্গন
মাঝে নেই কোন ব্যবধান
নেই বাসনার চিহ্ন বিদ্যমান ।

যৌবন মত্ততার হাবভাব-লীলাচাঞ্চল্য
পরম লজ্জার সহিত অসাধারণ
আত্ম প্রকাশেরই সংগ্রাম
সেখানে শুধু সরলতারই নিদর্শন ।

যুগল বাহু যেন কোমল শাখা
অধর কিসলয় রাঙিমা আঁকা
হৃদয়লোভনীয় কুসুম হেন
তনুতে যৌবন ফুটেছে যেন।

থাকেনা আপনাকে দমন
করে রাখার উপায় গোপন
সেইতো স্বাসত আদি
খাটি প্রেমের লক্ষন ।

যে হরিণী ব্যাধকে চেনে না
তার কি বিদ্ধ হতে বিলম্ব সয় ?
পঞ্চশরকে চিনতে না পারলে
মর্মস্থানতো অরক্ষিতই রয়।

ছবি-৪/১৫: আশঙ্কাহীন চিত্ত
যে ঘন অরণ্যে
সর্বদাই শিকার হয়
সেখানে নিরিহ হরিণীকে
আত্মগোপনতো করতেই হয় ।

যেখানে নর নারীর
সর্বদা সহজেই মিলন
সেখানে নিয়মচারিণীকে সাবধানে
পথ করেতো নিতেই হয় ।

দুষ্মন্তের প্রণয় শর নিক্ষেপ নিদারুণ
প্রণয়ব্যবসায়ে রাজা পরিপক্ক কঠিন
আশ্রম পালিতা বালিকার সরলতা
বড়ই সুকুমার ও সকরুণ।

অশঙ্কিত বনের হরিণীর মত
অসতর্ক শকুন্তলাকেও
পরাভব মেনে সহজেই
হতে হয় দুষ্মন্তে সমর্পিত ।

ছবি-৫/১৫: প্রেমের ভাবনায় সমর্পিত:
মৃগসনে করুণাবাক্য সমাপন
বল্কল-বসনা তাপসকন্যা
সখীসনে আলবালে জলপূরণ
তরু ভগিনীসনে দিবসযাপন ।

পরাভব মেনেও নিয়মচারিণীর
চরিত্রের নির্মল পবিত্রতায়
স্বাভাবিক অক্ষুন্ন সতীত্ব
অনায়াসে পরিস্ফুট ।

নিভৃত পুষ্পপল্লবের মাঝখানে
নিত্য আশ্রমধর্ম অতিথিসেবা
সখীস্নেহ ও বিশ্ববাৎসল্য এখন
শুধুই এক অখণ্ড আনন্দক্ষন ।

আশঙ্কা আঘাতে ভেঙে না যায়
দুষ্মন্তকে তাই সখীগনে কয়
বাণ মারিয়ো না মারিয়ো না
পরিপূর্ণ সৌন্দর্যটি ভাঙিয়ো না।

ছবি-৬/১৫ : বাণ মারিয়ো না
ক্রমে দুষ্মন্ত-শকুন্তলার প্রণয় প্রগাঢ়
অকস্মাৎ আর্তরব ‘ভো ভো তপস্বিগণ
মৃগয়াবিহারী রাজা দুষ্মন্ত প্রত্যাসন্ন
তপোবনবাসি শকুন্তলার হৃদয় হরণ ।

ছবি-৭/১৫:শকুন্তলার হৃদয় হরণ
দুষ্মন্ত-শকুন্তলার প্রেমালাপ
আছে যা তা অতি সংক্ষিপ্ত
অধিকাংশই তাদের
আভাসে ইঙ্গিতেই ব্যক্ত ।

গৃহ কোণে কৃত্রিম
সজ্জিত ফুলের পর
নিত্যই ধুলা তার
না ঝাড়লে চলে না আর ।

বনফুলের ধুলা ঝাড়ার তরে
রাখতে হয় না কোন মালী
অনাবৃতই থাকে সে
ধুলাও লাগে তার গায় ।

নির্মল নিয়মচারিণীর
গায়ে ধুলাও যে লাগে
এ সাধারণ কথাটাও
জানতে পারে না সে ।

তবু সে সযতনে
নীজ অবয়বের
সুন্দর নির্মলতাকে
রক্ষা করেই চলে।

অরণ্যের সরলা মৃগীসম
নির্ঝরের জলধারার মতো
মলিনতার সংস্রবেও সে
অনায়াসেই থাকে নির্মল।

অন্তর মাঝে বিশ্বাসের সিংহাসন
তপোবনে গৃহধর্ম পালনে বিস্মরণ
পতিবিরহে উদাসমনে দুষ্মন্তপ্রতি
চিঠিলিখে করে দিবস যাপন ।

ছবি-৮/১৫ : শকুন্তলার পত্রলিখন
বিরহের কাল কাটেনা আর
তরুলতা-মৃগপক্ষীগনের নিকট
হতে বিদায় লয়ে কাঁদতে কাঁদতে
তপোবন ত্যাগে হয় উদ্ব্যত ।

মৃগের গলি' পড়ে মুখের তৃণ
ময়ূর নাচে না যে আর
খসে পড়ে পাতা লতিকা হতে
যেন সে আঁখিজলধার।

ছবি-৯/১৫: মৃগসাথে করুন হাল
শকুন্তের পতিগৃহে গমনকালে
পদে পদে আকর্ষণ মর্মমুলে
বনের সহিত বিচ্ছেদ বেদনা
মর্মান্তিক অতি সকরুণ ।

ছবি-১০/১৫ :হরিণী শকুন্তলাকে যেতে নাহি দিতে চায়
অপ্রগল্ভা দুঃখশীলা নিয়মচারিণী
সতীধর্মের আদর্শরূপিণী প্রণয়িনী
এক দিকে তরুলতা ফল পুষ্পের ন্যায়
আর দিকে স্বভাব ধর্মের অনুগতা হয় ।

একদিকে অন্তরতর নারীপ্রকৃতি আরদিকে
চরিত্রখানি তার বনছায়া ও মাধবীলতার
সংযত সহিষ্ণু একাগ্র পতিপরায়নতা
কল্যাণধর্মের শাসনে একান্ত নিয়ন্ত্রিতা ।

ছবি-১১/১৫: দুষ্মন্ত-শকুন্তলা প্রণয় লীলা
আদি প্রেমের প্রণয় লীলা
স্বভাব ও ধৈর্যের বাধন
নদী ও সাগর মোহনার
দিকে বেগে ধাবমান ।

ছবি-১২/১৫: দুষ্মন্তের দেয়া স্মৃতি আংটি
শকুন্তকে দেয়া দুষ্মন্তের স্মৃতি আংটি
হারায়ে শকুন্তলার হয় অশেষ দুর্গতি
ঋষি দুর্বাসার শাপে ঘটে অঘটন,বিস্মৃত
দুষ্মন্ত কতৃক শকুন্তলা হয় প্রত্যাক্ষাত ।

ছবি-১৩/১৫: শকুন্তলাকে ঋষি দুর্বাসার শাপ
এখানে হৃদয় অতি কঠিন
সমাজে প্রণয় বড় কুটিল
মিলনের পথও কন্টকাকীর্ণ
বনের সৌন্দর্যও ভাঙ্গে স্বপ্ন ।

দুষ্মন্ত গৃহে শকুন্তলাকে প্রত্যাখ্যান
হংসপদিকার সরল করুণ গীত
ভেঙ্গে নামে শকুন্তলার মাথার পর
বাণাহত মৃগীসম বেদনা বিদুর ।

কোথায় তাত কণ্ব
কোথায় মাতা গৌতমী
কোথায় অনসূয়া-প্রিয়ংবদা
কোথায় সেই তরুলতা-পশুপক্ষীগন।

মুহূর্তের প্রলয়াভিঘাতে শকুন্তলার
সুন্দর শান্ত সেই নির্মল জীবন
সে আজ একাকিনী, বৃহৎ শূন্যতাই
হ’ল শকুন্তলার আপন ভুবন ।

ছবি-১৪/১৫ : একাকিনী শকুন্তলা
বিরহ বেদনা স্বভাব ও তপস্যা
সৌন্দর্য ও কঠিনতম সংযম
অশ্রুজলে কলঙ্কক্ষালন শেষে
দীর্ঘ প্রতিক্ষিত একত্র মিলন ।
ছবি-১৫/১৫ :আনন্দঘন মিলন

শকুন্তলায় আরম্ভের সৌন্দর্য তরুন
অত:পর দুঃখ দুর্দশা ধৈর্যে ও ক্ষমায়
মঙ্গলময় চরম পরিণতির সফলতায়
মর্তকে স্বর্গ সুধায় করে আস্বাদন ।


ছবিসুত্র : অন্তরজাল হতে সংগৃহীত

মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



কালীদাস ও মহাভারত নতুন করে প্রাণ পেয়েছে ব্লগে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রসংসাবানীতে অনুপ্রানিত হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রসংসাবানীতে অনুপ্রানিত হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: মহাভারত..
শকুন্তলা প্রণয় কাহিনী ভালো লেগেছে।

ঋষি দুর্বাসার শাপে ঘটে অঘটন,বিস্মৃত। শাপে

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুশী হলাম ভাল লেগেছে শুনে ।
ভরতকে সিংহের দাঁত ক পাটি গুনায় দেখতে কেমন লেগেছে তাত বললেন না :)। নিকটি যে ভরতের সাথে মিলে যায় অনেক খানা :)
শুভেচ্ছা নিবেন ।

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি পুরাণ ভারতীয় সাহিত্যকে নতুনরূপে তুলে ধরছেন, অনেক সুন্দর প্রয়াস।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য । কালিদাসের শুকুন্তলা ভারতীয় উপমহাদেশের সাহিত্যের মাস্টার পিছ হিসাবে গন্য । শকুন্তলা-কাব্যে কবি স্বর্গচ্যুতি হইতে স্বর্গপ্রাপ্তি পর্যন্ত সমস্ত বিবৃত করেছেন। বিশ্বপ্রকৃতি যেমন বাহিরে প্রশান্ত সুন্দর, কিন্তু তাহার প্রচণ্ড শক্তি অহরহ অভ্যন্তরে কাজ করে, কালিদাসের অভিজ্ঞানশকুন্তল নাটকখানির মধ্যে আমরা তাহার প্রতিরূপই দেখতে পাই। এমন আশ্চর্য সংযম আর কোন নাটকেই দেখা যায় না । প্রবৃত্তির প্রবলতা প্রকাশের অবসরমাত্র পাইলেই অনেক সাহিত্য কর্মকেই উদ্দাম হয়ে উঠতে দেখা যায় । প্রবৃত্তি যে কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে তাহা অতিশয়োক্তিদ্বারা প্রকাশ করতে অনেকেই ভালোবাসেন। এমন কি শেক্সপিয়ারের রোমিয়ো-জুলিয়েট নাটকে তার ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। শকুন্তলার মতো এমন প্রশান্ত-গভীর, এমন সংযত-সম্পূর্ণ নাটক শেক্স্পীয়রের নাট্যবলীর মধ্যে একখানিও নাই বলে স্বয়ং রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর অভিমত ব্যক্ত করেছেন ।
শুভেচ্ছা রইল

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
কস্ট করে সময় নিয়ে এসে দেখার জন্য ।
সুন্দর হয়েছে শুনে ভাল লাগল ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ভালো লেগেছে।

মহাভারত পড়ার ইচ্ছা আছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য । মহাভারত একটি মহাকাব্য । এ উপমহাদেশের সাহিত্য কর্মের ডালাপালাগুলো অনেকাংশ্‌ই শন্তলার কাহিনীর উপর ভিত্তি করে বিকসিত হয়েছে । গল্প ্ন্যাউস , গীতি নাট্য , নৃত্যনাট্য , ও সিনেমায় রয়েছে এর ভিষন প্রভাব ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল

৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
মনে আছে কিনা জানি না।
অনেক দিন আগে আমি আপনাকে মোনালিসা সমন্ধে লেখার জন্য বলেছিলাম,
আপনি বলেছিলেন সময় করে লিখবো।
আশা করি, অবশ্যই সময় পেলে মোনালিসা সমন্ধে অজানা তথ্যগুলো তুলে ধরবেন।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেয়ার জন্য । স্মৃতি শক্তিতে আমি খুবই দুর্বল । কিছুই মনে থাকেনা । ঘর হতে বের হয়ে আবার ফিরে আসতে হয় ভুলে রেখে যাওয়া মোবাইলাটা নেয়ার জন্য , আবার দ্বিতীয় বার আসতে হয় ঘরের মেইন দরজা বন্ধ করে এসেছি কিনা সেটা দেখর জন্য , এটা প্রায় নিত্য দিনের ঘটনা । য়াহোক আপ্রান চেষ্টা করবো আপনার মুল্যবান অনুরোধ রাখতে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

এই আমি রবীন বলেছেন: ভাল লেগেছে। ছবি ও কাহিনীর সুন্দর সংমিশ্রন ঘটেছে। অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে লিখে আমাদেরকে জানানোর জন্য।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই খুশী হলাম প্রসংসাবানী শুনে , সাথে অনুপ্রেরনাও পেলাম ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৫

ঋতো আহমেদ বলেছেন: শকুন্তলাকে দুষ্মন্তকে প্রকৃতিকে সর্বোপরি কালিদাসকে আবারো নতুন করে জানার প্রয়াস পেলাম আপনার এই পোষ্টে। ভাল লাগল। শুভ কামনা

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কালিদাসের শকুন্তলায় বা্ইরের শান্তি ও সৌন্দর্যকে কাব্যের আভ্যন্তরিক শক্তিকে নিস্তব্ধতার মধ্যে সর্বদা সক্রিয় ও সবল করে তুলা হয়েছে । এমন-কি, তপোবনের বহিঃপ্রকৃতিও সর্বত্র অন্তরের কাজেই যোগ দিয়াছে। কখনো বা তাহা শকুন্তলার যৌবনলীলায় আপনার লীলামাধুর্য অপর্ণ করিয়াছে, কখনো বা মঙ্গল-আশীর্বাদের সহিত আপনার কল্যাণ মর্মর মিশ্রিত করিয়াছে, কখনো বা বিচ্ছেদকালীন ব্যাকুলতার সহিত আপনার মূক বিদায়বাক্যে করুণা জড়িত করিয়া দিয়াছে এবং অপরূপ মন্ত্রবলে শকুন্তলার চরিত্রের মধ্যে একটি পবিত্র নির্মলতা—একটি স্নিগ্ধ মাধুর্যের রশ্মি নিয়ত বিকীর্ণ করিয়া রাখিয়াছে। পাঠকের হৃদয়কে তাই এটা সহজেই নারা দেয় ।
ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ।

১০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

হাবিব শুভ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। জানলাম অনেক কিছু।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভাল লাগল শুনে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

হাবিব শুভ বলেছেন: ইউসুফ-জুলেখা কাহিনী টাও তুলে ধরলে উপকৃত হবো

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভাল বিষয়ে কথা বলেছেন ।
হযরত ইউসুফ( আ) ও জুলেখা কোরানের গল্প । এত সুন্দর করে একে কোন মানুষের পক্ষে তুলে ধরা সম্ভব নহে । শুধু এই কাহিনীর মুল বিষয়গুলি অনুভব করা যায় , শিখা যায় ও সে গুলিকে মানবের বাস্তব জীবনে মেনে সুখী সমৃদ্ধ করা যায় । জানা যায় বৃদ্ধ বয়সে বিবি সারা খাতুনের গর্ভে হযতর ইব্রাহিমের এক পুত্র সন্তান জন্মে। তাঁহার নাম ইসরাইল (আঃ)। ইসরাঈলের দুই পুত্র ইয়াশা ও ইয়াকুব। ইয়াকুবের বারোটি পুত্র, তন্মধ্যে একাদশ পুত্র হযরত ইউসুফ। কনিষ্ঠ পুত্রের নাম বনি-ইয়ামিন।হযরত ইয়াকুব জানতেন যে, ইউসুফ ভবিষ্যৎ জীবনে নবী হবেন। তিনি অতি গুণবান, শ্রী ও লাবণ্যমণ্ডিত ছিলেন। শৈশবেই ইউসুফ ও বনি ইয়ামিন মাতৃহীন হন। নানা কারণে হযরত ইয়াকুব অন্যান্য সন্তান অপেক্ষা ইউসুফকে একটু বেশী আদর যত্ন করতেন। এই জন্য বিমাতার গর্ভে অপর দশজন ভ্রাতা ইউসুফকে একটু ঈর্ষার চক্ষে দেখতেন। তাই বাল্য জীবনে ভাইদের কারণে অনেক হদয় বিদারক দু:খ কস্টের সম্মুখীন হন । ইউসুফ একদা রাত্রে স্বপ্ন দেখতে পেলেন –সূর্য চন্দ্র ও এগারটি নক্ষত্র তাঁকে যেন অভিবাদন করছে। পরদিন পিতার নিকটে কথাটা বললেন। ইয়াকুব স্বপ্ন-বৃত্তান্ত শুনে খানিকক্ষণ চিন্তা করে বললেনঃ তোমার পিতামাতা ও এগারটি ভাইয়ের চাইতে তুমি শ্রেষ্ঠ হবে। কিন্তু সাবধান করে দিচ্ছি তোমর অপর ভ্রাতাদের নিকটে এ বিষয়ে কিছু বলো না। কারণ তা হলে তারা তোমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে পারে।
যাহোক অনেক ঘাত প্রতিঘাত পার হয়ে ইউসুফ যখন দিনে দিনে বড় হয়ে উঠতে লাগলেন ।
ইউসুফ বয়ঃপ্রাপ্ত হবার সঙ্গে সঙ্গে অসামান্য রূপবান হয়ে উঠতে লাগলেন। তাঁর অপরূপ শ্রী, লাবণ্য ও সুগঠিত দেহ সৌষ্ঠবের প্রতি প্রভু-পত্নী জুলেখা দিন দিন আকৃষ্ট হতে লাগলেন। একদিন তিনি তাঁর প্রতি আনুগত্য হবার জন্য অনুরোধ জানালেন। কিন্তু ইউসুফ সে কথায় একেবারে কর্ণপাত মাত্র করলেন না। জুরেখা নানা প্রকার প্রলোভন দিয়েও তার মন জয় করতে পারলেন না। অবশেষে নিরাশ হয়ে তিনি তাঁর স্বামীর নিকটে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন।
ইউসুফ দোষারোপের প্রতিবাদ করে বললেনঃ এই নারীই আমাকে অন্যায় কার্যে লিপ্ত করবার চেষ্টা করেছে।
এইরূপে একে অন্যের নামে দোষ দেবার চেষ্টা করতে লাগলেন। ইউসুফ ও জুলেখার এই সকল কাহিনী ক্রমে প্রকাশ হয়ে পড়লো। অন্যান্য রমণীরা ছি ছি করতে লাগলো। তারা জুলেখার দোষ দিতে লাগলো।
জুলেখা তার প্রতি দোষ খন্ডাতে সমর্থ হলেন ।
ইউসুফের প্রতি নারীদের এইরূপ আসক্তির কথা জানতে পেরে সমাজের মাতব্বরেরা শঙ্কিত হলেন।
ইউসুফক কয়েদখানায় নেওয়া হলো। ইউসুফ খোদাতা’লার কৃপায় প্রগাঢ় তত্ত্বদর্শী হয়েছিলেন। ইউসুফের স্বপ্নের ব্যাখ্যা করতে পারতেন । এ কথা বাড়শা জানতে পেরে ইউসুফকে তাঁর নিকটে আনবার সঙ্কল্প করলেন।
ইউসুফকে সতত পরীক্ষার এক পর্যায়ে যে সকল মেয়ে অসাবধানতায় নিজেদের আঙ্গুল কেটে ফেলেছিলো, তাদের কাছে অনুসন্ধান করে বাদশাহ জানতে পারলেন ইউসুফ তাদের সংগে কোনো অসদ্ব্যবহার করেননি। তারাই ইউসুফকে তাদের দিকে আকৃষ্ট করতে চেয়েছিলো। জুলেখাও সেখানে ছিলেন। তিনি এ কথার সত্যতা সম্পর্কে সাক্ষ্য দিলেন। বাদশাহ সব কথ শুনে অনুতপ্ত হলেন এবং ইউসুফকে মুক্তি দিয়ে তাঁকে রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করলেন।
কাহিণীটা বেশ বড় । বাকিটা সময় করে সকলে মিলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাবে ।
শুভেচ্ছা নিবেন ।

১২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

ভাবনা ২ বলেছেন: ভারতীয় প্রাচীন সাহিত্য কর্ম সম্পর্কে জানতে পেরে ভাল লাগল ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , আপনার মুল্যবান মন্তব্য শুনে ভাল লাগল ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২

কিংবদন্তির জার্নাল বলেছেন: ভাল লাগলো।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগার কথা শুনে খুশী হলাম ।
ভাল খাকার শুভেচ্ছা রইল ।

১৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: পোষ্টে ছবি যোগ করায় ।পোষ্ট পড়ায় বেশ উপভোগ্য এবং প্রানবন্ত হয়েছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার প্রসংসাবানী শুনে আমি মুগ্ধ । পোস্টটি উপভোগ্য হয়েছে শুনে অনুপ্রানীত হলাম ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।

১৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: মাইথোলজি নিয়ে আপনার লেখা আগেও পড়েছি। বেশ ভালো লেগেছে। ছোটবেলায় মাইথোলজিক্যাল গল্প গুলো আমার অনেক প্রিয় ছিল। রামায়ণ ,মহাভারত সহ এই গুলোকে গল্প হিসাবে নিলে ভালো --অনেক কিছু শিক্ষণীয় আছে , এর মধ্যে খারাপ জিনিস গুলোকে খারাপ বলা যায় কিন্তু ধর্মের অংশ হিসাবে দেখলে খারাপটাকে খারাপ বলার সুযোগ থাকে না।
প্রাচীন ভারতের মাইথোলজির শিক্ষা মডার্ন ম্যানেজমেন্ট এর ডিসিশন মেকিংয়ে কিভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে কাজ করছেন
দেবদত্ত পট্টনায়ক।
তাঁর একটা ইউটিউব ভিডিও ।
বিসনেস সূত্র

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক মুল্যবান কথা জানা গেল আপনার মন্তব্য থেকে । আপনার দেয়া দেবদত্ত পট্টনায়কের লিংক ফলো করে দেখে আসলাম এক নজর । এর সাথে অনেক আরো লিংখ অআছে , সে গুলিও খুবই ইস্টারেসটিং । এগুলি দেখে আবার আসব আলোচনায় ।
ততক্ষনে আমার শুভেচ্ছা নিন ও ভাল থাকুন ।

১৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক মুল্যবান কথা জানা গেল আপনার মন্তব্য থেকে । আপনার দেয়া দেবদত্ত পট্টনায়কের লিংক ফলো করে দেখে আসলাম এক নজর । এর সাথে অনেক আরো লিংখ অআছে , সে গুলিও খুবই ইস্টারেসটিং । এগুলি দেখে আবার আসব আলোচনায় ।
ততক্ষনে আমার শুভেচ্ছা নিন ও ভাল থাকুন ।

১৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

নীলপরি বলেছেন: আপনি যদি এখন সামুতে থাকেন তাহলে এখনি একবার আমার নতুন পোষ্ট আর তার মন্তব্যগুলোর দেখার অনুরোধ করছি ।

তাহলেই বুঝতে পারবেন । একজন মন্তব্যকারী কিছুদিন ধরে অবমানাকর মন্তব্য করে যাচ্ছে । আমি ইগনোর করছি । রিপোর্ট করার অপশন আছে । এবারে করলামও । কিন্তু আমার পাতা্য় নোংরা লাগলে সামগ্রিকভাবে সামুর কি সত্যিই কিছু যায় আসে না ? আপনি একজন সচেতন ব্লগার । তাই আপনাকে জানাতে ইচ্ছা হোলো । তাও যদি আমার কথা আপনার অপ্রাসাঙ্গিক মনে হয় তাহলে নিজ গুনে মাফ করবেন । আর এই মন্তব্যটা মুছে ফেলবেন ।

মুড এতোটাই খারাপ হয়ে গেছে যে আপনার সুন্দর পোষ্টটা পড়তে পারলাম না । পরে এসে অবশ্যই পড়বো ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দিবানিদ্রা গিয়াছিলাম বলে বিলম্বিত উত্তরের জন্য দু:খিত । খারাপ লাগল শুনে । সমবেদনার ভাষা যায় যে হারিয়ে কারো এমন আচরনে । পরস্পরের সৌজন্য ও শিষ্টাচারপুর্ণ লিখাই যে ব্লগের প্রানশক্তি এ অনুভব আসুক সর্বজনে এ কামনাই করি মনে মনে ।
মন্তব্য অপ্রাসঙ্গিক হয়েছে বলে হয়নি মনে । ব্লগ একটি পরিবার এর সুস্ঠু পরিবেশ বজায়ে প্রয়াসতো থাকতেই পারে, তাই এর প্রকাশও হতে পারে সবখানে । পরে সময় করে আসলে খুশী হব ।
শুভেচ্ছা রইল

১৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আপনি কি প্রাচীন সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করছেন নাকি?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: না ভাই, প্রাচীন বাংলা সাহিত্য নিয়া গবেষনা করার মত কোন যোগ্যতা আমার নেই । প্রয়াত চাচা ছিলেন বাংলা সাহিত্যের নাম করা অধ্যাপক । তার সান্যিধ্যেই কাটে জীবনে একটা উল্লেখযোগ্য সময় । তার বসার ঘরে নিত্য হত গুণী জনের আসর, চা নাস্তা পরিবেশনের ফাকে ফাকে প্রাচীন বাংলা ও সংস্কৃত সাহিত্যের মুল্যবান আলোচনা হতো কর্নগোচর । মনে তা যেতো গেথে , সামুর অবারিত দ্বার পেয়ে এখন সে সবের কিছু করি শেয়ার সকলের সাথে । জানি এ কর্ম আমার জন্য তেমন শুভন নয় , তবে বিশ্বাস এগিয়ে আসবেন অনেক গুনিজনে , করতে প্রাচীন সাহিত্যের আলোচনা আমাদের মাঝখানে ।

শুভেচ্ছা জানবেন ।

১৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

মার্কো পোলো বলেছেন:
খুব সুন্দরভাবে কাহিনী উপস্থাপন করেছেন।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ উপন্থাপনা সুন্দর হয়েছে জেনে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অনেক কিছুই আবার পড়া হল। খুব সুন্দর উপস্থাপনা, সাথে চমৎকার ছবি ও কবিতা।


দুর্দান্ত +++

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এসে দেখার জন্য ।
উপস্থাপনা চমৎকার ও পোস্টটি দুর্দান্ত
হয়েছে শুনে ভাল লাগল ।
এই শকুন্তলা কাহিনী বার বার পড়লেও এর
আবেদন ক্রমেই বাড়বে । কত ভাষায় কত ভাবে
নাটকে , কবিতায় , নৃত্যগীতে সিনেমায়
এর হয়েছে প্রকাশ ও বিকাশ তাতে
বিস্মিত না হয়ে কি কেও পারে ।

শভেচ্ছা রইল

২১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪

সুমন কর বলেছেন: শকুন্তলার নাটকীয় প্রনয়কাহিনী শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। জানা ছিল, আজ আবার পড়লাম।

ছবি আর লেখা মিলিয়ে পোস্টটি চমৎকার হয়েছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দাদার মত গুণী কবি সাহিত্যিকদের কাছে শকুন্তলা নতুন কিছু নয় তা আমার বিলক্ষন জানা ।কালীদাসের শকুন্তলা নাট্যকাহিনীটি আছে দুনিয়ার সর্বত্র আলোচনার পাদপিঠে । ইউরোপের কবিকুলগুরু গেটে একটি মাত্র শ্লোকে শকুন্তলার আলোচনায় লিখিয়াছেন কেহ যদি তরুণ বৎসরের ফুল ও পরিণত বৎসরের ফল, কেহ যদি মর্ত ও স্বর্গ একত্র দেখতে চায়, তবে শকুন্তলায় তা পাবে।

পোস্টটিকে চমৎকার অনুভুত হওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

২২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এতো বড় পোষ্ট পড়ার বা পড়ে বুঝে উঠা আমার দ্বারা মনে হয় সম্ভব না, তবু শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম ভাই।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:





সাদা মনের মানুষের সাদা কথাগুলি শুনিতে সুন্দর
মনে হয় স্বপ্ন মঙ্গলের কথা শুনিতেছি দিয়া অন্তর ।

আপনার প্রতিও শুভেচ্ছা রইল ।

২৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৮

নীলপরি বলেছেন: মহাভারত আমার খুব প্রিয় । আপনি সেই মহাভারতের আদি পর্বের শকুন্তলার কাহিনীকে আধুনিক বাংলায় এতো সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন যে প্রশংসার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না । খুবই ভালো লাগলো ।++

আর আমার আগের আপনার উত্তরের জন্য ধন্যবাদ । আপনার এই পোষ্ট দেখে মহাভারত থেকে ঋণ নিয়ে একটা কথা বলতে ইচ্ছা হচ্ছে --

A pig delights in filth even in a flower garden
A wicked man finds evil even where there's good !

অনেক শুভকামনা রইলো

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মহাভারত যে আপনার অতি প্রিয় তাতো দেখাই যায় আপনার অনেক কবিতায় । আবার আসায় খুশী হয়েছি । মহবভারত বিশাল মহাকাব্য । এক জনমে পড়েও শেষ করা যাবেনা , এক পর্ব টেনে নিয়ে যায় অআরেক পর্বে , আর কোন পর্ব টেনে অআনে পিছনে তা বুঝতে । মহাভারত টেনে যা বলেছেন এক কঠিন বিষয় কত বিচিত্র চরিত্র যে তাতে ধরে । ঠিকই বলেছেন
Dirghatama was, obviously, one of these bullish men, as was Brihaspati. Shvetaketu, like .That is why we do not find Kunti suggesting even once that her "chance" words ought not to be taken literally. A pig delights in filth even in a flower garden; a wicked man finds evil even where there's good.

শুভেচ্ছা রইল ।

২৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩০

প্রামানিক বলেছেন: ছবি আর লেখা মিলিয়ে পোস্টটি চমৎকার হয়েছে। শকুন্তলার নাটকীয় প্রনয়কাহিনীর আলোচনা খুব ভালো লাগল।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ শকুন্তলার নাটকীয় প্রনয়কাহিনীর আলোচনা খুব ভালো লাগল শুনে খুশী হলাম।
তবে আপনার কালীবাবা আরো চমৎকার । একবার এক কালীবাবারে পাইছিলাম নারায়নগঞ্জের মদন পুরে,
গাঞ্জা খাওয়ার জন্য ১০ টি টাকার জন্য ধরেঠিল ঠাইস্যা । কতযে আধ্যাতিক ভয়জাগানিয়া কথা কইছিল
মনে করলে এখনো গায়ে কাটা ধরে , টাকাটা দিলে রাজা বাদশা হয়ে যাব এটাও বলছিল বারে বারে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: দারুণ এক প্রচেষ্টা।
ব্লগে এধরণের পোস্ট সত্যিই অনেক বেশি আগ্রহী করে তোলে। সম্পদও বটে।
ধন্যবাদ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




পোস্ট টি এমন মেধাবী রাজপুত্রের কাছে দারুন হয়েছে শুনে হয়েছি ভেজায় খুশী ।
রাজপুত্রদের সংগ্রহষালায় যে মনিমুক্তা অআছে তার রোশনাতে এ ধরনের পোস্ট
ক্ষনিকেই যাবে যে নিশ্চপ্রভ হয়ে :)
ভাল থাকুন নিরন্তর এ কামনা রইল ।

২৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

লাডল্লা পোলা বলেছেন: সত্য প্রেমে মিলন অনিবার্য ।

আদি প্রনয়কাহিনী নবপ্রেম প্রেরণা ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সত্য প্রেমে মিলন অনিবার্য
অতি মুল্যবান কথা ।
দেখার অপেক্ষায় রইলাম
আদি প্রনয়কাহিনী নবপ্রেম প্রেরণা
কিশোর পোলাদেরে কেমন করে
দেয় দোলা :)

শুভেচ্ছা রইল

২৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৩

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন। শকুন্তলার ইতিহাস জানলাম। খুব সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন। বরাবরের মতই সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: উপস্থাপনার প্রসংসায় প্রিত হলাম । শকুন্তলার ইতিহাস অনেক পুরানো । শকুন্তলাকেতো আপনার ভাল লাগারই কথা ।আপনি গাছ তরুলতা বিড়াল, খরগোস ভালবাসেন । শকুন্তলও তপোবনের অঙ্গীভূত। শকুন্তলা তার চতুদির্কের সহিত একাত্মভাবে বিজড়িত। তার মধুর চরিত্রখানি অরণ্যের ছায়া ও মাধবীলতার পুষ্পমঞ্জরীর সহিত ব্যাপ্ত ও বিকশিত, পশুপক্ষীদের অকৃত্রিম সৌহার্দের সহিত নিবিড়ভাবে আকৃষ্ট।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল

২৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০২

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: জি ঠিক বলেছেন, আমি প্রকৃতি ভালবাসি। শকুন্তলারর একটি প্রেমিক মনের পরিচয় জানা গিয়েছে। সে যেমন প্রকৃতিকে ভালবেসেছে তেমনি এক মানবকেও ভালবেসেছে। তার শেষ পরিণতি শুভ হয়েছে এটাই শান্তির কথা। সবার সেই ভাগ্য হয়না।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আবার এসে কথা বলার জন্য খুশী হলাম ।
ধন্যবাদ

২৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

মারিয়া ফেরদৌসী বলেছেন: ভালো লেগেছে। অনেক কিছু জানলাম।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্টটি ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

৩০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শকুন্তলা সম্পর্কে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের অভিমত জানতাম। তবে সেকশপিয়রকে খাটো করতে ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে দ্বিধা বোধ করি। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে বুঝি, সেকশপিয়র তাঁর নিজের জায়গায় আছেন, আর কালীদাসও আছেন তাঁর নিজের জায়গায়।


চমৎকার লেখাটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আশরাফুল ভাই । আপনি যতার্থ বলেছেন । শেক্সপীয়র তাঁর নিজের জায়গায় আছেন, আর কালীদাসও আছেন তাঁর নিজের জায়গায়। আমারও একটু খারাপ লেগেছিল যখন দেখেছিলাম রবিন্দ্রনাথ শেক্সপীয়রের টেম্পেস্ট্ নাটকের সহিত কালিদাসের শকুন্তলার তুলনা করতে গিয়ে শেক্সপিয়ারকে নিয়ে এমনটি বললেন । বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় এক জায়গায় তাঁর কথাগুলো ছিল নিন্মরূপ:

মানুষের জীবন এইরূপ—শিশু যে সরল স্বর্গে থাকে তাহা সুন্দর, তাহা সম্পূর্ণ, কিন্তু ক্ষুদ্র। মধ্যবয়সের সমস্ত বিক্ষেপ ও বিক্ষোভ, সমস্ত অপরাধের আঘাত ও অনুতাপের দাহ, জীবনের পূর্ণবিকাশের পক্ষে আবশ্যক। শিশুকালের শান্তির মধ্য হইতে বাহির হইয়া সংসারের বিরোধবিপ্লবের মধ্যে না পড়িলে পরিণতবয়সের পরিপূর্ণ শান্তির আশা বৃথা। প্রভাতের স্নিগ্ধতাকে মধ্যাহ্নতাপে দগ্ধ করিয়া তবেই সায়াহ্নের লোকলোকান্তরব্যাপী বিরাম। পাপে-অপরাধে ক্ষণভঙ্গুরকে ভাঙিয়া দেয় এবং অনুতাপে-বেদনায় চিরস্থায়ীকে গড়িয়া তোলে। শকুন্তলা-কাব্যে কবি সেই স্বর্গচ্যুতি হইতে স্বর্গপ্রাপ্তি পর্যন্ত সমস্ত বিবৃত করিয়াছেন। বিশ্বপ্রকৃতি যেমন বাহিরে প্রশান্ত সুন্দর, কিন্তু তাহার প্রচণ্ড শক্তি অহরহ অভ্যন্তরে কাজ করে, অভিজ্ঞানশকুন্তল নাটকখানির মধ্যে আমরা তাহার প্রতিরূপ দেখিতে পাই। এমন আশ্চর্য সংযম আমরা আরে কো নো নাটকেই দেখি নাই। প্রবৃত্তির প্রবলতাপ্রকাশের অবসরমাত্র পাইলেই য়ুরোপীয় কবিগণ যেন উদ্দাম হইয়া উঠেন। প্রবৃত্তি যে কতদূর পর্যন্ত যাইতে পারে তাহা অতিশয়োক্তিদ্বারা প্রকাশ করিতে তাঁহারা ভালোবাসেন। শেক্স্পীয়রের রোমিয়ো-জুলিয়েট প্রভৃতি নাটকে তাহার ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। শকুন্তলার মতো এমন প্রশান্ত-গভীর, এমন সংযত-সম্পূর্ণ নাটক শেক্স্পীয়রের নাট্যবলীর মধ্যে একখানিও নাই। ।

ধারনা করেছিলাম কবিগুরু হয়ত জেনেশুনেই এমনটি বলেছেন । কাওকে বড় ছোট করাবর জন্য বলেছেন কিনা সেটা তেমন করে ভাবা হয়নি তখন , মনে করেছিলাম এটা কালিদাসের ও শেক্সপিয়রের নাটকের একটি নৈস্বর্গিক তুলনা, যদিও বিষয়টি নিয়ে দ্বিধান্বিতই ছিলাম । শেক্সপিয়রের সবগুলি নাটক রবিন্দ্রনাথের মত এত গভীর অন্তরদুস্টি দিয়ে পড়া হয়নি বলে তার কথাগুলো করছিলাম গ্রহণ । যাহোক, এখন এ বিষয়ে আমার দ্বিধার সাথে আপনার মত প্রথিতযশা সাহিত্যিকের মতামতটা যুক্ত হওয়ায় জোড় গলায় বলা যায় কবিগুরুর কথাই শেষ কথা নয়, শেক্সপিয়রকে নিয়ে আমাদেরও রয়েছে নিজস্ব মুল্যায়ন । শেক্সপিয়র আর কালীদাস যার যার জায়গায়তেই থাকবেন মর্যাদাবান ।

আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ, মুল্যবান সময় দিয়ে লিখাটি দেখার জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল নিরন্তর ভাল থাকুন ।

৩১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




ছবি আর কাব্যাংশ তুলে ধরে কালিদাসের মহাকাব্যের হিন্দু পুরাণকে আবার নতুন করে আঁকলেন । শকুন্তলার রূপের মতোই বর্ণচ্ছটায় ভাস্বর হয়ে উঠেছে লেখাটি ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আপনার শ্রতিমধুর প্রসংসাবানী শুনে আপ্লুত হলাম ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

৩২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

টমাটু খান বলেছেন: মন্দ লাগেনি

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , মন্দ যে লাগেনি তাতে হয়েছি ধন্য ।

৩৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ডঃ এম এ আলী, আপনার সুচিন্তিত প্রতিমন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কবিগুরু বাংলা সাহিত্যের এক মহীরুহ। তাঁর কবিতা, গান, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক সবই বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে, তাতে কোন সন্দেহ নাই। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে তাঁর কৃতিত্বকে সর্বোচ্চ সম্মান দিই। সেকশপিয়রের ব্যাপারে তাঁর মূল্যায়ন একান্তই তাঁর নিজস্ব বলে মনে করি। কবিগুরুর মতো মানুষ গভীর অন্তর্দৃষ্টি ছাড়া এরকম মন্তব্য করবেন, এটা আমি বিশ্বাস করি না। তাঁর অনুরূপ অন্তর্দৃষ্টি, জ্ঞান ও মেধার গভীরতা আমার নাই। থাকলে হয়তো তাঁর মন্তব্যের সারবস্তু অনুধাবন করতে পারতাম। আমি শুধু আমার নিজের যৎসামান্য উপলব্ধির কথা বলেছি মাত্র। এর বেশি কিছু নয়।

এই মন্তব্যটি পাঠের জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আশরাফুল ভাই ।খুব খুশী হয়েছি মনযোগ দিয়ে আমার প্রতি মন্তব্য পাঠের পর তার চেয়েও সুন্দর হৃদয়গ্রাহী একটি প্রতিমন্তব্য করার জন্য । ব্লগে এরকম গঠনমুলক কাব্য আলোচনা কদাচিৎ দেখা যায় । আপনার এ রকম মুল্যবান আলোচনা আমার এই লিখার ব্লগটাকে নিয়ে গেছে অনেক উচ্চতায় , কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

৩৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পড়লাম, ভাল লাগলো

১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:২৯

জুন বলেছেন: ছবি আর বর্ননায় শকুন্তলা যেন বাস্তব হয়ে উঠলো আপনার লেখার মাধুরীতে ডাঃ এম আলী। কঠিনতম ভাষাও আপনার সরস বর্ননায় যেন হয়ে উঠলো সহজ সরল ।
অনেক ভালোলাগা রইলো । মোবাইল থেকে খুব কষ্ট করে লিখছি । নইলে আমার এসব প্রিয় বিষয় নিয়ে অনেক কিছুই বলার ছিল ।
+

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এসে কস্ট করে দেখার জন্য একাধারে খুশী ও অনুপ্রানীত হয়েছি । মোবাইলে লিখা অাসলেই খুবই কস্টকর, বিশেষ করে আমার কাছে । মোবাইলে লিখতে আমার মোটেই হাত আসেনা , এক অক্ষর চাপলে আর এক অক্ষর আসে মহা বিরক্তিকর, তাই লিখাও হয়না , মোবাইলে টেক্সট লিখার থেকে ঘন্টার পর পর দেশে বিদেশে কথা বলা যায় অবলীলাক্রমে আন লিমিটেড মিনিট এলা্‌উএন্সের কল্যানে । মোবাইলে চিকন অাঙ্গুলের ডগায় মহিলাদের জন্য লিখাই সুবিধা জনক । আমি জানি ইতিহাসের ছাত্র হিসাবে মহাভারতের কাহিনী আপনার জানা আছে ভাল করে । মহাভারত পাঠ না করলে প্রাচীন ভারতের এবং সার্বিকভাবে ভারত বর্ষের সাংস্কৃতিক বিবর্তনের ইতিহাস রয়ে যাবে অজানা । আশা করি আপনার কাছ হতে কৌতুহলী কোন ঐতিহাসিক অজানা বিষয়ের পোস্ট পাব কোন কালে ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

৩৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শুরুর চমৎকার সহজিয়া বর্ণনা পোস্ট এর রস আস্বাদনে সহায়ক ছিল ।
চমৎকার লেখা ,শুভ কামনা :)

২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব খুশী হলাম কস্ট করে এসে দেখার জন্য । বিশাল বড় কাহিনী কোন মতে শুরুটা করতে পারলেও এই কাঁচা হাতের লিখায় এটাকে তেমনভাবে রসগ্রায্য করে তুলা ছিল আমার কাছে অসাধ্য । শকুন্তলাকে সুন্দরভাবে অনুবদ করেছেন ঈশ্বর চন্ত্র বিদ্যা সাগর অার খোদ কালীদাসের শকুন্তলাতো আছেই । আশা করি আগ্রহী পাঠকগন পরিপুর্ণ রস্বাদন করতে পারবেন সেখান হতে । আপনার মুল্যবান মন্তব্যে অনুপ্রানীত হলাম ভীষনভাবে ।

শুভেচ্ছা রইল

৩৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯

কল্পদ্রুম বলেছেন: চমৎকার লাগলো।

যে হরিণী ব্যাধকে চেনে না
তার কি বিদ্ধ হতে বিলম্ব সয় ?
পঞ্চশরকে চিনতে না পারলে
মর্মস্থানতো অরক্ষিতই রয়।

কথা সত্য।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি চমৎকার অনুভুত হওয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০১

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: তুমি আমাকে একটা ই-মেল করবে..
[email protected]

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সরি দাদা নোটিশ পাইনি বলে উত্তর দিতে বিলম্ব হলো । এখনি ই মেইল করছি ।
শুভেচ্ছা রইল

৩৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব যত্নের সাথে লেখা পোস্ট। ততোধিক যত্নের সাথে দেয়া পাঠকের মন্তব্যের উত্তর। অভিভূত!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আহসান ভাই , খুশী হলাম আপনার সুন্দর মন্তব্যে ।

৪০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পোস্টগুলো, বিশেষ করে সাম্প্রতিক কালের, অত্যন্ত পরিশ্রম আর যত্নের সাথে লিখা, তা পাঠক মাত্রই বুঝতে পারেন এবং পাঠককূলের মন্তব্য থেকে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়ে উঠে। আর আপনি পাঠকদের মন্তব্যগুলোও নিষ্ঠার সাথে পড়েন এবং তা অনুধাবন ও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে থাকেন, সেটাও আপনার প্রতিমন্তব্যগুলো থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে এ লেখাটিতে লক্ষ্য করলাম, আপনি পাঠকদের মন্তব্যসমূহ অনেক যত্নের সাথে উত্তর করেছেন। সেজন্যই উপরের মন্তব্যের কথাটা বলেছি।
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম এর দুটো মন্তব্য আর তার উত্তর ভাল লেগেছে।
মন্তব্য, প্রতিমন্তব্যে যতগুলো 'লাইক' দেখছেন, ধরে নিতে পারেন তার সিংহভাগই আমার দেয়া।
বিরহ বেদনা স্বভাব ও তপস্যা
সৌন্দর্য ও কঠিনতম সংযম
অশ্রুজলে কলঙ্কক্ষালন শেষে
দীর্ঘ প্রতিক্ষিত একত্র মিলন
- মধুরেন সমাপয়েৎ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


ধন্যবাদ আবার এসে
এত সুন্দর মন্তব্য দানের জন্য ,
আমি ভীষনভাবে অনুপ্রানীত ।
আপনার উল্লেখিত
বিরহ বেদনা স্বভাব ও তপস্যা
সৌন্দর্য ও কঠিনতম সংযম
অশ্রুজলে কলঙ্কক্ষালন শেষে
দীর্ঘ প্রতিক্ষিত একত্র মিলন - মধুরেন সমাপয়েৎ।

এটা পাঠে আমি মুগ্ধ ও অভিভুত
এ যেন সমগ্র শকুন্তলার সার কথা
আমি কৃতজ্ঞ শকুন্তলা নিয়ে
এমন কাব্যময় কথামালার জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল

৪১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

জীবন সাগর বলেছেন: ভরত কাহিনী কেবল লোক মুখেই শুনে এসেছি। আজ আপনার কাছে নিজেই জানলাম। ভাল লাগলো। সুকন্তলার কষ্ট আর সহিষ্ণুতার উপহারই মনে হয় ভরত। আল্লাহ সবাইকে কোন না কোনোভাবে সুখ দেন।

ভাল লাগলো পড়ে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ জীবন সাগর , সকুন্তলার কস্ট অনুভব করতে পেরেছেন বলে খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আবারও পড়ে গেলাম আপনার বিখ্যাত সকুন্তলা কাব্য।


একটা অনুরোধ রাখবো ভাই, যদি কোন সমস্যা না থাকে বলবেন।

তিনটি ছবি নিয়েছি, আমার বিভিন্ন কবিতায় যদি দেই তবে কি কোন সমস্যা হবে? আমি সকুন্তলা লিখতে পারবো না, আমার মতো করে লিখবো। তাই সকুন্তলার প্রতি অন্যায় হয় কিনা সেটাই জানার আগ্রহ।

০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , আবারো পাঠের জন্য ।
আমার কোন অসুবিধা নেই ।
ছবিগুলি ইন্টারনেট এর পাবলিক ডমেন থেকে নিয়েছি ।
তাই এটা যে কেও নিতে পারে ।
তবে কথা হল এটা শকুন্তলা ইমেজ ক্যাটাগরিতে গুগলে আছে ।
আর শকুন্তলা বিশ্বের বহুভাষায় অনুদিত হয়েছে ও
এটা মহাকবি কালীদাসের একটি অমর কির্তী ।
এই ছবিগুলি শকুন্তলা কাব্যের সাথেই মানায় ভাল বিধায়
প্রায় সকল বিজ্ঞ কবিতা পাঠকই তা জানেন ।
এই ছবিগুলি দেখার পরে সকলেরই মানষপটে
শকুন্তলারই ছবি ফুটে উঠবে ।
তাই শকুন্তলা রিলেটেড অন্য কোন লেখা
বা কবিতায় এই চিরচেনা ছবি ব্যবহার করলে
তা পাঠকের মনকে সেদিকেই ধাবিত করতে পারে
বলে আমার ধারণা । তবে তা নাও হতে পারে ।
অবশ্য যে কেও তা নীজের মত করে তা ব্যবহার
করতে পারেন ।তবে এই ছবিগুলি ব্যবহারের সময়
ব্যবহৃত কবিতায় যদি কোথাও একটি কথাও বলা
থাকে যেমন ঠিক যেন শকুন্তলার মত
তাহলে ছবিগুলি প্রাসঙ্গীগতা পাবে ।

যাহোক এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত
মতামত । আপনি ছবিগুলি নীজের
বিবেচনায় ব্যাবহার করতে পারেন
যেভাবে প্রয়োজন মনে করেন ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৪৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ৮। ১১। ১৪। নং ছবি গুলো সকুন্তলা ছাড়া অন্য কোন কবিতায় সেট করলে সমস্যা হয় কিনা ভাবছি ভাই।

০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ।
দয়া করে উপরের ৪২নং মন্তব্যের প্রতিউত্তরটা দেখতে পারেন ।
সেখানে এই বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৪৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই, ৪২ এর প্রতিউত্তর পড়েছি।

আপনার পরামর্শ আমার সাথে মিলে গেছে ভাই। আমি বিরহ আর প্রেম নিয়েই বেশি লেখি। তাই দুটি ক্ষেত্রেই সকুন্তলাকে উল্লেখ করা থাকতেই পারে। সকুন্তলার মাঝে বিরহ প্রেম দুটুই দেখলাম আপনার পোষ্ট পড়ে। তাই ভাবছিলাম যে বিরহানল যদি সকুন্তলার মতো হয় বা প্রেম তাহলে মন্দ না। এ তো অমর প্রেম আর আত্মীক।

শুভ সন্ধ্যা ভাই।

০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.