নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঁশ সমাচার : শক্তিশালী এই উদ্ভিদটিই হতে পারে সৌভাগ্যের সোপান

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৭


বাঁশ আমাদের সকলের কাছে একটি অতি পরিচিত উদ্ভিদ । বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ , মাগো আমার শুলক বলা কাজলা দিদি কই , যতিন্দ্রমোহন বাগচির কবিতার এ লাইন দুটো সকলের স্মৃতিতেই আছে জাগরূপ। বাঁশের গুন কির্তির নাই কোন শেষ । বাঁশের সকল প্রকার গুণের সাথে আমাদের পরিচয় নেই সবিশেষ । উদ্ভিদতত্ব মতে বাঁশ ফাঁপা কান্ড বিশিষ্ট একটি ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ। বাঁশের বিস্তৃতি অতি ব্যাপক। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই কম বেশী এটা জন্মায় । এ দেশের বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর নিকট বাঁশের গুরুত্ব অপরিসীম । গৃহ নির্মাণ, মঞ্চ নির্মাণ, মই, মাদুর, ঝুড়ি, ফাঁদ, হস্তশিল্পসহ নিত্যদিনের ব্যবহার্য বিবিধ জিনিসপত্র তৈরির কাজে বাঁশের রয়েছে বহুল ব্যবহার ।

গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমানোর ক্ষেত্রে বাঁশের মত এত ক্ষমতাশালী দ্বিতীয়টি আর নেই : অবিশ্বাস্যভাবে বাঁশ অন্য সব গাছপালার চেয়ে বেশী পরিমানে অক্সিজেন উৎপন্ন করে অপরদিকে অন্য যে কোন উদ্ভিদের চেয়ে বেশী মাত্রায় কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে । তাই বিশ্ব ব্যাংক প্রতিশ্রুত বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিলের অর্থ দিয়ে বাঁশ রোপন ও বিকাশ কর্মসুচীকে বেগমান করা আশু কর্তব্য ।

বাঁশ চাষ পরিবেশ বান্ধব ও বার্ষিক নবায়নযোগ্য: পরিপক্ক একটি বাঁশ প্রতি বছর নতুন শুট গজানোর মাধ্যমে নতুন বাঁশের জন্ম দেয় । তাই মুল উদ্ভিদটিকে ধ্বংস করা ছাড়াই স্বতন্ত্রভাবে এর থেকে প্রয়োজনীয় বাঁশ সংগ্রহ করা যায় নিয়মিতভাবে ।

বাঁশঝাড়

ভূ-নিম্নস্থ রাইজোম থেকে কচি কান্ডের কৌণিক ডগা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে একটি বাঁশ ঝারের সৃস্টি হয় । তুলনামূলকভাবে অতি অল্প সময়ের মধ্যে (৩০-৬০ দিন) কচি ডগাগুলি পূর্ণ দৈর্ঘ্যে উপনীত হয়। এরপর গৌণ বৃদ্ধি চলতে থাকে এবং ২-৩ বছরের মধ্যে পরিপক্ক বাঁশে পরিণত হয়। পরিপুষ্ট বাঁশের রং ধূসর বা হলুদ

ছবি-২ : বাঁশ চারা ( শুট) গজানো ও বাঁশ ঝাড়

পৃথিবীর বুকে বাঁশই সবচেয়ে দ্রুততম বর্ধনশীল উদ্ভিদ , গ্রীষ্মমন্ডলীয় প্রজাতির কিছু বাঁশের শুটিং পর্যায়ে শিশুকালে দিনে চার ফুট পর্যন্ত বেড়ে উঠার রেকর্ড রয়েছে ।

বাঁশের বৈচিত্রতা

বিশ্বে প্রায় ১৫০০ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে । বাংলাদেশে জংলি ও আবাদি প্রকৃতির ২৬ প্রজাতির বাঁশ জন্মে, এর মধ্যে মৌলভি বাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ এলাকায় জন্মে দেশের সবচেয়ে বড় ও লম্বা প্রজাতীর বাঁশ । পার্বত্য চট্রগ্রামের পাহাড়ী এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতীর বাঁশ জন্মে । ঢাকার শহরের অদুরে গাজীপুরের শালবলে জন্মে ছোট ছোট নলীবাঁশ , যা ঘরের সিলিং এবং বাঁশী তৈরীতে ব্যবহৃত হয় ব্যপকভাবে ।

ছবি-৩: শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছের বিখ্যাত বড় জাতের বাঁশ

বাংলাদেশের বাঁশের জাত নিয়ে পল্লী কবি জসিমুদ্দীন তাঁর অমর সৃস্টি নকশী কাথাতে দিয়েছেন
সুন্দর বিবরন , শুধু বাঁশের প্রকারই নয় বাঁশ নিয়ে হয়েছে সুন্দর কাব্য রচনা যেমনটি দেখা তার সে কবিতায় :

আশ্বিনেতে ঝড় হাকিল , বাউ ডাকিল জোরে
গ্রামভর্ –ভর ছুটল ঝপট লট পট সব করে
রূপার বাড়ীর রুসাই ঘরের ছুটল চালের ছানি
গোয়াল ঘরের খাম থুয়ে তার চাল যে নিল টানি।
ওগা’র বাঁশ দশটা টাকায় , সে গায় টাকায় তেরো,
মধ্যে আছে জলির বিল কিইবা তাহে গেরো,।
বাঁশ কাটতে চলল রূপাই কোঁচায় বেধে চিড়া,
দৃপুর বেলায় খায় যেন সে – মায় দিয়েছে কিরা ।
মাঝায় গোঁজা রাম-কাটারী চক্ চকাচক্ ধার,
কাঁধে রঙিন গামছা খানি দুলছে যেন হার ।
মোল্লা বাড়ীর বাঁশ ভাল , তার ফাঁপগুলি নয় বড়;
খাঁ-বাড়ীর বাঁশ ঢোলা ঢোলা , করছে আড় মড়।
সর্বশেষে পছন্দ হয় খাঁ-বাড়ির বাঁশ :
ফাঁপগুলি তার কাঠের মত , চেকন-চোকন আঁশ।

অধিকাংশ প্রজাতির বাঁশ বড় আকারের উদ্ভিদ। এগুলি অনেক বৎসর যাবৎ অঙ্গজ প্রজননের মাধ্যমে বৃদ্ধি পায় এবং কদাচিৎ ফুল ধারণ করে। বাঁশের ফুল ধারণের বিষয়টি অনিশ্চিত স্বভাবের, দীর্ঘদিন পরপর ফুল আসে। তিন বছর থেকে ১২০ বছরের চক্রে ফুল আসতে পারে, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১৫-৬০ বছরের ব্যবধানে বাঁশ ফুল ধারণ করে। বাঁশের অধিকাংশ প্রজাতিই জমকালো ফুল প্রদানের পর মৃত্যুবরণ করে।কোন কোন ফুল থেকে বীজও হয়, তবে বীজ হওয়াটা অনিশ্চিত ।

ছবি-৪ : বাঁশের ফুল ও ফল

পরিবেশ বিশুদ্ধায়ন : বাঁশ জাতীয় উদ্ভিদ মাটি এবং জল থেকে ধাতু এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ নীজের শিকড়রের মধ্যে শোষনের মাধ্যমে বিশুদ্ধায়নের বিষয়ে খুব কার্যকরী বলে প্রমানিত ।

ছবি-৫ : বাশের শিকড়রের মাধ্যমে মাটির বিষাক্ত পরিবেশ বিশুদ্ধায়ন

উদ্ভিদ জাতীয় উককরণের মধ্য বাশ সবচেয়ে শক্তিশালী, ইস্পাতের থেকে অনেক কম হলেও এটা যথেস্ট শক্তির অধিকারী। ২৫ mm × ১০ m m পরিমান বাঁশের টেনসাইল শক্তি হলো ৯৪.৬০ N/mm² এবং ব্রেকিং ফোর্স হল ৪.৭৬ kN । অপরদিকে একই পরিমান স্টীলের জন্য টেনসাইল শক্তি হলো ৭৯২.৯০ N/mm² এবং ব্রেকিং ফোর্স হল ৩০৬.১৭ kN ( সুত্র:http://www.ijstr.org/final-print/nov2015/Comparative-Analysis-Of-The-Tensile-Strength-Of-Bamboo-And-Reinforcement-Steel-Bars ) । তবে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাঁশকে তার শক্ত অবস্থানে আনতে হবে । ইস্পাতের তুলনায় বেশী ভঙ্গুর বলে বাঁশেের রড বেশী লোড বিয়ারিং নির্মাণ কাজে ব্যবহার অনুপযোগী । যাহোক, বাঁশের এই শক্তির কারণে এখন আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করে রড তৈরী করে একে ব্যবহার করা হচ্ছে অনেক শিল্প কর্মে । বাঁশ দিয়ে তেরী রডের বিষয়টি এ লিখার অন্য অংশে দেয়া হয়েছে । মনে হয় বাঁশের শক্তির কথাটা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন বলেই তীতুমীর গড়েছিলেন বাঁশের কেল্লা যা পাক ভারত উপমহাদেশের স্বাধিনতা সংগ্রামের এক গৌরবময় স্মৃতি হিসাবে স্থান পেয়েছে ইতিহাসের পাতায় ।

ছবি-৬ : তীতুমিরের বাঁশের কেল্লা

নিরাপদ গৃহ নির্মাণে বাঁশ অনন্ন ; বিশ্বের এক বিলিয়ন মানুষ বাঁশের তৈরী ঘরে বাস করে । বাঁশ দিয়ে তৈরী ভবন অতী ভূমিকম্প সহনশীল বলে প্রমাণিত হয়েছে, তাই জাপানীরা বাঁশের বৈচিত্রময় ব্যবহারে বিশেষভাবে পারদর্শী ।

ছবি -৭ : জাপানীদের বাঁশের ঘর

অনেকই হয়ত জানেন না যে টমাস আলভা এডিসন প্রথম বৈদ্যুতিক বাতির মধ্যে বাঁশের ফিলামেন্ট ব্যবহার করেছিলেন এবং সেই বাল্ব এর একটি এখনোও ওয়াশিংটন ডিসির স্মিথসোনিয়ান মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে , এবং সেটি এখনো জ্বলে । ১৮৭৯ সনে এডিসন উদ্ভাবিত বাল্বের কারবরানাইজড ব্যমবো ফিলামেন্ট ১২০০ ঘন্টা পর্যন্ত জ্বলতে সক্ষম ছিল ।

ছবি-৮ : বাঁশের ফিলামেন্ট দিয়ে টমাস আলভা এডিসন কতৃক তৈরী প্রথম বৈদ্যুতিক বাল্ভ

বাঁশের প্রাণ বড় শক্ত : জাপানের হিরোসিমায় পারমাণবিক বোমা হামলার পর সেখানে বাঁশের মধ্যেই প্রথম উদ্ভিদ জীবন ফিরে আসে । এছাড়াও, কিছু বাঁশ ( -) ২০ ডিগ্রী ফা. ঠান্ডাসহিষ্ণু ।

বাঁশ মানুষের জন্য পুষ্টিও যোগায় ; কচি বাঁশের নরম কান্ড শতাব্দী ধরে এশিয়া জুড়ে খাওয়া হচ্ছে , এতে রয়েছে জার্মেনিয়াম, যা কোষের বয়োবৃদ্ধি রোধে সহায়তা করে । খাদ্যগুন ও স্বাদের কারণে চীন, থাইল্যন্ড ও মায়ানমারে বাঁশ ভেজিটেবল হিসাবে বেশ সমাদৃত । কচি বাঁশের ডগা মুখরোচক সবজি হিসেবে খাওয়ার উপযোগী। এ ধরনের কচি ডগা স্থানীয়ভাবে বাঁশ কোরাল নামে পরিচিত। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠী বর্ষার মৌসুমে বহুল পরিমাণে এটি খেয়ে থাকে।

ছবি -৯ : ব্যমবো ভেজিটেবল বা কচি বাঁশের তরকারী

থাই ,বার্মিজ ও ভিয়েতনামীরা বাঁশের ফাপানো কান্ডের ভিতরে জন্ম নেয়া শুয়োপোকা ধরে তেলে ভেজে মঝা করে খায় ।

ছবি-১০ : বাঁশের ভিতরে জন্ম নেয়া শুয়োপোকা তেলে ভেজে খাওয়া

বাঁশের শাখা ও পাতাও পশুদের জন্য ভাল পশুখাদ্য । বিশ্বের বিরল প্রজাতী পান্ডা কচি বাঁশ ও পাতা খেয়েই বেচে থাকে , এমন কি পৃথিবীর বৃহত্তর স্থল স্তন্যপ্রায়ী প্রাণী হাতীর কাছেও বাঁশ পাতা একটি অতি প্রিয় খাদ্য ।

ছবি-১১ : পান্ডা এবং হাতীর বাঁশ ও পাতা খাওয়া

এদেশের গ্রামীন জনপদে ছোট ছোট খাল এবং নালা পারাপারের জন্য আবহমান কাল যাবত ব্যবহৃত হয়ে আসছে
বাঁশের সাকু । শুধু কি গ্রামীন জনপদেই , রাজধানীর কিছু খালের উপরেও দেখা যায় বাঁশের সেতু ।

ছবি-১২ : বাঁশের সাকু ও সেতু

শুধু সাকু আর সেতু হিসাবেই নয়, বাঁশ ব্যবহৃত হয় বাড়ীর ছাদ নির্মানের জন্য সেন্টারিং খুটি ও বড় বড় ভবনের নির্মাণ কর্মী ও কাজের নিরাপত্তামুলক কর্মকান্ডেও ।

ছবি-১৩ : নির্মাণ কর্মী ও কাজের নিরাপত্তামুলক কর্মকান্ডে বাঁশের ব্যবহার

বাঁশের মন্ড কাগজ তৈরীর জন্য বিখ্যাত এ কথা সকলে জানে । এরকম বাঁশ দিয়ে কাগজ তৈরীর কারখানা রয়েছে দেশে । ইদানিং বাঁশের মন্ড হতে বস্ত্র শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ যথা তুলা ও সুতা তৈরী হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি অবলম্বন করে, তাই এ বিষয়টিও যথেস্ট গুরুত্ব রাখে ।

ছবি-১৪ : বাঁশ হতে তৈরী মন্ড তথা পাল্প

পরিবেশ বান্ধব বাঁশতন্তুজাত সুতার তৈরী পোশাকের এখন বেজায় কদর বিশ্বের সকল উন্নত দেশের বস্ত্র বাজারে । কৃত্রিম তন্তুর তৈরী বস্ত্রের বিরোপ প্রতিক্রিয়ার কারণে ইউরোপ আমিরিকার ডিপার্টমেন্টার স্টোরে এখন বাঁশ তন্তুজাত বিভিন্ন ধরনের বস্ত্রের কদর যেতেছে বেড়ে । এ বস্ত্র দেখতে সুন্দর , নরম মোলায়েম , ভাজ পড়েনা , ইস্তারির প্রয়োজন হয়না , শীত গ্রীস্মে পড়া যায় সমান ভাবে । বাংলাদেশের রপ্তানীমুখী পোশাক শিল্প পুরাটাই নির্ভর করে আমদানি করা থান বস্ত্রের উপরে । তাই যদি বাঁশতন্তু হতে এদেশেই করা যেতো পোশাক তৈরীর জন্য সুতাও প্রয়োজনীয় বস্ত্র তাহলে কত না সহজেই দেশটি এই খাতে স্বনির্ভর হয়ে যেতো , পোশাক শিল্পটি হতো আরো লাভবান, আমাদের মিলিয়ন মিলিয়ন দরিদ্র নারী পুরুষ গার্মেন্টস কর্মীর মজুরীটাও যেতো অনেক বেড়ে । এর জন্য প্রয়োজন বাঁশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং বিনিয়োগকারীদের যথাযথ মনযোগ ও সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা ।

ছবি-১৫: বাঁশ হতে তৈরী সুতা ও বস্র সম্ভার

এদেশের কুটির শিল্পে রয়েছে বাঁশের ব্যপক প্রয়োগ । বাঁশ দিয়ে তৈরী হচ্ছে মাদুর, চাটাই , হাত পাখা , ঝুরী, ধানের ডোলা, কোলা, আসবাব পত্র, খেলনা ঘর, খাট পালংক আরাম দায়ক বিছানা, মুর্তী ও ভাস্কর্য ।

ছবি-১৬ : বাঁশ জাত দ্রব্য


ছবি-১৭ : বাঁশের উপর মূর্তীর ভাস্কর্য শিল্পকর্ম


ছবি-১৮ : বাঁশের খাট ও বিছানা ( ব্যমবো তন্তু হতে তৈরী ম্যট্রেছ ও বালিশ)

ইদানিং আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করে বাঁশ হতে খুবই শক্তিশালী ও উন্নত মানের রড তৈরী হচ্ছে , জাপানীরা এ ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে আছে । তারা বাঁশের তৈরী রড ব্যবহার করে ভুমিকম্প প্রবন এলাকায় বাঁশের ঘরবাড়ী তৈরী করছে । তাছাড়া শক্তিশালী ব্যমবো রড এখন মাছ ধরার ছিপ তৈরীতে ব্যপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে । এরকম রডে তৈরী একটি মাছ ধরা ছিপের দাম দেশ ভেদে ২০০০ ডলারে বিক্রয় হয়ে থাকে । তাই বাঁশ এখন একটি উচ্চ মাত্রার ভেলু এডেড প্রডাক্ট হিসাবে বিবেচিত ।

ছবি-১৯ : বাঁশ হতে তৈরী রড ও মাছ ধরার ছিপ

বিভিন্ন প্রকার ঔষধী কর্মে প্রয়োগ সহ ব্যামবো ম্যাসেস এখন একটি অতি জনপ্রিয় ব্যমবো থেরাপী । হাতে পায়ে , মাঝায় , পিঠের বাত বিষ ব্যথায় , কিংবা রিলাকসেসনের জন্য এটা এখন অতি জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি । দুর প্রাচ্য ও পাশ্চাত্তের অনেক শহড়ে গড়ে উঠেছে ব্যমবো থেরাপী সেন্টার । ব্যমবো থেরাপীর কতক চিত্র দেয়া হল নীচে :

ছবি-২০ : ব্যমবো থেরাপী )

ছবি-২১ : বাঁশ দিয়ে আকুপাংচার চিকিৎসা

দু:খের সাথে বলতে হয় বাঁশের সুন্দর সুন্দর বহুবিদ ব্যবহারের বাইরেও নিন্মের চিত্রের মত এর কিছু অপব্যবহার ও দেখতে পাওয়া যায় । তাই চাইনা পুলিশের বাঁশের লাঠিপেটা খেয়ে কেও দৌঁড়ায়ে পালাক জীবনটা হাতে নিয়ে ।

ছবি-২২ : পুলিশ কতৃক মিছিলকারীদেরকে বাঁশের লাঠি পেটা, মিছিল কারীদের হাতেও অবশ্য দু একটা থাকে

অবশ্য জমি জমার দখল নিয়ে বাশের লাঠির বহুল ব্যবহার আছে দেশের অনেক অঞ্চলে সেই আদিকাল থেকেই । ধানের জমির দখল নিয়ে মারামারিকে বলে সাঁঝ । কাহিণীর নায়ক রূপাইকে নিয়ে এরকম সাঁঝের মারামারির একটি দৃশ্য সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পল্লী কবি জসিমুদ্দীন তার নক্সীকাথার মাঠে ।
ও রূপা তুই করিস কিরে? এখনো তুই রইলি শুয়ে?
বন-গেঁয়োরা ধান কেটে নেয় গাজনা-চরের খামার ভূঁয়ে |
কি বলিলা বছির মামু ? উঠল রূপাই হাঁক ছাড়িয়া,
আগুনভরা দুচোখ হতে গোল্লা-বারুদ যায় উড়িয়া |
লম্ফে দাঁড়ায় ছমির লেঠেল, মমিনপুরের চর দখলে,
এক লাঠিতে একশ লোকের মাথা যে জন আসল দলে |
দাঁড়ায় গাঁয়ের ছমির বুড়ো, বয়স তাহার যদিও আশী,
গায়ে তাহার আজও আছে একশ লড়ার দাগের রাশি |
গর্জে উঠে গাঁয়ের লোকে, লাটিম হেন ঘোড়ায় লাঠি,
রোহিত মাছের মতন চলে, লাফিয়ে ফাটায় পায়ের মাটি |
রূপাই তাদের বেড়িয়ে বলে, থাল বাজারে থাল বাজারে,
থাল বাজায়ে সড়কি ঘুরা হানরে লাঠি এক হাজারে |
তারি সুরে সব লেঠেল লাঠির, পরে হানল লাঠি,
"আলী-আলী" শব্দে তাদের আকাশ যেন ভাঙবে ফাটি
"মার মার মার" হাঁকল রূপা, --- "মার মার মার" ঘুরায় লাঠি,
ঘুরায় যেন তারি সাথে পায়ের তলে মাঠের মাটি |
বন-গেঁয়োরা পালিয়ে গেল, রূপার লোকও ফিরল বহু,
রূপা তবু নাচছে, গায়ে তাজা-খুনের হাসছে লোহু |
(মাঝে মাঝে লাইন বাদ দিয়ে কবিতাটি সংক্ষেপিত করা হয়েছে)

তবে বাঁশের এই লাঠি অনায়াসেই হতে পারে চিত্ত বিনোদনের জন্য খেলার উপকরণ । মনে প্রাণে চাই, বাঁশ পিটা নয়, বাঁশের লাঠি খেলা দেখার জন্য লোকজন দৌঁড়িয়ে এসে ভীর জমাক । গ্রাম বাংলায় বাঁশের লাঠি খেলার বেশ প্রচলন ছিল এক সময়, গ্রামীন এ খেলাটি এখন হারিয়েই যেতে বসেছে ।

ছবি-২৩ : গ্রামীন বাংলায় বাঁশের লাঠি খেলা

হেমন্তে নবান্নের উৎসবের আনন্দের অংশ হিসাবে শীতের আগমনীতে শুক্ল পক্ষে বাঁশের তৈরী সার্কাস মঞ্চে লোকজন উপভোগ করত বিশুদ্ধ বিনোদন । বাঁশের তৈরী সার্কাস প্যান্ডেলটিও দেখতেছিল মনোরম । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও রয়েছে বাঁশের তৈরী সুন্দর সুন্দর সার্কাস প্যান্ডেল ।

ছবি-২৪ : বাঁশের তৈরী চীনের বিখ্যাত একটি সার্কাস প্যান্ডেল

বাঁশের তৈরী সুউচ্চ চুড়া বিশিষ্ট মঞ্চে বিখ্যাত বেঙ্গল সার্কাস দল প্রদর্শিত ঝুঁকিপুর্ণ বাঁশের দুলনায় সার্কাস সে সাথে নিন্মের দৃশ্যের মত কিছু প্রাণঘাতি বিরল সার্কাস প্রদর্শনী বলতে গেলে এখন প্রায় উঠেই গেছে এ দেশ হতে । বিনোদনের অন্য মাধ্যম যথা টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে মানুষের জন্য কৃত্রিম শুটিং নির্ভর ব্যপক বিনোদনের সুযোগ সৃস্টি হওয়ায় জীবন্ত এই সার্কাস শিল্পটি এখন অস্তিত্ব সংকটেই ভুগছে । তাই বিশুদ্ধ বিনোদনকারী অতি দক্ষ কৌশলী কলাকুশলীর এই জীবন্ত সার্কাশ শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখার বিষয়টিও গুরুত্বের দাবী রাখে ।

ছবি-২৫ : বেঙ্গল সার্কাস দল প্রদর্শিত ঝুঁকিপুর্ণ সার্কাসের ছবি

দুনিয়ার সর্বত্রই বাঁশকে বলা হয় মিরাকল প্লান্ট । এর রয়েছে প্রভুত অর্থনৈতিক ও বানিজ্যিক সম্ভাবনা । বানিজ্যিক ভাবে চাষাবাদ করে এর থেকে বিপুল পরিমান আয় ও কর্ম সংস্থান করা যায় অনায়াসেই । আধুনিক প্রযুক্তি অবলম্বন করে পৃথিবীর অনেক দেশই টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উন্নত জাতের বাঁশের চারা উৎপাদন পুর্বক এখন একর প্রতি বাৎসরিক ২০ টন পর্যন্ত বাঁশ আহরন করতে সক্ষমতা অর্জন করেছে । সেরকমই উত্তর ভারতের একটি বাঁশ চাষ প্রকল্পের চিত্র নীচে দেখানো হলো ।

ছবি-২৬ : টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উন্নত জাতের বাঁশের আবাদ

বাঁশ চাষ সম্প্রসারন ও বাঁশ প্রেমিকদেরকে বাঁশের চারা সরবরাহের জন্য বিশ্বের অনেক দেশে রয়েছে নার্সারী । যেমন টি দেখা যায় আমিরিকার কালিফোর্নিয়ার ‘ব্যমবো সোর্সারীতে’ , সেখানে পাওয়া যায় গৃহস্থালী বাগানে লাগানো উপযোগী সৌখীন বাঁশের চারা গাছ যা গৃহস্থালী বাগানের শুভা বর্ধন করে ।

ছবি-২৭ : ব্যমবো তথা বাঁশ চারা নার্সারী

ঠিক অনুরূপভাবে আমরাও বাঁশ চাষ ও তার সম্প্রসারন ও বিকাশের জন্য গড়ে তুলতে পারি বাঁশ নার্সারী । টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উন্নতমানের দ্রুত বর্ধনশীল বাঁশের আবাদ প্রকল্প করতে পারি বাস্তবায়ন । বিশ্ব ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতিশ্রুত বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের জলবায়ু তহবিলের অর্থ হতে গড়ে তুলতে পারি বাঁশের সবুজ বেস্টনি যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় রাখতে পারে গুরুত্বপুর্ণ অবদান । রক্ষা পেতে পারে আমাদের জীব বৈচিত্র , এমনিতেইতো বিবিধ মনুষ্যসৃস্ট পন্থায় সুন্দরবন সহ জীব বৈচিত্র আজ বিলুপ্তির সন্মূখীন ।

দোলনা হতে কবর পর্যন্ত সবখানেই বাঁশজাত দ্রব্যের প্রয়োজন পরে । দেশে রয়েছে লক্ষাধিক বাঁশ শিল্পী কিন্তু গ্রামীন বাঁশ শিল্পীদের জীবন বড়ই দুর্বিসহ ও করুন । যদিও তারা গড়েন অপরূপ শিল্পকর্ম তারপরেও তারা বাস করেন নিতান্ত কুড়ে ঘরে, ফুলের মত পবিত্র বংশধরকে কাধে নিয়ে চেয়ে থাকেন দুচোখ মেলে অনাগত সুখের নীড় রচনার স্বপ্নের দিকে ।

ছবি-২৮ : দেশের অবহেলিত বাঁশ শিল্পীর করুন জীবনাচার

আমরা কি পারব তাদের স্বপ্নের নীড় করে দিতে রচনা । সকলের সুসন্বিত প্রচেস্টায় বাঁশের আবাদ বৃদ্ধি ও উন্নতমানের প্রযুক্তি প্রয়োগ করে এদেশের বাঁশকে আমরা নিয়ে যেতে পারি আরো অনেক উচ্চতায় সুখ সমৃদ্ধির সোপান তৈরীতে ।

বৃদ্ধকালে অনেকেরই অবলম্বন হয় বাঁশের লাঠি । কামনা করি কাওকে যেন যেন বাঁশের লাঠির উপর ভর দিয়ে জীবনের পথ চলতে না হয়, তাদের জন্য যেন সুন্দর সুস্বাস্থের একটি জীবন রচনা করে দিতে পারি, আপন ভুবনের কোন ক্ষেত্রেই যেন তাদেরকে বাশের লাঠির উপর ভর দিয়ে চলতে না হয়।

ছবি-২৯ : বাঁশের লাঠিটিই চলাফেরার জন্য বৃদ্ধার একমাত্র অবলন্বন

বাঁশ যেন হয় সুখের হাতিয়ার , এর থেকে যেন বের হয় মিস্টি মধুর জীবনের সুর , যেমনটি হতো শ্রীকৃঞ্চের মোহন বাঁশীতে । শেষ বেলায় আরো একটি বিষয় না বললেই নয় , আমাদের দেশের বাঁশ শিল্পীদের তৈরী বাঁশী এখন দেশের সীমা পেরিয়ে বিদেশের বাজারেও দিয়েছে পারি । কুমিল্লার হোমনা উপজেলার শ্রীমদ্দি গ্রামের অর্ধশত পরিবার মোহন, মরালী, মুখ, নাগিনী, ক্যালেন কিংবা পাখি এমনসব শ্রুতিমধুর নামের বাঁশি তৈরি করে বিদেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন বাংলার বাঁশির নাম। শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনা সত্যি। বাংলাদেশের তৈরি বাঁশি রফতানি হচ্ছে বিদেশে আর আনছে বিদেশী মুদ্রা। বাঁশি রফতানি হচ্ছে- সিঙ্গাপুর, ব্রিটেন, জাপান, কানাডা, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে। তাই এখন শুধু কৃষ্ণই নন অনেক বিদেশী রাধিকার হাতেও উঠে এসেছে এদেশের শিল্পীর তৈরী ভুবন বিখ্যাত সুরেলা বাঁশের বাঁশি । এবার এখানে CLICK করে তেমনি এক রাধিকার বাঁশীর সুর শুনতে শুনতে এ লিখা পাঠের যবনিকায় চলে আসা যাক ।

ছবি-৩০ : কোন এক বিদেশী রাধিকার বংশীবাদন

পরিশেষে একটি কথাই বলা যায় বাঁশ যেন হয় শুধু মঙ্গলেরই প্রতিক ।

ধন্যবাদ এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ।

ছবি সুত্র : অন্তরজাল

মন্তব্য ৯৮ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৯৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

মায়া মৃত্তিকা বলেছেন: বাঁঁশ!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । বুঝতে পেরেছি ! চোখ বন্ধ করে থাকলে তো আর প্রলয় বন্ধ হবেনা । দুনিয়া জোড়ে ব্যমবো থেরাপী সেন্টার এর বিকাশ ঘটে চলেছে দুর্বার গতিতে , বাঁশ অধ্যুসিত মায়ানমারের আরাকানে রোহিঙ্গাদের উপরে বাঁশ দিয়া কেমন নির্বাতন চলছে , ছেলে বুড়ো , কিশুর কিশুরী কেও রেহাই পাচ্ছেনা ।

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৫

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: আপনার বাঁশ প্রবন্ধ অসাধারন হয়েছে।ধন্যবাদ ভাই।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রবন্ধটি অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৫

অন্তু নীল বলেছেন:
অসাধারণ তথ্যবহুল বাঁশের রচনা।
দশে দশ।

তবে একটা রহস্য উন্মোচিত হল।
"বাঁশ ইস্পাতের চেয়েও শক্তিশালী ".....এই জন্যই বোধহয় বাংলাদেশে বিভিন্ন সরকারী স্থাপনাতে লোহার বদলে বাঁশ ব্যবহৃত হচ্ছে। :D

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লিখাটি মনযোগ দিয়ে পাঠের জন্য । দু:খিত বাঁশ ও স্টিলের তুলনামুলক লিখায় দেয়া তথ্যটিতে কিছু ভুল হয়েছে , যা একটি ভুল মেসেজ দিবে । লিখার সে জায়গাটি সংশোধন করে দিয়েছি । Ogunbiyi,Et al পরিচালিত Comparative Analysis Of The Tensile Strength Of Bamboo And Reinforcement Steel Bars As
Structural Member In Building Construction একটি সমীক্ষার মুল কথা তুলে দেয়া হল নীচে ।
This study was aimed at testing and comparing the tensile strength of bamboo and steel reinforcement bars as structural material for building construction. Tensile strength tests were carried out on various sizes steel and bamboo; categories of reinforcement bars such as; 10mm, 12mm, 16mm,20mm and 25mm of both high-yield and mild-yield steel reinforcement bars were both tested along with same sizes of bamboo with 10mm crosssectional thickness.
সমীক্ষাটি হতে দেখা যায় যে :
২৫ mm × ১০ m m পরিমান বাঁশের টেনসাইল শক্তি হলো ৯৪.৬০ N/mm² এবং ব্রেকিং ফোর্স হল ৪.৭৬ kN । অপরদিকে একই পরিমান স্টীলের জন্য টেনসাইল শক্তি হলো ৭৯২.৯০ N/mm² এবং ব্রেকিং ফোর্স হল ৩০৬.১৭ kN ( সুত্র: Click This Link) .
The study concludes that due to the minimal breaking force (FB) of bamboo, it cannot be employed as a main structural member in building and other engineering works but can be used as portioning wall, ceiling, roof and other areas of engineering construction that is not heavy load-bearing.

অনেক ধন্যবাদ সুচিন্তিত মতামতের জন্য ।

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



মন খারাপ হয়, তিতুমীর বৃটিশের শক্তিকে অনুধাবন করতে পারেননি; বৃটিশের বিপক্ষে স্হায়ী কোন স্হাপনা করার দরকার ছিলো না; যা করার, ডাইনামিক পজিশন থেকেই করার দরকার ছিলো; কারণ, বৃটিশের কাছে দুর -পাল্লার কামান তখনিই ছিলো।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । অআমারো তাই মনে হয় , তীতুমীর বাঁশের শক্তি অনুধাবন করতে পারলেও বৃটিশের শক্তিকে সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারেন নি । তবে বাঁশের কেল্লা গড়ে বৃটিশের বিরোদ্ধে লড়ার জন্য তিনি মানুষের মনে একটি শক্তির ভিত গড়তে সক্ষম হয়েছিলেন বৃটিশরা যাকে কামানের থেকেও বেশি ভয় পেত ।

৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০৪

বিলুনী বলেছেন: বাঁশ নিয়ে সুন্দর রচনা , অনেক নতুন তথ্য জানা হল , ধন্যবাদ

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর অনুভুত হওয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: আসল জিনিসটাই তো খুঁজে পাইলাম না? মানে আমরা যে দিন-রাত হরহামেশাই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষো ভাবে অন্যকে এই জিনিসটা খুব চমৎকার ভাবে দিয়ে চলেছি, সেটার তো কোন উল্লেখ পাইলাম না? বাঁশ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে তো ঐ জিনিসটাই সবার আগে আসা উচিত...... ;)

ব্যাম্বু কথন ভাল হইছে! শেষের ছবিটা দিয়া পোস্টের সৌন্দর্য তো আরো বাড়াই দিলেন! ইয়ে আমি কিন্তু দেখি নাই, পাশ থেকে একজন কইলো আরকি! :P

শুভ কামনা!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য । জি কথাটা মনে ছিল , এটা কি ভুলা যায় , ও জিনিষটার ভুক্তভোগী কমবেশী সবাই । প্রথম পোস্ট করা লিখায় উপসংহারে লিখেছিলাম , কিন্ত পরে এটা বাদ দেয়া হয়েছে , কারণ মনে হল শুভ অশুভ এটা দুনিয়াতে থাকবেই, যত চেষ্টাই করিনা কেন , তবু একটু টাচ দিয়ে গেলাম এটা যেন প্রয়োগ হয় শুধু মঙ্গলার্থেই ।
ধন্যবাদ পোস্ট ভাল লাগার জন্য , আর পাশের জনের জন্যও রইল ধন্যবাদ ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
সত্যি বাঁশ একটা দরকারী জিনিষ,কখন যে কোন কাজে লাগে !

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বাঁশ দিয়েই তাজমহল রক্ষা!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় কবীর ভাই , ঠিকই বলেছেন বাঁশ অনেক কাজে লাগে । কখন যে এটা কিভাবে প্রয়োগ হয় সেটা চিন্তা করলে মাথা ঘুরে যায় । আপনার দেয়া লিংকটা ঘুরে দেখে আসলাম । বিশেষ ধন্যবাদ রইল এত সুন্দর একটি ছবি আপনার সৌজন্যে দেখতে পেলাম বলে। সেটাকে এখানে এনে সকলের সাথে সহজে শেয়ার করার লোভটা সামলাতে পারলাম না । তাই বাঁশ দিয়েই তাজমহল রক্ষার একটি ছবি সেখান হতে এনে এখানে তুলে দিলাম ।

সৌজন্যে : শাহরিয়ার কবীর
এটাও জানা গেল যে ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে ইংরেজদের অন্যতম আশঙ্কা ছিল জার্মানি ও জাপান তাজমহলের উপরে বোমাবর্ষণ করতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই তাজমহলের চূড়া বাঁশ দিয়ে ঢেকে ফেলেছিল ইংরেজরা। এমনকি স্বাধীনতার পরে ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধের সময়ও এই একই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
বাঁশের লাঠিটিই চলাফেরার জন্য বৃদ্ধার একমাত্র অবলন্বন

বৃদ্ধাশ্রম নয়, পরিবারই হোক বাবা-মায়ের নিরাপদ আবাস আর কোন বাবা মাকে যেন বৃদ্ধাশ্রমে যেতে না হয়।

পোষ্টে ভালো লাগা রেখে গেলাম।


++++

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , সর্বান্তকরণে সহমত , বৃদ্ধ কালে পরিবারই হোক বাবা-মায়ের নিরাপদ আবাস আর কোন বাবা মাকে যেন বৃদ্ধাশ্রমে যেতে না হয়।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল

৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



সুপ্রিয় লেখক,

লেখাটিতে প্লাস++++

কিছুটা সংশোধন দরকার। এই লেখাটির শুরুতেই যে কবিতাটি সেটি ডি এল রায়ের নয় বরং কবিতাটি যতিন্দ্রমোহন বাগচি লিখেছিলেন।


বাঁশ অবশ্যই আমাদের এক অসাধারণ সম্পদ। সরকারী রাস্তার দুধারে, ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে, সরকারী অফিস আদালত চত্তরের খোলা স্থানে এগুলো লাগানো যেতে পারে। বাণিজ্যিক খামার ও শিল্পে বাঁশ লাগানো বাধ্যতামূলক করা উচিত। এতে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে তেমনি প্রচুর আসবাবপত্র ও ঘরবাড়ি ও বেড়া নির্মাণ কাঁচামালও পাওয়া যাবে।


বাঁশ নিয়ে একটা প্রাচীন প্রবাদ আছে - কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ পাকলে করে ঠাসঠাস। এই বাশুলী গুলো পুলিশকে সরবরাহ করে উঠন্তি বেয়াড়াদের শায়েস্তাও করা যাবে!


ভাল লিখেছেন! শুভকামনা!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় ডানা ভাই ভুলটুকু ধরিয়ে দেয়ার জন্য । সেই কবে ছোট বেলায় পড়েছিলাম , তাই কবিতাটির লিখকের সঠিক নামটি ভুলে গিয়াছিলাম, এখন শুদ্ধ করে দিয়েছি ।

বাঁশের ব্যবহার ও এর উন্নয়ন নিয়ে আপনার সুচিন্তিত গঠনমুলক কথাগুলি যদি সরকার আমলে নেয় তাহলে দেশের অনেক উপকার হয় । পৃথিবীর আনেক দেশেই বাঁশের উন্নয়ন ও এর ভেলু এডেড ব্যবহার নিয়ে প্রচুর গবেষনা হয় ,যা আমাদের দেশে বলতে গেলে খুবই অপ্রচুর । বাঁশ নিয়ে ঠিকই বলেছেন কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ পাকলে করে ঠাসঠাস, এর লাগসই প্রয়োগে উঠতি বেয়াড়াদের হতে পারে সর্বনাশ ।

শুভেচ্ছা রইল

১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

আখেনাটেন বলেছেন: বাঁশের এত্ত গুণ। অসাধারণ লেখা। এরকম ফিচার পড়লে মন ভালো হয়ে যায়।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ , আপনার কথায় খুবই অনুপ্রানীত হলাম । আমরা প্রত্যেকেই বাড়ীর আঙ্গীনায় একটা দুটো বাঁশ লাগাতে পারি । এটা এমন কোন জায়গা নেয়না কিন্তু বাড়ীর সৌন্দর্য বাড়ায় , এমন কি যাদের কোন জায়গা নেই তারা ঘরের বারান্দায় বা ভিতরে টবে নিন্মের মত সৌখীন জাতের বাঁশ লাগাতে পারেন । বাঁশ বায়ু দুষন রোধে সবচেয়ে বেশী কার্যকরী ।


শুভেচ্ছা রইল

১১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: আজকাল বিয়েবাড়ি, সভার প্যান্ডেল, ওয়াজ মাহফিল, ঈদগাহে প্যান্ডেল প্রস্তুতিতে বাঁশ ছাড়া চলেই না। তথ্যবহুল লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । বাঁশের বহুমুখী ব্যবহার নিয়ে অতি প্রয়োজনীয় গঠনমুখি কথা বলেছেন । টিকই বলেছেন আজকাল বিয়েবাড়ি, সভার প্যান্ডেল, ওয়াজ মাহফিল, ঈদগাহে প্যান্ডেল প্রস্তুতিতে বাঁশ ছাড়া চলেই না ।
শুভ কামনা রইল ।

১২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

বিজন রয় বলেছেন: অসাম। সুপার।

তথ্যবহুল, দারুন গবেষণা।

+++

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



দাদার হাতে কলম ছিল , ছুড়ে মেরেছে, তাইতো
এই পোস্ট সুপার হয়েছে :)
অনেক অনেক প্রিত হয়েছি প্রসংসাবাণীতে ।
নিরন্তর শুভেচ্ছা থাকল ।

১৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

রায়হান চৌঃ বলেছেন: ভাই এই বাংলায় বাঁশ সার্থক হতে পারেনি :( পারব..... !! ঐ দিন !! যে দিন এ দেশর নীরিহ মানুষ গুলো বাংলাদেশ সংসদে ৩৬৫টি তৈলাক্ত করে পাছায় দিতে পারবে তবেই মনে হয় বাঁশ এর জন্ম টা সার্থক হবে

বাঁশের জয় হোক

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ঠিকই বলেছেন এ কারণেই সংসদের বাগানে কোন বাঁশ নাই । সেখানে লাগাতে হবে আইক্কাওয়ালা কাটা বাঁশ ,ওটার চেহারা দেখলেই যেন মনে পড়ে যায় , জনগনের সাথে করলে গাদ্দারী হবে কি উপায় !!!!

ধন্যবাদ বাঁশের জনম সার্থকতা নিয়ে সুন্দর কথামালার জন্য অ

১৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

বিজন রয় বলেছেন: এ বাঁশ সে বাঁশ নয়।

আমার বাস এই দেশেই।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



কি যে বলেন একেই বলে বাঁশ!!
আসতেছি এখুনিই তব আবাস

১৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২

প্রামানিক বলেছেন: বাঁশ কাহিনী খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বাঁশ কাহিনী আপনার কাছে খুব ভালো লাগায় আমার কাছেও খুব ভাল লাগছে । হয়ে যাকনা ছড়ার যাদুকরের হাতে বাঁশের বিচিত্র প্রয়োগ নিয়ে একটি ছড়া । বাঁশের এবংবিদ ব্যাবহারে নিশ্চয়ই জাগাবে সাড়া । বাঁশে বাস, হয়ে যাবে সুন্দর আবাস, বাশ ঝাড় হতে বইবে সুবাতাস, কমে যাবে কার্বন বাড়বে অক্সিজেন হবে জলবায়ু বিপর্যয় হ্রাস ।
শুভেচ্ছা রইল

১৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
বাঁশের এতো এতো শিল্পের মাঝে এটাই আমার সব থেকে পছন্দ হয়েছে। B-)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , ভাল লাগল পছন্দ দেখে , সেই জন্যতো বাঁশ নিয়ে এত ভাবনা ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

১৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
অনেক রকম বাঁশ দেখেছি, কিন্তু তেতুলিয়াতে গিয়ে এতো মোটা বাঁশ দেখলাম যা অন্য কোথাও দেখিনি

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এরকম জায়ান্ট বাঁশ থাইল্যন্ডে দেখতে দেখতে পাওয়া যায় , তারা বলে জায়ান্ট ব্যমবো , এরকম জায়ান্ট ব্যমবো যে আমাদের দেশের উত্তরাঞ্চলের তেতুলিয়াতে পাওয়া যায় তা জানা ছিল না । ধন্যবাদ ছবিসহ এ গুরুত্বপুর্ণ তথ্যটি জানানোর জন্য । বাঁশের এ ছবিটি আমার এ লিখার ব্লগটিকে সমৃদ্ধ করেছে । আপনার ব্লগের অনেক পোস্টেই বিশেষ করে পার্বত্য এলাকার উপরে আপনার ছবি ব্লগে সুন্দর সুন্দর বাঁশ ঝাড়ের ছবি দেখা যায়, সাথে সেখানকার জীব বৈচিত্রও । আপনার অসাধারণ পরিশ্রমী কাজের ফল দেখে ভাল লাগে ।

শুভেচ্ছা জানবেন ।

১৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কচি বাঁশের সালুন সত্যিই বেশ মজাদার হয়।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ ব্যমবো ভেজিটেবল নিয়ে আসার জন্য । ব্যমবো ভেজিটেবলের মত তাজা তরকারী পাওয়া বেশ দুস্কর । ব্যমবো ভেজিটেবল পাক করা খুবই সহজ । ছালুনতো আরো মজা । একটি ব্যামবো ভেজিটেবল ডিস আপনার তরে করা হল পরিবেশন।


১৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ডঃ আলী,

একটা পোস্ট। এক সপ্তাহের তথ্যের জন্য যথেষ্ট।

বিছানা খুব পছন্দ হইছে।

তবে বাঁশের সর্বাধিক যে ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে তা আমাদের হাত ধরেই হচ্ছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজপুত্র , এই একটি ক্ষেত্র তথা বাঁশের প্রয়োগে দেখা যায় দিশা ঠিক আছে !!!
আর্টিফিসিয়েল ফোমের থেকে বাঁশের পাল্পের তেরী বিছানা অনেক বেশী স্বাস্থ্যকর
বলে প্রমানিত হয়েছে দুনিয়া জুড়ে । তাইতো ব্যমবো পিলু নামে একটি বহুজাতি
বাবসায়ী কোম্পানী বিছানার ব্যবসা করছে দুনিয়া জুড়ে ।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাঁশের ব্যবহারে আমাদের হতেই হবে সংযত , না হলে
এটা যে কখন কার উপরে পড়বে দেবতাও না জানন্ত ।

শুভেচ্ছা রইল

২০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,



বরাবরের মতোই একটি "ডঃ এম এ আলীয়" পোস্ট ।
কি নেই এই লেখায় ? তথ্য, ছবি, কবিতা , উপমা, সংস্কৃতি মিলিয়ে লেখাটি কচি বাঁশের তরকারীর মতোই উপাদেয় ।
সব ছবিই সুন্দর তবে প্রথমটি , ৩য় টি আর মন্তব্যের ঘরে আপনার দেয়া ছবি দু'টি অসম্ভব সুন্দর ।

বাঁশ নিয়ে কিছুই বলার রাখলেন না , শুধু বাশঁ দিয়ে গেলেন মুখ ফুঁটে কিছু বলার । :P
আর "সাদা মনের মানুষ" এর দেয়া বাঁশ তো সব কিছু ছিঁড়েফুঁড়ে যাওয়ার মতো । :(
ঐ বাঁশ দিয়ে যদি কাউকে "বাঁশ ডলা" দেয়া হয় , ভাবছি তার কি হবে !!!!!!!!!! ;)

অপূর্ব একটি পোস্ট ।
++++++++

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রসংসাবানীতে আমি মুগ্ধ ও অভিভুত । ছবি ভাল লাগায় খুবই খুশী হয়েছি । সাদা মনের মানুষ কস্ট করে বনে বাদারে ঘুরে আমাদের জন্য দেশের সেরা বস্তুটা খুজে বের করে আনেন । তিনি একজন সেরা প্রকুতি অনুসন্ধানী, তাতে তোন সন্দেহ নাই । বাঁশ ডলা কর্ম এখন সেরা বানিজ্যিক বিষয় হয়ে গেছে । ইনাটার নেটে দেখলাম এক ঘন্টার বাশ বাঁশ ডলা ম্যসাজ ( ব্যমবো থেরাপী ) এর জন্য গড়ে ১০০ ডলার চার্জ করে , তবে শুনেছি তৃতীয় বিশ্বের পুলিশ সুযোগ পেলে ইন্টাগেশনের সময় অনেকের কাছ থেকে এর থেকেও নাকি বেশী্‌ আদায় করে ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

২১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: স্যালুট আপনাকে আলী ভাই ! বেশ সময় নিয়ে কয়েকবার দেখলাম পোষ্ট ,অনবদ্য ।

আমার নিজের ও বছর পাচেক পর নিজ ভূমে ফিরে বেশ কিছু প্রোজেক্ট হাতে নিয়ে কাজ করা ইচ্ছা আছে ,একদম গ্রামে ।তাদের মাঝে এই কল্পনা ও রেখেছি , ইনশা আল্লাহ শুরু করার আগে আপনার পরামর্শ অবশ্যই নিব ।

অনেক অনেক ভালো থাকুন :)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আপুমনির স্যলুট মাথায় করে নিলাম । এর প্রতিদান দেয়ার সামর্থ আমার নেই তবে বিনম্রভাবে জানাই আপনার লিখাগুলিতে পাই শুধু মুগ্ধতা অনেক বহুমাত্রিক অর্থবোধক শব্ধ সমাহার যা আমাদের জ্ঞানের পরিধিকেই করে বিস্তৃত ।
আপনার লিখার প্রতিটি শব্দেই থাকে এত বহুমুখী ব্যঞ্জনা যা সাহিত্যকে দেয় ভিন্ন এক মাত্রা । প্রতিটি শব্দের পিছনেই থাকে একটি পটভুমি বা ইতিহাস ।
নীজের দেশে ফিরে কিছু প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করবেন শুনে খুব খুশী হয়েছি । দেশের দরিদ্র গ্রামীন জনগনকে নিয়ে অল্প আয়াসে অল্প পুজিতে কাজের অনেক অবকাশ আছে । উদাহরন স্বরূপ এই বাঁশ হতে বস্ত্র প্রকল্প যা দুনিয়াতে Bamboo Textile হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে । গ্রামীন দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে নিয়ে এ বিষয়েই আয় ও কর্মসংস্থান সৃজনের যথেস্ট অবকাশ আছে । এটাকে সহজেই নিয়ে যাওয়া যায় তাদের কাছে । আপনি জেনে অবাক হবেন Bamboo Textile এর মাধ্যমে সহজেই Silk Textile এর substitute হিসাবে দাঁড় করানো যায় । বিশ্বের সেরা টেক্নটাইল ডিজাইনারগন এ বিষয়ে কি বলেন দেখা যাক Designers such as Kate O’Connor use bamboo fabric as an eco-friendly replacement for silk. Speaking of bamboo eco-fashion, Kate O’Connor calls bamboo fashion “so much cheaper [than silk] and it’s really good for the environment.” “It is the perfect summer fabric” according to Kate O’Connor. Linda Loudermilk, another eco-fashion designer, frequently incorporates bamboo into her eco-fashions.

বাঁশ থেকে সুতা ও তার থেকে বস্র বয়ন প্রক্রিয়া যদিও একটি টেকনিক্যাল বিষয় তার পরেও একে গ্রামীন মানুষের জন্য উপযোগী করা যায় সহজেই বাঁশ চাষ , আহরন ও প্রাথমিক প্রক্রিয়া করন কর্ম কান্ডের সাথে তাদেরকে সম্পৃক্ত করে ।

যাহোক, শুভ কামনা রইল আপনার যে কোন প্রকল্পেরই সফল বাস্তবায়নের তরে ।

২২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: অসাধারণ তথ্য সমৃদ্ধ একটি পোস্ট। অনেক ভালো লেগেছে পড়ে, জানলাম অনেক কিছুই।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্টটি অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।

২৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০০

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: তথ্যবহুল ও মন্মুগ্ধকর পোস্ট , আপাতত নিজের সংগ্রহে নিয়ে রাখলাম .।। পরে কখন পুরটা পড়ে শেষ করে মন্তব্য দেবো


শুভ কামনা

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্টি মনোমুগ্ধকর অনুভুত হওয়ার জন্য খুবই খুশী হয়েছি । সুবিধামত সময়ে আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য পেলে খুশি হব । পোস্ট টি একটি বড় উদ্দেশ্য নিয়ে প্রনীত । আমি জানি ব্লগে খুবই উচ্চ শিক্ষিত বিজ্ঞ ও সমাজ সচেতন লোকজন বিচরণ করেন । বাংলাদেশে বাঁশ বলতে গেলে একটি Under explored উদ্ধিদ , খুবই অযন্তে এরা দেশের মাঝারী ও বড় বড় জোতদারদের জমিতে বাড়ীর পিছনে অযত্নে অবহেলায় অসমন্বিত ভাবে জন্মায় ও বেড়ে উঠে ও নীজেদের গৃহস্থালী প্রয়োজনের বাইরে বানিজ্যিক ভাবে ব্যবহৃত হয় । দরিদ্রের ঘরবাড়ী নির্মান ও শহরাঞ্চলের ভবন নির্মান কাজে সেন্টারিং, সভাসমিতির মঞ্চ তৈরী , কিছু কুটির শিলপজাত দ্রব্য তৈরী , ও নিউজ প্রিন্ট তৈরীতে ব্যাহৃত হয় । অথচ ইদানিং বাঁশ দিয়ে হচ্ছে অধিক ভেলু এডেড প্রডাক্ট । বিশেষ করে Eco-friendly Bamboo Textiles with many fantastic properties that combindly make this a truely amazing fabric. It is breathable and cool, has a nice lustre; extremely soft; fast water absorption performance; and anti-bacterial.

আপনি নিশ্চয়ই জানেন, বাংলাদেশের রপ্তানীমুখী পোশাক শিল্প পুরাটাই নির্ভর করে আমদানি করা থান বস্ত্রের উপরে । তাই যদি বাঁশতন্তু হতে এদেশেই করা যেতো পোশাক তৈরীর জন্য সুতাও প্রয়োজনীয় বস্ত্র তাহলে কত না সহজেই দেশটি এই খাতে স্বনির্ভর হয়ে যেতো , পোশাক শিল্পটি হতো আরো লাভবান, আমাদের মিলিয়ন মিলিয়ন দরিদ্র নারী পুরুষ গার্মেন্টস কর্মীর মজুরীটাও যেতো অনেক বেড়ে । এর জন্য প্রয়োজন বাঁশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং বিনিয়োগকারীদের যথাযথ মনযোগ ও সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা । কিন্ত বিনিয়োগকারী ও সরকারকে এ কাজে মটিভেট করতে হলে প্রয়োজন ব্যপক জনমত ও বাঁশ শিল্পের সামর্থতা অর্জন । জনগনের মাঝে সচেতনতার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের লোকজন রাখতে পারেন গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা , তাদের বিভিন্ন ধরনের লিখনীর মাধ্যমে , গল্প কবিতা , নিবন্ধ ,প্রবন্ধ কিংবা অন্য যে কোন মাধ্যমে ।
বিষয়টি দেশের আর্থ সামাজিক খাতে আনতে পারে অনেক পজিটিভ পরিবর্তন ।

শুভেচ্ছা রইল

২৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৭

মার্কো পোলো বলেছেন:
চমৎকার উপস্থাপনা। আপনার গবেষণার ধরন অসাধারণ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই খুশী হলাম এসে দেখেছেন বলে । ব্লগের বেশীরভাগ লোকজন ছোট অবয়বের লিখা পাঠে বেশী ভালবাসে । লিখার আকার বড় দেখলে মনে হয় অনেকেই লিখা পাঠের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন । একটি গবেষনা ধর্মী লিখা যতটুকু প্রাসঙ্গিক তথ্য দিয়ে লিখার কথা তা সন্নিবেশ করা সম্ভবপর হয়না অনেক ক্ষেত্রে । একটি বিনোদনমুলক ফান লিখা সব সময়ই থাকে পাঠক রুচীর শীর্ষে । অনেক মুল্যবান গবেষনামুলক কিংবা অন্য যে কোন তথ্যমুলক মুল্যবান লিখা দেখা যায় পড়ে থাকে পাঠক অবহেলায় । কবিতা সাহিত্য সে তো অমুল্য , তার জনপ্রিয়তো থাকবেই এবং সেটাই কাম্য । লিখায় তাই তথ্যের সাথে কাব্যিক একটি আবহ তৈরী করতে হয় অনিচ্ছা সত্বেও শুধুমাত্র লিখাটিকে পাঠকের কাছে চমৎকারভাবে উপস্থাপনের জন্য । যাহোক অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম আপনার কথামালা থেকে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার পোষ্ট বা মন্তব্য মানে সব সময়ই বিশেষ কিছু........তাই শ্রদ্ধা সব সময়।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই । বলতে গেলে আপনার লাইভ ও তরতাজা ছবি ব্লগ থেকে দেখে দেখেই আমি অনেক তথ্য পেয়ে যাই , লিখার প্লট পাই । আপনার মত দেশের এত দুর্গম এলাকায় যাওয়া হয়ে উঠেনি , তাই দেশের দুর্গম এলাকার জীব বৈচিত্র , মানুষের জীবনাচার , অর্থ নৈতিক ও সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের অনেক প্রামান্য তথ্য চিত্র পাই , ছবি অনেক সত্য কথা বলে , গভীর অন্তর দৃস্টি দিয়ে দেখলে বুঝা যায় কতখানি যত্ন নিয়ে আপনি গ্রাম বাংলার তথ্য চিত্র তুলে ধরেছেন আমাদের সন্মুখে । আশির দশকের খ্যাতিমান ফটোগ্রাফার নওয়্জেস অালী খানের কাছে দেখেছি ও শুনেছি তখনকার সময়ে ম্যনুয়েল কেমেরা দিয়ে কিভাবে তিনি বাংলা দেশের বনে বাদারের ছবি তুলতেন , সে এক বিরাট কর্মযজ্ঞ । বাংলার এই সর্ববৃহত ব্লগের জন্য আপনি নিরলসভাবে এই প্রয়াসসাধ্য কর্মটি করে আমাদের জন্য এক সমৃদ্ধ তথ্যভান্ডার যোগান দিয়ে যাচ্ছেন , কামনা করি প্রয়াসটি অব্যাহত রাখুন যথাসাধ্যভাবে ।
শুভেচ্ছা নিবেন ।

২৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭

নীলপরি বলেছেন: বাঁশ উপাখ্যান অপূর্ব লাগলো । অনেক কিছু জানলাম । বাঁশের যে সূতো হয় সেটা একেবারেই অজানা ছিল ।এতো সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে । পোষ্টে ++++++++++++++++++++++

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি , পোস্ট অপুর্ব অনুভুত হওয়ার জন্য খুশী হলাম , এত এত প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার এত অসাধারন একটা পোস্ট দেয়ার জন্য। বাঁশ নিয়ে আগ্রহ ছিলো, আপনার লেখা পড়ে তা অনেকাংশেই মিটলো। আপনার পোস্টটি সামহোয়্যারইন ব্লগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজেও শেয়ার করা হলো।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খবরটি শুনে নীজকে গৌরবান্বিত বোধ করছি । এই পোস্টটিকে সামুর অফিসিয়াল ফেসবুকে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
এসুযোগে একটি কথা বলতে চাই , তা হল দেশের কিছু পুর্ত নির্মাণ কাজে বাঁঁশের রডের ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়, পাকা রাস্তা নির্মাণকাজে বাঁশের রড ব্যবহার নিয়ে সামুতে রম্য আকারে কয়েকটি লিখাও দেখতে পাওয়া গিয়েছে । বাশের শক্তি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মিশ্র তথ্য রয়েছে বিভিন্ন ওয়েব সাইটে , কোনটাতে বলা হয়েছে বাঁশ ইস্পাতের চেয়েও শক্ত , কোনটাতে বলা হয়েছে কাছা কাছি , তবে তা প্রয়োগ করতে হবে কম লোড বিয়ারিংকাজে । আমার বাঁশ বিষয়ক রচনায় বিষয়টিকে বিষদভাবে আনা হয়নি একটি বিশেষ পয়েন্টের উপরে লিখাটির কলেবর বেড়ে যাবে বলে । তাই এখানে আপনার সদয় দৃস্টি আকর্ষনের জন্য বলতে চাই Comparative-Analysis-Of-The-Tensile-Strength-Of-Bamboo-And-Reinforcement-Steel-Bars এর উপরে International Journal of Scientific & Technology Research (VOLUME 4, ISSUE 11, NOVEMBER 2015). প্রকাশিত জার্নাল প্রবন্ধে বিস্তরিতভাবে বিভিন্ন দৃস্টিকোন হতে পরীক্ষা ও বিশ্লেষন করে দেখানো হয়েছে যে স্টীলের তুলনায় বাশের টেনসাইল স্ট্রেংগথ অনেক দৃর্বল । যথা ২৫ mm × ১০ m m পরিমান বাঁশের টেনসাইল শক্তি হলো ৯৪.৬০ N/mm² এবং ব্রেকিং ফোর্স হল ৪.৭৬ kN । অপরদিকে একই পরিমান স্টীলের জন্য টেনসাইল শক্তি হলো ৭৯২.৯০ N/mm² এবং ব্রেকিং ফোর্স হল ৩০৬.১৭ kN । সেই প্রবণ্ধের উপসংহার টকু এখানে তুলে দেয়া হলো ।
Several samples of bamboo and steel were tested and analyzed to examine their Tensile Properties. This test was carried out on high yield and mild yield steel including bamboo. Tensile test was carried out on 10mm, 12mm, 16mm, 20mm and 25mm high yield and mild yield steel bars. Bamboo also was prepared to about equivalent dimension having cross-sectional area of 10mm × 10mm, 12mm × 10mm, 16mm × 10mm, 20mm × 10mm and 25mm × 10mm.
The tensile test result indicates that bamboo unlike steel has a very poor tensile property and undergoes brittle failure when loaded. This is a huge disadvantage of using bamboo as a structural member in building construction. Therefore, the study concludes that due to the minimal breaking force (FB) of bamboo, it cannot be employed as a main structural member in buildings and other heavy engineering works but can be used for partition walls, ceilings, roofs and other areas of lightweight engineering construction that is not heavy load bearing.
এই অবস্থার প্রেক্ষিতে ভারী নির্মানকাজে যেখানে প্রচুর লোড বিয়ারিং কেপাসিটির প্রয়োজন সেখানে যদি এই বাঁশের রড ব্যবহার করা হয় তাহলে তা হবে জীবনঘাতি প্রচেস্টা , আর সরকারী উদ্যোগে যদি এই কাজ করা হয় তবে তা প্রতিহত করার জন্য জনমত গড়তে হবে জোড়ালোভাবে । জীবনঘাতি কোন কাজে একে ব্যবহার না করে অন্যান্য যথোপযুক্ত কাজে বিশেষ করে আমদানী নির্ভর টেক্সটাইল উপকরন যথা তুলা ও সুতার বিকল্প দেশীয় উপকরন হিসাবে বাঁশ কে ব্যবহারে মটিভেট করা যায় সরকারকে ।
জনগুরুত্বপুর্ণ বিষযটি নিয়ে আমাদের সামুর ব্লগারদের মধ্যে Bio-Chemical Engineering বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের কেও একটি পৃথক পোস্ট দিতে পারেন একটু বিস্তারিতভাবে । সামুতে আমার এই স্বল্পতর ব্লগ জীবনে জানা নেই কে এমন আছেন, তাই এ ব্যপারে আপনার সহৃদয় দৃস্টি আকর্ষন করছি ।
নিরন্তন শুভেচ্ছা থাকল ।

২৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রীতিমত এনসাইক্লোপিডিয়া অব বাঁশ। অসাধারণ পোস্টের জন্য শুভ কামনা।
একটা বিষয় বাদ গেছে, ইদারনিং বাঁশ ব্যাবহারের ক্ষেত্রের বিস্তৃতি ঘটেছে।সরকারী কাজে বিল্ডিঙের ছাদ আর রাস্তায় রডের বদলে ব্যবহার হচ্ছে বাঁশ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুপ্রিয় গিয়াস ভাই, আপনার প্রসংসাবোধক কথায় আমি মুগ্ধ । ধন্যবাদ গুরুত্বপুর্ণ তথ্য ও ছবি দিয়ে এ ব্লগ টিকে সমৃদ্ধ করার জন্য । আপনি যে চিত্রটি দেখালেন তাতে এ কাজে সংস্লিস্ট সরকারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতা কিংবা নির্লিপ্ততা যে ভয়াবহ জীবনঘাতি পরিস্থিতির সৃস্টি করতে পারে তাতে কোন সন্দে নেই। এর বিপক্ষে আমা্দেরকে হতে হবে সোচ্চার । এই বিষয়ে উপরে কাভা ভাই এর মন্তব্যে উত্তরে একটু বিস্তারিতভাবে লিখেছি। দয়া করে সেটা যদি একটু দেখেন খুশী হব । আপনার মত শক্তিশালী লিখকের লিখনীতে এ বিষয়টি আরো বিস্তারিতভাবে উঠে আসুক এ কামনা থাকল ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল

২৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

শরতের ছবি বলেছেন:



আমদের বাড়ির পাশে বাঁশের ঝাড় আছে । বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠতে দেখেছি ছোট বেলায় । এখন তাঁর জন্য খুব মায়া হচ্ছে । ঐ যে বাঁশিওয়ালা তার কথাও মনে পড়ছে ।
একটা গান ও গাইতে ইচ্ছে হচ্ছে ---'বাঁশি তুই বাজিস না রে
বাড়ে বুকের জ্বালা
কেমন করে বোঝাই তোরে
আমি যে অবলা ।'

আসলে লেখা খুবই ভাল লেগেছে । অনেক কিছু জানা হয়েছে ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব ভাল লাগল বাঁশ বাগান ও তার মাথার উপরে অআপনার ছোটকালে চাঁদ দেখার কথা শুনে । সেই চাঁদ বাড়ীর পিছনে সেই বাঁশ বাগান অআজো আছে, এবার দেখবেন দুজনে মিলে । বাশের বিষয়ে দেয়া গানটিও লেগেছে ভাল । বাঁশি নিয়ে প্রখ্যাত শিল্পী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর গানটি তুলে দেয়া হল নীচে :

বাঁশি বাজে ঐ দূরে চেনা কি অচেনা সুরে
এ লগনে মন মোর কিছুতে যে রয় না ঘরে।।

ভোলা মন ভুলে গেল কদমতলীর বাঁকে
ডাহুকিয়া কাঁদে একা তমালের শাঁখে।
ও তার সাথী হারা বেদনাতে হৃদয় জ্বরজ্বরে।।

কি যে করি মনে মনে ভেবে কিছু পাই না
বেভোলা মন নিয়ে মিছে শুধু জাল বোনা।

বাঁশরিয়ার বাঁশির সুরে মন হারালো
এমন করে বেদন দিয়ে কোথা চলে গেল।
ও সেই ডাল বাঁশি বাজাও আসি ডেকো না গো দূরে।।

ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল

৩০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১২

পুলহ বলেছেন: আপনার পোস্টগুলো বড় হলেও সেটাতে সাধারণত এত ইন্টারেস্টিং সব তথ্য থাকে, যে সেটা না পড়া মানে কিছু একটা মিস করা....
আপনাকে অনুসরণে নিলাম।
শুভকামনা জানবেন শ্রদ্ধেয় ব্লগার।
(মাত্রই পার্বত্য চট্টগ্রাম ঘুরে এলাম। তাই বাঁশ নিয়ে করা আপনার পোস্টের আবেদনটিও আমার কাছে হলো সেরকম!)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সময় নিয়ে পোস্ট টি দেখার জন্য । জানি এই ব্যস্ততার যুগে বড় পোস্ট পাঠে অনেকেরই সময় হয়না । অাবার ছোট করে লিখতে গেলে যা বলতে চাই তা সুন্দর করে গুছিয়ে বলতে পারিনি , অল্প কথায় প্রকাশে বিজ্ঞতা ও যোগ্যতা অনেক বেশী লাগে যার কোনটাই আমার তেমন নেই । তবে বিষয়ের উপরে বিজ্ঞ পাঠক সমাজের মন্তব্য প্রচুর তথ্য ও জ্ঞান দান করে যা ভবিষ্যতের জন্য পাথেয় হয় । আমাকে অনুসরনে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন । পার্বত্য চট্রগ্রাম ঘুরে এসে নিশ্চয়ই অনেক চমকপ্রদ তথ্য ভান্ডার সংগ্রহ করে এনেছেন, আমাদের সাথে শেয়ার করলে খুশী হব ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।

৩১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১১

গাওসেল এ. রাসেল বলেছেন: “জীবন একটা বাঁশ বাগান”- পুরো পোস্ট একটানা পড়ার চেষ্টা করে বিষয়টা আবার অনুধাবন করলাম। গেমু ভ্রাতাকে আন্তরিক অভিনন্দন, সময়োপযোগী ও অতীব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করে সবাইকে যত্নসহকারে বাঁশ দেওয়ার জন্য।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মনোমুগ্ধকর কথা শুনে খুবই ভাল লাগল । বাঁশকে সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারলে ও তাকে সঠিক কাজে সঠিক সময়ে প্রয়োগ করতে পারলে বেশ সুফল পাওয়া যায় । বাঁশকে Bamboo Textile হিসাবে বহুলভাবে ব্যাবহার করতে পারলে অনেক উপকার হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

শায়মা বলেছেন: এ বছরের সেরা তিন পোস্টের একটি।

ভাইয়া অনেক অনেক ভালোবাসা!

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



কদিন ধরে ভাবতেছিলাম যে যায় সে যায়,ফিরিবার নাম নাই,
সেকি দুর বহুদুর। আপুমনির অগমনে খুশী হলাম তাই ।
আকাশ সম মুল্যায়নের কথা শুনে অানন্দ ধরে মনে
অন্য দুটির কথাও মনে বাজে সর্বক্ষন , তাইতো
দেখা হয় তা বারে বারে। এলে কতদিন পরে
তা্ই বাঁশের ভিতরে রান্না থাই ভেজিটেবল
ডিশ দেয়া হল এসাথে পরিবেশন করে।
শুভেচ্ছা রইল ।


৩৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

বিজন রয় বলেছেন: শায়মা বলেছেন.........এ বছরের সেরা তিন পোস্টের একটি।

তাহলে অন্য সেরা দুটি পোস্ট কোনটা কোনটা?

জানতে পারলে ভাল হতো।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



দাদার হৃদয় হরণ করা মন মাতানো কবিতার পোস্ট গুলি যার
প্রতিটিতেই শতাধিক কমেন্টে যায় ভরে, নিশ্চয় তার ভিতর
হতে একটি উঠে আসবে সেরার কাতারে, আমরাতো
এমনিতেই দেখছি তা মন ভরে । অপেক্ষায় আছি
দাদার মনমাতানো কবিতার ডালি দেখার তরে ।

৩৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

বিজন রয় বলেছেন: এই তথ্যবহুল ও সমৃদ্ধ পোস্টটি স্টিকি হওয়ার দাবী রাখে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



এ রকম মুল্যায়নের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
জেনেছি অনেক লম্বা চক্রে বাঁশে ফুল ফোটে
তবে কামনা করব দাদার কথায় সেরকম
বাঁশের ফুল ফুটুক দাদার কবিতার
বাগানে ।

৩৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: বাঁশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। আপনার পোস্ট মানেই নতুন নতুন তথ্য জানা। খুব ভাল লাগে। বাঁশ যে সবচেয়ে বেশি অক্সিজেন উৎপাদন করে তা জানা ছিল না। বাঁশ আমার খুব প্রিয়। ছোটবেলায় খুব ইচ্ছে ছিল নানাবাড়ি থেকে বাঁশের চারা এনে ঢাকার বাসায় লাগাব। কিন্তু বাবা রাজি হলেননা। বললেন জংগল হয়ে যাবে।
ভূতদের দারুণ আশ্রয়স্থল বাঁশ ঝাড় জানেনতো ভাইয়া? :P

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বাঁশ নিয়ে জানার কোন শেষ নাই । প্রতিনিয়তই বাঁশ নিয়ে আসছে চমকপ্রদ নতুন তথ্য । দেখুন বাঁশ নিয়ে বিশ্ব বিখ্যাত গার্ডিয়ান পত্রিকায় কি লিখেছে :
Perhaps even more important, given the carbon dioxide emissions thought to be responsible for global warming and the threat to biodiversity, bamboo produces more than 35% more oxygen than trees. Research in Japan and elsewhere has demonstrated that bamboo can absorb as much as 12 tonnes of carbon dioxide per hectare per year, giving the plant a potentially crucial role in stabilising our planet's atmosphere. More bamboo would undoubtedly help the environment - but we need to find more modern uses for the plant।

নানা বাড়ী থেকে ভুতুরে বাঁশ না এনে এই ছোট্ট জাতের বাঁশ ঢাকার অদুরে গাজীপুরের শালবন থেকে এনে নীচের চিত্রের মত লাগাতে পারেন ঢাকার বাড়ীর লনের বাগানে । এ বাঁশে ভুতের বদলে ছোট ছোট মুনিয়া পাখিরা বাসা বাধবে আপন মনে , বাবাও খুশী হবেন ছোট্ট পাখিদের মিস্টি মধুর কিচির মিচির শুনে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

বিজন রয় বলেছেন: এই পোস্টটি স্টিকি করা হোক।

এই পোস্টটি স্টিকি করা হোক
এই পোস্টটি স্টিকি করা হোক
এই পোস্টটি স্টিকি করা হোক

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এমন করে পাশে থাকার জন্যে ।
তবে শঙ্কা হয় এটা না আবার বাঁশ আনে :) :)

ভাল থাকার শুভেচ্ছা রইল ।

৩৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৩

মেহ্‌নাজ আলতাফ বলেছেন: দারুন একটা পোস্ট! থ্যাংক ইউ সময় নিয়ে এতো তথ্যবহুল একটা পোস্ট এর জন্য।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


অনেক ধন্যবাদ কস্ট করে পোস্টের লিখা পাঠ ও দেখার জন্য । বাঁশ নিয়ে আমাদের অনেক কিছু করার আছে । বাংলার প্রকৃতিতে সহজে বিনা আয়েসে জন্মানো এই মহামুল্যবান বাঁশের বৈচিত্রময় ব্যাবহারকে একটি বৈপ্লবিক যুগে নিয়ে যেতে হবে । জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০৫০ এ আমাদের উপকুল ভাগ পানির নীচে তলিয়ে যাবে বলে অনেক পুর্বাভাষ দেয়া হচ্ছে । জলবায়ুর এই ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে উঠার জন্য বাঁশ গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে । ত্ছাড়া ব্যমবো টেক্সটাইল আমাদের বস্র ও তৈরী পোশাক শিল্পে আনতে পারে অনেক বড় সাফল্য ।

শুভেচ্ছা রইল

৩৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বাঁশ!!
সাবাশ!!
আগেই পড়েছিলাম কয়েক নিঃশ্বাস!
ফিচার হিসেবে জাক্কাস!!
বাঁশময় পোস্টে নাই মোটেও হাঁসফাঁস!
সাজানোটাও কিন্তু একদম খাঁস!
রেসিপিও টেস্ট করেছিলাম গপ গপ গাস গাস!!
বাঁশময় পোস্টে প্লাস প্লাস +!

;)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বাঁশ নিয়ে আছে কত যে কবিতা আর গান
আর এখানে গেমু ভাই এর বাঁশ নিয়ে
আধুনিক কবিতাটি অবলিলায় যুক্ত হতে
পারে বাঁশের কবিতার খাতায় ।

এ সুন্দর কবিতাখানির জবাব দিবার
মুরোদ আমার যে নাই
তাই বছর ছয়েক আগে
ব্লগার কিমা ভাই এর সামুর
পতায় লিখা কবিতাটি এখানে
তুলে দিতে চাই :

সবাই চায় খেতে ভাত-মাংস-মাছ,
আমি চাই খেতে বাঁশ।
আস্তো একটা গাছ---প্রজাতিতে ঘাস,
আমি খেতে চাই বাঁশ।

করতে হবে না কোনো চাষ,
শুধু খুঁজতে হবে চারপাশ।
নেই তাড়াহুড়া, নেই হাসফাঁস
আমি খেতে চাই বাঁশ।

বাঁশ খাবো, আমি খাবো বাঁশের পাতা
একে একে ভরে উঠবে আমার বাঁশরীয় কবিতার খাতা।
সময় ফুরালে বাঁশের ঝাড়েই পড়ে রবে মোর চিরবিদায়ের গাঁথা।

দিয়ে যাচ্ছি পূর্বাভাস,
ইহাই আমার অভিলাষ,
আমি খেতে চাই বাঁশ।


অনেক ধন্যবাদ এত ব্যস্ততার মাঝেও
এসে দেখে সুন্দর একটি কবিতা
উপহার দেয়ার জন্য ।

৩৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই মূল্যবান পোস্টটা সময় নিয়ে পড়লাম এবং অভিভূত হ'লাম। পোস্টে ত্রয়োদশতম "লাইক"।
বেশ কিছু নতুন তথ্য জানলাম, যেমনঃ
অবিশ্বাস্যভাবে বাঁশ অন্য সব গাছপালার চেয়ে বেশী পরিমানে অক্সিজেন উৎপন্ন করে অপরদিকে অন্য যে কোন উদ্ভিদের চেয়ে বেশী মাত্রায় কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে
শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছের বিখ্যাত বড় জাতের বাঁশ এর ছবিটা (৩ নং ছবি) খুব সুন্দর, ভাল লেগেছে। বাঁশের খাট ও বিছানাটাও খুব ভাল লেগেছে।
কিছুদিন আগে ইন্দোনেশিয়া থেকে ঘুরে এলাম। সেখানে বান্দুং শহরের Lembang নামক একটি জায়গায় 'দুসুন বাম্বু' নামে একটি বাঁশের দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
বাঁশ ঝাড়ের নীচে তোলা নিজের দুটো ছবি দিলামঃ





কোন যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে আমার মন্তব্যটি (৩৮ নং) এতবার করে রিপিট হয়ে গেছে। এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ৩৮ নং মন্তব্যটি মুছে দিলে বাধিত হবো।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
খুব ভাল লাগছে মনযোগ দিয়ে অনেক লম্বা সময় নিয়ে এ পোস্টের লিখা ও মন্তব্যগুলি পাঠের জন্য । বুঝতে পেরেছি কোন কারণে একটি টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছিল প্রথম মন্তব্যটিতে ।, কোন কারণে মন্তব্যের ঘরে এন্টার বাটনে চাপ পড়ে গেলে এমন হয় , বিশেষ করে ছবি ডাওনলোডের বেলায় , আমারো অনেকবার এমন হয়েছে, তবে নীজের পোস্টে হলে সংশোধন করা যায় কিন্তু অন্য কারো পোস্টে হলে তা আর করা যায়না । ভাবতেছিলাম আপনাকে রিকোয়েস্ট করবো মন্তব্যটিকে রিপোস্ট করার জন্য যাতে আমি ডুপ্লিকেট হয়ে যাওয়াটিকে মুছে দিতে পারি , কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে আপনার কাছ হতেই সংশোধনীটি এসেছে । ৩৮ নং মন্তব্যটি অামি তাই এখন মুছে দিয়েছি ।

ইন্দোনেশিয়ার' দুসুন ব্যম্বোর' চিত্র দেখে ভাল লাগল , তার থেকেও বেশী ভাল লাগল পুরোপুরি শ্রদ্ধেয় আহসান ভাইকে দেখে , এতদিন শুধু মোটা ফ্রেমের চশমায় সুন্দর মুখটুকুই দেখতে ছিলাম, আজ পেলাম পুরাটাই । এ বয়সে বাঁশের মতই স্লিম সুঠাম দেহ, কামনা করি এমনই সুঠামদেহে দির্ঘজীবি হয়ে বিচরণ করুন কাব্যের ভুবনে আমাদের সনে ।

আপনি হয়ত লক্ষ করে থাকবেন আপনার দেয়া প্রথম বাঁশের ছবিটির মত নলী বাঁশ আছে আমাদের দেশে বিশেষ করে ঢাকার অদুরে গাজীপুরের শালবনের উপকন্ঠে শ্রীপুর মাওনা অঞ্চলে । এ বাঁশটির বহুল ব্যবহার টিনের ঘরের শিলিং তৈরীর কাজে । আপনার দেয়া ২ নং চিত্রের বাঁশের মত প্রায় 'মাহাল বাঁশ' ও জন্মায় সে অঞ্চলে ,এ বাঁশটির চিকন আশের কারনে একে দিয়ে বিভিন্ন সৌখীন কুটির শিল্পজাত বাঁশদ্রব্য তৈরী করেন আমাদের বাঁশ শিল্পীগনে । আপনার দেয়া ছবি দুটি এ ব্লগটিকে করেছে সমৃদ্ধ দারুন ভাবে, এ জন্য রইল কৃতজ্ঞতা বিশেষভাবে ।

নিরন্তর ভাল থাকার শুভ কামনা রইল
আপনার মন্তব্য লিখুন

৪০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬

ভাবনা ২ বলেছেন: বাঁশ নিয়া অসাধকরণ অনবদ্য রচনা, তথ্য ছবি কবিতা, উপমা কোনটি রেখে কোনটি নিয়ে বলি,
এমন লিখা আকারে বড় হলেও পড়ার আগ্রহটাও বাড়ে সমান তালে ।
ধন্যবাদ সুন্দর লিখাটির জন্য ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার প্রতিও রইল ধন্যবাদ ।

৪১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৮

মশিউর বেষ্ট বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট ! আগের গুলির মতই।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্ট টি আসাধারণ
অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: বাঁশের এত সুন্দরের মধ্যে কথা ও বাঁশ দেওয়ার ইতিহাস দেখলাম না

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । বাঁশ দেয়া নেয়ার বিষয়টা প্রথমে ছিল । প্রথম মন্তব্যটা দেখে অাঁচ করা যেতে পারে । এটা দেখার পরে এডিট করে সে প্রসংগটা মুছে দেয়া হয়েছে , কে চায় সাধ করে বাঁশ খেতে ।
শুভেচ্ছা রইল

৪৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

জেন রসি বলেছেন: অভিনব পোস্ট।

বিশেষ করে বাঁশ খাওয়ার ব্যাপারটা খুব ইন্টারেস্টিং। :P

আপনার প্রতিটি পোস্টে আপনার গবেষক স্বত্বার প্রমান পাওয়া যায়। এভাবে আমাদের সমৃদ্ধ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এসে কস্ট করে এই বড় আকারের লিখা পাঠে সুন্দর করে মন্তব্য দানের জন্য । এতক্ষন আপনার লিখাটি পড়ছিলাম সেখানেই সময় লেগেছে কিছু । এখানে এসে বাঁশ খাওয়া নিয়ে ইস্টরেস্টিং কথা , ভাল লাগল কথায় :)
শুভেচ্ছা জানবেন

৪৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বাঁশ ছাড়া জীবন চলে না

খুব সুন্দর পোস্ট

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অতি ব্যস্ততার মাঝেও মুল্যবান সময় ব্যয় করে এসে দেখার জন্য ।
পোস্ট সুন্দর হয়েছে জেনে খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

পবন সরকার বলেছেন: দারুণ একটা পোষ্ট। ধন্যবাদ আপনাকে

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার প্রতিও রইল ধন্যবাদ, ভাল লাগল এসে দেখেছেন বলে ।
শুভেচ্ছা রইল অ

৪৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: বরাবরের মতই অজানা বিষয়ে ভরপুর পোস্ট। আপনার পরিশ্রমকে জানাই ধন্যবাদ।

তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার যে ছবিটি দেয়া সেটি কি আসল নাকি প্রতিকী? বাশেঁর তৈরি সাঁকোতে হেটে যেতে খুবই মজার। ছোটবেলায় সাঁকোতে উঠে সেটাকে দোলানো, কোন কিছু না ধরে ব্যালেন্স রেখে পার হওয়া এগুলো বেশ মজার।

বাশের সুতার তৈরি কাপড় কি দেশে কিনতে পাওয়া যায় কোথাও? ইটের বদলে বাশের তৈরি ঘরই তো ভালো হবে মনে হচ্ছে। :)

আবারো ধন্যবাদ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক পুরানো একটি পোষ্ট এসে দেখার জন্য ।
আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে তিতুমির ছিলেন একজন ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী। জমিদার ও ব্রিটিশদের বিরূদ্ধে সংগ্রাম ও তাঁর বিখ্যাত বাঁশের কেল্লার জন্য তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন। তিতুমীর বর্তমান চব্বিশ পরগনা, নদীয়া এবং ফরিদপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অধিকার নিয়ে সেখানে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন । ১৮৩১ সালের ১৩ নভেম্বর ব্রিটিশ সৈন্যরা তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে।সাধারণ তলোয়ার ও হালকা অস্ত্র নিয়ে তিতুমীর ও তার সৈন্যরা ব্রিটিশ সৈন্যদের আধুনিক অস্ত্রের সামনে দাঁড়াতে পারেন নি। ১৮৩১ সনের ১৪শে নভেম্বর তিতুমীর ও তাঁর চল্লিশ জন সহচর বৃটিশ বাহিনীর বিরোদ্ধে যুদ্ধে শহীদ হন। বৃটিশ বাহিনী বাশেঁর কেল্লা গুঁড়িয়ে দেয় । তাই বুঝতে্বাইতো পারছেন বাঁশের কেল্লার যে ছবিটি এখানে দেখানো হয়েছে তা একটি প্রতিকি ছবি ।

ছোটকালে অনেক বাঁশের সাকো হেটে পার হতে হয়েছে। ভয় ভীতি আনন্দ উল্লাস সবকিছুই মিশে অাছে বাঁশের সাকোকে ঘিরে। গ্রাম বাংলায় এটা এখনো ছোট খাট খাল ও নদী পারাপারের একমাত্র পন্থা , এমনকি শহড়াঞ্চলেও এখনো এর ব্যবহার দেখা যায়।

বাংলাদেশে বাশের তন্তু দিয়ে এখনো বস্ত্র তৈরী হচ্ছেনা বলেই জানি , আমার জানাটা হয়তবা ভুলও হতে পারে । উল্লেখ্য ২০০১ সালে ভারতের তামিলনারুর কইমবাটোরে অবস্থিত টেক্সটাইল রিসার্চ ইন্সটিটিইটের উৎপাদন ইউনিটে বাঁশের তন্তোর মন্ড তৈরী ও তা হতে সুতা তৈরী করে কাপর বুননের একটি প্রদর্শনী দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ।

ঠিকই বলেছেন ইটের বদলে বাশের তৈরী ঘর হলে ভালই হয় , জাপানীরা এ ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে আছে । তবে আমাদের দেশে গ্রাম বাংলায় দরিদ্র মানুষেরা ঘরে বাঁশের খুটি , বেড়া ও ছাউনি ব্যবহার করে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৪৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: দুঃখিত, বাঁশের কেল্লার ছবি নিয়ে বোকামির জন্য। তখনই বুঝা উচিত ছিল। :|

বিস্তারিত প্রতিমন্তব্য দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। :)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দু:খিত হওয়ার কোন কারণ নেই ।
বরং এই গুরুত্বপুর্ণ বিষয়টি নিয়ে উভয়েই অতীত দিনের গৌরবময় কিছু স্মৃতি রোমন্থনের সুযোগ পেলাম ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৪৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার, মনোমুগ্ধকর পোস্ট.....
প্রিয়তে...

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কোন নোটিশ পাইনি বলে বেশ পুরাতন এই পোষ্টের উপর
আপনার মন্তব্য দেখতে পাইনি বলে বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য দু:খিত ।
পোষ্টটি প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল

৪৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: এতই চমৎকার একটি পোস্ট লিখেছিলেন! বারবার পড়লেও যেন সবকিছু জানা হয় না। আপনার পরিশ্রম এবং নিষ্ঠাকে শ্রদ্ধা জানাই।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


সুললিত প্রসংসায় আপ্লুত ।
আপনার প্রতিউ রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.