নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
সোনালী আঁশের জোগানদাতা পাট আমাদের সকলের কাছেই অতি পরিচিত । দিগন্ত বিস্তৃত পাটক্ষেতের সবুজ দৃশ্যে কার না মন জুড়ায় ।
ছবি-২/২৯ : দিগন্ত জুরা সবুজ পাট নিয়ে কৃষকের কতই না স্বপ্ন
দেশের গৌরবময় পাট নিয়ে রসালো কবিতার বড়ই অভাব । এদিকটা কেন যে উপেক্ষিত তা বুঝা যায় আদমজি জুট মিল বন্ধের মত সরকারী ভাব দেখে। তারপরেও কবির সাথে কন্ঠ মিলিয়ে বলা যায়
পাটই ছিলো এ দেশের অর্থনীতির মূল
কোন কিছুই ছিলো নাকো এর সমতুল।
বাংলার বউ-ঝিয়েরা বুনতো পাটের সিকে,
নকশী সিকের সুনাম ছড়াত চারিদিকে।
সোনালী আঁশে ধন্য এ দেশ বিশ্ব সেরা নাম
ছালা রসি চট ব্যগ সহ কতই না তার দাম।
এত সব বাহারী পন্য ছড়িয়ে বিশ্ব মাঝে
বঙ্গ নর নারীর বদান্যতায় অর্জিত সুনাম।
ছবি-৩/২৯ : পাটের রকমারী বাহারী নজরকাড়া দ্রব্য
বিগত ১৬ জুন ২০১০ সালে সরকারী ভাবে পাটের জেনেটিক সিকোয়েন্স আবিস্কারের ঘোষণা দেয়ার সময় পাটের ’জীবন রহস্য উন্মোচণ’ বলে দাবী করে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় যে এর মাধ্যমে ’বাংলাদেশ পাটের হারিয়ে যাওয়া গৌরব পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবে, সোনালি আঁশ আবার তার হারানো দিন ফিরে পাবে। নিশ্চিত ভাবেই এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা । তবে জিনোম সিকোয়েন্স,আবিস্কারের পর হতে এই ছয় বছরে পাটের কি উন্নতি হয়েছে তা দেখার বিষয় ।
পাটের মুল কাজ হচ্ছে আঁশ বা ফাইবার সরবরাহ করা । পাট থেকেই সবচেয়ে সস্তায় ফাইবার পাওয়া সম্ভব, হোকনা তা মোটা জাতীয় । মোটা ফাইবার নিয়ে গবেষনা চলছে নিরন্তর । ফাইবার থেকে এখন সারা দুনিয়া জুড়ে যে পদার্থটি তৈরী হচ্ছে তা কম্পোজিট হিসাবে সমধিক পরিচিত । পাকৃতিক তন্তু থেকে তৈরী কম্পোজিট খুবই দামী বস্তু , এটা এখন উচ্চ প্রযুক্তি ও মুল্যবান শিল্প কর্ম যা অটোমোবাইল , এরোস্পেস , নৌকা ও জাহাজ শিল্প , গৃহনিনির্মান ও আসবাব পত্র নির্মানে ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যপকভাবে । লিখাটির শেষ অংশে বিষয়টি সচিত্র আলোচিত হবে । মেস্তা জাতীয় মোটা জাতের উপজাত পাট তন্তু হতেও তৈরী করা যায় গুনগতমানের জুট কম্পোজিট । তবে সবচেয় উন্নতমানের কম্পোজিট তেরী হয় ফ্লাক্স বা তিল গাছ হতে। এ বিষয়টিও সচিত্র ভাবে আলোচনায় উঠে আসবে একটু বাদেই । তার আগে পাট , বাঁশ ও তুলা নিয়ে দুটারটি কথা বলা প্রয়োজন । কারণ বস্র শিল্পের জন্য পাটের সহযোগী হিসাবে বাশ ও তুলাও আলোচনার পাদপ্রদিপে চলে আসে অনুক্ষন ।
আমাদের দেশের বস্র শিল্পের সুতা কলগুলির জন্য ২০১৬-১৭ সালে তুলার চাহিদা প্রায় ৬৫ লক্ষ বেল হবে । তুলা আমদানি বাবদ বছরে খরচ হবে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা । দেশে তুলা চাষের উপযোগী প্রায় আড়াই লাখ হেক্টর জমি থাকলেও তুলা চাষ হয় মাত্র ৩৫ হাজার হেক্টরে , যেখান হতে বছরে মাত্র ২ লাখ বেলের মত তুলা পাওয়া যায় । প্রায় ৪০ বছর ধরে সরকারী পর্যায়ে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে তুলা চাষ করে আসলেও যথাযথ পর্যায়ে এর সম্প্রসারণ সম্ভব হয়ে উঠেনি । তাই তুলা চাষের মাত্রাটিকেও বাড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশী দেশীয় পরবেশে ও আবহাওয়া উপযোগী আঁশজাতীয় কৃষিপন্যের জন্য অন্য সহযোগী ব্যবস্থা গুলিও বিবেচনায় নিতে হবে গুরুত্বের সাথে ।
ছবি -৪/২৯ : তুলা ক্ষেত ও তুলাজাত বস্র
আঁশের জন্য অন্য সহযোগী কৃষিপন্যের মধ্যে বাঁশ ও তিল জাতীয় উদ্ভিদ অন্যতম । বাঁশ হতে তৈরী তন্তু ‘ব্যমবো টেক্সটাইল’ হিসাবে সারা দুনিয়ায় খ্যাত । তাই বাঁশ চাষের বিকাশ ও যথাযথ প্রযুক্তি প্রয়োগ করে সেখান হতেও পেতে পারি বস্ত্র তৈরীর জন্য বিপুল পরিমান পাকৃতিক আঁশ বা তন্তু ।
ছবি-৫/২৯: বাঁশতন্তু হতে বস্র
সামান্য যত্নে একটু প্রয়াসে বাড়ীর পাশের পতিত জায়গায় বাঁশের চাষ করা যায় অনায়াসেই । তবে বাঁশের আরো অনেক বৈচিত্রময় ব্যবহার থাকায় অপরদিকে তুলা চাষ ও তার সম্পসারন একটি নির্দিস্ট পরিসরে এসে থমকে পড়ায় পাটের পাশাপাশি তিল বা ফ্লাক্সকে ব্যপকভাবে চাষাবাদের মাধ্যমে দেশের বস্র শিল্পের জন্য পাকৃতিক তন্তুর যোগান বৃদ্ধি করা যায় অনায়াসেই । তবে কৃত্রিম তন্তুর প্রতিযোগীতার মুখে ট্রেডিশনাল ব্যাবহারের ক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে পাটের বাজার সংকোচিত হওয়ার প্রেক্ষিতে পাট দিয়ে অধিক মুল্য সংযোজন ক্ষম পন্য তৈরীর বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হতে থাকে গত এক দশক ধরে । এখন বর্তমান বিশ্বে প্রাকৃতিক আঁশ থেকে পলিমার কম্পোজিট তৈরী হচ্ছে যা অনেক দামী পন্য যথা অটোমোবাইল , এরোপ্লেন, নৌযান ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় আসবাপত্র তৈরীতে ব্যবহৃত হচ্ছে ।
পাকৃতিক আঁশ হতে কমপোজিট তৈরীর জন্য এখন ফ্লাক্স তথা তিল জাতীয় উদ্ভিদ ব্যবহার হচ্ছে শিল্পোন্নত দেশে । ফ্লাক্স হতেই এখনো উন্নতমানের কম্পোজিট তৈরী হয় । তবে পাট থেকেও লো কস্ট কমপোজিট তৈরী সম্ভব, যা তৈরীও হচ্ছে পরীক্ষা মুলকভাবে । ইংল্যান্ড সহ ইউরূপের একাধিক গবেষনা ও বানিজ্যিক প্রতিষ্টান এটা নিয়ে কাজ করছেন নিরলসভাবে । বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন এমন কজন বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর সাথে কথা বলে জানা যায় যে ইউরূপের নাম করা বেশ কটি গবেষনা ও শিল্প প্রতিস্ঠান লো কস্ট পাট থেকে পলিমার কম্পোজিট তৈরীর জন্য বিশেষভাবে উৎসাহী । তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা কালে বাংলাদেশ জুট রিসার্চ ইনসটিউটের (বিজেআরআই) কার্যক্রম পর্যালোচনা করা কিছুটা জরুরী হয়ে পড়ে । এ পর্যায়ে তাদের অর্জন ইতিহাস পর্যবেক্ষনকালে দেখা যায় বিজেআরআই তার টেক্সটাইল ফিজিক্স বিভাগের কর্মকান্ডের আওতায় জুট রিইনফোর্সড কম্পোজিট কে তাদের কর্ম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রেখেছে এবং একে তাদের ২০২০ সাল পর্যন্ত স্বল্প মেয়াদী ভবিষ্যৎ গবেষণা এবং ২০৪০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় পাইলট প্রডাকশন- স্কেল স্মীমভুক্ত করেছে । এ ক্ষেত্রে তাদের অর্জন তালিকা পর্যবেক্ষন করতে গিয়ে অফিসিয়াল ওয়েব পেইজে পাট হতে তরী কম্পোজিট পন্যের ফটো গ্যলারীতে কোন কম্পোজিট আইটেমের ছবি দেখা যায়নি বরং নিস্নের তিনটি ফুলের টবের ছবি সেখানে ফুটে উঠছে । এগুলি দেখতে খুবই সুন্দর তাতে সন্দেহ নাই , কিন্তু এগুলি কোনজাতের পাটজাতদ্রব্য তা বিদেশীদের কাছে বুঝাতে হলাম ব্যর্থ, এর সাথে কম্পোজিট পন্যের সম্পর্কটা কি তাও গেলনা বুঝা , যাহোক, সরকারী প্রচেস্টাকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে তাদের ওয়েব সাইটটির লিংক ও ফুলের টবের ছবিগুলি তুলে দেয়া হল নীচে, যদি বিজ্ঞ কোন পাঠকের নিকট হতে মতামত পাওয়া যায়, আমাদের জ্ঞানের দোয়ার হতে পারে বিস্তৃত । তবে সরকারী ওয়েব সাইটে জুট কম্পোজিটের কোন ছবি দেখতে না পেয়ে উৎসাহী বিদেশী বিজ্ঞানীরা হতাস যে হবেন একটু তাতে কোন সন্দেহ নেই । আমারও একটু বেগ পেতে হল বিষয়টি বিস্তারিত জানতে । তবে ভালই হল, টবের ফুলগুলি তাজা থাকতে থাকতেই এগুলিকে সামুর পাঠকের সন্মুখে রেখে আমার মুল বিষয় তথা তিলকে তাল করে কম্পোজিট তৈরীর আলোচনায় এগিয়ে যাওয়াই উত্তম বলে মনে হল , ততক্ষনে বিজেআরআই তাদের গবেষনা করতে থাকুন ইচ্ছেমত , তাঁদের ফুল কি ফল দেয় তা দেখতে যাওয়া যাবে সময়মত ।
ছবি-৬/২৯ : ছবি-৫: বিজিআরআই ওয়েব পেজের ফুলের টব
তিল
তিল একটি একবর্ষজীবি সপুষ্পক উদ্ভিদ। এর অনেকগুলো স্বজাতি আফ্রিকা ইউরূপ ,আমিরিকা, অস্টেলিয়া, এশিয়ায় চীন, ভারত , মিয়ানমার ও বাংলাদেশের বিভন্ন স্থানে পাওয়া যায়। এটি ব্যাপকভাবে বিশ্বের ক্রান্তীয় অঞ্চলে তন্তু এবং ভোজ্য বীজের জন্য চাষ করা হয়ে থাকে। এটি প্রায় ৫০ থেকে ১০০ সেমি (১.৬ থেকে ৩.৩ ফু) লম্বা, এবং এর পাতা সাধারনত ৪ থেকে ১৪ সেমি (১.৬ থেকে ৫.৫ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা এবং গাছটি নলাকার। এর ফুল নলাকার, হলুদ ,সাদা, নীল বা বেগুনি রঙের হতে পারে । একটি গাছে অনেক ফুল ফুটে, প্রতি ফুলে ফল হয় এবং প্রতিটি ফলে খাজ কাঠা কুঠুরিতে অনেক বীজ থাকে। প্রতিটি বীজের ওজন ২০ - ৪০ মি.গ্রা। ভিতরের বীজটি বেশীরভাগই কাল রংগের হয় ।
বর্ষাকাল শেষে জমিতে বীজ বপন করে তিল চাষ করা হয় , খনিজযুক্ত বন্যামুক্ত উচ্চভুমি তিলচাষের জন্য উপুক্ত । এ দেশের সব অঞ্চলেই তিল চাষের উপযুক্ত জমি রয়েছে এবং সব অঞ্চলেই তিল চাষ হচ্ছে । পতিত অনুর্ভর জমিতে গাইবান্দার চাষীরা তিল চাষে লাভবান হচ্চে বলে মিডিয়ায় দেখা যায় ।
ছবি-৭/২৯ : বাংলাদেশে তিলের চাষ
তবে এখন পর্যন্ত শুধু বীজের জন্যই এ দেশে তিলের চাষ হয়ে থাকে । বীজ হতে তেল ও সুস্বাদু খাবার যথা নাড়ু কিংবা তিলের খাজা তৈরী হয় ।
তিলের তেলের অনেক ওষধী গুন যথা তিলের তেল ব্য়বহারে ত্বক হয় সজিব, যাঁদের ত্বকে রোদে পোড়া ভাব রয়েছে , তারা এই পোড়া দাগ দুর করতে পারেন তিলের তেল মালিস করে । এ তেল ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হয় , মাথাও থাকে ঠান্ডা । তিলের তেল চুলের খুশকিও করে দুর। একদিকে এর যেমনি রয়েছে পুস্টিগুন আরদিকে স্বাস্থ্য উপকারীতাও অনেক , এন্টি প্রদাহ জনক পোড়া ক্ষত , রক্ত আমশয় ও সাধারন আমাশয় ভাল করতে এটি উপকারী। ফোড়ার পচন ক্ষত দূর করতে , দাঁত ও মাড়ির ক্ষয় রোধ করতেও এটা হয় ব্যবহৃত ।
ছবি-৮/২৯ : তিল থেকে তৈরী তেল
তিলের নাড়ুও বেশ সুস্বাদু দেখলেই জীবে আসে জল । উৎসবে পুজা পার্বনে গুড়ের নাড়ু, নারকেলের নাড়ু, তিলের নাড়ু চাই চাই । শিতের মরসুমে অতিথির পাতে তিলের নাড়ু জায়গাতো করে নেবেই।
ছবি-৯ /২৯ : তিলের নাড়ু
তন্তু পাওয়ার লক্ষে এখনো এ দেশে তীলের তথা ফ্লাক্সের চাষ করা হয়নি তবে খুব সহজেই ঐ একই জায়গায় কম্পোজিট তৈরীর জন্য উচ্চ ফলনশীল তন্তু জাতীয় তীলের ( Flax for fibre ) চাষাবাদ করা যায় । উচ্চ ফলনশীল তিল তথা ফ্রাক্স এর চাষাবাদ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, কানাডা , ও চীনে বেশী হয় । ছবিতে দেখা যেতে পারে
ছবি-১০/২৯ : বেলজিয়ামে চাষকৃত তন্তুজাতীয় উচ্চ ফলনশীল তিলের ( ফ্লাক্সের) চাষ
এখানে উল্লেখ্য যে তিল জাতীয় গাছই বিশ্বের প্রাচীন উদ্ভিদ যেখান হতে তন্তু পাওয়া যেতো , প্রায় ৫০০০ বছর পুর্বে মিশরীয়রা এর থেকেই ত্ন্তু বের করে প্রয়োজনীয় কাজে লাগাত । তীলের তন্তু তুলা হতে অনেক শক্ত তবে কম স্থিতিস্থাপক । উত্তম গ্রেডের তিল তন্তু দিয়ে লিলেন জাতীয় বস্ত্র তৈরী হয় , এবং মোটা তথা পাটের মত মেস্তা ধরনের ভাইবার গুলি দিয়ে রশি তৈরী করা হয় । ফ্লাক্স ( তিল জাতীয়) হতে তরী মন্ড দিয়ে উন্নত মানের কাগজ তৈরী হয় যা কাগজের নোট ও সিগারেটের রলিং পেপার তৈরীতে ব্যবহৃত হয় ।
জমিতে বীজ বপনের পর ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে এর ফুলে ফলে পরিপুস্টতা আসে ও হারভেস্টের উপযোগী হয় । লন্বা আঁশ পাওয়ার জন্য শিকড় সহ তিল গাছকে মাটি হতে উপরিয়ে তুলা হয় ।
ছবি-১১/২৯ : তিল ক্ষেত হতে শিকড়সমেত ফসল তুলা
রোদ্রে শুকিয়ে বান্ডল বেধে কম্বিং করে এর থেকে বীজ বেড় করে নেয়া হয় । যন্ত্রের সাহায্যেও এর বীজ বের করে নেয়া যায় । তিল তথা ফ্লাক্স হতে তিল তন্তু আহরণ ও আ দিয়ে বিভিন্ন ভেলু এডেড বাহারী বস্র ঘরে বসে তৈরীর জন্য ইংল্যন্ডের মত দেশে ফ্লাক্স গ্রোয়িং এরিয়াতে বিভিন্ন চেরিটি অর্গানাইজেসনের সহায়তায় গড়ে উঠেছে ‘ফ্রাক্স ক্লাব’ বিগ লটারী ফান্ডের অর্থায়নে রিভাইটালাইজেসন অফ ব্রিটিশ টেক্সটাইল হেরিটেজ প্রকল্পাধীনে । বাড়ীর আঙ্গিনায় তিল চাষ করে বাহারী ফুলের সৌন্দর্যের সাথে ভেজিটেবিল ডাইং করে ঘরে বসে বাহারী রং বেরংগের বস্র তৈরী বেশ অকর্ষনীয় তাদের কাছে , তিল চাষের এই অভিনব কর্মকান্ডটিকে অনেক স্কুল কলেজে পাঠ্যসুচীর অন্তর্ভুক্তও করে নিয়েছে । বিষয়টিকে আমরাও ফলো করতে পারি অনুরূপ ভাবে।
ছবি-১২/২৯ : শুকনো তিল গাছ হতে বীজ আহরণ
বীজ ছাড়ানোর পর খরকুটার মত শুকনু গাছগুলিকে স্তুপাকার করে কুয়াশায় রেখে বা কয়েকদিন পানিতে ভিজিয়ে পচানো হয় তন্তু পাওয়ার জন্য ।
ছবি-১৩/২৯ : তিল গাছ হতে অআশ বেড় করার প্রক্রিয়া
পচে যাওয়ার পর তন্তু গুচ্ছটিকে মশৃন করা নেয়া হয় ডগ কম্ব এর সাহয্যে নিন্মের চিত্রের মত। তবে লাটাই এ পেচানোর আগে মেঝেতে কিংবা টেবিলে বিছিয়ে এলোমেলো ফাইবারকে নিন্মের মত ফানিং করে নেয়া হয়। তন্তুকে মসৃন ও ফানিং করার দৃশ্য নীচে দেখা যেতে পারে ।
ছবি-১৪/২৯ : পচে যাওয়ার পর এলোমেলো তন্তুকে মসৃন ও ফানিং করার দৃশ্য ।
এরপর এই তন্তুকে চরকা কিংবা লাটাই দিয়ে স্পিন করা হয় । যেখান হতে পরে লাছি কিংবা কোণে নেয়া হয় । নিন্মের চিত্রে দেখানো লাটাই গুলির মধ্য থেকে নীজ পছন্দ অনুযায়ী উপযুক্ত লাটাই বেছে নেয়া যায় ।
ছবি -১৫/২৯ : সুতা হাতে স্পিন করার জন্য বিভিন্ন ধরেনের লাটাই বা চরকী
এলোমেলো ফাইবারকে ফানিং করে নেয়ার পরে নিন্মের চিত্রের মত লাটাইয়ে স্পীন করে মোরানো হয় সুতা ।এখান হতে পরে সুতা যায় লাছি কিংবা কোণে , পরবর্তী প্রক্রিয়ায় ব্যবহরের সুবিধার কারণে ।
ছবি-১৬/২৯ : লাটাইএর মাধ্যমে সুতা স্পিনিং ও কোনে নেয়ার দৃশ্য
সুতাকে বস্ত্রে বুননের পুর্বে ইকো-ফ্রেন্ডলি ভেজিটেবল ডাই ব্যবহার করে সুতাকে করা যায় রংগীন । লুলিপিয়ান জাতীয় বাহারী রংগের ফুলের নির্যাস হতে পাওয়া যায় উন্নত মানের ভেজিটেবল ডাই, যা এধরনের ফাইবারকে রংকরনের জন্য ব্যবহৃত হয় ব্যপকভাবে । নিচি মার্কেটে এখন হ্যান্ড মেইড ইকো-ফ্রেন্ডলী ভেজিটেবল ডাং সুতায় তৈরী বস্ত্রের বেজায় কদর, দামটাও একটু বেশী ফলে মুনাফাটাও নজরকারে । ঘরে বসেই কুটির শিল্প হিসাবে সুতাকে করা যায় রংগীন নীজ বাগানে এমন সুন্দর ফুল গাছের চাষ করে ।
ছবি-১৭/২৯ : রংগে সমৃদ্ধ বাহারী লুলিপিয়ান ফুলের দৃশ্য
ফুল থেকে রং তৈরী করে গামলায় রেখে সুতাকে মাঝে মাঝে গিট বেধে করা যায় টাই ডাইং যা দেখতে বাহরী রং ধরে ।
ছবি -১৮/২৯ : ইকো-ফ্রেন্ডরী সুতা ভেজিটেবল টাই এন্ড ডাইং
এর পর তাঁতে কাপর বুনার জন্য ঘরের ভিতরেই সুতাকে দেয়া যায় টানা নিন্মের মত করে ।
ছবি : ১৯/২৯ : সুতাকে বস্র বয়নের জন্য তাঁতে বসানোর পুর্বে টানা দেয়া
সেমি অটোমেটিক কিংবা খটখটি তাঁতেই বুনা যায় বাহারী কাপর দেশের গুণি তাঁতীদের দিয়ে ।সারা দেশে এখন রয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ তাঁত ও ১৫ লক্ষ তাঁতী । শুনা যায় প্রয়োজনীয় সুতা, মুলধন ও যথাযথ সরকারী পৃষ্ট পোষকতার অভাবে প্রায় ২ লক্ষ তাঁতই নাকি অলস হয়ে পরে আছে। , আর দেশ ভরে যাচ্ছে চোরা পথে আসা বিদেশী সুতা আর কাপড়ে । তাই তিলের চাষাবাদ শুধু যে কৃষকের মুখেই হাসী ফুটাবে তাতো নয় সেই সাথে দেশের মৃতপ্রায় তাঁত শিল্পের জন্যও আনবে নতুন প্রেরণা, জ্বালাবে আশার প্রদিপ বাঁশ দাদার ঐতিহ্যময় তাঁত পেশা ছাড়তে উদ্যত তাঁতী কুলের মাঝে ।
ছবি-২০/২৯ : তিল তথা ফ্লাক্সজাতীয় তন্তু দিয়ে হস্তচালিত তাঁতে কাপর বুনা
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তিল চাষ করে কুটির শিল্পের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি অবলম্বন করে বানিজ্যিক ভিত্তিতে বৃহদায়তন কলকারখানা গড়ে একে নেয়া যায় যায় বিশ্বায়নের যুগে । তবে যেহেতু ধারানাটি তেমন প্রচলিত নয় এদেশে সেহেতু তিল চাষ হতে হতে শুরু করে বানিজ্যিক উৎপাদন পর্যন্ত একটি প্রডাকশন ফ্লো ডায়াগ্রাম দেখানো হল নীচে ।
ছবি-২১/২৯ : তিল চাষ হতে অআঁশ প্রাপ্তি ও কম্পোজিট পুর্ব প্রডাকশন ফ্লো ডায়াগ্রাম
এবার আসা যাক তিলকে তাল করার মুল কর্মকান্ড তথা কম্পোজিট তৈরীর কাহিনী বিবরণে
তিল তথা ফ্লাক্স কম্পোজিট
উপরে প্রদর্শিত ডায়াগ্রামের শেষ প্রান্ত হতে নন- ওভেন পলিমার ফ্লাক্স কার্বন কম্পোজিট তৈরীর কাজ করা যায় শুরু । বিভিন্ন কারিগরী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফ্লাক্স কার্বন মোল্ড হতে নিন্ম প্রদর্শিত যন্ত্রের সাহায্যে ফ্লাক্স কম্পোজিট শীট তৈরী হয় , যা পরবর্তীতে বিভিন্ন আইটেম বিনির্মানে ব্যবহার করা হয় ।
ছবি-২২/২৯ : যান্ত্রিকভাবে ফ্লাক্স কম্পোজিট শীট তৈরী প্রক্রিয়া
উল্লেখ্য যে বর্তমান বিশ্বে ফাইবার গ্লাস বলতে গেলে সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত রিইনফোর্সমেন্ট ফাইবার যা প্রায় শতকরা ৯৫ভাগ রিইনফোর্সমেন্ট কম্পোজিট কাজে ব্যবহৃত হয় (Mohanty, 2005) । তাই এর সাথেই ফ্লাক্স ফাইবারের একটু তুলনা মুলক চিত্র নীচের ছকে দেখানো হলো।
ফাইবারগ্লাস ও ফ্রাক্স এর মধ্যকার আর্থ-কারিগরি তুলনা
উপরের সারনীর তথ্য থেকে দেখা যায় যে, ফাইবার গ্লাস এর তুলনায় ফ্লাক্স থেকেই অনেক কম খরচে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ফাইবার পাওয়া যেতে পারে যা দিয়ে ব্যয় সাস্রয়ী কম্পোজিট তৈরী করা যেতে পারে ।
দুনিয়াজোড়া অটোমোবাইল শিল্পে এখন পাকৃতিক আঁশের তৈরী উপাদান ব্যবহার করে কম্পোজিট তৈরীর পরিমাণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে । এখন প্রতিটি কারে গড়ে ৫-১০ কেজি প্রাকৃতিক আঁশের তরী দ্রব্য বা কম্পোজিট ব্যবহৃত হচ্ছে । শুধুমাত্র ইউরোপীয় মার্কেটেই প্রতি বছর ১৫ কোটি টন পাকৃতিক আঁশের তৈরী পদার্থ ব্যবহৃত হয় যার মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগই আসে ফ্লাক্স হতে । পৃথিবীর আরো অন্য দেশতো পড়েই আছে ।
মোটর গাড়ীর দরজা ও ইনটেরিয়র প্যানেল বোর্ড এর জন্য এখন ফ্লাক্স এর তৈরী কম্পোজিট ব্যবহার হচ্ছে । যেমনটি দেখা যায় নীচের চিত্রে ।
ছবি- ২৩/২৯ : মোটর গাড়ীর ফ্লাক্স কম্পোজিট ব্যবহার এর একটি দৃশ্য
ফ্রাক্স কম্পোজিট শুধু যে অটোমোবাইল কারেই ব্যবহৃত হয় তা নয়, অধুনা বাই সাইকেল তৈরীতেও এটা ব্যবহৃত হচ্ছে ।যুক্তরাজ্যের ‘গুপা সাইকেল’ কোম্পানী ফ্লাক্স ও বাঁশের যৌথ প্রয়োগে ব্যমবো ফ্লাক্স বাইক তৈরী করছে, ওজনে হালকা হওয়ায় এটা এখন রেসিং বাইক হিসাবে ইউরোপে ভাইরাল হতে চলেছে । নীচে ব্যমবো ফ্লাক্স বাইক এর একটি ছবি দেয়া হলো । এই বাইকের ফ্রেমের ওজন মাত্র ৩.৩০ কেজি । এই Guapa Urban One বাইকটি ISO European standards পাশ । মার্কেট সেগমেন্টেশন অনুযায়ী দাম ২১০০ পাউন্ডের উপরে । এই দামী ব্যমবো ফ্লাক্স বাইক এর জন্যও তৈরী হবে বাঁশ ও তিলের আঁশের ব্যপক চাহিদা অদুর ভবিষ্যতে ।
ছবি-২৪/২৯ : ফ্লাক্স ও বাঁশ এর যৌথ প্রয়োগে নির্মিত বাইসাইকেল
ফ্রাক্স কিংবা পাট কম্পোজিটের তৈরী গাড়ি ও ট্রেনের ওজনই যে শুধু কম তা নয় এর ফলে এর মুভমেন্টের জন্যও প্রয়োজন হয় কম জ্বালানীর , ফলে এটা এদিক হতেও লাভজনক ।
ফ্রান্সের বিখ্যাত KAIROS এবং TRICAT কোম্পানী যৌথভাবে ফ্লাক্স ফাইবারযুক্ত কম্পোজিট ব্যাবহার করে ২০১৩ সালে GWALAZ boat তৈরী করেছে । কম্পোজিটের তৈরী এ তরিটি প্রশান্ত মহাসহগরের বুকে একটি মুভিতে শুটিং প্রকল্পে http://www.lostintheswell.com ব্যবহরের পুর্বে ফ্রান্সের Bretagne হতে পাল তুলে যাত্রা করেছে । নীচের ছবিতে দেখা যেতে পারে ।
ছবি -২৫/২৯ : ফ্রাক্স কম্পোজিটের তৈরী GWALAZ boat
ট্রেনের ওজন কমিয়ে একে অরো বেগমান ও বহিরাঙ্গন শক্তিশালী করার জন্য পৃথিবীর নামীদামী লোকোমটোটিভ ট্রেন নির্মানকারী কোম্পানীগুলো রিইনফোর্সমেনট গ্লাস ফাইবারের পরিবর্তে ব্যয় সাস্রয়ী জুট কিংবা ফ্লাক্স হতে তৈরী কম্পোজিট ব্যবহার করে ট্রেনের বগীর বডি বানানোর পরিকল্পনাও নিয়েছে হাতে । জাপানের হিটাচী কোম্পানীর এমন একটি প্রকল্প ভাবনা নিন্মের চিত্রে দেখা যেতে পারে ।
ছবি-২৬/২৯ : কম্পোজিট ব্যবহার করে ট্রেনের বগীর বডি বানানোর জন্য হিটাচীর প্রপোজাল
ট্রেনের বগীর এক্সটেরিয়র বডির জন্যই শুধু নয় ইনটেরিয়র এর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যথা সিট ,সিট কভার, যাত্রী ফ্রন্ট টেবিল, টয়লেট বেসিন ও সিংক প্রভৃতি তৈরীর জন্যও রয়েছে তাদের পরিকল্পনা ।
ছবি-২৭/২৯ : ট্রেন সহ অন্যান্য যানবাহনের ইনটেরিয়র কিছু আইটেমে ফ্লাক্স হতে তৈরী কম্পোজিটের ব্যবহারের দৃশ্য
পলিমার টেকনোলজি প্রয়োগ করে ফ্রাক্স হতে তৈরী পম্পোজিট এভিয়েশন ও এরোস্পেশ বাহনে প্রয়োজনীয় ইনটেরিয়র সরঞ্জাম ও ইসসুলিন কাজে রয়েছে এর বহুল ব্যবহার ।
ছবি -২৮/২৯ : এরকম এয়ারক্রাফটে ব্যাবহার করা হয় ফ্রাক্স হতে তরী কম্পোজিট
এয়ারক্রাফটের জন্য পলিমার মেটেরিয়াল তথা ফ্লাক্স কম্পোজিট কি ভাবে হচ্ছে ব্যবহার তার কিছু নমুনাচিত্র নীচে দেখানো হলো ।
ছবি -২৯/২৯ : এয়ারক্রাফট ইনটেরিয়রে ফ্লাক্স কম্পোজিট এর প্রয়োগের দৃশ্য ।
উপরে প্রদর্শিত ক্ষেত্র ছাড়াও আরো বহুবিধ কাজে দুনিয়া ব্যপী ফ্লাক্সের বিপুল চাহিদার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে তিলের চাষ ও বিকাশ ঘটানো গেলে আমাদের কৃষিজাত পন্যকে কৃষকদের জন্য অধিক মুনাফা অর্জনকারী হিসাবে পরিগনিত করা যাবে । তিলকে তাল করে জলে স্থলে ও অন্তরিক্ষে করা যাবে বিচরণ অসাধারণভাবে । তবে এর জন্য সংস্লিস্ট সকল মহলের ঐকান্তিক প্রয়াশ প্রয়োজন হবে । এর জন্য প্রয়োজন ব্যপক ফলিত গবেষনা ও পরিচিতি জনগনের মাঝে । এদেশের অনেক বিজ্ঞানী বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন দেশে বিদেশে , তারপরেও এটা এখনো আমাদের দেশে আছে প্রাথমিক পর্যায়ে । দেশের টেলেন্টেড নবপ্রজন্ম বিষয়টিকে নিতে পারেন তাদের গবেষণা কর্মে । দেশের কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীগন তাদের গবেষনা কর্মে বিষয়টিকে নিতে পারেন অভিসন্ধর্পের অন্তর্ভুক্ত করে । দেশের সরকারকেও শুধু কথায় নয় , পাটের জিনম আবিস্কারকে নিয়ে আত্ন তুস্টিতে বসে না থেকে পাটের যা আছে তাই নিয়ে এমনকি অবহেলিত মেস্তা পাটকে নিয়েও যেতে পারেন হিমালয় চুড়া ছাড়িয়ে এরোস্পেসে জুট কম্পোজিট হিসাবে ব্যবহার করে ।
ধন্যবাদ এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ।
কথা ও ছবি সুত্র : কিছু অন্তরজাল আর কিছু লিখার সাথে লিংকে দেয়া হয়েছে ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । প্রথম মন্তব্যদানের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল । শুধু এক মন না লক্ষ লক্ষ টন পাট পাবেন । সে জন্যইতো এ লিখা ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমরা কোন জগতে থাকি! এসবের তো কিছুই জানিনা, আপনার এমন গবেষণালব্ধ পোষ্ট জাতির কল্যানে আসুক সেই কামনা করছি।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এ লিখা পোস্ট করতে গিয়ে অনেক সময় লেগে গেছে , আপনি নিশ্চয়ই বুঝবেন এ ধরনের লিখা পোস্টে অনেক বিরম্বনা । আপনার আশাবাদ জাতির উপকারে আসুক এ কামনা আমিও করি ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
একটু কফি খান, শরীরের ক্লান্তিটা কমবে।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মাশাআল্লাহ কফি পানে শরীর ও মনমেঝাঝ এখন ফুরফুরা । আপনার জন্য রইল ম্যকডোনাল্ডের এক্সপ্রেসো সাথে মন খানেক পাটের ব্যগে আরো মনখানেক কফি । লক্ষনীয় যে পাট ব্যবহৃত হচ্ছে কফির ব্যগে দুনিয়া জোড়া । কিন্তু পাটের ব্যগের এই বাজারটি ভারতীয়দের দখলে । আমরা একটু চেষ্টা করলে পাটের ব্যগ নিয়ে যেতে পারি এ বাজারে গ্রীন ব্যগের নাম ধরে ।
শুভেচ্ছা রইল
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১২
বিজন রয় বলেছেন: প্রথম প্লাস।
হুম.........
গাছ বিশেষজ্ঞ না উদ্ভিদ বিশারদ!!
তাই ভাবছি।
গবেষণা চলছেই.... চলুক।
শুভসকাল।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , দাদার আশীর্বাদ মাথা পেতে নিলাম ।
বিশেষ ভাবে যে অজ্ঞ তাকেই নাকি বলে বিশেষজ্ঞ
আমি গাছ বা উদ্ভিদ নিয়ে সেরকমই কিছু একটা
এর বেশী কিছু নয়, শুধু একটু সামান্য ধারনা
আছে তাই ধারণাটুকু তুলে ধরলাম এক্সপার্টদের
সম্মুখে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৪
আহা রুবন বলেছেন: কখনও তিল কখনও তাল! প্রথমে যে ছবিটা দিয়েছেন সেটা শিশু কালে প্রচুর দেখতাম। তিসি বলে জানি। যাকে আবর্জনা বলে সবাই আখা ধরায় তার ভেতরে এত মূল্যবান সম্পদ লুকিয়ে আছে! খুবই তথ্য সমৃদ্ধ লেখা, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার মুল্যবান মন্তব্যে খুবই খুশী হয়েছি । তিসি তিলেরই একটি নাম জানা হল । এর সমগোত্রীয় ফ্লাক্সের নামের সাথে তিলের তিসি নামটিই ভাল মানায় । বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন এমন একজন বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর সাথে কথা হয়েছে , তিনিও বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।
৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট। সেদিন বাঁশ নিয়ে জানলাম, আজকে তিল এবং মেস্তা পাঠ নিয়ে লিখলেন। আপনার উপস্থাপিত তথ্যগুলো পড়ে কিছুটা চমকে উঠলাম। কৃষি নিয়ে আমার প্রচুর আগ্রহ আছে। সম্ভব হলে জীবনের কোন একটা পর্যায়ে আমি আধুনিক কৃষিকাজে সম্পৃক্ত হতে চাই। বাংলাদেশে প্রচুর পতিত জমি বা চরাঞ্চল রয়েছে যেখানে আধুনিক কৃষি পদ্ধতি যদি প্রয়োগ করা যেতো, আর্থিকভাবে বিপুল লাভের সম্ভবনার পাশাপাশি দেশের কৃষিখাতেও ইতিবাচক ভুমিকা রাখার সুযোগ আছে। যেমন দেখুন হাতিয়া দ্বীপে প্রচুর জমি পড়ে রয়েছে। কিন্তু সেখানে বিদ্যুতের অভাবে বড় কোন উদ্যোগ গ্রহন করা যাচ্ছে না। অথচ আধুনিক অনেক পদ্ধতি আছে যেখানে সামুদ্রিক বা নদীর স্রোত এবং ঢেউকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুত উৎপাদন করা যায়। আমাদের সরকার যদি এই বিষয়ে একটু মনোযোগী হতো তাহলে দেশের অনেক অঞ্চলকে আধুনিক কৃষিকাজের আওতায় আনা যেতো।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ আপনি চমৎকার সব বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। আমাদের সকলের প্রিয় এই প্ল্যাটফর্মকে সমৃদ্ধ করছেন।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ব্যস্ত সময়ের মাঝেও পোস্টটি দেখে এমন সুন্দর অনুপ্রেরণামুলক মন্তব্য দানের জন্য । খুব খুশী হয়েছি দেশের কৃষি উন্নয়নে কাজ করবেন শুনে । হাতিয়ার সম্ভাবনার কথা শুনে ভাল লাগল , যেখানে সামুদ্রিক বা নদীর স্রোত এবং ঢেউকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুত উৎপাদন করা যায় বলে মাথার মধ্য এ বিষয়ে একটি চিন্তা ঢুকিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ । দেশে কৃষি জমির পরিমান সীমিত, এর সদব্যবহার কাম্য । হরাইজনটাল সম্পরসারনের সুযোগ কমে আসছে , উচ্চ ফলনশীল ও অধিক মুল্য সংযোযন ক্ষম কৃষি কর্মের দিকেই এখন মনযোগ আকর্ষন প্রয়োজন । আমাদের দেশের বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীদের অনেককেই দেখা যাচ্ছে শত কোটি টাক ব্যয় করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাসভবন নির্মান করছেন । তাদের উদ্যোগটি ভাল , দেশের টাকা দেশে খাটাবেন । তবে এই টাকা কৃষি কাজের জন্যও দেশে বিদেশে বিনিয়োগ করা যায় দেশের আয় বৃদ্ধির জন্য । গত কয়েক বছর আগে দেশের সংবাদপত্রে দেখেছিলাম বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা টানজানিয়ায় ৫০ হাজার হেকটর জমির বরাদ্ধ নেয়ার জন্য দৌড়ঝাপ করছেন । এর পর এ বিষয়ে আর কিছু জানা যায়নি । টানজানিয়া মাঝে মধ্যেই কৃষিকাজের জন্য দেশী বিদেওশী বিনিয়োগকারীদের বিপুল পরিমান জমি বরাদ্ধ দেয় , সে জমি লিজ নিয়ে বাংলাদেশী জনবল দিয়েই করা যায় লাভজনক চাষাবাদ ।
East African Business Week প্রকাশিত এমন একটি তথ্য বিবরণী নীচে সদয় অবলোকন করা যেতে পারে। উৎসাহী যে কোন বাংলাদেশী বিলিয়নিয়ার বিনিয়োগকারী এ ধরনের সুযোগ নিতেন পারেন দেশের তরে ।
http://www.busiweek.com/index1.php?Ctp=2&pI=4247&pLv=3&srI=84&spI=463
Saturday, October 03, 2015
Tanzania offers 60,000 hectares for sugar
MWANZA, Tanzania - The government has allocated 60,000 hectares of land for investment in large-scale commercial farming for sugar and rice.
The land is located in Mkulazi area, 60 kilometres from the Dar es Salaam – Morogoro highway.
The Tanzania Investment Centre (TIC) is coordinating subsequent transactions.
TIC is a One Stop Agency set up under the Tanzania Investment Act, No. 26 of 1997 to promote, co-ordinate and facilitate investment into Tanzania.
Both local and foreign investors are invited to apply for allocations.
The site is situated alongside the TAZARA railway line linking Dar es Salaam with the Zambian border, approximately 100 kms from Dar es Salaam.
The farm is subdivided and subtitled as follows; 40,000 hectares for sugar farming divided in two farms of 20,000 hectares each. The remaining 20,000 hectares would be for rice farming---four rice farms of 5,000 hectares each.
Mkulazi Large Scale Commercial farming site for Sugar and Rice land allocation would be guided by the Tanzania Investment Centre approved land allocation Manual.
According to TIC, the following investment farms are available on 66 years lease. Farm No. 217/1 and farm No. 217/2 –with total 40,000 hectares that would be for sugar farming.
The rice farms would be in Farm No. 217/3, Farm No. 217/4, Farm No. 217/5 and Farm No. 217/6, all with the size of 5,000 hectares each.
শুভেচ্ছা রইল
৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭
অগ্নি সারথি বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। চাই রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । আপনি যতার্থ বলেছেন , সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাস্ট্রিয় পৃষ্টপোষকতা ব্যতিত জুট বা ফ্রাক্স কম্পোজিট নিয়ে সাফল্য লাভ বেশ কস্টকর ব্যপার । সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাস্ট্রিয় পৃষ্টপোষকতা অভাবে বিজেআরআই গত এক দশকেও জুট কম্পোজিট নিয়ে তেমন কোন অগ্রগতি করতে পারেনি যা তাদের ওয়েব পেজের তথ্য হতেই দেখা যায় ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮
পুলহ বলেছেন: ১ম কমেন্ট পড়ে খুব মজা পেলাম হা হা হা।
আপনার পোস্ট পড়াটা উপভোগ করি, এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হলো না।
বাশের পর তিল নিয়ে জানলাম। ইফ পসিবল, পাটের ফার্দার সম্ভাবনা নিয়ে ভবিষ্যতে একটা এক্সক্লুসিভ পোস্ট দিতে পারেন।
শুভকামনা ভাই।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কমেন্টে অআপনার মজা পাওয়ার কথা শুনে অআমারও ভাল লাগছে , পেস্টি উপভোগ করতে পারার জন্য ধন্যবাদ । আপনার প্রস্তাবটা হৃদয়ে ধারণ করে রাখলাম । পাট নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাব । সাথেই থাকুন এ কামনা করি ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ব্লগিং কারে কয় শিখার জন্য আপনার পোস্টগুলি সকলের পড়া দরকার।
অসাধারণ সব কাজ করে জাচ্ছেন আপনি অভিনন্দন নিন আলী ভাই।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার অভিনন্দন হৃদয়ে ধারণ করে নিলাম । পোস্ট অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন । আপনাদের মত সিনিয়র ব্লগারদের কাছ হতে প্রতিনিয়ত শিখছি ,আপনার প্রবাসিদের জীবন পুস্তকের বিষয়্স্তু যা প্রামানিক ভাই এর পর্যালোচনায় পেয়েছি সেখান থেকেই আপনার বিজ্ঞতার অনেক পরিচয় পেয়েছি । এমন একজন গুণী লিখকের সহ ব্লগার হিসাবে নীজেকে প্রকাশ করতে গর্ববোধ করি ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।
১০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪
জেন রসি বলেছেন: আরেকটি অসাধারন পোস্ট।
আসলে সঠিক গবেষনা এবং পৃষ্ঠপোষকতা করা গেলে অনেক কিছুই সম্ভব। সে ব্যপারেই আপনার কাছে কিছু প্রশ্ন আছে। কৃষি ক্ষেত্রে গবেষনায় আমাদের দেশে ঠিক কি ধরনের রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রতিবন্ধকতা আছে বলে আপনি মনে করেন? এসব ব্যপারে আন্তর্জাতিক মার্কেট কি কোন রকম প্রেসার ক্রিয়েট করে?
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আপনি সঠিক কথাই বলেছেন । আপনার কথার উত্তর দুএক কথায় দেয়া কঠিন । এ নিয়ে কথা ্লতে হলে অনেক কথাই বলার অাছে, অবশ্য বিষয়গুলি প্রায় সকলেরই জানা । তবে একটি কথা বলা যায় যে বাংলাদেশে পাট ও বস্রখাতে গবেষনা মুলত সরকারী পর্যায়ে মন্ত্রনালয়াধীন বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়ীত হয় । রাজস্ব বাজেট হতে গবেষনার জন্য মুলত তেমন কোন অর্থ বরাদ্ধ থাকেনা যা বরাদ্ধ পওয়া যায় তা মুলত উন্নয়ন প্রকল্প খাত হতে । উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বরাদ্ধ মুলত থাকে পুর্ত নির্মাণ কাজ ও অবকাঠামো জন্যই বেশী। গবেষনার জন্য কোন অর্থই বলতে গেলে বরাদ্ধ থাকেনা । গবেশনার জন্য যা থাকে তাও আবার বিদেশী বিশেষজ্ঞ নিয়োগ ও প্রকল্পের অর্থে বিদেশে শিক্ষা সফরের নামে ভ্রমন করার জন্যই থাকে , তাও যদি বিজ্ঞানীরা শিক্ষা সফরে যেতো , বিদেশে শিক্ষা সফরে যায়তো বেশীরভাগই অামলারা , গবেষনার সাথে যাদের মোটেও কোন সংস্লিস্টতা থাকেনা ।
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রনালয়ের চলমান, সমাপ্ত ও প্রস্তাবিত প্রকল্পসমুহের তালিকা ও যাদের সরকারী ওয়েবসাইটে আছে তা একটু দেখতে পারেন নীচে । তাহলে বুঝতে পারবেন পাট ও বস্ত্র নিয়ে গবেষনা কোন পর্যায়ে আছে ।
২০১৫-১৬ সনের চলমান প্রকল্প সমুহ
১.বরিশাল টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটকে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে
উন্নীতকরণ (২য় সংশোধিত) স্থাপন
২.বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে উন্নীতকরণ (২য় সংশোধিত) স্থাপন
৩. ৪টি টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট (২য় সংশোধিত) স্থাপন
৪.ঝিনাইদহ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (২য় সংশোধিত) স্থাপন
৫.শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, গোপালগঞ্জ স্থাপন (১ম সংশোধিত)
৬.গৌরনদী টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট স্থাপন
৭.ভোলা টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট স্থাপন
৮.শেখ রাসেল টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, মাদারগঞ্জ, জামালপুর স্থাপন
৯.ডঃ এম, এ, ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পীরগঞ্জ, রংপুর স্থাপন
১০.শেখ হাসিনা বিএসসি-ইন-টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংকলেজ, মেলান্দহ, জামালপুর স্থাপন
১১.শহীদ কামরুজ্জামান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন, মান্দা
১২.তাঁত বস্ত্রের উন্নয়নে ফ্যাশন ডিজাইন,বেসিক সেন্টার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (৩য় সংশোধিত) স্থাপন
১৩."বিভিন্ন তাঁত অধ্যুষিত এলাকায় ০৩টি তাঁত সেবা কেন্দ্র (১ম সংশোধিত) স্থাপন "
১৪." বিদ্যমান ক্লথ প্রসেসিং সেন্টার মাধবদী নরসিংদী এর আধুনিকীকরণ (১ম সংশোধিত) স্থাপন "
১৫.বাংলাদেশ রেশম শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা
১৬.উচ্চ ফলনশীল(উফশী) পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং উন্নত পাট পচন (৩য় সংশোধিত) স্থাপন
১৭.“ভার্টিকাল এক্সটেনশন অব বিটিএমসি ভবন (নাইনথ ফ্লোর টু থারটিনথ ফ্লোর) এ্যান্ড কন্সট্রাকশন অব
কার পাকিং ফ্যাসিলিটি ইন এডজেসেন্ট ভেকেন্ট ল্যান্ড অব বিটিএমসি (২য় সংশোধিত)”
সমাপ্ত প্রকল্প
২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের সমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্পঃ
(দপ্তর/সংস্থার উন্নয়ন এর বিবরণ)
কোন প্রকল্প সমাপ্ত হয় নাই।
প্রস্তাবিত প্রকল্প
ওয়েব পেজে কিছু নেই ফাকা
http://www.motj.gov.bd/site/page/21cd0061-c237-4fcc-b57b-bff97e613854/চলমান-প্রকল্প
অপরদিকে বিভিন্ন বিদেশী প্রকল্প সাহায্য ও টেকনিক্যাল সাপোর্টের আওতায় গবেষনার জন্য যে শর্তাদি থাকে তাও গবেষনা কর্ম পরিচালনার জন্য অনেক সময় শুধু সময়ই ব্যয় হয়, আসল কাজের কাজ কিছু হয়না । প্রকৃস্ট উদাহরণ হলে পাট ও বস্র মন্ত্রনালয়ের অধীনে কারিগরী সহায়তা কর্মসুচী প্রকল্পের আওতায় একযুগের বেশী আগে দেশের সিলক তথা রেশম শিল্পের উন্নয়নের জন্য গঠিত সিল্ক ফাউন্ডেশন শুধু সরকারী প্রতিষ্টান রেশম বোর্ডের ১২টাই বাজিয়েছে , কাজের কাজ কিছু হয়নি ।
আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তরে কিছু ঈঙ্গিত পাওয়া যাবে ।
শুভেচ্ছা রইল
১১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়ে থাকে এবং পাটই বাংলার শত বর্ষের ঐতিহ্য কিন্তু পলিথিনের কারণে আজ পাটের ব্যবহার হারানোর পথে ।পরিবেশ বাঁচাতে হলে অবশ্যই পলিথিন ব্যাগের বা পলিথিনের বিভিন্ন সামগ্রী এর বিকল্প পরিবেশবান্ধব ব্যাগ,বস্তা, অনন্যা সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে। তা হতে পারে একমাত্র পাটে তৈরী বিভিন্ন সামগ্রী।
অপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, এমন একটা তথ্যবহুল পোস্ট দেওয়ার জন্য।
+++++
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্টে অনেক অনেক অনেক প্লাস দেয়ার জন্য ধন্যবাদ । আমি নিশ্চিত পোস্টের তথ্যগুলি আমার থেকে অনেকেই অআরো অনেক ভাল করে জানেন । আমি শুধু কিছু ধারণা সামাজিক এই যোগাযোগের মাধ্যমে তুলে ধরেছি যদি বিষয়টি নিয়ে যারা কাজ করতেছেন কিংবা ইচ্ছুক যদি তাদের নজরে পরে ।
একটি কথা ইদানিং শুনা যায় প্যাকেজিং এবং গ্রোসারী শপিংএর জন্য ফলিথিনের ব্যবহার উন্নত বিশ্বে অনেক কমে এসেছে । উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে গত বছর থেকে ইউকে তে গ্রোসারী শপিংএ পলিথিন ব্যগের ব্যবহারকে নিরোতসাহিত করার জন্য ব্যগের দাম ৫পেন্স নির্ধারিত করে দেয়ায় মাত্র ৬ মাসের মধ্যে এর ব্যবহার ৮৫% কমে যায় । গার্ডিয়ান প্রত্রিকায় এ বিষয়ে কি লিখেছে দেখা যেতে পারে নীচে :
England's plastic bag usage drops 85% since 5p charge introduced
Number of single-use bags handed out dropped to 500 million in first six months since charge, compared with 7 billion the previous year । এই স্থানটা পাটের ব্যগ দখল করতে পারে অনায়াসে , এবং তা দখলের জন্য ভারত তার পাটের গ্রীন ব্যগ প্রকল্প নিয়ে উঠে পরে লেগেছে , শুধু পিছিয়ে আছে আমাদের দেশ , লো কস্ট পাটের ব্যগ তৈরীতে এখনো তেমনভাবে করেনি মনোনিবেশ।
বিকল্প পরিবেশবান্ধব ব্যাগ,বস্তা, অনন্যা সামগ্রী ব্যবহার করার বিষয়ে আপনার অনুভুতির জন্য রইল বিশেষ ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
১২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
দেশে দিনদিন তন্তু জাতীয় জিনিসের ব্যবহার ও চাষ আশংকাজনক ভাবেই কমে যাচ্ছে। লক্ষ্য করেছি রেশম বোর্ড, তুলা উন্নয়ন বোর্ডগুলো শুধু নামে মাত্রই টিকে আছে। রাজশাহীতে রেশম চাষ কিছুটা হলেও দেশের অন্যান্য প্রান্তে এর প্রসার খুবই কম। ফলে কৃষির জমি তো দূরের ব্যাপার অনাবাদি রাস্তার দুধারেও রেশম তুত গাছ লাগানো হচ্ছেনা। ফলে আমরা তন্তু উৎপাদনে পিছিয়ে পড়ছি।
পোশাক শিল্পের আমাদের রপ্তানিতে অবদান প্রায় ৮১ শতাংশ। প্রতিবছর ২৫-৩০ বিলিয়ন ইউএসডি আসছে ই পোষাক শিল্প হতে। কিন্তু এই বিশাল বৈদেশিক মুদ্রা দেশে থাকছে না। কারন হল পোষাক তৈরির কাঁচামাল আমদানিবাবদ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়। ফলে আমদানি- রপ্তানি ঘাটতি বাড়ছে। ভবিষ্যৎকালে তা আরো বাড়বে। অথচ আমাদের সুযোগ ছিল, আছে হ্যান্ড লুম খাতে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মাধ্যমে, কৃষি ব্যাংক সহ অন্যান্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশীয় প্রযুক্তিতে কম্পোজিট তৈরী করার। আমরা সে সুযোগ হারিয়েছি, হারাচ্ছি।
আমাদের বিজ্ঞানীরা জেনেটিক কোড উম্মোচন করে ফেলতে পেরেছেন আর সেখানে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কম্পোজিট তৈরী করা খুব সম্ভব।
আশা করি, আমাদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কতৃপক্ষ, বিনা, রেশম বোর্ড, তুলা বোর্ড, এস এম ই, বাংলাদেশ ব্যাংক আপনার এই মুল্যবান প্রতিবেদনের আলোকে হয়ত এদিকে সুনজর দেবেন।
শ্রদ্ধেয় ব্লগার, এমন সুন্দর উপস্থাপনায় বাংলার মাটি ও মানুষের প্রাণ কৃষিকে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। সে কামনা করি।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এত সুন্দর প্রসংসামুলক মন্তব্য দেখে আমি অভিভুত । আপনি যতার্থই বলেছেন , দেশে দিন দিন তন্তু জাতীয় জিনিসের ব্যবহার ও চাষ আশংকাজনক ভাবেই কমে যাচ্ছে । রেশম চাষ কর্মসুচী মুখ থুবরে পড়েছে । রেশম বোর্ডের ‘ইনটিগ্রটেড সিলল্ক ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প টির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে , উপরন্ত রেশম বোর্ডের ১২ টা বাজিয়েছে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় গজানো সিল্ক ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ।
আপনি ঠিকই বলেছেন পোশাক শিল্প থেকে লাভ শুধু আমাদের শ্রমিকের মজুরীটাই । সুতা, ইন্টার লাইনিং, থান কাপর , যন্ত্রপাতি , আর বিদেশী কনটেইনারের ভাড়া পরিশোধেই গার্মেন্টস খাতের আয় শেষ । গার্মেন্টস মালিকেরা দামী দামী গাড়ী বাড়ীর মালিক হলেও ব্যাংকের দেনায় জর্জরিত । এর হাত হতে মুক্তির উপায় হলো এ খাতের জন্য নীজেদেরকেই প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করা । আমরা একটু সচেতন হলে্ই দেশের তন্ত দিয়ে দেশের মিল কারখানা , পাওয়ার লুম ও তাঁতেই তৈরী করতে পারি প্রয়োজনীয় গুনগতমানের কাপর ।
আমাদের বিজ্ঞানীরা জেনেটিক কোড উম্মোচন করে ফেলতে পেরেছেন আর সেখানে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কম্পোজিট তৈরী করা খুব সম্ভব। আপনার ধারনাই ঠিক অমাদের বিজ্ঞানীরা মানসম্পন্ন কম্পোজিট তৈরীতে সক্ষম । দেশে প্রয়োজনীয় সুযোগের অভাবে আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা বিদেশে কম্পোজিট তৈরীর গবেষনায় রাখছেন গুরুত্বপুর্ন অবদান যেমনটি নীচের চিত্রে দেখা যাবে । আমি এই পোস্টটি লিখার আগে কম্পোজিট বিজ্ঞানী ড: আকন্দের সাথে কথা বলে দেখেছি , তিনি খু্বই আশাবাদি ।
পাট তিল দিয়ে দিয়ে দেশে উন্নতমানের কম্পোজিট তৈরীর বিষয়ে পাট ও বস্র মন্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলেছি ও তাদের এক্সপার্টের জন্য কিছু রিডিং ম্যটেরিয়েল পাঠিয়েছি । মন্ত্রী মহোদয় খুবই ইন্টারেসটেড দেখা যাক কি করেন তারা ।
আপনিও সুস্থ থাকেন এ কামনাই করি ।
১৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
দেশে দিনদিন তন্তু জাতীয় জিনিসের ব্যবহার ও চাষ আশংকাজনক ভাবেই কমে যাচ্ছে। লক্ষ্য করেছি রেশম বোর্ড, তুলা উন্নয়ন বোর্ডগুলো শুধু নামে মাত্রই টিকে আছে। রাজশাহীতে রেশম চাষ কিছুটা হলেও দেশের অন্যান্য প্রান্তে এর প্রসার খুবই কম। ফলে কৃষির জমি তো দূরের ব্যাপার অনাবাদি রাস্তার দুধারেও রেশম তুত গাছ লাগানো হচ্ছেনা। ফলে আমরা তন্তু উৎপাদনে পিছিয়ে পড়ছি।
পোশাক শিল্পের আমাদের রপ্তানিতে অবদান প্রায় ৮১ শতাংশ। প্রতিবছর ২৫-৩০ বিলিয়ন ইউএসডি আসছে ই পোষাক শিল্প হতে। কিন্তু এই বিশাল বৈদেশিক মুদ্রা দেশে থাকছে না। কারন হল পোষাক তৈরির কাঁচামাল আমদানিবাবদ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়। ফলে আমদানি- রপ্তানি ঘাটতি বাড়ছে। ভবিষ্যৎকালে তা আরো বাড়বে। অথচ আমাদের সুযোগ ছিল, আছে হ্যান্ড লুম খাতে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মাধ্যমে, কৃষি ব্যাংক সহ অন্যান্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশীয় প্রযুক্তিতে কম্পোজিট তৈরী করার। আমরা সে সুযোগ হারিয়েছি, হারাচ্ছি।
আমাদের বিজ্ঞানীরা জেনেটিক কোড উম্মোচন করে ফেলতে পেরেছেন আর সেখানে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কম্পোজিট তৈরী করা খুব সম্ভব।
আশা করি, আমাদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কতৃপক্ষ, বিনা, রেশম বোর্ড, তুলা বোর্ড, এস এম ই, বাংলাদেশ ব্যাংক আপনার এই মুল্যবান প্রতিবেদনের আলোকে হয়ত এদিকে সুনজর দেবেন।
শ্রদ্ধেয় ব্লগার, এমন সুন্দর উপস্থাপনায় বাংলার মাটি ও মানুষের প্রাণ কৃষিকে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। সে কামনা করি।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , মনে হয় টেকনিক্যাল ফল্ট , যাহোক উপরের মন্তব্যের উত্তরটি এখানেও প্রযোয্য ,দয়া করে দেখে নিবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫০
সুমন কর বলেছেন: আপনার প্রতিটি পোস্ট ইউনিক এবং আগের পোস্টকে ছাড়িয়ে যাবার চেষ্টায় সার্থক। প্রতিটি পোস্ট বেশ তথ্যবহুল এবং অসাধারণ।
ভালো লাগা রইলো।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা , আপনার প্রসংসামুলক কথায় আমি মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৪
সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্টটা দুপুরেই পড়ছিলাম, তবে ব্যস্ততার কারণে আর মন্তব্য করা হয়ে ওঠে নাই! পোস্টের ব্যাপারে বলতে গেলে আসলে অনেক কথাই চলে আসে, তবে আপনারদের মত কয়েকজন লেখকের জন্যইযে এখনো সামু প্রাণবন্ত আছে; সেটার চাক্ষুষ প্রমাণ এই পোস্টটা!
অসাধারণ পোস্ট! খুব ভাল লাগলো! শুভ কামনা ডঃ আলী!
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্ট অসাধারণ অনুভুত হওয়ায় খুবই ভাল লাগছে
আপনার ভাল লাগায় অনুপ্রানীত ।
শুভ কামনা রইল ।
১৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:১৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
এমন একটি লেখায় মাত্র ৬ টি লাইক আর ১৫ টি মন্তব্য বড়ই বেমানান। ব্লগাদের আরো অধিক সচেতনতা নিয়ে এই সব পড়া দরকার বলে মনে করি। এত তথ্যবহুল ও সুন্দর লেখনীর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার। লেখাটি প্রিয়তে নিলাম।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার অআসার জন্য । অআমাদের সামুর সুপ্রিয় ব্লগার ভাইবোনদের অনেকেই ব্লগে অআসেন বিনোদনের জন্য , এটাই স্বাভাবিক । কিছু জানতে হলে গুগল মামাইতো অআছেন , সেখান থেকেই যার যার পছন্দ অনুযায়ী জেনে নিতে পাড়েন । গুগলে বিনোদনমুলক পোস্টের বড়ই অভাব । তবে আমাদের এই এই লিখাগুলিই গুগলে ও ফেসবুকে চলে যাচ্ছে বিভিন্নভাবে , সেখানেও মানুষে পড়ছে । তবে ফিডব্যাক পাচ্ছেনা এই যা পার্থক্য । লিখাটি প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল ।
১৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:১৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
বাংলাদেশে কি পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের মোড়ক ও ব্যাগ বাধ্যতামূলক ভাবে চালু করা সম্ভব। এ বিষয়ে আপনার মুল্যবান মতামত জানতে চাই!
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পলিথিন ব্যাগ বাজারে আসার আগে আমরা পাটের ব্যগে প্রোসারী শপিং করতাম আর মাছের জন্য বাঁশের তৈরী ডোলা ব্যবহার করতাম । একটা ব্যগ বা ডোলাকে বার বার ব্যবহার করা যেতো । সেই দিনে ফিরে যাওয়া কঠিন । তবে পলিথিন ব্যাগ বন্ধ করতে হলে এর কুফল সমন্পর্কে ব্যপক প্রচারনা চালাতে হবে সরকারকে । এর জন্য রাখতে হবে বড় মাপের বাজেট । একই সাথে সরকার নিতে পারেন পর্যায় ক্রমিক পদক্ষেপ । জনসাধারনের কাছে প্রচার করতে পারেন আগামী বছরের একটি নিদৃস্ট তারিখ হতে কোন দোকানদেরই ফ্রি কোন পলিথিন ব্যগ ক্রেতাকে দিতে পারবেনা , ব্যাগের জন্য একটি দাম ধার্য করে দিতে পারে সরকার । এই দামের নীচে কোন ব্যগ পাবেনা । এমনটি হয়েছে ইউকেতে । এক বছর ধরে সরকার ঘোষনা দিয়ে গেছে যে যথা আগামী ১লা এপ্রিল হতে কোন দোকানদার কোন ক্রেতাকে ফ্রী ব্যগ দিতে পাবেনা । ব্যগ প্রতি ৫ পেন্স দাম দিতে হবে। এক বছর ধরে জনতাকে ক্রমাগতভাবে জানানো হল তা , জনগনও মানসিকভাবে প্রস্তুত হল । এব্ং যখনতআইনটি ২০১৪তে চালু হল তখন সকলেই তা মেনে নিল । ছয় মাসের মধ্যেই দেখা গেল শপিং এর জন্য পলিথিন ব্যগের ব্যবহার শতকরা ৮৫ ভাগ কমে যায় । এ সম্পর্কে আগেও বলা হয়েছে, গার্ডিয়ান পত্রিকার সংবাদ ভাস্যটি তুলে দেয়া হল আবার England's plastic bag usage drops 85% since 5p charge introduced,
Number of single-use bags handed out dropped to 500 million in first six months since charge, compared with 7 billion the previous year,
অপরদিকে পাটের ব্যগ ব্যবহার বাধ্যতামুলক করা বেশ দুরুহ ব্যপার, তবে পাটের ব্যগের ব্যাবহারকে আকর্ষনীয় ও জনপ্রিয় করে তুলা যায় এর দাম কমিয়ে ও হালকা সাইজের করে, যেন একটি ব্যগ রাখা যায় অনায়াসেই পকেটে কিংবা ভেনিটি ব্যগে । উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ইন্ডিয়ার পুনা শহরে ২০১০ এ পলিথিন ব্যগ যখন করা হলো ব্যন, তখন পাটের ব্যগ তৈরীর জন্য ছোট ও মাঝারী ব্যগ উৎপাদনকারীদেরকে দেয়া হলো উচ্চহারে সাবসিি ও বিভিন্ন ধররের আর্থিক, কারিগরী ও মার্কেটিং প্রনোদনা । এর সুফল ফলল অচিরেই, পলিথিন ব্যগের ব্যবহার বন্ধ হল অনেকাংশেই , পাটের ব্যগের ব্যবহারও গেলো বেড়ে । যাহোক বিষয়গুলি দু এক কথায় বলে শেষ করা যাবেনা , এ জন্য চাই দেশপ্রেম বুকে নিয়ে সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
এগুলোর নতুন ব্যবসায়িক ভাবনা, কিন্তু শুরু করার মটো অবস্হানে তো নেই আমরা।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এসে দেখার জন্য । সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হয়ত সম্ভব হতে পারে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০১
বিলুনী বলেছেন: অসাধারণ তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট । অনেক নতুন তথ্য জানা গেল । ধন্যবাদ এই সুন্দর পোসটটির জন্য ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:২৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
২০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০৭
ভাবনা ২ বলেছেন: বা: তিল হতে যে এমন দারুন তাল হয় তা জানা ছিল না । আমরা দেশেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পরি পাট ও তিল গাছ হতে উন্নত মানের কম্পোজিট তৈরী করে ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পাট ও তিল হতে আরো অনেক কিছু হয় । ভাল লাগল এসে দেখেছেন বলে ।
ধন্যবাদ
২১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
২২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ৭ম প্লাস
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, সবগুলি প্লাসকে হৃদয়ে ধারণ করে নিলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
২৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪১
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: প্রতিউত্তরের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
যে গত বছর থেকে ইউকে তে গ্রোসারী শপিংএ পলিথিন ব্যগের ব্যবহারকে নিরোতসাহিত করার জন্য ব্যগের দাম ৫পেন্স নির্ধারিত করে দেয়ায় মাত্র ৬ মাসের মধ্যে এর ব্যবহার ৮৫% কমে যায় ।
আমাদের দেশেও ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা ও ১ মার্চ সারাদেশে পরিবেশ রক্ষায় পলিথিনের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। অভিযান ও আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে পলিথিনের ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল।কিন্তু বড়ই দূভ্যগের বিষয় তা আর বেশিদিন থাকতে পারিনি । এখনো বন্ধ পলিথিনের উৎপাদন। যদি আবারও জোড়ালো আইন বা অভিযান চালিয়ে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা,তাতে অনেক অংশে পরিবেশ রক্ষা পাবে। পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাট, কাগজ বা কাপড়ের ব্যাগ উদ্ভাবনের ও বহুল ব্যবহারের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহ ও বিভাগগুলোকে কার্যকরভাবে উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
ভালো থাকুন।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ কবীর ভাই সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহ ও বিভাগগুলোকে কার্যকরভাবে উদ্যোগ নেয়ার বিষয়ে ভাল পরামর্শ দেয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪
শাব্দিক হিমু বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। প্লাস
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্টটির বিষয়ে সুন্দর অনুভব ও প্লাস দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল ।
শুভেচ্ছা নিবেন ।
২৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬
ক্লে ডল বলেছেন: একজনের পরামর্শে গতকাল চুলে তিলের তেল মেখেছি। এ তেল সম্পর্কে ধারণায় ছিল না।আশংকায় ছিলাম চুলগুলো হারায় কিনা।
এ তেল ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হয় , মাথাও থাকে ঠান্ডা । তিলের তেল চুলের খুশকিও করে দুর।
আর যায় হোক, মাথা ঠান্ডা হয় জেনে খুশি বোধ করছি।
আর তিলের তন্তু যে এত কাজে ব্যবহার হতে পারে জানা ছিল না। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ একের পর এক বাংলাদেশের চমৎকার সব কৃষি সম্ভাবনা সম্পর্কে আমাদের জানানোর জন্য।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তিলের তেল নিয়ে ব্যক্তগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ । এর ঔষধী গুন যে আছে তা আমি নীজেই দেখেছি ।
ছোটকালে আমাদের দেশের বাড়ীর পাশে প্রতিবেশী আংকেল আগুনে পোড়া ক্ষত এর জ্বলাপুড়া ও খত ভাল করার জন্য চুনের পানির সাথে তিলের তেল দিয়ে একটি মলম জাতীয় ঔষধ তৈরী করে দিতেন , বহু দুর দুরান্ত হতে লোকজন এসে তা নিয়ে যেতো এবং উপকার পেতো । তিনি মলমটিতে আর কি দিতেন তা জানা যায়নি । তিনি এটি আর কাওকে শিখিয়ে দিয়ে যাননি, তাই তাঁর প্রয়ানের পর মলমটির হয়েছে ইতি ।
তিলের তন্তু ও পাট হতে কম্পোজিট তৈরী করা হলে আমাদের কৃষকদের ভাগ্য খুলে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নাই ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম আলীভাই !
শুভ কামনা
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপুমনি বিনয়ের অবতার, আপনার কাছ হতে আমাদের জানার কোন শেষ নাই । তবে খুশী হলাম কিছু জানাতে পেরেছি বলে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৮
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অনেক কষ্ট করেছেন এই পোস্টটা লিখতে -- একেই বলে অসাধারণ -- পাট সমন্ধে অনেক না জানা বিষয় জানলাম -- আর ছবি দেখে মনের ভেতর একটা আনন্দ ঢেউ খেলে গেল -- ছোট বেলায় আমাদের বাড়িতে কত ধরণের পাট ছড়াতে দেখেছি -- সেই পাট শুকিয়ে রশি বানানো হতো, সিকা বানানো হতো, বাজারে বিক্রি করা হতো। সেই সময় পাট দিয়ে এত কিছু তৈরি হতে দেখি নাই, অথবা হয়তো হতো কিন্তু আমরা জানতাম না -- যাইহোক তখন মিডিয়া এত বেশি সক্রিয় ছিল না -- মিডিয়ার কল্যানে আমরা না জানা অনেক বিষয় জানছি
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পোস্টটির বিষয়ে আপনার সুন্দর অনুভুতি প্রকাশের জন্য । ছোট্টকালের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন দেখে ভাল লাগল । পানিতে থাকা পাটের ঝাক থেকে পচানো পাট তুলে একটি একটি করে পাট গাছ থেকে নদী, খাল বা জলাশয়ের পাশে বসে পাট ছড়ানোর দৃশ্যটা কি দেখেছেন , কত যত্ন করে তারা পাটের আঁশ ছাড়ায়। মনে পড়ে ছোট সময় দল বেদে বিলের ধারে বসে পাটের আঁশ ছড়ানোর সময় আমাদের গ্রামের এক বয়োবৃদ্ধ কৃষক 'ভেলার বাপ' বলে সবার কাছে পরিচিত একজন বলে যেতেন বেহুলা লকিন্দর, সয়ফল মুলক , কিরনমালা, সুয়োরাণী দুয়োরানীর কিছছা কাহিনী , সেটা শুনতে শুনতে আটি পাট থেকে আমাদের আঁশ ছাড়ানো হয়ে যেতো ।
পাটজাত দ্রব্য নিয়ে আপনার আগ্রহ দেখে খুব খুশী হয়েছি ।
শুভেচ্ছা রইল
২৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত পরিশ্রম করে লিখেছেন এ পোস্ট, তা পোস্টের কলেবর, ছবি সংযোজন, ডাটা ব্যবহার ইত্যাদি দেখেই বেশ বোঝা যায়। আন্তরিক অভিনন্দন এমন একটি চিন্তা উদ্রেককারী, উদ্দীপক পোস্ট লিখার জন্য!
শেষের অনুচ্ছেদটা অত্যন্ত চমৎকার এবং ওজনদার হয়েছে।
সরকারী ওয়েব সাইটের (বিজেআরআই এর) এহেন দৈন্য দশা মনকে পীড়া দিয়ে গেল!
আপনার পুরনো দুটো পোস্ট- ব্লগার মানেই মুক্তমনা এবং এশিয়া কাপ ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের বিশাল জয় পড়ে সেখানে দুটো মন্তব্য রেখে এসেছি। একটু দেখে নিলে খুশী হবো।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর অনুপ্রেরণামুলক কথামালার জন্য । সরকারী একটি ওয়েব সাইট প্রনেতাদেরকে আরো অনেক বেশী সচেতন হওয়া প্রয়োজন । তাদের ওয়েবসাইটি দেখেন দুনিয়ার সকল সুধীজন , বিশেষ করে একটি বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের গবেষনা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট । পাটের দ্রব্য নিয়ে দৃস্টি সকলেরই আছে বিশেষ করে পাট বস্র আমদানী রপ্তানী কারকদের কাছে । জানিনা কতৃপক্ষের টনক নড়বে কিনা । আমি আপনার দেখা পোস্টগুলিতে আপনার কমেন্ট দেখে উত্তর দিয়ে এসেছি ।
শুভেচ্ছা রইল
২৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: একটা পোস্টের পেছনে কতটা ডেডিকেশন থাকতে পারে!
ছবিগুলো বিস্ময় বানায়।
অজানা কত কিছু। ++ এবং প্রিয়তে।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: রাজপুত্র এসে পাট আর তিলকে তাল দিয়ে গেছেন দেখে ভাল লাগল ও খুশী হয়েছি ।
পোস্টটি প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
৩০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৭
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া দ্যা স্টার অব ২০১৬
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপুমনি আমার ২০১৬ এর সকল স্টার কোনদিনই হবে তোমার এক পোস্টের সমান ধার ।
শুভেচ্ছা রইল
৩১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৮
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া পাটের কার্পেটই সবচেয়ে সুন্দর!!!!!!!
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ঠিকই বলেছেন আপুমনি তবে ইরানিয়ান কার্পেটের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে জুট কার্পেটের জন্য প্রয়োজন আরো গবেষনা ও মান উন্নয়ন ।
৩২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৩
কালীদাস বলেছেন: পরিশ্রমী পোস্ট। চমৎকার বর্ণনা; এত খুটিয়ে কখনই পড়িনি পাট নিয়ে। ছোটবেলায় পাট রচনা পড়তাম পরীক্ষায় পাস করতে, ঐ পর্যন্তই; হা হা।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের মত ইয়ং টেলেন্ট লোকজন পাটকে নিয়ে যেতে পারেন অনেক উচ্চতায় । আমার এ লিখার শেষ অনুচ্ছেদের বিবরণ অনুযায়ী পরিচিতজনদের কে অনুপ্রানীত করতে পারেন ও বলতে পারেন পাট নিয়ে করতে গবেষনা ।
ভাল থাকার শুভকামনা রইল ।
৩৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৫
কালীদাস বলেছেন: উপস, আমি কম্পুটেশনাল লাইনের লোক, বায়োলজি আমার ফিল্ড না, আগ্রহ এককালে ছিল অবশ্য মিউটেশনের হিস্টরিতে। আপনার ডোমেইন কিসে?
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মুল প্রফেশনাল ডমেইনটা "প্রজেক্ট প্লানিং এন্ড এপ্রাইজাল" , এর উপরেই পোস্ট গ্রাজুয়েট লেভেলে পড়্শুনা ও কর্ম জীবনের বিচরণ, এই সামান্যতম জানা টুকু নিয়ে করে যাই কোন বিষয়ের অন্বেষন । আপনার কম্পুটেশনাল লাইন অনেক বেশী টেকনিকেল, করতে পারেন কোন বিষয়ের বহুমুখী কম্পুটেশনাল বিশ্লেষন ।
৩৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৪
নীলপরি বলেছেন: আবারো একটা অসাধারণ পোষ্ট । সকালবেলায় পোষ্টটা দেখে ও পড়ে খুব ভালো লাগলো । পোষ্টে ++++
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্টে এত এত প্লাস পেয়ে ভাল লাগছে
ধন্যবাদ নীলপরি ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৩৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্টে এত এত প্লাস পেয়ে ভাল লাগছে
ধন্যবাদ নীলপরি ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৩৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্ত্রী মহোদয় খুবই ইন্টারেসটেড দেখা যাক কি করেন তারা - মন্ত্রী মহোদয়দের ইন্টারেস্ট এর ব্যাপার স্যাপার গুলো কিন্তু বহুমাত্রিক। ওনারা অনেক সময় অনেক কিছুই বলে থাকেন, তাই বেশী আশা করাটা যেন দুরাশায় পরিণত না হয়!
অনেকগুলো মন্তব্য এবং তার জবাব ভাল লেগেছে। মন্তব্যে এবং জবাবেও অনেক সমৃদ্ধ ভাবনার প্রকাশ ঘটেছে। সেগুলোতে 'লাইক' দিয়ে গেলাম।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আহসান ভাই । আপনি ঠিকই বলেছেন মন্ত্রীগন ইন্টরেসটেড হলেও তেমন আশাবাদী হওয়ার সম্ভাবনা নেই বিবিধ কারণে । তারা যা বলেন তা তারা করেন না, অনেক সময় করেন উল্টোটা ভুল মানুষের ভুল পরামর্শে স্বার্থের কারণে । গবেষনার জন্য হালনাগাদ তথ্যের প্রয়োজনে অনেক সময় বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটের স্বরণাপন্ন হতে হয় । কিন্ত তাদের ওয়েব পেজে গিয়ে খুবই হতাস হতে হয় । এই পোস্টটি লিখার সময় তথ্যের প্রয়োজনে বস্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের ও বাংলাদেশ পাট গবেষনা ইনসটিটিউটের ওয়েব সাইটে যেতে হয়েছিল । পাট গবেষনা ইনসটিটিউটের ওয়েব সাইটে পাটের তৈরী কম্পোজিটের ফটোগ্যলারীতে একটাও জুট কম্পোজিটের ছবি পাওয়া গেলনা বরং সেখানে সারি সারী ভাবে দেয়া নয়টি বিভিন্ন ছবির মধ্যে তিনটি বড় বড় ফুলের টবের ছবি দেয়া আছে দেখতে পাওয়া যায় । অপর দিকে বস্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের অফিসিয়াল ওয়েব পেজে তাদের প্রকল্প তালিকায় জুট কম্পোজিট নিয়ে কাজ করছে এমন কোন প্রকল্প দেখা তো যাইইনি উপরন্ত ভবিষ্যত প্রকল্প তালিকায় কোন প্রকল্পের চিহ্নই দেখা যায়নি , অথচ তারা ২০২১ এর রূপকল্প , ২০৪১ এর মেগাকল্প ও বিভিন্ন পদের মিশন ভিশন বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন , আমরাও তা শুনছি আর গলাদকরণ করছি । কিন্ত তাদের অফিসিয়াল মুখপত্র ওয়েব সাইটের দৈন দশা দেখে রাগ ধরে যায় । উপরের ১০ নং মন্তব্যের প্রতি উত্তরটি দেখে হয়ত কিছুটা আঁচ করা যায় । তাই বিষয়গুলিতে কিছুটা বিক্ষুব্দ হয়েই এই দুর্দিনের বাজারে নীজের ঘাটের পয়সা খরচ করে বেশ কয়েকবার চেস্টা করে মন্তীর সাথে ফোনে কথা হয় । রাজনৈতিক ভাবেই উত্তর দিলেন ইস্টারেসটেড , বুঝলাম এ পর্যন্তই , মন্ত্রী বলে কথা , তাই ভেবে নিলাম দেখা যাক কি হয় , মাঝে মাঝে তাদের ওয়েব সাইটেতো যেতেই হবে তথ্যের প্রয়োজনে ।
এ বিষয়ে আপনার আসঙ্কা প্রকাশের সাথে সহমত ।
শুভেচ্ছা রইল
৩৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: কত যে মূল্যবান সম্পদে ভরপুর আমাদের এই সোনার বাংলা। আহা যদি আমরা এই সম্পদগুলোকে কাজে লাগাতে পারতাম। তবে আমাদের মত ধনী আর কেউ হতনা।
শিল্পকলায় পড়াশুনা করার সময় বয়ন তন্তু সম্পর্কে পড়েছিলাম। মূলত: তখনই পাট,বাঁশ,তুলা সম্পর্কে কিছুটা শেখা। পাট দিয়ে কত যে শিল্পকর্ম তৈরি করতাম আর ভাবতাম কেন এই শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে। আমাদের কেন এটার আর প্রয়োজন নেই।
আপনার এই সুন্দর পোস্ট আবারো আমাকে সেইসব কথা মনে করিয়ে দিল। খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি। কিন্তু আমরা পড়ার পর সব ভুলে যাব। তারপর আবার হারিয়ে যাবে ভাবনা গুলো। অথচ আমাদের উন্নয়ন কত সহজ ছিল। হাতের মুঠোয় ছিল সবকিছু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই পোস্টটির জন্য।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ অরুনি মায়া অনু । আপনি ঠিকই বলেছেন ,
পাট দিয়ে কত না শিল্প কর্মই করা যায় । ফেলে দেয়া ব্যবহৃত
পাটের চট দিয়ে সামান্য চেষ্টাতেই বানানো যায় নিন্মের মত
কত না বিভিন্ন ধরনের বাহারী সৌখীন পাটের ব্যগ ।
শুভেচ্ছা রইল
৩৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রতিটা পোষ্ট স্বপ্ন দেখায়, বুকটা ফুলে ওঠে.. আশায়... নতুনতর স্বপ্নে!!
আহ কি সমৃদ্ধ সব ভাবনা!
নিশ্চয়ই আমরা একদিন স্বপ্নগুলোকে আর স্বপ্ন বলবনা- বাস্তব রুপেই দেখব। এই প্রজন্ম নয়তো পরের প্রজন্মে...
আপনার পোষ্ট পড়লেই দারুন আশাবাদী হয়ে উঠি! নিত্য!
++++++++++++++++++++++++
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ ভৃগু ভাই। বলা যায় আশাই জীবন, আশা নিয়েই মানুষ বেচে থাকে।
আপনি ঠিকই বলেছেন নিশ্চয়ই আমরা একদিন স্বপ্নগুলোকে আর স্বপ্ন
বলবনা - বাস্তব রুপেই দেখব। এই প্রজন্ম নয়তো পরের প্রজন্মে...
তবে অামাদের এই প্রজন্মই এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকে
দিকে এগিয়ে যাচ্চে দৃপ্ত পদক্ষেপে । উপরে ১২ নং
মন্তব্যের প্রতি উত্তরটি একটু দয়া করে দেখে
নিতে পারেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৩৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৯
প্রামানিক বলেছেন: অনেক তথ্যমূলক অসম্ভব ভালো একটি পোষ্ট, যার তুলনা হয় না। পোষ্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপনার কথা শুনে অনেক অনুপ্রাণীত হলাম ।
আশা করি আপনার অআপনার লগ আউট সমস্যার সমাধান হয়েছে ।
শুভেচ্ছা রইল
৪০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
আপনার লেখ্য বিষয়টির ব্যাপ্তি আর বিশদ তথ্যাদি সংশ্লিষ্ট এই পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ জানানোর কোনও ভাষা নেই । তাই ওদিকে গেলুম না ।
তবে যে আশার বাণী শুনিয়েছেন বা বলা যায় অর্থনৈতিক দিকটির যে গুরুত্ব তুলে ধরেছেন তার সাথে ১২ নং মন্তব্যে "ভ্রমরের ডানা এই যে কথা বললেন, ........... অথচ আমাদের সুযোগ ছিল, আছে হ্যান্ড লুম খাতে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মাধ্যমে, কৃষি ব্যাংক সহ অন্যান্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশীয় প্রযুক্তিতে কম্পোজিট তৈরী করার। আমরা সে সুযোগ হারিয়েছি, হারাচ্ছি। সে প্রসঙ্গ মনে করেই একটা গালি দিতে ইচ্ছে করছে আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরগুলোকে এবং নীতি নির্ধারক আহাম্মকদের।
ঐ ব্যাটারা শত কোটি টাকা কোনও কোনও ব্যক্তি বিশেষকে ঋন দিতে প্যান্ট খুলে বসে থাকে এটা জেনেও যে ঐ ঋন ফেরৎ আসবেনা , খেলাপী হয়ে থাকবে যদ্দিন দেশ টিকে থাকবে । তবুও ঐ শত কোটি টাকা হাযার খানেক কৃষকের হাতে তুলে দিতে তাদের কেন যে মরনপণ অনীহা বুঝিনা ! যদি দিত, তবে মনে হয় আপনার দেখিয়ে দেয়া পথে ( আপনার এ জাতীয় পোস্টে ) আমরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারতুম অল্প সময়ের মধ্যেই । অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারতুম ।
এসবের লক্ষন নেই দেখেই ঐসব হারামজাদাদের চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করতে ইচ্ছে করেনা কার ???
[ ভাষার মেজাজ হারিয়ে ফেলেছি অনেক কষ্ট ও ক্রোধ থেকে , ক্ষমা চেয়ে রাখছি আপনার ও পাঠকদের কাছে ]
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জি এস ভাই ।মুল্যবান সময় ব্যয় করে এটা পাঠের জন্য, তার চেয়েও বেশী ভাল লাগল এ বিষয়ে আপনার মুল্যবান মন্তব্য । আপনি ঠিকই বলছেন দেশের ব্যংকিং সেকটর ও সরকার চাইলে পাটের ও তিলের আশের মুল্যবান ব্যাবহার নিয়ে অনেক এগিয়ে যেতে পারে । মুল্যবান জুট ও ফ্রাক্স ফাইবার হতে তৈরী কম্পোজিটের চাহিদা রয়েছে দুনিয়া জোড়ে , দেশেও তৈরী করা যাবে অনেক বড় বাজার । এর ফলে দেশের বনজ কাঠের উপরে নির্ভরতাও যাবে অনেক কমে , বন সম্পদ পাবে রক্ষা , অপর দিকে কৃষকও পাবে তার ফসলের দাম অনেক বেশি করে ।
আপনার মন্তব্যের ভাষা উপযুক্ত হয়েছে সেসমস্ত অবিবেচক ব্যংকারের পরে, যারা পানির নীচে অপরের জায়গা দেখিয়ে রিয়েল এস্টেট বানাবার মত কায়াহীন শুধু ছায়াময় প্রকল্পখাতে হাজার কোটি টাকা ঋন দিয়ে কুঋনের প্রথা চালু করে । তারা একদিকে কায়াহীন প্রকল্পে ঋন দিয়ে ব্যংকের আমানত খেয়ানত করে অপর দিকে পানির নীচে থাকা প্লট বরাদ্ধ দিয়ে মানুয়ের পকেট খালী করার কর্মকান্ডে সহায়তা করে । এটা একটা জাস্ট উদাহরণ মাত্র ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৪১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
এ সকল ধারণাকে পোষণ করার জন্য ও শুরু করার জন্য হয় নন-প্রোপিট গঠন করে চেস্টা করা যেতে পারে, না হয় সরকারের সাথে জয়েন্ট ভেনচার করার চেস্টা করা সম্ভব।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আবার আসার জন্য । রেডিমেড গার্মেন্টস এর মত বাংলাদেশের মত সস্তায় কম্পোজিট দুনিয়ার আর কেও পারবেনা করতে তৈরী , তাই বিশ্বব্যপী ব্যপক চাহিদা সৃজনের অধিকারী এই পন্যটি উৎপাদনের বিষয় নিয়ে প্রফিট নন- প্রফিট যে কোন বিনিয়োগকারী সংগঠনই এগিয়ে যেতে পারেন অনায়াসেই । কৃষকদেরে সম্পৃক্ত করে কমিউনিটি বিজনেসের আকারে শুরু করে দেয়া পারে অতি অল্প আয়াসেই । সরকার চাইলে আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি মডেল প্রজেক্ট প্রপোজাল তৈরী করে দিতে পারে সহজেই ।
৪২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আবার আসার জন্য । রেডিমেড গার্মেন্টস এর মত বাংলাদেশের মত সস্তায় কম্পোজিট দুনিয়ার আর কেও পারবেনা করতে তৈরী , তাই বিশ্বব্যপী ব্যপক চাহিদা সৃজনের অধিকারী এই পন্যটি উৎপাদনের বিষয় নিয়ে প্রফিট নন- প্রফিট যে কোন বিনিয়োগকারী সংগঠনই এগিয়ে যেতে পারেন অনায়াসেই । কৃষকদেরে সম্পৃক্ত করে কমিউনিটি বিজনেসের আকারে শুরু করে দেয়া পারে অতি অল্প আয়াসেই । সরকার চাইলে আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি মডেল প্রজেক্ট প্রপোজাল তৈরী করে দিতে পারে সহজেই ।
৪৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২১
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ভাই আপনার লেখাটি গতকালই পড়েছিলাম। তার আগের দিন পড়েছিলাম বাঁশ নিয়ে লেখাটি। নিঃসন্দেহে ভীষণ আয়াস সাধ্য কাজ। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, আপনার এই দুটি লেখা শুধুই একটি ব্লগ পোস্ট নয়, রীতিমত গবেষণা সন্দর্ভ এবং বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার ফিচার পাতা, সারাদেশ, কৃষি অথবা এমনকি ব্যবসা বাণিজ্য পাতায় স্থান পাওয়ার দাবী রাখে। অনেক এনজিও, সরকারি-বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন ধরণের ফার্ম আপনার এই লেখা পেলে লুফে নেবে। জানিনা আপনার পেশা কি বা কতদূর আপনার পরিচিতি, কিন্তু যদি সম্ভব হয় তাহলে ভীষণ অনুরোধ করবো লেখা দুটিকে উপযুক্ত জায়গায় পৌঁছে দেয়ার জন্য। আমরা তো এখানে পড়ে অনেক জ্ঞান সমৃদ্ধ হচ্ছি, কিন্তু আপনার পরিশ্রম এবং এই লেখাটা স্বার্থক হবে তখনই যদি কিছুমাত্রও কাজ শুরু হয়। গুগোল মামায় খুঁজে তো সবই পাওয়া যায়, কিন্তু স্বার্থহীন বা মজাহীন এই বিষয়ে খোঁজার কাজটাই কয়জন করে বলুন।সময়ও থাকেনা সবার।গবেষণা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও দেশের উন্নয়নের মত বৃহত্তর স্বার্থের বিষয় নিয়ে উদাসীনতা দেখায়। সরকারের ইচ্ছা থাকলেও সত্যিকার আন্তরিক কাজের লোক পায়না। ক্ষুদ্র স্বার্থেই সবাই মগ্ন থাকতে চায়। আর তাই সব অনুসন্ধান, সব নতুন ভাবনা, নতুন নতুন অর্থনৈতিক খাতগুলো খোঁজা ঢিমে তালে চলতে থাকে। আর এদিকে আপনি অসম্ভব আন্তরিকতার সাথে কাজটা করেছেন। তাই ভীষণভাবে চাইছি কাজটা যথাযথ কতৃপক্ষের নজরে পড়ুক। এত সম্ভাবনাময় খাত দ্রুত অঙ্কুরোদগিত হয়ে আশু বর্ধনশীল রূপ লাভ করে আমাদের সুশীতল বটবৃক্ষের ছায়া দিক। ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে কোনভাবেই ছোট করতে চাই না, শুধুই আপনার মঙ্গল কামনা করছি অনেক বেশি। দীর্ঘজীবন আনন্দে থাকুন।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ এতখানি সময় নিয়ে এই পোস্ট দেখা ও তারো বেশী সময় নিয়ে মুল্যবান মনোমুগ্ধকর মন্তব্য দানের জন্য ।
আপনার প্রসংসামুলক কথায় আমি আপ্লুত।সামু এআটি বহুল প্রচারিত ও বহুজনে পঠিত সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম।সরকারের তখ্য মন্ত্রলালয়ের সংস্লিস্ট লোকজন সামুতে নিয়মিত বিচরণ করাই স্বাভাবিক । তথমন্ত্রী
মহোদয়ের সাথে কিছুদিন আগে ফোনাল্পে কথা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের তথ্য
কর্মকর্তগন যদি নিয়মিত ভাবে সামুতে ঘন্টাখানেক বিচরণ করেন ও দেশগঠনমুলক কোন লিখা দেখেন
তবে ত্রর ক্লিপিং সংষ্লিন্ট মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে উপন্থাপন করেন তাহলে প্রকল্প প্রনেতা ও অন্যান্য
বিষয়ে রূপকল্প ও পলিসি নির্ধারকদের জন্য সমাজের ক্রস সেকশস অফ পিপলের মতামত ও
উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রস্তাবনা জানতে সুবিধা হবে । তিনি আলোচনাটি গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন ।
এখন এগুলি তাদের ব্যপার । আমরা সাধারণ ব্লগারেরা আর কিইবা করতে পারি । মনে
যা আসে তা লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকলকে শুধু অবহিত করতে পারি ।
তবে এ টুকু জানতে পেরেছি তাঁত প্রকল্প নিয়ে এই ব্লগে উপস্থাপিত আমার একটি
লিখা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর গোচরে গিয়েছে। তাঁত পল্লী স্থাপনের জন্য তাঁত বোর্ড
একটি বড় সড় প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রনয়নের কাজ হাতে নিয়েছে । বোর্ডের
সংস্লিস্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় প্রকল্প প্রণয়ন কাজে
বেশ অগ্রগতি হচ্ছে । আর একটি কথা আপনি ঠিকই বলেছেন
এনজিওরা এ বিষয়ে প্রকল্প প্রনয়ন করতে পারে। ইউকেতে
বাড়ীর অাংগিনায় বা এলটমেন্ট প্লটে ফ্রাক্স চাষের জন্য
চ্যারেটি অর্গানাইজেশনের সহায়তায় প্রচুর সংখ্যক
ফ্লাক্স ক্লাব গড়ে উঠেছে । বাংলাদেশের অনেক
এনজিওরাও অনুরূপভাবে গ্রামীন এলাকায়
তিল চাষের জন্য কমিউনিটি ভিত্তিতে
এর চাষাবাদ ও চাষাবাদ উত্তর
কর্মকান্ড পরিচালনা করতে
পারে। অান্তর্জাতিক দাতা
সংস্থা হতেও এ কাজে
অর্থায়ন পেতে বেশী
বেগ পেতে হবেনা
বলেই বিশ্বাস
করা যায় ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।
৪৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৪
বিপ্লব06 বলেছেন: পাকিস্তানের নিউক্লিয়ার প্রোগ্রাম নিয়ে দুই নম্বর পোস্টটা দিলাম। আপনি নোটিফিকেশন চেয়েছিলেন, দিয়ে গেলাম। দেখে আস্তে পারেন।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , ইতিমধ্যে দেখে এসেছি ও প্রিয়তে নিয়ে এসেছি ।
শুভেচ্ছা রইল , ভাল থাকবেন ।
৪৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৫
আশরাফ ও নীল বলেছেন: ভাই, আপনার মোবাইল বা ইমেইল এড্রেস দিন। আপনার সাথে অনেক কথা আছে। বিশেষ করে একটা ইয়ারনের প্লান্ট স্থাপন করা নিয়ে। আপনি চাইলে আপনার সাথে দেখাও করতে পারি।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার আগ্রহের কথা শুনে খুশি হলাম । পোস্টটি একটু ভাল করে পড়ুন অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন । এটা একটি প্রাথমিক ধারণা মাত্র । কোন প্রকল্প করার আগে আর একটু দেখে নিন । কিছু জানার থাকলে এখানেই বলতে পারেন । সাধ্যমত তথ্য দিয়ে সহায়তা করব । এই পাবলিক প্লেসে ইমেইল বা ফোন সেতো কুঝতেই পারছেন , এ ছাড়া সামুরও একটি নীতিমালা আছেতো ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৪৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯
বিপ্লব06 বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ এত কস্ট করে পোস্টটা দেবার জন্য। বাংলাদেশে ফাইবারের পসিবিলিটি আসলেই বেশ হাই।
আপনার কাছে একটা প্রশ্নঃ
বাংলাদেশ সরকার পাটের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কারের ক্রেডিট নিয়ে নিছে। আমার পারসোনাল রিসার্চ বলছে ব্যাপারটা আরেকটু জটিল। আমি যতদূর জানি, বাংলাদেশি বিজ্ঞানীরা (আম্রিকার হাওয়াই, নর্থ ক্যারলাইনা, টেক্সাস ইউনিভারসিটিতে রিসার্চরত) এইটা নিয়া অনেক দিন থেকে কাজ করছে, পরে মনে হয় ঢাকা ইউনিভারসিটি জয়েন করছে।
আসল কাহিনী নিয়া আমার পারসোনালি সন্দেহ আছে, আপনি কিছু জেনে থাকলে জানাবেন।
তাছাড়া জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কারটা মানেই আলাদীনের চেরাগ পাওয়া না। এইটা কেবল শুরু। বাংলাদেশে সরকারের এস্টাব্লিশ করা ইন্সটিটিউট জিনোম আবিষ্কারের পর গত ছয় বছরে মাত্র একটা পেপার পাবলিশ করছে তাও বাংলাদেশেরই একটা অখ্যাত জার্নালে। ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর হইল মাত্রঃ ০.৫৯। উপরআলাই জানে এরা বসে বসে কার কি ছিড়তেছে!
ভালো থাকবেন।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য । আপনার প্রশ্নের উত্তরে পাটের জিনোম রহস্য আবিস্কারের বিষয়ে আমার তেমন বিশেষ কিছু জানা নেই । তবে কোন এক লিখায় দেখেছিলাম ২০০৮ সালে দেশের ৪২ জন বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদকে নিয়ে তৈরি ‘স্বপ্নযাত্রা’ নামক একটি উদ্যোগের মাধ্যমে পাটের জিনোম সিকোয়েন্স নিয়ে গবেষণার সূত্রপাত। পরে ২০১০ সালে নতুন উদ্যোমে আবারও গবেষণাটি শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুজীব বিভাগের ১১ জন গবেষক ও ডাটা সফটের ২০ জন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ তথ্য বিশ্লেষণের কাজগুলো করেছেন। এটা আপনারো জানা যে ড. মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডাটাসফটের একদল উদ্যমী গবেষকের যৌথ প্রচেষ্টায় ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে সফলভাবে উন্মোচিত করেন পাটের জিন নকশা। ২০১০ সালের ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পাটের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কারের ঘোষণা দেন।
জানা যায় গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ ও কারিগরি সহায়তা পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াই ও ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স মালয়েশিয়ার কাছ থেকে। গবেষণার বিভিন্ন স্তরে প্রায় দুই কোটি তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই তথ্য ব্যাখ্যা করতে প্রয়োজন পড়েছে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন একটি মিনি সুপার কম্পিউটারের। ৪২টি কম্পিউটার একসঙ্গে যুক্ত করে নাকি মিনি সুপার কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছিল । শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ডাটা সফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক কাজগুলো তত্ত্বাবধান করেন বলেও দেখা যায় ।
আপনি ঠিকই বলেছেন জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কারটা মানেই আলাদীনের চেরাগ পাওয়া না। এইটা কেবল শুরু, মূল চ্যালেঞ্জ কখনই জিনোম সিকোয়েন্সিং নয়। বরং জিনোমের ফাংশন আবিস্কার, ক্যারেক্টারাইজেশন অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ন। বলা হচ্ছে জিনোম সিকুয়েন্সিং করার ফলে আমাদের দেশের অর্থনীতির ভীতকে মজবুত করবে। জিনোম সিকুয়েন্সিং থেকে সুফল বয়ে আনতে দেশে সেরকম ইনফ্রাস্ট্রাকাচার ছয় বছর পার হলেও এখনো গড়ে উঠেনি। জিনোম রহস্য আবিস্কারের পরে দেশের অন্যান্য খ্যাতনামা বিজ্ঞানীদের সাথে ঐক্যও গড়ে উঠেনি । দেশের অনেকগুলো ল্যাব একযোগে যদি জিনোম সিকুয়েন্সের এপ্লাইড দিক নিয়ে গবেষণা করত, তাহলে অতিরঞ্জন কিছুটা হলেও যৌক্তিক ভাবে এর এপ্লাইড দিক বেড়ে যেতো । আমাদের দেশে জিনোম সিকুয়েন্সিং এর মূলে যতটা না আছে বিজ্ঞান, তার চেয়ে বেশী কাজ করছে পলিটিক্স , শুধুই ডাকডোল পিটিয়ে প্রচার ।
ধরেই না হয় নিলাম, জিনোম রহস্য আবিস্কারের ফলে এখন আমরা পাটের ডিএন এর সকল ফাংশনই জানি । এখন আমাদের কাজ হতে পারে সোনালী আঁশ পাটকে রেশমের মত করে তুলা । সবাই জানি রেশমী কাপড় খুবই মিহি ও আরামদায়ক তবে তন্তু যত চিকনই হোক তা ভাঙ্গেনা । যে গুটি পোকা ( সিল্ক মথ ) মুখের লালা দিয়ে রেশম ফিলামেন্ট তৈরী করে তাদের জিনোমটাও সিকোয়েন্স করে নিতে হবে এবং খুঁজে বেড় করতে হবে গুটি পোকার কোন জিন লালাটা তৈরী করে । তারপর সে জিনটা পাটের জিনোমে ঢুকিয়ে দেখা যেতে পারে , পাট সিল্কের মত রেশমী কোমল ঝলমলে হয় কিনা । বুঝাই যাচ্ছে কাজটা সহজ নয় । পাটের জিনোম আবিস্কারক ও সরকার এখন সে দিকে এগিয়ে গেলে হয় । তবে ইত্যবষরে যা করতে পারি, তা হল পাটের বহুমুখী ব্যাবহারের দিকটি খতিয়ে দেখা ও ভেলু এডেড পাটজাত দ্রব্য তৈরী করা ।
শভেচ্ছা রইল ।
৪৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৬
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বাহ দারুণ লাগলো প্রতিমন্তব্যের ধরনটা। মন্তব্য পড়ার চেয়ে সুনিপুণ ধাপে সিঁড়ির মত দেখতে লেখাটা আকর্ষণ করলো বেশি। আপনি যে সময় নিয়ে এই পোস্ট তথা গবেষণাপত্রটি লিখেছেন তার তুলনায় আমার মন্তব্যের সময় ব্যয় খুবই সামান্য। আপনার লেখা মন্ত্রিমোহদয়ের দৃষ্টিগোচরে এসেছে এটা শুনে খুবই আশাবাদী হলাম। আরও অনেকের গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য পড়েছি, অনেক কিছু জেনেছি। ৪৬ নং মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে যে তথ্যগুলো দিলেন তাতেও অনেক কিছু জানা হোল। পাটের তন্তুকে রেশম তন্তুতে রুপান্তর করার জন্য পাটের জিনোমের সিকোয়েন্সের পরিবর্তন বা ক্যারেক্টারাইজেশন আইডিয়াটা খুবই ইউনিক লাগলো। বিষয়টা আগে কেউ ভেবেছে কিনা জানিনা। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে সবই বুঝতে পারছি, আলোটাও দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু অনেক দূরে। কবে যে কাছে আসবে সেই দিন গোনার সাথে দ্রুত টগবগিয়ে কাছে যাওয়ার আশাই করতে পারছি শুধু।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আবার আএসে দেখার জন্য । মন্তব্যের কথায় আপ্লুত হলাম ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।
৪৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬
জুন বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন বিষয় নিয়ে চমৎকার একটি লেখা ডা: এম আলী। পাটের বহুমুখী ব্যবহার নিয়ে আপনার লেখাটি দেখে আমাদের সরকার ও সচেতন হোক। যখন বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য দেশে পলিথিনের বহুল ব্যাবহার দেখি তখনই মনে হয় পাটের কথা।
আর তিলের মত উপকারী একটি শস্যের ব্যবহার আমাদের দেশে কমই দেখা যায়। থাইল্যান্ডে বিভিন্ন খাবার বিশেষ করে বেকারী আইটেমে তিলের প্রচুর ব্যাবহার লক্ষ্য করা যায়।
পরে আপনার লেখাটি নিয়ে আরেকবার আসার ইচ্ছে পোষন করছি।
+
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক খুশী হয়েছি এই ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও এসে এই পোস্টটি দেখে অনুপ্রেরণামুলক কথা বলার জন্য ।
বিদেশে বসে পাটের কথা মনে রাখলে অবশ্যই পাটের বহুমুখি ব্যবহার বাড়ানোর জন্য সমর্থক সংখ্যা বৃদ্ধি
পাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই । প্রতিটি বাংলাদেশীই বিদেশে নীজ দেশের এমবাসেডর । সকলেই সমন্বিতভাবে
চেষ্টা করলে আমাদের কৃষিজাত পন্যকে উচ্চমাত্রার ভেলু এডেড বহুমুখী পন্যে পরিনত করতে সক্ষম হব বলে
আশা রাখি । শুভেচ্ছা রইল ।
৪৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৬
অতৃপ্তচোখ বলেছেন: অনেক বড় পোষ্ট, পড়তে অনেকক্ষণ লাগলো। তবে পুরোপুরিভাবে ব্যবহার বিধি বুঝতে পারিনি। তাই শেয়ার করে রাখবো। প্রয়োজনে অন্যকে জানাতে, নিজেও জানতে। যদিও আমি এইসব চাষ করবো না। তবুও যদি জানা থাকে তো ভালই, প্রয়োজনে চাষ করাও যাবে। তিল থেকে জানতাম তৈল আর তিলের নাড়ু হয়, তিলের গাছ থেকেও বস্ত্র তৈরি হতে পারে আজই জানলাম। বাঁশ থেকেও যে বস্ত্র হতে পারে এটাও আজই জানলাম। অনেক কিছুই নতুন জানছি। ভালই লাগলো পড়তে পেরে, ধৈর্য একটু বেশিই লাগছে।
গ্রেট ভাই, অসাধারণ জ্ঞান দিয়েছেন পোষ্টে।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ।
আপনার আগ্রহের কথা শুনে খুব খুশী হলাম ।
শেয়ার করলে কারো না কারো কাজে লাগতে পারে ।
ধৈর্য ধরে পাঠের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৫০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ।
আপনার আগ্রহের কথা শুনে খুব খুশী হলাম ।
শেয়ার করলে কারো না কারো কাজে লাগতে পারে ।
ধৈর্য ধরে পাঠের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৫১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০১
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আপনার প্রতিটি পোষ্ট খুবই গবেষনালব্ধ এবং সমৃদ্ধ থাকে। সকাল বেলা পত্রিকা পড়ার আগে আপনার লেখাটা পড়লাম। জানিনা ব্লগ মনিটরিং এ কারা আছে। এই জাতীয় লেখা গুলো আরও বেশি পাঠকের কাছে পৌছে দেওয়া উচিত।
ভালো থাকুন।ধন্যবাদ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৩৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দু:খিত উত্তর দানে বিলম্ব হওয়ায় । মন্তব্যটি সময়মত দেখেছিলাম । কিন্তু উত্তর দেয়ার আগে আপনার ব্লগে চলে যাওয়ায় মনে করেছিলাম উত্তর দেয়া হয়ে গেছে । অন্য একটি নতুন পোস্ট লিখা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এদিকে আর আসা হয়নি । যাহোক আপনার মন্তব্যে আমি আপ্লুত ও মুগ্ধ । ব্লগে অনেক গুনী জনের অনেক মুল্যবান লিখা আসতেছে প্রতিনিয়ত । ব্লগ মনিটরগন সকলের লিখাই মনযোগ দিয়ে দেখছেন ও মুল্যায়ন করছেন যথাযথভাবে । আমার লিখা আপনারা পাঠ করছেন সেটাই আমার সৌভাগ্য ।
নব বর্ষের শুভেচ্ছা রইল ।
৫২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২২
মু ওমর ফারুক বলেছেন: চমৎকার।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৩৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিলন্বে উত্তর দানের জন্য দু:খিত । নোটিশ না পাওয়ায় এরকম হয়েছে ।
ধন্যবাদ পোস্টটি চম ৎকার অনুভুত হওয়ার জন্য ।
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল ।
৫৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অনেক দেরীতে...., বলতে না চাইলেও বাধা নেই, পাট নিয়ে স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে যে খেলা চলেছে, আপনি হলে বলতেন, ধরনী দ্বিধা হও..।। আর তিল সম্পর্কে অনেক কিছুই জানলাম, যা জানতাম না।। তবে কিন্তু এখানে তিলের ব্যাবহার যত্রতত্র।।
বাশ নিয়ে সবার আগ্রহের কথা জেনে ভাবছি আগামিতে সেটাও পড়ে ফেলবো।।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মন্তব্যদানে বিলম্বের জন্য দু:খীত । অন্য নতুন একটি পোস্ট দেয়া নিয়ে খানিকটা সময় দেয়ায় এদিকে আসার সময় পাইনি , তাছাড়া কোন নোটিশও পাইনি । স্বাধিনতা পরবর্তী এক দশক পরে জীবনের বেশ কিছুটা সময় কেটেছে কৃষি ও পাট মন্ত্রনালয়ে , তাই এই পাট নিয়ে অভিজ্ঞতা যতসামান্য আছে । পাটকলগুলিতে এডমিনিসট্রেটার নিয়োগ হতে শুরু করে পরবর্তীতে অনেক কিছুই ঘটেছে । পাবলিক সেকটর এন্টারপ্রাইজের প্রোডাকটিভিটি এনহেন্সমেন্টের বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক গবেষনা টীমে এক্সসপার্ট হিসাবে কাজের সময়েও এর উপরে বেশ কিছু অভিজ্ঞতা আছে , তবে তা হয়ত আপনার জানার কাছে কিছুই নয়, কারণ আমার বেশ অনেকটা সময় গ্যাপ আছে । তাই ভবিষ্যত কোন লিখনীর জন্য আপনার সাথে এ ব্লগে অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারলে খুশীই হব ।
শুভেচ্ছা রইল
৫৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট, অনন্ত সম্ভাবনার লুকিয়ে আছে আমাদের উদ্ভিজ্জ সম্পদ গুলোর নবায়নযোগ্য এবং দুরদর্শী ব্যবস্থাপনায়।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৪৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
বিলম্বিত উত্তরের জন্য দু:খ্যিত ।
৫৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- তিল গাছ থেকে তন্তু পাওয়অর বিষয়টা একে বারেই জানা ছিলো না। এই বিষয়ে সম্ভবতো সরকারে কোনো আগ্রহ নেই।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৫০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লেখাটি এসে দেখার জন্য ধন্যবাদ ।
সরকারের আগ্রহ তৈরির জন্যই এ প্রয়াস নেয়া ।
বিলম্ব হলেও সরকারের চৈতন্য হবে বলে
আশা করি ।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ১ম হইছি, এক মন পাট দেন