নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাকবি কালিদাসের সচিত্র মেঘদূত : ৩য় পর্ব ( উত্তর মেঘ )

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬



প্রথম পর্ব : পুর্ব মেঘ ১-৩০ স্তবক
দ্বিতীয় পর্ব: পুর্ব মেঘ ৩১- ৬৫ স্তবক

তৃতীয় পর্ব : ১- ২৭ স্তবক পর্যন্ত
উত্তরমেঘ
১)
অলকার প্রাসাদগুলি বিশেষ কিছু গুনে প্রায় তোমারই সমান ! তোমার মধ্যে বিদ্যুৎ আছে সেখানেও বিদ্যুতের মত দিপ্তিময়ী সুন্দরী রমণীরা আছেন ! তোমার মধ্যে বিচিত্র ইন্দ্রধনুর বিকাশ হয় , প্রাসাদগুলি সঙ্গিত উপলক্ষে মৃদঙ্গের ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠে । তোমার মধ্যেও সেই স্নিগ্ধ ও গম্ভীর ধ্বনি ! প্রাসাদের মনিময় মসৃনভুমি তোমার মতঁই জলমগ্ন মনে হয় । তোমার মতই সেই প্রাসাদ গুলিও উচ্চ ও আকাশচুম্বী ।

ছবি-২/১৮ : অলকা পুরীর উচ্চ প্রাসাদগুলি

২)
অলকার বন্ধুদের হস্তে লীলাকমল , কেশপাশে কুন্দপুষ্প, লোধ্রপুষ্পের পরাগে মুখ পান্ডূর বর্ণ ধারণ করেছে , তাদের করবির দুইপাশে নববিকশিত করুবক ফুল , দুই কর্ণে সুন্দর দুটি শিরীষ ফুল আর সীমান্তে বর্ষাগমে বিকশিত কদম্ব!

ছবি-৩/১৮ : বিকসিত কদম্ব ফুল

৩)
অলকার বৃক্ষগুলি কখনো পুষ্পহীন হয়না , মধূলোভী উম্মত্ত ভ্রমরকূল চারিদিক গুঞ্জন করতে থাকে ! সেখানে সরসিতে পদ্মফুল নিত্য বিকসিত ; হংসশ্রেণী তাদের বেষ্টন করে থাকে, মনে হয় যেন রূপসি মেখলা পরেছে ! সেখানে গৃহময়ুরগুলির পুচ্ছ সর্বদাই দিপ্তিময়, তাদের কেকা ধ্বনীতে চারিদিক মুখর হয়ে উঠে, সেখানে সন্ধা অতি সুন্দর ,সকল সময় জ্যোৎস্নায় আলোকিত-অন্ধকারের লেশমাত্রও থাকেনা তথা ।

ছবি-৪/১৮ : মধূলোভী উম্মত্ত ভ্রমরকূল ও গৃহময়ুরগুলির পুচ্ছ সর্বদাই দিপ্তিময়

৪)
সেখানে আনন্দ থেকে নয়নে অশ্রু দেখা দেয় অন্য কোন কারণে নয় ,যেখানে মদনের পুষ্পশরের আঘাতটাই যত তাতে দু:খ তত নয় ; সে দু:খেরও অবসান ঘটে প্রিয়জন কাছে এলেই, সেখানে প্রলয় কলহ ছাড়া আর অন্য কোন বিচ্ছেদ নেই – যৌবন ছাড়া যক্ষদের অন্য কোন বয়সও নেই ।
৫)
অলকায় প্রাসাদে শ্বেতমনি নির্মিত ভুমিতে বিচিত্র কুসুম ছড়ানো –মনে হয় যেন আকাশের তার কার ছায়া ভুমিতে লুন্ঠিত ! সেখানে উত্তম নারী সংসর্গে যক্ষগন মধুপান করছেন ,মধুপানের সময় তোমার গম্ভীর মন্ত্রের ন্যয় মৃদঙ্গের ঘম্ভীর ধ্বনিতে সেই ভোগে ভুমি মুখরিত হয়ে থাকে ।
৬)
সেই অলকার মন্দাকিনীর তীরে যক্ষ কন্যাগণ খেলায় মত্ত । স্বর্ণরেণুর মতো বালুকা, মুস্টি নিক্ষেপ করে মনি লুকিয়ে ফেলতে হবে, তারপর ছুটে গিয়ে সেই মনি খুঁজে বার করতে হবে- এই খেলা । এই যক্ষ কন্যাগন রূপেগুনে দেবতাদেরও প্রার্থনীয় । খেলা যখন চলতে থাকে তখন মন্দাকিনীর জলসিক্ত বাতাস তাদের সেবা করে , তীরস্থিত মন্দারতরুর ছায়ায় তাদের রোদের তাপ নিবারিত হয় ।

ছবি-৫/১৮ : মন্দাকিনীর তীরে যক্ষ কন্যাগণ খেলায় মত্ত

৭)
সেখানে ভোগরতা সুন্দরীগন যখন আবেগে উচ্ছসিত হয়ে উঠে , তাদের পট্টবসন সহজেই খসে পড়ে, কটিদেশের বসনগ্রন্থি শিথিল হয়ে আসে-সেই শিথিল গ্রন্থি অনুরাগ ।
৮)
চঞ্চল হস্তে অনুরাগ আকর্ষণ করেন তাদের প্রিয়তমগন । তখন লজ্জায় বিমুঢ়া সুন্দরীগণ একমুষ্ঠি চুর্ণ পদার্থ নিয়ে উজ্জল প্রদীপ শিখা লক্ষ্য করে ছুড়ে দেন, কিন্তু তাদের সে চেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে যায়! কেননা এ যে রত্নপ্রদীপ- নেভানো যায় না ।
৯)
অলকার উচ্চ প্রাসাদগুলির উপরের তলার ঘরগুলিতে সুন্দর সুন্দর চিত্র সজ্জিত রয়েছে । বাতাসের বেগে মেঘখন্ডগুলি সেখানে প্রবেশ করে নতুন জলকনায় চিত্রগুলি নষ্ট করে দেয় , তারপর সঙ্কিত হয়ে মেঘের দল জানালার পথে পালিয়ে যায় ,যেন উদ্গীর্ণ ধোঁয়া জানালা পথে বেরিয়ে যাচ্ছে ।

ছবি-৬/ ১৮ : উচ্চ প্রাসাদগুলির উপরের তলার ঘরগুলিতে সুন্দর সুন্দর চিত্র সজ্জিত

১০)
অলকার রতিমন্দিরে শয্যার উপরে মনির ঝালর , সেখানে চন্দ্রকান্তমনি ঝোলানো । রাত্রিতে মেঘের অবরোধ থেকে মুক্ত চাদের কিরণ এসে পড়ে চন্দ্রকান্ত মনির উপর , তখন তা থেকে বিন্দু বিন্দু শীতল জলকনা ঝরতে থাকে, সন্ধায় প্রিয়তমের গাঢ় আলিঙ্গনে আবদ্ধ রতিশ্রান্তা রমণী, ঐ জলকনার বর্ষণে অঙ্গ জুড়ায় ।
১১)
অলকার কামী ব্যক্তিদের গৃহে অক্ষয় রত্ন বর্তমান, কুবের-ভবনের বাইরে ‘বৈভ্রাজ’ নামে যে উপবনটি আছে সেখানে তারা এসে বিচিত্র গল্প বলে সময় কাটান , তাদের সঙ্গে থাকেন অপ্সরা ও কিন্নরের দল। কিন্নরগণ মধুরকন্ঠে অলকাপতি কুবেরের যশোগাথা গান করেন।
ছবি-৭/১৮ : কুবেরের প্রতি কিন্নরগণের মধুরকন্ঠে যশোগাথা


১২)
অলকার রাত্রির অন্ধকারে অভিসারিকারদল যখন যাত্রা করেন তখন দ্রুত গতির ফলে তাদের অলক থেকে মন্দারকুসুম খসে পড়ে, চন্দন প্রভৃতি দ্বারা দেহে অঙ্কিত লতাপাতার ছাপ ঝরে পড়ে , কোথাও কনের স্বর্ণালঙ্কার ধুলায় লুটায় , কোথাও স্তনথেকে মুক্তার মালা , কোথাও আবার স্তনের চাপে হার ছিড়ে পথে পড়ে, তাই সুর্যোদয়ে সবাই বুঝতে পারে , কোন পথে রমণীগণ তাদের নৈশ অভিসার করেছিলেন ।

ছবি – ৮/ ১৮ : রাত্রির অন্ধকারে অভিসারিকাদের অভিসার

১৩)
সেই অলকার কুবের ভবনের বাইরের উপবনে আছেন চন্দ্র শেখর, তিনি কুবেরের সখা, ভয়ে মদন তার ভ্রমর পঙক্তির পুষ্পধনু নিয়ে সেখানে যান না । সেখানকার চতুরা সুন্দরীগণ কামীজনের প্রতি চঞ্চল সভ্রূভঙ্গ এবং অব্যর্থ কটাক্ষ নিক্ষেপ করেন , তাতেই মদনের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়ে থাকে ।

ছবি-৯/ ১৮ : চতুরা সুন্দরীগণের অব্যর্থ কটাক্ষ নিক্ষেপ

১৪)
সেই এলাকার রমণিদের সাজসজ্জার সমস্ত উপকরণ একমাত্র কল্পবৃক্ষই যুগিয়ে থাকেন, বিচিত্র বসন ও অলঙ্কার , নয়নে বিভ্রম সৃষ্টির ঙ্কঅনুকুল শুরা, পল্লবসহ নববিকসিত পুষ্প , চরণকমলের উপযোগী আলতা !

ছবি-১০/১৮ : কল্পবৃক্ষ

১৫)
সেই অলকাতেই কুবেরের গৃহের উত্তরে আমার গৃহ দুর থেকেই দেখা যায় । ইন্দ্রধনূর সুন্দর তোরণে শোভিত সেই গৃহ ! কাছেই একটি ঠোট্ট মন্দার তরু, আমার স্ত্রী পালিত পুত্রের মতোই স্নেহে বর্ধিত করেছে । গাছটি এত নীচু যে ঘর হতে হাত দিয়েই তার পল্লবের নাগাল পাওয়া যায় ।

ছবি -১১/১৮ : কুবেরের গৃহের উত্তরে যক্ষের গৃহ

১৬)
আমার গৃহে একটি দিঘি আছে ; মরকতশিলায় তার সোপান নির্মিত। স্নিগ্ধ বৈদূর্য মনিময় মৃনালের উপরে স্বর্ণকমল বিকশিত । এই দিঘির জলে বাস করে হংসদল বর্ষাকালে তোমার দর্শণে ক্লান্তি দুর হয় বলে নিকটবর্তী মানস সরোবরে আর যায়না ।

ছবি-১২/ ১৮ : যক্ষের গৃহপাশে দিঘিতে হংস সাথে যক্ষ প্রিয়া

১৭)
সেই দিঘির তীরে এক ক্রীড়া পর্বত ; কোমল ইন্দ্রনীল মণিতে তার শিখর নির্মিত। স্বর্ণের কদলী তরুতে তার চারিদিক বেষ্টিত এবং এ কারণেই দর্শনীয় সেই পর্বতটি আমার অতি আদরের; তোমার নীল দেহের চারিদিকে যখন বিদ্যুৎ বিচ্ছুরিত হতে থাকে তখন সেই পর্বতের কথাই আমি কাতর হৃদয়ে স্মরণ করি।
১৮)
এই ক্রিড়াশৈলে কুরুবক গাছের বেড়ায় ঘেরা একটি মধুমঞ্জরি কুঞ্জ আছে; কুঞ্জের নিকটেই দুইটি তরু, একটি রক্তশোক , বাতাশের বেগে এর পল্লব কম্পমান । অন্যটি বকুল , দেখতে খুবই সুন্দর । অশোক আমার মতই তোমার সখীর অর্থাৎ আমার প্রিয়ার বামচরণের আঘাত প্রার্থনা করছে, অন্যটিও আমারই মতো তোমার সখীর মুখের মদিরার প্রার্থনা জানাচ্ছে ।

ছবি -১৩/ ১৮ : ক্রিয়াশৈলে মধুমঞ্জরি কুঞ্জ

১৯)
এই তরু তলে স্বর্ণ নির্মিত ক্রিড়াশৈলীর আধার, এর এক অংশে কুচ বর্ণের মুর্তীর উপর রংগীন স্ফটিক বসানো । দিনের মধ্যভাগে তোমার বন্ধু নীলকন্ঠ ময়ুর এসে সেই মুর্তীর উপরে বসে আর আমার প্রিয়া, সখিগন সাথে জলের উপরে ক্রিড়াকালে হাততালি দিয়ে তালে-তালে নাচতে থাকে, ময়ুরের কেকা ধ্বনিতে নৃত্যের তাল আরো মধুরতর হয়ে উঠে ।

ছবি – ১৪/ ১৮ : মধুমঞ্জরি কুঞ্জে সখীসনে যক্ষপ্রিয়ার নৃত্য

২০)
এ সব লক্ষনের কথা মনে রেখে আর আমার গৃহদ্বারের দুই পাশে আঁকা একটি শঙ্খ ও একটি পদ্ম দেখে আমার গৃহ তুমি চিনতে পারবে । আমার অভাবে সেই গৃহ আজ নিশ্চই শ্রীহীন, সুর্য অস্তমিত হলে পদ্মের কি আর সেই সৌন্দর্য থাকে?
২১)
দ্রুত নীচে নেমে আসার জন্য তোমাকে হস্তিশাবকের মত ক্ষুদ্র আকারে প্রথমে যে ক্রীড়াশৈলের কথা বলেছি সেই ক্রীড়াশৈলের সানুদেশে এসে বসতে হবে , তারপর তোমার বিদ্যুতের আলো মৃদুভাবে গৃহের মধ্যে নিক্ষেপ করবে, জোনাকীর শ্রেণী যেমন মিট মিট করে জ্বলে ঠিক সেই রকম মৃদু বিদ্যুতের চোখে তুমি দেখবে ।

ছবি-১৫/ ১৮ : হস্তিশাবকের মত ক্ষুদ্রবেশে মেঘদুত

২২)
তুমি যাকে দেখতে পাবে তিনি তম্বী, তিনি শ্যমা , পক্ক দাড়িম্ব বীজের মতো সুক্ষ শিখরযুক্ত তার দাত , পক্ক বি-বফলের তুল্য তার অধর, ক্ষীণ কটি, গভীর নাভি, নিতম্বের গুরুভারে শিথিল গতি , স্তনভারে সামান্য আনত , তোমার মনে হবে যুবতী সৃস্টিতে তিনিই বিধাতার প্রথম আদর্শ।

ছবি -১৬/১৮ : যক্ষ প্রিয়া

২৩)
তাকেই জানবে আমার দ্বিতীয় জীবন রূপে! আমি তার সহচর , দুরে পড়ে আছি- চক্রবাককে হারিয়ে চক্রবাকীর মতই সে একা, বেশি কথা বলেনা, বালিকা বয়সের এই দিন গুলি তার কেটে যাচ্ছে কঠিন বিরহে, গাঢ় উৎকন্ঠায়, আমার আসঙ্কা তুষার পীড়িত কমলের মতোই তার সৌন্দর্য এখন অন্যরূপ হয়ে গেছে ।
২৪)
অবিরল অশ্রুপাতে তার নয়ন স্ফীত ও দীপ্তিহীন , ঘন ঘন নিশ্বাসের উষ্ণতায় তার ওষ্ঠাধর মলিন , লবিত কেশপাশে মুখ ঢাকা, তাই অপ্রকাশিত –করতলে ন্যস্ত প্রিয়ার মুখ দেখলে তোমার মনে হবে , তুমি ঢেকে রাখলে চাঁদের যে দশা ঘটে , সেই দশাই তার হয়েছে ।
২৫)
আমার প্রিয়াকে হয় তো তুমি দেখবে আমারই কল্যানে পুজা পার্বণ নিয়ে ব্যস্ত কিংবা আমার বিরহক্লিষ্ট রূপ কল্পনা করে সে তারই ছবি আঁকছে, কিংবা হয় তো সে পিঞ্জরুথ মধুরচনা সারিকাকে প্রশ্ন করছে ,ওগো রসিকে ! তুমি তো প্রিয় ছিলে , তার কথা তোমার মনে পরে কি ?

ছবি -১৭ / ১৮ : পিঞ্জরুথ মধুরচনা সারিকাকে প্রশ্ন করছে যক্ষ প্রিয়া

২৬)
হয় তো দেখবে , মলিনবসনা আমার প্রিয়া কোলের উপররে ধীনতারা রেখে গান করছে – সেই গান আমারই নাম ও কূলের পরিচয়ে ভরা। সে গানের পদ সে নীজেই রচনা করছিল । কিন্তু তুমি দেখবে গাইতে গিয়ে ধীণার তার চোখের জলে সিক্ত হচ্ছে , বারম্বার মুছে নিয়ে চেষ্টা করছে তবু নিজেরই রচিত সুর আর মনে করতে পারছেনা ।

ছবি-১৮/ ১৮ : কোলের উপর ধীনতারা রেখে মলিনবসনা যক্ষ প্রিয়া গান করছে

২৭)
হয়ত দেখবে দরজার সামনেই এক বেদির উপর বিরহের দিন থেকে আরম্ভ করে প্রতিদিন একটি করে ফুল রাখতে , এতদিনে যতফুল জমে উঠেছে , তা সে গুনে দেখছে বিরহ শেষ হতে আর কত মাস বাকী ! প্রিয়ের সঙ্গে যখন বিচ্ছেদ ঘটে তখন এইসব উপায়ের সাহায্যেই বিরহিণী নারী চিত্তবিনোদন করে থাকে ।

ধন্যবাদ এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ।

সুত্র :
ড: মুরারিমোহন) সেন (২০০০) , মেঘদূত , নবপত্র প্রকাশন, কলিকাতা ।
শক্তি চট্টোপধ্যায়,(২০১৬), মেঘদূত, ফ্লিপকার্ট,ডাইস পাবলিশিং , কলিকাতা ।
বুদ্ধদেব বসু ( ২০১৬ ), মেঘদুত, আমার বই , বাংলা ব্লগ
ছবি সুত্র : গুগল

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভ সকাল........১ম হলাম :)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মাশাল্লা কি খবেন বলেন , বান্দা হাজির ।
আপনার জন্যও সুপ্রভাত
আপাতত ব্রেকফাস্ট সারেন
চা ইজ কামিং ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মাশাল্লা কি খবেন বলেন , বান্দা হাজির ।
আপনার জন্যও সুপ্রভাত
আপাতত ব্রেকফাস্ট সারেন
চা ইজ কামিং

ছবিটা প্রথমবার টেকনিক্যল কারণে পোস্ট হয়নি তাই আবার দিলাম

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার পোষ্ট দেখে শুধু ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম........পড়ে বুঝার ক্ষমতা আমার কমই হবে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দেখেছেন যে সেটাই আমার অনেক ভাগ্য - এখন চা পান করেন, তা হলেই চলবে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আশা করি ব্রেকফার্সট পর্ব শেষ হয়েছে আপনার , এবার চা পান করেন

৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩

জাহিদ অনিক বলেছেন: বাহ । দারুন । পড়ার সময় যে ছবি চোখে ভেসে ওঠে ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্ট দারুন অনুভুত হ ওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছান রইল ।

৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভালো কাজ, এ সময়ে আবার মেঘদুতে হয়তো ফেরা হবে না; আপনার 'পোস্ট ভার্সনই' ভালো লাগছে। আপনি সারমর্ম আকারে দিচ্ছেন, যারা পড়েননি, তাঁরা হয়তো সবকিছু মিলাতে পারবেন না; তবে, ছবির সাথে মিলায়ে মেঘদুতের কাছাকাছি কিছু একটা পাবেন।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল ।

৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: মেঘদূতের সারমর্মের মত কাহিনী তুলে ধরায় খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ ডঃ আলী ভাই।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্ট টি ভাল অনুভুত হওয়ায় খুশী হয়েছি ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রথম প্লাস ;)

হা হা হা

অসাধারন কাব্যকে আরো অসাধারন করে ফুটিয়ে তুলেছেন ছবি আর ভাবে!! অনেক অনেক ধণ্যবাদ!

এতো চীরকালিন। এই বিরহ এই আবেগ অন্তহীন...
হয়তো সময়ের সাথে শুধু মাধ্যম বদলায়...

মুগ্ধতা একরাশ :)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগল কথা শুনে । নারীকে গহনা ছাড়া কল্পনা করতে পারেন নি কোনো সংস্কৃত কবিই। তবে কালিদাস ই প্রথম কবি যখন তাঁর হাতে রচনায় উঠে আসলো ফুলের গহনার কথা। অলকায় সোনা আর দামী সব রত্নের প্রাচুর্য এত বিপুল যে কবিকে তার নায়িকাদের মোহিনী করতে ফুলের গহনার বিকল্প নেই। হাতে পদ্ম ,চুলে কুন্দ ফুল, মুখে লোধচূর্ন ব্যবহার করে ক্লান্তি দূর করে সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনে, খোপায় মোরগফুল, কানে শিরীষ, কদমে রয়েছে সিঁথির প্রসাধন।'' কত কিছুর উপমা যে এর মধ্যে আছে

ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল

৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগল কথা শুনে । নারীকে গহনা ছাড়া কল্পনা করতে পারেন নি কোনো সংস্কৃত কবিই। তবে কালিদাস ই প্রথম কবি যখন তাঁর হাতে রচনায় উঠে আসলো ফুলের গহনার কথা। অলকায় সোনা আর দামী সব রত্নের প্রাচুর্য এত বিপুল যে কবিকে তার নায়িকাদের মোহিনী করতে ফুলের গহনার বিকল্প নেই। হাতে পদ্ম ,চুলে কুন্দ ফুল, মুখে লোধচূর্ন ব্যবহার করে ক্লান্তি দূর করে সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনে, খোপায় মোরগফুল, কানে শিরীষ, কদমে রয়েছে সিঁথির প্রসাধন।'' কত কিছুর উপমা যে এর মধ্যে আছে

ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল




৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: খুব সুন্দর ছবি সাথে সুন্দর বর্ণনা। একটি পদ্যকে গদ্যাকারে দেখতে ভালই লেগেছে। সামুতে সবচেয়ে কষ্টসাধ্য পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন আপনি ও গেম চেঞ্জার। ভাল লাগে খুব।
মান্দার ফুলের কথা পড়ে মনে পড়ল আমারও একটা মান্দার গাছ আছে। টবে লাগিয়েছি তাই হয়ত ফুল হবেনা। আর আরেকটি ফুলের যে ছবি দিয়েছেন ওটা ভাইয়া মধুমঞ্জুরি, মাধবি লতা নয় :)
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটির জন্য।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , ভাল লাগল আপনার প্রসংসাব্নীতে । টবে মান্দার গাছে ফুল ফুটতেও পারে । মধুমঞ্জুরি, মাধবি লতা নিয়ে বিভ্রান্তি সকলের মধ্যেই কিছুটা আছে , ভবমার কাছেও একসময় ছিল । তবে কথা হল কি মধুমঞ্জরী'ই কখনও মাধবীলতা, কখনও মাধুরীলতা। নাম নিয়ে কত যে কথা, কত যে বিভ্রান্তি। বিভ্রান্তি বলা ঠিক হবে না। যে, যে নামেই ডাকুক না কেনো ফুলের সৌন্দর্য কখনও ম্লান হবে না। সৌরভ সে ছড়াবেই। আসলে এর কোনো বাংলা নাম ছিলো না। তবুও শনাক্তিকরণের প্রয়োজন আছে বলেই শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ মধুমঞ্জরী লতা নামটি দিয়েছিলেন।

রবীন্দ্রনাথের কবিতায় মধুমঞ্জরী-

'তব প্রাণে মোর ছিল যে প্রাণের প্রীতি
ওর কিশলয় রূপ নেবে সেই স্মৃতি,
মধুর গন্ধে আভাসিবে নিতি নিতি
সে মোর গোপন কথা।
অনেক কাহিনী যাবে যে সেদিন ভুলে,
স্মরণ চিত্ত যাবে উন্মুলে;
মোর দেওয়া নাম লেখা থাক ওর ফুলে
মধুমঞ্জরী লতা।

মধুমঞ্জরীর বৈজ্ঞানিক নাম- Quisqualis indica.
ধন্যবাদ বিষয়টি নিয়ে নতুন করে একটু ভাবার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল

১০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

শাব্দিক হিমু বলেছেন: আপনার পোষ্টটা সকালে দেখেছি, পড়িনি। আজ বাসায় খিচুড়ীর আয়োজন আছে, সাথে জাতীয় মাছের ভাজি-ঝোল। ভেবেছিলাম জুময়াবাদ আয়েশ করে খাবো আর আপনার লেখা পড়বো। ;)

কিন্তু পড়েই ফেললাম। :)
ছবিগুলো আলাদা করে নজর কেড়েছে। কাহিনিটা পড়বো পড়বো করে পড়া হচ্ছিল না। আগের পর্বগুলো মিস করেছি। পড়ে ফেলবো।

খিচুড়ি আর শরষে ইলিশের নেমন্তন্য রইলো। :)




০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ছবি নজর কাড়ায় খুশী হয়েছি । এই খিচুরী আর শরষে ইলিশের ডিস দেখে ছুটতে হবে এখনই বাজারে , ঘরের লোকের জিবে জল এসে গেছে । ভালই হল কয়েকদিন ধরে খায়েশ ছিল , বিধাতা মিলিয়ে দিল । বিকালের জন্য শিক কাবাবের নেমতন্ন রইল



শুভেচ্ছা রইল

১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১২

সুমন কর বলেছেন: এখন কিন্তু হালকা করে পড়ে, ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দাদা , দেখা হবে আবার ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

১২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দাদা , দেখা হবে আবার ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

১৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

বিলুনী বলেছেন: পাঠে ভাল লাগল । হিন্দু সভ্যতার আদিযুগ থেকেই রতি শাস্ত্রের প্রচলন ছিল। অথর্ববেদে বহু যৌন প্রসঙ্গের উল্লেখ আছে। যক্ষ মেঘকে প্রিয়ার কাছে পাঠাবে সেখানে সে তাকে লোভী করে তুলছে নারীর সৌন্দর্য্য কে পুঁজি করে। মেঘদুত কাব্যপাঠে জানা হল তা ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: অসাধারণ লেখা, অসম্ভব সুন্দর সব ছবি, চমৎকার বর্ণনা। দারুণ লাগল। অনেক আগে মেঘদূত পড়েছিলুম, আবার পড়ে খুব ভাল লাগল। সুন্দর একটা লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই খুশী হয়েছি লিখা ও ছবি ভাল লেগেছে বলে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন ।

১৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আপাতত ছবিগুলো দেখে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম ।

বিস্তারিত পড়তে আবার আসব । B-)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিস্তারিত দেখার কালে দেখা হতে পারে আবার
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

১৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার ভাল লাগার কথামালা শুনে খবই অনুপ্রাণিত হলাম ।
মেঘদুত যতবার পড়া হোক না কেন এর ভাল লাগা থেকেই যায়
এর সহজ সরল স্বাভাবিক প্রাকৃতিক উপমাগুলির জন্য ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

১৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২২

ভাবনা ২ বলেছেন: ভাল লেগেছে মেঘদুতের কাহিনী । কালীদাস কত সুন্দর করে
মেঘদুতকে তার প্রিয়তমের বিবরণ দিয়েছেন । কালিদাসের
কথা একটু বিস্তারিত জানালে খুশী হব । ধন্যবাদ

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব ভাল লাগল এসে দেখার জন্য ।
কালীদাস সম্পর্কে ১ম পর্বে কিছু বিবরণ দেয়া আছে ।
দয়া করে লিংকে ক্লিক করে একটু দেখে নিন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: মহাকবি কালিদাসের সচিত্র মেঘদূত পড়ে খুব ভালো লাগলো এবং অনেক কিছু জানা হল ।
কষ্ট করে লেখার জন্য এবং তা আমাদের পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মহাকবি কালিদাসের সচিত্র মেঘদূত পড়ে খুব ভালো লাগায় হয়েছি প্রিত ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩০

নীলপরি বলেছেন: অসম্ভব ভালো একটা পোষ্ট । সাথের ছবিগুলোও খুব সুন্দর । খুবই ভালো লাগলো ।
পোষ্টে +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এত এত প্লাস কোথায় রাখি
কিছু তার পাঠিয়ে দিলাম গুরু কালীদাস ও তার কাব্য
সম্ভার নিয়ে যে সমস্ত গুণিজন করেছেন কাজ তাদের প্রতি ।
আপনার প্রতিও রইল শুভেচ্ছা ।

২০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
প্রতি উত্তরের ধন্যবাদ জানবেন ।

আগামী পর্বে অপেক্ষায় রইলাম।

ভালো থাকুন।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য ।
শেষ পর্ব লিখার কাজ চলছে দেয়া হবে
অচীরেই , দেখা হবে সেখানেই ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

২১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

এই পর্বটি আগের পর্বের মতই খুব ভাল হয়েছে। কাব্যিক ব্যাঞ্জনায় চিত্রযুক্ত উপস্থাপনা ভিন্ন স্বাদের অনুভব।


কবি শাহরিয়ার কবিরের মত আমিও বলতে চাই -
মহাকবি কালিদাসের সচিত্র মেঘদূত পড়ে খুব ভালো লাগলো এবং অনেক কিছু জানা হল ।
কষ্ট করে লেখার জন্য এবং তা আমাদের পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুপ্রিয় লেখক।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনি এসে দেখায় খুবই খুশী হয়েছি মনে। কবিদের সনে মনে মনে কথ কথা বলি
জানি হয় না তা কবিতার মত , কালীদাসের লিখা পাঠে মনে হয় আছি কোন জগতে
তাদের কথামালার সে কি ভাব, সে কি তার উপমা, স্বর্গের দেবী অপ্সরদেরে নামিয়ে
আনেন ধরনীর বুকে । তাঁর কবিতার অমর নিপুন কাব্যরস ছড়িয়ে পড়ে জগত জুড়ে ।

শুভেচ্ছা রইল

২২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৬

ভাবনা ২ বলেছেন: প্রথম পর্বের লিংক ফলো করে দেখে এসেছি
সেখানটায় এই মেঘদুত কাব্যটির সুন্দর
ভুমিকা দেয়া আছে । কালিদাস সম্পর্কে
বিস্তারিত কিছু নেই । তাই তার
সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু জানালে
খুশী হব ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লিখাটি বড় হয়ে যাবে বলে সেখানে কালিদাসকে নিয়ে বেশী কথা না বলে মেঘদুতেরই ভুমিকা দেয়া হয়েছিল বড় করে ।
যাহোক কালিদাসকে নিয়ে কিছু বলতে হলে অনেক বড় পরবসরের দরকার । তবে সংক্ষপে বলা যায় ধ্রুপদী সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যের যে বীণাযন্ত্রে সূ²তম ও স্বর্গীয়তম ঝঙ্কার প্রাচীন ভারতে অনুরণিত হয়েছিল সেই স্বর্ণবাণীটির অন্যতম নাম মহাকবি কালিদাস। কাব্যজগতে নাগাধিরাজ হিমালয়। উপমা প্রয়োগে কালিদাসের সমকক্ষ কোনো কবি নেই বললে অত্যুক্তি হবে না। একদিকে মানুষের পুঁথিশালা, অন্যদিকে প্রকৃতির চিত্রশালা- দুইয়ের ওপরই তার সমান দখল ছিল। তাইতো তিনি ‘কবিকুলগুরু’।
সমগ্র প্রাচ্যদেশ তথা পৃথিবী সংস্কৃত সাহিত্যের কাছে ঋণী, সেই সংস্কৃত সাহিত্যকে মহাকবি কালিদাস অমরাবতীর অমৃত দ্বারা অভিসিঞ্চিত করেছিলেন- সাহিত্য বা ভাষাধ্বনি আর আক্ষরিক পর্যায়ে সীমিত রইল না- সুললিত সুর ঝঙ্কারে কাব্যবীণাকে অনুপ্রাণিত করে তুললো। সেই সুরধ্বনি সেই সুললিত কাব্য দ্বারা সে যুগের সংস্কৃত সাহিত্যে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছিল।
তাত্তিকদের ধারণা কালিদাসের কাল দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত বা বিক্রমাদিত্যের রাজত্বকালে (৩৫০-৩৭৫ খ্রিস্টাব্দ)। এই সময়ে ভারতে যে সমৃদ্ধ বিচিত্রমুখী সংস্কৃতি দেখা দিয়েছিল, তারই মহত্তম প্রতিনিধি কবি কালিদাস। কবি ও নাট্যকার উভয় রূপেই তিনি স্থায়ী আসন অধিকার করে আছেন। তাঁর প্রধান রচনা মহাকাব্য ‘রঘুবংশ’ ও ‘কুমার সম্ভব’। নাটক ‘মালবিকাগ্নি মিত্র’, ‘বিক্রমোর্ব্বশীয়’ ও ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম’ এবং দুটি খণ্ডকাব্য ‘ঋতুসংহার’ ও ‘মেঘদূত’। কালিদাসের সময়কাল বা তাঁর জন্মকাল নিয়ে মতভেদও আছে। এ কারণেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেছেন, ‘হায় রে কবে কেটে গেছে/ কালিদাসের কাল/ পণ্ডিতেরা বিবাদ করে/ লয়ে তারিখ-সাল।/ হারিয়ে গেছে সে সব অব্দ,/ ইতিবৃত্ত আছে স্তব্ধ-/ গেছে যদি আপদ গেছে,/ মিথ্যা কোলাহল।
আশা করি কৌতুহল কিছুটা মিটবে ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

২৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: গতকাল অর্ধেক পড়ে রেখেছিলাম, আজ বাকিটা পড়ে শেষ করলাম! ছবি আর বর্ননা মিলিয়ে একটা অনবদ্য পোস্ট! হস্তিশাবকের বেশে মেঘদূত, এই ছবিটা সব থেকে ভাল লেগেছে। তাছাড়া সব মিলিয়ে পোস্টটা খুব সুন্দর এবং বলা চলে একটৃু বেশিই সুন্দর! অনেক অনেক ভাল লাগা!

শুভ কামনা ডঃ আলী!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার কাছে পোস্ট টি
খুবই সুন্দর অনুভুত হয়েছে জেনে অনেক খুশী লাগছে
সেই সাথে অনুপ্রানিত হলাম ভীষনভাবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০০

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: আপনার বিচিত্রময় প্রতিভায় বরাবরই মুগ্ধ হচ্ছি। আপনার লেখাগুলো আসলেই ব্যতিক্রম। সময়ের অভাবে হয়তো সবসময় মন্তব্য করতে পারিনা। কিন্তু নিয়মিত আপনার প্রায় সব লেখাই পড়ি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। দীর্ঘজীবী হউন।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুপ্রিয় সাইফুল্লাহ ভাই অআপনার মুগ্ধতায় আমিউ মুগ্ধ ।
আপনার কথামালা সর্বদাই আমাকে অনুপ্রেরণা যোগায় ।
আপনিও দীর্ঘজীবী হোন এ কামনাই করি ।

২৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

অরুনি মায়া অনু বলেছেন:

এই হল মাধবীলতা। :)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ বিভ্রান্তি নিরসনের জন্য । কৃতজ্ঞতা জানবেন । কাওকে ভুল নামে ডাকলে তারতো মন খারাপ হতেই পা্রে । মানুষ হলে তো ক্ষেপেই যেতো এতক্ষনে , কিন্ত উদ্ভিদতো তা পারেনা, তবে তরুপ্রেমিরা এর দায়তো এড়াতে পারেনা । এতদিন যাকেই জিজ্ঞাসা করেছি সকলেই মধুমঞ্জরীকে মাধবীলতা বলেই চেনে বলেছে আর তাতে আসল মাধবী লতা ডুকরে কেদেছে বলেই এখন মনে হচ্ছে ।
রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার কটি চরণের কথাকে ঘিরে মাধবীলতাকে নিয়ে হয়েছিল বিভ্রান্তির সুচনা যেমনটি সেখানে ছিল ।
আমার দুয়ারে এসেছিল নাম ভুলি
পাতা ঝলমল অলঙকারখানি তুলি
মোর আঁখিপানে চেয়েছিল দুলি দুলি
করুন প্রশ্নরতা।
তার পরে কবে দাঁড়াল যেদিন ভোরে
ফুলে ফুলে তার পরিচয়লিপি ধরে
নাম দিয়ে আমি নিলাম আপন করে
মধুমঞ্জরিলতা ।

রবিন্দ্রনাথের এ হেন কবিতায় আমারি মত জন মনে মধুমঞ্জরি /মধুমালতি ও মাধবীলতাকে নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি ঘটে যায় । কিন্তু এবার নিশ্চিত হলাম আপনারি কথায় এরা সম্পুর্ণ আলাদা আলাদাভাবে দুটি ভিন্ন ফুল স্বমহিমায় । এই মেঘদুতের পরবর্তী পর্বে এটা আবার আসবে বিধায় এ বিষয়ে আরো একটু গবেষনায় জানতে পারলাম মধুমঞ্জরির সমনাম মধুমালতি আর মাধবীলতা সম্পুর্ণ আলাদা গোত্রের একটি ফুল তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই । মধুমঞ্জরী/মধুমালতি ( Quisqualis indica ) যা combretaceae পরিবারের বনেদি সদস্য ইংরেজীতে যা রেংগুনক্রিপার নামেই সমধিক পরিচিত । মধুমঞ্জরি নিয়ে কবি নজরুলও কম যান নাই , ইনিও তার ইন্দ্রজালে একে নিয়ে লিখেছেন অনেক অনেক কবিতার চরণ ।

এটাও জানা গেল যে মাধবীলতা ( Malpighiaceae) হলো বঙ্গদেশীয় ফুল যা বৈজ্ঞানিকভাবে Hiptage benghalensis) নামে অভিহিত । যতদুর জানা গেল তাতে বলতে গেলে দেখা বাংলাদেশে এটা আছে এখন অস্তিত্ব সংকটে । কাস্টল লতা জাতীয় উদ্ভিদ মাধবীলতা শীতে তার পাতা ঝরে যায় প্রায় পত্রহীন ডালপালায় থোকা থোকা সুগন্ধিযুক্ত সাদা রঙের ফুল ফোটায় যার স্থায়িত্ব খুবই স্বল্প সময় , সেজন্যইতো মনে হয় কবি লিখেছেন
মাধবী হঠাত কোথা হতে এলো
ফাগুন দিনের স্রোতে
এসেই বলে, যা’ই যা’ই যাই ।
জানাগেল মাধবীলতাকে দেখা যাবে রমনা উদ্যানে মৎস ভবনের পাশের গেট দিয়ে ডুকে কিছুটা সামনে এগুলে ।
আরো জানা গেল মধুমঞ্জরির মত আরো দুটি ফুল আছে ।একটি হলো মালতিলতা , অপরটি মাধুরিলতা । মালতিলতা হলো Apocynaceae পরিবারের Aganosma dichotoma প্রজাতির উদ্ভিদ । এটা চিরসবুজ কাস্টল লতা, অনেক উপর পর্যন্ত আরোহন করে , বর্ষাকালে কাক্ষিক মঞ্জরীতে কয়েকটি করে সাদা ফুল ফুটে । আর মাধুরিলতা/কম্বেট্রাম ( combretum coceineum) যা Combretaceae পরিবারেই কাস্টল লতা জাতীয় উদ্ভিদ । এর ও ঝাড় অনেক বড় হয় , কচি ডালপালা সবুজ ও বাদামী রোম বিশিস্ট , ডালের আগায় চ্যাপ্টা মঞ্জুরিতে কমলা লালে মিশানো ফুল ফুটে গ্রিস্ম ও হেমন্তকালে । যতটুকু জানা হল তাতে দেখা গেল যদিও উপরে বর্নিত সবকটি ফুল কাস্টল লতা জাতীয়, তবে এদের ফুল নীজ নীজ বৈশিষ্টে ও রঙে সম্পুর্ণ অলাদা আলাদা ফুল , ফুটার সময়েও রয়েছে ভিন্নতা। পাতা ও ফুলের আকৃতিতেও রয়েছে বেশ পার্থক্য, সবকটির পরিবার ও আলাদা আলাদা গোত্র যেমনটি দেখা যাবে নীচের চিত্রে ।

যাহোক, আবারো ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আমার বিভ্রান্তি নিরসন পুর্বক সঠিক তথ্য অন্বেষনে প্রলুব্ধ করার জন্যে । পোস্টের লিখায় এডিট করে সংশোধন করা হল যথারীতিভাবে ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আসাধারন এক বিরহী কাব্যগাথা , আপনার সহজ সাবলীল বর্ণনা আগ্রহী করে পাঠে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ !!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এসে দেখার জন্যে । কাজটা শুরু করেছিলাম বলে শেষ করার একটা আগ্রহ রয়ে যাওয়ায় এগিয়ে যাচ্ছি কোনমতে । পুরা কাহিণীটাই কাল্পনিক , তাই গুরু কালিদাসের অনুপ্রেরনায় তার কাব্য পাঠের সাথে বর্ণনার মিল রেখে মনের পর্দায় ভেসে উঠা ছবির সাথে মিল রেখে কিছু কাল্পনিক ছবি জুরে দেই তাতে । যাহোক যুগে যুগে একে নিয়ে দেশে দেশে আরো কত রকমের সুন্দর প্রকাশ হয় তা হয়ত দেখা যাবে আগত দিনে ।

শুভেচ্ছা রইল

২৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,



বর্ণনার সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে ছবি , দারুন মেধাময় কাজ । প্রতিবারের মতোই বলতে হয় - " কিছু বলার নেই " ।

আর ঈর্ষান্বিত হয়ে বলি , " এতো ভালো, ভালো না !!!! " :( ( একটি চুটকীর ভাব উল্লেখ করলুম )

তবে দুঃখ হয়, আজকালকার "কালিদাস"দের অমন "যক্ষপ্রিয়া" নেই অথবা "যক্ষপ্রিয়া"দের তেমন "কালিদাস" নেই !!!!!!!!!!!!!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই ।



চুটকীর ভাব হলেও শ্রদ্ধাভাজনেষুর ঈঙ্গীতটা
নিয়েছি মাথা পেতে, সচেতন হতে
অনেক সহায়ক হবে ।গুরুবাক্য
শিরোধার্য রহিবে তা মর্মতে ।

আজকালকার যক্ষদেরকে নিয়ে
কিযে বলেন !!! সামুর পাতায়
কারি কারি কবিতায় শুধু
যক্ষ আর যক্ষপ্রিয়াদের
সে কি আকুলী বিকুলি
ঝড়ে পরে কত না ভাবে
তবে প্রায়গুলিতেই দেখি
কেবলি বৈপরিত্ত ভা্ব ধরে
সে হিসাবে আপনার কথাটিই
যায় ফলে; আজকালকার "কালিদাস"দের
অমন "যক্ষপ্রিয়া" নেই অথবা "যক্ষপ্রিয়া"দের
তেমন "কালিদাস" নেই,
এই কথাটি আমারো মনে ধরে । :)

নিরন্তন শুভেচ্ছা রইল

২৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৩৬

রিপি বলেছেন: চমৎকার সব ইতিহাস জানা হলো... B-)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । কালো ফ্রেমের চশমায় মোরানো ঠোটের মাঝখানে এক টুকরো মিস্টি হাসি দেখতে ভালই লাগে ।
যক্ষ ও যক্ষপ্রিয়াদের এ ইতিহাস বয়ে চলেছে যুগে যুগে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন। আপনার ভাবনার সাথে কবিগুরুর কবিতা মিশে দারুণ হয়েছে। মাধবী লতা ক্ষণস্থায়ী ফুল এটা আজ জানলাম। আমার কাছে মধুমঞ্জুরি ও মালতি লতা আছে। কিন্তু মাধবী নেই। আসলেই মাধবী হারিয়ে যেতে বসেছে। পেলে সংগ্রহে রেখে দিব।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এসে দেখার জন্য । যদি ঢাকায় এখন থেকে থাকেন তবে মাধবীলতাকে দেখা যাবে রমনা উদ্যানে মৎস ভবনের পাশের গেট দিয়ে ডুকে কিছুটা সামনে এগুলে । এ গাছের গোড়ার দিকে আশে পাশে এর শিকর থেকে চাড়া গজায় বলে জানা যায় । একটি তুলে এনে নীজের বাগানে লাগাতে পারেন ইচ্ছে করলে । আর একটি কথা এই ফুলের আগে মাধবী নামটি এসেছে লর্ড শ্রীকৃঞ্চের 'মাধব' নামটি হতে যেমনটি বলা হয়ে থাকে "Madhav" being a reference to Lord Krishna. It is known as madhabi lata (মাধবী লতা) or madhoi lata (মাধৈ লতা) in Assamese.

শুভেচ্ছান রইল

৩০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অসাধারণ কর্ম! ছবি গুলাই দেখলাম আধা ঘন্টা ধরে, পড়লাম আরো আধা ঘন্টা।
এবার চা দেন =p~ =p~

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লিটন ভাই এর অআগমন শুভেচ্ছা স্বাগতম ।
এত লম্বা সময় নিয়ে দেখেছেন শুনে অভিভুত
লিখা দেখতে সময় কম লাগার কথা বিবেচনায়
নিয়ে কল্পনার রং মিশিয়ে ছবি করা হয়েছিল
সংযোজিত , কিন্ত লাভের লাভ পাঠকের জন্য
সময়টাই শুধু মনে হয় বাড়িয়ে দিলাম দ্বিগুন!!! :)
অআপনাকে চা পরিবেশনের সুযোগ সে যে
আমার জন্য অনেক বড় সৌভাগ্য । আসুন
দুজনে মিলে একত্রে চা শেয়ার করি ।

৩১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৪

জেন রসি বলেছেন: কিছুটা পড়েছি। মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। কালিদাসের প্রতি আপনার একটা অন্যরকম আগ্রহ আছে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । বেশ বড় লিখা , পড়তে সময় নিবে জানা কথা ।
মন্তব্যে হলাম অনুপ্রানিত ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । বেশ বড় লিখা , পড়তে সময় নিবে জানা কথা ।
মন্তব্যে হলাম অনুপ্রানিত ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

বিজন রয় বলেছেন: বুঝিনাই।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিজ্ঞ গুনী কবির বিজ্ঞজনচিত মন্তব্যে বড়ই প্রীত হলাম ।
প্রাণডালা শুভেচ্ছা ও অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

৩৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

বিজন রয় বলেছেন: বুঝতে চাই না।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বুঝানোর ক্ষমতা কিংবা বুঝানোর মত কোন ধৃস্টতাও আমার নেই
শুধু ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতাবোধটুকু জানাতে পারি
আর শিখতে পারি কারো দিক নির্দেশনামুলক সুন্দর
সুন্দর কথামালা হতে । ভুল কোথাও হয়ে থাকলে
সে জন্য মার্জনা প্রার্থনা করতেও আমার
রুচীতে বাধেনা কখনো ।
দাদার প্রতি বিনম্র
শ্রদ্ধা রইল ।

৩৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

বিজন রয় বলেছেন: না পারিলাম বুঝিতে আমি না পারিলাম মরিতে, না পারিলাম এই ব্লগে ভাল ব্লগার হইতে!!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যাই বলেন না কেন চিরদিন রহিবেন শ্রদ্ধার আসনটিতে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
ভাললাগা জানিয়ে গেলাম।

দেশে আসবেন কবে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ধন্যবাদ পোস্ট সুন্দর অনুভুত হওয়াতে ।
ভাল লাগা জেনে খুশী হলাম ।
এইতো এলাম বলে ।
জানাব সময়ে ।
শুভেচ্ছা র'ল।

৩৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১২

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: অনেক পরিশ্রমের উপস্থাপন। ভাল লাগলো ছন্দময় কথার সাথে ছবিগুলোর মিল।

আমার কাছে কঠিন কঠিন মনে হলো, তবুও অনেক কিছু বুঝতে ছবিগুলো সাহায্য করেছে। ভালোবাসা ভাই

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ , আপনার ভালবাসা নেয়া হল বুক পেতে
যতার্থই বলেছেন কালীদাসের মেঘদূত বুজা খুবই কস্টসাধ্য
আমার কাছে তো এটা আরো অনেক বেশী কঠিন ।
শুভেচ্ছা রইল

৩৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ , আপনার ভালবাসা নেয়া হল বুক পেতে
যতার্থই বলেছেন কালীদাসের মেঘদূত বুজা খুবই কস্টসাধ্য
আমার কাছে তো এটা আরো অনেক বেশী কঠিন ।
শুভেচ্ছা রইল

৩৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:১২

আফসানা মিমি বলেছেন: এত্ত সুন্দর একটা পোষ্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার প্রতিও অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

৪০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৭

জুন বলেছেন: ড: এম আলী আপনার এই ব্যতিক্রমী পোষ্টটি দেয়ার সাথে সাথেই নজর কেড়েছিল। কিন্ত নেটের সমস্যায় আর কিছু বলা হয়নি।
বর্ননার সাথে সাথে মেঘের ঐরাবত,তাহিতি/ হাওয়াই কন্যার নাচ সহ সমস্ত ছবিগুলোকে একই সুত্রে গেথেছেন দারুন মুন্সীয়ানায়। অনেক অনেক ভালোলাগা আপনার চোখে নতুন ধারার মেঘদুত পর্ব।
+

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । খুব খুশী হয়েছি এসে দেখায় ও পোস্টটি ভাল লাগায় ।
কাল্পনিক মেঘদুতের সাথে কাল্পনিক ছবির মিশাল এই আর কি ।
কল্পনা কি আর বাস্তব হয়, এটা অবাস্তবই থেকে যায় ।

৪১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৬

ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: আপনার প্রতিটি পোস্টই মুগ্ধ করার মত। চালিয়ে যান ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
নোটিফিকেশনে সমস্যা থাকায় উত্তর দানে বিলস্ব হল বলে দু:খিত।
মন্তব্যে অনুপ্রানীত ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১৯

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সুন্দর একটা পোস্ট!:)


ভালোলাগা রেখে গেলাম!:)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রহমান ভাই ।
এসে দেখায় খু্বই প্রিত হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ফুল ও নারী- একে অপরকে শোভিত করে।

"সূর্য অস্তমিত হলে পদ্মের কি আর সেই সৌন্দর্য থাকে?" (পোস্টের ২০ নং স্তবক) - কি চমৎকার একটি ভাবনা! পোস্টের ২০ নং স্তবকে দেয়া হস্তিশাবকের বেশে মেঘদূত এর ছবিটা এতই চমৎকার যে এর থেকে চোখ ফেরানো দায়!

পোস্টের বাইরে গিয়ে ২২ নং প্রতিমন্তব্যে মহাকবি কালীদাসকে অল্প কথায় চমৎকারভাবে উপস্থাপনের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর বলতেই হয়, ২৫ নং প্রতিমন্তব্যটা পড়ে যারপরনাই মুগ্ধ হয়েছি। আহমেদ জী এস এর মন্তব্য এবং তার উত্তরটাও ভালো লেগেছে। ফুলের উপর অরুনি মায়া অনু'র অসাধারণ জ্ঞান দেখে মুগ্ধ হয়েছি। বেড়ালপ্রেমিক এই ব্লগার ব্লগ থেকে হারিয়ে গেলেন, এটা বড়ই দুঃখজনক। যদি কোনদিন অরুণি'র চোখে আমার এ মন্তব্যটা পড়ে, তার প্রতি অনুরোধ থাকবে একবার ব্লগে এসে যেন তিনি তার কুশল জানিয়ে যান!

অসাধারণ এই পোস্টটিতে পঞ্চদশতম প্লাস + + রেখে গেলাম।



৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




অতি মুল্যবান অনুপ্রেরণাদায়ী মন্তব্য
রেখে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.