নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরির উপরে হরি হরিকে দেখে হরি হরিতে পালায় : বাংলা ভাষা হতে সমগোত্রীয় ও সমউচ্চারলমূলক বর্ণ লিপি কমানো প্রসঙ্গ

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০০


এই লেখাটি লিখতে বসে স্বীকার করে নিচ্ছি বিষয়টি খটমটে ও বেদম তাত্বিক সে তুলনায় লেখাটিতে প্রয়োজনীয় তথ্য ও যুক্তিও তেমন নেই বরং বুঝে নিতে চাইছি বাংলা ভাষায় বর্তমান পর্যায়ে কিছু বর্ণ সংস্কার করা যায় কিনা । এমন প্রশ্নের উত্তর পেতে গেলে কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্যমুলক কথাবার্তা তো লাগেই । ফলে কিঞ্চিতকর যে তথ্য যুক্ত হয়েছে তা এ লেখায় কিছুটা ধরতে পারে ভিন্ন অবয়ব , যা অনেকের মতের সাথে একেবারেই হয়তবা অমিল হবে তবে শান্তনা এই যে , নীজের কতেক এলোমেলো অপরিপক্য ধারণাকে কিছু পাঠকের সাথে শেয়ারতো করতে পারলাম ।

আমরা সকলেই জানি এই অঞ্চলের প্রায় ২৮ কোটি মানুষ ও পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আরো বাংগালী সহ মোট প্রায় ৩০ কোটি মানুষের ভাষা হওয়ায় বাংলা আজ বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত ভাষাগুলির মধ্যে চতুর্থ স্থানের অধিকারী । বাংলাদেশ ( আমার সোনার বাংলা.... ) , ভারত ( জন গণ মন-- ) ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত (শ্রীলংকা মাতা,... নম নম নম মাতা---) , এবং ভারতের জাতীয় স্তোত্র এই বাংলা ভাষার শব্দাবলী নিয়েই রচিত ।

অনেক মানদন্ডেই বাংলা ভাষা বিশ্বের সেরা ভাষাদের একটি । এখানে ইংরেজীর মত but ( বাট) আর put (পুট) এর মত কোন অবৈজ্ঞানিকতা নেই , to এর পরে too বলতে গিয়ে বাংলা ভাষা শ্রুতার গায়ে থুতু ছিটানোর মত অবস্থায় যায়না , আরবীর মত কোন কোন শব্দের উচ্চারণ করতে গিয়ে মুখের আকৃতির পরিবর্তন করতে হয়না । পৃথিবীর সকল ভাষা মহান আল্লাহরই সৃষ্টি তাই কোনো ভাষাকেই এখানে অবজ্ঞা করা হচ্ছেনা কোন মতেই । মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ আল কোরানের ভাষা আরবীতে হওয়ায় প্রত্যেক মুসলমানের জন্য শুদ্ধ ভাবে আরবী উচ্চারণ একান্ত উচিত বলে গন্য । তবে এটা অনস্বিকার্য যে আরবী ভাষায় উচ্চারণে দেখা যায় অনেক কঠীন নিয়ম যথা জিহবার গোড়া তার বরাবর উপরের তালুর সঙ্গে লাগিয়ে-ক্বাফ-ق , . জিহবার গোড়া হতে একটু আগ বাড়িয়ে তার বরাবর ওপরের তালুর সঙ্গে লাগিয়ে-কাফ -ك , জিহবার মধ্যখান তার বরাবর উপরের তালুর সঙ্গে লাগিয়ে-ইয়া, শিন, জিমঃ ي-ش-ج . . জিহবার গোড়ার কিনারা সামনের উপরের একপাশের দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লাগিয়ে-দোয়াদঃ ض . ইত্যাদি । সে তুলনায় খুব স্বাভাবিক ভাবেই বাংলা ভাষার বর্ণ ও শব্দ উচ্চারণ করা যায় সাবলিল ভাবে, একই স্কেলে , এখানেই বাংলার স্বকীয়তা । এমন শ্রুতি মধুর কথ্যভাষা দুনিয়াতে খুব কমই আছে । এছাড়াও এই ভাষায় একই শব্দ কতনা না অর্থ প্রকাশের জন্য ব্যবহার করা যায় তার কোন ইয়ত্যা নাই । উদাহরণ স্বরূপ একই শব্দ একই বানান একই ধ্বনি একই উচ্চারণের ‘হরি’ শব্দটি একটি বাক্যে কত না অর্থ ধরতে পারে তা দেখানো হল নীচে :

হরির উপরে হরি , হরিকে দেখে হরি হরিতে পালায় , হরির কৃপায় হরি হতে হরি ফুল নেয় হরি ।
এখানে হরি= জল/পানি, হরি = ব্যঙগ ( সরিসৃপ হিসাবে), হরি = সাপ ( সরিসৃপ হিসাবে),হরি= ভগমানের একটি নাম, হরি= একটি মেয়ের নাম, এবং হরি = হরন করা
তার মানে হল জলের উপরে পদ্ম পাতায় থাকা একটি ব্যঙগ সাপকে দেখে পানিতে পালাল, আর সেই ফাকে ভগমান হরির কৃপায় হরি নামের একটি মেয়ে পানি হতে পদ্ম ফুলটি নিল হরি ।

ভাষা নিয়ে কিছু বুনিয়াদি ধারণার পর্যালোচনা দিয়েই শুরু করা যাক কাংখিত লক্ষ্যে আলোচনা । মানুষ সসীম শব্দ নিয়ে অসীম বাক্য বানাতে পারে এবং এই অসীমতায় পৌঁছানোর জন্য মানবিক স্বভাবই যথেষ্ট কেননা মানুষের জৈবিকতায় এমন অসীম বাক্য বানানোর ক্ষমতা সহজাত । আর আমরা সবাই যদি স্বভাবতই অসীম বাক্য বানাতে পারঙ্গম হই তাহলে আর অসুবিধা কোথায় ? ভাষা নিয়েই বা গুলমাল কিসের ? তবে গোলমাল কিছুটা আছে আর সেটা হল ভাষার অসংখ্য বৈচিত্রতা এবং কি রকমের মুল্য আরোপ করা হচ্ছে তার উপর । জৈবিক স্বাভাবিক ভাষা বানানোর প্রক্রিয়াকে প্রখ্যাত ভাষাবিদ আধুনিক ভাষা বিজ্ঞানের জনক হিসাবে অভিহিত নোয়াম চমস্কি ( ২০১২) তাঁর The science of language গ্রন্থে বলেছেন অভ্যন্তরীন বা ভেতরের ভাষা ( সংক্ষেপে অভা ) আর এই অবাধ বৈচিত্রকে বলেন বাহ্যিক ভাষা ( বাভা) ।
নোয়াম চমস্কি ( জন্ম ১৯২৮- আমিরিকান ভাষাবিদ )

আবার দেখা যায় ভাষার বিপুল বৈচিত্র, এক ভাষা থেকে আর এক ভাষা আলাদা কেননা প্রতেক ভাষাগোষ্ঠির ব্যবহৃত ভাষার কাঁচামালগুলো আলাদা । এই যে H2O বস্তুটাকে আমরা নানান নামে ডাকছি যেমন একোয়া, ওয়াটার , পানি, জল , আব ইত্যাদি অন্যদিকে গাছ বস্তুটাকে ডাকছি বৃক্ষ, পেড়, গাছ , টপডড, নগজম, এটা ঘটছে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিতে বিভিন্ন কাঁচামাল চিহ্ন ব্যহারের দরুন । খেয়াল রাখতে হবে নাম আর নামী , চিহ্ন আর চিহ্নিতের ( signifier and signified) দিকে ।

সম্পর্কটা নেহায়েত অবাদ কিংবা যা ইচ্ছা তাই । আমরা সবাই মিলে চুক্তি করে আজ থেকে গাছ বস্তুটাকে ‘X ‘ বা ‘ স্ত্রীঘাঞ্চু’ বলে যদি ডাকি , তাহলে আমাদের মধ্যে কথা বার্তা চলবে, একের মনের ভাব অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পারব ।

এই কাঁচামাল ভাষার বাইরের উপাদান, এই অবাদ /যাচ্ছেতাই উপাদানের ভিন্নতার জন্যই বিশ্ব জুড়ে ভাষার এত ভেদ- বিভেদ । একে বলা যায় বাভা । কিন্তু এই ভেদের বাইরে অভেদ একটা আছে । এসব বাইরের কাঁচামাল চিহ্নের সংখ্যা সীমিত ( তা সেই চিহ্নের সংখ্যা ১০ কিংবা ১০হাজার কিংবা ১০ লাখ বা যাই হোক না কেন ) এই সীমিত কাঁচামাল ( মুলত ধ্বনি আর শব্দ ) নিয়ে আমরা মানুষেরা অসীম বাক্য বানাতে পারি । একটি বাচ্চার দিকেই তাকাই না কেন, সে যখন কথা বলতে শেখে , তখন তার এই বাইরের জড়ো হওয়া সামান্য উপাদান দিয়ে এমন বাক্য বানায়, এমন বাক্য বোঝে যা আগে সে শুনেনি – কি করে বানায় সে ? তার বায়োলজির ভেতরেই আছে বাক্য বানানোর ছাঁচ । চমস্কি এই ছাচের নাম দিয়েছেন Language Acquisition Device ( LAD) এটা দিয়েই মানুষ সিমিত অবাধ শব্দ-ধ্বনির কাঁচামাল আর অল্প কয়েকটা সুত্র দিয়ে অসীম বাক্য বানায় । এই বাক্য সৃস্টির বৈশিষ্ট সমস্ত মানুষের জাতি –ধর্ম –বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে আছে । তাই ভাষা ভাল –খারাপ-উন্নত-অবনত , গরীব- বড়লোক , শুদ্ধ -অশুদ্ধ হয়না ।

ভাষাতাত্বিকের কাজ হলো বাক্য বিশ্লেষন করে মানুষের বায়োলজির ভিতরে থাকা এই ছাঁচটাকে ভাল করে বুঝে নেয়া , মানে মনের মধ্যে নিরবধি যে বাক্য তৈরী হয় সেই বাক্যের ভিতরে গিয়ে মনের অন্দরে ঢুকে পড়া, কাঁচামালের জঙ্গল পেরিয়ে আকারকে বুঝে নেয়া । এই বিশ্বজনিন ভাষিক আকারকে বলা যায় অভা । বাভায় যদি থাকে যাচ্ছেতাই উপাদান /কাঁচামাল , তাহলে অভায় আছে সার্বজনিন আকার ।
তাহলে অভা আর বাভার তফাতটা দাঁড়ালো এই :


এবার ভাষার ব্যকরণ চাই –খাটি বাংলা ব্যকরণ । কেননা যে সব ব্যকরণ চালু আছে তা সংস্কৃত ব্যকরণের ছকে সাজানো । অটোনমাস বাংলা ব্যকরণের দাবীটা এখন চলছে বেশ জোড়েসুরে । গ্রামার আর ব্যকরণের মধ্যে তফাত রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন হরপ্রসাদ শাস্রী। বাংলাদেশের খুলনায় জন্মগহণকারী এই বিশিষ্ট ভাষাবিদ ১৯২১ -২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান ছিলেন ।
হরপ্রসাদ শাস্রী ( জন্ম ১৮৫৩ - মৃত্যু ১৯৩১)


হরপ্রসাদ শাস্রীর মতে ব্যকরণ বিশ্লেনাত্বক শাস্র , গ্রামারের কাজ শুদ্ধ-অশুদ্ধের প্রেসক্রিপসন দেয়া । বিজ্ঞ ভাষাবিদেরা এই প্রেসক্রিপন দিতে থাকুন । আমরা তাদের প্রেসক্রিপশন মেনে চলব । তবে এই ফাকে তাঁদের সমীপে জানাতে চাই বাংলা ভাষার টাইপিং গতি ও গণহারে বানান ভুলের কিছু সমস্যার কথা সাথে এগুলির হাত হতে নিস্কৃতির জন্য আমাদের কিছু এলোমেলো সাধারণ চিন্তা ভাবনার কথা । কাজ কিছু না হোক, আমাদের মত সাধারণ মানুষ যাদের ভাষা জ্ঞান নিতান্তই সীমিত তাদের ভাবনাটুকু তো তাদের দৃষ্টি গোচর হবে । ভুল হলে শুধরে দিলে মেনে নিব তা নতশীরে।

বাংলা ভাষার অনেক গুণের পরেও শুধু যুক্ত বর্ণ ও সমউচ্চারণ সম্পন্ন বর্ণ লিপিগুলি হতেই কিছুটা ঝামেলা , তাই এই মহুর্তে এদিকটায় দৃষ্টি দেয়া আশু কর্তব্য বলেই মনে হয় ।

আমরা সকলেই জানি এই ডিজিটাল যুগে কালি কলম দিয়ে হাতে লেখার চেয়ে কমপিউটারে বা অন্য ডিভাইসে লেখা হয়ে থাকে বেশী । এই যে, যা কিছু লেখা লিখি করি তার সবইতো কমপিউটারে, হাতে লেখা হয়না এক অক্ষরও। বাংলায় লিখতে গিয়ে শব্দের স্পীড মিনিটে ২০ টার বেশী করা খুবই কঠীন হয়ে পরে । তবে টাইপিং এ এক্সপার্ট হয়ে গেছেন যারা তাদের কথা আলাদা তারা ব্যতিত্রম, শ্রদ্ধা জানাই তাদের তরে ।

উচ্চ শিক্ষার সকল স্তরেই দেশে দেশে এখন লেখা লিখি , এসাইনমেন্ট , রচনা বা থিসিস সবই অন লাইনে চলে , বাংলাদেশেও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এটা শুরু হয়েছে । তাই কলম কালিতে হাতে বাংলা লিখন এখন অনেকটা কমে গেছে । আমার নীজেরইতো বলতে গেলে হাতে বাংলা লেখা এখন হয়না একেবারেই ।

এখন সমস্যার কথায় আসা যাক , একে তো ফন্টের সমস্যা , তার উপরে কি বোর্ড সমস্য। বাংলায় কোন কোন অক্ষর লিখতে গেলে কমপিউটারের ইংরেজী কি বোর্ডে কিছু বর্ণ যথা ‘ক্ষ’ অক্ষরটা লেখতে গেলে কমপক্ষে চারবার যথা J+G+ shift key +N ( এই টারটা চাবিতে চাপতে হবে , এটা অভ্র কি বোর্ডের কথা ) ,আর সংযুক্ত অন্য অক্ষর যথা ঙ্ক, ঙ্গ, জ্ঞ, ঞ্চ, ঞ্ছ,ঞ্জ,ষ্ণ, ণ্ড , এবং হ্ম, টাইপের সমস্যা সেতো কারো অজানা নয় ।

কষ্ট করে যদিও বাংলা টাইপের স্পীড কিছুটা বাড়ানো যায় কিন্তু বানান প্রমাদ সেতো থেকেই যায় পদে পদে । বাংলা স্পেলিং চেকার সফট ওয়ারের বড়ই অভাব । এর অভাবে ইংরেজীর মত ভুল চিহ্নিত ও অটো কারেকশনের সুযোগ খুবই সীমিত । প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রুফ রিডিং এর জন্য বিশেষ পারদর্শী লোকজন থাকলেও অন লাইন বা ডিজিটাল লেখায় লেখকের পক্ষে একা প্রুফ রিডিং করাটা বেশ কঠিন ও সময় সাপেক্ষ ব্যপার । টেকনিকেল কারণে বানান প্রমাদের শিকাড় প্রায় সকলেই, কম আর বেশি এই যা তফাত ।

সন্দেহ নাই ভাল বাংলা spelling checker সফট ওয়ারের জন্য অনেক কম্পিউটার বিজ্ঞানীরাই কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে । SNLTR কতৃক উদ্ভাবিত UNICODE কমপ্লাইএন্ট spelling checker টি অনলাইনে কিছু বাংলা শব্দের জন্য MSOffice Open Office এ বব্যহার করা যায় । spelling checker উদ্ভাবনের বিষয়ে কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্ররাও পিছিয়ে নেই । ব্র্যাক বিশ্ব বিদ্যালয়ের বি এস সি ইন কমপিউটার সাইন্সের একজন ছাত্রের একটি থিসিস যথা Encoding for Bangla alphabet and its application to spelling checker , transliteration and cross language information retrieval তার একটি উদাহরণ। এ বিষয়ে অনেক বিশষজ্ঞই যথা হক এবং কায়কোবাদ ( (২০০২) ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক মমিত খানসহ ( ২০০৪) অনেকেই ভাল ভাল কাজ করছেন , তাদের সকলের প্রতি সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল । এনকোডিং করার জন্য তারা যে প্রক্রিয়া ব্যবহার করছেন তার একটু নমুনা নুশাদ উজ্জামান( ২০১৪) এর থিসিস হতে তুলে ধরা হল নীচে আলোচনার প্রয়োজনে ।


এখানে একটি ব্যপার লক্ষনীয়, তা হল বাংলা শব্দকে এনকোডিং এর জন্য তারা ইংরেজী বর্ণকে যেভাবে ব্যবহার করছেন ঠিক সে রকমভাবে ( ইংরেজীর মত একই বর্ণকে দুইবার লিখে ) দ্বিত্ব ভাবে প্রয়োগ করে সমউচ্চারণমুলক বর্ণ সংখ্যাকে কমানোর কাজে লাগানো যেতে পারে যেমন In = ভিতর Inn = সরাইখানা , To = প্রতি Too = আরো ইত্যাদি ,অবশ্য এর ফলে শব্দের প্রচলিত phonetic sound এ কিছুটা সমস্যার সৃস্টি হবে , তবে ভাল কিছু পেতে হলে একটু ছাড় দেয়ার বিষয়তো বিবেচনা করাই যেতে পারে ।

কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা International Phonetic Alphabet (IPA) আদলে ভুল বানান গুলিকে ধ্বনি তাত্বিক ম্যাপিং করে কারেকসনেরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । তবে ধ্বনিতাত্বিক ম্যাপিং এর বিষয়ে বর্ণ সংক্রান্ত কিছু জটিলতা রয়ে গেছে যা কাটিয়ে উঠা এখনো বেশ কষ্টকর বলে প্রায় সকলেই বলছেন । আমরা এই বিশ্বায়নের যুগে ধ্বনির উচ্চারনকে সঠিকভাবে প্রকাশের জন্য যদি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার না করি তাহলে অনেক ধরনের অসুবিধার মুখেই পড়ব । এই অসুবিধার হাত হতে উত্তরণের জন্য সম উচ্চারণমুলক বর্ণ একটি বিরাট ফেকটর তাতে কোন সন্দেহ নেই । মনের সঠিক ভাব প্রকাশ ও উচ্চারণকে শ্রুতি মধুর করার জন্য ধ্বনির প্রয়োজনীয়তা অনস্বিকার্য । তবে লেখার গতি সে সাথে তা শুদ্ধ করে লেখার প্রয়োজনটাও গুরুত্বের সাথে নিতে হবে ।

বানান নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে এ ব্লগের একজন সন্মানীত ব্লগার খাইরুন নাহার বিনতে খলিল খুব সুন্দর করে বলেছেন সাধারণ মানুষের মুখের কথাকেই লেখার ভাষায় আনতে হবে । তিনি বাংলা ভাষায় চলতি গদ্যের রূপকার প্রমথ চৌধুরীর কথা উল্লেখ করে বলেছেন “ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে।”

প্রমথ চৌধুরী ( জন্ম: আগস্ট ৭, ১৮৬৮ - মৃত্যুঃ সেপ্টেম্বর ২, ১৯৪৬)) )


উল্লেখ্য বাংলাদেশের পাবনায় জন্মগ্রহনকারী এই খ্যাতিমান প্রাবন্ধিক ও সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরীর তিরোধানের কিছুদিন পরে অর্থাৎ ১৯৪৭ সনের দিকে বাংলাভাষী অঞ্চলে স্বাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ১২% । তাই দেশের বিপুল সংখক নিরক্ষর মানুষ ধ্বনি তত্ব অনুসরন করে শুদ্ধ বাংলায় যে কথা বলতেন না তা বলাই যায় বরং বিভিন্ন ধরনের কথ্য আঞ্চলিক ভাষারই ছিল ছড়াছড়ি। তারা যে সব কথ্য ভাষায় ও উচ্চারণে কথা বলতেন তার সকলই কি তখন লেখ্য ভাষায় কলমে লেখা হত ? বরং সমাজের যে অল্প কয়জন শুদ্ধ উচ্চারনে কথা বলতেন তাই কলমে লেখ্য ভাষায় স্থান পেতো এবং সে সমস্ত লেখা দেশের সংখ্যা গরিষ্ট সাধারন নিরক্ষর মানুষকে মেনে নিতে হত , তার মানে তাদের মুখে প্রকারান্তরে কালিই ছিটিয়ে দেয়া হত । তাই প্রমথ চৌধুরী দু:খ করেই বলেছিলেন এই মুল্যবান কথাটা । বাংলা ভাষার এই বরেন্য ব্যক্তিত্বকে তাই জানাই অকৃত্তিম শ্রদ্ধা । সে সময় দেশের সংখ্যা গরিষ্ট মানুষের কথ্য ভাষা বা উচ্চারণ ভঙ্গিতে বলা কথা লেখ্য ভাষায় স্থান পায়নি অথচ উচিত ছিল দেশের সিংহ ভাগ মানুষের visual speech sounds কে আমলে নিয়ে লেখ্য ভাষার রূপায়ন । বাংলার কথ্য ও লেখ্য ভাষার সে টানা পোড়নের দিনে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর পালন করেছেন এক বলিষ্ট ভুমিকা ।

রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর ( (৭ই মে, ১৮৬১ - ৭ই আগস্ট, ১৯৪১)


"ক্ষণিকায় ' তিনি ধারাবাহিকভাবে প্রাকৃত বাংলা ভাষা ও প্রাকৃত বাংলার ছন্দ ব্যবহার করেছেন । প্রাকৃত ভাষা বলতে প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে লোকমুখে প্রচলিত স্বাভাবিক ভাষাগুলিকে বোঝায় । তিনি বলেছেন প্রাকৃত ভাষার শক্তি, বেগ ও সৌন্দর্য স্পষ্ট করিয়া বুঝি। দেখিলাম এ ভাষা পাড়াগাঁয়ের টাট্টু ঘোড়ার মতো কেবলমাত্র গ্রাম্য-ভাবের বাহন নয়, ইহার গতিশক্তি ও বাহনশক্তি পুঁথির লিখ্য ভাষার চেয়ে অনেক বেশি ।
ক্ষণিকায় তিনি লিখেন
কাব্য যেমন কবি যেন
তেমন নাহি হয় গো।
বুদ্ধি যেন একটু থাকে,
স্নানাহারের নিয়ম রাখে,
সহজ লোকের মতোই যেন
সরল গদ্য কয় গো।

তিনি আরো বলেন "এই তো আমরা পণ্ডিতের ভয়ে সতর্ক হইয়া চলি কিন্তু পণ্ডিত যখন পুঁথির লিখ্য বাংলা বানাইয়াছিলেন আমাদের কিছুমাত্র খাতির করেন নাই। বাংলা গদ্য-পুঁথিতে যখন তাঁরা "যাইয়াছি' "যাইল' কথা চালাইয়া দিলেন তখন তাঁরা ক্ষণকালের জন্যও চিন্তা করেন নাই যে, এই ক্রিয়াপদটি একেবারে বাংলাই নয়। যা ধাতু বাংলায় কেবলমাত্র বর্তমান কালেই চলে; যথা, যাই, যাও, যায়। আর, "যাইতে' শব্দের যোগে যে-সকল ক্রিয়াপদ নিষ্পন্ন হয় তাহাতেও চলে; যেমন, "যাচ্চি' "যাচ্ছিল' ইত্যাদি। কিন্তু "যেল' "যেয়েছি' "যেয়েছিলুম' পণ্ডিতদের ঘরেও চলে না। এ স্থলে আমরা বলি "গেল' "গিয়েছি' "গিয়েছিলুম'। তার পরে পণ্ডিতেরা "এবং' বলিয়া এক অদ্ভুত অব্যয় শব্দ বাংলার স্কন্ধে চাপাইয়াছেন এখন তাহাকে ঝাড়িয়া ফেলা দায়। অথচ সংস্কৃত বাক্যরীতির সঙ্গে এই শব্দ ব্যবহারের যে মিল আছে তাও তো দেখি না। বরঞ্চ সংস্কৃত "অপর' শব্দের আত্মজ যে "আর' শব্দ সাধারণে ব্যবহার করিয়া থাকে তাহা শুদ্ধরীতিসংগত। বাংলায় "ও' বলিয়া একটা অব্যয় শব্দ আছে তাহা সংস্কৃত অপি শব্দের বাংলা রূপ। ইহা ইংরেজি 'and' শব্দের প্রতিশব্দ নহে, too শব্দের প্রতিশব্দ। আমরা বলি আমিও যাব তুমিও যাবে--কিন্তু কখনো বলি না "আমি ও তুমি যাব' "।

বাংলাভাষা পরিচয় (১৯৩৮) গ্রন্থে তিনি একাধিকবার বলেছেন, বাংলা হচ্ছে ভঙ্গিপ্রধান ভাষা এবং এই ভঙ্গির পরিচয়ই তিনি ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্ব এই তিন দিক থেকে উদ্ঘাটনের চেষ্টা করেছেন। তিনি যত সহজ সরল ভাবে সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের প্রবাহমান অভিব্যক্তিকে প্রকাশ করেছেন তা আর কারো লেখায় তেমন উঠে আসেনি , সে জন্যই তার লেখা , গান গল্প কবিতা পেয়েছিল ব্যপকতা সর্বজন মহলে ।

কঠীন সংস্কৃত ছকে গড়া ব্যকরনের যাতাকলে পড়ে বাংলা ভাষা যখন অতিষ্ঠ সে সময়ে বাংলা ভাষায় ভাষাতত্ত্ব চর্চার গতি পরিবর্তিত হয় ড: মুহম্মদ শহীদুল্লার মত কিছু দেশ বরেন্য বাংলা ভাষাবিদের প্রয়াসে ।

ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ( জন্ম ১৮৮৫- মৃত্যু ১৯৬৯ )


ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের Journal of the Department of Letters (Vol. III, ১৯২০)-এ ‘Outlines of an Historical Grammar of the Bengali Language’ শিরোনামে একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ রচনা করেন, যা পরবর্তীকালে ঐতিহাসিক ব্যকরণ রচনার আদর্শ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। The Origin and Development of the Bengali Language' '(ODBL, ১৯২৬) নামক অদ্বিতীয় গবেষণা গ্রন্থে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বাংলা ভাষার উপাদানগুলো চিহ্নিত ও বিশ্লেষিত হয়েছে। এ ছাড়াও বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত( ১৯৫৮) গ্রন্থের মাধ্যমে বাঙালির মাতৃভাষা চর্চার যে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ড: মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন তার ওপরেই দাঁড়িয়ে আছে পরবর্তী ভাষাচর্চার সৌধ । সেই ভাষাচর্চার পথ ধরে আমাদের ভাষাবিদেরা যদি একটু চেষ্টা করতেন তাহলে বাংলাভাষায় ব্যবহৃত বর্ণের উন্নতির একটি রাস্তাও তারা বের করতে পারতেন বলে বিশ্বাস ।

কিন্তু এর বিপরীতে আমরা দেখলাম পরবর্তীতে সাংগঠনিক ( সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থা যথা বাংলা উন্নয়ন বোর্ড) ভাষাবিজ্ঞানের ধারা ক্রমশ প্রভাবশালী হয়ে ওঠায় ঐতিহাসিক ব্যকরণ চর্চার ধারা প্রায় ক্ষীণ এবং অবসিত হয়ে উঠে । ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান সরকার বাংলা বর্ণমালাকে রোমান বর্ণমালা দিয়ে সংস্কারের উদ্যোগ নিলে প্রখ্যাত ভাষাবিদ মুনীর চৌধুরী এর তীব্র প্রতিবাদ করেন । শুধু তাই নয় তিনি ১৯৬৫ সালে কেন্দ্রীয় বাঙলা উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে বাংলা টাইপরাইটারের জন্য উন্নতমানের কী-বোর্ড উদ্ভাবন করেন, যার নাম মুনীর অপ্টিমা। An Illustrated Brochure on Bengali Typewriter (1965) শীর্ষক পুস্তিকায় তিনি তাঁর পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেন এবং এই নতুন টাইপরাইটার নির্মাণের লক্ষ্যে বেশ কয়েকবার পূর্ব জার্মানিতে যান। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলা ভাষার ম্যানুয়েল টাইপিং গতি পায় । এই ভাষার মাসে তাঁর প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ।

আবু নয়ীম মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী ( জন্ম১৯২৫ - মৃত্যু ১৯৭১ )


বাংলা ভাষার ব্যকরণ ও বর্ণমালার উন্নয়নে সীমান্তের ওপারেও হয়েছে কাজ অনেক এর মধ্যে ভাষা বিজ্ঞানী সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এর কথা উল্লেখ না করলেই নয় ।তাঁর দি অরিজিন এন্ড ডেভেলপম্যান্ট অব দ্য বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ গ্রন্থখানির মাধ্যমে তিনি প্রচলিত ব্যকরণ কাঠামো ভেঙ্গে সেখানে প্রবেশ করিয়েছেন আধুনিক ভাষাতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি। তিনি সংস্কৃত ব্যকরণের নিয়মগুলি নির্বিচারে গ্রহণ না করে ইতিহাস ও উপযোগিতার সূত্রে সেগুলিকে গ্রহণ-বর্জন করেছেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বাংলা ভাষার জন্য কোনো নিয়ম প্রতিষ্ঠা ও আরোপ করা নয়, বরং ভাষার অন্তর্নিহিত নিয়ম আবিষ্কার ও তার বিজ্ঞান সম্মত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা । তাঁর এই দৃষ্টি ভঙ্গীটা গ্রহণ করে ভাষায় বর্ণ সংস্কারের বিষয়টা বিবেচনা করা যায় । তাছাড়াও এ লেখাটির শুরুতে অভা ও বভা নিয়ে যে তাত্বিক কথা বলা হয়েছে তাও আমলে নিয়ে প্রয়োজনে একই বস্তুর নতুন শব্দ তৈরী বা উপযুক্ত পদ্ধতিতে বর্ণের সংস্কার করা যায় ।

সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ( ( জন্ম ১৮৯০— মৃত্যু ১৯৭৭ )


এপার ওপার দুপারের বাংলা লিখ্য ভাষার দিকে তাকিয়ে কি দেখছি আমরা । দেশের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক মানুষের কথ্য ভাষার বিভিন্নতা দেখা যায় যথা রাজধানী ঢাকা সিটির পুরাতন অংশের মানুষের কথ্য ভাষা ও উচ্চারণ , ঢাকার দক্ষীনের বিক্রমপুর অঞ্চল , ময়মন সিংহের উত্তরের জামালপুর , পুরা সিলেট বিভাগ , নোয়াখালীসহ পুরা চিটাগাং ডিভিসনের কোটি কোটি মানুষের প্রবাহমান ভাষার উচ্চারণ ও ভঙ্গীমা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের কোটি কোটি মানুষের কথ্যভাষার উচ্চারণ প্রভৃতি কি লিখ্য ভাষায় উঠে আসছে আমাদের পুথি পুস্তক কিংবা ছাত্র ছাত্রীদের জন্য প্রণীত টেক্সট বুকে ।

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের কথ্য ভাষার সঙ্গে মান্য চলিত বাংলার খুব সামান্যই মিল রয়েছে। তবে অধিকাংশ বাঙালি নিজেদের মধ্যে ভাব আদান প্রদানের সময় মান্য চলিত বাংলা সহ একাধিক উপভাষায় কথা বলতে সক্ষম বলে মনে করা হলেও অনেক ভাষাবিদ তা স্বীকার করেন না ফলে তা লিখ্য ভাষাতেও আসছেনা ।

তাই অতি দু:খের সাথে লক্ষ করা যায় যে, দেশের বর্তমান লিখ্য ভাষায় সাধারণ গণমানুষের মুখের কথ্য ভাষার উচ্চারণ যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি । ফলে সাধারণ মানূষের কথ্য ভাষার উচ্চারণ ও ধ্বনি লিখ্য ভাষার মধ্যে প্রয়োগের বিষয়ে শত বছর ধরে শুধু বিরাট একটি দুরত্বই সৃস্টি হয়েছে । তাইতো দেখা যায় বাসে লিখা থাকে “ বদ্র ব্যবহারে ভংসের পরিচয়,’ টা্ইপের হাজার হাজার ভুল বানান যা অনবরত চলছে আমাদের সমাজের /দেশের অনেকের লিখনীতে। রাতের নগরে রঙিন আলোর খেলায় সাইনবোর্ড, দেয়াল লিখনে একটু মনোযোগ দিলেই ভড়কে যেতে হয় হাজারো ভুল বানান দেখে। শুধু সাইনবোর্ডের ভুলই নয়, রাজনীতিকদের বানানের ওপর 'অগাধ জ্ঞান' দেখে তো রীতিমতো ভিরমি খাওয়ার জোগাড়। দেয়ালে চোখ পড়লে প্রায়ই দেখা যায় 'জাতীর পিতা । ব্যানারে কি ভয়াবহ বানান! প্রায়ই লেখা থাকে 'দূরশ্বাষনের', 'বিরোদ্ধে', 'কণ্ঠ সুর', 'স্বইরাচারী', 'বিক্ষুভ' ইত্যাদি ভুল।সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বানানের অবস্থাটা আরো করুণ। 'সুপ্রীম কোর্ট', 'আপীল'. 'রেজিষ্ট্রার', 'সরকারী', 'লিঁয়াজো' ইত্যাদি (প্রমিত বানান হবে : সুপ্রিম কোর্ট, আপিল, রেজিস্ট্রার, সরকারি, লিয়াজোঁ) সরকারি প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো লেখা রয়েছে বর্জিতব্য 'সরকারী' বানানটি। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ঢুকতেই ভুল বানানটি শিখে ফেলে।

এখন বলা যায় এ অবস্থার হাত হতে উত্তরনের জন্য দেশের মানুষকে শিক্ষিত হতে হবে । ভাল কথা তবে তাই হোক , কিন্ত আমরা গভীর হতাশার সাথে লক্ষ্য করছি যে আমাদের শিক্ষিত সমাজের লেখাতেও ঘটে যাচ্ছে অনেক ভুল । এই সামুর পাতাতেই দেখা যায় অনেকের লেখা কবিতা , গল্প ও সাহিত্য কর্মে ধরা পরছে অনেক ভুল ( আআমার নীজের লেখাতেও অনেক বানান ভুল থাকে সে জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ), অনেকেই বেশ বিরক্ত হয়ে সেই ভুল টুকু অনিচ্ছা সত্বেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ধরিয়েও দিচ্ছেন । ভাল উদ্যোগ তাতে সন্দেহ নাই , তবে উভয়েই এতে কিছুটা হচ্ছেন বিব্রত, প্রযুক্তিগত সমস্যা ও সমউচ্চারণের বর্ণাধিক্যও যে এর জন্য দায়ী তাকি ভাবছেন কেও !!! আর বেশীর ভাগ ভূলগুলিই দেখা যায় প্রায় সমউচ্চারণ মুলক শব্দ প্রয়োগের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে । যারা এরকম ভূল করছেন তারা যে ধ্বনি আর উচ্চারণ সম্পর্কে অনবিজ্ঞ তাতো বলা যাবেনা , তাঁরা সকলেই সমাজের উচ্চ শিক্ষিত, অবশ্য বলা হয়ে থাকে সচেতনতার অভাব , তবে এই ঠুনকো যুক্তি আর কাহাতক !!! তাই দেখা যায় বড় ধরণের কোন সমস্যা রয়েছে লিখ্য ভাষার শব্দের মধ্যে বর্ণ প্রয়োগে । সচেতনভাবে হোক বা অসচেতন ভাবেই হোক এতে বহুবিধ ধরণের ভুল হয়েই যাচ্ছে প্রতি নিয়ত , সমউচ্চারণমুলক বর্ণের কারণে একটি শব্দ লেখার জন্য টাইপ করতে গিয়ে কি ধরনের ভুল হচ্ছে তার কিছুটা নমুনা দেখা যাক নীচে :


ঈশ্বরচন্ত্র বিদ্যাসাগর একাডেমিশিয়ান ভাষাবিদ হিসাবে লিখে গেছেন ব্যকরণ এবং বাংলা লিপিকে সংস্কার করে যুক্তিবহ করেছেন , তবে যখন তিনি নীজের একটি ছাপাখানা স্থাপন করেন তখন অনুভব করলেন বাস্তবে মুদ্রনের জন্য লিপি ব্যবহার করতে গেলে সমস্যাগুলি কি কি । তাই কতেক ক্ষত্রে বাংলা লিপির আরো কিছু সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তিনি অনুভব করেন , তবে তা তিনি নীজে পুরণ করে যেতে পারেননি ।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ – ২৯ জুলাই ১৮৯১)


পরবর্তীতে মুদ্রনশিল্পের জন্য বাংলা লিপির কিছুটা উন্নয়ন হয়েছে ভারতের আনন্দ বাজার প্রকাশনীর উদ্যোগে অর্থাৎ যারা মুদ্রনে ব্যবহার করেছেন বাংলা লিপিকে । একাডেমিশিয়ানরা ভাব প্রকাশ ও ধ্বনির সমস্যার কথা ভেবে সংরক্ষশীল মনোভাবই করেছেন ধারণ যুগের পর যুগ ধরে । এখনো ভাষাবিদদের চেয়ে মুদ্রন ও বাংলা ভাষার ওয়ার্ড প্রসেসিং নিয়ে কাজ করা কমপিউটার সাইনন্সের বিজ্ঞানীরা বাংলা লিপিকে সহজভাবে লেখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নিরলস ভাবে । কিন্তু কঠীন ব্যকরণের রক্ষনশীলতার চাপে পরে তাঁরা সমউচ্চারণ মুলক বর্ণগুলির ব্যপারে আছেন সমস্যার সাগরে । তাই উচ্চারণ ও ভাবভঙ্গী ঠিক রেখে দেশের সিংহভাগ সাধারণ মানুষের হাতে লিখ্য ভাষায় লিখনকালে সচরাচর ঘটে যাওয়া ভুল গুলিকে গভীর ভাবে স্টাডি করে তাদের মুখে উচ্চারিত কথ্যভাষার ধ্বনিকে যথাসম্ভব আমলে নিয়ে বর্ণ সংস্কারের বিষয়ে মনযোগ দিলে এ মহুর্তে বেশী ভাল হবে বলে মনে হয় ।

উল্লেখ্য, একটি ভাষার শুধু গুটি কয়েক বর্ণ নয়, পুরো বর্ণমালা সংস্কার করে দিলেও মানুষের মনের ভাব প্রকাশের জন্য লিখ্য ভাষায় বিশেষ কোন ক্ষতি করেনা বলেই দেখা যায় । উদাহরণ ১৯২৬ সনে তুরস্কে অটোমান টার্কিশ ভাষার বর্ণ লিপি কামাল পাশা কতৃক ইংরেজী এলফেবেটে রূপান্তর , ভারতে সংস্কৃত বর্ণমালা হতে হিন্দি বর্ণে রূপান্তর , পাকিস্থানে পারসী অক্ষরে উর্দু ভাষার লিপীতে রূপান্তর । তাই বাংলা বর্ণলিপি হতে দুই/ চার / দশটা সমস্যা সৃস্টিকারী সমউচ্চারণ মুলক শব্দকে একিভুত করে বর্ণ সংখ্যা কমানোর বিষয়টি সকলেই গুরুত্বের সহিত চিন্তা করতে পারেন । আগে তো পরিবর্তনের বিষয়ে জাতীয় এক্যমত হোক তার পরে দেখা যাবে বাক্ প্রবাহ পরিবর্তন না করে লিখিত ভাষায় বর্ণের সংস্কার কি ভাবে করা সম্ভব হবে ।

সংস্কুত ভাষা অল্প কিছু সংখ্যক মানুষের কথ্যভাষা বা দেবতাদের মুখের ভাষা ছিল সারা ভারতবর্ষ জুড়ে তাতে কোন সন্দেহ নেই । তার পরেও এই সংস্কৃত ভাষাতেই লিখেছেন ১৬০০ বছর আগে মহাকবি কালীদাস তাঁর অমর সব রচনাবলী । এর পর থেকে সংস্কৃতেই লেখা হয়েছে মহাভারত, রামায়নসহ অসংখ্য সাহিত্য কির্তী । রামায়ণের কিস্কিন্ধাকা, মেঘদূত, জয়দেব ও বৈষ্ণব গীতিকা থেকে শুরু করে বর্তমান যুগ পর্যন্ত অসংখ্য গান, কবিতা, গল্প ও উপন্যাসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সংস্কৃত । ধ্রপদী সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যের যে বীণাতন্ত্রে সূক্ষ্মতম ও স্বর্গীয়তম ঝংকার প্রাচীন ভারতবর্ষে অনুরণিত হয়েছিল, সেই স্বর্ণ-বীণা ছিলেন মহাকবি কালিদাস।

মহাকবি কালিদাস ( তাঁর জন্মের সময় নিয়ে রয়েছ বিভিন্ন মতবাদ। তবে গবেষকদের মতে, তার জন্ম হয়েছিল চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শতকের মাঝামাঝি। )


সংস্কৃত সাহিত্যের ভাণ্ডার কাব্য ও নাটকের ঐতিহ্যশালী ধারা দুটি ছাড়াও বৈজ্ঞানিক কারিগরি, দার্শনিক ও হিন্দু শাস্ত্রীয় রচনায় ছিল তা সমৃদ্ধ। কিন্তু সাধারন মানুষের কথ্যভাষা সংস্কৃতের লিখ্য ভাষা না হওয়ায় তদোপরি এব সংরক্ষনশীলতার কারণে এটা এগিয়ে গেছে মরনের পানে । কথ্য সংস্কৃত সংক্রান্ত একাধিক সমাজ ভাষা বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে জানা যায়, কথ্য সংস্কৃত সীমাবদ্ধ এবং এর বিবর্তন ঘটে নাই । তাই এই মডার্ন ডিজিটাল যুগে বাংলা বর্ণ যদি তাল মিলিয়ে বিবর্তিত না হতে পারে তবে তা বিলীন হয়ে যাবে কম্পিউটারে বহুল ব্যবহৃত ভাষা ইংরেজীর অবয়বে ।

এখন আমাদের সকলকেই বাংলায় লিখতে গিয়ে কম্পিউটারে ইংরেজী কি বোর্ডে আঙ্গুলের ঝড় তুলতে হয় , যদিও অনেক কি বোর্ডে ইংরেজীর পাশে বাংলা অক্ষরটি লিখা রয়েছে । এর পরেও যদি সন্মানীত বিজ্ঞ বাংলা ভাষাবিদেরা এই অশনি সংকেত না বুঝতে পারেন তাহলে একদিন হয়তবা সংস্কৃতের মতই পস্তাতে হবে !

আরো বলা যায় প্রায় সমউচ্চারণমুলক শব্দগুলি শুধু যে বানান বিভ্রাটকেই প্রভাবান্বিত করছে তা নয় । এটাকে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষনা কর্মে প্রয়োগ করতে গিয়েও আমরা পিছিয়ে পরছি বিশ্বের নামী দামী ভাষার কাছে । উদাহরণ হিসাবে বলা যায় উচ্চ শিক্ষায় বিশেষ করে পোস্ট গ্রাজুয়েট পর্যায়ে কোয়ালিটেটিভ রিসার্চ এর প্রয়োজনে তথ্য সংগ্রহের জন্য এখন উত্তরকারীর সন্মতি সাপেক্ষে ভয়েজ রেকর্ডিং করা হয়ে থাকে । সেসব রেকর্ডিং হতে NVivo কম্পিউটার সফটওয়ার ব্যবহার করে সরাসরি ট্রানসক্রাইব করে রিপোর্ট আকারে বের করা যায় । এর ফলে একদিকে যেমন গবেষনার ব্যয় ও সময় সংক্ষেপ করা যায় অপর দিকে গবেষনায় তথ্যের নির্ভর যোগ্যতার প্রমানও দেয়া যায় যেখানে যেমন লাগে । বিশেষ করে সুপারভাইজার এবং থিসিস বা গবেষনা কর্ম প্রেজেনটেশন সময়ে উত্তরদাতার ভয়েজ শ্রুতাকে শুনিয়ে । এই কাজটা ইংরেজী কিংবা অন্য সব সমৃদ্ধ ভাষায় করা যায় সহজে । কিন্ত এক্ষেত্রে বাংলায় ট্রানসক্রাইব করার প্রয়াস বাধাগ্রস্থ বিবিধ কারণে, বিশেষ করে সমউচ্চারণ মুলক শব্দ থাকায় একে এনকোডিং করে ট্রানসক্রাইব করা কঠিনই বটে । গুগলেও স্পীচ টু রাইটেও একই সমস্যা দেখা দেয়। ফলে আমরা এ ক্ষেত্রেও পিছিয়ে আছি অনেক যোজন দুরে । কথায় বলি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন করতে হবে , অপর দিকে ধ্বনি ও ভাবের প্রকাশ অক্ষুন্য রাখার জন্যও একে নিয়ন্ত্রন করতে হয় শক্ত হাতে, তা না হলে ভাবের সাথে ভাষা তার শ্রুতিমাধুর্যটাও হারাবে , এও একটি বিরাট সমস্যা বটে, অবশ্য এর প্রয়োজনটাও আছে, তবে এ ধরণের অসুবিধার হাত হতে উত্তরণের প্রয়াসটাওতো নিতে হবে এখন হতেই । বাংলা ভাষাকে করতে হবে প্রয়োগ উচ্চ শিক্ষা ও গবেষনার সকল স্তরে , একে করতে হবে বিশ্বজনিন একটি সহজ ও সমৃদ্ধ ভাষা হিসাবে ,এর রাইটিং গতিও বাড়াতে হবে উল্লেখযোগ্য ভাবে ।

শব্দের মধ্যে বর্ণটাই বড় কথা নয় বস্তুটাই বড় কথা, একে যে ধবনি বা উচ্চারণেই বলা হোক কেন সে আছে তাই থাকবে, পুর্বে উল্লেখিত নোয়াম নমস্কি এর ভাষাতাত্বিক তত্বটি অবলম্বন করে একে সচিত্রভাবে নীচে ব্যখ্যা সহকারে দেখানো হল :

বিণা কে বিণা আর বিনা যেভাবেই লেখা হোক না কেন, সে তার নীজ পরিচয় নিয়েই থাকবে , সে নীজে উচ্চারিত হতে পারেনা তাকে উচ্চারণ করানো হয় , তাই তার নামের স্বাতন্ত্রতা রক্ষার জন্য , লিপির মধ্যে ধ্বনির কোন প্রয়োজন নাই তার কাছে । প্রয়োজন তার আইডেনটিটির । বীণা ও বিনা নামে দুটি সমউচ্চারণ মুলক শব্দ আছে বাংলা ভাষাতে , তাই দন্তন্য- ন এবং মূর্ধন্য-ণ -এর প্রভাব কাটানোর জন্য সকলে চুক্তি করে এর স্বাতন্ত্রতা ( identity) রক্ষা হয় এমন নামে পরিবর্তন করে কিংবা অন্য কোন ভাবে দন্তন্য- ন এবং মূর্ধন্য-ণ এর বিভেদটা কাটানো যেতে পারে ।



বালা বর্ণমালায় মূর্ধন্য এবং গন্ত্য ন’এ ভেদাভেদ – তত্ব নিয়ে বেশ বড় ধরণের একটা বিভীষিকা যে আছে তা বলাই বাহুল্য । একে নিয়ে স্বয়ং রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন :

বাংলা বর্ণমালায় আর-একটা বিভীষিকা আছে , মূর্ধন্য এবং দতন্ত্য ন’এ ভেদাভেদ-তত্ব । বানানে ওদের ভেদ, ব্যবহারে ওরা অভিন্ন। মূর্ধন্য ণ’এর আসল উচ্চারণ বাঙালির জানা নেই । কেউ কেউ বলেন , ওটা মুলত দ্রাবিড়ি। ওড়িয়া ভাষায় এর প্রভাব দেখা যায় । ড়’এ চন্দ্রবিন্দুর মতো ওর উচ্চারণ । খাঁড়া চাঁড়াল ভাঁড়ার প্রভৃতি শব্দে ওর পরিচয় পাওয়া যায়।–( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর , বাংলাভাষা –পরিচয়) ।

তাই অনেকেই বলেন ব্যবহারে অভিন্ন হলে শুধু দন্ত্য-ন বনাম মূর্ধন্য-ণ-র লড়াই জিইয়ে রেখে লাভ কি ? দুটোর উচ্চারণ যখন এক তাহলে দুটোর বানানটিও কি এক করে ফেলা যায় না ?

সন্দেহ নেই এমনটা করা গেলে বানানটা অনেক সহজ হতো । তবে বলা হয়ে থাকে মূর্ধন্য-ণ-এর একটি আলাদা সৌন্দর্য আছে যেমনটি আছে দন্ত,ন-এর বেলাতেও । আর তৎসম শব্দে ব্যকরণগত বাধ্যবাধকতার বিষয়টি তো রয়েছেই । এ প্রসঙ্গে বলা যায় শুধুমাত্র তৎসম (যেসব শব্দ সংস্কৃত থেকে অবিকৃত অবস্থায় এসেছে) শব্দে কিছু সুনির্দিষ্ট বর্ণ বা বর্ণগুচ্ছের পরে মূর্ধন্য-ণ বসবে এটাই নাকি ণ-ত্ব বিধানের নিয়ম । অনেকেই বলে থাকেন বাংলা ব্যবকরণ বই হতে এই বিধানটা শিখে নিলে এই মূর্ধন্য-ণ ব্যবহারে কোন অসুবিধা হয়না । কিন্তু কথা হল এখন ৩০ কোটি বাংলাভাষী মানুষের পক্ষে শতকরা কতজন এই ব্যকরণ বই থেকে এই বিধান শিখে বিশাল বাংলা শব্দ ভান্ডারের মধ্যে তৎসম আর তদ্ভব শব্দ খুঁজে নিয়ে এই বিধান পালন করবে । তার চেয়ে কি ভাল হয়না একটি বিশেষজ্ঞ ভাষাবিদ কমিটি/কমিশন গঠন করে বাংলা ভাষায় যে গুটি কয়েক শব্দে মূর্ধন্য়-ণ রয়েছে তা খুঁজে বের করে তার মধ্য থেকে মূর্ধন্য-ণ কে সরিয়ে নতুন কোন বর্ণ পরিচয়ে ভাষায় প্রয়োগ করে বর্ণ মালায় একটি সংস্কার আনতে পারে অতি সহজে ।

একটি ভাষার লিপি সংস্কারে বহু বছর সময় লাগে । এখন না হয় শুরু করা গেল পরিক্ষামুলকভাবে শুধু মাত্র একটি বর্ণ মূর্ধন্য-ণ দিয়ে । এর ফলাফলটা ভাল হলে আরো দুএকটি বর্ণ যথা ঞ ও ঙ কে ধরা যেতে পারে পরে । যাহোক, এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য আরো অনেক বড় পরিসর প্রয়োজন হবে ।

এখানে উল্লেখ করা যায় ইংরেজি ভাষার যেমন ক্রমশ পরিবর্তন হয়েছে, তেমনি মাঝে মাঝে তার বানান সংস্কারও ঘটেছে। যদিও সুদীর্ঘ কালের সাহিত্যিক ব্যবহারে ইংরেজি ভাষা পাকা হয়ে উঠেছে। । ইংরেজের দেশে ভাষার সংস্কারে বাধা যেমন দূরব্যাপী, তেমনি লাগে প্রবল সাহস। তার পরেও আমেরিকায় ইংরেজি ভাষার বানানে যে পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে তাতে কম স্পর্ধা প্রকাশ পায় নি। মার্কিন দেশীয় বানানে through শব্দ থেকে তিনটে বেকার অক্ষর বর্জন করে বর্ণবিন্যাসে পাগলামির যে উপশম করা হয়েছে সেরকম সাহস কি আমাদের আছে ?

এ প্রসঙ্গে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর যতার্থই বলেছেন
আমাদের দেশের পূর্বতন আদর্শ খুব বিশুদ্ধ। বানানের এমন খাঁটি নিয়ম পৃথিবীর অন্য কোনো ভাষায় আছে বলে জানি নে। সংস্কৃত ভাষা খুব সূক্ষ্ম বিচার করে উচ্চারণের প্রতি বানানের সদ্‌ব্যবহার রক্ষা করেছেন। একেই বলা যায় honesty, যথার্থ সাধুতা। বাংলা সাধুভাষাকে honest ভাষা বলা চলে না, মাতৃভাষাকে সে প্রবঞ্চনা করেছে।

রবিন্দ্রনাথ তার বানান বিধি প্রবন্ধের উপসংহারে বলেছেন বানানের বিধিপালনে আপাতত হয়তো মোটের উপরে আমরা "বাধ্যতামূলক' নীতি অনুসরণ করে একান্ত উচ্ছৃঙ্খলতা দমনে যোগ দেব। কিন্তু এই দ্বিধাগ্রস্ত মধ্যপথে ব্যাপারটা থামবে না। অচিরে এমন সাহসিকের সমাগম হবে যাঁরা নিঃসংকোচে বানানকে সহজ করে দিয়ে সম্পূর্ণ ভাবেই কথ্য উচ্চারণের সত্যতা রক্ষা করবেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলা বানানের বিকৃতি

তবে শুধু বর্ণের সংস্কার নয় এ বিষয়ে আরো একটি বিষয়ে ভাষাবিদদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করছি । ইদানিং দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে’ বাংলা ভাষায় চলছে ব্যপক পরিবর্তনের ছোঁয়া। প্রযুক্তির প্রভাবে ভাষা যেন দিন দিন ভাঙা-গড়ার এক খরস্রোতা নদী। কিন্তু এই নদী কোন পথে প্রবাহিত হবে, ভাঙবে কোন কূল আর গড়বেই বা কাকে দেখা যাক না কিছু তার নমুনা ।
বেশী দুরে যাবনা বিভিন্ন ব্লগেই বিশেষ করে মন্তব্যের ঘরে দেখা যায় লেখা আছে একটা ফাটাফাটি পোষ্ট দেখলাম। সেইরাম ব্যাপুক বিনুদুন পাইলাম ।

দৈনিক প্রথম আলোতে এ বিষয়েরে উপরে একটি লেখায় দেখলাম ফেসবুকের নিন্মরূপ একটি স্ট্যাটাস তুলে দিয়েছেন:
‘কাইলকা পরীক্ষা, কিছুই পড়িনাইক্যা । হে আল্লাহ আমাকে তুইল্যা নাও, নয়তো উপ্রে থেইক্যা দড়ি ফেলাও আমি উইঠ্যা যাই । পরীক্ষার আগের রাতে এই ছিল রনির ( ছদ্মনাম) স্ট্যাটাস।

শব্দের বিকৃত বানান ও উচ্চারণ ও কম যাচ্ছেনা ফেসবুক সহ বিভিন্ন ব্লগের লিখায় । যেমন- বেসম্ভব (অসম্ভব), নাইচ (নাইস)কিন্যা (কিনে) গেসে (গেছে) দ্যাশ (দেশ)। এ রকম অসংখ্য বিকৃত ব্যবহার চলছে সব সময়ই । যদি ও বলা হয়ে থাকে এগুলি রম্য কথা । তবে এগুলির ব্যপক প্রচলন হয়ে গেলে শব্দের বানানের কি গতি হবে তা ভাবতেও শিহরিত হতে হয় ।

এছাড়া বাক্য বা শব্দগুচ্ছ একত্র ও সংক্ষিপ্ত করার প্রবণতাও কমনা এই ব্লগের বিভিন্ন পোষ্টের লেখা ও কমেন্টের ঘরে পাওয়া গুটি কয়েক শব্দ তুলে ধরা হল — ভাল্লাগসে (ভালো লেগেছে), মুঞ্চায় (মন চায়) মাইরালা (মেরে ফেলো, কেম্নে ( কেমনে ) ইত্যাদি ।

বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি মিলিয়ে বহুভাষিক পরিস্থিতিও তৈরি করা হচ্ছে যেমন — মাগার, টাস্কিভূত, , সম্ভাবিলিটি, প্রভৃতি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত শব্দ।

ইন্টারনেটে ভাষার ব্যবহার এমনই বহুমাত্রিকতা পাচ্ছে যে পাশ্চাত্যে এ নিয়ে রীতিমতো গবেষণা শুরু হয়েছে। ইউরোপের ভাষাবিজ্ঞানীরা ‘ইনটারনেট লিঙ্গুইস্টিক্স’ (আন্তর্জালিক ভাষাবিজ্ঞান) নামে নতুন এক বিষয়ের অবতারণা করেছেন। তারা মনে করেন, একাডেমিক শৃঙ্খলায় একটি নতুন বিষয়ের সংযোজন করা খুব সহজ নয়, তবে ইন্টারনেটের আবির্ভাব ভাষাকে এতটাই প্রভাবিত করেছে যে ইন্টারনেটের ভাষা নিয়ে গবেষণা একান্ত প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমাদের বাংলা একাডেমী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনসটিটি্‌উট কি করছে তা জানার জন্য তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করে যা দেখা গেল তার অবস্থা এই স্ক্রীন শটে একটু দেখা যেতে পারে , এক কথায় তা বেশ হতাশা জনক ।তাদের গবেষনার পেইজে গেলে দেথা যায় একদম ফাকা কিছু নেই তাতে ।


আর বাংলা একাডেমি , তাদের কর্মকান্ড পুরস্কার বিতরণী, বই মেলা আয়োজন, সেখানে সুধী জনের আলোচনা ও মিলন মেলা , এবং কিছু পুস্তক প্রকাশনার মধ্যেই মুলত সীমিত। ২০১৭ সনের অমর একুশে ২০১৭ তে বাংলা একাডেমী প্রকাশিত পুস্তক তালিকায় ১০১ টা বই এর নাম দেখা যায় । এর মধ্যে অনীল চৌধুরী সম্পাদিত আধুনিক বাংলা অভিধান পরিবর্তীত ও পরিমার্জিত সংস্করণ ছাড়া ভাষা নিয়ে মৌলিক গবেষনামুলক কোন পুস্তকের নজির দেখা যায়নি এখনো । দৈনিক কোন আপডেটও তাদের ওয়েব সাইটে নেই । সে তুলনায় আমাদের সামুর সন্মানীত ব্লগার আরজু পানির এবং অতঃপর হৃদয় ব্লগে নিয়মিতভাবে কিছুটা হলেও সামু ব্লগারদের প্রকাশিত বই এর নিয়মিত আপডেট দেখা যাচ্ছে, সামু কতৃপক্ষও পোষ্ট দুটোকে পর্যায়ক্রমে স্টিকি পোস্ট করে পাঠকের জন্য দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন , এটা নি:সন্দেহে একটি প্রসংসনীয় কর্মকান্ড ।

একথা স্বীকার করতেই হবে যে বাংলা ব্যকরণ স্কূলের বাচ্চাদের কাছে একটি ভীতিকর বিষয়, একে ছোটদের নিকট আকর্ষনীয় করার জন্য বাংলা একাডেমী ও স্কুল টেক্সট বুক বোর্ড তেমন কোন উদ্যোগ না নিলে ও একটি দৃষ্টি নন্দন ও ছোটদের উপযোগী ছড়ায়-ছন্দে বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা পুস্তক হয়েছে প্রকাশ ২০১৭তে যা ছোট বড় সকলের প্রসংসা কুড়িয়েছে । শিশুরা ফুল, পাখি, সুর, ছন্দে আগ্রহী। তাই তাদের সহজবোধ্য পাঠের বিষয় বিবেচনা করে ব্যকরণের পাঠকে ছন্দোবদ্ধ রূপে উপস্থাপন করা হয়েছে হয়েছে ফরহাদ ইলাহীর লেখা ‘ছড়ায়-ছন্দে ছোটদের বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা’তে। সাধুবাদ জানাই লেখককে ।


সর্বশেষে ভাষার এ মাসে কামনা করি বাংলা যেন হতে পারে সমৃদ্ধশালী সর্বদিক দিয়ে; ধ্বনির মিষ্টতা , শব্দের শ্রুতিমধুরতা, লিখার গতিময়তা, শিক্ষার সহজতা, বানানের নির্ভুলতা, বর্ণ সংযুক্তির প্রাঞ্জলতা, ব্যকরণের সরলতা ইত্যাকার গুনাবলী নিয়ে । সকলের মুখেই যেন শুনতে পাই বাংলার মত সহজ সুন্দর ভাষা দুনিয়াতে আর নেই দ্বিতীয়টা , আমরা যেন বলতে পারি বাংলা আমাদের ভাষা, আমাদের অহংকার ।

বাংলা একাডেমি ভবনের সামনে অবস্থিত মোদের গর্ব ভাস্কর্য

ভাষার মাসে মোদের গর্ব অমর ভাষা শহীদদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা ।

পোষ্ট টি ভাষা শহীদদের প্রতি উৎসর্গীত


তথ্য সুত্র :
রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর , বাংলা ভাষার শব্দতত্ত্ব কথা

Naushad UzZaman and Mumit Khan ( 2004) “A Bangla Phonetic Encoding for
Better Spelling Suggestion”, Proc. 7th International Conference on Computer and
Information Technology, Dhaka, December, 2004.

Noam Chomsky ( 2012), The science of language ( 2012), Cambridge University Press. Cambridge

Tamjidul .M and Kaykobad. H.M (2002) “Use of Phonetic Similarity for
Bangla Spell Checker”, Page 182 – 185, Proc. 5th International, Conference on
Computer and Information Technology, Dhaka,

ড: সঞ্জীব ভট্রাচার্জ ও উত্তম দত্ত ( ২০০১),ভাষা ও ভাষা আন্দোলন , কলিকাতা

উইকিডিডিয়া : বাংলা বানান নিয়ম Click This Link

ছবি সুত্র : গুগল অন্তরজাল

মন্তব্য ১০৯ টি রেটিং +২৮/-০

মন্তব্য (১০৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমরা সবাই মিলে চুক্তি করে আজ থেকে গাছ বস্তুটাকে ‘X ‘ বা ‘ স্ত্রীঘাঞ্চু’ বলে যদি ডাকি , তাহলে আমাদের মধ্যে কথা বার্তা চলবে, একের মনের ভাব অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পারব ।


এই পর্যন্ত পড়লাম। বাঁকিটুকু পরে পড়বো। একটু ব্যস্ততার মধ্যে আছি। অনলাইন থেকে অফলাইনে যেতে হবে।

ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ইসলাম ভাই । ঠিক আছে ধিরে সুস্থেই পড়েন । এটা পাঠের পরেই কথা হবে আশা করি ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভালো এবং গবেষণামূলক পোস্ট। তবে এসব গবেষণা আর বই পত্রেই থেকে যাবে। বিশ্ব যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে ভাষার বিবর্তন/বিলুপ্তি মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই...

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এসে দেখার জন্য । প্রয়োজনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ছাড়া কোন উপাই নাই । এখন পর্যন্ত প্রায় হাজার খানেক ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে । এমনকি অতি সমৃদ্ধভাষা সংস্কৃতও বিলুপ্ত হওয়ার পথে ।
তবে আশা করছি আমদের বাংলাভাষা উত্তরোত্তর উন্নতির দিকেই ধাবিত হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীরা কথা বলতে ভালোবাসে, কথায় হেঁয়ালী যোগ করতে চায়, কবিতাকে রহস্যময় করতে চায় সেজন্য শব্দ বেশী হয়ে গেছে; সর্বোপরি, সংস্কৃত, পালি, ফার্সি থেকে শব্দ প্রবেশ করে ভাষাকে বড় করে ফেলেছে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন অরাবিক, পারসিক , দিল্লীর সুলতানী আর কলোনিয়াল যুগে বিদেশী শব্দের অনুপ্রবেশ আমাদের ভাষার পরিধিকে স্ফিত করেছে পক্ষান্তরে মাতৃভাষাকে প্রবঞ্চনা করেছে।
অনেক ধন্যবাদ ।

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: Language Acquisition Device ( LAD) এর আলোচনার সাথে জেডপিডি- আলোচনা করা যেতে পারত। একই সাথে সস্যুর এবং রোলা বার্থের আলোচনা থাকলে আরো প্রানবন্ত হতে পারত।
নিঃসন্দেহে বেশ গবেষনালব্ধ এবং পরিশ্রমী পোস্ট! ভালোলাগা রেখে গেলাম।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সু পরামর্শের জন্য । জেডপিডি- সে সাথে সস্যুর এবং রোলা বার্থের আলোচনা থাকলে অবশ্‌যই আরো প্রানবন্ত হতো ।
এমনিতেই ব্লগের জন্য লিখাটির সাইজ বেশ বড় হয়ে গেছে । তাই এই পরিসরে এই বিশদ আলোনা করা হয়নি । তবে সময় সুযোগ পেলে নীজের জন্য হলেও আরো ভালভাবে পাঠ করব ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সু পরামর্শের জন্য । জেডপিডি- সে সাথে সস্যুর এবং রোলা বার্থের আলোচনা থাকলে অবশ্‌যই আরো প্রানবন্ত হতো ।
এমনিতেই ব্লগের জন্য লিখাটির সাইজ বেশ বড় হয়ে গেছে । তাই এই পরিসরে এই বিশদ আলোনা করা হয়নি । তবে সময় সুযোগ পেলে নীজের জন্য হলেও আরো ভালভাবে পাঠ করব ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: জেডপিডি বাচ্চাদের লার্নিং স্টেইজে ভাল কাজ করে তবে শিক্ষনের জন্য খুবই উপকারী ।

৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪০

সুমন কর বলেছেন: শুভ সকাল। বড় পোস্ট, সময় করে পরে আসবো......

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা । লিখতে লিখতে পোষ্ট টা একটু বড় হয়ে গেল । আমি বিশ্বাসকরি এ পোষ্টের বিষয়াবলী আমার থেকেও আপনার অনেক বেশী জানা , এটা শুধু আমার নীজের জানার প্রচেষ্টার পথে পাওয়া টুকে নেয়া কিছু কথামালা , ভাবলাম সবার সাথে একটু শেয়ার করি, শেয়ার করার আননন্দই যে আলাদা ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা রইল ভাই। এমন একটা পোষ্ট আমি ব্লগে দেখার আশায় ছিলাম। এক মাষ্টান্নি আপুর পোষ্ট ছিল, তবে এতটা ব্যাপক ছিল না।

এটি আরও কয়েকবার পড়তে হবে আমার, পড়বো।
শুভ সকাল ভাই।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ নাঈম ভাই । ঠিক অাছে পড়েন , তারপরে কথা হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: বাপ্রে! বাংলা একাডেমির ত্রৈমাসিক 'উত্তরাধিকার' কি বন্ধ হয়ে গ্যাছে?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: উত্তরাধিকার সম্পর্কে বাংলা একাডেমির ওয়েব সাইটে লিখা অআছে নিন্মরূপ :
উত্তরাধিকার বাংলা একাডেমির সাহিত্য পত্রিকা। এটি প্রতি মাসে প্রকাশিত হয়। উত্তরাধিকারে সাহিত্য, দর্শন, শিল্প, ফিল্মসহ সকল সৃষ্টিশীল ও মননশীল বিষয়ে লেখা ছাপা হয়।

কিন্ত তাদের ওয়েব সাইটে দেখা যায় উত্তরাধিকারের চলতি সংখা হলো নব পর্যায়ে প্রকাশিত ৫৮তম সংখ্যা যার প্রকাশকাল দেখা যায় ফেব্রুয়ারী ২০১৫, তার মানে প্রায় ২ বছর আগের সংখ্যা এটি , এটা এখন তাদের চলতি তালিকায় ।

ধন্যবাদ মুল্যবান প্রশ্র রাখার জন্য ।

৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৩

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ সাথে প্রিয়তে রাখলাম

তবে বিভিন্ন ভাষার মিশ্রন কি ঠেকানোর কোন উপায় আদৌ ছিল বা এখন আছে?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , অসাধারণ অনুভুত হওয়ায় ভাল লাগছে ।
প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
আপনি খুব সুন্দর প্রশ্ন করেছেন ।
আপনার উত্থাপিত বিষয়টি নিয়ে
আমি পরে আবার আসব ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

জীবন সাগর বলেছেন: আসলে এই বিষয়টা নিয়ে আমাদের ভাষা বিশেষজ্ঞদের চিন্তা করা উচিত। কিছু শব্দ কমানো যেতেই পারে

আপনার পোষ্ট সবসময় জ্ঞানপিপাসুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটিও গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয়তে থাকবে আমার।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । শব্দ কমানোর চেয়ে এই মহুর্তে বর্ণ নিয়ে চিন্তাটাই বেশি হচ্ছে। প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে আমাদেরকে
তা না হলে সমুহ বিপদ ।

প্রিয়তে রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

শুভেচ্ছা রইল ।

১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

ভাবনা ২ বলেছেন: অনেক বড় গবেষনা লব্দ পোষ্ট, কথ্য ও লিখ্য ভাষা সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হল । ধন্যবাদ ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ।
ভাল থাকার শুভকামনা রইল ।

১২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: লেখাটা দেখলাম সময় নিয়ে পড়তে হবে।
হাতের লেখা উঠে যাওয়া কীবোর্ডে বিভিন্ন ধরনে বাংলা লেখা বর্তমানে অর্ন্তজালে বাংলা চালু হওয়ার ইত্যাদি বিষয়ে আমি একটা পোষ্ট করেছি ঘুরে আসবেন।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, খুবই গুরুত্বপুর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন । যাহোক অন্তত একজন পাওয়া গেল যিনি জোড়ালোভাবে সমস্যাটি তুলে ধরেছেন ।

আমার লিখার মধ্যে বিষযটা একটু তুলে ধরেছিলাম মাত্র । বর্তমানে বাংলাভাষায় বর্ণমালা সংস্কারের বিষয়ে যুক্তির অবতারণা করতে গিয়ে অনেক বিষয় টানতে হল বলে এমনিতেই আমার লিখার কলেবর ৫০০০ শব্দ অতিক্রম করে গিয়েছিল । তবে আপনার কথাগুলো সংস্লিস্টদের আমলে নেয়া একান্ত উচিত ।

ইন্টারনেটে ভাষার ব্যবহার বর্তমানে এমনই বহুমাত্রিকতা পাচ্ছে যে পাশ্চাত্যে এ নিয়ে রীতিমতো গবেষণা শুরু হয়েছে। ইউরোপের ভাষাবিজ্ঞানীরা ‘ইনটারনেট লিঙ্গুইস্টিক্স’ (আন্তর্জালিক ভাষাবিজ্ঞান) নামে নতুন এক বিষয়ের অবতারণা করেছেন। তারা মনে করেন, একাডেমিক শৃঙ্খলায় একটি নতুন বিষয়ের সংযোজন করা খুব সহজ নয়, তবে ইন্টারনেটের আবির্ভাব ভাষাকে এতটাই প্রভাবিত করেছে যে ইন্টারনেটের ভাষা নিয়ে গবেষণা একান্ত প্রয়োজন।

শুভেচ্ছা রইল ।

১৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আলী ভাইয়ের পোস্ট মানেই অন্যরকম কিছু। নতুন করে কিছু বলে লাভ নেই। নিঃসন্দেহে বেশ গবেষনালব্ধ এবং পরিশ্রমী পোস্ট! পড়তে হবে সময় নিয়ে।

ভালোলাগা রেখে গেলাম অন্তহীন।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভাল লাগার কথা শুনে ভাল লাগল ।
বিষয়ের সাথে সহমত কিনা কিংবা দ্বিমত কিনা তা জানতে পারলে
আরো ভাল লাগত ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

বিজন রয় বলেছেন: আপনার করা শ্রেষ্ঠ পোস্ট!!

পোস্টি স্টিকি করা হোক।
পোস্টি স্টিকি করা হোক।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দাদার আগমনে ধন্য হলাম ।
বানান শুদ্ধের জন্য আপনার অআন্তরিকতা ও প্রয়াস দেখে আমি মুগ্ধ , এ ব্লগ পাড়ায় এ বিষয়ে আপনার সাহসি পদচারণা বিশেষ স্বিকৃতি পাওয়ার দাবী রাখে । ইদানিং শুধু অসাবধানতা বশতই যে বানান ভুল হচ্ছে তাত নয়, অনেক প্রথিত যথা ব্যক্তিত্ব ভাষায় শব্দ প্রয়োগে কিছুটা কারিসমা কিংবা একটু ফান করার জন্য যা করে যাচ্ছেন মুল লিখা বা মন্তব্যে, তা যে নব প্রজন্ম কিংবা অনেকের কাছেই ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পরছে লিখালিখির বিভিন্ন মাধ্যমে সে বিষয়ে সংস্লিস্ট অনেকেই সচেতন নন ।

ইদানিং দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে’ বাংলা ভাষায় চলছে ব্যপক পরিবর্তনের ছোঁয়া। প্রযুক্তির প্রভাবে ভাষা যেন দিন দিন ভাঙা-গড়ার এক খরস্রোতা নদী। কিন্তু এই নদী কোন পথে প্রবাহিত হবে, ভাঙবে কোন কূল আর গড়বেই বা বঁকে ত্ কে জানে । আমার লিখায় কিছু তার নমুনা দেখিয়েছি , সেগুলি সম্ভবত আপনার নজরে পড়েছে ।

যাহোক কৃতজ্ঞতা রইল আপনার দাবীর প্রতি । পোষ্টটা স্টিকি হওয়ার চেয়ে আবেদনটি স্টিকি হওয়া প্রয়োজন অনেক বেশী ।

শুভেচ্ছা রইল

১৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

আখেনাটেন বলেছেন: বরাবরের মতোই ভালোলাগার পোষ্ট।

একটি ভাষার শুধু গুটি কয়েক নয়, পুরো বর্ণমালা সংস্কার করে দিলেও মানুষের মনের ভাব প্রকাশের জন্য লিখ্য ভাষায় বিশেষ কোন ক্ষতি করেনা বলেই দেখা যায় । উদাহরণ ১৯২৬ সনে তুরস্কে অটোমান টার্কিশ ভাষার বর্ণ লিপি কামাল পাশা কতৃক ইংরেজী এলফেবেটে রূপান্তর , ভারতে সংস্কৃত বর্ণমালা হতে হিন্দি বর্ণে রূপান্তর , পাকিস্থানে পারসী অক্ষরে উর্দু ভাষার লিপীতে রূপান্তর । তাই বাংলা বর্ণলিপি হতে দুই/ চার / দশটা সমস্যা সৃস্টিকারী সমউচ্চারণ মুলক শব্দকে একিভুত করে বর্ণ সংখ্যা কমানোর বিষয়টি সকলেই গুরুত্বের সহিত চিন্তা করতে পারেন । আগে তো পরিবর্তনের বিষয়ে জাতীয় এক্যমত হোক তার পরে দেখা যাবে বাক্ প্রবাহ পরিবর্তন না করে লিখিত ভাষায় বর্ণের সংস্কার কি ভাবে করা সম্ভব হবে । ---ভালো একটি জিনিস তুলে ধরেছেন। তবে দুই বাংলার পণ্ডিতেরা একমত হবে বলে মনে হয় না। তবে হওয়ায় উচিত। সবাই এখন জটিলতা ও কাঠিন্য বাদ দিয়ে সহজ ও তারল্যতে বিশ্বাসী। ভালো থাকবেন।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্ট এর লিখা মনযোগ দিয়ে পাঠের জন্য । আপনার এই বন্তব্যের দুই বাংলার পণ্ডিতেরা একমত হবে বলে মনে হয় না। তবে হওয়ায় উচিত।সাথে সহমত পোষন করছি । আমাদের থেকে উপার বাংলার লোকেরই বেশী রক্ণশীল হবেন বলেই মনে হচ্ছে । রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর নীজেই বলেছেন বানানের বিধি পালনে আপাতত হয়তো মোটের উপরে আমরা "বাধ্যতামূলক'' নীতি অনুসরণ করে একান্ত উচ্ছৃঙ্খলতা দমনে যোগ দেব।
তবে তিনি এই বলেছেন অচিরে এমন সাহসিকের সমাগম হবে যাঁরা নিঃসংকোচে বানানকে সহজ করে দিয়ে সম্পূর্ণ ভাবেই কথ্য উচ্চারণের সত্যতা রক্ষা করবেন।

এখন অপেক্ষা করছি কবে আসবে সেই কাংখিত সাহসিকতা ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

জুন বলেছেন: আমি আমার স্কুল শিক্ষিকা মায়ের কাছে ছোটবেলায় এই ধাধাটি শুনেছি ডঃ এম আলী । তবে আপনার লেখায় আমার মায়ের কাছে শোনা একটি ক্ষুদ্র অংশ খুজে পাইনি । হয়তো এটা তেমন ব্যপার না আপনার অতুলনীয় এই লেখাটিতে, তারপর ও ভাবলাম বলেই ফেলে ।
"হরির উপরে হরি, হরি শোভা পায় ,
হরিকে দেখে হরি হরিতে পালায় "।
আপনার লেখায় "হরি শোভা পায়" কথাটি ইচ্ছে করেই হয়তো বাদ দিয়েছেন । তবে ছন্দে বাধা পাওয়ায় বললাম। আশাকরি কিছু মনে করবেন না :)
আমার ছেলেকে ছোটবেলায় বাংলা বর্নমালা শেখাতে গিয়ে কি নাস্তানাবূদই না হয়েছিলাম । অনেকক্ষন চেষ্টার পর তার চরিত্রের ব্যাতিক্রমী একটা কাজ করে বসলো । বইটা ছুড়ে ফেলে কান্না জড়িত কন্ঠে চিৎকার দিয়ে বলেছিল " আমি এইসব পড়বো না , এত গুলো ' স' আর এতগুলো 'র' কেনো "!!
বুঝলেনতো এই জেনারেশনের চিন্তা ভাবনা :)
ভাষার মাসে আপনার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন পোষ্টে অনেক ভালোলাগা রইলো ।
+

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুনাপু । এটা সেই ছোট বেলায় আমার শিক্ষক বাবার কাছে শুনেছিলাম ।
সব কথা আমার মনে নাই, আমার স্মৃতি খুবই দুর্বল, মনে থাকেনা কিছুই ।
আমার দশা ঠিক যেন
যোগীন্দ্রনাথ সরকারের কাজের ছেলের মত

দাদখানি চাল, মুসুরির ডাল,চিনি-পাতা দৈ,
দু’টা পাকা বেল, সরিষার তেল, ডিমভরা কৈ।
পথে হেঁটে চলি, মনে মনে বলি, পাছে হয় ভুল;
ভুল যদি হয়, মা তবে নিশ্চয়,”
” ছিঁড়ে দেবে চুল।


দোকানে গিয়ে হল যা
দাদখানি বেল, মুসুরির তেল, সরিষার কৈ,
চিনি-পাতা চাল, দুটা পাকা ডাল, ডিম ভরা দৈ।


সেরকম ভাবেই বাবার মুখ হতে শুনা কথা ভুলে গিয়ে
হরিকে নিয়ে উল্টা পাল্টা লিখে ফেলেছি

মা নেই তাই কর্মটি করেছে অআপুমনি
ছিড়ে দিয়েছে চুল :)
ভীষন খুশী হয়েছি , আরো খুশী অতি অপ্রচলিত এই
ধাধাটি অন্তত একজন গুণী মানুষের স্বিকৃতি পেয়েছে ।

আপনার ছেলে ঠিক কাজটিই করেছে , তার জন্য সাধুবাদ ও শুভেচ্ছা রইল ।

বাংলা বর্ণ থেকে শ , স, ষ কে একটা বর্ণ ও অপ্রয়োজনীয় ণ , ঙ , ইত্যাদিকে সংস্কার করার বিষয় ভাবতে হবে । মানুয়ের কাছে কোন কিছুই অসন্ভব নয় , এক সময়তো মানুষ কল্পনাই করতে পারতনা চাঁদে যাবে, কিন্তু অর্ধ শতাব্দির মত হল চাঁদে গিয়েই ছাড়ল , এখন সমউচ্চারণ মুলক কিছু বর্ণকে নিছক ধ্বনির অযুহাতে কিছুই করা যাবেনা বলে সেগুলিকে অগনিত কিছু মানুষের লিখায় ভুল হিসাবে আসার জন্য আর কিছু লোককে সে গুলিকে ভূল হিসাবে ধরে রাখার জন্য ভাষায় রেখে দিতে হবে এ কেমন কথা , আসলে এটা বিব্রতকর সকলের জন্যই । তাই সকলকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে বিশেষ করে ডিজিটাল যুগের ফিউচার জেনারেশনের কথা চিন্তা করে ।

শুভেচ্ছা রইল

১৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমার কাছে মনে হয় ভাষা পরিবর্তনশীল, এতে শব্দ পরিবর্তন , সংযোজন, বিয়োজন হবে আপন রিতিতে । আমার মনে হয় এখানে ভাষা বিশেষজ্ঞদের খুব বেশী একটা করার থাকে না এতে তারা শুধু পরিবর্তন টুকু লিপিবদ্ধ বা টুকে রাখতে পারেন তারা ! আমরা রবীন্দ্রনাথের সময়ের গল্প পড়ে সেই সময়ের বাংলা ভাষার সাথে এখনকার বাংলার অনেকটা পাথক্য দেখতে পারি, এই পরিবর্তন চলতেই থাকবে ! যাইহোক এটা আমার ব্যাক্তুগত মতামত ।

জানিনা আমার মন্তব্যটা এই লেখার সাথে কতটুকু যায় ।

আপনার পোষ্ট সবসময় মানসম্পূর্ন হয় । এটাও তার ব্যাতিক্রম নয় ।

ভাল লাগা রইল ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ কাছের -মানুষ , আপনি ঠিকই বলেছেন, ভাষা সতত পরিবর্তনশীল , এটা আপন গতিতেই বিকসিত হতে থাকে, এর প্রকাশ হয় কথা, গল্প , কবিতা গানে উচ্চারণে ও লিখায় । অামার আলোচনাটা মুলত লিখ্য মাধ্যমে প্রকাশিত মাধ্যম তথা শব্দ গঠণের উপাদান বর্ণমালার উপরই । লিখ্য মাধ্যমের উপাদান বর্ণ সহজ ও কম রেখে যদি শব্দ ভান্ডার বাড়ানো যায় তাহলে এর লিখ্য রূপ অনেক সহজ হয়ে যেতে পারে , কমে যেতে পারে ভুলের পরিমান ও বাড়তে পারে টাইপিং এর গতি । এখানে ভাষাবিদরা হয়ত কিছু কাজ করতে পারেন । এ বিষয়গুলিই লিখাটিতে মুলত তুলে ধরা হয়েছে । আবারো অনেক ধন্যবাদ গঠণমুলক আলোচনার জন্য। আপনার আলোচনা লিখাটির সাথে একান্তই প্রাসঙ্গীক তাতে কোন সন্দেহ নাই ।

শুভেচ্ছা রইল ।

১৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ প্রবন্ধ। এই পোস্টটি স্টিকি করার জন্য মডারেটরের কাছে দাবী জানাচ্ছি। প্রসঙ্গত একটা কথা না বলে পারছি না। সেটা হলো বাংলা বানান রীতির অসহায়ত্ব। শান্তিনিকেতন থেকে শুরু করে ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ পর্যন্ত বাংলা বানানের একটি পরম্পরাগত সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। তার পরেও বানানরীতির ভিন্নতা দাপটের সাথেই বিরাজমান ছিল। পরবর্তীতে আমাদের বাংলা একাডেমীর সর্বশেষ বানান রীতি সব কিছু উল্টে দিয়েছে। বাংলা বানানের একক কোন অবয়ব কোন কালেই ছিল না, এখনো নেই। এটা এই ভাষা চর্চার এক গুরুতর সমস্যা।
ব্যক্তিগতভাবে আমি কোন একক বানান রীতি অনুসরন করি না। তার পরে ভুল ভ্রান্তি তো আছেই। এতে অনেকের কাছে আমার লেখার বানান ত্রুটিপূর্ণ মনে হতে পারে। কিন্তু গুরুতর ভুল না হলে আমি কারো লেখার বানান ত্রুটিপূর্ণ মনে করি না। বানানের কোন ইউনিফায়েড ফর্ম না থাকায় এ ছাড়া আর উপায় কী?
কিছু মনে না করলে প্রমথ চৌধুরীর জন্ম সন এডিট করতে অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

০১ লা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ইসলাম ভাই , আপনার মত খ্যাতিমান গুণী সাহিত্যের কাছে পোষ্ট টি অসাধারণ আনুভুত হওয়ায় নীজকে ধন্য মনে করছি । স্টিকি করার দাবীর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি । তবে পোস্ট টি স্টিকি হওয়ার থেকে ভাষা শহীদগন মোদের গর্ব এই কথাটা স্টিকি হয়ে থাকুক সর্বত্র এ কামনাই করি ।

আপনার নিন্মোক্ত কথামালার সাথে সর্বান্ত করণে সহমত পোষন করি :
বাংলা বানান রীতির অসহায়ত্ব। শান্তিনিকেতন থেকে শুরু করে ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ পর্যন্ত বাংলা বানানের একটি পরম্পরাগত সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। তার পরেও বানানরীতির ভিন্নতা দাপটের সাথেই বিরাজমান ছিল। পরবর্তীতে আমাদের বাংলা একাডেমীর সর্বশেষ বানান রীতি সব কিছু উল্টে দিয়েছে। বাংলা বানানের একক কোন অবয়ব কোন কালেই ছিল না, এখনো নেই। এটা এই ভাষা চর্চার এক গুরুতর সমস্যা।

এ রকম সমস্যার প্রতি আঙ্গুল তুলে স্বয়ং কবি গুরুও দু:খ করে বলেছেন :
আমাদের দেশের পূর্বতন আদর্শ খুব বিশুদ্ধ। বানানের এমন খাঁটি নিয়ম পৃথিবীর অন্য কোনো ভাষায় আছে বলে জানি নে। সংস্কৃত ভাষা খুব সূক্ষ্ম বিচার করে উচ্চারণের প্রতি বানানের সদ্‌ব্যবহার রক্ষা করেছেন। একেই বলা যায় honesty, যথার্থ সাধুতা। বাংলা সাধুভাষাকে honest ভাষা বলা চলে না, মাতৃভাষাকে সে প্রবঞ্চনা করেছে।

গুরুতর ভুল না হলে কারো লেখার বানান ত্রুটিপূর্ণ মনে করেন না শুনে খুব ভাল লাগল , কারণ বাক্যে ব্যবহৃত শব্দে যদি ভাব বুঝতে কোন ভুল না হয় তাহলে ভুলটা কোথায়, লিখক যা বোঝাতে চেয়েছেন তা যদি পাঠক বুঝে যায় তাহলে শব্দ ও ভাষার স্বার্থকতাটাই ফুটে উঠে । তাই কমন ভুলের প্রকৃতি গুলিকে বিবেচনায় নিয়ে বাস্তবতার আলোকে তাকে সংস্কারের প্রয়োজনটাই দেখা যায় বেশী । ছাপার অক্ষরে লিখা ব্যাকরণের দিকে না তাকিয়ে দেশের সিংহ ভাগ মানুষের visual speech sounds কে আমলে নিয়ে লিখ্য ভাষার রূপায়ন সে অনুযায়ী বানান রীতি তৈরী করলে সেটা সার্বজনীনতা পেত । কিন্তু প্রমিত বানান রীতি প্রনয়ন কালে বাংলা একাডেমি সে ধরণের কোন মাঠ ভিত্তিক এপ্লাইড গবেষনা প্রয়োগ করেছিল বলে জানা যায়নি । তারা কি দেশের বিভি্ন্ অঞ্চলের বিভিন্ন কথ্যভাষীদের উচ্চারণের visual speech sound রেকর্ডিং করছিল , নাকি ১৯৫০ সালের দিকে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে ভাষাতত্ত্বে Study of Nasals and Nasalization in Bengali গবেষণার সময় প্আরয়াত অআবদুল হাই আয়নায় সামনে দাঁড়িয়ে বর্ণ উচ্চারণে নীজের মুখের শব্দ উচ্চারণের ভঙ্গীমা আয়নায় দেখে ( এটা হাই সাহেবের নীজের মুখের কথা) ধ্বনি তত্বের উপরে যে গবেষনা কর্ম করেছিলেন তার ধ্বনিতত্ত্ব ও সংস্কৃত ছকে মোরানো সেই আদিকালের ব্যকরণ রীতি অনুসরন করে বানান রীতি তৈরী করেছেন তা জানা যায়নি । এটা আসলে উচিত ছিল দেশ ব্যপী বিভিন্ন ক্রস সেকসন অফ পিপলের অবস্থা পর্যবেক্ষন করে তৈরী করা । পুর্বে এই ব্যবস্থাটুকু ছিলনা বলে প্রতিথযশা পন্ডিতদের ব্যক্তিগত সীমিত আকারের পর্যবেক্ষনে প্রণীত তত্বের উপরে ভিত্তি করেই ছিল তা প্রনীত । তাই এগুলি এত দীরঘদিন ধরে প্রচলিত থেকেও পাইনি কোন সার্বজনিনতা , রয়ে গেছে এখনো বভিন্নতা , তাই সময় এসেছে এর যথায়থ সংস্কারের বিশেষ করে এই ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
তার মানে হল জলের উপরে পদ্ম পাতায় থাকা একটি ব্যঙগ সাপকে দেখে পানিতে পালাল, আর সেই ফাকে ভগমান হরির কৃপায় হরি নামের একটি মেয়ে পানি হতে পদ্ম ফুলটি নিল হরি ।
...........এতোক্ষণে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম, আমার তো পোষ্টের হেডিং পড়ে মাথা পুরাই গেছিল :)

০১ লা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যাক আমিউ বাঁচলাম , মানেটা যে দেখেছেন , তা না হলে এই প্রিয় এ্‌তগুণী ব্লগার ভাইটির মাথা পুরাই গেলে আমাদের কি দশা হত ।
যাহোক, আপনার এই কথায় নতুন পোষ্টের একখান আইডিয়া পাইলাম । মনে হয় আপনার হাতেই তা বেশী ভাল হত । যাহোক আমি আগে চেষ্টা করে দেখব , না পারলে আপনার কাছে যাব ।
শুভেচ্ছা রইল

২০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




একবার পড়ায় কিছু হলোনা । এরকম তাৎপর্যপূর্ণ এবং তথ্য ও ত্ত্ত্বমন্ডিত লেখা হৃদয়ঙ্গম করতে হলে আরও বার কয়েক পড়তে হবে । তাই তুলে রাখলুম ।
তবে - "মানুষ সসীম শব্দ নিয়ে অসীম বাক্য বানাতে পারে" এই বক্তব্যটি মনে ধরেছে খুব । এরকমটা ভেবে দেখিনি কখনও । তাহলে বর্ণ সংখ্যার অনুপাতে এটাও তো বলা যায় --- মানুষ সসীম বর্ণ দিয়ে অসীম শব্দের পাহাড়-পর্বত বানাতে পারে ।
অভা আর বাভার তফাতটা বোঝাতে যে ছকটি দিয়েছেন তাতে পার্থক্য দেখাতে অভায় " সার্বজনীন" এবং বাভায় " বৈশ্বিক" উল্লেখ আছে । খটকাটা এখানে - সার্বজনীন" আর " বৈশ্বিক" শব্দ দু'টি কি সমার্থক হয় না ? বিশ্বের বাইরে আর সার্বজনীনতা কোথায় পাবো ? সার্বজনীনতা বলতে তো বিশ্বের সকল প্রান্তেই বিরাজিত বোঝায় ।

চমৎকার সমৃদ্ধ পোস্ট ।

০১ লা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আহমেদ ভাই ,লিখাটি যে মনযোগ দিয়ে পড়েছেন তা বুঝাই যায় । আপনি খুবই মুল্যবান একটি কথা বলেছেন মানুষ সসীম বর্ণ দিয়ে অসীম শব্দের পাহাড়-পর্বত বানাতে পারে ।
সে জন্যইতো আমার পোস্ট টা শুরু হয়েছে হরির উপরে হরিকে দিয়ে , যদিও এতে আমার একটু ভূল হয়েছে যা পরে জুনাপু শুদ্ধ করে দিয়েছেন এভাবে
"হরির উপরে হরি, হরি শোভা পায় ,
হরিকে দেখে হরি হরিতে পালায় "।

অনেক দিন আগে বাবার কাছে এটা শুনা, তবে এখানে দেখা যায় মাত্র দুটি বর্ণের ( হ র ) একটি শব্দ হরি দিয়ে কত বড় অর্থবহ বাক্য বানানো যায় ।

বিশ্ব বিখ্যাত, বলতে গেলে আধুনিক ভাষাতত্বের জনক নোয়াম চমস্কির সাইন্স অফ ল্যাংগুয়েজ পাঠ করে এর মুল কথা অল্প দুএক বাক্যে প্রকাশ করার ক্ষতা আমার নাই বিধায় সেটাকে সঠিকভাবে অভা আর বাভায় তুলে থরতে পারিনি । আপনি ঠিকই বলেছেন সার্বজনীন" আর " বৈশ্বিক" শব্দ দু'টি সমার্থক হয়ে যায় । প্রথম পাঠের সময় ভেবেছিলাম অভ্যন্তরীনভাবে সার্বজনীনতার বৈশিষ্ট অর্জন করার পরে অভা বাহ্যিকভাবে বিশ্বায়নের পর্যায়ে যায় । যাহোক বিষয়টাকে আরো একটু ভাল করে দেখব । যেতে হবে লাইব্রেরীর কম্পিউটারে , এখানে ঘরে বসে তার বইটি ডাউন লোড করতে পারিনা , বিনা পয়সায় এক্সেস পেতে হলে ইনসটিটি্উসনাল লগিং প্রয়োজন হয় বলে ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল

২১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৪

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: প্রিয়তে ডাক্তার সাহেব

০১ লা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা রইল প্রিয়তে নেয়ার জন্য ।

২২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

নীলপরি বলেছেন: পড়লাম ও প্রিয়তে রাখলাম । অসাধরণ লাগলো । +++++++

০১ লা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ
প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল ।
ভাল থাকুন সবসময় এ কামনা করি ।

২৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
খুব সুন্দর একটা গবেষণামূলক পোস্ট। প্রিয়তে রেখে দিলাম । ধন্যবাদ ভাই।

০১ লা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ,
প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ২:২৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন:




হরির উপরে হরি , হরিকে দেখে হরি হরিতে পালায় , হরির কৃপায়, হরি হতে হরি ফুল নেয় হরি ।
এখানে হরি= জল/পানি, হরি = ব্যঙগ ( সরিসৃপ হিসাবে), হরি = সাপ ( সরিসৃপ হিসাবে),হরি= ভগমানের একটি নাম, হরি= একটি মেয়ের নাম, এবং হরি = হরন করা
তার মানে হল জলের উপরে পদ্ম পাতায় থাকা একটি ব্যঙগ সাপকে দেখে পানিতে পালাল, আর সেই ফাকে ভগমান হরির কৃপায় হরি নামের একটি মেয়ে পানি হতে পদ্ম ফুলটি নিল হরি ।"-
এক হরি'র এত প্রকার!!!!! আমি আগে জানতাম না ভাই। আপনার বদৌলতে অনেক কিছুই শিখতে জানতে পারছি। সেজন্য শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা সবসময় আপনার জন্য।

০১ লা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর নয়ন ভাল লাগল আপনার কথা শুনে ।
আমরা সকলেই জানি একে অপরের কাছে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৪১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: একটা অনুরোধ বা আমার আশা যাই মনে করেন, 'কবিতা' সম্পর্কিত একটা পোষ্ট আমার খুব কাঙ্ক্ষিত। এখনো পাই নি খুঁজে!

ভাই, আমার অনুরোধটা একবার ভাববেন। এতে আমার মতো অনেকের উপকার হবে।

আপনার এই পোষ্ট পড়ে আমার মনে হলো, কিছু অক্ষর কমানোই যায়, এতে বাংলা ভাষা আরও স্মার্ট, বানানে ভুলের সংখ্যা থাকবেনা।

০১ লা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । অনেক বড় দুটি লিখায় দিন কতেক ব্যস্ত থাকতে হবে ।
আমি কবিতার বিষয়ে মহা অজ্ঞ । তবে চেষ্টা করব এ বিষয়ে
আপনাকে কিছু জানাতে ।
ধন্যবাদ সহমত প্রকাশের জন্য ।

২৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৪৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: খুব সুন্দর যুক্তিপূর্ণ পোস্ট দিয়েছেন। প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।
ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী ভাই।

০১ লা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রসংসার জন্য ।
প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৪৮

জুন বলেছেন: অনেক ধনযবাদ সুন্দর একটি প্রতিমন্তব্যের জন্য ডঃ এম আলী । আপনার সাথে মিনমিনে গলায় আমিও বলতে চাই স ছাড়াও কি দরকার ব এ শুন্য র , ড এ শুন্য র আর ঢ এ শুন্য র এর :) যেখানে আমরা লিখছি মনে চায়কে "মুন্চায়" , পড়লাম কে "পর্লাম" , ভালো পেলাম কে ভ্লা পাইলাম ইত্যকার নতুন নতুন শব্দাবলী।
সবকিছুই পরিবর্তনশীল তবে হোয়াই নট বর্নমালা বা ভাষা ( এই সুযোগে নতুন আবিস্কার ) বাংলিশও বললাম । যার বিরুদ্ধে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন ।

০১ লা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ , শক্তিমান একজনকে পাওয়া গেল সাথে । এ কাজ বড় দুরুহ বাধা আসবে পদে পদে , হেনস্থা হতে হবে বিবিধ উপায়ে , যার কিছুটা আলামত ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে । তবে যে যাই বলুক কবি গুরুর ভাষায় বলে যাই অচিরে এমন সাহসিকের সমাগম হবে যাঁরা নিঃসংকোচে বানানকে সহজ করে দিয়ে সম্পূর্ণ ভাবেই কথ্য উচ্চারণের সত্যতা রক্ষা করবেন।
তাই এখন অপেক্ষার পালা কখন সেই সাহসিকেরা আসবেন বাংলা ভাষার বর্ণমালার প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে ।
বাংলাভাষা ও এর বর্ণের উন্নয়নের জন্য সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে , সংস্কৃতের মত কিছু বাংলা ভাষার ক্ষেত্রেও কিছু ঠুনকো একপেশে ধ্বনি ও উচ্চারণ রক্ষার অজুহাতে পড়ে থাকা রক্ষনশীলতার হাত হতে একে রক্ষা করতে হবে । এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, বলরাম যাহাই না, তাহাই হে নামে যে মন্ত্র তার ভাই শ্রী কৃষ্ণকে শিখিয়েছিলেন তাঁর বাসর ঘরে যাওয়ার প্রথম রাতে সে ধরনের মন্ত্রে বলীয়ান হয়েই এগিয়ে যেতে হবে । যত আসবে না না, ততই বলতে হবে বর্ণমালায় সংস্কার করতেই হবে ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল

২৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

শায়মা বলেছেন: "হরির উপরে হরি, হরি শোভা পায় ,
হরিকে দেখে হরি হরিতে পালায় "।

জুন আপুর মন্তব্যে আসা পর্যন্ত আমিও ভাবছিলাম ভাইয়া কি মাঝের লাইনটা জানেনা নাকি ইচ্ছা করে বাদ দিয়েছে!!!!!!

"হরির (পানি) উপরে হরি(পদ্মপাতা) , হরি( ব্যাঙ) শোভা পায় ,
হরিকে( সাপ) দেখে ( দেখিয়া হবে) হরি হরিতে পালায়/ লুকায় "।

০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক আগে
বয়স মনে হয় তখন আমার বছর দশেক হতে পারে,
বাংলার শিক্ষক বাবার মুখে শুনেছিলাম একটি বাক্য
দুই কপোল বহিয়া অশ্রুজল ঝরে , তাঁকে
তখন অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম চোখের উপরে
কপালে অশ্রু কিভাবে ঝরে , তখন জানলাম এ
কপোল কপাল নয় বাবা চিনাল আমাকে
হাতে ধরে কপোল কাকে বলে ।

সে সময় বাবা বলেছিলেন আরো একটি ধাধা
"হরির উপরে হরি, হরি শোভা পায় ,
হরিকে দেখে হরি হরিতে পালায়

কিন্তু এটা বেমালুম ভুলে যাই ।
জীবনে কখনো উচ্চারণ করিনি তা ।
এ পোষ্টটি লিখতে গিয়ে হঠাৎ মনে পরে
যায় একটি শব্দের কত অর্থ হতে পারে ।
তাই, এটা বুঝানোর জন্য একে ব্যাবহার
করি আমার এ পোস্টের লেখায় ।

ধারণা ছিল হয়ত প্রশ্ন আসতে পারে
হরি শব্দের এত বিচিত্র অর্থ কে বলেছে
আপনাকে!!! , এর উত্তর আমার প্রয়াত
বাবার সুত্র ছাড়া আর কিছু ছিলনা জানা।

যাহোক, এখন সামুর স্বনামধন্য
আরো অনেকেই এটা হু্বহু জানেন দেখে
শ্রদ্ধা জানাই তাঁদেরে ।

এখন আমার মনে হচ্ছে
"হরির উপরে হরি, হরি শোভা পায় ,
হরিকে দেখে হরি হরিতে পালায়

নিয়ে দেয়া যায় দারুন একটি পোষ্ট
যার মধ্যে থাকবে বাংলা ভাষায় পড়ে
থাকা এমন শত শত শ্লোক কিংবা ভাষার
ধাধা , থাকবে এর ইতিহাস , থাকবে
পিছনের কুশীলব পন্ডিতদের কথা, ভাষার
বিবর্তন , বিকাশের ধারা , বর্ণ মালার সহজ
সরল প্রয়োগ নিয়ে সাধারণ মানষের মুখের
কথ্য ভাষা ।

এটা সচিত্র হতে পারে দিয়ে বিলের স্বচ্ছ
পানিতে ভেসে থাকা অপরূপ পদ্ম পাতা,
ফুল , নীচে থাকা মাকনা ফল আর শালুক,
পাতায় সাপ ব্যঙগ, মানুষের লোকোচুরী
খেলা ,হরি নামের সুন্দর ছেলেমেয়দের
ফুল আর শাপলা কুড়ানো , সাতার কাটা
কিংবা ছোট ডিংগী নৌকায় ভেসে চলা।

ফুল সহ শাপলা ডাটা তুলে নিয়ে গ্রামের
বাজারে পশরা, এক সময় প করা , কতনা দৃশ্যমালা, কথা
ইতিহাস ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উঠে আসতে
পারে সে লিখায় ।

তোমার প্রতিই রেখে গেলাম এ অনুরোধ,
এ মহুর্তে দেশের বাইরে থাকায় পারবনা
করতে সংগ্রহ প্রয়োজনীয় ছবিমালা ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেই কুট্টিকারে ফিরিয়ে নিলেন!

হরি শ্লোকে বাংলা স্যারের প্রথম ধাঁধাঁয় যারপরনাই অবাক হয়েছিলাম তখন!

জুনাপুর সংশোধনীতে আমার বলার আর সুযোগ রইল না ;)

এ জেনারেশনের বাংলা পাঠ খুব কম! ব্যাকরন অংশতো আরও দুর্বল আমার ছেলেকেও দেখি এতি হাল! বাংলা চর্চার রাষ্ট্রীয় চাপ এবং সামাজিক চাপ কমাও একটা কারণ! মিয়িাম বৈষম্যও অনীহার একটা ভাইটাল পয়েন্ট! সাথে হিন্দি আগ্রাসন!
চ্যানেলে চ্যানেলে সয়লাব ড্রয়িংরুম থেকে বেডরুম! প্রমিত বাংলাতো আরও দূরের!
আর সংষ্কৃতরি অংশ হিসাবে ভাষার প্রতি যে দরদ নাটক মুভিতে থাকা উচিত তাও ভীষন রকম অনুপস্থিত!! আঞ্চলিকতাকেও যথাযথ না ফুটিয়ে এক বকিৃত চর্চায় যেন লেজেগুবরে অবস্থা!!

অনলাইনে বাংলার শুদ্ধতার দায়তো যেন কারোই নেই। কপি-পেষ্ট সাংবাদিকতায় একই ভুল বারবার চর্বিত চর্বন হচ্ছে। অনলাইন ওয়ালার অল্প পয়সায় লোক রাখতে গিয়ে শিক্ষার মানের আপোষ করছে। ফলে ভুলভাল বাংলাই অবাধে চলছে। বাঙলা একাডেমি এই ক্ষেত্রে নজরদারী বা নিয়মের কাগুজে বাঘও নয়! ফলে দেদারছে চলছে ভাষার ভুল চর্চা।

গতি বৃদ্ধির জন্য প্রযোজ্য সংশোধনী গ্রহণ যোগ্য। কিন্তু মানুষ কম জানে বলে ভাষাকেও কমজানার স্তরে নামাতে বললে তাতে ঘোর আপত্তি। বা বাংলিশে টাইপ করতে গিয়ে করা ভুলকে নজর আন্দাজ করে ভাষাকেই বদলাতে চাওয়াও হঠকারতিা মাত্র।
বাংলার একটা সার্বজননীন লে-আউট আজও স্বীকৃত হল না! দু:খজনক।
ফলে বহুমাত্রিক কি-বোর্ডে বহুরকম চর্চায় আরো গেলমেলে হয়ে উঠছে। অভ্র যে গতি প্রাণ এনেছে বিজয় যদি তাত েবাগড়া না দিত বা আরো অন্তত এক যুগ আগে যখন মাইক্রোসফট বাংলার একটা সর্বজনস্বীকৃত লে-আউট চেয়েছিল তখন যদি ব্যক্তিক লাভ (প্রতি কি-বোর্ডে ১০ টাকা) এর দিকে না চেয়ে বাংলা কথিত মহাজনরা জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন আজ হয়তো অনেক বেশি গতিশীল থাকতো বাংলা!

আধুনিকতার নামে নব্য ধর্ন হওয়া অর্থশালী হওয়া গ্রুপের বাংলা বিকৃত উচ্চারন, রেডিও জকি গংদের নিয়ন্ত্রনহীন বাংলার অপব্যবহার সাধারন মানুষের মন মননকে এলোমেলো করে দিচ্ছে। যা কাম্য নয়।
একাডেমি সকল বিষয়ে দারুন সব কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারে।

নেবে কি?

০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মনযোগ দিয়ে লিখাটি পাঠের জন্য ।
হরি শ্লোকের বিষয়টি জানা আছে দেখে খুশী হলাম ।
হা জুনাপু সংশোধন করে না দিলে ভুলের মধ্যেই থাকতাম ।

ঠিকই বলেছেন এ জেনারেশনের বাংলা পাঠের পরিমান খুবই কমে যাচ্ছে । এখন পড়াশুনা বেশীর ভাগই চলে অন লাইনে । তবে সুখের কথা হলো অন লাইন পাপ্যতায় বাংলায় লিখাগুলি এখন অনেক বেশী পাওয়া যাচ্ছে । গুগল সার্চ দিলে আমাদের অনেকের লিখাই সেখানে দেখা যাচ্ছে , এটা একটা ভাল দিক বলে মনে হয় ।

ব্যাকরন অংশ অাসলেই দুর্বল হয়ে পড়েছে । বাংলা ব্যাকরণ এখন স্কুলের বাচ্চাদের কাছে এক বিভীষিকাময় বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে । আপনি ঠিকই বলেছেন সংস্কৃতিতে পুজিবাদের প্রভাবে বিজাতীয় বিষয় রাস্টিয় পৃষ্টপোষকতায় অনুপ্রবেশ করছে । আর কপি পেষ্টের কারণে সে সমস্ত পুণ পুণ প্রকাশ হয়ে ভাইরাল হচ্ছে , চলছে দেদারছে ভুল চর্চা ।

গতি বৃদ্ধির জন্য প্রযোজ্য সংশোধনী গ্রহণ যোগ্যতার বিষয়ে সহমত প্রকাশের জন্য রইল কৃতজ্ঞতা । ভাষাকে বদলাতে বরং ভাষার সাবলিলতা ও তাকে বিশুদ্ধভাবে লিখ্যভাষায় পএকাশের জন্য কিছু সংস্কার করা প্রয়োজন হতে পারে , যেন যে ভুলগুলি শিক্ষিত ও আধাশিক্ষিত সকলের মাঝেই হচ্চে তা যেন হতে পারে নিরশন অচীরেই ।
অআপনার সাথে একমত যে কোন প্রকারেই বাংলার একটা সার্বজননীন লে-আউট প্রনীত হোক সরকারী উদ্যোগে অআর পরিহার করা হোক আধুনিকতার নামে নব্য ধর্ন হওয়া অর্থশালী গ্রুপের বাংলা বিকৃত উচ্চারন, এ বিষয়ে সকলেরি হ ওয়া উচিত সচেতন ।
শুভেচ্ছা রইল । হরি শ্লোকের বিষয়টি জানা আছে দেখে খুশী হলাম ।

হা জুনাপুর সংশোধন করে না দিলে ভুলের মধ্যেই থাকতাম ।

ঠিকই বলেছেন এ জেনারেশনের বাংলা পাঠের পরিমান খুবই কমে যাচ্ছে । এখন পড়াশুনা বেশীর ভাগই চলে অন লাইনে । তবে সুখের কথা হলো অন লাইন পাপ্যতায় বাংলায় লিখাগুলি পাওয়া যাচ্ছে । গুগল সার্চ দিলে আমাদের অনেকের লিখাই সেখানে দেখা যাচ্ছে , এটা একটা ভাল দিক বলে মনে হয় ।

ব্যাকরন অংশ আসলেই আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে । বাংলা ব্যাকরণ এখন স্কুলের বাচ্চাদের কাছে এক বিভীষিকাময় বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে । আপনি ঠিকই বলেছেন সংস্কৃতিতে পুজিবাদের প্রভাবে বিজাতীয় বিষয় রাস্টিয় পৃষ্টপোষকতায় অনুপ্রবেশ করছে । আর কপি পেষ্টের কারণে সে সমস্ত পুণ পুণ প্রকাশ হয়ে ভাইরাল হয়ে চলেছে দেদারছে , হচ্ছে ভুল চর্চা ।

গতি বৃদ্ধির জন্য প্রযোজ্য সংশোধনী গ্রহণ যোগ্যতার বিষয়ে সহমত প্রকাশের জন্য রইল কৃতজ্ঞতা । ভাষাকে বদলাতে নয় বরং ভাষার সাবলিলতা ও তাকে বিশুদ্ধভাবে লিখ্য ভাষায় প্রকাশের জন্য কিছু সংস্কার করা প্রয়োজন হতে পারে , যেন যে ভুলগুলি শিক্ষিত ও আধাশিক্ষিত সকলের মাঝেই হচ্ছে , তা যেন হতে পারে নিরশন অচীরেই ।

আপনার সাথে একমত যে কোন প্রকারেই বাংলার একটা সার্বজননীন লে-আউট প্রনীত হোক সরকারী উদ্যোগে আর পরিহার করা হোক আধুনিকতার নামে নব্য ধর্ন হওয়া অর্থশালী গ্রুপের বাংলা বিকৃত উচ্চারন, এ বিষয়ে সকলেরি হওয়া উচিত সচেতন ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৩০| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: বর্তমান শিক্ষিত বাঙালিরাও
উ,ঊ;
ই,ঈ;
র,ড়
ন,ণ
ইত্যাদি আলাদা করে উচ্চারন করে কিনা আমার সন্দেহ আছে। এতে বদল আনার সময় হয়েছে হয়তো!:)

টাইপিং সহজ করা এবং স্পিড বাড়ানোর জন্য সফটওয়ার ইনজিনিয়াররা কোমর বেঁধে কাজ করলে ভালোই হতো!:)

সুন্দর পোস্ট!:)

প্লাস!:)

০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লিখাটি মনযোগ দিয়ে পড়েছেন দেখে খুব খুশী হলাম । সহমত প্রকাশের জন্য অনেক ধন্যবাদ । এখন কি করে যায় তা সে এক ভীষন ব্যপার । সকলেই চেষ্টা করলে কিছু যে করা যাবে তা প্রায় নিশ্চিত ভাবেই বলা । একসময় যা পন্ডিতেরও নিকট ছিল অচিন্তনীয় তা এখন সাধারণ মানুষও অবলিলায় বলে দিতে পারে।

কম্পিউটারে বাংলা টাইপ করার বিষয়ে আপনার বেশ ধারণা ও পড়াশুনা আছে বলে আমার বিশ্বাস । সফটওয়ার ইনজিনিয়াররা কোমর বেঁধে লাগার বিষয়ের সাথে সহমত পোষন করি । এই প্রযুক্তির যুগে যদি কিছু করার থাকে তাহলে তাঁরাই তা পারবে বলে বিশ্বাস করি । ভাষাবিদদের কাজ নাকি কোন কিছু তৈরী করা নয় , তাদের কাজ হল তৈরী বিষয়ে কি মধু আছে তা অআহরণ ও সুন্দর করে ব্যাকরণ লাগিয়ে শুধু বিকসিত করা ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল

৩১| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

ক্লে ডল বলেছেন: পরিবর্তন ছাড়া আধুনিক হওয়া যায় না। কিন্তু "চাঁদ"কে যদি পাল্টে "চাদ" করা হয় তবে কিন্তু ওর সৌন্দর্য খানিকটা কমে যায়। তবে কালে কালে সেটা হবে। প্রযুক্তি, সময়ের বিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে ভাষাও পরিবর্তিত হবে।

আমার মনে হয়, এখন বর্ণ ছাটাইয়ের চেয়ে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

চমৎকার পোষ্টে প্লাস। :)

উত্তরের যাত্রার শেষ পর্ব খুব শীঘ্রই পাব আশা করি।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর বলেছেন । য়ুক্তি পুর্ণ কথা । তবে কথা হল চাঁদের সৌন্দর্য কি শুধু চন্দ্র বিন্দুর উপরেই নির্ভর করে । যেখানে চন্দ্র বিন্দু ব্যাবহার করা হয় না যথা চাঁদকে যখন শশি কিংবা চন্দ্র নামে ডাকা হয় তখন কি এর সৌন্দর্যের কোন হানি হয় । যাহোক বুঝতে পারছি এটা একটা কথার কথা মাত্র ।

খুব ভাল কথা বলেছেন বর্ণ ছাটাইয়ের চেয়ে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটা করতে পারলে সবচেয়ে ভাল হতো । কিন্ত প্রযুক্তিকে তো প্রচলিত নিয়ম রীতিকে মেনে চলতে হবে । উদাহরণ স্বরূপ দেখানো হল মাত্র দুটি বর্ণের একটি
শব্দ যথা বর্ণ শব্দটি লিখতে গেলে কম্পিউটারে ৫ টি বাটনে চাপতে হয় ( অভ্র কি বোর্ড ব্যবহার করে)
ব এর জন্য F ১ বার
র্ণ এর জন্য V ১ বার, G ১ বার,Shift key ১ বার, B ১ বার মোট ৫ টি বাটনে চাপ দিতে হয় ।

এখানে বর্ণ শব্দটিকে ঠিক রেখে প্রযুক্তির উন্নয়ন কতটুকু করা যাবে, তার থেকে বর্ণ উন্নয়নটাই কি সহজ হবে না । সকলেই যুক্তি বা চুক্তি করে বর্ণ শব্দটাকে শুধুমাত্র এর অপর প্রতি শব্দ লিপি হিসাবে অভিহিত করে বর্ণ টাকে obsolete করে দিতে পারি । এটা একটি উদাহরণ মাত্র এর থেকে সহজ রাস্তাও হয়ত বের করা যাবে , তবে এ রকম করার আগে সকলের মাঝে একটা সমজোতায় আসতে হবে । এটা অনেক লম্বা পথ , এটা করতেই হবে তা কিন্ত নয় , তবে চিন্তা করতে দূষ কি ?

অনেক খুশী হলাম মুল্যবান মতামত দেয়ার জন্য সকলের সুচিন্তিত ভাবনায় একটা ভাল উপায় নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে

অল্প সময়ের মধ্যেই উত্তরের যাত্রা শেষ পর্ব আসতেছে, দেখার আমন্ত্রন রইল ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৩২| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মাথার খুপরিটা এতো ছোট যে, আপনাদের এমন জ্ঞানী কথাগুলো আমার মাথায় ঢুকতেই চায় না :(

০২ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আমার মাথার খুপরিটা আরো বেশী ছোট তাই সহজ সরল ভাবে কিছু বলার বা বুঝার জ্ঞান টুকুও নেই , ফলে আমার পরিশ্রমের সকল ফসল হয় শুন্য , যাকে বলে বলা যায় অনুৎপাদনশীল কাজ । তার পরেও একই রকম ভুল বার বার করি । প্রাপ্তিটাও সেরকমই হয় । তবে প্রাপ্তি যে রকমই হোক না কেন তা হাসিমুখেই মেনে নিই :( এবং পুনরায় ভ্রান্তিমুখে পতিত হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে পরি । মনে পরে যায় কবি গুরুর সে্ই কথাগুলি " হায় বুদ্ধিহীন মানবহৃদয়! ভ্রান্তি কিছুতেই ঘোচে না, যুক্তিশাস্ত্রের বিধান বহু বিলম্বে মাথায় প্রবেশ করে, প্রবল প্রমাণকেও অবিশ্বাস করিয়া মিথ্যা আশাকে দুই বাহুপাশে বাঁধিয়া বুকের ভিতরে প্রাণপণে জড়াইয়া ধরে , অবশেষে একদিন সমস্ত নাড়ী কাটিয়া হৃদয়ের রক্ত শুষিয়া সে পলায়ন করে, তখন চেতনা হয় এবং দ্বিতীয় ভ্রান্তিপাশে পড়িবার জন্য চিত্ত ব্যাকুল হইয়া উঠে।" সেরকম পুণ পুণ ভ্রান্তিপাশে পতিত হওয়ার জন্য আমারো চিত্তে ব্যকুল হয়ে উঠে । বার বার ভুলের সাগরে পতিত হওয়ার জন্য ছুটে যাই প্রবল বেগে ।

ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য । দোয়া করি আপনার মাথার খুপরিটা যেন আকাশের মত বড় হয় এবং জ্ঞান ভান্ডারে পুর্ণ ও সমৃদ্ধশালী হয় ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল

৩৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি প্রোগ্রামিং এর সাথে জড়িত আছি। বাংলা নিয়ে একবার কাজ করতে হয়েছিল। খুব অবাক হলাম, আমাদের পুর্বসূরীরা এত জটিল করে বর্ণবিন্যাস করে রেখে দিয়েছেন!
খুব খুব ভাল হবে, যদি আপনারা নতুন কোন বর্ণবিন্যাস করে দেন। দেশ/মানুষের জন্য খুব কাজে লাগবে তাহলে। :)

০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ খুব খুশী হলাম , আরো একজন শক্ত সমর্থক পাওয়া গেল বর্ণমালা সংস্কারের পক্ষে । ভাষায় বর্ণের সংস্কার দেশে দেশে যুগে যুগে হয়েছে এবং তা কোন দৈব ক্রমে হয়নি হয়েছে মানুষের হাতে । এখন প্রয়োজনের তাগিদে প্রযুক্তির সাথে যুগপযোগী করার জন্য বাংলা ভাষার বর্ণমালার সংস্কারের প্রয়োজন আছে । এই সংস্কার করার কর্মটি কিন্তু এত সহজ নয় । প্রথমত রক্ষনশীলতা, দ্বিতিয়ত ভয় । এর জন্য প্রয়োজন সাহসীকতার । বাংলা বানানের একক কোন অবয়ব কোন কালেই ছিল না, এখনো নেই। এটা এই ভাষা চর্চার এক গুরুতর সমস্যা। যাহোক বর্ণমালা সংস্কারের বিষয়ে এই মহুর্তে যা প্রয়োজন তা হল সংস্কারের বিষয়ে জাতীয় এক্যমত । আর এ্‌ই প্রযুক্তির যুগে লিখালিখির কাজটি বেশীরভাগই হচ্ছে ডিজিটালী । এখনতো হাতেও লিখতে হয়না , সরাসরি ভয়েজকে ট্রানসক্রাইব করার জন্য বিশেষ করে কোয়ালিটেটিভ গবেষনা কর্মে Computer software Programme যথা Nvivo ব্যবহৃত হচ্ছে । এখন যেকেও audio or video file থেকেও transcribe করে নিয়ে রিপোর্ট বের করে ফেলতে পারে । তাই ভয়েজের মধ্যে থাকা উচ্চারণ গুলিকে যতটুকু সম্ভব সমউচ্চারণমুলক বর্ণ দিয়ে transcribe করা যায় ততই ভাল হবে, যত সমউচ্চারণমুলক বর্ণ কম হবে তত বেশী একুরেট হবে । তাই মনে হচ্ছে বাংলা ভাষার বর্ণের উচ্চারণ সংস্কারের বিষয়টি কমপিউটার সাইনটিস্টদের হাত ধরেই হতে হবে । উনারা পরিস্কারভাবে ভাষাবিদদের জানাতে পারেন প্রযুক্তিকে সহজভাবে প্রয়োগ করার জন্য কোন কোন বর্ণমালার জন্য সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে এবং কিভাবে বাংলা বর্ণকে ডিজিটাল যুগে প্রয়োগ করা যাবে । সমস্যাটি ভাষাবিদদের এখন্ই বুঝতে হবে, ব্যকরণের বই এর পাতা হতে দৃস্টিকে কমপিউটারের দিকে নিবদ্ধ করতে হবে , না হলে আখেরে সংস্কৃতের মত পস্তাতে হবে । এখন বাংলা টাইপিং এর গতি ইংরেজী হতে শতকরা ৬০ ভাগ পিছনে আছে ,আর ট্রানসক্রাইবিংএ তো এখনো যোজন যোজন দুরে আছে । আপনি ঠিকই বলেছেন ভাষাবিদেরা বর্ণবিন্যাস করে দিলে দেশ/মানুষের জন্য খুব কাজে লাগবে ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৩৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ২:১৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: নাহ ভাই, আমার আর পড়া হবে না।। শুধু এসেছিলম, তারই জানান দিয়ে গেলাম :-P ।।
আমি পড়ি এবং লিখি নিজের মত করেই।।

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , আইলেন যখন তখন একটা ফুটা দিয়ে গেলে ভাল হইতনা :)আমি পড়ি এবং লিখি নিজের মত করেই এটাই হক কথা ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ২:২২

শেয়াল বলেছেন: ভাউ এইডা এক্টা জব্বর কাম করছেন :>

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাউ এত দিন কোথায় ছিলেন , ধন্য হলাম তব আগমনে ,
যা বলেছেন সকলেই আপনার সাথে তা বলুক এক সনে এ কামনা জানাই ।
পাবে গতি বাংলা অতি পাঠে কিংবা লিখনে ।

ধন্যবাদ সাথে রইল শুভ কামনা ।

৩৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ২:২২

শেয়াল বলেছেন: ভাউ এইডা এক্টা জব্বর কাম করছেন :>

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাউ এত দিন কোথায় ছিলেন , ধন্য হলাম তব আগমনে ,
যা বলেছেন সকলেই আপনার সাথে তা বলুক এক সনে এ কামনা জানাই ।
পাবে গতি বাংলা অতি পাঠে কিংবা লিখনে ।

ধন্যবাদ সাথে রইল শুভ কামনা ।

৩৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ২:২২

শেয়াল বলেছেন: ভাউ এইডা এক্টা জব্বর কাম করছেন :>

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাউ এত দিন কোথায় ছিলেন , ধন্য হলাম তব আগমনে ,
যা বলেছেন সকলেই আপনার সাথে তা বলুক এক সনে এ কামনা জানাই ।
পাবে গতি বাংলা অতি পাঠে কিংবা লিখনে ।

ধন্যবাদ সাথে রইল শুভ কামনা ।

৩৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:০২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ভুল হয়ে গেছে, আলী ভাই।।
মাথার উপর দিয়ে যাওয়া বলকে "ক্যাচ"ই বা বলি কিভাবে =p~ ??

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , যাহোক জীবন পাওয়া গেল ক্যাচ মিস হয়েছে বলে । :)
শুভেচ্ছা রইল ।

৩৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: সুন্দর শিরোনাম। সমগোত্রীয় কিছু বর্ণ কমিয়ে ফেলা হলেই মনে হয় ভাল হয়। একটি শিশু শুরুর দিকে বাংলা শব্দ শেখার সময় এই সমগোত্রীয় বর্ণগুলো প্রায়ই গুলিয়ে ফেলে। আমিও চাই মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হোক সহজ।
আহা মহানবী হযরত মু: (স:) এর ভাষা যদি বাংলা হত তাহলে কতইনা ভাল হত। আমরা বাংলায় কুরআন পড়তে পারতাম। সারা বিশ্বের মুসলমানরাও বাংলা শিখতে বাধ্য হত।
বাপরে কত্ত বড় পোস্ট। মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছেন :)

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ খুশী হলাম আরো একজন গুণীকে পেয়েছি ভাষায় বর্ণমালা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে কথা বলেছেন। আসলে বাংলাদেশের শিশুদেরদের জী্নের শুরুতেই( বিশেষ করে মুসলমান শিশুদের) বাংলা+ ইংরেজী + আরবী মিলিয়ে শতাধিক বর্ণমালা মগজে ঢুকাতে হয় যা পৃথিবীতে প্রায় বিরল !!!

আপনি ঠিকই বলেছেন মহানবী হযরত মু: (স:) এর ভাষা যদি বাংলা হত তাহলে কতইনা ভাল হত। তবে আল্লাহ বড়ই মেহেরবান বাংলা ভাষাকেও করেছেন মর্যাদাবান বিশ্বের বুকে। হয়ত এমন দিন আসতে পারে যখন বিধাতার দয়ায় বাংলাকে বিশ্বের সকলেই ইঙরেজীর মত শিখতে বাধ্য হবে , দুনিয়াতে কোন কিছুই অসম্ভব নয় ।

পোষ্ট টা বড় না করে উপায় ছিল না, আরো অনেক কথা কেটে বাদ দিতে হয়েছে, তবে তা যাবে প্রকাশিতব্য বইয়ে । মাথা ঘুরল কিনা দেখতে আসছি এখনি :)

৪০| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০০

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: নতুন পোস্ট কোথায়, মাসতো পার হয়ে গেল :)

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আসবে নতুন পোষ্ট । আমার পোষ্টতো মেরাথন তাই চট করে নামানো যায়না । দেখে আসলাম আপনিও এখনো অগোছাল নিয়েই আছেন !!! অগোছাল থাকলেও দেখলাম মাথা ঘুরে নাই তা আগের মতই আছে :)

শুভেচ্ছা রইল ।

৪১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পিঠা রেখে যাওয়ার জন্য ।

৪২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৩

টুনটুনি০৪ বলেছেন: আপনার লেখা পোষ্টটি অনেক সুন্দর লেগেছে।

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ টুনটুনি । পোষ্টটি অনেক সুন্দর লেগেছে জেনে খুশী হলাম
শুভেচ্ছা রইল ।

৪৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫০

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: আমার প্রোফাইল পিকচারটা আঁধারে আটকে গেছে তো তাই ঠিক বুঝতে পারেননি। নইলে মাথা ঠিকই ঘুরে গিয়েছিল। অনেক কষ্টে সোজা করেছি :P

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লেপটপের স্ক্রীনে সে সময় টেবিল ল্যাম্পের আলো ঠিকমত না পড়ায় তখন পিকচারটি ভাল করে দেখতে পারি নাই , স্ক্রীনের এংগেল ঠিক করতেই পিকচারটি জ্বল জ্বল করে উঠল , হা এখন দেখা গেল সোজাই আছে , যাক বাঁচা গেল :) আমাদের সকলের প্রিয় কবির কিছু হলে কি উপাই হত যে হত !!!

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

৪৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জ্ঞান গর্ভ লিখাটি মনোযোগ সহযোগে পড়তে পারিনি, আবার পড়ার আশা রাখছি।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই মুল্যবান সময় দিয়ে লিখাটি দেখতে আসার জন্য । প্রযুক্তির এ যুগে ভাষা ও বর্ণকে সহজবোদ্ধ করে বিশ্বের সকলের কাছে আরো বেশি গ্রহনযোগ্য করার প্রয়াসতো এখন থেকেই নিতে হবে । বিদেশী অনেক পন্ডিতেরাই এখন বাংলা ভাষা চর্চা করছেন বিবিধ কারণে। আপনার নিশ্চয়ই জানা আছে বাংলার প্রসার ইদানিং বাড়ছে বিশ্বের নামকরা সব ইইনিভার্সিটিতে । অনেক বাংলার শিক্ষকেরা বাংলা ভাষার বিভন্ন দিকের উপরে পিএইচডি কিংবা এম ফিল করার সময় বিদেশে অধ্যয়ন করার কালে তাদের সুপারভাইজার হন ভিন দেশী ভাষা বিজ্ঞানী , তারা তখন একটু আধটু বাংলাও চর্চা করেন । তাদের অনেকের কথায় জানতে পারা যায় , তাঁরাও মনে করেন বাংলা ভাষায় এত বেশী সংখ্যক সমউচ্চারণমূলক বর্ণগুলি কস্টকর হয়ে দাড়ায় বাংলায় কিছু বলতে বা লিখতে । আমরা চাই বাংলা ভাষা সমৃদ্ধশালী হোক, এর প্রসার ঘটুক সারা দুনিয়াতে ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৪৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

সোহানী বলেছেন: অসম্ভব কঠিন বিষয়। বাংলায় কোনদিনই ভালোছিলাম না তবে অন্য বিষয়ে যে ভালো তার কোন প্রমান নেই :P :P :P আপাতত:।

যাহোক পরীক্ষা চলছে, তাই বেশী মনোযোগ দিতে পারছি না..... আবার ফিরে আসবো শুধু নিজে বোঝার জন্য। তবে পরীক্ষা দিতে পারবো না কোনভাবেই ;) ;) ;) ;)

০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ছাড়.... ছাড়.... ছাড়.... ছাড়, ছাড়.... ছাড়.... ছাড়...৯৯% ছাড় দেয়া হল বাংলায় :)
আর বাকি বিষয়ে ১০০% ছাড়....দেয়া হল , তাই আর ভাল না হলেও বাজারে ভাল চলবে , যা লিখবেন পটাপট পাঠক খেয়ে ফেলবে :)

পরীক্ষায় ডিস্টিংশনসহ পাশ ,গেরান্টেড :) :) আবার ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকলাম । পরীক্ষা লাগবেনা, এমনিতেই আটো প্রমোশন । নেকস্ট কোর্সের সাফল্য কামনা করছি ।

শুভেচ্ছা রইল

৪৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪

রানা আমান বলেছেন: নিঃসন্দেহে ভালো এবং গবেষণামূলক পোস্ট। আপনার সব লেখাই খুব আগ্রহ নিয়ে পরি এবং ভালোও লাগে । একটি লেখা ভালোলাগা মানেই লেখাকে বুঝতে পারা (এটা আমার মত) । বাংলায় কখনোই ভালোছিলুম না :P । বাংলা লেখা পড়তে ভালোবাসি বলেই ব্লগে আসা , তবে এ লেখাটা বোধহয় আমার মাথার উপর দিয়েই চলে গেল । প্রিয়তে রাখলুম পরে আবার পড়বো শুধু নিজে বোঝার জন্য।

০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিষয়টি নিয়ে সকলকে আরো বেশী গবেষণা করার জন্যই এই লিখাটিতে আবেদন রাখা হয়েছে । বিষয়টির সাথে জাতীয় স্বার্থ জড়িত । সকলেরই মুখে এক কথা শুনি, সকলেই বলেন বাংলায় ভাল নই , ভাল যারা তারাও একই কথা বলেন । বাংলার প্রতি ছেলে মেয়ে কিশুর বুড়া বুড়ি সকলেরই এই ভীতির স্বরপ ও কারণ উদঘাটন করে সেমত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে বাংলার প্রতি এই ভাল না বলার পরিমাণ কৌতুক করে বললেও তা জ্যমিতিক হারে বাড়তেই থাকবে !!!
প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জনবেন ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৪৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রিয়তে রেখেছি !

০৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
তাইতো বলি আপুমনি গেল কোথায় ,
প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৪৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপুমনি নীরব পাঠক
প্রথম দেখেই প্রিয়তে রেখেছি ,কি আর বলব কত বলব বলেন , এত ভালো আর সমৃদ্ধ সব লেখা আপনার ।
তবুও মনে হল হয়ত জানান দেয়া প্রয়োজন পরবর্তী লেখার জন্য আগ্রিম ধন্যবাদ হিসাবে :)

০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ, আর দেরী করা যায়না,আপুমনির আশির্বাদ ধন্য হয়ে
আজ কালের মধ্যেই নতুন পোষ্ট দিব একটা মনে জোড় পেয়েছি এখন ।
লাইকের ঘরে নামটি দেখে বুঝে ছিলাম আশে পাশে গোপনে রয়েছেন
মোবাইলে টাইপ বিরম্বনায় লিখা হয়ে উঠেনা অনেক সময় যখন তখন ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৪৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

বিলুনী বলেছেন: বাংলা ভাষার উপর সুন্দর লিখেছেন ,
এতে ভাল মন্দ দুটো দিকই আছে ।
সংস্লিস্টজনেরা বিবেচনা করে দেখতে পারেন ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৫০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:১২

রিফাত হোসেন বলেছেন: অনেক সময় নিয়ে শেষ করলাম। +++
আসলেই পরিমার্জিত রূপ দরকার। আপনার মত ব্লগার আছে বলেই সামুতে আসি। :)
মাঝে মাঝে, অন্য সহব্লগার এর ব্যবহার কষ্ট দেয়। :(

২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ধন্যবাদ মুল বক্তব্যের সাথে সহমত প্রকাশের জন্য ।
কিছু কিছু জায়গা হতে কষ্টকর কিছু বিষয় আসবেই
তবে বেশী কষ্ট লাগে যেখানে অনেক কষ্ট করে
একটু বড় সড় আকারের মন্তব্য রেখে আসা
হয় কারণ সেখানে অনেক কথা বলা হয়
যা মুল পোষ্ট লেখকের বিজ্ঞতার একটু
উপর দিয়ে যায় । কিছু করার নেই
সুপ্রীয় সিনিয়র রিফাত ভাই ।
আন্তরিক শুভেচ্ছা সাথে
ভাল থাকার থাকার
শুভ কামনা
রইল ।

৫১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:১৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সমউচ্চারলমূলক বর্ণ নিয়ে ছোটরাতো বটেই বড়দেরও অনেক্ অসুবিধায় পড়তে হয়।
ছোট বেলায় আমরা স্বরবর্ণে 'লি' (৯) নামে একটা বর্ণ পড়েছি। আবার ব্যাঞ্জন বর্ণে 'ব' ছিল দুইটি।
প ফ ব ভ ম
য র ল ব শ ।
'৯' আর একটি 'ব' এখন বিলুপ্ত, বর্তমানে 'ও'র পরের বর্ণটিরও ব্যবহার দেখা যায়না ।
অনেক দিন পর সময় করে আপনার জ্ঞানগর্ভ লিখাটি পড়লাম। অনেক পরিশ্রমী আর তথ্যবহুল পোস্টটীর জন্য শুভেচ্ছা নিন ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রথমেই দু:খ প্রকাশ করছি । কোন নোটিশ পাইনি বলে এই পুরান লেখাটিতে আসা হয়ে উঠেনি । আজকে একজনের মন্তব্যের নোটিশ পেয়ে এখানে এসে আপনার সাক্ষাত পেলাম । মনে খুব কষ্ট লাগছে আপনার মুল্যবান মন্তব্যটিকে যথাসময়ে দেখতে পাইনি বলে । আশা করি এ বিলন্বের বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।

সমউচ্চারণ মুলক বর্ণগুলি কোনভাবে কমানো যায় কিনা তা যদি আপনার মত প্রতিষ্ঠিত গুণী লেখকেরা অন্যদের সাথে আলাপ আলোচনা করে একে নিয়ে বড় আকারের কোন প্রকল্প গ্রহন করতে পারেন তাহলে আমার মনে হয় খুবই ভাল হয় ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৫২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১০

গরল বলেছেন: বাংলায় অনেক শব্দ থাকলেও পর্যাপ্ত শব্দের অভাব আছে মনে হয়, কারণ আধুনিক যুগের অনেক কিছুর নামকরণ আমরা বাংলায় করতে পারি না। যেমন NUT, Bolt, Computer, Screw এরকম আরো অনেক যা এখন মনে পড়ছে না। অনেক ভাষাতেই নাই সেটা বলতে পারেন। তবে জাপানী ভাষায় আমি এগুলো বলতে দেখেছি, আবার তারা Robot, Circuit Board এমনকি Turbine কেও তাদের ভাষায় বলে থাকে জার জন্য যে কোন দেশের ইঞ্জিনীয়ার বা ডাক্তার জাপানে যেয়ে কিছুই বুঝে না। আমাদের বর্ণমালা অনেক বৈজ্ঞানিক ও মুখে যত গুলো ধ্বনী উচ্চরণ যতভাবে করা যায় সব গুলোর জন্য আলাদা আলাদা বর্ণ আছে যা অনেক ভাষায় নেই। আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু জানলাম, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার এত কষ্ট করে এত তথ্যসমৃদ্ধ একটি পোষ্ট এর জন্য।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ । নীজের অভিজ্ঞতালব্ধ খুবই মুল্যবান কথা বলেছেন ।
আধুনিক যুগের বিদেশী শব্ধগুলিকে বাংলা করণের বিষয়ে একটি
গুরুত্বপুর্ণ মতামত রেখেছেন । জাপানীদের অভিজ্ঞতা আমরা ভেবে
দেখতে পারি । বিদেশী শব্দগুলিকে বাংলা করণ করে সেগুলিকে
বহুল ভাবে ব্যবহার করলে তার গ্রহন যোগ্যতা পেতে পারে বলে
মনে করি ।

এটা সঠিক কথা বলেছেন আমাদের বর্ণমালা অনেক বৈজ্ঞানিক ও
মুখে যত গুলো ধ্বনী উচ্চরণ যতভাবে করা যায় সব গুলোর জন্য
আলাদা আলাদা বর্ণ আছে যা অনেক ভাষায় নেই
। সহমত ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৫৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এককথায় অনবদ্য, গবেষনালব্ধ এবং পরিশ্রমী পোস্ট!
বলতে দ্বিধা নেই যে,এই লেখায় মন্তব্য করার মতো বিদ্যা আমার নাই।
তবে অনেকে উপকৃত হবেন যদি তারা সময় নিয়ে পড়ে।

আমার বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, তার কাছে এই ধাধাটা শুনি ছেলেবেলায়
"হরির উপর হরি,
হরি বসে তায়।
হরিকে হেরিয়া হরি
হরিতে পালায়।"


আপনার লেখায় একটি পরিবর্তন আছে মনে হয়।
ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এসে দেখে মুল্যবান মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য ।
ঠিকই বলেছেন লেখায় একটু সামান্য পরিবর্তন আছে বিবিধ কারণে ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৫৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "হরির উপরে হরি, হরি শোভা পায় ,
হরিকে দেখিয়া হরি হরিতে লুকায়"
- মনে পড়ে, বাল্যকালে আমার মেজো ভাই উপরোক্ত ধাঁধাটি ধরে আমাকে "হরি" শব্দটির বিভিন্ন অর্থ শিখিয়েছিলেন, যা আজ পর্যন্ত ভুলিনি।

আমি ভাষা সংস্কারের বিপক্ষে নই। তবে বাঙলা একাডেমির পণ্ডিতদের সার্বজনীনভাবে গৃহীত ঈদ কে ইদ লেখার নির্দেশ আমি কিছুতেই মন থেকে মেনে নিতে পারছিনা। আপনার সাথে আমি একমত যে আপাততং ণ এবং ন এর মধ্যে কোন পার্থক্য না রেখে উভয়টিকে যে কোন শব্দের সাথে ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হোক এবং আগামী অন্ততঃ দশ বছর উভয়টিকে শুদ্ধ হিসেবে গণ্য করা হোক। একই কথা ঙ এবং ং এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। দশ বছর পরে, যদি প্রয়োজন হয় তবে আরও কিছুটা সময় পরে ভাষাবিদ এবং ধ্বনিতত্ত্ববিদগণ বসে সাব্যস্ত করবেন কোনটি আপামোর জনসাধারণের ব্যবহৃত বানানে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সেটিকে রেখে বাকিটাকে বর্জন করার নির্দেশ দেয়া যেতে পারে। হঠাৎ একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যেন জনগণকে একটি প্রচলিত বানান বর্জন করে প্রমিত বানানের নামে নতুন বানান লিখার নির্দেশ দেয়া না হয়। ঈদ কে বর্জন করে ইদ লেখার নির্দেশ এমনই একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ, যা ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

৫৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: পরবর্তীতে একই পদ্ধতি অনুসরণ করে শ, স ও ষ এর মধ্যে যেকোনে একটি বা দুটি রেখে বাকিটা/গুলো বর্জন করা যেতে পারে।
উপরোক্ত পদ্ধতি মানা হলে বাংলা ব্যাকরণ থেকে একদিন ণত্ব ও ষত্ব বিধান উঠে যাবে।
ভাষার মাসে ভাষা সংস্কার নিয়ে একটি চমৎকার প্রবন্ধ/ফীচার লিখার জন্য আপনাকে সাধুবাদ।
পোস্টে ২৭তম প্লাস। + +

৫৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "পোষ্টটা স্টিকি হওয়ার চেয়ে আবেদনটি স্টিকি হওয়া প্রয়োজন অনেক বেশী" (১৪ নং প্রতিমন্তব্য) - চমৎকার বলেছেন!
অগ্নি সারথি, নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন, সাদা মনের মানুষ, আহমেদ জী এস, শায়মা, ক্লে ডল,অরুনি মায়া অনু, গিয়াস উদ্দিন লিটন প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.